পরাপরি বিষয়ে
স আমাদের নিচের তলার সহভাড়াটে। চাকরিসুবাদে কাশ্মীরের গুলিগোলার মধ্যে স-এর নিত্য যাতায়াত। আমি, বলা বাহুল্য, ইমপ্রেসড। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বেলাতে আমাদের বন্ধু না পড়লেও শত্রু কমন পড়েছে, কাজেই ভাব হতে দেরি হয়নি। মোদ্দা কথা, স-এর সামনে পড়লে আমি নিজের বেস্ট ফুট ফরওয়ার্ডের চেষ্টায় থাকি। হাসি না পেলেও হাসি, খবর নেওয়ার দরকার না থাকলেও নিই, বাথরুম চেপে দাঁড়িয়ে দেশের-দশের আলোচনা শুনতে শুনতে ঠিক ঠিক জায়গায় মাথা নাড়ি। অন্ততঃ নাড়ার চেষ্টা করি। ভুলভ্রান্তি হয় না বলব না, তবে চেষ্টার অভাবে নয়। সেই স-এর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। অথচ দেখা হওয়ার কথা ছিল না। সাড়ে ন’টা বাজতে যাচ্ছিল, কী খাব কী খাব গবেষণায় সন্ধে থেকে যত সময় বইয়েছিলাম তাতে বিরিয়ানি রেঁধে খেয়ে ফেলা যেত। কিন্তু জেদ চেপে গেছিল, অর্ডার করেই খাব। বিশ্বশুদ্ধু কুইজিন পার হয়ে কাঠি রোলে এসে ডুবে মরলাম। আমি খাব মাশরুম রোল, অর্চিষ্মান চিকেন না কীসের রোল অর্ডার করেছে। বাড়িওয়ালার সঙ্গে সারা বিকেল বসে ইলেকট্রিক বিলের হিসেব কষে এসেছে, লজ্জার মাথা খেয়ে ওকে আবার খাবার আনতে বলা যায় না। অগত্যা আমিই গেছি। ডেলিভারি ভাইসাবের দেখা নেই, আমার নার্ভাসনেস ক্রম...