রত্নাকর পত্রনবীশের একটি দিন
ক্যাথরিন ম্যানসফিল্ড (১৮৮৮-১৯২৩) নিউজিল্যান্ডে জন্মেছিলেন, যদিও তাঁর লেখকজীবনের অধিকাংশটাই কেটেছিল ইংল্যান্ডে। ১৯২০- তে প্রকাশিত ক্যাথরিন ম্যানসফিল্ডের ছোটগল্প 'মিস্টার রেজিন্যাল্ড পিকক’স ডে'-র ছায়া অবলম্বনে এবার ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর গল্পের কামরায় আমার গল্প বেরিয়েছে, ‘রত্নাকর পত্রনবীশের একটি দিন’।
মিস্টার রেজিন্যাল্ড পিকক’স ডে-তে ঘটনা যে খুব একটা ঘটে তা নয়, গল্পের নামের সঙ্গে সংগতি রেখে এটি মূলত একটি ‘স্লাইস অফ লাইফ’ রচনা। এই একটি দিনের ঘটনাবলী থেকে পাঠক গল্পের মুখ্যচরিত্র মিস্টার পিকক-এর চরিত্র সম্পর্কে অবগত হবেন।
মিস্টার পিকক-এর পদবীর মাধ্যমে তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যটি বেশ প্রকাশ পায়। তিনি নিজেকে নিয়ে আত্মহারা। একশো বছর আগে মিস্টার পিককের মতো লোক হয়তো খুব বেশি ছিল না, না হলে ম্যান্সফিল্ড আর তাঁকে হিরো করে গল্প ফাঁদবেন কেন। কিন্তু এখন আমাদের চারপাশে ‘পিকক’ খুব কমও নেই। বা হতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়া এসে সবার প্রচ্ছন্ন পিকক-পনাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
আমার গল্পের হিরো রত্নাকর পত্রনবীশ। মিস্টার পিককের সঙ্গে শ্রী পত্রনবীশের মূল পার্থক্য হচ্ছে মিস্টার পিকক গান শিখিয়ে জীবিকানির্বাহ করেন, আর শ্রী পত্রনবীশ ব্যাংকের কেরানি, সাইডে কবিতা লেখেন। সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাথরিন ম্যানসফিল্ড ভালো চেলো-বাজিয়ে ছিলেন, তাই হয়তো গায়ক নায়কের একটি দিন নিয়ে লিখতে তাঁর অসুবিধে হয়নি, আমি যদিও কবিতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া দুই থেকেই শতহস্ত দূরে থাকি তবু সাহস করে রত্নাকরের একটি সম্ভাব্য দিনের গল্প লিখেছি।
Koekdin age Abantor r sange alap hlo.Purono post gulo o parchi kintu comment kara hoy ni.Lekhata khub vlo hoyeche.Apnar anubade apni amader parichito samajke emonvabe tule anen mon chuye jai.R galper ses bakyo ti asadharan.-Sunanda.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, সুনন্দা। আমার এই গল্পটা নিয়ে মন খুঁতখুঁত আছে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে শান্তি পেলাম। আশা করি অবান্তরের সঙ্গে আলাপ দীর্ঘজীবী হবে। আমার নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
DeleteApnakeo notun bacharer anek suvokamana.Abantor er sange alap dirghojibi hbe o tar srastar sangeo eitai kamona.-Sunanda.
Deleteনিশ্চয়, সুনন্দা।
Delete