পার্সোনালাইজড



জানুয়ারির গোড়ার দিকে সুইগি থেকে মেল এলো। অমুক লিমিটের বেশি টাকার অর্ডার দু'বার করলে একটি হেলথ প্ল্যান অ্যাপে ৩০ দিনের পার্সোনালাইজড ডায়েট প্ল্যান ফ্রি।

এই হেলথ অ্যাপের মূল খেলাটা হচ্ছে সারা দিনে যা খাচ্ছেন সব টাইপ করলে আপনি দরকারের কত বেশি খাচ্ছেন, যা খাচ্ছেন তাতে আপনার পুষ্টিগুণ কত কম পড়ছে ইত্যাদি সব বলে দেওয়া। খাবারের লিস্ট চমকে দেওয়ার মতো। পোহাও যেমন আছে, চিঁড়ের পোলাও, চিঁড়ের পুলাও ও আছে; বাথুয়া সাগের পাশাপাশি বেতো শাকভাজা - সব খাবারের সব রকম সংস্করণ এন্ট্রি করা আছে, খালি আপনার টাইপ করার অপেক্ষা। তাছাড়া নানারকম অনুপ্রেরণামূলক কেস স্টাডিও মাঝে মাঝেই পপ আপ করতে থাকে, ভারতবর্ষের কোন প্রান্তে কে মোটা থেকে রোগা হয়ে রোগশোকতাপ জয় করে ফেলেছেন। সায়কের কাছে অ্যাপটার কথা জেনে আমি অর্চিষ্মান দুজনেই ডাউনলোড করেছিলাম। অর্চিষ্মান সপ্তাহখানেক পরেই ক্ষান্ত দিয়েছে, আমি চালিয়ে গেছি। খুব নিষ্ঠাভরে নয়; সকালবেলা চা আর বিস্কুট ইনপুট দেওয়ার যতটুকু উৎসাহ থাকে, সন্ধেবেলায় ঝালমুড়ি আর আলুকাবলিতে পৌঁছতে পৌঁছতে অন্তর্হিত হয়। একদিক থেকে ভালোই, নিজে হাতে আর নিজের পাপের খতিয়ান লিখতে হয় না।

বলা বাহুল্য, এটা অ্যাপের ফ্রি সংস্করণ। কেস স্টাডির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত প্রলোভন আসে, ডিল চলছে, এইবেলা খপ করে নিয়ে নিলে পাশ-করা ডায়েটিশিয়ানের করা "পার্সোনালাইজড" ডায়েট প্ল্যান, রেসিপি, পথপ্রদর্শন ফ্রি।

বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাকে প্রলোভিত করা বেশ কঠিন কাজ। তার থেকে বরং চক্ষুলজ্জার প্রয়োগ বেশি কার্যকরী। যেমন ধরা যাক এই বইমেলার বাজারে, বিশেষ করে নিজের বই ছাপা হতে শুরু করার পর, আমি বিজ্ঞাপন দেখে যত না বই কিনেছি তার থেকে ঢের বেশি কিনেছি চক্ষুলজ্জায়। কিন্তু সুইগির সঙ্গে আমার সম্পর্ক চক্ষুলজ্জার নয়। তাছাড়া এইরকম মেল অহরহ আসে। যতবার ফোনে অনলাইন সলিটেয়ারের পাতা খুলি ততবার স্কিপ করার আগে বিগ বাজারের পাঁচ সেকেন্ডের অ্যাড দেখতে হয়। পঁচিশ কিলো চাল এক্সট্রা কিনলে পাঁচশো গ্রাম ডাল ফ্রি। অটো থেকে নেমে আবিষ্কার করি বাড়ির গ্রিলের গেটে নোটিশ গোঁজা, বৃহস্পতিবার অফিস কামাই করে বেলা এগারোটার সময় বিউটি পার্লারে লাইন দিলে চুলে শ্যাম্পু, মুখে মালিশ এবং নখে পালিশ, এমনি দিনে যা উনিশশো নিরানব্বই তা নশো নিরানব্বই টাকায়। পরদিন আরেকটা সি এল খরচ করে যদি লাঞ্চ বুফে খেতে যাই পাড়ার চাইনিজ দোকানে, ছ'শো নিরানব্বই টাকার জায়গায় খরচ পড়বে মাত্র চারশো নিরানব্বই, সঙ্গে আবার পোলো লজেন্স ফ্রি।

বলা বাহুল্য, কোনও ডিলই আমার নেওয়া হয় না। প্রথমত, সি এল মহার্ঘ ব্যাপার, দ্বিতীয়ত, ডিলে যা অফার করা হয় কোনওটারই আমার প্রয়োজন থাকে না। তার দাম হাজার টাকা হলেও না, দশ টাকা হলেও না।

তবু আমি ফাঁদে পা দিলাম।

কেন দিলাম? গত পোস্টে অফিস লেট হওয়ার দায়ের কিয়দংশ যার ঘাড়ে চাপিয়েছিলাম, এই পোস্টেও তাকে সর্বাংশে দায়ী করব - জানুয়ারিকে। এপ্রিলের ঘাড়ে খামোকাই দোষ দেন কবিরা, জানুয়ারি আমার মতে বছরের ডেঞ্জারাসতম মাস। চকচকে নতুন বছরে চকচকে নতুন আমির লোভ দেখিয়ে কত বোকামো যে করিয়ে নেয়।

অফারে ন্যূনতম অর্ডারের অ্যামাউন্ট যা দেওয়া হয়েছিল তার অর্ধেক দামে আমার লাঞ্চ অর্ডার হয়ে যায়, কিন্তু সে সব অস্বাস্থ্যকর ইডলি, দোসা, উপ্‌মা, চিঁড়ের পোলাও, মাশরুম রোল ইত্যাদি। ফ্রি ডায়েট প্ল্যান পেতে গেলে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্বাস্থ্যকর দোকান থেকেই অর্ডার করতে হবে যাদের মেনুর প্রতিটি আইটেমের নিচে ক্যালোরি সহ কার্ব, প্রোটিন, ফাইবারের শতাংশের চেতাবনী দেওয়া। এমনি দোকানে যে চিঁড়ের পোলাও আশি টাকা, এই সব দোকানে সে গ্লুটেন ফ্রি-র ময়ূরপুচ্ছ পরে দু'শো আশি টাকা প্লাস জি এস টি হয়ে যায়। যে উপ্‌মা (সম্বর প্লাস চাটনি সহ) অন্য দোকান থেকে অর্ডার করলে ডেলিভারি টিপ সহ বিরানব্বই টাকায় সাঙ্গ হয়, এ সব দোকানে তার নামের আগে 'কেটো' বসে আর দামের পাশে দু'শো বিরানব্বই। প্লাস জি এস টি।

খুঁজে পেতে লিমিটের যত কাছাকাছি দামওয়ালা খাবার অর্ডার করলাম। সেগুলো সব 'সিনফুল' ক্যাটেগরির। হাই কার্ব, লো প্রোটিন, অভ্রংলিহ ক্যালরি। ব্র্যাকেটে 'হ্যাজার্ডাস ফর হেলথ' লেখাটাই যা বাকি।

প্রতিশ্রুতি মতো দ্বিতীয় অর্ডার দেওয়ার সাত দিন পর মেল এল, ডিল খোলার পাসওয়ার্ড নিয়ে। পাসওয়ার্ড কাজ করল। ফোনের স্ক্রিনে আতশবাজি উড়ল। আর আমার মাথায় বাজও পড়ল।

ডিলের অংশ হিসেবে আমি ফ্রি কাউন্সিলিং-এর অধিকারী হয়েছি। কাউন্সিলর ফোন করবেন আগামীকাল বিকেল চারটের সময়। আমি চাইলে রিশিডিউল করতে পারি।

পড়িমরি খুঁজে দেখলাম রিশিডিউলের বদলে কল ক্যান্সেল করার কোনও অপশন আছে কি না, পাওয়া গেল না। আমি সিটে বসে ঘামতে লাগলাম। আমার জীবনটাকে আমি অনলাইনে তুলে এনেছি স্রেফ মানুষের সঙ্গে দৈনিক দড়ি টানাটানির ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য। সেই আমি কিনা যেচে কাউন্সিলরের হাঁড়িকাঠে?

একটাই উপায়, মনে মনে সময় নোট করে নিলাম, কাল বিকেল চারটের সময় ফোন এলে ধরা যাবে না।

কিন্তু চারটে বাজার ঢের আগেই বিকেল পাঁচটার মধ্যে একটা কাজ শেষ করার তাগাদা চলে এল আর চারটে তিনে যখন ফোন বাজল, ফোন তুলে হ্যালো বলার উত্তরে উল্টোদিক থেকে যখন এক ভদ্রমহিলা গুড আফটারনুন বলে নিজেকে অ্যাপের কাউন্সিলর বলে পরিচয় দিলেন, ব্যাপারটা বুঝে উঠতেই লেগে গেল পাঁচ সেকেন্ড।

তখন তো আর দুম করে কেটে দেওয়া যায় না। আমি গলায় যথাসাধ্য উৎসাহ ফুটিয়ে তুললাম। মহিলা আমার স্বাস্থ্যচর্চার উদ্দেশ্যবিধেয় সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আমি আমতা আমতা করলাম। দৈনিক এক্সসারসাইজের মাত্রা জানতে চাইলেন। জানালাম। শোওয়ার জায়গা না পেলে কষ্ট করে বসে চালিয়ে দিই। মহিলা গম্ভীর গলায় বললেন, হুম।

তারপর আমার বয়স জানতে চাইলেন।

চল্লিশ হবে বলার পর ফোনের ওপাশ থেকে স্পষ্ট 'আঁক' শব্দ পেলাম। কাউন্সিলর বললেন, কী সাংঘাতিক, এইবার আপনার শরীরে নানারকম দুর্যোগ ঘনাবে, জানেনই তো মহিলা হলে…

আমি অবশ্য জানি না মহিলা হলে কী, কিন্তু সাংঘাতিক কিছু হবে নিশ্চয়, কারণ মহিলা আর ভাঙলেন না। এতক্ষণ যে একটা এলানো আড্ডার ছলে কথোপকথন চলছিল, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বদলে গেল। মহিলা বললেন, আপনাকে অবিলম্বে কড়া রেজিমে ঢুকতে হবে ম্যাম, ব্যালেন্সড ডায়েট, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবারের সঠিক ব্যাল্যান্স, নিয়মিত যোগা। আমরা চুন চুন কে আপনার প্রোগ্রাম বানিয়ে দেব, কখন কী খাবেন, কী কী খাওয়ার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাববেন না, কখন কোন আসনটা করবেন। আপনার পারসোনালাইজড প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আপনাকে একজন যোগা ইন্সট্রাকটরের সুপারভিশনে রাখা হবে, আপনার যখন যা সমস্যা হবে, এমনকি মাঝরাত হলেও, ফোন করে তৎক্ষণাৎ তার সুরাহা করে নিতে পারবেন।

আমি জীবনের বেশিরভাগ ব্যাপার নিয়েই সংশয়দীর্ণ কিন্তু এই বিষয়ে আমি হান্ড্রেড পার সেন্ট নিঃসংশয় যে আমার জীবনে এমন কোনও সমস্যার উদয় হবে না, হতেই পারে না, মাঝরাতে যোগা ইন্সট্রাকশনকে ফোন করে যার সমাধান চাইতে হবে।

আমার ইংরিজি উচ্চারণ শুনে নির্ঘাত ধরে ফেলেছিলেন, লোভ দেখানোর মতো করে কাউন্সিলর বললেন, আমরা আপনার জন্য বাংলা বলতে পারা ইন্সট্রাকটর জোগাড় করে দেব, আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না।

তারপর দ্রুত হিসেব করে জানালেন, তিন মাসের পার্সোনালাইজড প্ল্যান, ডায়েট চার্ট, ডায়েটিশিয়ান, ডায়েট, যোগা ইন্সট্রাকটরের ফোননম্বরে টোয়েন্টি ফোর সেভেন অ্যাকসেস এই সব সার্ভিস, প্রভূত পরিমাণ ডিস্কাউন্ট দিয়ে, আমার পড়বে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। আমি যদি এক্ষুনি রেজিস্টার করে নিই…

আমি বললাম, ব্যাপারটা ইমেলে করা যায় না? আসলে আমি এখন একটু ব্যস্ত। উনি বুঝদার হয়ে বললেন, আরে আগে বলবেন তো, ঠিক আছে আমি কাল আবার ফোন করব না হয়।

আমি জানি আমাকে অনেকেই জাজ করবেন কিন্তু আমি পরদিন ফোন ধরিনি। তার পরের দিনও না। আমার থেকে সাহসী কেউ হলে ফোন তুলে, 'না মশাই আমি নেব না' বলে দিত হয়তো, সেটাই যথার্থ ভদ্রতা হত, কিন্তু আমি জাস্ট পারলাম না। মুখের ওপর "না" বলতে সবাই পারে না। যারা পারেন আমি তাঁদের অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। যদি কোনওদিন শিখে উঠতে পারি, নিশ্চয় বলব। তাছাড়া ফোন তুলে কী বলতাম? তখন আপনাকে কাটানোর জন্য হ্যাঁ হ্যাঁ করেছি, আপনার ভালো ভালো প্রস্তাবে দ্যাটস গ্রেট, সাউন্ডস গুড ইত্যাদি ফোড়ন কেটেছি, কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে ডায়েট, যোগব্যায়াম ইত্যাদির কিছুরই আমার দরকার নেই, আমার দরকার খালি টাইমপাসের, আর আমার মতো অকিঞ্চিৎকর মানুষের টাইমপাসের দাম পাঁচ হাজার কেন, পাঁচ টাকা ধরাও বাড়াবাড়ি?

তিনদিন পর অ্যাপে মেসেজ এল, আমার পার্সোন্যাল কোচ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অপারগ হয়েছেন। মেসেজটা পড়ে চোরের মতো ফোন সরিয়ে রাখলাম। পোস্টটাও লিখে রাখলাম, যাতে পরের জানুয়ারি মাসগুলোয় যদি কখনও ডিলের ফাঁদে পা দেওয়ার তাড়না জাগে, পোস্টটা ফিরে পড়ে সামলে নিতে পারি।


Comments

  1. haha.. eita notun experience sunlam... :) amake parlour e dhorechilo, hair spa, protein na fat esob treatment koranor jonno... ami ei ektu porei amar flight chere debe bole tole paliye esechilam..

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা ভালো অজুহাত দিয়েছিস, ঊর্মি। যত্তসব।

      Delete
  2. Uff eita sottiy ghotona :-D :-DD, ami ar emoji pachi na computer e je debo. ROFL type emoji.
    Deshe r ei service industry'r antke deoa strategy ta te ami aage khub bhoy petam, ekhon 40+ e confidence bere geche. Eibar deshe ekta salon e keno jani ektu blow dry korte gechi, byaas ja bhoy dekhalo mone holo porer din thekei amake wig porte hobe.
    BM

    ReplyDelete
    Replies
    1. আর বলবেন না বং মম, আচ্ছা ফাঁদে পড়েছিলাম। পার্লারে আমার না যাওয়ার এইটা আরেকটা কারণ। আমি যে কত খারাপ দেখতে সেটা আমি অলরেডি জানি, র‍্যান্ডম লোকের থেকে কনফার্মেশনের কোনও দরকার নেই। তাও আবার পয়সা দিয়ে।

      Delete
  3. Amake ekbar parlour e chul kolop korte bolechilo.. Ami sotang bolechi, amar kancha pakaa chul darun lage. Tate parlour er malkin er mukh ta dekhar moto chilo..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার উল্টো অভিজ্ঞতা হয়েছে। কলপ করতে চাই না জানাতে পার্লার কর্তৃপক্ষ বুঝদার হয়ে বলেছেন, "অবশ্য আজকাল সল্ট পেপার চুল রাখাটাই ফ্যাশন। গুড ডিসিশন।"

      Delete
  4. Ma Thakuma ra ja ranna korten, chotobelar khabar ja khetam tai mone kore rendhe khao … khub bhalo thakbe. Shonge jhal muri aloo kalbi khele o kicchuti hobe na. Eyi complex diye marar jotto shob notun phondi. :D
    Likhecho kintu darun Kuntala :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার এই মতটায় একেবারে হায়েস্ট ফাইভ, শর্মিলা। "হেলদি" খাওয়া সাধ করে ভুলে এখন আবার নতুন করে শিখছি। সেই হাতে গড়া আটার রুটি তরকারি ব্রেকফাস্ট থেকে টিফিনে মুড়ি বাতাসা। সব ম্যাক্রো বাপ বাপ বলে ফুলফিল হবে।

      Delete
  5. মোটেই জাজ করলামনা। আমিও মুখের ওপর না বলতে খুব অস্বস্তি বোধ করি। এদেশে ইদানিং শুরু হয়েছে "পুলিশ অফিসার্স ইউনিয়ন" বা "ফায়ার অফিসার্স ইউনিয়ন"-এর নাম করে ফোন করে চাঁদা চায়। সত্যি মিথ্যে জানিনা, কিন্তু বছরে কবার চাঁদা দেওয়া যায়? তাও আবার ডলারে। প্রথম দুয়েকবার দিয়েওছি, মুখের ওপর না বলতে পেরে। শেষে একদিন "আর্মি ভেটেরান'স উনিয়ন"-এর লোকটা যখন আমায় বোঝাবার চেষ্টা করছিল সিরিয়া আর ইরাকে যুদ্ধ করতে গিয়ে তাদের কি কষ্ট, আমি যদি কিছু চাঁদা দিই তাহলে সে কষ্ট কিছুটা কমতে পারে, "আমি তোমাদের সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যেতে বলিনি" বলে রেখে দিয়েছিলাম। তারপর থেকে অচেনা নম্বর দেখলে আর ধরিনা, আর ধরে ওদের কারুর হেলো শুনলে মুখের ওপর কেটে দিই। এতে আপনি জাজ করবেন কিনা বলুন!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি মোটেই জাজ করছিল না, কারণ এই ফোন করে ডোনেশনের ভুক্তভোগী আমিও হয়েছি। সবথেকে ঝামেলা হচ্ছে, আপনি যেমন বললেন, চাওয়ার কারণগুলো খুবই সমবেদনাজাগানিয়া, কাজেই না বলতে নিজেরই খারাপ লাগে। কিন্তু আবার অত দেওয়াও যায় না।

      Delete
  6. হাহাহা এটা ভালো কিন্তু দশ টাকার শাক কিনে পঞ্চাশ টাকার ব্যাগ ফ্রি কিন্তু ডেলিভারিচার্জ একশো টাকা। আমি অবশ্য এই সব প্রলোভনে পড়িনা চট করে কিন্তু বিপদে খুবই পড়ি। ফেসোয়াশ কিনতে গেছিলাম এক সেলসগার্ল বলে, মুখের কী অবস্থা করেছ! নাও এই অমুক কোম্পানিরজিনিস্টা নাও....সে কী মুশকিল মুখের উপর না বলতে পারিনা, কিনতেও চাইনা...শেষে জিনিসটা নিয়ে অন্য জায়গার তাকে রেখে চোরের মত পালিয়ে আসি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এটাও হায়েস্ট ফাইভ। এ তাকের জিনিস বাধ্য হয়ে নিয়ে অন্য তাকে রেখে চলে আসার অভিজ্ঞতা আমারও আছে। কী জ্বালা বল দেখি।

      Delete

Post a Comment