মিসেস ব্যানার্জি
আজ থেকে ৪০ বছর আগে,
চৈত্রমাসের এক সকালে ডালহৌসির মোড়ে বাস থেকে নামলো মণি আর মণির মেজদা। বাসস্টপ
থেকে গঙ্গার দিকে কয়েক পা এগোলেই ডান ফুটপাথের ধারে একটা আকাশছোঁয়া ধপধপে সাদা
বাড়ি। ওটাই ওদের গন্তব্য। সাদা বাড়িটার পেটের ভেতর অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগে মেজদা
মণিকে পিছু ডাকলেন।
“পেন নিয়েছিস?”
“না তো।”
“অ্যাঁ! ইন্টারভিউতে
যদি কিছু লিখতে বলে কী বলবি? আপনাদেরটা দিন, আমি পেন আনতে ভুলে গেছি?” গাঁট্টা
মারার ভঙ্গি করে মেজদা বুকপকেট থেকে নিজের পেনটা মণির হাতে গুঁজে দিলেন।
খানিকক্ষণ অপেক্ষা
করার পর মণিকে একটা ঘরে ঢুকতে বলা হল। ঘরের ভেতরটা সিনেমায় যেমন দেখায়, মাঝখানে
একটা বড় টেবিল, টেবিলের এধারে একা মণি, ওধারে বাঘের মতো মুখ করে তিনজন গোমড়া
ভদ্রলোক পাশাপাশি বসে আছেন। মণি কাঁপা হাতে নিজের মার্কশিটগুলো এগিয়ে দিলো। সেগুলো
হাতে হাতে ঘুরলো কিছুক্ষণ। মাথা টাথা নড়লো। তারপর বাঘেদের মধ্যে যিনি সবথেকে
কেঁদো, তিনি একটা নোটপ্যাড মণির দিকে ঠেলে দিয়ে বললেন, “নিজের নাম ঠিকানাটা লেখো
এতে।” লেখার পর শুরু হলো সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা। গোটা দশেক রাজ্য আর তাদের
রাজধানী। ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক কে আবিষ্কার করেছিলেন? অবশেষে কেঁদোবাঘ গম্ভীর
গলায় বললেন, “ওঘরে গিয়ে দেখবে একটা ফোন রাখা আছে। সেটা তুলে রিসিভারের কাছে মুখ
নিয়ে নিজের নাম ঠিকানা বলে, রিসিভার ঠিক জায়গায় নামিয়ে রেখে আবার এঘরে ফিরে আসবে।”
রাজ্য রাজধানী আর
ম্যালেরিয়া জিজ্ঞেস করতে হয় বলে করা। টেলিফোন অপারেটরের চাকরির জন্য মার্কশিট,
হাতের লেখা আর গলার আওয়াজই যথেষ্ট।
ওঘরের ভারি আর কালো
গামবাট ফোনে উল্টোদিকের শূন্যতাকে উদ্দেশ করে নিজের নামঠিকানা বলে মণি এঘরে ফিরে
এলো। কেঁদোবাঘ টাইপ করা একটা চিঠির ওপর মণির নাম লিখে আর নিচে খসখস করে নিজের সই
করে চিঠিটা মণির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, “সোমবার সকাল ১০টায় চলে আসবে।”
“কিন্তু আমার তো
এখনো পরীক্ষা শেষ হয়নি। প্র্যাকটিকাল বাকি আছে।”
“প্র্যাকটিকাল শেষ করেই এস তবে।”
***
৪০ বছর আগে
প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সেই যে শুরু হয়েছিলো, শেষ হবে এই আর দুদিন
পরেই, ৩১শে মার্চ, ২০১২।
আমার মায়ের গল্প
আগেও অনেক করেছি, পরেও অনেক করবো। কিন্তু আজকের গল্পটা আমার মায়ের নয়। মিসেস
ব্যানারজির। সাড়ে ৯টার সময় যিনি এক হাতে ঘড়ি, চশমা, গলার হার, হাতের আংটি, গত
কয়েকবছর ধরে মোবাইলও যোগ হয়েছে, মুঠো করে ধরে; আরেক হাতে খসে পড়া খোঁপা সামলাতে
সামলাতে, মীরা মাসিকে “মনে করে ছাদের জামাকাপড় নামিয়ে আনার” নির্দেশ দিতে দিতে
তীরবেগে ছুটে বেরিয়ে রবিকাকুর রিকশায় উঠে হুস করে চলে যান, আর বাড়ি ফেরেন সেই
সন্ধ্যে পেরিয়ে, সারাপাড়ায় টিউবলাইট জ্বলে যাওয়ার পর। এই মাঝখানের সময়টায় তিনি ঠিক
কী করেন, কোথায় যান, কী খান, কেমন করে কথা বলেন, অফিসসুদ্ধু লোককে গলা মোটা করে
বকেন নাকি সবার সাথে মিষ্টি হেসে আলাপ করেন, সেটা আমরা কেউ জানিনা।
ঠাকুমা জানেননা,
বাবা জানেননা, আমার কথা তো ছেড়েই দিন।
ওই সময়টার জন্য মা আমাদের কেউ নন। তিনি মিসেস ব্যানারজি। ক্কচিৎ কদাচিৎ ফোনে মিসেস ব্যানারজির গলা আমি শুনতে পাই। ফোন তুলে “হ্যালো” বলার আগের এক সেকেন্ডে কাউকে একটা ফাইল নিয়ে আসতে বলছেন। আমি চুপ করে শুনি। অদ্ভুত লাগে। মনে হয় অচেনা কার জীবনের ভেতর চুরি করে উঁকি মেরেছি। মা বছরকয়েকের জন্য যখন আসামে পোস্টেড ছিলেন, তখন মায়ের ঘর ছিল অফিসবাড়ির একতলায়। একদিন একটা গরু, গেট খোলা পেয়ে, অম্লানবদনে হেঁটে হেঁটে বাড়ির ভেতর চলে এসে, মায়ের ঘরের পর্দার ফাঁক দিয়ে মুণ্ডু গলিয়ে খুব গম্ভীর মুখে মায়ের দিকে তাকিয়েছিলো। নিজেকে সেই গরুটার মতো মনে হয় আমার। পর্দা সরিয়ে মিসেস ব্যানারজির জীবনে উঁকি মেরে দেখছি। বেশিক্ষণ দেখতে পাইনা অবশ্য। পরমুহূর্তেই মিসেস ব্যানারজি মিলিয়ে গিয়ে আমার ৩১ বছরের পুরোনো চেনা মায়ের গলা ভেসে আসে, “সরি সরি সোনা মা, তোমাকে ধরিয়ে রেখেছি...খেয়েছো?...পড়াশোনা করেছ?...ঠান্ডা লাগেনি তো...”
***
৩১ তারিখ
সন্ধ্যেবেলা লঞ্চের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরবেন মিসেস ব্যানারজি। রোজ যেমন
ফেরেন। সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে। হয়তো সেদিন আকাশের একটা কোণ এমন অপূর্ব এক বিষণ্ণ
আলোয় ভরে উঠবে, ব্যাগ খুলে মোবাইল বার করে সেটার ছবি তুলে রাখবেন। ফোন ব্যাগে
ঢুকিয়ে রাখতে রাখতে আনমনা হয়ে যাবেন। লঞ্চ জেটিতে এসে ভিড়বে। লোকজন ব্যস্ত হয়ে
নামবে। পেছনের লোকটা তাঁকে ওভারটেক করে যেতে যেতে বিরক্ত হয়ে মনে মনে বিড়বিড় করবে,
উফ মহিলা কি ভাববেন না হাঁটবেন?
মিসেস ব্যানারজিকে
আমি ভালো করে চিনিনা, কিন্তু আমি জানি ওই মুহূর্তে মিসেস ব্যানারজি কী ভাবছেন।
মণির কথা। ২০ বছরের মণি। বাড়ির সকলের কথা অমান্য করে, ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’র মুখ
চেয়ে, পড়া শেষ হতে না হতেই যেমনতেমন একটা চাকরিতে ঝাঁপিয়ে ঢুকে পড়া মণি। যদি না
ঢুকতেন, কী হতো? অন্য কোন পথে বইত জীবন? কেমন হতো সেই পথ? ভালো? নাকি আরও ভালো?
হাওড়া স্টেশনের ভিড়ের পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে মিসেস ব্যানারজি ভয়ে ভয়ে মণির দিকে
তাকান।
সাদা বাড়িটার সামনে
বিনুনি বাঁধা, ছাপা শাড়ি পরা, মুখে হাজার ওয়াটের হাসি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মণি
মিসেস ব্যানারজির দিকে প্রবল হাত নাড়ে। ঠোঁটে দুহাত ছুঁইয়ে উড়ন্ত চুমু ছুঁড়ে দিয়ে
চেঁচিয়ে বলে, “গুড জঅঅঅঅঅব।”
মিসেস ব্যানারজি চোখে শাড়ির আঁচল চেপে ধরেন। মার্চ ফুরোয়নি এখনো, তাতেই কী গরম পড়েছে বাপরে।
***
এখন কী করবে মা
সারাদিন? যমের অরুচি বাংলা সিরিয়ালগুলো দেখবে চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে? নাকি ঠাকুমার
আলমারি থেকে কথামৃত নামিয়ে পাতা উল্টোবে? দুপুরবেলা ঘুমোনোর অভ্যেস কি হবে তোমার
এই বয়সে নতুন করে? নাকি শুয়ে শুয়ে ফেলে আশা দুপুরগুলোর কথা ভাববে? মনে আছে তোমার
হেয়ার স্ট্রীটের অফিসঘরটার জানালা দিয়ে একটা মসজিদের সোনালি রঙের গম্বুজ দেখা যেত?
টেলিফোন ভবনের জানালা দিয়ে তাকালে লালদিঘি আর টোডি ম্যানসনের জানালা দিয়ে তাকালে
কী দেখা যেত জানিনা, তোমার ওই অফিসটায় আমাকে নিয়ে যাওনি কখনো। ধুবড়ির অফিসের
জানালা দিয়ে তাকালে গৌরীপুরের মাঠ আর মাঠের ধারের বিরাট বটগাছটা দেখতে পেতে।
ব্রহ্মপুত্র দেখা যায়না বলে কত দুঃখ ছিল তোমার মনে আছে? সে দুঃখ আবার নতুন করে
উথলে ওঠে যদি? যদি চোখে জল এসে যায়?
তখন তুমি তাড়াতাড়ি সেই গরুটার কথা মনে করো মা। ওই যে, যে গরুটা পর্দা সরিয়ে তোমার ঘরে ঢুকে পড়েছিলো? দেখবে দুঃখটুঃখ কোথায় চলে গিয়ে হাসি পেয়ে গেছে। অফিসের জানালা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র অনেকেই দেখতে পায়, কিন্তু অফিসের ভেতর আস্ত, জলজ্যান্ত একখানা গরু! তুমি ছাড়া কেউ কখনো দেখেনি মা, দেখবেও না।
Bheeshon, bheeshon, bheeshon sundor. :)
ReplyDeleteBimbabati, thank you thank you. khub khushi hoyechhi tomar proshongsa peye.
DeleteGood J-O-O-O-B
ReplyDeleteThank you Sohini. Thank you.
Deleteamar maa o retire korbe agami september mase.... maa ke tomar ei lekha ta porabo......ki jani keno, pore amar chokhe jol chole el. nah amar o boyos hoye jachhe bujhte parchhi.... bhison bhalo likhechho.
ReplyDeleteGebochara, boyos howa shudhui bhalo byapar. lekhata tomar bhalo legechhe jene khub khushi hoyechhi.
DeleteAsadharon likhechhen Kuntala. Sotyi sotyi poRe emotional hoye poRlam. E lekhata etoi bhalo hoyechhe je sadharonoto jesab katha comment e bole thaki segulo-o ar mathay aschhena!
ReplyDeleteGorur galpo ta bhari mojar.
are ki je bolen. gorur golpota amar anyotomo favourite golpo. In fact goruta jokhon maayer ghore dhoke, tokhon ami JNU-r hostel-er phone room-e bose maayer sathei phone-e kotha bolchhilam. maayer sei chitkar amar ekhono kaane bhase. ami seriously bhebechhilam office-e dakat poRechhe. tarpor shunlam, o hori, goru.
DeleteEta byapok likecho! Amar ma ekhono "chhatro manush" kore choleche, aro koyek bochhor korbe bolei mone hoche tai tomar post tar sange ami onek kichu common pelam. Especially kapor shukiye gele namiye anar part ta :-)
ReplyDeleteAmi majhe majhe JU te giyechi jokhon ma class nichhe, dekhle je ki bhishon hashi paye ki bolbo!! Chhotto ekta manush dias er opor dariye class e gobda gobda chhatro-chhatri der lecture diche, Indian consitution bojhachhe, Sri Lanka's foreign policy niye discuss korche, abar class e keu katha bolle tader dhomkachhe!!! Bhaba jaye na!! Tobe teacher der ekta byapar holo tara je "teacher" seta kirokom jeno tader gaye shnete thake, tai ma-ero sob achar byabohar ei "teacher mashi" bhab ta suporisphuto. Pore compare kore dekhechi Arnab er sange, or mayero (amar "shashuri" bollam na, "shashuri" kotha ta kemon jeno ekta shunte lage) oi same byapar!!
ekkebare hok kotha Sayari. Once a didimoNi, always a didimoNi. amar sejomasikeo 10 mile duur theke dekhle bole dewa jay ishkule chhatriider bokten sarajiibon. maayeder chena gondir baire dekhle ki adbhut lage na? bah tomar maa, shashuRi maa dujonei shikkhika, eita bhalo mil hoyechhe.
DeleteDaarun daarun osadharon likhechho. Kalke advisor er class e bose tomar blog ta khulechilam. Tarpor puro ta na pore r thaka gelo na :D. Tomar lekha one of the best! :)
ReplyDeletejeo!
proshongsa koray to khushi hoyechhi-i Atreyee, kintu tumi je advisor-er class-e bose blog poRchhile taite aro beshi khushi hoyechhi. ebhabei system-er biruddhe rukhe dNaRate hobe, Atreyee! tomakeo jeo!
Deleteভীষণ সুন্দর লিখেছ কুন্তলা দি...একেবারে মন ছুয়ে গেল...
ReplyDeleteধন্যবাদ ধন্যবাদ স্বাগতা। উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল, কারণ স্প্যাম থেকে উদ্ধার করে আনতে হল।
DeleteKhub sundor likhecho Kuntala. Mashi ke onek onek shubho kamona retired life er jonyo ar eto bhalo ekta gota manush ke boro korar jonyo.
ReplyDeleteTomar post ta pore shanti laglo, protyek din shokkal shokkal je chute chole jai ar sei bikel e firi tate tar mane kaur nishchoy kono khoti hoche na.
uff Bong Mom, eita poRle maa seroiusly khushi hoye jabe. bolbo maake.
Deleteapni je chhute chhute baire jachchhen ar ghore phirchhen, ete kkhoti to hochchhei na, borong bishom upokar hochchhe. eta ekebare bhetor theke jani ami. jodio keu torke challenge korle promaN korte parbo na. tobu. chaliye jan Bong Mom. rojkar chhotokhato koshto pore ekshoguN bhalo hoye phire asbe. asbei.
Eta prochondo shundor lekha. Porei kiro'm Mrs Banerjeer shonge alap korte ichchhe korlo, ar gorutar golpo shunte.
ReplyDeleteমিসেস ব্যানারজি লোক ভালো, আলাপ করলে ভালোই লাগবে।
DeleteBhishon bhalo hoyechhe, Kuntala. Ei prothom tomar lekhaye comment korlam. Bhishon chhnulo lekhata. :) Ar bangla font. Yay! :D
ReplyDeleteধন্যবাদ ধন্যবাদ। লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে, আর নতুন লোকের কমেন্ট পেয়ে খুব খুশি হলাম।
Deleteহ্যাঁ বাংলাটা আমারও পছন্দ হচ্ছে বেশ।
Kuntaladi, lekhata pore ektai kotha.... lekhataar ekta notun naamkoron korte chai, "Bokulkotha:2012"...oshamaanyo lekha !!
ReplyDeleteউফ কী কমপ্লিমেন্টটাই না দিলে শ্রমণ, মন একেবারে খুশি করে দিলে। থ্যাঙ্ক ইউ। থ্যাঙ্ক ইউ।
DeleteEta abar porlam. Eta possibly tor best lekha. Mane, best kina janina, tobe amake shobtheke beshi chhnuyechhe. Khushi hobo jodi nije kokhono eiro'm likhte pari.
ReplyDeleteভাগ্যিস আপনার পুরনো লেখা ঘাঁটতে শুরু করেছিলাম... তাই এটা চোখে পড়লো। অনবদ্য! অসাধারণ!
ReplyDeleteকত কি যে মাথায় ঘুরলো- শেষ অবধি যার কথা মনে ঘুরছে, সে মিসেস পাত্র, তবে আমার মা নন- বউ। এগারো বছরের ওপর ওকে চিনি- কিন্তু এখনো স্কুলে থাকাকালীন ফোন করলে মনে হয় অচেনা কেউ ধরলো। অচেনা এক দিদিমণি। এক্ষুণি পড়া ধরবে- না পারলে বকে ফোন কেটে দেবে। ওই জীবনটা নিয়ে কোনদিনই বেশি কথা বলেনা- অনে-এ-এ-ক দিন পরে কখনো এই রকম কোন একটা লেখার ইচ্ছে রইলো ওকে নিয়ে। নাঃ এমন ইমোশনাল অবস্থায় আর কিছু বলা ঠিক হবেনা... :)
মিসেস পাত্র-কে নিয়ে লেখাটার অপেক্ষায় রইলাম। যদিও অপেক্ষাটা অসম্ভব দীর্ঘ হবে সন্দেহ হচ্ছে।
Deletee ki korle kuntala!!! gorome bhordupure kemon ekta emotion er himghore dhuke gelam mone hocche ... nah ar kichukhhon kichu-i korte parbo na...
ReplyDeleteআরে ধন্যবাদ ধন্যবাদ সংহিতা।
Deleteei lekhata asamanyo..! gorutato durdanto:))
ReplyDeleteগরুটা আমারও ফেভারিট।
Deleteঅনেক পরে খোঁজ পেয়ে আমার সেই মা কে দেখে গেলাম। আমরা খুব গরিব ছিলাম। তিনি বাবার সাথে যৌথ জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টাই কাটিয়েছিলেন পরস্পর অনেক দূরে ...আলাদা থেকে স্রেফ আমাকে বড় করে তুলবার জন্য ... চাকরি করতে গিযে। ধন্যবাদ কুন্তলা ...
ReplyDeleteধন্যবাদ তো আমার আপনাকে দেওয়ার কথা অরুণাচল। মা বাবারা যে কত কিছু করেন আমাদের জন্য সেটা একটা বয়সের আগে বোঝা যায়না। পরেও যে বোঝা যায় বলছিনা। কিন্তু যেটুকু আন্দাজ করা যায় তাতে স্তব্ধ হয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার থাকে না।
Deleteখুব ভালো লাগল আপনার কমেন্ট পেয়ে।
ei prothom comment korchhi..tomar lekha shob shomayi porte khub bhalo laage..amar Ma- early retirement niyechhilen..ebong onar retired life-er prothom din aar amar Part 2 shesh howar porer din coincide kore--amar Baba 11tar shomay jakhon office-e beron takhon amra ma-meyete coffee niye khabar table-e boshye chutiye adda maarchhi--shei dekhe Baba khubi hautaash korte korte berolen..tomar lekha ta pore hothat sheidintar katha mone pore gyalo..aar ei door deshe boshe hothat kore khub ma ke dekhte ichhe korchhe.. =)BTW aamio JNU-r meye..tai sheidin tomar bhuter galper galpo post ta pore khub khub bhalo laaglo..emnitei laagto..kintu JNUr bole bodhhoy ektu beshi bhalo laaglo..
ReplyDeleteআরে JNU র লোক যে! ইস তোমার বাবার দুঃখটা আমি প্রাণ দিয়ে অনুভব করছি SG. অবান্তর ভালো লাগছে জেনে খুব খুশি হলাম। আশা করি তুমি আরও অনেকদিন অবান্তরের সঙ্গে থাকবে।
Delete