Posts

Showing posts from April, 2024

পার্বতীর পারে ৪ (শেষ)

Image
 ঘুম ভেঙে বৃষ্টির শব্দ পেলাম। মরণপণ করে নামেনি আবার দায়ও সারছে না। অর্থাৎ টানবে। মেঘ ডাকছিল ঘন ঘন। হালকা চিন্তা হচ্ছিল। যে রকম চিন্তায় ঘাম হয় না কিন্তু স্নায়ুগুলো মাপমতো টানটান হয়ে থাকে। চিন্তাটা হচ্ছে আজ দুপুরে পার্বতী কুটির ছেড়ে লিটল ইটালি ইন-এ মুভ করতে হবে। কাল বাজারে লিটল ইটালি ইন দেখেছি। পার্বতী কুটির যেমন বনচ্ছায়ায় লিটল ইটালি ইন তেমন ঘিঞ্জি বাজারের মধ্যিখানে। অটোতে বসে বাইরের ছবি দেখে আমার পছন্দ হয়নি। ঘরের ছবিগুলো ভালো ছিল বলে বুক করেছিলাম। আর কোথাও রুম পাওয়াও যাচ্ছিল না। কাল বাজারে ঘুরতে ঘুরতে বাইরেটা দেখেও অবশ্য ভালোই লাগল। অর্চিষ্মান তো হাটের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসে। মাঝরাত পর্যন্ত হর্নের চোটে ভুত পালাবে, বারান্দায় ঝুঁকলেই কোটি কোটি লোক দেখা যাবে আর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলেই তেলেভাজার দোকান - এই হচ্ছে ওর আইডিয়াল হ্যাবিটাট। আমার পছন্দ এ রকম। এই যে জঙ্গলের মধ্যে শুয়ে শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনছি, বৃষ্টি থামলে নদীর শব্দ শুনব, গাছের ছায়ায় ছোট্ট দোলনায় দুলব, দুলতে দুলতে ডানদিকে ঘাড় ঘোরালে অভ্রংলিহ পর্বতচূড়া, বাঁদিকে ঘাড় ঘোরালে একতলা ছোট্ট বাড়ি, সামনে নদী, পেছনে জঙ্গল, পুব পশ্চিম উত...

In the path of it

Over the years, our friend develops a certain expression of public intimacy for her husband: whenever they’re standing together, she absentmindedly puts a finger through his belt loop. He dies, our friend remarries, and we see her enacting the same move on her new boyfriend. Who would judge this? Well, everyone. We want to believe that love is singular and exclusive, and it unnerves us to think that it might actually be renewable and somewhat repetitive in its habits. Would your current partner ever call his or her new partner by the same pet name he/she uses for you, once you are dead and buried? Well, why not? There are only so many pet names. Why should that bother you? Well, because you believe it is you, in particular, who is loved (that is why dear Ed calls you “honey-bunny”), but no: love just is, and you happened to be in the path of it. When, dead and hovering above Ed, you hear him call that rat Beth, your former friend, “honey-bunny,” as she absentmindedly puts her trait...

পার্বতীর পারে ৩

Image
পার্বতী কুটিরের সুদৃশ্য বোর্ডের পাশে গাড়ি থামল। অর্চিষ্মানকে রুম ডেলিভারির অফার ঝালিয়ে, আমাকে আরেকবার নো ক্যান্সারের গ্যারান্টি দিয়ে ভাইসাব চলে গেলেন। তাড়ায় ছিলেন মনে হল। টাকা মিটিয়ে নামছি, এক পা তখনও গাড়ির ভেতরে, গাড়ি নড়ে উঠল। এখানে পার্বতীর গর্জন অবিরাম। সিঁড়ি বেয়ে গর্জনের কাছাকাছি পৌঁছলাম। পরিশীলিত কণ্ঠের মালিক অবশেষে শরীর ধরে বেরিয়ে এলেন। নাম সুযোগ। সুযোগ হাসিমুখে জানালেন আমাদের জন্য একটি অসামান্য সারপ্রাইজ রেডি করে রেখেছেন তিনি। সারপ্রাইজটা হচ্ছে যে আমাদের কোত্থাও যাওয়ার দরকার নেই। টেন্ট আবার অ্যাভেলেবল হয়ে গেছে, আমরা পার্বতী কুটিরেই থাকতে পারি। বাট ইউ মাস্ট ভিজিট গিগলিং গুন সামটাইমস্‌। ইট’স রিয়েলি আ বিউটিফুল প্রপার্টি, ভেরি ওয়েল মেন্টেন্ড। টেন্ট ফাঁকা হলেও এখনও পরিষ্কার হচ্ছে। সুযোগ আমাদের চেক ইনের সুযোগ দেবেন দুপুর একটায়। ততক্ষণ যেন আমরা বাগানে বসে পার্বতীর গান শুনি আর নাচ দেখি। বলে আমার উদ্দেশ্যে বাগানের মাঝখানে পাতা টেবিলের পাশের একটা চেয়ার টেনে দিলেন। অর্চিষ্মান নিজের চেয়ার নিজেই টেনে বসতে যাবে, আমি বললাম ইয়ে মানে যদি ছায়ায় বসার সুযোগ দেন। সুযোগ নিশ্চয় নিশ্চয় বলে ...

পার্বতীর পারে ২

নৈশাহারের বিরতি শেষ। অর্চিষ্মান মুঠোভরা মৌরি মুখে ছুঁড়তে ছুঁড়তে বাসে উঠল। অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইসাব গুনতি সেরে বাস চালু করার সংকেত দিয়ে ড্রাইভারের কেবিনের পর্দা টেনে দিলেন। বাসের আলো নিভে গেছে। অর্চিষ্মান কানে গান গুঁজে চোখ বুজে হেডরেস্টে মাথা হেলিয়েছে। সামনের রো-এর বেটার এনার্জি অবশেষে ফুরিয়েছে। চারদিক চুপচাপ। খালি ড্রাইভারের কেবিনের কেউ দেড় মিনিট অন্তর সশব্দে কফ তুলে ফেলছেন। হোপফুলি জানালার বাইরে। আমাদের সিটের কোণাকুণি সিটে একটা ছেলে ফোন ঘাঁটছে। চরাচরে ওই একটিমাত্র আলোর আয়তক্ষেত্র। সবকিছু থেকে মন সরিয়ে জানালার বাইরে স্থাপন করলাম। এ প্রাণ রাতের ভলভো। রাস্তার ধারের অন্ধকারে কখনওসখনও দোতলার জানালায় একলা আলো। পরীক্ষার পড়া? ইনসমনিয়া? প্রেমের শুরু? প্রেমের শেষ? রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা শূন্যে ঠেকেছে, মিছিল করে চলেছে শুধু প্রকাণ্ড পাঞ্জাব লরির দল - মধ্যরাতের হাইওয়ের রিয়েল মাফিয়া। সে মিছিলের ফাঁক গলে গলে লং ড্রাইভের পাহাড়মুখো বাস। পুরুষকণ্ঠ। ড্রাইভারজি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছেন। সাক্ষাতে আর ফোনে কথা বলার টোনে কত তফাৎ। এত রাতে কে জেগে আছে ওঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য? নির্ঘাৎ অন্য কোনও ভলভোর...

পার্বতীর পারে ১

অন্যদিন দু’বার বাজায়, বৃহস্পতিবার অর্চিষ্মান চারবার বেল বাজাল। গুডফ্রাইড ইভে আসন্ন লং উইকেন্ডের উত্তেজনায় নির্ঘাত। এ জুতোর ডগা দিয়ে ও জুতোর গোড়ালিতে চাপ দিতে দিতে বলল, প্রসেনজিৎ চলে গেছে? বললাম, তিরিশ সেকেন্ড আগে এসেছে। লুচি করতে বলবে? লুচি আর সাদা আলুর তরকারি? মানে তোমার যদি অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে না করে? ময়দা আছে কি না-র সাড়ে তিনমিনিটের প্যানিক পেরিয়ে ঘরে এলাম। অর্চিষ্মান নাকের ডগায় ফোন ধরে খাটে চিৎপাত। রোজই চিৎপাত হয় কিন্তু আজকের ভঙ্গিটা সামান্য আলাদা। অন্যদিনের ‘তুলে নে মা’-র বদলে আজ চোখেমুখে শিকারী বাজের তৎপরতা। অর্চিষ্মান নেক্সট তিনদিনের মজা খুঁজছে। প্রসেনজিৎ কোস্টার খুঁজে এনে চায়ের কাপ নামিয়ে রান্নাঘরে ফিরে গেল। অর্চিষ্মান জিয়োহ্‌ বলে শূন্যে মুঠি ছুঁড়ল। অতি উত্তম এসে গেছে নেহরু প্লেসে। ছ’বেলার একবেলা সর্টেড। আরেকবেলা ওই দোকানটায় খাব, আরে ওই যে ওই দোকানটায় অনেকদিন ধরে যাব যাব করছি, আহা বল না, ওই যে ব্যাম্বু না গার্ডেন, আমি বললাম মেনল্যান্ড চায়না, তখন বলল হ্যাঁ হ্যাঁ মেনল্যান্ড চায়নাতে খেতে যাব, তুমি কুংফু পান্ডা ফোর-এর কথা বলছিলে সেটাও যাওয়া যায় আরেকবেলা, আরেকবেলা জামা মসজ...