হেস্তনেস্ত গার্হস্থ্য
অর্চিষ্মান বাড়ি চলে এসেছে। বাবা নিজের বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বৃত্তের সবাই যে যার স্থানেমানে গুছিয়ে বসেছে, কেউ মাঝপথে ঝুলে নেই। এতদিনে আমি লকডাউনের আনন্দ যথার্থ উপলব্ধি করতে পারছি। নিজের সমস্যা সব আন্ডার কন্ট্রোল থাকায় অন্যের বিপদে সহমর্মিতা দেখানো অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করছি। দিনতিনেক আগে সকালে অর্চিষ্মান খবর দিল পাশের পাড়ার এক কমপ্লেক্সে একই বাড়ির দুজন কোভিড পজিটিভ। বাবা বললেন, রিষড়ারও পাশের পাড়ার কে যেন মারা গেছে। অর্চিষ্মান টুইটার থেকে খবর এনেছে বলে আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম আর বাবাকে পাঁচশোটা প্রশ্ন করে সোর্সের সত্যতা যাচাই করতে বসলাম। বাবা স্বীকার করলেন ভিকটিমের নামধাম কিছুই উনি জানেন না, পাশের বাড়ির জেঠি গাছে জল দিতে দিতে বাবাকে চেঁচিয়ে বলেছেন, জেঠি খবর পেয়েছেন কুট্টিপিসির কাছ থেকে। শুনেটুনে আমার সন্দেহ হল কে জানে লোকটা আসলে করোনায় মরেছে কি না, যে কোনও রোগে মরলেই আজকাল করোনা বলে চালিয়ে দিচ্ছে সবাই। অত ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বোকা সাহস ব্যাপারটা আমার চিরকালই ছিল। পরীক্ষার আগে পড়ছি না, প্রেমে পড়ার আগে ভাবছি না। করোনাতেও ব্যত্যয় নেই। লোকে শুনছি আলুপটল সার্ফ এক্সেল দি...