কচুরি জিলিপি কুলফি চাট বান্টা



রোশনারা বাগ থেকে উবারে আধঘণ্টা মতো গেলেই এদিকে চাওরি বাজার আর ওদিকে চাঁদনি চক মেট্রো ষ্টেশন। এই দুই মেট্রো স্টেশনের আশেপাশের চত্বরটাই হচ্ছে, বড়লোক দেশের টুরিস্টদের মতে ‘রিয়েল’ দিল্লি বা ‘রিয়েল’ ইন্ডিয়া।

এই জায়গাটা ‘রিয়েল’ ফুডিদের মক্কাও বটে। ইতিহাসচর্চা শেষ হতে হতে আমাদের ক্ষিদে পেয়ে যাবে জানতাম। ঠিক করেই রেখেছিলাম সে ক্ষিদে এখানে গিয়ে মেটাব। কচুরি, জিলিপি, পরোটা, রাবড়ি যা প্রাণে চায় খাব। 

ব্যাপারটা শুনতে যতটা সোজা মনে হচ্ছে, আসলে অতটা সোজা নয়। সোজা হতে পারত, যদি না কোটি কোটি রিয়েল ফুডি এই চত্বরে গিয়ে নতুন নতুন জায়গা আবিষ্কার করতেন এবং কোটি কোটি টুইট, ফেসবুক স্টেটাস, ব্লগপোস্ট, ইউ টিউব ভিডিও এমনকি বই পর্যন্ত লিখে সে সব আবিষ্কারের কথা চারদিকে ফলাও করতেন।

কারও আবিষ্কারের সঙ্গে কারও আবিষ্কারের মিল নেই। কেউ বলে রামের কুলফি অথেনটিক, কেউ বলে শ্যামের, কেউ বলে যদুরটা না খেলে জীবনের সব কুলফি খাওয়া বৃথা। রিসার্চ করতে করতে মাথা ভোঁ ভোঁ, চোখে সর্ষে ফুল। ক্ষান্ত দিলাম। ঠিক করলাম, যে কোনও একজন এক্সপার্টের কথা মেনে চলব। তিনি ঠিক হোন, ভুল হোন, আমরা বিচার করব না, তাঁর পছন্দই আমাদের পছন্দ, তাঁর রেকোমেন্ডেশনই আমাদের গীতা বাইবেল কোরান।

সে এক্সপার্ট হলেন ইয়ামরাজ। পুরোনো দিল্লির রাস্তার খাবারের গাইড হিসেবে ইয়ামরাজের এই পোস্টটা মহামূল্যবান, আর সবথেকে কাজের হচ্ছে পোস্টের সঙ্গে ফাউ ইয়ামরাজের হাতে আঁকা ম্যাপ। আমাদের অসম্ভব কাজে দিয়েছে। 

ম্যাপ দেখে প্রথমেই যে জিনিসটা পরিষ্কার হল সেটা হচ্ছে ইয়ামরাজের সাজেস্ট করা সব খাবার একবারে খাওয়া যাবে না। একই ট্রিপে কুলচা, কচুরি, কুলপি, রাবড়ি, সোহন হালুয়া খেতে গেলে শিবুর কলকাতা ভ্রমণের পরিণতি হতে পারে। 

আরও বুঝলাম, আমরা খেতে খেতে চাঁদনি চক থেকে চাওরি বাজার মেট্রোর দিকে হাঁটতে পারি, কিংবা চাওরি থেকে চাঁদনির দিকে। আমরা চাট দিয়ে খাওয়া শুরু করব ঠিক করলাম, সেটা করার জন্য চাওরি থেকে হাঁটা শুরু করাই সুবিধেজনক।

চাওরি বাজার মেট্রো স্টেশনের সামনে উবার ভাইসাব নামিয়ে দিলেন, কয়েকপা এগোলেই একটা পাঁচ না ছ’মুখো মোড়, তার এক কর্নারে অশোক চাট কর্নার। একটা চিলতে খুপরি, তার মধ্যে বিভিন্ন পাপড়ি এবং মশলা এবং বরফভাসা দইয়ের ডেকচি। পেটের জায়গা ম্যাক্সিমাইজ করতে আমাদের একটা স্ট্র্যাটেজি ছিল সব এক প্লেট করে খাওয়া। আমরা কলমি বড়া চাট নিলাম, (ইয়ামরাজের দুটো রেকোর মধ্যে একটা), কলমি বড়া, আলুসেদ্ধ, মটরসেদ্ধ, লাল সবুজ চাটনি ইত্যাদি আরও ইউজুয়াল সাসপেক্টস দ্বারা শোভিত হয়ে হাতে চলে এল। কোনওমতে ক্যামেরা ব্যাগে পুরে, আমরা দু’জনে দু’খানা চামচ দিয়ে প্লেটের দু’দিক থেকে চাট তুলে মুখে পুরলাম . . .এবং উল্লাসে ফেটে পড়লাম না।


অশোক চাট কর্নারের চাট ভালো, কিন্তু অভূতপূর্ব কিছু নয়। এরকম চাট আমি আগেও খেয়েছি, পরেও খাব। সত্যি বলতে চাট কত ভালো হওয়াই বা সম্ভব? (উল্টোটাও সত্যি, খুব অখাদ্য চাট আমি আজ পর্যন্ত খাইনি।) আমাদের মনে কেমন একটা আশা তৈরি হয়েছিল যে এই চারপাশের হল্লাহাটি, ওপচানো ভ্যাট, লোম উঠে গিয়ে গোলাপি চামড়া বেরিয়ে যাওয়া খোঁড়া কুকুর, বিকলাঙ্গ ভিখিরি, আর থুতুর টাটকা দলা যা প্রায় ওয়াসিম আক্রমের বলের মতো লাস্ট মিনিটে ঘুরে গিয়ে আমার গায়ের বদলে ফুটপাথে পড়ল, সে সবের মাঝখানে দাঁড়িয়ে খেলে চাটের স্বাদ ম্যাজিকের মতো বেটার হয়ে যাবে।

হল না। 

অভিযানের শুরুতেই কেমন একটা ব্যোমকানো ভাব হল। পরের গন্তব্যের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। সীতারাম বাজারের গলি বেয়ে কয়েক পা গিয়ে ডানদিকে ঢুকে তস্য গলির মধ্যে দিল্লির অন্যতম শ্রেষ্ঠ (কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যতমটম নয়, স্রেফ শ্রেষ্ঠ) কুলফির দোকান, কুরেমল মোহনলাল কুলফি। চাপা গলির মাথার ওপর ইলেকট্রিকের তারের মাকড়সার জাল, দুপাশে  অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্যওয়ালা বাড়ি।

দোকানের সামনে গিয়ে দেখি শাটার বন্ধ।

কার মুখ দেখে উঠেছিলাম বল তো? অর্চিষ্মানকে জিজ্ঞাসা করতে গিয়েও করলাম না। 


কুরেমল মোহনলালের উল্টো ফুটে, সামান্য কোণাকুণি,  শ্রী দুলিরাম নরেশ গুপ্তার কুলফির দোকান। 

একটা দোকান কেন বিখ্যাত হয়, আর ঠিক তার দশ হাত দূরের একটা দোকান কেন হয় না? শুধুই কি কুলফির গুণগত তারতম্যের জন্য? নাকি ভাগ্যদেবতার পার্শিয়ালিটিও ম্যাটার করে?

সম্ভবত করে।

আর যদি গুণগত তারতম্য থেকেই থাকে, আমাদের জিভে সে তারতম্য ধরা পড়ার কি কোনও সম্ভাবনা আছে?

বিন্দুমাত্র না।

দুলিরামে ঢুকে পড়লাম। এক প্লেট কেসর পিস্তা কুলফি, চল্লিশ টাকা।


এই মটকা কুলফির বাইরেটা বেশ শক্ত। সাধারণ কাঠের চামচের বদলে তাই বোধহয় শক্ত কাঠের টুকরো দেওয়া হয়, তা দিয়েও ম্যানেজ করা কঠিন। সবথেকে ভালো হচ্ছে হাতে তুলে নিয়ে কামড়ে কামড়ে খাওয়া। ইলেকট্রিক তারের জাল ভেদ করে মিষ্টি রোদ চেয়ারে এসে পড়ছে। আমরা বসে বসে কুলফি খেতে লাগলাম। মোলায়েম, মাপা মিষ্টি। বাদামের সুগন্ধওয়ালা ঘন দুধ প্রাণ জুড়িয়ে দিল। আমাদের নেতানো স্পিরিট চাঙ্গা করে দিল। আছে আছে, আশা আছে! 

মেন গলিতে ফিরে এসে চাঁদনি চক মেট্রোর দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। দু’পাশে সারি সারি দোকান, বেশিরভাগই কাপড়ের। সরু গলির দিয়ে আপ ডাউন দুদিকেই গাড়ি চলার কথা। যদিও এখন একদিকে কেউ চলছে না,  লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একজন চিৎকার করে খবর নিলেন, ‘আবে, কোই মর গয়া কেয়া?’এমন সময় পেছন থেকে তীরবেগে একটা রিকশা আসতে দেখা গেল। রং সাইডের ফাঁকা অংশটুকু ধরে সাঁ সাঁ এগোচ্ছে। যাত্রী একজন বছর পঁচিশের যুবক, কোলে ল্যাপটপ ব্যাগ, হাত বাড়িয়ে চালককে অভয় দিচ্ছেন, ‘আগে লে লো, আগে লে লো।’ আমরাও পায়ে পায়ে এগোলাম। গলি আরও সরু হয়ে এল, বাজার আরও ঘন হয়ে এল। দোকানের বাইরে চটি আর নাকমুখচোখহীন ম্যানেকুইনের ভিড়, ভেতরে অস্বাভাবিক উজ্জ্বল টিউব লাইটের নিচে ধপধপে তাকিয়ায় সরু মোটা লম্বা বেঁটে খদ্দের চুমকি জরির পাহাড় ঘিরে বসে আছেন। 

ক্রমে হাঁটা অসম্ভব হয়ে উঠল। পাশাপাশি হাঁটার প্রশ্নই নেই। আমি অর্চিষ্মানের শার্ট ধরে চলতে লাগলাম, এই বাজারে আলাদা হয়ে গেলে আর দেখতে হবে না। এর মধ্যে জ্যামের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি পৌঁছেছি। না, কেউ মরেনি, কোনও এক শাড়ির দোকানে কিছু একটা ফাউ দেওয়া হচ্ছে সম্ভবত। হাজারখানেক লোকের লাইন ফুটপাথ উপচে রাস্তায় এসে পড়েছে। চেনা দুটো মুখ দেখলাম, সেই আগের যুবক যাত্রী এবং রিকশাচালক। এখন তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকা রিকশার লাইন ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করছেন। 


আর এই বর্ণ, শব্দ, গন্ধের বিস্ফোরণের মধ্যে লাইন দিয়ে রিকশায় বসে আছেন সাহেবমেমেরা। কেউ চুপ করে বসে আছেন, কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ রিকশাচালকের হাতে ক্যামেরা তুলে দিয়ে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন, কেউ ঘাড় তুলে মাথার ওপরের মাকড়সার জালের মতো ইলেকট্রিকের তার দেখছেন, কেউ রিকশার পাশ দিয়ে কনুইয়ে গোঁতা মেরে চলে যাওয়া ষাঁড়ের শিং-এর দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। সবারই চোখেমুখে এক অদ্ভুত আলো। রিয়েল ইন্ডিয়া দেখছেন তাঁরা। 

আমরা ডানদিকে বেঁকে গলিতে ঢুকে গেলাম। এই গলির মাপ আগের গলির অর্ধেক, আর দোকান, চটি, মানুষ, খদ্দের, রিকশা, সাহেবমেম আগের গলির চারগুণ। 

এটাই হল পরাঠাওয়ালি গলি। দু’দিকে গরম তেলের কড়াইতে পরোটা ডিপ ফ্রাই হচ্ছে। আমরা পরোটা খাব না, আমরা খাব কচুরি। ইয়ামরাজের ম্যাপ অনুযায়ী আর খানিকটা এগিয়েই জে বি কচুরির দোকান থাকার কথা।

এইসব দোকানগুলোর বেশিরভাগই সম্ভবত একটা বেঞ্চি বা দু’হাত বাই চার হাত খুপরি। চোখ রীতিমতো খোলা না রেখে চললে যে কোনও মুহূর্তে মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। দোকানের মাথার বোর্ডে বা দেওয়ালের গায়ে রঙের পোঁচ দিয়ে লেখা নাম পড়তে গিয়ে হাঁটার গতি তিলমাত্র ঢিলে হলে পেছন থেকে হুংকার আসছে, ‘ম্যাডাম, আগে বাঢ়ো!’ অনেকক্ষণ হেঁটে যখন গলি শেষ হওয়ার জোগাড়, আর ধরেই নিয়েছি কচুরির দোকান নির্ঘাত মিস হয়ে গেছে অমনি অর্চিষ্মান চেঁচিয়ে উঠল, ‘ওই তো!’


দুজনে দুটো হাফ প্লেট কচুরি নিয়ে, কোনওমতে একটা ছবি তুলে, জঞ্জালের নীল ড্রামের গা যথাসম্ভব বাঁচিয়ে, প্রায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে সবজির ঝোলে কচুরি ডুবিয়ে নিয়ে কামড় বসালাম।

এত ভিড়, এত ধমকাধমকি, এত কনুইয়ের গুঁতো সার্থক হল। 

এ ক্লাস খাস্তা কচুরির যা যা শর্ত, ভেতরটা নরম, বাইরেটা মুচমুচে, একটুও তেলতেলে নয়, পর্যাপ্ত এবং সুস্বাদু মশলাদার ডালের পুর, সব শর্তই পূরণ করেছে  জে বি-র কচুরি। কিন্তু এত করেও শেষরক্ষা করতে পারেনি, সঙ্গী আলুর তরকারির সামনে ম্লান হয়ে গেছে। 

এ আলুর তরকারির সে সব কিছুই আছে, যা আমার নেই। ‘ক্যারেকটার’, ঝাঁজ, আলাদা হওয়ার ক্ষমতা এবং সাহস, মেরুদণ্ড। এ তরকারি নিড়বিড়ে নয়। জিভে পড়া মাত্র পঞ্চেন্দ্রিয় কান খাড়া করে চোখ গোল করে টানটান হয়ে বসে। আর প্রথম দু’চামচ মুখে দেওয়ার পর টের পাওয়া যায় ঝালটা। আমার জিভের দু’পাশ আর গলার কাছ গরম হয়ে উঠল, অর্চিষ্মানের দেখি চশমার আড়ালে চোখ ছলছল, নাকের ডগা লাল, কপালে ঘামের বিন্দু, ঠোঁটে হাসি। 

ইমিডিয়েট মিষ্টি কিছু একটা খাওয়া দরকার, আশেপাশে কোটি কোটি রাবড়ির দোকান, কিন্তু আমাদের টু ডু লিস্টে নেক্সট আইটেম জিলিপি। যত দ্রুত সম্ভব হাঁটা লাগালাম। পরাঠাওয়ালি গলি থেকে চাঁদনি চক মেট্রোর দিকে বেরিয়ে ডানদিকে, গুরুদ্বারা পেরিয়ে, (গুরুদ্বারায় আবার কী যেন একটা হচ্ছে, ফুটপাথ উপচে রাস্তার ওপর এসে পড়েছে মোমবাতির স্টল, লাইন দিয়ে সবাই শালপাতায় প্রসাদ নিচ্ছেন) মোড়ের মাথায় ওল্ড ফেমাস জলেবিওয়ালা। আমরা যখন গেছি, জিলিপি ভাজা চলছে। নিজেদের খুবই ভাগ্যবান মনে করেছিলাম তারপর বুঝলাম ব্যাপারটা ভাগ্যটাগ্যর নয়। প্রতি ব্যাচই ভাজার তিন মিনিটের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। আগের ব্যাচের ভাঙা গুঁড়ো যা পড়ে থাকে, নেক্সট ব্যাচের ওজন অ্যাডজাস্ট করার কাজে লাগে।


এই হচ্ছে একশো গ্রাম জিলিপি। এর বর্ণনা কী ভাবে দেব আমি জানি না। ফার্স্ট ক্লাস জিলিপি যেমন খেতে হওয়ার কথা, ওল্ড ফেমাস জিলিপিও ঠিক সেইরকমই খেতে।

পেট যা ভরেছিল, মনে হচ্ছিল আর বোধহয় জীবনে কোনওদিন কিছু খেতে পারব না। হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ল বেদপ্রকাশের বান্টার সাইনবোর্ড। আমি আমার গ্লাসের দিকে ফোন তাক করছি দেখে ভাইসাব বললেন, ‘রুকিয়ে রুকিয়ে’, বলে একজনকে আদেশ দিলেন ‘ঢক্কন’ লাগিয়ে দিতে। ফোটো ভালো আসবে।


এই হচ্ছে ফোটো তোলার জন্য ঢাকনা পরা সাজাগোজা বান্টা। ভাইসাবের এত সহযোগিতা সত্ত্বেও এত খারাপ ছবি তুলেছি, লজ্জার ব্যাপার।


জামা মসজিদে পৌঁছে দেখি, আমাদের সঙ্গে সকালে যারা রোশনারা বাগে ছিলেন, তাঁদের কয়েকজনও মসজিদের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছেন। ওঁরাও নাকি থিয়েটার ওয়াক সেরে, ওল্ড দিল্লির স্ট্রিট ফুড এক্সপ্লোর করে জামা মসজিদ ঘুরতে এসেছেন। ভেবেছিলেন করিমসে খাবেন, কিন্তু পেট ভরে গেছে বলে প্যাক করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া স্থির করেছেন।

আমরা সবাই কী ভীষণ একে অপরের মতো আরও একবার টের পেয়ে আশ্চর্য হলাম।



Comments

  1. jibhe jol..-Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ, ব্রততী।

      Delete
  2. আহা গো, সব পেট রোগাদের এই পোস্ট পড়াতে হয়। তারপর তাদের অভিব্যক্তি নিয়ে আর একটা পোস্ট। ভেবেই শিহরণ দিচ্ছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এগুলো কিন্তু পেটরোগাদের পক্ষে সত্যি হজম করা শক্ত, প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু পেটরোগাদেরই আবার বেশি বেশি ক্ষতিকারক খাবার খেতে ইচ্ছে করে, ঠেকে শিখেছি।

      Delete
  3. বহু বছর এরকম একটা কারবার আমিও করেছিলাম, তবে উল্টোপথে। আমাদের ফার্স্ট স্টপ ছিল ওল্ড অ্যান্ড ফেমাস জলেবিওয়ালা। আপনারা ত শুধু খেয়েছেন, আমরা লেহেঙ্গাও কিনেছিলাম। এই শীতে আরেকবার ওপথে যাওয়া যায় কিনা ভাবছি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. চলে যান দেবাশিস। দৌলতের চাটও বসা শুরু হয়েছে।

      Delete
  4. Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ, সায়ন।

      Delete
  5. Offff...darun byapar...amar priyo khabar holo street food...porte porte jibhe jol ese gelo.

    Delhi te ekta jaigai khub swadu kulfi kheyechhilam. Pandara road e jekhane besh koekta restaurant aachhe. Kulfir dokantar naam khub sombhoboto krishna. I may be wrong.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইয়েস ইয়েস, কৃষ্ণা কুলফি, সুস্মিতা। ছোট্ট দোকান, গুলাটির ঠিক পাশেই। তবে কৃষ্ণার থেকে এই চাওরি বাজারের মটকা কুলফির স্বাদ আলাদা।

      স্ট্রিট ফুড আমারও ফেভারিট, সুস্মিতা। আমার মতে ফাইন ডাইনিং-এর কান মুলে দিতে পারে রাস্তার খাবার।

      Delete
    2. Fine dining amar motei pochhondo noi....tar opor chhuri-katar samahar...rastar phuchka, chaat,roll, cutlet er jobab nei....

      Delete
    3. ছুরিকাঁটার থেকেও বিশ্রী হচ্ছে খেতে খেতে পোলাইট কনভারসেশনের ব্যাপারটা।

      Delete
  6. ওল্ড দিল্লি ইজ গোল্ড দিল্লি ! জামা মসজিদ চত্বর নিয়ে দু-কলি :

    খাবার দোকান লোকারণ্য মহা ধূমধাম
    দলে দলে ভোজনরসিক গাইছে সুনাম
    কাবাব ভাবে আমি স্বাদু, কুলপিরও হুংকার
    টুকড়া ভাবে আমি শাহী, হাসেন দোকানদার |

    আরো পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম |

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ, দারুণ কবিতা, হংসরাজ। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. aha sotti sotti Shibu'r kolkata bhromon er flashback aschilo. chhobi dekhe ar bornona pore shudhu dhok gillam ar dirghoshash fellam. rabri ta miss dile kano. kichu na hok rabri te jilipi dubiye khete. nirvana.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, তোমার জিলিপি-রাবড়ি কম্বো ভালো লাগে, কুহেলি? আমি ছোটবেলায় কখনও দুটো একসঙ্গে খাইনি, লোকে যে খায় তাও জানতাম না, বড় হয়ে তাই অভ্যেস করতে পারিনি। তাছাড়া আমাদের রাবড়িতে যেমন সর দুধ ডিস্টিংকটলি আলাদা থাকে, এদিকের রাবড়ি ঠিক সেরকম হয় না, পুরো দুধটাই কেমন ঘন ঘন হয়ে যায়। তাই এদের রাবড়ি আমার বিশেষ পছন্দ না।

      Delete
  8. icche korchey ekkhuni doure giye "old famous" er jilipi ta kheye ashi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. জিলিপি তো খেয়োই, শম্পা, কিন্তু দোহাই তোমার, জেবি কচুরিটাও বাদ দিয়ো না।

      Delete
  9. আরে কি আশ্চর্য।এই শনিবার আমিও দুই বন্ধু আর এক কাজিনের সাথে লং ড্রাইভ কাম নতুন খাবার এক্সপ্লোর করতে গেছিলাম।ভোর বেলা টেরিটিবাজারে (সত্যান্বেষীর পাড়া) চাইনিজ ব্রেকফাস্ট ওয়াংটন, ডামপ্লিং, মিটবল স্যূপ,বিভিন্ন মোমো, স্টিকি রাইস দিয়ে। তারপর প্রিন্সেপ ঘাট ছুঁঁয়ে সোজা বাসন্তী হাইওয়ে হয়ে বানতলা,ঘটকপুকুর,ঝড়খালি পেরিয়ে মালঞ্চ, যেটা টাকির আগের স্টপ। তারপর আবার ব্যাক করে খিদিরপুরের ইন্দিয়া হোটেলে দুপুরে কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন চাঁঁপ ও ফিরনি সহ লাঞ্চ করে বিকেলে গড়িয়ে সন্ধ্যার কফি খেলাম সেক্টভ ফাইভের আপিসপাড়ায়।এর মাঝে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার ড্রাইভ-ও আছে।সোমবারের বারবেলাত৪এও মন্টা ফুরফুরেই ছিল, আপনার ইয়াম্রাজের ম্যাপ আর খাবারের
    ছবি দেখে দুঃখে ভরে গেল। মার্চে যে মামার বাড়ি গেছিলাম দিল্লীতে সেই মামা স্ট্রীটফুডের তীব্র বিরোধী এবং দিল্লীর খাবার চাখার স্বপনে পুরো জল ঢেলে দিলেন সব কিছুকে আনহাইজিনিক বলে। তার মধ্যে করিমস-ও আছে। অগত্যা দিলশাদ গার্ডেনের মতো জায়গাতে থেকেও ম্যাকডনাল্ডের বোমার সাইজেরবার্গার, ডমিনোজের পিজ্জা ইত্যাদি অখাদ্য খেতে হয়েছিল। আবার একবার দিল্লী যাবার ইছছে আছে, মামাবাড়িতে না জানিয়ে। একা একা। কবে যে হবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, মাঝে পিজি হস্পিটালের পাশে বলবন্ত সিঙ্ঘের ধাবার দুধ-কোলা ও খাওয়া হয়েছিল। কলকাতা এলে এই ধাবার স্পেশাল চা, নান আর দুধ কোলা অবশ্যই ট্রাই করবেন

      Delete
    2. ওরে বাবা, ঋতম, এ তো ফুড ট্রিপের ঠাকুরদা! একই দিনে চাইনিজ, মোগলাই, দুধ কোলা! দুধ কোলা-র রেকোর জন্য থ্যাংক ইউ, সুযোগ হলে নিশ্চয় ট্রাই করব।

      আর ইয়ে, আমি মামাবাবুর অন্যথা করতে চাই না, কিন্তু ম্যাকডোনাল্ড আর ডমিনোজ ইত্যাদিও ঠিক স্বাস্থ্যকর বলতে যা বোঝায় তা তো নয়... তার থেকে গরম ভাজা কচুরি জিলিপি ঢের ভালো।

      Delete
    3. se to botei..apatoto team banachchi..2018 te ekta delhi- shimla- manali trip korar jonye..sebare old delhi food walk ta korbo

      Delete
    4. Ritam er list ta tuke nilam , amar ekdine Chinese , muhlai dudh malai soibe na , tobe aste dhire hotei pare

      tomar na bairer khabarer restriction cholchilo kuntaladi :D ..se jai hok rabri khele na hain hain :'( - Pradipta

      Delete
    5. আমার দিল্লির রাবড়ি ভালো লাগে না, প্রদীপ্ত।

      Delete
  10. Amaro Dillir totha North India r rabri bhalo lage na! Tomar je karone bhalo lage na, thik sei karone. Jilipi o bhalo lage na obosso.

    ReplyDelete

Post a Comment