লুক
পৃথিবীর বেশিরভাগ পেশা এবং নেশারই একটা করে অফিশিয়াল লুক আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও নাকি আছে। আমাকে কেউ কেউ বলেছে, তোমাকে দেখে বোঝা যায় না যে তুমি অমুক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে। ওই লুক তোমার নেই। কথাটার কোনও মানে নেই, কারণ আমার ইউনিভার্সিটিতে কোটি কোটি লোক পড়ত, এবং তাদের মেজরিটিরই সেই ‘লুক’ ছিল না, যে লুকের কথা বক্তা বোঝাতে চাইছেন। কিন্তু আবার কিছু লোকের ছিলও এবং সামহাউ তারা এবং তাদের লুক ওই ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি চিহ্নিত হয়েছে। এই রকম করেই নির্ঘাত বাকি পেশা এবং নেশাদেরও লুক তৈরি হয়েছে। সেই সব পেশা ও নেশার সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ লোক সেই লুক মেন্টেন না করা সত্ত্বেও। সব সায়েন্টিস্টের চুল এলোমেলো না হওয়া সত্ত্বেও, সব কবি ঝোলাব্যাগ না নেওয়া সত্ত্বেও, সব সংস্কৃতিবান বাঙালি 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য' অথবা 'বাংলার মুখ' ছাপা শাড়িপাঞ্জাবী পরে নন্দনচত্বরে ঘোরাঘুরি না করা সত্ত্বেও।
তবু যে কেন ওই লুকগুলোই চিহ্নিত হয় কে জানে। হয়তো চোখে বেশি পড়ে বলে, কিংবা ও রকম লুকওয়ালা কেউ ফ্লুকে সফল হয়ে যায় বলে। তারপর একটা ‘স্নো বল’ এফেক্ট ঘটে। ‘বসের চাকরি চাইলে আগে বসের মতো সাজপোশাক শুরু কর’ এই কেরিয়ার উপদেশ নিশ্চয় শুনেছেন আগে, এখানেও সেই ব্যাপার। ধরুন একজনের ইচ্ছে খুব কবি হওয়ার। তিনি চেষ্টাও করছেন প্রচুর, নিয়মিত প্রেম করছেন, দাগা খাচ্ছেন, রাত জেগে কবিতা লিখছেন এবং সে সব কবিতা নিয়মিত শেয়ার করছেন। কিন্তু এ সব খাটনির ব্যাপার, এ সবের ফল ফলতে সময় লাগে। এ সবের সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষাকৃত সোজা কাজটা তিনি এগিয়ে রেখেছেন। একটা ঝোলা ব্যাগ কিনেছেন, চশমা পরেছেন আর খুব পরিশীলিত নরম গলায় কথা বলছেন।
পেশা বা নেশার সঙ্গে লুকের সম্পর্কটা শুধু যে হাওয়ায় ভাসা সে দাবি অবশ্য আমি করব না। সর্বক্ষণ গ্ল্যামারাস হয়ে থাকাটা শুনেছি সিনেমাতারকাদের ‘জব’-এর মধ্যে পড়ে। (এখানে রজনীকান্তের কথা না বলে পারছি না। আমার ভদ্রলোকের সিনেমা দেখলে চোঁয়াঢেঁকুর ওঠে, কিন্তু ওই লেভেলের তারকা হয়েও যে উনি টাকমাথায় অবলীলাক্রমে ঘুরে বেড়ান এ জন্য আমি ওঁকে স্যালুট না করে পারি না। কনফিডেন্স হো তো অ্যায়সা। অবশ্য কেউ বলতে পারেন যে ‘রজনীকান্ত’ বলেই উনি পারছেন, অন্য কেউ হলে সাহস হত না। এর প্রত্যুত্তরে আবার বলা যায়, স্বনামধন্য সুপারস্টার তো আরও অনেকে আছেন, তাঁরা তো সাহস করতে পারছেন না ইত্যাদি…) এরোপ্লেনেও তাঁরা আলুথালু হয়ে চড়তে পারেন না, পেজ থ্রি-তে ছিছিক্কার পড়ে যাবে, রেপুটেশন ধুলোয়, নতুন ফিল্মের অফার আসবে না, শেষে না খেয়ে মরতে হবে। সে পরিণতি এড়াতে ‘এয়ারপোর্ট ফ্যাশন’ বলে একটা ফ্যাশনের আলাদা স্পেশালাইজেশনই তৈরি হয়েছে।
আমার পেশা বা নেশা কোনওটাই খুব জোরালো নয় বলে বোধহয় আমার কোনও লুক নেই। অর্চিষ্মান অবশ্য বলে যে এটা জাস্ট সম্ভব নয়। পৃথিবীর প্রতিটি লোক কোনও না কোনও একটা লুক মেন্টেন করে। আমি যদি প্রতিবাদ করে বলি, ‘আমি করি না,’ বলে, ’আমি-লুক-মেন্টেন-করি-না এইটাই হচ্ছে তোমার লুক। আর মানতে চাও না চাও ওই লুকটা তুমি নিষ্ঠার সঙ্গে মেন্টেন কর।’
আমি কথা বাড়াই না। বিষয়টা সংসারের বাজেট নয় যে দুজনকে একমত হতেই হবে।
কিন্তু আগের সপ্তাহে এমন একটা ঘটনা ঘটল যে কথা বাড়াতেই হল।
*****
বয়স বাড়ার একটা অসুবিধের ব্যাপার হচ্ছে, কাজের জায়গায় তরুণদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। তারুণ্যের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই, আমি নিজেও এককালে তরুণ ছিলাম এবং সে তারুণ্যের স্মৃতি মনে পড়লে এখনও এসিতে বসে ঘাম ছুটে যায়। কী ভাগ্য আমার কাঁচাপনা অবশেষে ঘুচেছে এবং বয়স যত বাড়ছে টের পাচ্ছি লুচি আর তেলেভাজার সঙ্গে সঙ্গে তারুণ্যও আর হজম হচ্ছে না।
আমিও তাই অফিসের তরুণদের থেকে যতখানি সম্ভব দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি। যতক্ষণ না থাকলেই নয় তার বেশি একমুহূর্তও থাকি না। লাঞ্চে ‘ফান স্টাফ’ করার নেমন্তন্ন পেলে পেট চেপে ধরে মুখ কাঁদো কাঁদো করি, তারপর মহানন্দে ডেস্কে বসে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে রুটি বেগুনপোড়া খাই।
সেদিন মিটিং-এ কাজ ফুরিয়ে যখন আলোচনা গসিপের দিকে ঘুরতে লাগল, ‘আচ্ছা বন্ধুগণ আমি তবে আসি’ বলে ডেস্কে ফিরে এসেছিলাম। লাঞ্চটাইম শুরু হতে তখনও মিনিট দশেক দেরি। কাজের অভাব ছিল না আর ফাঁকিবাজের অজুহাতেরও না। আমার এই দশ মিনিটের কাজে কে-ই বা উদ্ধার হবে ভেবে ব্যাগ থেকে নীল রঙের জার্নালখানা টেনে নিয়ে হাঁটুর ওপর রেখে লিখতে শুরু করেছিলাম।
মহার্ঘ কিছু নয়। এই আজ কী হল, কী হল না, কী হলে ভালো হত, সকালবেলা কেমন হাঃ করলে মুখ দিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল, উবারের জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমি আর অর্চিষ্মান কেমন কার ধোঁয়া কতখানি দূরে যায় কম্পিটিশন করছিলাম, স্যাডলি আর ক’দিন পর থেকেই ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ হয়ে যাবে, এই সব।
গত বছরের শেষ থেকেই দৈনিক ডায়রি লেখা শুরু করেছি। বলা বাহুল্য, ডায়রি আগেও অনেকবার লিখতে শুরু করেছি এবং কিছুদিন যেতে না যেতেই বন্ধ করেছি। আলস্যে নয়, কেউ লুকিয়ে পড়ে ফেলবে সে সব ভয়েও নয়, আমার নিকৃষ্ট মনের নিকৃষ্টতম চলনগমনের রেকর্ড রাখতে চাই না বলে। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে লেখকদের জন্য ইয়ান ম্যাকিউয়ানের তিনটে পরামর্শ বা টিপস পড়লাম। লেখকদের জন্য গুচ্ছ গুচ্ছ টিপ ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়ায়, বেশিরভাগই এত বেশি একে অন্যের মতো যে এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। বেশি পড়, বেশি লেখো ইত্যাদি। আর কিছু টিপস জাস্ট অকার্যকরী। যেমন একখানা নোটবুক সর্বদা সঙ্গে নিয়ে ঘোরার টিপ, যাতে আইডিয়া মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেলা যায়। ওয়েল, এ জিনিস আমি চেষ্টা করে দেখেছি এবং পরিণতি হিসেবে নোটবুকে যে সব আইডিয়া টুকে রেখেছি, তিন মাস পরে সেগুলো চোখে পড়ে মাথা নাড়া ছাড়া আর কোনও প্রতিক্রিয়া জোগাড় করতে পারিনি। তার কিছুদিন পরেই দেখলাম স্টিফেন কিং বলেছেন, A writer’s notebook is the best idea in the world to immortalize bad ideas.
ম্যাকইউয়ানের টিপসগুলো একটু অন্যরকম ছিল। প্রথম দুটো প্রাসঙ্গিক নয় বলে বলছি না, তিন নম্বর টিপটা ছিল রোজ ডায়রি বা জার্নাল লেখার। ম্যাকইউয়ান বলছেন ফিকশন লেখা বেসিক্যালি বিবিধ পরিস্থিতিতে গল্পের চরিত্ররা কী ফিল করছে তার ব্যাখ্যান। সে কাজটা ভালো করে করতে গেলে লেখককে ‘ফিলিং’ লেখায় হাত পাকাতে হবে। সে জন্য নিজের ফিলিংটাই সবথেকে বেশি হাতের কাছে। আর নিজের দিবারাত্রের ফিলিং লেখা প্র্যাকটিস করার জন্য ডায়রি লেখা অত্যাবশ্যক।
হাঁটুর ওপর খাতা রেখে লিখছি, বেশ মনও বসেছে, হাতেকলমে লেখার এই সুবিধেটা আগেও খেয়াল করেছি, এমন সময় ঘাড়ের কাছে একটা ছায়া পড়ল এবং একটি আতংকিত স্বর বলে উঠল, বেংগলি মে ইতনা ছোটা ছোটা কেয়া লিখ রহে হো আপ? হোয়াট আর ইউ রাইটিং!
তরুণ তুর্কিদের একজন। প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় ডায়রি বন্ধ করে ফেললাম, তাতে সে আরও চেঁচামেচি বাধালো। সিক্রেট কুছ লিখ রহে থে কেয়া? মিটিং শেষ, লাঞ্চটাইম শুরু হয়ে গেছে। আরও কয়েকজন এসে জড়ো হল। আমি এত লুকিয়েচুরিয়ে কী লিখছিলাম, তাও আবার বাংলায়, তাও আবার এত ক্ষুদি ক্ষুদি অক্ষরে, সে বিষয়ে কৌতুকপূর্ণ কৌতূহল প্রকাশ করতে লাগল। আমিও কপট হেসে ঠাট্টায় যোগ দিলাম। পাকাচুলের জন্যই হবে হয়তো, আমার গোপন লেখা বলতে প্রেমপত্রটত্রের সম্ভাবনা কারও মাথাতেই এল না, ম্যানিফেস্টো, সাবভারসিভ, এজেন্ডা ইত্যাদি শব্দের ওপরেই জোর পড়ল বেশি। একজন তো বলেই বসল, তার নাকি অফিসে জয়েন করা ইস্তক সন্দেহ আমি একজন বিপ্লবী কমিউনিস্ট। সবাই হাসল, আমিও হাসলাম।
ক্রমে ভিড় পাতলা হল। আমার প্রতিবেশী সহকর্মী, আমার সারা জীবনে দেখা প্রথম পাঁচজন সিরিয়াস মানুষের মধ্যে একজন। ছেলেপুলের রসিকতার প্রবণতা নিয়ে আমি একটা আধা-কস্টিক মন্তব্য করতেই সে বলল, রসিকতা নাও হতে পারে, “…ইউ সার্টেনলি গট দ্য লুক।”
*****
মা সাবধান করেই দিয়েছিলেন। এই একটা সম্পর্ক, যেখানে কিচ্ছু লুকোনো যায় না। আমি বলেছিলাম, সম্পর্কের ওপর ডিপেন্ড করে নিশ্চয়। তোমার যদি কাউকে পছন্দই না হয়, তুমি কি তাকে সব হাঁড়ির কথা খুলে বলতে যাবে? মা ভেবে বলেছিলেন, যাবে। অপছন্দের লোক হলে তাকেও যেটা বলার দরকার নেই সেটা বলবে তারপর সেই নিয়ে ঝগড়া করবে।
সন্ধ্যেবেলা অর্চিষ্মান বেল বাজাতেই আমি দরজা খুলে বলে ফেললাম, “আমাকে একজন আজ বলেছে আমার নাকি বিপ্লবী কমিউনিস্টের মতো লুক।”
অর্চিষ্মান টানা তিন মিনিট খাটে শুয়ে পড়ে পেট চেপে ধরে হাসল, তারপর কোনওমতে শান্ত হয়ে চোখ মুছে বলল, ‘সারাদিন টাকার কথা ভাবে, সে আবার কমিউনিস্ট। ’
প্রথমত, আমি মোটেই সারাদিন টাকার কথা ভাবি না। দ্বিতীয়ত, যতটুকু ভাবি তাও কমিউনিস্ট হিসেবে ডিসকোয়ালিফায়েড হওয়ার জন্য যথেষ্ট তা মানি।
স্বীকার করতে বাধা নেই, কোনওরকম লুক না থাকা নিয়ে আমার মনে মনে যে ফাঁপা দেমাকটা ছিল সেটা চূর্ণ হয়ে যাওয়ায় আমি আজকাল একটু মনমরা আছি। আপনারা কেমন আছেন?
Lekhata pare khub haschi.Kono nirdisto look na thaktai amar mate sabtheke valo,ja ichhe serakam saja jai,look maintain karbar hyapa thakw na.Saraswati pujo kemon katalen?-Sunanda.
ReplyDeleteকীভাবে আর কাটাব, সুনন্দা, এই অফিস গেলাম, এলাম। ফেরার সময় রাস্তায় কয়েকটা শাড়ি পরা স্কুলের মেয়েকে দেখে মন ভালো হল, এই...
DeleteHahaha, amar idaning jhoro kaaker moto look😊 jishnur look nie bolte charli keno?
ReplyDeleteবলব ভেবেছিলাম, তারপর ভদ্রতার খাতিরে মুখ বন্ধ রাখলাম আরকি, তিন্নি।
Delete"...বয়স যত বাড়ছে টের পাচ্ছি লুচি আর তেলেভাজার সঙ্গে সঙ্গে তারুণ্যও আর হজম হচ্ছে না।
ReplyDeleteআমিও তাই অফিসের তরুণদের থেকে যতখানি সম্ভব দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি। যতক্ষণ না থাকলেই নয় তার বেশি একমুহূর্তও থাকি না।"
হাই ফাইভ।আমার আঠাশেই এরকম হয়। কি যে হবে!
হাই ফাইভ, ঋতম। ভালোই হবে, যা হবে।
Delete"লাঞ্চে ‘ফান স্টাফ’ করার নেমন্তন্ন পেলে পেট চেপে ধরে মুখ কাঁদো কাঁদো করি, তারপর মহানন্দে ডেস্কে বসে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে রুটি বেগুনপোড়া খাই। "- তিন মিনিট ধরে আমিও হাসলাম | নির্মল আনন্দ পেলাম পড়ে |
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অমিতা।
Deletebar khwachchi na.tomar looks er modhye besh ekta ye bepar ache..ekta ache kintu.
ReplyDeleteseriously jodi observe kora jay.
you are very confident,you give a **** about what people think.so a dictator lies in you.dictator manei je kharap ta kintu noy.you like it your way,thats pretty cool.tumi ogochalo noy moteo.you keep things your way,thats also very cool.you prioritize your comfort(must be done) over your looks.you love your privacy(introvert),and respect others privacy.introvert maneo kintu kharap noy.you simply dont bother to be extrovert.thats your choice,very cool.that is you choose to be introvert.
ami kintu tomay kichu kharap bolini.raag kore boso na abar.
prosenjit
আরে রাগ করব কেন, প্রসেনজিৎ! তুমি তো মারাত্মক ভালো ভালো কথাই বলেছ আমার সম্পর্কে। তুমি যা যা বললে আমি যদি সত্যি সত্যি সে রকম হয়ে থাকি তাহলে আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না।
DeleteAmar songe to kokhono apnar dekha hoi ni, fole apnar "look" sombondhe kichu bolte parchi na. Tobe apnar chobi dekhe kokhono-i "communist look" mone hoini. Eta holo sorbo-bharotiyo bias : bangali matre-i communist.
ReplyDeleteএইটা সম্পর্কে এক্কেবারে একমত, ঘনাদা। বাঙালি মানেই কমিউনিস্ট এ ধারণাটা যেতে আরও চৌত্রিশ বছর লাগবে মনে হয়।
Delete"পাকাচুলের জন্যই হবে হয়তো, আমার গোপন লেখা বলতে প্রেমপত্রটত্রের সম্ভাবনা কারও মাথাতেই এল না, ম্যানিফেস্টো, সাবভারসিভ, এজেন্ডা ইত্যাদি শব্দের ওপরেই জোর পড়ল বেশি। "
ReplyDeleteখাআআআআইসে|
তবেই বুঝুন।
DeleteHa ha ha ha....lekhata pore khub moja pelam. Lunchtime er petbyatha r jonyo hi-5. Oi me time ta boroi ekanto....
ReplyDeleteAar 'biplobi communist' ki oi typical look chhara onno keu hoina??? Moner bhetor to aamra sabai biplobi...kintu jibonsangram er tagide sabar prokash ek hoina....
লাঞ্চটাইম নিয়ে আমিও মারাত্মক প্রোটেক্টিভ, সুস্মিতা। হাই ফাইভ। অবশ্য বিপ্লবের ব্যাপারটায় মিলল না, আমার ভেতরে ওই জিনিসটার ব-ও নেই, কস্মিনকালেও ছিল না। যেটা সত্যি বলতে কি খুবই স্যাড।
Deleteআমি কিন্তু আপনার সহকর্মীর সাথে একমত, আপনার মধ্যে একটা বিপ্লবী লুক রয়েছে। আর যত দূর আমার ধারণা, সেই লুকের আড়ালে একটা বিপ্লবীও ঘাপটি মেরে আছে। দশটা-পাঁচটার ফেরে পড়ে বিপ্লবটা মাথা তুলতে পারছে না, সে আপনি যতই অস্বীকার করার চেষ্টা করুন না কেন। ক্ষুদিরামের দেশের লোক আপনি... ইউ ক্যান টেক অ্যা বেঙ্গলি আউট অফ বেঙ্গল, বাট ইউ ক্যান নেভার টেক বেঙ্গল আউট অফ দ্য বেঙ্গলি।
ReplyDeleteআমার স্ত্রী কিন্তু অফিসে তরুণ তুর্কী দলের সাথে খুব মেলামেশা করেন, তাঁর ধারণা এতে নাকি মনের বয়স ধরে রাখা যায়।
ওহ, তাহলে তো আমার ইমিডিয়েট তরুণদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করা উচিত!
Deleteআমি আপনাকে দেখি এই ব্লগের মাধ্যমে। মুশকিল হল, তাতে আপনি নিজেকে নিয়ে এতই হাসিঠাট্টা করেন যে সেই লুক দিয়ে কোনো 'লুকে' আপনাকে চিনতে পারবে না।
ReplyDeleteফেসবুকের বাইরে আমি এতই নৈর্ব্যক্তিক জীবন যাপন করি যে লোকে আমাকে দেখে কী ভাবে বা বলে, সেটা নিয়ে ভাবার ইচ্ছেই হয় না। বউ, মেয়ে, বোন আমাকে দেখলেই দুনিয়ার জিনিস নিয়ে আবদার জানাতে চায়, যা থেকে মনে হয়, আমার বোধহয় একটা স্নেহময় লুক আছে। এই কথাটা আমার হাতে কচুকাটা লেখকদের বললে তাঁদের অট্টহাসি অবশ্য কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাবে।
আরে স্নেহশীল হওয়ার সঙ্গে ক্রিটিক হওয়ার কোনও বিরোধ আছে বলে মনে হয় না, ঋজু। ধরা যেতে পারে আপনি সাহিত্যের প্রতি স্নেহশীল তাই সাহিত্যিকদের ত্যাঁদড়ামো দেখলে বকেন।
DeleteBhalo laglo... Ei hindibhasi kichu loker bangla niye kiser osubidha bhuji na . Amar notun lab e sobai bangali ar ase paser lab sobai obangali.amra nijeder modhye bangla te katha bolle o tara majhe majhe gaye pore apotti janai. Osojjo ar Hasyokar
ReplyDelete:P
এটা খুবই বাজে, প্রিয়াঙ্কা। তবে আমার ঘটনাটা নিতান্তই আমার সহকর্মীদের রসিকতার প্রমাণ, ছেলেটির আমার বাংলা নিয়ে অসুবিধে ছিল বলে মনে হয়নি আমার।
DeleteHehe amar to tomar look dekhe besh snehomoyi didi/bondhu type lage.
ReplyDeleteগুড, চুপকথা।
Deleteআমার মধ্যে একটা চায়ের দোকানের বয় , বা মোটর গাড়ির হেল্পার লুক আছে বহুবার দেখেছি অপরিচিত লোকে তুই এর বেশী ওঠেই না :P
ReplyDeleteভালো তো প্রদীপ্ত, তার মানে তোমার ইউথফুল লুক।
Delete