পার্বতীর পারে ৪ (শেষ)
ঘুম ভেঙে বৃষ্টির শব্দ পেলাম। মরণপণ করে নামেনি আবার দায়ও সারছে না। অর্থাৎ টানবে। মেঘ ডাকছিল ঘন ঘন। হালকা চিন্তা হচ্ছিল। যে রকম চিন্তায় ঘাম হয় না কিন্তু স্নায়ুগুলো মাপমতো টানটান হয়ে থাকে। চিন্তাটা হচ্ছে আজ দুপুরে পার্বতী কুটির ছেড়ে লিটল ইটালি ইন-এ মুভ করতে হবে। কাল বাজারে লিটল ইটালি ইন দেখেছি। পার্বতী কুটির যেমন বনচ্ছায়ায় লিটল ইটালি ইন তেমন ঘিঞ্জি বাজারের মধ্যিখানে। অটোতে বসে বাইরের ছবি দেখে আমার পছন্দ হয়নি। ঘরের ছবিগুলো ভালো ছিল বলে বুক করেছিলাম। আর কোথাও রুম পাওয়াও যাচ্ছিল না। কাল বাজারে ঘুরতে ঘুরতে বাইরেটা দেখেও অবশ্য ভালোই লাগল। অর্চিষ্মান তো হাটের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসে। মাঝরাত পর্যন্ত হর্নের চোটে ভুত পালাবে, বারান্দায় ঝুঁকলেই কোটি কোটি লোক দেখা যাবে আর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলেই তেলেভাজার দোকান - এই হচ্ছে ওর আইডিয়াল হ্যাবিটাট। আমার পছন্দ এ রকম। এই যে জঙ্গলের মধ্যে শুয়ে শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনছি, বৃষ্টি থামলে নদীর শব্দ শুনব, গাছের ছায়ায় ছোট্ট দোলনায় দুলব, দুলতে দুলতে ডানদিকে ঘাড় ঘোরালে অভ্রংলিহ পর্বতচূড়া, বাঁদিকে ঘাড় ঘোরালে একতলা ছোট্ট বাড়ি, সামনে নদী, পেছনে জঙ্গল, পুব পশ্চিম উত...