অর্চিষ্মান রোজ জানতে চায়, কী দেখছ, কী শুনছ, কী খাচ্ছ। খাওয়ার কথা আর কী বলব, ডালভাত খেতে খেতে পেটে চড়া পড়ার জোগাড়। ম্যাগি খাওয়া নিয়ে অত বুক বাজালাম, দোকানে ম্যাগি হাওয়া। বলে কি না ইপ্পি আছে, দেব? আমি দুঃখিত, যে ব্র্যান্ডের কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রোডাক্টের একটা নাম রাখার কষ্ট করতে পারেননি, স্রেফ ধ্বনিসূচক অব্যয় দিয়ে কাজ সেরেছেন, আমি (এখনই) তাঁদের পৃষ্ঠপোষক হতে রাজি নই। অবস্থা আরও সঙ্গিন হলে দেখা যাবে। খাওয়ার কথা যা বলার আগের পোস্টে বলেছি, দেখাশোনা নিয়ে আজ বলব। দেখার থেকে শোনা (কোনও কোনও সময় পড়ার থেকেও) অনেক বেশি আরামদায়ক, গত কয়েকবছরে বুঝেছি। অনেকেই যে বুঝেছেন (বা অলরেডি বুঝেই ছিলেন) তার প্রমাণ বিশ্বজোড়া শ্রুতিশিল্পের হইহই উত্থান। ব্লগ পড়া, ভ্লগ দেখা সব ভুলে এখন লোকে পডকাস্ট শুনছে হামলে পড়ে। অডিবলের অ্যাড শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। কারণও আছে। প্রতিটা ইন্দ্রিয় একই সঙ্গে আটকা রাখার দায় থেকে মুক্তি। শুনতে শুনতে খেলুন, ছবি আঁকুন, চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে চাইলে ঘুমোতেও পারেন। মজা পেয়ে গিয়ে আমি প্রায় আর কিছুই দেখছি না। শুনছি দেদার। শুনতে শুনতে খেলছি, লিখছি, ঘুমোচ্ছি। আর আগের পোস্ট...