২৬-২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬
এক্সাইডের মোড় ছাড়ানোর পর প্রথম লাল লাইনটা ফুটে ওঠে। ব্যাটারির প্রান্তসীমায় একটা রক্তবর্ণ রেখা। পাশে লেখা ০%। ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ভিক্টোরিয়ার পরী দেখি, লাল লাইন গায়েগতরে বাড়ে। শূন্য থেকে দশ পেরিয়ে পনেরো পার সেন্ট ছোঁয়। রেডরোডের রেলিং-এর ওপারে ঘাসে মুখ ডোবানো রোগা ঘোড়া লেজ নেড়ে মাছি তাড়ায়, ব্যাটারির লাইন সাতাশ থেকে সাতচল্লিশ হয়। আকাশবাণীর পাশ দিয়ে নাকবরাবর গিয়ে হংকং হাউস পেরিয়ে ডানদিকে উঁচু সাদা বাড়ি। আমার শোনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রূপকথায় এই বাড়িটার একটা রোল আছে। গত সাত বছরে একবারও সে রূপকথা আপনাদের শোনাইনি হতে পারে না, তবু আবার শুনুন।
অনেকদিন আগে, আমার মা, বছর দশেক বয়সে নিজের বাবার সঙ্গে বাসে চেপে বাজেশিবপুর থেকে কোথায় যেন যাচ্ছিলেন। পথে বিবাদী বাগ পড়ল, আর বাসের জানালা দিয়ে মায়ের চোখ পড়ল উঁচু ধপধপে সাদা বাড়িটার দিকে। ও তল্লাটে বাড়ির অভাব নেই। ওর থেকে উঁচু বাড়িরও না, ওর থেকে বাহারি বাড়িরও না। কিন্তু ওই বাড়িটাই মায়ের চোখ টানল। মাকে চমকে দিল। তখন মায়ের ঘাড় ছাঁটা চুল, সিঁথি যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে দু’গাছা চুল ফোয়ারার মতো জেগে থাকে। বন্ধুরা বলে, এই তুই ছেলেদের মতো চুল কাটিস কেন রে, অর্চনা? মা বলতে পারেন না যে ছোট কাঠের বাক্স হাতে যিনি রোববার সকালে আসেন, যার সামনে পরপর চারভাইবোনকে লাইন দিয়ে বসতে হয়, চুলের ছাঁটে তিনি ছেলেমেয়ের তফাৎ করেন না।
বাসের জানালা দিয়ে বাড়িটার দিকে তাকিয়ে আমার ফোয়ারাছাঁট মা সংকল্প নিলেন, আমি এইহানে সাকরি করুম।
ওই সময়টা সবারই সংকল্পের সিজন থাকে, মায়েরও ছিল। সকাল থেকে রাত কত সংকল্প নিতেন মা। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ফ্লূয়েন্ট ইংরিজিতে কথা বলবেন, নিজে গাড়ি চালিয়ে অনেএএএএকদূর চলে যাবেন একা একা, একটা বাড়ি বানাবেন যার নাম হবে মণিমঞ্জিল আর সে বাড়ির ছাদে থাকবে সেতারবাজানো একটা মানুষের মূর্তি। (এই শেষের সংকল্পটা টুকলি। মা কার বাড়ির মাথায় যেন দেখেছিলেন এমন জিনিস)। কিন্তু সব সংকল্পের মধ্যে ওই সংকল্পের কপালেই শিকে ছিঁড়ল। কলেজের শেষ বছরে বিজ্ঞাপন বেরোলো সাদা বাড়িতে লোক নেওয়া হচ্ছে। মা পরীক্ষা দিতে এসে গুটি গুটি পায়ে ঢুকলেন। তখন ফোয়ারার জায়গায় বেণী, আর ঢাকাকে ল্যাং মেরে জিভে জেঁকে বসেছে কলকাতা।
ওই বাড়িটাতেই আরও ক’বছর পর মায়ের হাত ধরে আমি গুটি গুটি পায়ে ঢুকব। আশপাশ থেকে “মেয়ে?” বলে হাসিমুখে ভুরু নাচাবে অচেনা মামামাসিরা। এমনিতে আমরা দুজনেই রোজ টিফিনে রুটি তরকারি খাই, কিন্তু ওই ক’দিন আমরা যাব অফিসের উল্টোদিকের ফুটপাথে, কালো দরজার ওপর ইংরিজি আলোর অক্ষর দিয়ে লেখা লাইমলাইট, চাউমিন খাব। ভীষণ আনন্দ হবে। খেতে খেতেই বুঝব এত আনন্দ সহজে হয় না। যেটা বুঝব না সেটা হচ্ছে এর থেকে অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটবে জীবনে, কিন্তু এত আনন্দ কমই হবে।
সাড়ে পাঁচটা বাজলে দেখব মামারা সবাই হেঁটে হেঁটে করিডর দিয়ে বেরোচ্ছে, কিন্তু মাসিরা সকলেই দৌড়চ্ছে। বাঁহাতে শাড়ির কুঁচি, ডানহাতে কাঁধ থেকে হড়কে পড়া শাড়ির আঁচল সামলে আক্ষরিক দৌড়। মাকে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করব, তুমিও দৌড়ও মা? মা বলবেন, তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে তো।
পরে আরও অনেকবার হয়েছে, সেই মুহূর্তে প্রথমবার সন্দেহটা আমার মনে জেগেছিল। আমি থাকাতে মায়ের আদৌ কোনও সুবিধে হয়েছে, নাকি পুরোটাই ঝামেলা?
মোদ্দা কথা, টেলিফোন ভবন পৃথিবীর পাঁচটা জিনিসের মধ্যে একটা যেটা দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যায়।
ট্যাক্সির কাচ নামিয়ে গঙ্গার হাওয়া খাই। তারপর লেডিস লাইনে দাঁড়িয়ে রিষড়ার দু’খানা রিটার্ন টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে ঢুকি। গোটা চারেক ট্রেন একসঙ্গে ঢুকেছে। গিজগিজ করছে ভিড়, গমগম করছে প্ল্যাটফর্ম, টুংটাং বাজনা বাজিয়ে ভেসে আসছে যান্ত্রিক ঘোষণা।
অমনি ম্যাজিক! আমার বুকের ভেতর ব্যাটারির চার্জ এক লাফে একশো। পঞ্চেন্দ্রিয় টানটান, শিরদাঁড়া সোজা, চোখ সরু, কান খাড়া। বোর্ডের অর্ধেক আলো জ্বলছে না, কিন্তু তাতে আমাকে ঠেকায় কে। ক জ্বললেই কাটোয়া পড়ে ফেলছি, ত জ্বললেই তারকেশ্বর। ব দেখলেই বুঝে ফেলছি ব্যান্ডেল যাবে না বর্ধমান। এ প্ল্যাটফর্মে দশটা পঞ্চান্ন, ওটায় সাতান্ন। আমার লোকেশন থেকে আমার স্পিড, ভিড়ের স্পিড, ভিড়ের দিক, হকারের সংখ্যা, দু’পায়ে কিংবা একপায়ে দাঁড়াতে পাওয়ার সম্ভাবনা সব ভেরিয়েবল সামলে হিসেব চলছে মাথার ভেতর।
এমন সময় নাকের ডগার প্ল্যাটফর্মে একটা ট্রেন ঢুকল। গলগল করে উগরে দিল লোক। এরা লেটলতিফের দল, সকালবেলা গড়িমসি করার সময় মনে ছিল না, এখন সাক্ষাৎ উসেইন বোল্ট। অন্তত হাজারখানেক। ছুটে আসছে আমাদের দিকে। আমি অর্চিষ্মানের দিকে তাকাই। ওর অলরেডি নিচু গলা আরও নিচুতে নেমে গেছে।
কুন্তলা, এটায় যাবো না।
বেচারার রক্তশূন্য মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মায়া হয়। যদিও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ট্রেন ছেড়ে দেওয়া চালু এটিএম দেখেও টাকা না তোলার থেকেও কঠিন, তবু অর্চিষ্মানের রক্তশূন্য মুখের দিকে তাকিয়ে সেই কঠিন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। আর নেওয়া মাত্র মাথার ওপর মহিলা বলে ওঠেন, এত নম্বর প্ল্যাটফর্ম (আমাদের সামনের প্ল্যাটফর্ম) থেকে এত মিনিটে (তিন মিনিট পর) শ্রীরামপুর লোকাল ছাড়বে।
শ্রীরামপুর! অর্থাৎ বসতে পাওয়া প্রায় নিশ্চিত!
অর্চিষ্মানের উদ্দেশ্যে “ঠিক আমার পেছনে থাকবে” চেঁচিয়ে উঠে, ওকে আপত্তির সুযোগটুকুও না দিয়ে, সামনের সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়ি। বুকের ভেতর ব্যাটারি গনগন করে জ্বলে, আমি লাফিয়ে আলুর বস্তা টপকাই, ছানার জলে স্লিপ খেয়েও ব্যালেন্স হারাই না, ঠেলাগাড়ির লোহার চাকার সিকি মিলিমিটার দূর থেকে কড়ে আঙুলের নখ বার করে আনি, প্ল্যাটফর্মের ঠিক মাঝখানে চাদর পেতে অকাতরে ঘুমন্ত মানুষের চুলের ডগাও পাড়াই না। ঠেকে শেখা চোখের কোণায় এরই মধ্যে একটা কনুইয়ের আভাস, স্যাট্ করে বাঁয়ে কাটাই, কনুই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ওই তাড়াহুড়োর মধ্যেই অভিশাপ দিই। আমার মতো পাপীর শাপে বড় ক্ষতি হওয়ার আশা নেই, অন্তত আয়ু ঘণ্টাদুয়েক কমাতে পারলেও লাভ।
অবশেষে কামরা। জানালার ধার। ওদিকেরটা না। ঠাণ্ডার ধাতের লোকদের পক্ষে এদিকেরটাই ভালো। দুজনে জানালার ধারের দুটো সিট নিয়ে মুখোমুখি বসি।
এটা রোজ করতে?
সকালবিকেল। তাও এরকম বেলা এগারোটার সময় উল্টো দিকে নয়, অফিসটাইমে ভিড়ের দিকে।
অর্চিষ্মানের চোখে ভালোবাসা ছাপিয়ে সম্ভ্রম ফুটে ওঠে। আমারও নিজেকে ভালো লাগে বেশ। হলই বা ট্রেনে চড়ার মতো তুচ্ছ কাজ, সেটাও সার্থকভাবে সম্পন্ন করার মধ্যে যে তৃপ্তিটা আছে সেটা টের পাই।
*****
কলকাতা পরিষ্কার হয়ে গেছে একজনকে বলতে তিনি বললেন, হ্যাঁ, ধুলোগুলো ঝাঁট দিয়ে সব বাইরে ফেলছে তো। হিংসুটে নিন্দুক বলে উড়িয়েই দিতাম, যদি না আধবেলা পর রিষড়ায় ট্রেন থেকে নামতে হত।
রিষড়া ভাগাড় হয়ে গেছে। প্রতিটি ড্রেন থেকে উপচে পড়ছে কালো থকথকে পাঁক, রেললাইনের পাশের ঝুপড়িগুলোর চাটাইয়ের তলা দিয়ে ঘন তরল বয়ে এসে পড়েছে রাস্তার ওপর। রাস্তার প্রায় মাঝখান পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে বাজার, হাঁটার জন্য যেটুকু বাকি আছে সেটুকুতে ফুলকপির পচা পাতার কার্পেট। ওই উপচোনো নর্দমায় উবু হয়ে বসে প্রশান্ত মুখে বাথরুম করছে লোকজন। গরুকুকুরদের অ্যাট লিস্ট ঘেন্নাপিত্তি আছে। তাই ওদিকে এগোয়নি, রাস্তার মাঝখানেই কাজ সেরে রেখেছে।
সবথেকে আশ্চর্যের দৃশ্য হচ্ছে পাঁকের পর্বতের ওপর ফুলবেলপাতা বিক্রির ধুম। ভক্তির জোয়ার এসেছে। গলির মুখে একটা লোকনাথবাবার ফোটো দাঁড় করানো থাকত, এবার গিয়ে দেখছি ফোটো ঘিরে মার্বেলের মন্দির, গ্রিলের গেট। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত পরেরবার এসে দেখব কাড়ানাকাড়া বাজিয়ে পুজো চলছে, উড়ুনি জড়িয়ে পুরোহিতমশাই মন্ত্র পড়ছেন, ভক্তেরা হাওয়াই চটি খুলে হাতজোড় করে বসা। "বাড়ি যাব, চটিটা একটু সরাবেন দয়া করে?" বললে মোটা গলায় উত্তর আসবে, "দেখছেন না পুজো চলছে?"
আমার এত অবিশ্বাস্য লাগে। আমার চোখে, মনে, স্মৃতিতে যে মফস্বল শহরটার ছবি আঁকা হয়ে আছে সেটা কি গোটাটাই কল্পনা? মাকে জিজ্ঞাসা করি। এ রকম ছিল নাকি গো মা? মা মাথা নাড়েন। ছিল না। গত দশ বছরে পুরো বদলে গেল।
*****
মঙ্গলবার দুপুরে খানিকটা সময় হাতে ছিল, পাড়া বেড়িয়ে এলাম। কিছু শিশু দুড়দাড় করে বড় হয়ে যাচ্ছে, আমার দেখলেই সন্দিগ্ধ চোখে তাকিয়ে নিজের নিজের বাবামায়ের গলা আঁকড়ে ধরে। তাদের পাখিপড়া পড়িয়ে এলাম যে আমি তাদের সোনামাসি কিংবা সোনাপিসি। পরেরবার গেলে মনে থাকবে কি না কে জানে। কিছু স্কুপও জোগাড় হল। বাড়িতে নতুন রং, বিকেলবেলা টাটা সুমো চড়া অচেনা অতিথিটতিথি দেখেই সবাই আঁচ করেছিল, তারপর যখন দোতলার খোলা জানালা দিয়ে উদার গলায় শোনা গেল, “আরে আলাপটা তো অন্তত হল” তখন সবাই নিশ্চিত হল যে ছেলের বিয়ে। আমি যাদের বাড়ি গেছিলাম তাদের বসার ঘর আবার দোতলার জানালার মুখোমুখি। কাজেই তারা ডেটটাও মিস করেনি। বাড়ি এসে জানিয়ে দিলাম। ক্যালেন্ডার খুলে দেখা গেল সেদিন কারওরই কোনও বেড়াতে যাওয়া, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেই, নিশ্চিন্তে নেমন্তন্ন খাওয়া যাবে।
মা বললেন, চল ঠাকুমাকে বলে আসি। মনটা একটু ভালো হবে।
ঠাকুমা একেবারেই লবেজান হয়ে পড়েছেন। নেহাত দরকার না পড়লে কথা বলেন না। পাশ ফিরতেও হয় রীণামাসি নয় বিজলিদিকে লাগে। শুরুতে আমার আর অর্চিষ্মানের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন। আমার বুক শুকিয়ে গিয়েছিল, আর হয়তো কথা বলবেন না। খানিকক্ষণ গা ঘেঁষে বসে থাকার পর বললেন, “ঝগড়া হয়?” হয় না জানানোর দু’মিনিট পর জিজ্ঞাসা করলেন, “শাশুড়ি ভালোবাসে?” বললাম “হ্যাঁঅ্যাঅ্যা”। মুখে যে স্বস্তিটা আশা করেছিলাম সেটা ফুটল না। উল্টে দৃষ্টি অর্চিষ্মানের দিকে ঘুরল। অর্চিষ্মান তাড়াতাড়ি “হ্যাঁ হ্যাঁ ভীষণ ভালোবাসে” আশ্বাস দেওয়ার পর ঠাকুমার দৃষ্টির প্রখরতা কমে এল। বললেন, “ভালোবাসলেই ভালো।”
যাই হোক, ঠাকুমার মন ভালো করতে আমরা সবাই মিলে আসন্ন বিয়ের খবর দিতে গেলাম। লেপ সরিয়ে ঠাকুমার ডান কানের কাছে মুখ নিয়ে মা চেঁচিয়ে বললেন, “শুনেছেন মা, ব-এর তো বিয়ে।” ঠাকুমা শূন্য চোখে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর ‘হ। বহরমপুরের মাইয়া।’ বলে চোখ বন্ধ করলেন। যেন জীবনের প্রতি তাঁর আর একবিন্দু আসক্তি বাকি নেই।
khub khub mon bhalo kora lekha... bari jete ichhe korchhe bhishon...anekdin por kakima ke niye lekha pore aro besi bhalolaglo.... even amar meye r amio sob theke priyo golpo gulo rastay hente hente kori (jokhon kono kaje beroi), jotoi barite bokbok korina keno (tao abr mote 5 yrs er meye!) ...in fact or ma er office jawata ekta oti priyo bishoy er modhye pore.... - Bratati.
ReplyDeleteওরে বাবা, মায়ের অফিসে যেতে কী যে ভালো লাগত, ব্রততী। আমি একবার মা'কে প্রস্তাব দিয়েছিলাম গরমের এবং পুজোর ছুটিতে আমি রোজই মায়ের সঙ্গে অফিস যাব। এবং একটুও জ্বালাব না, "টুলে বসে থাকব"। কেন টুলে, কেন চেয়ারে নয় সেটা একটা রহস্য। তুমি আর তোমার মেয়ে রাস্তায় গল্প কর শুনে ভালো লাগল। আমি আর আমার মা-ও সারারাস্তা বকবক করি।
Delete"মামারা সবাই হেঁটে হেঁটে করিডর দিয়ে বেরোচ্ছে, কিন্তু মাসিরা সকলেই দৌড়চ্ছে। বাঁহাতে শাড়ির কুঁচি, ডানহাতে কাঁধ থেকে হড়কে পড়া শাড়ির আঁচল সামলে আক্ষরিক দৌড়। মাকে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করব, তুমিও দৌড়ও মা? মা বলবেন, তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে তো।
ReplyDeleteপরে আরও অনেকবার হয়েছে, সেই মুহূর্তে প্রথমবার সন্দেহটা আমার মনে জেগেছিল। আমি থাকাতে মায়ের আদৌ কোনও সুবিধে হয়েছে, নাকি পুরোটাই ঝামেলা?"
এটা বোধ হয় পৃথিবীর সব মায়েদের কমন গল্প| বাবারা বরাবরই প্রিভিলেজড|
আমি নিশ্চিত, অন্বেষা, বাবাদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলবেন তাঁরা মোটেই প্রিভিলেজড নন।
DeleteHappy New Year! 2015 - 173, 2016 - 176!! Hoping 2017 will bring 200+ posts :) Apnake ar Archishman da ke onek onek Subhechha.
ReplyDeleteহ্যাপি নিউ ইয়ার, রণদীপ। অনেক শুভেচ্ছা ভালোবাসা তোমাকেও। খুব পার্টি করলে নাকি? ২০০+ পোস্টের ব্যাপারটা আমার গোপন রেজলিউশনের লিস্টে আছে, তুমি ধরে ফেলেছ দেখে চমৎকৃত হলাম।
DeleteOk, BTW sob sohortoli bodhoy ager theke oporichhonno hoye gechhe. Asansol/Burnpur/Durgapur ager theke onek beshi jachhetai :(
Deleteকেন কে জানে। এত খারাপ লাগে।
Deletekhub bhalo likhechen.
ReplyDeleteNotun bochhor khub bhalo katuk. :)
আপনার এবং আপনার প্রিয়জনদেরও দু'হাজার সতেরো দারুণ কাটুক, অরিজিত।
Deleteki bhalo lekha, mon bhalo hoye gelo :) tinni
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, তিন্নি।
DeleteHappy new year Kuntala! Tomar lekha pore amar o bari jetey icche korche ekhon.
ReplyDeleteহ্যাপি নিউ ইয়ার, শর্মিলা! তোমার আর ভালোবাসার সবার নতুন বছর ভীষণ ভালো কাটুক।
DeleteSesh tuku pore ektu mon kharap hoye gelo , kintu ei jaaygata pore jore jore hesechi : “শাশুড়ি ভালোবাসে?” বললাম “হ্যাঁঅ্যাঅ্যা”। মুখে যে স্বস্তিটা আশা করেছিলাম সেটা ফুটল না। উল্টে দৃষ্টি অর্চিষ্মানের দিকে ঘুরল। অর্চিষ্মান তাড়াতাড়ি “হ্যাঁ হ্যাঁ ভীষণ ভালোবাসে” আশ্বাস দেওয়ার পর ঠাকুমার দৃষ্টির প্রখরতা কমে এল।"
ReplyDeleteNotun bochor khub bhalo katuk Kuntala!
আমার তরফ থেকেও নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা রইল, মহুয়া।
DeleteEto bochhor Abantor porte porte tomar prochur barir loker songe alap hoeche. Tobe sobbar modhye tomar thakuma amar favourite. :)
ReplyDeleteআমারও বিম্ববতী। হাই ফাইভ।
DeleteThakuma r ongsho ta durdanto !!!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, তিলকমামা। হ্যাপি নিউ ইয়ার!
DeleteHaha, oi bhir train e othar galpota ebar amaro hoyechhe, Tobe apnar jaigay ami, ar ultodike Poulami. Khub bhalo laglo pore. Bahrampurer maiya ta mokkhom.
ReplyDeleteট্রেন লাইনের বাইরের লোকজনকে ট্রেনে চড়া দিয়ে ইমপ্রেস করা যায় এটা আবিষ্কার করে আমি চমৎকৃত, সুগত। এর পরের বার থেকে ইচ্ছে করে অফিসটাইমের ট্রেনে কেরামতি দেখাব ভাবছি।
DeleteTomar thakumar golpo shunte amar khub bhalo lage. Khub bhalo thakun thakuma. Buro boyes ta boro koshter.
ReplyDeleteসুস্থ থাকলে তবু একরকম, কুহেলি, ঠাকুমার সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে। তবু আমি স্বার্থপরের মতো ঠাকুমার না থাকাটা কল্পনাও করতে চাইছি না।
Deletedarun darun lekha..mon ta jhok jhok e hoe gelo tomar lekha ta pore....hevy hevy...train e chorte alada moja..kakima ki oi babughat thekei train dhorten...amar khub bhalo lage oi por por station gulo..sob gongar dhare dhare..
ReplyDeleteprosenjit
না প্রসেনজিৎ, মা ফেয়ারলি থেকে লঞ্চে করে হাওড়া আসত তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে রিষড়া। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Deletetumi nimnolikhito station naam ta dekhecho mone hoy..
DeleteTALANDU.. :-). main line ei ..
prosenjit