খাতায় কলমে



বয়স হলে কোমর যায়, হাঁটু যায়, চোখ যায়, সবথেকে বেশি যায় মনঃসংযোগ। কতরকম টেকনিক ফলো করলাম, প্রাণায়াম, পোমোদোরো। পঁচিশ মিনিট কাজ, পাঁচ মিনিট ব্রেক। পঁচিশ মিনিট কাজ, পাঁচ মিনিট ব্রেক। প্রথম কয়েকদিন বেশ কাজও দিয়েছিল, তারপর আবার যে কে সেই। 

আফসোস আরও বেশি হয় যখন মনে পড়ে এককালে মনঃসংযোগের ক্ষমতা কত বেশি ছিল। মা বলেন, ঝুঁকে পড়ে গল্পের বই পড়তাম আর কেউ ‘সোনা’ বলে ডাকলে চমকে উঠে হাতপা ছুঁড়ে হার্টফেল হওয়ার জোগাড় হত। ভয়ে লোকে ডাকত না।

আপনারা বলতে পারেন, গল্পের বই মন দিয়ে পড়া দিয়ে মনঃসংযোগের বেশিকম প্রমাণ হয় না। সিঁড়িভাঙা সরল কিংবা ভারতের ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদক রাজ্যের লিস্ট মুখস্থ করার সময় মন লাগাতে পার তো বুঝি।

মন তাতেই বসে যা করতে ভালো লাগে। যা ভালো লাগে না, তাতে মন বসে না। অফিসের কাজ, বাড়ি পরিষ্কার। কত রকমের যে ঠ্যাকনা লাগে। কানে হয় গান গোঁজো, নয় সানডে সাসপেন্স। পাঁচশো বার জল খাও। চুল আঁচড়াও। মাকে ফোন কর। অর্চিষ্মানকে পিং। ভাবো দু’ঘণ্টার মধ্যে যদি আবার ফোন করে জিজ্ঞাসা করি, ‘কী চলছে?’ তিন্নি পাগল ভাববে কি না।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে যা করতে আমার ভালো লাগে তাতেও আমার ইদানীং মন বসে না। সাতানব্বই পাতার বই, সাতাশ দিনেও শেষ হয় না। রোজ সকালে মোটে দু’ঘণ্টা নিশ্চিন্তে টাইপ করার সময়, সেই দু’ঘণ্টা আমি কীভাবে নষ্ট করি ভাবলে নিজের গায়েই কাঁটা দেয়। 

সব রহস্য সমাধানের গোড়ার ধাপ হচ্ছে মোটিভ আবিষ্কার। কেন আমার মন বসছে না? 

বা আমার ক্ষেত্রে প্রশ্নটা হবে, কার জন্য মন বসছে না?

আমার জীবনের সব গোলমালের জন্য আমার আলস্য, আমার একাগ্রতার অভাব, আমার ফাঁকি দিয়ে বাজিমাতের চেষ্টা ইত্যাদিকে দায়ী করা যায়, কিংবা অন্য কারও ঘাড়ে দোষ চাপানো যায়। আমি জুৎসই ঘাড় খুঁজতে লাগলাম। সুবিধেজনক ঘাড় বলতে অর্চিষ্মানেরটা আছে, হাতের কাছেও আছে, ল্যাম্পের আলোর বৃত্তের পরিধির বাইরেই আবছা অন্ধকারে ঘুমোচ্ছে, কিন্তু লজ্জা হল। যেটুকু হচ্ছে ও আছে বলেই হচ্ছে। ও না থাকলে এটুকুও হত না।

খোঁজা জারি রাখলাম। টেবিলের ওপর দেওয়ালে যামিনী রায়ের কপিতে শুঁড় তোলা বটল গ্রিন হাতির ঘাড়ে টুকটুকে লাল ঠোঁটের হাসি হাসি বাঘ, বাঘের ঘাড়ে রাণীমা বসে আছেন। ডানদিকে বুককেসের ওপর লকলকিয়ে উঠেছে সানসিভিয়েরা প্ল্যান্ট, ধারালো পাতা দেখে নিন্দুকে যার নাম দিয়েছে ‘শাশুড়ির জিভ’। তার ঘাড়েও দোষ চাপাতে লজ্জা হল, কারণ আমার কোনও ক্ষতি তো সে করেইনি, উল্টে এই বাজারে ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করছে। দেখেশুনে যখন ভয় লাগতে শুরু করেছে শেষমেশ সব দোষটা নিজের ঘাড়েই নিতে হয় নাকি, তখন আরেকজনের উপস্থিতি টের পেলাম। আমার চোখে নীল চোখ রেখে তাকিয়ে আছে আমার ল্যাপটপ।

ওই ল্যাপটপের ভেতর বাস করে এক ভয়ংকর রাক্ষস। রাক্ষসের নাম ইন্টারনেট। রাক্ষসের খোরাক আমার সময়। চব্বিশ ঘণ্টা, সাত দিন, বারো মাস।

ল্যাপটপ ত্যাগ দিয়ে আপাতত খাতাপেনে ফিরে গেছি। অন্তত সকালের সময়টুকুর জন্য।

এত ড্র্যাস্টিক পদক্ষেপ কেন? ল্যাপটপেই কি মানিয়েগুছিয়ে নেওয়া যেত না? তাছাড়া সমস্যা তো ল্যাপটপ নয়, ইন্টারনেট। কত অ্যাপ আছে, চালু করলেই একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু সে সবে আমার ভরসা নেই। যে সংযোগ এক ক্লিকে বন্ধ করা যায়, সে সংযোগ আরেক ক্লিকে চালু করতে কী? তাছাড়া ইন্টারনেটের হাত থেকে বাঁচতে যদি আমাকে ইন্টারনেটেরই সাহায্য নিতে হয়, তাহলে কেমন কেমন লাগে।  

কিন্তু ব্যাপারটা একটু উলটপুরাণ হল না? সারা বিশ্ব যখন খাতা ছেড়ে যন্ত্রকে আপন করেছে, তখন এই উল্টোদিকে হাঁটার মানে কী? ল্যাপটপে টাইপ করা খাতাপেনে লেখার থেকে বেশি সুবিধেজনক বলেই না সবাই লিখছে?

সে তো বটেই। ল্যাপটপে লেখার অবভিয়াস সুবিধেগুলো সম্পর্কে আমি সচেতন। 

এক, হাতের লেখার স্পিডের থেকে টাইপ করার স্পিড বেশি। দুই, শব্দসংখ্যা মাপার সুবিধে। সব ওয়ার্ড প্রসেসরেই এ সুবিধে থাকে, ‘ স্ক্রিভনার’ বলে যে প্রসেসরটা আমি গত বছরখানেক ধরে ব্যবহার করছি, তাতে আবার ‘টার্গেট বার’ বলে একটা ব্যাপার আছে। ড্রাফট টার্গেট, সেশন টার্গেট ইত্যাদি। টার্গেট বাক্সে আপনি যত শব্দ লিখতে চান, ধরুন তিনশো, বসিয়ে টাইপ করতে শুরু করলাম, এক, দুই, পাঁচ দশ, যত শব্দসংখ্যা বাড়বে, বারের রং টকটকে লাল থেকে ফিকে লাল থেকে কমলা থেকে হলুদ থেকে ক্রমে সবুজ হবে। রোমহর্ষক ব্যাপার। 

দুঃখের বিষয়, এই সব সুবিধেগুলোই হবে যদি আমি অ্যাকচুয়ালি লিখি। এই পোস্টটাই আমি ল্যাপটপে লিখেছি, এবং সেই লেখার মাঝখানে অ্যাকচুয়ালি কী কী করেছি তার ফিরিস্তি নিচে দিলাম। এই পোস্ট লেখা চলছে তিন দিন ধরে, কাজেই নিজের লিস্টের প্রতিটি আইটেম, ইনটু থ্রি করে নেবেন। 

১। গোটা সতেরো বুকটিউব ভিডিও দেখেছি
২। নিরামিষ পোলাও রেসিপি খুঁজেছি
৩। ধনৌল্টিতে জানুয়ারিতে বরফ পড়ে কি না খবর নিয়েছি
৪। ক্যান্ডি ক্রাশ খেলেছি
৫। ফিডলি চেক করেছি, কেউ নতুন পোস্ট লিখল কি না
৬। লংকার আচারের রেসিপিতে লাইক দিয়েছি 
৭। ক্যান্ডি ক্রাশ সোডা সাগা খেলেছি
৮। মাকে বারতিনেক, তিন্নিকে একবার ফোন করেছি। অর্চিষ্মানের সঙ্গে কতবার চ্যাট করেছি গুনিনি। 
৯। সুইডিশ প্রিন্সেস কেক রেসিপি ভিডিওতে লাইক দিয়েছি।

কেন ল্যাপটপ ছাড়ার দরকার হয়েছিল আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

আট বাই তেরো ইঞ্চির, একশো বিরানব্বই পাতার একটা খাতা আগাপাশতলা শেষ করার পর হাতের লেখা বনাম ল্যাপটপে টাইপ করা নিয়ে কয়েকটা পর্যবেক্ষণ আপনাদের বলি। 

এক, ল্যাপটপের তুলনায় আমার খাতায় ফোকাস করতে বেশি সুবিধে হচ্ছে। হাতে পেন ধরে খাতার ওপর লেখার শারীরিক পরিশ্রম, কি বোর্ডের ওপর আঙুল চালানোর থেকে বেশি। পরিশ্রম বেশি বলেই খাতাপেনে লেখা বেশি মনোযোগ দাবি করে। টাইপ করতে করতে অটো-পাইলটে চলে যাওয়া যত সোজা, খাতাপেনে লিখতে লিখতে তত সোজা নয়। মাথাটা অনেক বেশি সজাগ থাকে।

দুই, কোথায় একটা পড়েছিলাম, লেখার মাধ্যমের সঙ্গে ভাষা বদলায়। আমার ল্যাপটপের বাংলার থেকে খাতাপেনের বাংলা আলাদা কি না আমি বলতে পারব না, তবে দুটোর বাংলা বানান যে সম্পূর্ণ আলাদা সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। খাতায় লেখার সময় ক্রমাগত বাড়ির জায়গায় বাড়ী, গাড়ির জায়গায় গাড়ী, ওই-এর জায়গায় ঐ লিখছি। বেসিক্যালি, আমার ছোটবেলার বানান।

খাতাপেনে লিখে আরেকটা সুবিধে হয়েছে, খাতা থেকে ল্যাপটপে টাইপ করার সময় একবারের রিভিশন ফাউ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকসময় একই ফাইলে বার বার কারেকশন করতে বোরিং লাগে, এ তাও একটু বৈচিত্র্য হল। 

সবথেকে ভালো ব্যাপার যেটা হয়েছে, হাতের লেখাটাকে আবার নিজের বলে চিনতে পারছি। আমি ধরেই নিয়েছিলাম ওটা জন্মের মতো গেছে।


Comments

  1. Excellent post. Ei monohshonjog kome jaoar byaparta ei muhurte ekti epidemic. Creative manush, plain office workers ba students, shobai bhugchhhe. Apnar haater lekhate ferot jaoa ta holo ekta major solution. Shobar jonyo obviously kaaj kore na, jyamon amar jonyo kore ni. Apnar jonyo kotota korlo janar ichhe roilo. Jodi kore jay, to nothing like it.

    iti
    Shuteertho
    PS: Apni Scrivener byabohar koren!! Shunechhi khub powerful. Apnar overall feel kirokom oi software-tar byapare?

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুতীর্থ। আমি পুরো খাতায় কলমে শিফট করতে পারিনি বলা বাহুল্য, কিন্তু কিছু কিছু সময়, বা কাজের জন্য করেছি। যেমন ওই সকালের ঘণ্টাদুয়েক, বা ব্রেনস্টর্মিং ইত্যাদি। আমার আপাতত কাজে দিচ্ছে। কিছু না পেলে এমনি একটা পাতা টেনে নিয়ে নেক্সট ঘণ্টায় কী কী করব হাতে লিখে ফেললেও ফোকাস খানিকটা ফিরে আসে টের পাচ্ছি।

      আমি স্ক্রিভনার নিয়ে খুশি। স্ক্রিভনারে অনেককিছু করা যায়, আমি খুব বেসিক কাজকর্ম করি। লেখাপত্র অরগ্যানাইজ করতে ভীষণ সুবিধে হয়। রিসার্চটিসার্চ (আমার জন্য উইকি রিসার্চই যথেষ্ট, যদিও অ্যাকাডেমিক রিসার্চেও স্ক্রিভনারের টেম্পলেট আছে) জায়গামতো গুছিয়ে রাখতে সুবিধে হয়।

      Delete
  2. এই ইন্টারনেটে ডিস্ট্র্যাকটেড হওয়ার সমস্যাটা ভয়ানক। আমি তো আমার একমাসের বেড়ানোর গল্প লিখতে দুমাস কাবার করে দিয়েছি, এখনও একটা লেখা বাকি আছে। তবে আমি লেখায় এত এডিট করি যে খাতায় লেখার থেকে টাইপ করাটা অনেকটাই সহজ হয়। আর আমি কোনওদিন স্কুলে বাংলা লিখিনি, তাই আমার বাংলা হাতের লেখা খুব আস্তে, আর সেটা দেখতে হয় আমার নার্সারি ক্লাসের হাতের লেখার মতন, তাই বাংলাটা টাইপ করাটাই সুবিধে। ইন ফ্যাক্ট, আমি তো বানানেও বেশ কাঁচা, কারণ আমি স্কুলে হিন্দি পড়েছি, বাংলা নয়। তবে বাকি ভালোলাগার জিনিসগুলোর জন্য ইদানিং জোর করে কিছুটা সময় বের করতে শুরু করেছি, ছবি আঁকা, বই পড়া এই দুটোর জন্যই সময় বরাদ্দ করেছি। দেখা যাক কদ্দিন চালাতে পারি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, হাতের লেখাতে টাইপ করার থেকে অসুবিধাই বেশি, সুগত, কিন্তু যুদ্ধটা যখন লেখা বনাম ফাঁকি দেওয়ার, তখন অসুবিধেজনক বিকল্পটা বাছা ছাড়া উপায় থাকে না।

      Delete
  3. Baah.. daarun likhechen toh.. aamio oi golper boi porar somoy keu dakle pile chomke uthtaam.. actually ekhono onek somoy uthi, karon tokhon kaaj na kore mostly daydream kore hariye jaai.. bishesh kore aamaar gadite bose chomke othatake aami nijei bhoy pai

    aami ekhono likhe to-do list banai, karon ogulo ghochat kore kete dite daarun laage.. sejonno ojosro unimportant easy kaaj dhokai list e..

    shunechi haate likhle naki matha bhalo chole.. aami jodio kokhonoi nijer laziness ke perote paari na, tobu du ekbaar ei kothata sotti mone hoyeche.. ekta choto writing workshop e gechilam.. sekhane besh bhalo speed e khatay likhe pheltam (no comments on quality of course), kintu computer khule hna kore taakiye thaki aar tokkhuni oshwoshti katate youtube, movie review, movie discussion dekhte porte shuru kore di.. ei comment tao haater kaaj phele likhchi :) :)

    bhalo thakben.. asha kori aapnar khata khub siggir bhore uthbe..

    Indrani

    PS hothat kore HS porar somoy diste kagojer ojosro khatar (onko kore kore bhore phela) jonno monta hoo hoo kore uthlo

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও দিস্তে দিস্তে দিস্তা খাতা ছিল, ইন্দ্রাণী। সূচসুতো দিয়ে সেলাই করা। গিঁট বাঁধার সময় কেউ সুতোর ওপর আঙুল চেপে ধরলে গিঁট শক্ত হত।

      আরে আপনি রাইটিং ওয়ার্কশপে গিয়েছিলেন? আমার কৌতূহল আছে খুব রাইটিং ওয়ার্কশপ নিয়ে, কিন্তু এদিকে যা হয় সবই ইংরিজি লেখার জন্য।

      Delete
  4. attentive byaparta ekprokar bhulte bosechhi bola jay..khubi sanghatik samasya, dosh amar noy- internet er aboshyoi.- Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও সেরকমই দশা, ব্রততী।

      Delete
  5. kali pen die lekho bhalo kagojer khatai, tar mojai alada. bibhinno ronger kali paoa sohoj aj kal. mejaj er sathe milie sanghatik byapar hobe. jodi boro loker reco chao... http://www.fountainpennetwork.com/forum/topic/81277-stephen-king-thoughts-on-writing-a-novel-with-a-waterman-fountain-pen/

    ami ekhon notun esechi ekta sohore. ta ekhane internet connection ghore pete bhalo somoy lage, mane ~ 1 mas. ar mobile internet er dam khub beshi. 1 gb~ 9 euro . tai office e somoy ta bad dile internet access besh kom. dibbi achi. ranna kori, boi pori, ekta coding language sikhi, ar ki bhalo ghum hoi aj kal. kache ekta nodi, tar gaye pahar, choto choto bari, thanda jaiga, samne tram er rasta, ghontai 10/12 ta gari ar kichu tram chara kichu jai na. eto kichu thik kore bojhai jeto na internet ta suru thekei thakle. :)

    -sml

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, শুনেই তো জায়গাটায় চলে যেতে ইচ্ছে করছে। ইন্টারনেট না থাকাটা সত্যি একটা লাক্সারি এখন।

      লিংকটার জন্য অনেক ধন্যবাদ, এস এম এল।

      Delete
  6. Amar haater lekha ta toh gollae geche e, chesta kore o ami ar kagoj e likhte parina. Khub bhalo korecho tumi abar lekha shuru kore Kuntala ... obbhesh ta chere gele kintu shotti bipod. Ami haare haare bujhchi. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক শর্মিলা, আমিও ওই স্টেজে পৌঁছেছিলাম যখন দু'লাইন টানা হাতে লিখতে অসুবিধে হত (নিজের ইচ্ছেমতো লেখা), এখন অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে।

      Delete
  7. Candy crush aar candy crush alaada jinish? Eta to jantam na :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. ক্যান্ডি ক্রাশ আলাদা, ক্যান্ডি ক্রাশ সোডা আলাদা, ক্যান্ডি ক্রাশ জেলি আরও আলাদা, অর্পণ।

      Delete
  8. amaro ek dosha, ghar dhakka na khele kono kaj hochhey na ekmatro golper boi pora chhara. tobe otake ami kaj bole mone kori na, tai jomar khatay shunyo. kise je kaj korbe tao janina.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার তো গল্পের বই পড়াও মাথায় উঠেছে, চুপকথা।

      Delete
  9. Off .. ki samayopojogi post ... office e thakle aashe pasher loke screen dekhte paabe bole FB aar YouTube ta kom ghanta hay ,... kintu baari te thaakle bola i bahulyo ... ki bhabe 2-3 ghanta kete jay k jaane ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা বলেছিস, বৈশালী।

      Delete
  10. মনঃসংযোগ কমে যাওয়ার জন্য আমিও ঘুরে-ফিরে নিজের নেট-বন্দি দশাকেই দায়ী করব। মাঝেমধ্যে মনে হয়, ধাবমান কালের জালে এইভাবে জড়ানোর অবস্থা মাথায় রেখেই রবীন্দ্রনাথ লাবণ্যের বয়ানে এত কিছু লিখেছিলেন। আমাদের এই খণ্ডিত, নেটের যতিচিহ্ন দিয়ে ধরে রাখা জীবন মানে সত্যিই শেষের কবিতা।

    ReplyDelete
  11. কেমন আছেন? অনেকদিন পর কিছু লিখছি, আপনার এই লেখাটি পড়ে আমার নিজের কথাও বলতে ইচ্ছে হলো, তাই|
    তা প্রায় গত একশো বছর ধরে আমার এই মন-না-লাগা ব্যাপারটি চলে আসছে |সেই থেকে মনোযোগের অভাব, আর তার সাথে রাজযোটক হিসেবে আমার স্বভাব হলো আগাগোড়াই ভুলে মেরে দেয়া | তাই ব্যাক-আপ প্ল্যান যাকে বলে সবসময় থাকেই, জিনিসপত্র হারালেও গায়ে লাগে না| কিন্তু সমস্যা হলো পেপার লিখতে গিয়ে, সেদিন supplimentary ইনফরমেশন আপলোড করতেই ভুলে গেলাম| পরে গাইড দেখে সে কি চিল-চিৎকার দিলেন তা আর বলি কিকরে ? চার্লি চ্যাপলিন যদি টকি বানাতেন তবেই হয়তো সাযুজ্য মিলতো কিছু| তা যাকগে, মহান লোকেদের এসব হয়েই থাকে| কিন্তু লম্বা একখানি পেপার লেখার সময় কোন একুয়েশন কত নম্বরে দাগিয়েছি তাও দেখি বেমালুম গোলমাল হয়ে যায়| আর রেফারেন্স করার সফটওয়্যারটা ভাগ্গি আছে, নইলে এ জন্মে ইউনিভার্সিটি থেকে আর বেরোতে হতো না|
    সব কিছু চেষ্টা করার পর বুঝলাম, প্যাড আর কলম দিয়ে লিখলে সব দিকেই সুবিধে, খ্যাস করে কাটা যায়, রেফারেন্স পছন্দ হয়নি তো কি হয়েছে?- উপরে কেটে লিখে তীর চিহ্ন দিয়ে দাও, ফুটনোটে দুনিয়ার জিনিসপত্র লিখে রাখো, এই ছবিটি ওইখানে যাইবে লিখে রাখো, মন না লাগলে আঁকো মার্জিনে চোখ পাখি কুঁড়েঘর .... কত আর বলবো? টেকনোলজি ভুলোদের জন্য নয়|

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই চলে যাচ্ছে, হীরক। টেকনোলজির অনেক যন্ত্রণা। আবার ছাড়াও চলে না। মহা মুশকিল।

      Delete
  12. ei monosongjoger ovabe akranto der modhye ami holam 99% akranto ..hijibiji lekha dur, golper boi na , cinema na , real life golpo na , sref facebook scroll ar chat ...office kaj etoi kom hochhe nijeri chokhe porche ,,,janina muktir ki upay ..net off kore rakha na onyo kichu ---Pradipta

    ReplyDelete
    Replies
    1. সবারই এক সমস্যা, প্রদীপ্ত।

      Delete

Post a Comment