Posts

Showing posts from August, 2017

কয়েকটা লিংক

Image
If it sounds like writing, I rewrite it.                                                                                           —Elmore Leonard হীরে নয়, গরু নয়, ড্রাগ নয়। বই স্মাগলিং। তাও নিজেদের ভাষা বাঁচানোর মহৎ উদ্দেশ্যে।   মানুষের মাথায় বাজ পড়লে কী হবে আন্দাজ করা শক্ত নয়। নদীতে বাজ পড়লে কী হবে সেটা আন্দাজ করার দরকার নেই, এঁরা ভিডিও তুলে দেখিয়েছেন।   সাইজ যখন সত্যি সত্যি ম্যাটার করে।   অরওয়েলের বাড়িখানা , আহা। আমার দ্বিতীয় পছন্দের বাড়ি হেমিংওয়ের।   লতা লজ্জাবতী হয় জানতাম, বৃক্ষ যে লাজুক হয় এই জানলাম।   গাছেদের নাম নেকড়ে হয় সেটাও নতুন জানা হল।   এঁরা বলছেন আমি নাকি সেমিকোলন। আপনার যতিচিহ্ন জানুন, ইচ্ছে হলে আমাকে জানান।   তিন্নি আর অর্চিষ্মানের যৌথ সৌজন্যে বহুদিন বাদে এই গানটা...

পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা ১৪২৪/ শেষ পর্ব

Image
উৎস গুগল ইমেজেস জিভ থেকে পেট পর্যন্ত দুধ যেন প্রভাতফেরি গাইতে-গাইতে নেমে গেল।                                                         —শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জং বাহাদুর সিংহর নাতি দ্বিতীয় পর্বের গল্প যে উপন্যাসটা দিয়ে শুরু করব, সেটা আমি পড়েছি বাকি উপন্যাসগুলো পড়ার পর। কারণ আমি জানতাম এই উপন্যাসটাই আমার সবথেকে ভালো লাগবে। লেগেওছে। জং বাহাদুর সিংহর নাতি/ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় শীর্ষেন্দুর উপন্যাসের প্লট নিয়ে নতুন করে লেখার কিছু নেই, কারণ উনি নতুন কিছু লেখেননি। সেই গঞ্জ, সেই বড়বংশের গরিব ছেলে, বিবিধ স্তরের বিবিধ চরিত্র। ডাকাত, ছিঁচকে চোর, ভূত, পুলিশ, প্রোমোটার। এ গল্পে গোলযোগ বেধেছে প্রোমোটার আর বাড়িওয়ালার মধ্যে। বিস্তর গোলযোগের শেষে ঘুমন্ত শক্তির জাগরণ দিয়ে গল্প শেষ। এই চর্বিতচর্বণের পরেও আমার শীর্ষেন্দুর উপন্যাস সেরা লাগার কারণটাও নতুন কিছু নয়। ১৪২৩-এ এই কারণটাই বলেছিলাম, আমার বিশ্বাস ১৪২৫-এও এই কারণটাই বলব। ...

ছোট গল্প

এই গল্পটা ভুলেই গিয়েছিলাম।   বাড়িতে একরকম বাংলা, স্কুলে আরেকরকমের, পাঁচ-ছ বছরের বাচ্চা মেয়ের পক্ষে সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়ত। একদিন আমার ছোট্ট মা স্কুলের বন্ধুদের সামনে জুতোর বদলে জুতা বলে ফেললেন। (সম্ভবত zুতা বলেছিলেন।) একজন বলল, “অ্যাই দেখ, ও না জুতোকে জুতা বলে। বাকিরা জিজ্ঞাসা করল, “অ্যাই তোরা জুতোকে জুতা বলিস কেন রে?” এরপর থেকে খুব সাবধানে রইলেন মা, পরের বার প্রসঙ্গ উঠতেই দাঁতটাত খুব কষে চেপে উচ্চারণ করলেন, ’জুতোমুজো’। সবাই বলল, “অ্যাই দেখ , ও না মোজাকে মুজো বলে। অ্যাই তোরা মোজাকে মুজো বলিস কেন রে?”  

আমার যদি ক্ষমতা থাকত

১। শুক্রবার রাতের ফিলিংটা পুরে রাখতাম  একটা   বড়ির   মধ্যে ।  প্রতি রবিবার রাতে একটা করে খেতাম।     ২। শনিরবি যেমন থাকার থাকত, সপ্তাহের মাঝখানে, বুধবার, আরেকটা ছুটির ব্যবস্থা করতাম। ৩। গরমকালটা কমিয়ে মে-জুন বেঁধে দিতাম, শীতকালটা বাড়িয়ে নিতাম অক্টোবর থেকে এপ্রিল অবধি। বাকি সময়টা ফুরফুরে হাওয়া আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি। একসঙ্গে কিংবা আলাদা আলাদা। ৪। বাড়ির ছাদ থেকে মেট্রো স্টেশনের ছাদ পর্যন্ত একটা সাঁকো বানাতাম,   ফোল্ডিং সাঁকো, যে কোনও পারে গিয়ে গুটিয়ে তুলে রাখা যায়। ৫। দিনটাকে এমন করে সাজিয়ে নিতাম, যাতে লেখা আর রেওয়াজের সময় আপনা থেকেই বেরিয়ে আসে, খোঁজাখুঁজি না করতে হয়। ৬। এমন গাছ খুঁজে বার করে বাড়ি ভরিয়ে ফেলতাম যারা মরে না, ঝরে না, পিঁপড়ে ধরে ন। যারা রোদ, জল, সার ছাড়াই দিব্যি বাঁচতে পারে। ৭। এমন বাড়ি বানাতাম যার দেওয়ালে পেরেক পোঁতার ক্ষতচিহ্ন থাকে না, তারপর যেখানে ইচ্ছে যতগুলো ইচ্ছে ছবি টাঙাতাম অদলবদল করে।

পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা ১৪২৪/ পর্ব ১

Image
উৎস গুগল ইমেজেস প্রতিবছর পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা পড়ি, এবং প্রতিবছরই একটা নির্দিষ্ট অর্ডারে পড়ি। ফেলুদার কমিক্স দিয়ে শুরু করে বাকি সব কমিক্স, এবং তারপর যথাক্রমে উপন্যাস, ছোটগল্প এবং ননফিকশন (এ সব বিভাগেরও অভ্যন্তরীণ অর্ডার আছে, সে কথা যথাসময়ে বলছি)। এ বছর সেই অর্ডারে গোলযোগ ঘটল। অর্চিষ্মানের জন্য। আনন্দমেলা কিনে বাড়িতে ঢুকেছি, চা বানিয়ে আমার চিলতে টেবিলে এসে বসেছি, ডেডলাইন এত সামনে চলে এসেছে তার চোখে চোখ ফেলতেও বুক কাঁপছে, তাই পেপার প্যানিক খেলে সাহস জোগাড় করছি। নিজেকে বোঝাচ্ছি এই আর একটা লেভেল খেলেই কাজ শুরু করব। অর্চিষ্মান ভালো ছেলে, সময়ের কাজ সময়ে করে, কাজেই রবিবার রাতে বুকে বালিশ নিয়ে আনন্দমেলা পড়ছে।   এমন সময় আর্তনাদ শুরু হল।   বাবা গো, মা গো, বাঁচাও, তুলে নাও।   ঘাড় ঘোরাতেই হল। কী পড়ছ! রাপ্পা রায়। অগত্যা ফেলুদা ছেড়ে আমাকে রাপ্পা রায় দিয়েই আনন্দমেলার উদ্বোধন করতে হল।   বই পড়া, সিনেমা দেখা ইত্যাদি শিল্পকর্মের মূল্যায়ন/প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমার একটা ধাঁচ আমি লক্ষ করেছি। গোটাটাই অন্য লোকের মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়ানির্ভর। কেউ কোনও শিল্...

আজকাল আমরা বাইরে কম খাই কেন

ট্যাক্স সিজন যাওয়ার পর আমাদের বাড়িতে এখন সেভিং সিজন চলছে। এমনি টাকা খরচ হলে অত গায়ে লাগে না, যত বুক হু হু ট্যাক্সের বেলায়। ট্যাক্স না দেওয়ার প্রশ্ন কিংবা সাহস কোনওটাই নেই, অগত্যা পড়ে থাকে একটিমাত্র বিকল্প। ট্যাক্স জমা দিয়ে শপথ নেওয়া, এবার থেকে খরচা কমাব।   প্রতি বছরই শপথ নেওয়া হয়, প্রতি বছরই প্রথম ক’টা দিন খুব তেড়েফুঁড়ে সংযম প্র্যাকটিস হয়, তার পর আবার ঢিলেমো সেট ইন করে। এ বছর সেটা হতে দেওয়া চলবে না। আমরা কষে কোমর বেঁধেছি। মেথডিক্যালি এগোচ্ছি যতখানি সম্ভব।   খরচ কমানোর প্রথম ধাপটা হচ্ছে খরচ কোথায় কোথায় কমানো সম্ভব তা চিহ্নিত করা। বা ঘুরিয়ে বললে, কোথায় বাজে খরচ হচ্ছে, নির্দয় হয়ে নিজেকে সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো। বলাই বাহুল্য, বাজে খরচের সংজ্ঞা প্রতিটি মানুষের কাছে আলাদা। জাত, ধর্ম, প্রিয় খাবার, প্রিয় লেখক, কত কিছু দিয়ে মানুষ বিচারের বন্দোবস্ত আছে পৃথিবীতে, আমার মতে এদের সবার থেকে এফেক্টিভ বিচার হচ্ছে খরচের অভ্যেস। কে কোথায় খরচ কমায় বা কিপটেমো করে সেটা একটা ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার স্টাডি হতে পারে। আমি একজনকে চিনি যে প্রচণ্ড গরম কিংবা প্রচণ্ড শীতেও বাস ছেড়ে অটো চড়...

তিনদিনের ছুটি + মেঘনাদ বধ রহস্য

Image
কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। শনিরবিসোম তিনদিন টানা ছুটি ছিল, তাই একটু বেশিই ভালো আছি। আই এস বি টি-তে গিয়ে ঝট করে একটা বাসে উঠে পড়ার জন্য ছুটিটা আদর্শ ছিল। অফিসে সবাই জিজ্ঞাসা করেছিল, উইকএন্ডে কী করবে, কোথায় যাবে। বলেছিলাম, বাড়িতেই থাকব, যাব না কোথাও। তাছাড়া একটা পোস্টও লিখতেই হবে। দ্বিতীয়টা অবশ্য মনে মনে বলেছিলাম, মুখে বলেছিলাম, "কিছুই করব না, জাস্ট চিল করব।" শনিরবি এমনিতেই একগাদা কাজ থাকে, বাড়ি পরিষ্কার, কাবাড়ি ভাইসাবদের ডাকাডাকি, গাছে জল দেওয়া, ব্যাগের জিপ সারানো, ছেঁড়া চটি সেলাই। আনন্দ করার চান্স পাওয়াই শক্ত। ছোটবেলার শনিরবিবারগুলোয় বরং আনন্দ হত। এখনকার মতো খেতে যাওয়া কিংবা সিনেমা দেখতে যাওয়ার আনন্দ নয়, তখন আনন্দের অপশন বলতে ছিল শুধু আত্মীয়স্বজন।  প্রায় প্রতি শনিবার যাওয়া হত জেঠুর বাড়ি। তখন জেঠুরা থাকত সোদপুরে। রিষড়া ঘাট থেকে ভটভটি চেপে গঙ্গা পেরিয়ে খড়দা, তারপর বাসটাস কিছু একটা চড়ে সোদপুর। ফোনটোন করে যাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই। যদি ওরা বাড়িতে না থাকে, কিংবা ব্যস্ত থাকে, কিংবা অন্য অতিথি থাকে, এই সব সন্দেহ কখনও হয়নি। তাছাড়া শনিবার জেঠুরাও মাঝেমাঝে গঙ্গা পেরিয়ে আমাদের ...