লেপকম্বল
ফেরার সময় মা কেক দিলেন, পুরীর খাজা দিলেন, গাছ থেকে একটা পাকা পেঁপে নেমেছে সেটা দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তারপর চোরচোর মুখে একখানা সুটকেস নিয়ে এলেন।
এটা অন্তত নিয়ে যা সোনা।
মায়ের পক্ষেও হঠাৎ অকারণে একখানা সুটকেস গছাতে চাওয়া অস্বাভাবিক। আমি প্রথমে চোখ কপালে তুললাম। তারপর সন্দেহ হতে সুটকেস হাতে তুলে দেখলাম ভেতরে মালপত্র আছে। খুলতেই একখানা চমৎকার সাদাবেগুনি ছোট ছোট ফুলছাপ ওয়াড় পরানো নতুন লেপ বেরিয়ে পড়ল।
আন্দাজ করা উচিত ছিল। কারণ আমি জানি বাড়িতে ক’দিন আগে একটা লেপ বানানো হয়েছে। মায়ের জন্য। কাজেই আমারও যে একটা লেপ জুটবে সেটা বলা বাহুল্য। ধরা যাক আমি মাংসভাত খাচ্ছি, আর মা খাচ্ছেন দুধভাত। আমি মহানন্দে খাচ্ছি, মাকে সাধছিটাধছি না। খানিকক্ষণ বাদে মা বলবেন, সোনা, দুধভাত খাবি নাকি একটু? খুব ভালো খেতে লাগছে। ভালো কিছু জিনিস মা একা একা ভোগ করবেন, আমাকে বাদ দিয়ে, এ যেন শাস্ত্রে বারণ। পয়লা আষাঢ় খবরের কাগজে মেঘের ছবি ছাপা হলে মা কেটে রাখেন। একসময় পোস্টঅফিসে গিয়ে পোস্ট করতেন, বকা খেয়ে থেমেছেন। এখন বাড়িতে ফাইল করে রাখেন, আমি গিয়ে দেখব বলে। এমন ভালো জিনিস উনি দেখলেন আর আমি মিস করে গেলাম, চলবে না। সেই মা নতুন লেপ দিয়ে শোবেন আর আমি সেই পুরোনো লেপে, এটা আশা করাই আমার অন্যায় হয়েছিল।
কড়া করে, ‘পাগল নাকি?’ বলে লেপশুদ্ধু সুটকেস ফেলে রেখে চলে এসেছি। আমার বাড়িতে আর এক্সটা লেপ রাখার জায়গা নেই, আনলে গায়ে মুড়ি দিয়ে বসে থাকতে হবে।
অবশ্য কাউকে যে লেপমুড়ি দিয়ে থাকতে দেখিনি এমন নয়। আমাদের পাড়ায় এক কাকু ছিলেন, তিনি সারা বছর গামছা পরে ঘুরতেন। বাড়িতে, বারান্দায়, ছাদে, পাড়ার মোড়ে। এমনকি কাকিমা জল বসিয়ে যদি দেখতেন চা ফুরিয়ে গেছে কিংবা চিনি নেই তখন কাকু “কুছ পরোয়া” নেই বলে গামছা পরেই বাইক চেপে দোকান চলে যেতেন।
সেই কাকুরই পুজো ফুরোলে অন্য চেহারা। স্বাভাবিক চাদরে কাকুর শীত ঘুচত না। তাই বিছানার চাদর জড়িয়ে ঘুরতেন। ডিসেম্বর এলে চাদর বদলে হয়ে যেত লেপ। সকালবেলা ছাদে ঘুরে ঘুরে মোগল সাম্রাজ্যের পতন মুখস্থ করছি এমন সময়, ‘কী সোনা, প্রিপারেশন ভালো হচ্ছে তো? পড় পড় মন দিয়ে পড়।’ আমি এদিকওদিক তাকাচ্ছি, কেউ কোথাও নেই। খালি কাকুর বারান্দা থেকে একটা লাল রঙের লেপ কথা বলছে। তারপর বুঝলাম লেপের ভেতর কাকু আছেন। লেপমুড়ি দিয়ে কাকু স্পোর্টসে পাড়ার মাঠে যেতেন, পাড়ার মোড়ে পি এন পি সি করতে যেতেন। তবে লেপমুড়ি দিয়ে তাঁকে বাইক চালাতে দেখিনি কোনওদিনও।
রিষড়া স্টেশনে একজন ছিলেন যিনি বারোমাস লেপ মুড়ি দিয়ে বসে থাকতেন, তাঁকে আমরা ঘাঁটাতাম না।
মোদ্দা কথা আমাদের দিল্লির বাড়িতে লেপের অভাব নেই। দুজনের ব্যাচেলর অবস্থার সিংগল লেপ, বিবাহিত অবস্থার ডবল লেপ, নাকতলার মায়ের দেওয়া হালকা জয়পুরি লেপ। গোটা দুয়েক ভুশকো কম্বলও আছে যেগুলো কোথা থেকে এসেছে কেউ জানে না। আমি তো কিনিনি। অর্চিষ্মানের দিকে তাকালে ও-ও পত্রপাঠ ঘাড় নাড়ে। আমিও না।
কম্বল কেমন লাগে আপনার? আমার বিতিকিচ্ছিরি লাগে। কুটকুটে। ওয়াড় না পরালে গায়ে ঠেকানো যায় না। তাছাড়া জিনিসটাকে দেখলেই মনে হয় নোংরা। নাকের কাছে আনলে নির্ঘাত গন্ধ বেরোবে। তবে সবই ছোটবেলার কন্ডিশনিং। ছোটবেলায় বাড়িতে সর্বদা লেপই দেখেছি তাই লেপ ভালো লাগে। কম্বল দেখিনি তাই কম্বল খারাপ। কম্বল ব্যবহার হত একমাত্র হোটেলে আর রাজধানীতে। রাজধানীর কম্বল গায়ে দেওয়ার আগে নানারকম কায়দা করতাম। দুটো চাদরের একটা বাংকে পাততাম, অন্য চাদরটা গায়ের ওপর পেতে তার ওপর দিয়ে কম্বল। গলার কাছে নিচের চাদরটা সামান্য ওপরদিকে টেনে এনে কম্বলের ধার বেশ করে মুড়ে নিতাম, যাতে গলা কুটকুট না করে।
দিল্লির শীতে চলবে না, তবে পছন্দের দিক থেকে লেপকম্বল দুইয়ের থেকেই আমার বেশি পছন্দ কাঁথা। এ ভালোলাগার মূলেও শৈশবের স্মৃতি। আমাদের বাড়িতে কাঁথার অভাব ছিল না, কারণ কাঁথাশিল্পী বাড়িতেই থাকতেন। ঠাকুমার মতো কাঁথা বানাতে আমি কম লোককেই দেখেছি। ঠাকুমার কাঁথা, কেজো কাঁথা। ফ্রেমে বাঁধিয়ে দেওয়ালে টাঙানো যাবে না, কিন্তু গায়ে দিলে শীত যাবে। পুরোনো সাদা শাড়ির জমি দিয়ে হত কাঁথার গা, আর পাড় দিয়ে হত কাঁথার পাড়। কাঁথার ভেতরে থাকত কোটি কোটি ফেলে দেওয়া ছোট বড় সমান অসমান কাপড়ের টুকরো। কাঁথা সেলাইয়ের সুতোও ঠাকুমা নিজের পুরোনো ছেঁড়া শাড়ি থেকে বার করতেন। সামনের বারান্দায় বসে মন দিয়ে শাড়ির একটা একটা সুতো টেনে টেনে বার করতেন, আঙুলে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সেলাইবাক্সে পুরে রাখতেন যাতে জট না পাকিয়ে যায়। এদিকে মশারা ছেঁকে ধরে প্রায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জোগাড়। ঠাকুমার হুঁশ নেই। হঠাৎ হুঁশ ফিরলে প্রচণ্ড রেগে একধাক্কায় গোটা পঁচিশ মশা মেরে ফেলতেন। তারপর মৃতদেহগুলো একজায়গায় জড়ো করে রাখতেন। কেউ পাশ দিয়ে গেলে যাতে দেখাতে পারেন। ঠাকুমার পরিশ্রমের ট্রফি।
লেপকম্বলকাঁথা দিয়ে মানুষের চরিত্র বিচার করা যায় বলে আমার ধারণা। আপনি শীতকালে কারও বাড়ি গেলেন, সে আপনাকে বক্সখাটের ভেতর থেকে লেপ বার করে দিল। হয়তো সেই আগের বছর ভাঁজ করে রাখা হয়েছিল। ভাঁজ খোলা মাত্র ন্যাপথলিনের গন্ধ আর বছরখানেকের জমাটবাঁধা ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডা যাবে কী, ঢোকার পর অন্তত দশ মিনিট আপনি হি হি করে কাঁপবেন। আবার কেউ কেউ আপনার যাওয়ার খবর পেয়ে লেপ বার করে বারান্দা কিংবা ছাদে মেলে রাখবেন। ন্যাপথলিনের গন্ধ হাওয়ায় উড়ে যাবে, তুলোরা গিঁট খুলে হাত পা ছড়াবে, সূর্যরশ্মি তাদের ফাঁকেফাঁকে ঢুকে ঘাপটি মেরে বসবে। রাতে যখন আপনি সে লেপের ভেতর ঢুকবেন, আপনার গায়ে মিষ্টি মিষ্টি সেঁক দেবে। সুখস্বপ্ন গ্যারান্টিড।
লেপকম্বল ব্যবহারের রকম দেখেও মানুষ চেনা যায়। মুখচোরা লোক সর্বাঙ্গ লেপাবৃত করে শোয়, আত্মবিশ্বাসী দামালরা মাঝরাত যেতে না যেতেই হাত পা ছুঁড়ে লেপের বাইরে বার করে ফেলে। আর আমার মতো মুখচোরা প্লাস মৃত্যুভয়ে জর্জরিত যারা তারা সারা গা লেপে ঢেকে নাকটুকু বাইরে রাখে। পাছে দমবন্ধ হয়ে মারা যায়।
বাংলা সাহিত্যে লেপকম্বলকাঁথার এক অসামান্য অবদান আছে বলে আমি মনে করি। একটা গল্প পড়েছিলাম বহুদিন আগে। লেখকের নামটাম ভুলে গেছি। কিন্তু গল্পটা ভুলতে পারিনি।
এক চোর চুরি করতে ঢুকেছে এক বাড়িতে। গরিব বাড়ি, মাটির দেওয়াল, কিন্তু আমাদের চোরও নির্লোভ। তাছাড়া শীত প্রচণ্ড। আর ঘুরতে ইচ্ছে করছে না চোরের। অল্পস্বল্প হলেই তার চলে যাবে। মাটির দেওয়াল সিঁধ দিয়ে কেটে চোর ঘরের মধ্যে ঢুকল। অন্ধকার ঘর, কোণায় একটা কুপি জ্বালা। চোর প্রথমে কিছুই দেখতে পেল না। খানিকক্ষণ পর কুপির আলোয় চোখ ধাতস্থ হলে চোর দেখল ঘরের এককোণে একটা তক্তপোষের ওপর লেপের ঢিপি। ঢিপির তলায় নিশ্চয় কেউ শুয়ে ঘুমোচ্ছে। চোর হাতড়ে হাতড়ে দেখতে শুরু করল নেওয়ার মতো কিছু আছে কী না। হাতড়াতে গিয়েই সে বুঝল বাইরে থেকে বাড়ির মালিককে যত গরিব মনে হয়েছিল তিনি আসলে তার থেকে অনেক বেশি গরিব। কিছুই প্রায় নেই। কিছু হাঁড়িকড়া মাটির দেওয়ালের পাশে সাজানো ছিল, নাড়তে গিয়ে খালি হাঁড়ি বেজে উঠল। আর অমনি নড়ে উঠল লেপ। লেপের ভেতর থেকে খুনখুনে বুড়ি গলা কেঁপে কেঁপে বলল, শিবু এলি নাকি?
চোর চুপ করে রইল। বুড়ি বলল, খাবার ঢাকা আছে কুপির কাছে। চোর গুটি গুটি কুপির কাছে গিয়ে থালার ঢাকা তুলে দেখল পোলাও মাংস, মণ্ডা মিঠাই। ঠাণ্ডায় চোরের মগজের ঘিলু জমে গিয়েছিল, কাজেই এরকম হাঘরে বাড়িতে এসব সুখাদ্য আসে কী করে এসব কঠিন প্রশ্ন তার মাথায় এল না, সে হামহাম করে সব খেয়ে ফেলল। বুড়ি শিবুকে খুবই ভালোবাসে বলতে হবে, থালার পাশে আবার জলও ঢাকা দেওয়া ছিল। জল খেয়ে চোর গুটি গুটি বেরোতে যাবে এমন সময় লেপ আবার নড়ে উঠল। খুনখুনে স্বরে বুড়ি বলল, আমার মাথাটা একটু টিপে দে না রে শিবু, বড্ড ধরেছে।
আমাদের চোর, চোর হলে কী হবে, কৃতজ্ঞতাবোধ তার খুব ছিল। সে গেল বুড়ির মাথা টিপে দিতে। তক্তপোষের একপ্রান্তের লেপের তলা দিয়ে হাত ঢোকাতে হাতে ঠেকল হাড় বার করা, গুলি উঁচোনো দু’খানা গোড়ালিফাটা পায়ের পাতা। খুনখুনে গলা বলে উঠল, ওরে ওদিকে না, এদিকে। চোর তক্তপোষের ওদিকে গিয়ে লেপের ভেতর হাত ঢোকালো আর তার হাতে ঠেকল হাড় বার করা, গুলি উঁচোনো দু’খানা গোড়ালিফাটা পায়ের পাতা।
অনেকেই বলবে গল্পটা চোরের। কেউ কেউ ভূতেরও বলতে পারে। কিন্তু আমার ধারণা গল্পটা আসলে লেপের। তাই লেপসংক্রান্ত পোস্টে লিখে দিলাম।
Ma ebong thakuma....... dujonei durdanto !!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, তিলকমামা।
DeleteDurdanto!!
ReplyDeleteSokalbela lep er om gaye makhte darun laglo.
Golpota sharodiya anandamelay beriyechhilo, chor tar nam chhilo Chunnu. tobe lekhoker naam bhule giyechhi.
আরে থ্যাংক ইউ, অরিজিত। গল্পটা আমার মনে একেবারে দাগ কেটে বসে গেছে। এত সুন্দর নামওয়ালা চোরের গল্প বলে কথা।
Deleteতার মানে আমি হলাম মুখচোরা, আর পৃষাদেবী হলেন আত্মবিশ্বাসী দামাল। তেনাকে প্রতি ঘন্টায় লেপ জড়িয়ে দিতে হয়।
ReplyDeleteতবে আবহাওয়া দপ্তর বলছে সোমবার থেকে ধুন্ধুমার শীত পড়বে দিল্লিতে। এইবেলা লেপগুলোকে রোদ খাইয়ে রাখুন।
আমাদের রোদ খাওয়ানোর উপায় নেই, দেবাশিস। আমরা রোদে দিয়ে যাব, তারপর বৃষ্টিট্রিষ্টি নামলে কেলেংকারি।
Deleteuff!! darun laglo tomar golpo, ma er golpo, thakuma r golpo, r golper modhye chorer golpo sob...lep gaye deoar byapare tomar sathe ami high ten koralm ekkebare...- Bratati.
ReplyDeleteহাহা, হাই টেন, ব্রততী।
DeleteAmader barite lep kambol dutori chol chhilo.
ReplyDeleteAmar jakhon 5 bachhor boyes, baba Allahabad e bodli holo. Bon takhon 1 bachhorer Kom. Sange lep gelo. Kambol gelo na Kena holo mone nei. Tar por sheet jakhon asbo asbo korchhe takhon amader kajer bouta sei lep kambol dekhe minute paanchek bose bose haslo. Ektu kendeo chhilo bodhhoy, oi lepe amra Allahabad er sheet katabo shune. Tai amra notun lep koralam.
Se ekta lep bote. Amader double bed er maape, ar bodhhoy kg-ponchashek ojon. Amar bichhana alada howar boyes obdhi 4 Jon otar nichei shutam. Khub shiter dine garom joler botol rekhe dewa hoto or tolay. Eka tolar ki bhanj korar khamota karuri chhilona, jodio ma konomote korto. bon aro boro howar por ma lepe owar porate oke bhitore dhukiye dito, o hama diye giye konagulo thik kore asto. O class 6-7 e pora obdhio eta korechhe. Ami aboshyo tatodine onyo ghore shui, multiple kamboler niche.
Kambol amader 4-5 ta chhilo, kutkut korleo useful, karon bachhorer sheshe winter vacation e Hooghly asar samay train e ogulo gaye ditam. Amader sange ekta suitcase thakto just 4te kambol. Pore tar ekta halka Jaipuri lep diye replace hoy. Train e aboshyo taate sheet katena, kintu ki ar kora. Train hok ba bari, ami konodini naak chapa diye shute parina. Amader Hooghly r barite arekrakom jinis chhilo, laisampi bole, tobe tar golpo onyo kono samaye hobe.
Baba retire kore Hooghly chole asar por sei lep ta bhenge chhoto lep banano holo. Tar por 2013 te USA ese IKEA r halka lep dekhe ma baba obak hoye bollo, oma, ki sundor halka ar garom, ekta kine niye jaai. Amio khub Khushi hoye kine dilam, aha buro boyese ektu bhalo jinis use koruk. O hori, se lep tara gaye dayna. Seta tola thake, amra ba bonera sheetkale berate gele seta rode diye amader bichhanay dewa hoy. Tobe labher modhye halka bole narachara korte mayer subidhe. Tobe idaning sheeter ja haal, ota gaaye dile praayi garom kore.
Khub bhalo laglo apnar lekhata pore, purono katha mone pore gelo. Prosongoto bole rakhi, oi mosha mere body jomiye rakhar swabhabta amaro chhilo school life e. Ar oi chorer galpota amio porechhi.
দারুণ লাগল আপনার ছোটবেলার লেপকম্বলের গল্প পড়তে, সুগত। বিশেষ করে সুজাতার লেপের মধ্যে ঢুকে কোণা সমান করার অংশটা। থ্যাংক ইউ।
Deleteআমাদের আসামের বাড়ীতেও লাইসাম্পি ছিলো। ওটা মনে হয় মনিপুর থেকে এসেছিলো।
DeleteMaa er deya lepta anlena? Ekhane lep pawa jayena ... tai amar purono lep ta ekhono shamle rekhe diyechi. Lep er ador ... shey ki ar Jaipuri razai te pawa jaye (eyijonne bollam karon Rajsthan e sosur bari ... bujhtei parcho :) )
ReplyDeleteChor er golpo ta darun!
লেপ রেজাইয়ের তুলনাটায় আমি একমত, শর্মিলা।
Deleteamader barite lep kombol katha sob chole kombol mane kukute kombol na kintu norom kombolta ^_^ -PB
ReplyDeleteআরে নরম কম্বল আমিও গায়ে দিয়েছি, প্রদীপ্ত। ওটা নেহাতই পক্ষপাত।
Deletedarun darun lekha, bhishon ananda pelam pore :) :) tinni
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, তিন্নি।
Deleteআর আমার মতো মুখচোরা প্লাস মৃত্যুভয়ে জর্জরিত যারা তারা সারা গা লেপে ঢেকে নাকটুকু বাইরে রাখে। পাছে দমবন্ধ হয়ে মারা যায়।
ReplyDeletee amio ei dol e..oto binoy koro na...hevy lekha..darun..ki dichcho mama ki dichcho...por por eto bhalo bhalo lekha
prosenjit
থ্যাংক ইউ, প্রসেনজিৎ।
Delete"মুখচোরা লোক সর্বাঙ্গ লেপাবৃত করে শোয়, আত্মবিশ্বাসী দামালরা মাঝরাত যেতে না যেতেই হাত পা ছুঁড়ে লেপের বাইরে বার করে ফেলে।" - সব্বোনাশ, মা তো বলেন আমি রেগুলার মাঝরাতে লেপকম্বল ছুঁড়ে ফেলে শীতে ককাই, যদিও হোস্টেলে সেরকম হয় না ;)
ReplyDeleteওই লেপ থেকে হাতপা বার করে ফেলার ঘটে, অন্বেষা, আমার ধারণা তখনই ঘটে যখন লেপ আবার টেনে গায়ে দিয়ে দেওয়ার লোক থাকে। আমিও নাকি ছোটবেলায় হাত বার করে ফেলতাম লেপ থেকে বারবার, মাকে বারবার উঠে পরীক্ষা করতে হত যে আমার গোটাটাই লেপের ভেতর আছি কিনা। যবে থেকে দেখার লোক থাকল না, তবে থেকে আমার রোগও সেরে গেল।
Deleteযবে থেকে দেখার লোক থাকল না, তবে থেকে আমার রোগও সেরে গেল।
Deleteki kore lekho go ..onekk khon chupp kore chilam line ta pore..yo d boss
prosenjit
Ekhon toh khub bhalo bhalo norom kombol paoa jai! Chhotobelai amio khub kombol opocchondo kortam. Ar aajkal toh lep gaye deor moto seetei pore na!
ReplyDeleteতা বটে, রুণা। আজকাল কম্বলের কোয়ালিটি অনেক বেটার হয়েছে।
Deleteপড়তে দেরী হলো তাই কমেন্টো দেরীতে। লেপ কম্বল বাহারি কম্বল কম্ফোর্টার সবার মধ্যে ঠান্ডা কাটাতে সবার সেরা কিন্তু তুলোর লেপ। একবার কি হয়েছে, ডিসেম্বরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে দেশে গিয়েছি। সাধারণত গরমকালেই যাই। বারাসাতে কিছু কম ঠান্ডা পড়েনা, তারপর সেন্ট্রাল হিটীং নেই, কল খুললেই গরম জল নেই, বিছানা বরফের মতো ঠান্ডা। আমার মা নাতনীর জণ্য অনেক দামী নরম সুন্দর কম্বল কিনে রেখেছিলেন। আমি ওর পাশেই নো ননসেন্স দেশী ভারী লেপ গায়ে দিয়েছি। ওর ওই কম্বলে হলোনা, লেপের তলায় সেঁধোলো। তারপর পুরো ছুটিটা ও লেপের তলাতেই কাটিয়ে দিলো। লেপ ছেড়ে উঠতোইনা বলা যায়। আর শীতে কখনো যাবে না ঠিক করেছে। তাই বলছি, লেপের জবাব নেই। মোটা কুটকুটে কম্বলও কিন্তু ওয়ার পরিয়ে খুব গরম হয়, শিলং এর ঠান্ডায় কাজে দিতো। তোমার মায়ের কষ্ট হয়েছে নিশচয় নতুন লেপ নিয়ে এলেনা বলে। পৃথিবীর সব মায়েরাই এইরকম।
ReplyDeleteআমারও উত্তর দিতে দেরি হল, অমিতা। যাক, দেশের শীত মুখ রেখেছে দেখে খুশি হলাম। মায়েদের ব্যাপারটায় একমত।
Deleteআমি সবেতে এত লেট হয়ে গেছি ! লেপ মুড়ে শোওয়া থেকে আমার ধরণ টা যে কী ভাবতে গিয়ে মুস্কিলে পড়লুম। আমি মাথামুড়ি দিয়ে শুই কিন্তু মাঝরাতে হাত পা ছুঁড়ে গা থেকে লেপ ফেলে দিই, সে যতই ঠাণ্ডা থাক।
ReplyDeleteকিন্তু যেটা পরে সবথেকে আশ্চর্য হলাম, আপনার ঠাকুমার মশা মেরে জমিয়ে রাখার কথা। আমিও ছোটবেলায় এই কাজটা করতাম, শেষে গুনে দেখতাম আজ কটা মশা মারলাম। এইটাও যে কারও সাথে কমন পড়তে পারে, ভাবা যায়!
হাহা, আমরা সবাই ভীষণ একে অপরের মতো, ময়ূরী।
Delete