Knives Out






এই পোস্টটা অনেক আগেই ছাপা যেত, যদি না অর্চিষ্মান গুগল চ্যাটে অল ক্যাপসে ‘মিতিনমাসি ইজ হিয়াআআআআআর…’ লিখে বুকমাইশোর পোস্টারের লিংক পাঠাত।

ভাবলাম তাহলে দুটো সিনেমার গল্প একটাই পোস্টে লিখে দেওয়া যাবে। বিশেষ করে দুটোই যখন মিস্ট্রি/থ্রিলার। তারপর দেখি এন সি আর-এর কোথাও মিতিনমাসির টিকি দেখা যাচ্ছে না, তিনি বসে আছেন হায়দরাবাদে। মাঝখান থেকে নাইভস আউট-এর পোস্ট লেট হয়ে গেল। আর একবার যদি লেট হতে শুরু করে, ব্যস। লোক্যাল ট্রেনের নিয়ম অনুযায়ী যারা টাইমে এসেছে তাদের আগে যেতে দিয়ে লেটলতিফকে আরও লেট করানো হয়। একটা আস্ত কনফারেন্স এসে পড়ল, চট করে রাজস্থান ঘুরে এলাম। দুপুররোদে পিঠ পেতে টমাটর ধনিয়া শোরবা, রাতে লোক-নৃত্যগীতের ব্যাকগ্রাউন্ডে নেটওয়ার্কিং সহকারে খাও শুয়ে  খাওয়া হল। তারপর হালকা রঙিন হয়ে যেই না দুয়েকজন গুনগুনিয়ে গজল ধরার উপক্রম করছে, ভাবলাম এইবেলা ঘুমটা পুষিয়ে নেওয়া যাক। “টু ওল্ড ফর দ্য কোল্ড” বলে কচি সহকর্মীদের ফেক প্রতিবাদের মধ্যে গুটি গুটি ঘরে ফিরে এলাম। 

ঘুম এল না। সত্যি বলতে কি অত ঘুম পায়ওনি। কিন্ডল ছিল সঙ্গে, কিন্তু সে তো সঙ্গেই থাকবে। বদলে রুমে হোটেলের তরফ থেকে যে নানা রকম রংচঙে ব্রশিওর, নির্দেশিকা রাখা আছে সেগুলো পড়ে ফেললাম। আগুন লাগলে কোন দিক দিয়ে বেরোতে হবে। ব্রেকফাস্ট কখন, কোন মহলে। ডিনার কখন, কোন বাগে। ভেনুর ইতিহাস। আরও কোথায় কোথায় এঁদের প্রপার্টি আছে, সে সব প্রপার্টি বিজ্ঞাপনের শুটিং, কর্পোরেট আউটিং, বিয়ে আরও কী কী বিবিধ আনন্দানুষ্ঠানে কত টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়। 

আপনি যদি প্রাসাদে বিয়ে করতে সক্ষম নাও হন, দুঃখের কিছু নেই। আপনার মতো অক্ষমদের জন্য প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুটের ব্যবস্থা আছে।  গোটা দিন আপনি প্রাসাদ ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে পারবেন। যুগলের জন্য দ্বিপ্রাহরিক খানা এবং পাউডার মাখার জন্য ঘর ফ্রি। মূল্য মাত্র ঊনষাট হাজার আই এন আর।

পরদিন টি ব্রেকে স্মলটকের বিষয় হিসেবে প্রসঙ্গটা তুললাম। শ্রোতারা হাসল, কিন্তু যতখানি আশা করেছিলাম ততখানিও হাসল না। হাসির ধরণটাও সামান্য কাষ্ঠ। কয়েক সেকেন্ড চায়ে চুমুক দেওয়া নীরবতা পেরিয়ে একজন জিজ্ঞাসা করল, ফিফটি নাইন থাউজ্যান্ড ফর আ হোল ডে? 

বললাম, অন্যরকম তো কিছু লেখা নেই। 

ফোর্ট মে কহিঁ ভি ফোটো লে সকতে হো? 

বললাম, দেখেশুনে তো অন্যরকম কিছু সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই।

একসঙ্গে উপস্থিত প্রায় সকলেই বলে উঠল, দেন ইট ইজ কোয়াইট রিজনেবল ইয়ার।

টু ওল্ড টু বি রিজনেবল, আই গেস। 

*****

হলে গিয়ে সিনেমা দেখা নিয়ে আমাদের একটা টানাপোড়েন চলে। এক্ষুনি আরেক কাপ চা খাওয়া হবে কি না সে প্রশ্নের উত্তরে যত তাড়াতাড়ি, হলে গিয়ে এই সিনেমাটা দেখা হবে কি না সে প্রশ্নের উত্তরে তত দ্রুততায় আমরা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারি না। 

কখনও কখনও সন্দেহ হয় অর্চিষ্মানকে পপকর্ন আর কোল্ড ড্রিংক্স ধরিয়ে, হলে বসিয়ে নেক্সট তিন ঘণ্টা স্ক্রিনে সিগারেট সেবনের সতর্কতাবাণী চালিয়ে গেলেও ও দেখতে রাজি হয়ে যাবে; হল ব্যাপারটা ও এত পছন্দ করে। আমার আবার অতটাও না। প্রথমতঃ একসঙ্গে অত লোকের মাঝখানে দু’ঘণ্টা কাটানো আমার মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাছাড়া বেশিরভাগ সিনেমাই আমি কিছুক্ষণ দেখার পর বোর হয়ে যাই। অত জোর শব্দ, অত বড় ছবি, ইন্দ্রিয়ের ওপর অ্যাসল্ট বোধ হয়। কেবলই আফসোস হয়, এর থেকে নিজের খাটে শুয়ে টিভিতে হইচই কাস্ট করে দেখলে কত না বেশি আনন্দ হত। 

কাজেই অর্চিষ্মান কখনও ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল, “আর কী, একাই যেতে হবে তাহলে,” কখনও স্রেফ হুমকি, “আমরা কিন্তু যাবই এটা দেখতে,” ইত্যাদি উপায়ে আমাকে সিনেমা দেখতে রাজি করানোর চেষ্টায় থাকে। 

নাইভস আউট দেখতে যেতে ওকে এত কাঠখড় পোড়াতে হয়নি, কারণ সিনেমাটার নাম বলারও আগে অর্চিষ্মান দুটো তথ্য, হুবহু নিচের অর্ডারেই, আমাকে জানিয়েছিল। 

সিনেমাটা ক্রিস্টি ঘরানার হুডানইট আর সিনেমাটাতে বাঘা বাঘা সব স্টারেরা অভিনয় করেছেন।

দুটোর মধ্যে কোন তথ্যখানা আমাকে নাইভস আউট দেখতে যেতে উদবুদ্ধ করেছে সেটা সিক্রেটই থাক। বরং এই প্রসঙ্গে আরেকটা বিষয়ে আলোচনা সেরে নিই। গোয়েন্দাগল্পে বড় বড় স্টার দিয়ে অভিনয় করানো আমার কেন যেন মশা মারতে কামান দাগা বলে মনে হয়। উপমাটা শুনে গোয়েন্দাগল্পকে আমি মশার সঙ্গে তুলনা করছি মনে হতে পারে। করছি না। আমার না-দেখা দিদিমা নাকি বলতেন, এই পৃথিবীর সব জীবাত্মার মধ্যে নারায়ণ আছেন। মশাও জীবাত্মা, কাজেই মশাকে হেলাছেদ্দা করার কোনও কারণই নেই। 

বরং উল্টোটাই। আমার মতে, যারা গোয়েন্দা সিনেমা ভালোবেসে দেখবে তারা গল্পটার জন্যই দেখবে। সম্প্রতি মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসে জনি ডেপ, অতীতে চিড়িয়াখানায় উত্তমকুমার ছিলেন ভালোই হয়েছে, না থাকলেও অসুবিধে হত না বলেই আমার বিশ্বাস। অপেক্ষাকৃত অচেনা অভিনেতা থাকলেও আমি অন্ততঃ একই রকম মনোযোগ দিয়ে দেখতাম।

অনেকক্ষেত্রে নক্ষত্রখচিত কাস্ট বরং অসুবিধে সৃষ্টি করে। পোয়্যারোর চরিত্রে উস্তিনভকে মনে করে দেখুন। শুনেছি ওঁকে যখন বলা হয়েছিল যে আপনি যেমন অভিনয় করছেন পোয়্যারো কিন্তু সে রকম নন, উনি জবাব দিয়েছিলেন, এতদিন এরকম ছিলেন না, এখন থেকে এ রকমই হলেন। কনফিডেন্স। উস্তিনভকে ভাড়া করার এক্সটারনালিটি। ফলাফলও চোখের সামনে।

নাইভস আউট-এ যে ড্যানিয়েল ক্রেগ, জেমি লি কার্টিস, ক্রিস এভান্স, ক্রিস্টোফার প্লামার অভিনয় করেছেন, সেটা আমার কাছে অত কিছু লোভনীয় মনে হয়নি সেটা বোঝানোর জন্য এত কথার অবতারণা করলাম। 

আমি যে কাণ্ডটা করলাম, সিনেমার পোস্টে সিনেমার প্রসঙ্গে আসার আগে অবান্তর সাড়ে সাতশো শব্দ খরচ করলাম, নাইভস আউট-এর কর্তৃপক্ষ সে বিরক্তি ঘটাননি। কোনও রকম ধানাইপানাই  না করে না ফার্স্ট সিনেই ডেডবডি দেখিয়ে দিয়েছেন। অনেকটা জমির মধ্যে পুরোনো ধাঁচের প্রাসাদ, দেখলে মনে হয় ইংলিশ কান্ট্রিসাইড, আসলে অ্যামেরিকান; বাড়ির ভেতর একজন প্রাতঃকালীন চা/কফির সরঞ্জাম নিয়ে “মিস্টার থ্রমবি, মিস্টার থ্রমবি,” (গৃহকর্তা, হারলান থ্রমবি, বিখ্যাত এবং বড়লোক রহস্যকাহিনি লেখক) হাঁকতে হাঁকতে গৃহকর্তার ঘরে ঢুকে তাঁকে সেখানে না পেয়ে আবাও একটা সরু সিঁড়ি বেয়ে চিলেকোঠার ঘরের দিকে যাচ্ছেন।

চিলেকোঠার দরজা খুলেই মুখ হাঁ, চোখ কপালে।

ঘরের ভেতর রক্তমাখা খুরের পাশে গৃহকর্তার প্রাণহীন দেহ, গলা একেবারে এ কান থেকে ও কান পর্যন্ত কাটা। ক্ষত থেকে রক্ত বেরিয়ে ঘরের মেঝে পর্যন্ত চুপচুপে ভিজিয়ে দিয়েছে।

একেবারে গ্যাল গ্যাল করে রক্ত যাকে বলে।

দর্শককে সিটে পুঁতে ফেলে এবার গল্প ফ্ল্যাশব্যাকে গেল। বেশি দূরে না, গতকাল রাতেই। হারলান থ্রমবির ( জন্মদিনের পার্টিতে থ্রমবি এম্পায়ারের পরের প্রজন্ম, হারলান থ্রমবির বড় মেয়ে (জেমি লি কার্টিস)  স্বামী পুত্র (ক্রিস এভান্স) সহযোগে, মৃত পুত্রের স্ত্রী (টোনি কোলেট) কন্যা সহযোগে এসেছে। আর এসেছে (কিংবা ওই বাড়িতেই থাকে, মনে নেই) হারলান থ্রমবির আরেক পুত্র আর তার টিন এজ ছেলে।

সকলেই হারলান থ্রমবির দাক্ষিণ্যে বড়লোকি ফলায়। সকলকেই হারলান জন্মদিনের দিন কোনও না কোনও ভাবে ধমকায়। জানিয়ে দেয় এতদিন যা চলেছে তা আর চলবে না।  

পরদিন সকালে হারলান থ্রমবির গলা কাটা মৃতদেহ আবিষ্কার হয়।

পুলিশ আর পুলিশের বোকা সহকারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের সঙ্গে আসেন টেক্সাসী টানে ইংরিজি বলা বিখ্যাত প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর বেনোয়া ব্লাংক (ড্যানিয়েল ক্রেগ)।

জেরা শুরু হয়। গোয়েন্দা বিশেষ করে জেরা করেন হারলান থ্রমবির নার্স এবং কেয়ারগিভার মার্টা ক্যাব্রেরা (অ্যানা দে আরমাস) কে, যে অ্যামেরিকায় অভিবাসী এবং হারলানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।  

এইবার গল্প নতুন মোড় নেয়। আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হয় ঘটনাটা আসলে কী ঘটেছে। এবার গল্পটা হয়ে যায়, যা আপনি অলরেডি জানেন, জেনে ফেলেছেন, সেটা ড্যানিয়েল ক্রেগ জানতে পারেন কি না, সেই রহস্যমোচনের। 

ব্ল্যাকমেলারের চিঠি আসে। আমি জানি তুমি কী করেছ। এই দেখ খামের ভেতর প্রমাণ। অফ কোর্স, এটা প্রমাণের কপি। অরিজিনাল চাইলে  টাকা নিয়ে অমুক জায়গায় তমুক দিনে চলে এস। নাহলে... 

আপনি যদি জীবনে দেড়খানা গোয়েন্দাগল্পও পড়ে থাকেন, আন্দাজ করতে পারেন এর পর কী হতে চলেছে। ব্ল্যাকমেলারের বডি আবিষ্কার। 

বুঝতেই পারছেন সিনেমাটা স্বর্ণযুগের ক্রিস্টিসুলভ ট্রোপ আর ক্লিশেতে ছয়লাপ। এমনকি যে ট্রোপ আজকাল গোয়েন্দাগল্প থেকে সম্পূর্ণ বিদায় নিয়েছে, তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট সকলকে জড়ো করে বেনোয়া ব্লাংকের গোটা ব্যাপারটা বুঝিয়ে দেওয়া এবং দুষ্কৃতীকে ধরে দেওয়ার ট্রোপখানা পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়নি।

গোয়েন্দাগল্পের সবক'টা ট্রোপ এত সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করা সত্ত্বেও, নাইভস আউট, আমার মতে, আসলে গোয়েন্দাগল্প নয়।

কেউ বলতে পারেন, বল, গোয়েন্দা গল্প হয়ে উঠতে পারেনি। যাঁরা বলবেন তাঁরা কেন বলবেন সেটা আমি জানি, স্বর্ণযুগের গোয়েন্দাগল্পের স্মৃতিজাগানিয়া ট্রোপ ব্যবহার করলেও, সে যুগের কষ্টিপাথরে ঘষলে নাইভস আউট বেশি দূর যাবে না। গল্পের শুরুতে ধ্রুপদী কায়দায় মোটিভ প্রতিষ্ঠা করলেও নাইভস আউট কখনওই সেই মোটিভগুলোকে সন্দেহে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করে না। নো রেড হেরিং। 

কিন্তু আমার মনে হয়েছে নাইভস আউট যথার্থ গোয়েন্দা গল্প হয়ে উঠতে পেরে ওঠেনির বদলে, উঠতে চায়নি বলাটাই যুক্তিযুক্ত হবে।

গোটা সিনেমাটার মধ্যে একটা স্পুফ হয়ে ওঠার ভঙ্গি আছে। ট্রোপ এবং ক্লিশের ব্যবহার সম্পর্কে নাইভস আউট সচেতন এবং এ বাবদে সে নিজেকে ঠাট্টার আলোতেই প্রতিভাত করে। নাইভস আউট আরও যেটা ভালো করে করে সেটা হচ্ছে গোয়েন্দা গল্পের সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল কমেন্টারি চালিয়ে যাওয়া। 

আঁতকে উঠবেন না। গোয়েন্দাগল্পের মাধ্যমে জনতার জ্ঞানবৃদ্ধি করার কোনও চেষ্টাই নাইভস আউট করে না। কী হলে ভালো হত-য় না গিয়ে কী হয়ে থাকে-তেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে। হিসপ্যানিক নার্সকে “তুমি আমাদের পরিবারের লোকের মতো,” বলার সঙ্গে সঙ্গে তার মুখের দিকে পর্যন্ত না তাকিয়ে এঁটো থালাটা তার দিকে এগিয়ে দেওয়া, তার দেশের নাম বলতে গিয়ে একবার ব্রাজিল একবার আর্জেন্টিনা একবার প্যারাগুয়ে অম্লানবদনে আউড়ে যাওয়া, কারণ আমাদের দেশের লোক নয় সেটাই আসল কথা, তাই না? নিজের পেটে লাথি পড়লে ঘোর লিবারেলদের দাঁতনখ কেমন নিমেষে উন্মুক্ত হয়— এ সব আন্ডারলাইন না টেনে নাইভস আউট সামনে এনেছে।

গোয়েন্দাসিনেমায় তারকা নেওয়ার অসারতা নিয়ে পোস্টের শুরুতে অত কথা বললাম, এ ছবির তারকাদের সকলকেই আমাদের ভালো লেগেছে। ড্যানিয়েল ক্রেগকে দারুণ মানিয়েছে, মার্ভেল সিরিজ জুড়ে কাঁদো কাঁদো সেন্ট অ্যামেরিকার চরিত্রচিত্রণের পর স্বাভাবিক মানুষের রোল পেয়ে ক্রিস এভান্স নিজে বেঁচেছেন, আমাদেরও বাঁচিয়েছেন। তাছাড়া সিনেমার যিনি আসল হিরো, মার্টা ক্যাব্রেরার ভূমিকায় অ্যানা দে আরমাসকেও আমার খুব ভালো লেগেছে।

মোটের ওপর, নাইভস আউট দেখতে বসে দু’ঘণ্টা কোথা থেকে যে কেটে গেছে টের পাইনি। সিটের পেছনে বারতিনেক লাথি আর হলের এ কোণা ও কোণা থেকে “পাপাজি, ম্যায় সিনেমা মে হুঁ, নিকলকে ফোন করেঙ্গে, হ্যালো... হাঁ হাঁ, সি-নে-মা মে, সব ঠিক হ্যায় না... মাম্মিজিকো হাই বোল না… হাঁ হাঁ…হা-ই বো-ল না-আ... ” ও আমার রক্তচাপ বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। 

আপনারা চাইলে সিনেমাটা দেখে আসতে পারেন। আর যদি অলরেডি দেখে ফেলে থাকেন, কেমন লেগেছে জানার অপেক্ষায় রইলাম।


Comments

  1. Ami bhablam eta jonmodine cinema dekhar post likhbe.. onek belated subhechha.. 59000 taka extra thakle amar to 1st choice berate jawa.. amio to tomar e generation ha ha..

    ReplyDelete
    Replies
    1. বেড়াতে যাওয়ায় হায়েস্ট ফাইভ, ঊর্মি। আর জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. 59000 takay to dibyi ekta bhalo trip hoye jay. Khamoka photo tule noshto korbo keno!!!! Amio bodhhoy onyo generation

    ReplyDelete
  3. আমাদেরও 'নাইভস্‌ আউট' হেব্বি লেগেছে। মিতিনমাসি পড়তেই ভালো লাগেনি কখনও, তার ওপর কোয়েলের ওই অবতার দেখে আর রিস্ক নিইনি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. মিতিনমাসির ট্রেলারে চোখে আঙুল ঢোকানো জ্বলন্ত নারীবাদী ডায়লগ শুনে আমিও একটু ব্যোমকে গেছি, ঋজু, তবে চান্স পেলে দেখব। নাইভস আউট সত্যি ভালো।

      Delete
  4. Amar "Knives Out" khub bhalo legechhe. Apnake bolbo-o bhebechhilam dekhar jonyo. Onekdin por ekta tantan cinema dekhechhi. Social Message byaparta khub bhalo ullekh korechhen...

    ReplyDelete
    Replies
    1. টানটান একেবারে উপযুক্ত বিশেষণ, সত্যি। আমাদের খুব ভালো লেগেছে, সায়ন।

      Delete
  5. Happy birthday K. Many happy returns. Khub bhalo theko.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেম টু ইউ, শম্পা!। তোমারও খুব ভালো কাটুক সামনের বছর, গোটা জীবন। আর শুভেচ্ছার জন্য অগুনতি, অসংখ্য ধন্যবাদ।

      Delete
  6. Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, রণদীপ। এই রকম ঠাণ্ডা বেশ অনেক বছর পড়েনি। আমার অবশ্য মজাই লাগছে।

      Delete
  7. জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নাইভ্স আউট দেখার ইচ্ছে আছে। মিতিনমাসিও। আপাতত প্রফেসর শঙ্কু দেখে এলাম হলে গিয়ে।
    আর হ্যাঁ, আমারও ওই ফিফটি নাইন থাউজ্যান্ড রিজনেবল লাগলনা। আমিও টু ওল্ড হয়ে গিয়েছি বোধ হয়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমরাও শঙ্কু দেখলাম, সুগত। ভালোই বেশ।

      Delete

Post a Comment