মশার বদলে



একটা সিনেমা দেখছিলাম। খারাপ লাগবে জেনেই দেখছিলাম। আমরা বেছে বেছে খারাপ সিনেমা খুঁজে রাখি; রাতে খাওয়ার সময় চালিয়ে হাসতে হাসতে সারাদিনের হতাশা রাগ ব্যর্থতার প্রতিশোধ তুলি। কী খারাপ অভিনয়, কী বোকা বোকা সংলাপ, কী রিগ্রেসিভ আইডিয়া। সিনেমাগুলো জনপ্রিয় হলে তাচ্ছিল্য করতে আরও ভালো লাগে। বিনা পরিশ্রমে জন-র থেকে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করা হয়ে যায়।

কেউ যদি বলে, নিজেরা একটা বানিয়ে দেখাও তো দেখি, বলব, এত খারাপ চেষ্টা করলেও বানাতে পারব না বলেই বানাচ্ছি না।

সিনেমায় গান চলছিল। আধুনিক বাংলা গানের প্রবক্তারা গানের লিরিক্সে চাঁদ ফুল তারা নিয়ে কাঁদুনিকে এত ঠাট্টা করলেন, আমরাও লাফিয়েঝাঁপিয়ে তালে তাল মেলালাম, বুড়োহাবড়াদের কাণ্ড বলে স্বর্ণযুগের গানের ক্যাসেট আছড়ে ভাঙলাম, এখন দেখছি পাল্টা হাওয়ারাও শেষমেশ সেই কাঁদুনিই কাঁদছেন। চাঁদের বদলে চুরমুর আর ফুলের বদলে ফুটকড়াই নিয়ে। অন্য কিছু আশা করাই অন্যায় হয়েছিল অবশ্য। কাঁদুনি আমাদের জাতীয় চরিত্র। ওটা বদলানো এত সস্তা না। যুগের সঙ্গে খালি টপিক বদলাবে, কাঁদুনি থেকে যাবে এক ও অবিকল।

একসময় নায়কনায়িকা, এমনকি পার্শ্বচরিত্ররাও গান গাইতেন। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে। নাচতে নাচতে। গাড়ি চালাতে চালাতে। ঠোঁট নেড়ে। ওটাকে বলা হত লিপ দেওয়া। যেন অভিনেতাই গাইছেন সে রকম একটা আঁচ দেওয়ার চেষ্টা। যদিও সকলেই জানত গানটা আসলে পিছনে কেউ গাইছে, সামনের লোকটা মিছিমিছি ঠোঁট নাড়ছে, সত্যি সত্যি গাইছে না। যেমন সকলেই জানত সত্যি সত্যি কেউ ঘোর গরমে সিল্কের জোব্বা পরে ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে না, সত্যি সত্যি কেউ পিয়ানো বাজাচ্ছে না, সত্যি সত্যি ক্ষুধার্ত নাতির হাত থেকে ঠাকুমা হরলিক্সের শিশি কেড়ে নিচ্ছে না। সবই সাজানো। আর প্রেম, হাসি, দুঃখ, কষ্ট -- গোটা গল্পটাই যখন বানানো তখন বানানো গান গাওয়াতে আপত্তি থাকার কোনও মানে হয় না, ছিলও না কারও।

দিনকাল পাল্টেছে। এখন গাঁজাখুরিস্য গাঁজাখুরি সিনেমাতেও কেউ ঠোঁট নেড়ে গান গায় না। পর্দার ওপর যে যার কাজ করে যায় -- রান্না, খাওয়া, সঙ্গম সব সামনে চলতে থাকে, গানটা পেছনে।

ওই মুহূর্তে আমরা খাচ্ছিলাম, সিনেমাতে গান চলছিল আর টুকরো টুকরো ছবি টিভির পর্দায় ভেসে ভেসে যাচ্ছিল।

একটা ছবি ঘুরেঘুরে এল। কয়েকটা বাচ্চা মাথার ওপর বিছানার চাদর জাতীয় চাপিয়ে হাততালি দিয়ে খেলছে। জটলার মাঝখানে লন্ঠনের আলো, চাদরের গায়ে বাচ্চাদের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছে। গাছপালা, হ্যারিকেন, একাধিক বাচ্চা, আগেপিছের ছবির কোলাজ ইত্যাদি দেখেশুনে বোঝাই যায় যে লোডশেডিং-এর রাতের এই মারাত্মক মাখোমাখো ঘটনার সেটিং আধাশহর, মফঃস্বলের ছাদ।

অর্চিষ্মান তেজপাতায় লেগে থাকা কাতলার ঝোলের টমেটো চেটে নিয়ে জিজ্ঞাসা করল, তুমি ছোটবেলায় লোডশেডিং-এ ছাদে বেডকভারের তাঁবুর তলায় হাততালি দিয়ে খেলতে?

বললাম, না।

ওইটুকু বলেই থেমে যাইনি অবশ্য আরও কিছু বক্তব্য রেখেছিলাম, যেগুলো এখানে রিপিট করছি না। শুধু বলছি যে যাঁদের মাথা থেকে দৃশ্যটার আইডিয়া বেরিয়েছে তাঁরা সম্ভবত লোডশেডিং-এর রাতে মফঃস্বলের ছাদে বসেননি কখনও। প্রথমত, যদিও বলে দেওয়া নেই কোন মাসে ঘটনাটা ঘটছে তবে মাঘমাস বাদ দিলে বাংলাদেশের বাকি এগারোমাস রাত তিনটে বাজার আগে পর্যন্ত মাটি, জল, বাড়িঘরদোর, রাস্তাঘাট, সর্বোপরি ছাদের কংক্রিট যে পরিমাণ তাপ বিকিরণ করে তাতে চাদর মুড়ি দিয়ে বসা কঠিন। দ্বিতীয়ত, যদি সহ্যশক্তি অত্যধিক বেশিও হয়, চাদরের তাঁবুটা পিঠের ওপর দিয়ে দীর্ঘসময় ফেলে রাখা অসুবিধেজনক। একটা স্ট্যান্ড জাতীয় কিছু থাকলে সুবিধে। লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, রাতে মফঃস্বলের ছাদে কী রেটে মশা থাকে সেটা আপনি যদি প্রত্যক্ষ না করে থাকেন, তাহলে যতই দাবি করুন না কেন কল্পনা করতে পারছেন, পারছেন না। ট্রাস্ট মি।

তাছাড়া মফঃস্বলে, স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের থাবার নিচে বড় হওয়া বাচ্চাদেরও স্কুলকলেজ, হোমওয়ার্ক থাকত। এবং লোডশেডিং হলে, যা রোজই হত, সেটা নিয়ে রোম্যান্টিক হওয়া সাজত না। স্কুলে গিয়ে, 'কাল আমাদের লোডশেডিং হয়েছিল তাই হোমওয়ার্ক না করে হাততালি দিয়ে খেলা করছিলাম' বললে চিঁড়ে ভিজত না। দিদিভাইয়ের মেজাজ বুঝে ক্লাসরুমের ভেতরে কিংবা বাইরে কান ধরে দাঁড়াতে হত।

আমার অবশ্য দিদিভাই পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই মায়ের খপ্পরে পড়তে হত। মা অফিস থেকে এসে দেখতেন কিস্যু হোমওয়ার্ক হয়নি, আমি হাঁ করে টিভির সামনে বসে শিল্পজগৎ দেখছি (শিল্পজগৎ শেষ হওয়া মাত্র কারেন্ট চলে যেত), তখন গম্ভীর মুখে মাদুর আর এমারজেন্সি লাইট ধরিয়ে ছাদে পাঠাতেন। কয়েকটা অংক করে উঠতে উঠতে মায়ের স্নান সারা হয়ে যেত। মা একহাতে হ্যারিকেন অন্য হাতে মুড়ির বাটি নিয়ে উঠে আসতেন, মুড়ির ওপর ট্যাবাটোবা রসগোল্লারা শুয়ে থাকত, ট্রেন থেকে নেমে খাবার ঘর থেকে এনেছেন, বকতে গিয়ে দেওয়ার সময় হয়নি। তারপর হোমওয়ার্ক হয়ে গেলে, বা না হলেও এমারজেন্সি লাইটের চার্জ চলে যেত, টিমটিমে হ্যারিকেনের আলোয় আমরা চামচ দিয়ে মুড়ি রসগোল্লা খেতাম। রসগোল্লার সঙ্গে রেগুলারলি দু'চারটে মশা পেটে যেত।

স্বীকার করতেই হবে দৃশ্যটা লণ্ঠনের আলোয় বালকবালিকার ছায়াছায়া খেলার মতো ফোটোজেনিক নয়। আর দেখতে সুন্দর না হলে সিনেমায় দেখানোর মানে হয় না।

আমাদের নস্ট্যালজিয়াও একরকমের সিনেমা। বাস্তবের দাগছোপ কালশিটে কেটেছেঁটে বাদ দিয়ে যেটুকু পড়ে থাকে সেই দিয়ে তৈরি হওয়া সিনেমা।

এই রকম আরেকটা কাটাছাঁটা নস্ট্যালজিয়ার জায়গা হচ্ছে জয়েন্ট ফ্যামিলি। অনেকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে বাচ্চারা মারাত্মক খারাপ থাকে। বিশেষ করে বাবার দেখাদেখি মাও যদি সারাদিন বাইরে থাকেন এবং রেগুলারলি রাত করে বাড়ি ফেরেন, তাহলে সন্তানকে আইটি প্রোজেক্ট ম্যানেজার বানানোর স্বপ্নে তাকে তুলে সে যাতে অন্তত সিরিয়াল কিলার না হয়ে ওঠে সেই চেষ্টায় প্রাণপাত করাই উচিত। সে জায়গায় জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হলে? মাটির মানুষ, দয়ার সাগর। সবথেকে ভালো হয় যদি জয়েন্ট ফ্যামিলিতে সকলেই শাসন করে। বিশেষ করে শারীরিক শাসন। আমাদের তো কাকাও ঠেঙাত, জেঠুও কান মুলে দিত। তবে না এমন সরেসটি হয়েছি। অনেকে আবার শাসনের পরিধি আরও বাড়ানোর পক্ষে। একজন বাঙালি লেখকের স্মৃতিরোমন্থনে পড়েছিলাম -- ততদিনে তিনি বউ-বিদ্বেষী চুটকিমূলক লেখা থেকে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছেন। আদর্শ চরিত্রে ভরপুর তাঁর কিশোর উপন্যাসে বাড়ির বড়রা সকলে ক্লাসিক্যাল গাইছে, কিশোররা রেগুলার ধ্যান করে মনের জোর বাড়িয়ে অংকে একশো পাচ্ছে আর কিশোরীরা সন্ধেবেলা পড়তে বসার আগে মায়ের স্নেহচ্ছায়ায় চপ ভাজার জন্য চামচ দিয়ে মাছের কাঁটা বাছতে শিখছে। এই ঘটনাটা অবশ্য গল্পকথা নয়, বাস্তব। একদিন দুপুরে লেখক এক বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলেন। বন্ধুর বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল, কাজেই তিনি আর পাঁচটা স্বাভাবিক লোকের মতো বন্ধুর নাম ধরে চিল্লিয়ে বন্ধুর মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় পাশের বাড়ি থেকে একজন র‍্যান্ডম প্রতিবেশী বেরিয়ে এসে, "দুপুরবেলা চিৎকার করে পাড়ার লোকের শান্তিভঙ্গ করতে নেই শেখায়নি বাড়িতে?" বলে টেনে থাপ্পড়। দুপুরবেলা না চেঁচানোর ফান্ডামেন্টাল শিক্ষাটা, যা তাঁর ক্লাসিক্যাল-গাওয়া বাড়ির লোক শেখাতে মিস করে গিয়েছিলেন, সারাজীবনের মতো শিখিয়ে দেওয়ার জন্য সেই অচেনা প্রতিবেশী এবং প্রতিবেশীর থাপ্পড়ের অবদান লেখক সকৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেছিলেন।

একেকখানা জয়েন্ট ফ্যামিলি যে কী পরিমাণ হিংস্রতা ধারণ করার ক্ষমতা রাখে সেটা হয় লোকে ভুলে গেছে, কিংবা প্রত্যক্ষ করেনি। সিরিয়াল কিলার যদি নাও হয়, পালে পালে সাইকোপ্যাথ তৈরি করে পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি তো বলব জয়েন্ট ফ্যামিলির রিপ্রেজেন্টেশন হিসেবে অঞ্জন চৌধুরীর বউ-সিরিজের সিনেমাগুলো অনেক বেশি বাস্তবোচিত দ্যান আজকালকার রিয়েলিস্টিক এবং আর্টিস্টিক সিনেমা যেখানে বাড়ির সবাই এস ইউ ভি চড়ে শান্তিনিকেতনের সামার প্যালেসে যায় আর থেরাপিস্টের ভাষায় দুঃখ রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করে। কেউ চিৎকার করে না, রেগে চোদ্দপুরুষ তোলে না, আছড়ে কাপডিশ ভাঙে না, ঘৃণায় রিরি করে কাঁপে না।

লোকে বলতে পারে, তোমার লো-ক্লাস ফ্যামিলি বলে চিৎকার করে ঝগড়া দেখেছ, আমাদের হাই-ক্লাস ফ্যামিলিতে চিরকাল ওইরকম আউটডোরে গিয়ে গলা আগাগোড়া জি-শার্পে রেখে আলাপআলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সাংসারিক সমস্যার সমাধান করা হত।

হতে পারে। সেই কে যেন উপন্যাসের প্রথম লাইনে লিখে গিয়েছিলেন, সব সুখী পরিবারই একরকম কিন্তু সব অসুখী পরিবারই ইউনিক, কাজেই আমি আমার দেখা জয়েন্ট ফ্যামিলির অভিজ্ঞতাই বলতে পারি, অন্যের ফ্যামিলি নিয়ে আমার কিছু বলতে যাওয়া সাজে না। এই চুপ করলাম।

কিন্তু লোডশেডিং-এর মফঃস্বলের ছাদ নিয়ে কিছু বলতে এলে আমি চুপ করব না। কারণ ওতে আমার পি এইচ ডি করা আছে। কেউ যদি মশার ব্যাপারটা চেপে গিয়ে স্রেফ হাততালি দিয়ে হল ভরানোর চেষ্টা করেন, লাইং বাই অমিশনের অভিযোগে আমি তাঁদের কাঠগড়ায় তুলব। যদি কোনওদিন মফঃস্বলের ছাদে পা না দিয়ে কেউ সেই নিয়ে কাব্যি করার চেষ্টা করেন সেই সাংস্কৃতিক গাপের বিরুদ্ধে আমি গর্জে উঠব।

তবে হতে পারে তাঁরা ইচ্ছাকৃত মিথ্যে বলছেন না বা অন্যের অভিজ্ঞতা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট করছেন না, মফঃস্বলের ছাদ সম্পর্কে তাঁদের তুল্যমূল্য আইডিয়া আছে, কিন্তু মশা, গরমের ডিটেলটা ভুলে গেছেন। আমাদের মাথার মধ্যে চমৎকার কলকবজা আছে। যারা বর্তমানের কষ্টের গুরুত্ব বাড়াতে অতীত যন্ত্রণাগুলো লঘু করে দেখানোর জন্য অনবরত খেটে চলেছে মগজের ভেতর। তারাই যতসব মানঅপমান, পারস্পরিক ঠকাঠকি, আনাড়ি এবং অতৃপ্তিদায়ক ইন্টিমেসি ভুলিয়ে প্রথম প্রেমের কেবল বুক ধড়ফড় পেট ফরফর ইত্যাদি হাবিজাবি মনে রাখিয়ে দিচ্ছে।

আমারও মাথার ভেতরেও কি আর কলকবজা নেই? নেহাত সিনেমার পরিচালককে দুচক্ষে দেখতে পারি না তাই ঝাঁপিয়ে পড়লাম, কিন্তু লোডশেডিং-এর ছাদের মশা, গরম, মায়ের থমথমে মুখ, আর আমার বুক ধুকপুকের বদলে রসগোল্লাটুকুই মনে রাখা সুবিধে। আগের না তার আগের বছরের পুজোয় এসি উবারে চড়ে ফুরফুরে মেজাজে বাড়ি ফেরার বদলে পঁয়তাল্লিশ নম্বর বাসে সাতটাকা দামের সংগ্রাম নিয়ে সস্নেহ রচনা লিখলাম, কিন্তু আমার দৈনন্দিন বাসেট্রেনে চড়ার বাস্তব জুড়ে ছিল ঘাম, নোংরা, জঞ্জাল, ভিড়, হাতে উদ্যত ছাতা, বুকের সামনে ব্যাকপ্যাক, সতর্ক দৃষ্টিতে ধেয়ে আসা কনুই ক্বচিৎকদাচিৎ সফলভাবে এড়িয়ে এবং অধিকাংশ সময়েই ব্যর্থ হয়ে বছরের পর বছর আসা আর যাওয়া, যাওয়া আর আসা। সে সব গল্প লিখলে আপনারও পড়তে ভালো লাগবে না, আমারও সিপ্রালেক্সের এফেক্ট কেটে যাবে।

তার থেকে বরং মশার বদলে হাততালিই সই।


Comments

  1. বৈজয়ন্তীJune 21, 2020 at 3:03 PM

    হতে পারে ওরা হাততালি দিয়ে খেলছিলোনা, আসলে মশা মারছিল?
    জয়েন্ট ফ্যামিলি নিয়ে লোকের আদিখ্যেতা দেখলে আমারও গা জ্বলে।
    "আগের সব ভালো ছিলো, এখন সব বাজে পচা"।
    অসহ্য!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এটা ভালো বলেছেন, হয়তো মশাই মারছিল।

      Delete
  2. Ki sundor likhechho.. cinema y ar ekta jinis moshari na tangiye shute jaoa!

    R iye tumi ki Sanjib Chattopadhyay er kotha likhechho? : papiya

    ReplyDelete
    Replies
    1. রিষড়ার বাড়িতে মশারি না টাঙিয়ে শুলে সকালবেলা উঠে আবিষ্কার করব মশারা তুলে আমাকে ছাদে নিয়ে চলে গেছে।

      Delete
  3. "জয়েন্ট ফ্যামিলির রিপ্রেজেন্টেশন হিসেবে অঞ্জন চৌধুরীর বউ-সিরিজের সিনেমাগুলো অনেক বেশি বাস্তবোচিত দ্যান আজকালকার রিয়েলিস্টিক এবং আর্টিস্টিক সিনেমা যেখানে বাড়ির সবাই এস ইউ ভি চড়ে শান্তিনিকেতনের সামার প্যালেসে যায় আর থেরাপিস্টের ভাষায় দুঃখ রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করে। " হাততালি !

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিনেমা দেখে তো সেইরকমই মালুম হয়।

      Delete
  4. ¨ততদিনে তিনি বউ-বিদ্বেষী চুটকিমূলক লেখা থেকে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছেন¨
    লেখক কে একেবারেই চিনতে পেরে গেলুম :) ওনার ওই তিন মামার কার্যকলাপ বেশ ভালোই মনে আছে। .

    অসাধারণ লিখেছো। এই সর্বদা অবাস্তব রোমান্টিক নস্টালজিয়া নিয়েই বাঙালি গেলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. নস্ট্যালজিয়া যখন স্রেফ মিথ্যে কথা বলে তখন রাগ না হয়ে যায় না।

      Delete
  5. Shotyi....chhotobela ebong joint family niye adikhyeta ( bisheshoto social media-e) dekhe mone hoy amaar chhoto bela gulo ki otyonto dukhher ketechhilo

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল, অর্পণ। ঘটনাটা হাসির আবার হাসির নয়ও। বেশ ছোট বয়সে টিভিতে শিশুর বিকাশসংক্রান্ত "মনস্তাত্ত্বিক" প্রোগ্রাম দেখে মাকে অফিস থেকে ফেরার পর জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "মা তুমি তো চাকরি কর, তার মানে কি আমি তোমার সান্নিধ্য পাই না?" মা উল্টে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমার কী মনে হয়, আমি তাঁর সান্নিধ্য পাই কি না। স্বীকার করেছিলাম, মায়ের সান্নিধ্যের অভাব আমি কখনওই টের পাইনি। মা বলেছিলেন তাহলে তো মিটেই গেল। এবং টিভি দেখা যে কী খারাপ ব্যাপার সে সতর্কতাবাণী আরেকবার ঝালিয়ে দিয়েছিলেন।

      Delete
  6. Uff ei lekhata ar tar songe comments gulo o pore ki je shanti pelam.. ei type nostalgia gulo amar jemon obastob lage temon onekei achen jene bhalo laglo.. porikkhar ager din loadshedding gulo bhule jai ni.. tar modhye moshari..!! ar oi kolpoloker adorsho manush niye lekha sanjib chattopadhyay er golpo gulo.. haha.. sotti..

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই, পরীক্ষার আগের রাতে লোডশেডিং হলে আর অত রোমান্টিক হতে হত না, বল ঊর্মি?

      Delete
  7. ছোটবেলা থেকে আমাদের শেখানো বেশ কয়েকটা ঢপ:

    ১. কালার টি.ভি দেখা খারাপ।

    ২. পিঁপড়ে খেলে সাঁতার ভালো শেখা যায়।

    ৩. সব বড়ই শ্রদ্ধার পাত্র।

    ৪. একান্নবর্তী পরিবার চরিত্র গঠনের পক্ষে সবচেয়ে ভালো।

    ৫. একটি সন্তান মানেই স্বার্থপর।

    ৬. বম্বের সিনেমার গান মানে শ্য়ালো কালচার।

    ৭. রবীন্দ্রনাথের সব লেখাই ভালো। তোমার যদি ভালো না লাগে, তাহলে তোমার ম্য়াচিওরিটির অভাব।

    ৮. কত লেখকই নাকি রবি ঠাকুর কে অস্বীকার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষের দিকে তারা সবাই বলেছেন "শেষ কথা তো তিনিই বলে গেছেন"।

    ৯. সব বাঙালি হিন্দু-মুসলমান মাত্রই "এক বৃন্তের দুটি কুসুম"।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ১০. শেয়ার-মার্কেট বা টাকা-পয়সার ব্য়াপারে ইন্টারেস্ট রাখা বড়ই ক্ষুদ্র মনের পরিচয়।মনে করুন,নায়ক সিনেমায় উত্তমকুমার চরম তাচ্ছিল্লের সাথে এক মাড়োয়াড়ি শেঠজী কে জিগ্গেস করছে "খবরের কাগজে শেয়ার এর খবর ছাড়া আর কিছু পড়া হয় কি?"

      ১১. মৃনাল সেনের সিনেমা নাকি ফাটাফাটি, একটা আলাদা লেভেলের।

      ১২. পট্য়াশিয়াম সায়ানাইড এর স্বাদ নাকি জানা যায়নি কারন বহু বৈজ্ঞানিক নাকি একটু চেখে, 'S' লিখে মারা গেছে।

      আপাতত এই থাক্। আজকের মধ্য়ে একটা ডকুমেন্ট শেষ করতে হবে। সেটা থেকে পালাতে এই সব কমেন্ট মেরে চলেছি।

      Delete
    2. হাহা, সবগুলো না হলেও, আপনার লিস্টের কয়েকটা আইটেম আমাকেও ছোটবেলায় শেখানো হয়েছিল।

      Delete
  8. Kon cinema bolcho janina, mone hochche Posto, amar Ma r bhsihon bhalo legeche bole dekhlam, porer dike ar parchilam na. Anyway cinema tar onek bhul bhal dik ache including excess of sentiment, kintu ei loadshedding niye romanticism kintu amio ekhon bhishon kori.
    Chhoto belay jekhane thaktam, loadshedding pray roj hoto, kintu undpredictable time e. Ar seita kintu besh anonder byapar chhilo. Loadshsedding kendro kore sondhe ta besh ekta uttejona niye katto -- Loadshedidng er aage homework sesh korte hobe, Ma ke ruti korte hobe etc etc. Tarpor jei load shedding holo, madur, lonthon ar radio niye chhat e giye bosha hoto. Chhat theke e bari, o bari r sathe golpo, radio te Binaca geetmala, kokhon light asbe tai niye porikolpona, besh lagto!! Tokhon oi class 4-5 chhilam bole bodhoy aro moja lagto.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি কণ্ঠ-র কথা বলছিলাম, বং বম। পোস্ত ব্রিগেডেরই সিনেমা। পোস্তও তো ঠাকুরদাঠাকুমা/জয়েন্ট ফ্যামিলির নস্ট্যালজিয়া নিয়ে ছবি। পরিচালক/লেখকরা আমার থেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান, তাঁরা সেই সব বিষয় নিয়েই সিনেমা ফাঁদেন যেগুলো সকলের ভালো লাগবে। নিশ্চয় লাগেও, না হলে আর এই সিনেমাগুলো হিট হয় কী করে। আমারও লোডশেডিং ইত্যাদি নিয়ে নস্ট্যালজিয়া ছিল, অবান্তরেই খুঁজলে পোস্ট পাওয়া যাবে, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খিটকেল হয়ে যাচ্ছি সম্ভবত।

      Delete
    2. Achch oita dekhini. Same director duo?

      Delete
  9. স্মৃতি সততই সুখের এই জন্যেই বলে| লেখাটা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে|

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অমিতা।

      Delete

Post a Comment