অনেক বয়স হয়েছে কবে কখন কোথায় কী বলেছি মনে থাকে না, হয়তো আমিও এ বিষয়ে গলার শিরা ফুলিয়েছি কখনও। বইমেলায় কফি কেন থাকবে, মাছভাজা কেন থাকবে, মুখের ছবি আঁকার স্টল কেন থাকবে, জ্যোতিষী কেন থাকবে, গিটার কেন থাকবে, বিরিয়ানি কেন থাকবে, অম্বল কেন থাকবে, হজমি গুলি কেন থাকবে। বইমেলায় যদি কিছু থাকতেই হয় তাহলে থাকবে বই। শত শত কাগুজে খসখসে বই, যা মনের জানালা খোলে, জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন ঘটায় হয়, বই না-পড়া মানুষের থেকে বই পড়া মানুষকে বেটার প্রতিপন্ন করে। আপনি সে রকম বইমেলা দেখেছেন কি? আমি দেখেছি। এই দিল্লিতেই হয়। প্রগতি ময়দানে। বিশ্ব বইমেলা। রাজধানী বলে কথা, গুরুগম্ভীর প্রকাশনা সংস্থারা আসেন। যেদিকে তাকাও বই আর বই আর বই। আর গুরুগম্ভীর জনতা। ভুরু কুঁচকে বইয়ের পাতা উল্টোচ্ছেন। এগরোল খাননি জীবনেও। মেলা চলছে না শোকসভা চট করে বুঝে ওঠা মুশকিল। কলকাতা বইমেলাটাকে আর যাই হোক, মেলার মতোই দেখতে লাগে। পাঁচ বছর বাদে সেই মেলায় গেলাম। প্রথম দিকে নানা রকম হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটতে শুরু করল। অর্চিষ্মানের ওই সময় কাজ থাকবে, কাজেই কলকাতা যাওয়া হবে না। মাবাবার সঙ্গে মেলায় ঘুরতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু অভ্...