রাত অকেলি হ্যায়
উৎস গুগল ইমেজেস
প্রশংসা
১। আজকাল নামজাদা সেলিব্রিটির প্রতি আনুগত্য জাহির করতে ভয় লাগে। কোথায় কী গুল খিলিয়ে রেখেছেন। বা এখন না খেলালেও পরে খেলাবেন। তখন কিছু লোক, তুমি তো একসময় খুব মাথায় তুলতে, বলে মুখ বেঁকাবে। শিল্পের থেকে শিল্পীকে আলাদা রাখার থিওরি ফলিয়ে যে শত্রুপক্ষের থোঁতা মুখ ভোঁতা করব সে জমানাও গেছে। এখন রোলিং-এর ট্রান্সফোবিক মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রগতিশীলদের দলে দলে বুকশেলফ থেকে হ্যারি পটারের বক্সসেট বিদায় করার জমানা। এখন সবার মত হচ্ছে শিল্পীকে বাদ দিয়ে শিল্প হয় না। শিল্পীর ধ্যানধারণা, বিশ্বাসঅবিশ্বাস -- মগজ এবং আঙুল চুঁইয়ে শিল্পের মধ্যে ঢোকে; যে শিল্পকে তোল্লাই দেওয়া মানে শিল্পীর যাবতীয় ভালোমানুষি এবং বাঁদরামোকে প্রশ্রয় দেওয়া।
ওঁর অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের দোষগুণ, ভালোমন্দ কিছুই জানি না ধরে নিয়ে স্বীকার এবং ঘোষণা করছি - এই মুহূর্ত এবং গত বেশ কয়েকবছর, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি আমার ফেএএএএভারিট অভিনেতা। চড় খাওয়া গুণ্ডা থেকে শুরু করে চড় মারা পুলিস থেকে শুরু করে পিডোফাইল মাস্টারমশাই থেকে শুরু করে সাকসেসফুল মাফিয়া ডনের অপদার্থ ছেলে -- যে রূপেই উনি পর্দায় আবির্ভূত হন না কেন, সমান শিহরণ জাগে।
রাত অকেলি হ্যায়-তেও জেগেছে। রাত অকেলি হ্যায়-তে নওয়াজুদ্দিন সেজেছেন পুলিস অফিসার। নাম জটিল যাদব। গোড়াতে যতীন রাখা হয়েছিল, তালেগোলে জটিল হয়ে গেছে। মায়ের সঙ্গে একলাটি থাকেন, সততার সঙ্গে চাকরি করেন, কোনওরকম চরিত্রদৌর্বল্যে ভোগেন না।
অভিনয় তো ভালোই করেন, এ ছাড়াও ধুদ্ধুড়ি হয়েও না হওয়া একটা সত্য সিদ্দিকিসাহেব বারবার প্রমাণ করেন। সেক্স অ্যাপিলের কোনও দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, মেলানিন হয় না। ওর জন্য গুলি ফুলিয়ে, ঠোঁট ফাঁপিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকাতেও হয় না। ও জিনিস যার থাকে তার থাকে, যার থাকে না তার শত চেষ্টাতেও গজানোর আশা থাকে না।
সিনেমায় আরও অনেকেই আছেন, চেনা মুখ। হিরোইন সেজেছেন রাধিকা আপ্তে। তিতলি নামের একটি হাত পা পেটের ভেতর সেঁধানো হিন্দি সিনেমা দেখেছিলাম, অভিনয় করেছিলেন শিবানী রঘুবংশী, এখানে ছোট কিন্তু জরুরি একটি রোলে আছেন। আরেকজন পছন্দের অভিনেতা তিগমাংশু ধুলিয়া করেছেন গোলমেলে পুলিস বসের পার্ট। শ্বেতা ত্রিপাঠী, যিনি নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে হারামখোর নামের আরেকটি বুক কাঁপানো সিনেমা-য় অভিনয় করেছিলেন, তিনিও আছেন। ইলা অরুণ নেমেছেন জটিল যাদবের মায়ের রোলে।
আরেকজন আছেন, আদিত্য শ্রীবাস্তব। যিনি 'ওরে বাবা সেধে এত ডিপ্রেসিং সিনেমা কেন দেখতে বসেছি' গোত্রের আমার তিনটি প্রিয় সিনেমা - গুলাল, ব্ল্যাক ফ্রাইডে এবং পাঁচ-এ অভিনয় করেছিলেন। আরও নিশ্চয় অনেক ভালো ভালো সিনেমায় ভালো ভালো অভিনয় করেছেন এবং করবেন। কিন্তু আমার কাছে তিনি আজীবন, আমরণ সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ হয়েই থাকবেন। ওঁকে খারাপ লাগা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, লাগার মতো কিছু করেনওনি।
২। আজকাল ওয়েবসিরিজ/সিনেমা দেখতে বসার একটা ফাউ বিনোদন হচ্ছে, দেখে উঠে বল-তো-গল্পটা-কোথা-থেকে-ইন্সপায়ার্ড-ইন্সপায়ার্ড খেলা। দেখেশুনে যা বুঝলাম, রাত অকেলি হ্যায় সে বাবদে একটা বিরাট রেঞ্জ কভার করেছে। শেক্সপিয়ার থেকে শরদিন্দু। এই অসামান্য কীর্তি রা-অ-হ্যা কী করে স্থাপন করল কীভাবে সেটা বলতে গেলে আগে গল্পটা বলতে হবে।
বিয়ের রাতে বর খুন হয়েছেন। বর্ষীয়ান বর। স্ত্রী গত হয়েছেন পাঁচবছর আগে। সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভারও ডেড। একটা গোলমাল আছে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু বরের পরিবার বনেদি এবং পয়সাওয়ালা, ভোটেটোটে দাঁড়ান, কাজেই পুলিস বিশেষ গা করছে না। দুর্ঘটনার পাঁচ বছর বাদে বর আবার বিয়ে করছেন (বর টাইপ করতে গেলেই অভ্র বারংবার বর্বর সাজেস্ট করছে। এই সিনেমার ক্ষেত্রে সেটা এত অ্যাপ্রোপ্রিয়েট যে কী বলব)। একটা ব্যাপারে বরমশাইয়ের বদান্যতার তারিফ করতে হবে, দ্বিতীয় বিয়ে করার সময় গৃহকর্মনিপুণা সুলক্ষণা অনাঘ্রাতা বালিকা বেছে আনার বদলে তিনি তাঁর মেয়ের বয়সী দীর্ঘদিনের রক্ষিতা রাধাকে বিয়ে করার বিপ্লব ঘটিয়েছেন। বলা বাহুল্য, তাঁর বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকেই চটেছে। বিশেষ করে অপদার্থ জামাই, শ্বশুরমশাই মরলেই সম্পত্তির অধিকারী হওয়ার অপেক্ষায় যিনি থাবা কচলাচ্ছিলেন। তাছাড়াও আছেন বরের মৃত দাদার পরিবার, বৌদি, ভাইপো, ভাইঝি। এঁরাও আশায় আশায় ছিলেন যে কিছু ছিটেফোঁটা পাওয়া যেতে পারে। কাকার এত বয়সে বিয়ে বসাটা তাঁদেরও মনঃপূত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
সেই বর খুন। বাড়ির সবাই, বিশেষ করে অপদার্থ জামাইটি লাফিয়ে পড়ে নতুন বউয়ের ওপর খুনের আঙুল তোলে। এক ঢিলে যদি দুই পাখি বিদেয় করা যায়। তদন্ত করতে আসেন ইন্সপেক্টর জটিল যাদব।
শেক্সপিয়ার যা পড়েছি সবই অনূদিত এবং অ্যাব্রিজড, তবু গল্পের ধাঁচ জানা আছে বলে আর গাদাগুচ্ছের রিটেলিং দেখা আছে বলে বুঝেছি, কাকাভাইপোর টানাপোড়েন, মায়ের অন্ধ পুত্রস্নেহ ইত্যাদি সম্পর্কের প্যাঁচ, বিশেষ করে কমন দালানে একজোট হয়ে তাঁদের ঝামেলা পাকানো দেখলে শেক্সপিয়ার থেকে টোকা মনে হওয়া অবিশ্বাস্য নয়। তারপর বাড়িতে একজন সন্দেহজনক চরিত্রের ফেম ফ্যাটালের আবির্ভাব আর বাড়ির একাধিক পুরুষের তাঁর প্রতি কেমন কেমনের ব্যাপারটা -- ক্ল্যাসিক শরদিন্দু।
কিন্তু আমি বলব, এর সঙ্গে ওর সঙ্গেও মিল থাকা সত্ত্বেও, আসলে রাত অকেলি হ্যায় কিছু থেকেই টোকা নয়। রাত অকেলি-র গল্পটা কতগুলো বহুব্যবহৃত ট্রোপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যে ট্রোপগুলো আগেও বহু গল্প ব্যবহার করেছে। দু'টো ট্রোপের উদাহরণ তো আগেই দিলাম, নিচে আরও কয়েকটা দিচ্ছি।
১। প্রথম খুনের যে সাক্ষী থাকবে, সেকেন্ড খুনটা সে হবে।
২। বাড়ির সকলেরই খুন করার মোটিভ আছে।
৩। সবার মিথ্যে বলার স্বার্থ আছে। কারও অ্যালিবাই দাঁড়াচ্ছে না।
৪। বদের বাসা রাজনীতিবিদের সঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিস অধিকর্তার আঁতাত চলছে।
৫। সৎ পুলিস অফিসারকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ইত্যাদি প্রভৃতি।
প্রশংসার ক্যাটেগরিতে ট্রোপের প্রতি আনুগত্যের কথা বেখাপ্পা লাগতে পারে। কিন্তু ট্রোপ ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে গল্প বলা আপসে অনেক টান টান হয়ে যায়। প্রথম ট্রোপটার কথাই ধরুন। খুনের সাক্ষী খুন। মান্ধাতার আমল থেকে গোয়েন্দাগল্পে চলে আসছে বলে অনেকে নাক কোঁচকাতে পারেন। কিন্তু একটা গল্পে একাধিক খুন ঠেসে দিতে হলে (যা কি না আমার মতে ভালো রহস্যগল্পের অবিসংবাদিত শর্ত) এর থেকে যুক্তিযুক্ত কারণ কি কেউ দেখাতে পেরেছে?
রাত অকেলি হ্যায় আমার মতে গোয়েন্দাগল্পের ট্রোপগুলো প্রশংসনীয় মুনশিয়ানার সঙ্গে ব্যবহার করেছে।
৩। তিননম্বর প্রশংসাটা 'নুন-আরেকটু-বেশি-হলেই-রান্নাটা-খারাপ-হয়ে-যেত গোত্রের। ছোট শহরের সামাজিক রাজনৈতিক চালচিত্র, মূল্যবোধ, অবক্ষয়, গুড কপ ব্যাড কপ, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদিতে টইটম্বুর প্রেক্ষাপট দেখে আমি ভয়ে ভয়ে ছিলাম, এই রে, এইবার সোশ্যাল কমেন্টারি শুরু হল বলে। হলে, ফ্র্যাংকলি, আমি উঠে পড়তাম। পড়িনি যে তার একমাত্র কারণ হচ্ছে ও সবের মধ্যেও গল্পের রহস্য, খুন এবং খুন কে করেছে, কে করতে পারে, সেটাই সর্বদা প্রাধান্য পেয়েছে। বাদবাকি সবই ঘটেছে ওই সুতোর আশেপাশে।
নিন্দে
১। অ্যাদ্দিনে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে গল্পের প্রধান প্লট যা-ই হোক না কেন, সাবপ্লট হবে প্রেম। এবার এটাও পরিষ্কার হয়ে যাওয়া দরকার যে প্রেমটা কাদের কাদের মধ্যে হতে পারে সেটা নিয়ে আরেকটু মাথা খাটানোর দরকার আছে।
এমন জুটির মধ্যে যদি আপনি প্রেমভালোবাসার উন্মেষ ঘটান যাদের একজন পরীক্ষা দেবে আরেকজন নম্বর দেবে, একজন অ্যাপ্রাইজাল জমা দেবে আরেকজন অ্যাপ্রাইজালে কমেন্ট লিখবে, একজন খুন করবে আরেকজন তদন্ত করবে -- তাহলে আমার মতো ছোটমনেরা ভুরু কোঁচকাবে। কোঁচকাবেই।
নির্ঘাত এ কিছু আদায় করার জন্য প্রেম করছে। নির্ঘাত ও একে ফাঁদে পেয়ে প্রেম করছে।
জটিল যাদব যদি বাড়ির বৃদ্ধা ঠাকুমার প্রেমে পড়তেন, যিনি সাস্পেক্ট নন এবং কুলাঙ্গার নাতিনাতনি বাপকাকাকে খুন করে জেলেই যাক বা ফাঁসি, যাঁর কিস্যু যার এসে যায় না, আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হতাম না। উল্টে এমন চমৎকার জুড়ির প্রতি বুকভরা শুভেচ্ছা জানাতাম।
হ্যাঁ, গল্পে স্টেক থাকত না। প্রধান সাসপেক্টের প্রতি তদন্তকারীর প্রেমের যে এক্সট্রা টানাপোড়েন, ঠাকুমার সঙ্গে প্রেম সেটা জোগাতে পারত না। কারণ সেখানে স্বার্থের সংঘাত নেই। আর জমাটি সংঘাত না থাকলে গপ্পও নেই।
সে সংঘাত এখানেও যে খুব দেখানো হয়েছে তেমন নয়। বাহ্যিক সংঘাত একরকম দেখানো হয়েছে কারণ জটিল যাদবের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়েছে, কিন্তু অন্তর্লীন সংঘাতের খাতা শূন্য।
জটিল যাদব প্রেমে পড়েছেন অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজনের, যার খুন করার ঝুড়ি ঝুড়ি মোটিভ এবং অপরচুনিটি আছে। এবং মুখ থুবড়ে পড়েছেন। তিনি ধরে নিয়েছেন মহিলা খুন করতেই পারেন না। এই ধরে নেওয়ার পেছনে গাট ফিলিং ছাড়া আর কোনও যুক্তি খাড়া করার পরিশ্রম করা হয়নি।
প্রেমে পড়ে জটিল সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিকতা হারিয়েছেন। সহকর্মী যখন রাধাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন, (সহকর্মীটিও নৈর্ব্যক্তিক নন; তিনি আবার ধরেই নিয়েছেন রাধাই খুনী এবং রাধাকে যা নয় তাই সম্বোধনে ভূষিত করছেন) জটিল যাদব তাঁকে প্রকাশ্য দিবালোকে বাইক থেকে নামিয়ে চড়থাপ্পড় মারছেন।
যে পুলিস অফিসারকে ঘটনার আগের সিনে বসের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে দেখা যায়নি, তিনি সাসপেন্ড হয়ে, ক্রাইম সিনে ঢুকে, বাড়িশুদ্ধু লোককে মেরে পাট করে, রাধাকে বাইকের পেছনে চাপিয়ে শহর ছেড়ে, মাঝরাতে রাধার চেনা বাড়িতে গিয়ে উঠে, সকালবেলা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে রাধার দু'গাল চেপে ধরে চুম্বনোদ্যত হচ্ছেন এবং পরের সিনে রাধা তাঁকে মিথ্যে বলেছে আবিষ্কার করে দেওয়ালে ঠেসে ধরে থাবড়া কষাচ্ছেন।
অর্চিষ্মান তর্ক করল যে এইসব মূলত জটিল যাদবের চরিত্রের আর্ক বোঝানোর জন্য করা হয়েছে। যে লোকটা সিনেমার শুরুতে মহিলাদের জামাকাপড়, চালচলন নিয়ে ভয়াবহ সেকেলে এবং আপত্তিজনক মন্তব্য করছে, সেই কি না দশ মিনিট যেতে না যেতে সমাজের চোখে পতিত একজন নারীর হয়ে চাকরি লাটে তুলে, প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়ে যাচ্ছে। এর থেকে মারাত্মক আর্ক আর কী হতে পারত? আর কনফ্লিক্টের মতোই, চরিত্রের, বিশেষ করে প্রধান চরিত্রের আর্ক, ভালো গল্পের গোড়ার শর্ত।
যদি ধরে নিই যে আর্ক দেখানোই উদ্দেশ্য হয়, তবে তা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য কি? পুলিসের চাকরির মতো একটা চাকরি করে জটিল যাদবের যে চক্ষুরুন্মীলন ঘটেনি, আবেদনময়ী সাসপেক্টের সামনে পড়ে এক নিমেষে তা ঘটে গেল?
ঘটতেও পারে। যদি ঘটে তার থেকে ভালো কিছু হয় না। তবে আমার কাছে আর্কটা সমস্যা নয়। আমার সংশয়টা অন্য জায়গায়। কয়েকটা উদাহরণ দিলে যেটা বোঝাতে সুবিধে হবে।
সম্প্রতি একটি ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস পড়লাম। গল্পের হিরো একজন তরুণ আই পি এস অফিসার। শুরু থেকে বিভিন্ন চরিত্রের মুখে অফিসারের মেধা, বিচক্ষণতা, রহস্য সমাধানে পটুতার গুণগান শুনে শুনে কান ঝালাপালা। অতঃপর গল্পে অফিসারের দপ্তরে এক মহিলা একটি রহস্য নিয়ে এলেন। দরজায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, "আসতে পারি?" অফিসার চোখ তুলে তাকালেন এবং থমকে গেলেন। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট। তিনি বুঝতে পারলেন, এতদিন ধরে এই মানুষটিরই তাঁর অপেক্ষা ছিল। তাঁর কান গরম হল, গলা খসখসে, জিভ খটখটে। অনেককক্ষণ পর তিনি আবিষ্কার করলেন মহিলা কখন যেন সামনের চেয়ারে বসে কী সব কথা বলে চলেছেন, একবর্ণও তাঁর কানে ঢোকেনি। তিনি গলা খাঁকারি দিয়ে যথাসম্ভব সামলে নিয়ে পরিস্থিতি ম্যানেজ দিলেন।
এইবার কল্পনা করুন আপনি ওই সুন্দরী মহিলা। মারাত্মক বিপদে পড়েছেন। ছুটে গেছেন পুলিসের কাছে সাহায্য চাইবেন বলে। আপনি আপনার সমস্যার কথা বলছেন, এদিকে উল্টোদিকে বসা পুলিস কিছুই শোনার অবস্থায় নেই। তিনি ঘামছেন। কান গরম। এক পা অন্য পায়ের ওপর তুলছেন। আবার ওই পায়ের ওপর এই পা। উশখুশ করছেন। গলা ঝাড়ছেন। আপনার কথা একবর্ণ তাঁর মগজে ঢুকছে না।
আপনি এঁকে ভালো পুলিস অফিসার বলবেন? আমি হলে বলতাম না। মেধা চাই না, পটুতা চাই না, মগজাস্ত্র, ইনটুইশন কিচ্ছু চাই না। নিজের মন ও শরীরের ওপর বেটার সংযমওয়ালা কাউকে দে ভাই। যিনি আমার মাপজোকের থেকে আমার সমস্যাকে বেশি সিরিয়াসলি নেবেন এবং নিজের ডিউটি যথাযথ পালন করবেন।
এবার অনামী রহস্য ধারাবাহিকের বদলে একটি বিশ্ববন্দিত সায়েন্স ফিকশন। বিজ্ঞান, ফিলজফি, পুরাণ, ইতিহাস, বিপ্লবের অসামান্য ককটেল। জনর সাহিত্যের ফুরফুরে বদনামের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া সিরিয়াস সাইফাই। সমস্ত প্রধান ভাষায় অনূদিত, পুরস্কৃত। সেই গল্পে এক বিজ্ঞানী গেছেন আরেক বিজ্ঞানীর সঙ্গে বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলতে। প্রথম জন পুরুষ, দ্বিতীয় জন মহিলা। আমার অক্ষরে অক্ষরে মনে নেই, দেখে দেখে টোকার ধৈর্যও নেই, কিন্তু মহিলা বিজ্ঞানীকে পুরুষ বিজ্ঞানীর প্রথম দেখার ফিলিংটা পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে আছে। মহিলা সাদা ফুলের গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর লাবণ্যময়ী মুখে রোদছায়া খেলা করছে। হিরো বিজ্ঞানী চলচ্ছক্তিহীন হয়ে তাকিয়ে আছেন। এমন নারীও আছে পৃথিবীতে? ব্যস, সেই মুহূর্ত থেকে মহিলা আর সহকর্মী নন, বিজ্ঞানী নন, তাঁর রোল হচ্ছে হিরোর কামনার ধনের। এর পর তিনি যাই বুদ্ধির কথা বলবেন না কেন, হিরোর অনুরাগ চড়চড়িয়ে বাড়বে। ওয়াও, বিউটি উইথ ব্রেনস!
দুটো কারণে আমি বইগুলোর নাম করলাম না। এক, কারও চক্ষুশূল হওয়ার আমার অভিপ্রায় নয়। দ্বিতীয়ত, অবিকল এই রোগে ভোগা আরও দু'কোটি বইকে ছেড়ে এই দুই বইকে নিয়েই পড়লাম কেন, সেটার সদুত্তর দিতে পারব না বলে।
আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, এই সব হিরোরা বিজ্ঞানীও নন, পুলিসও নন, শিল্পী, খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ কিচ্ছু নন। আমাদের অধিকাংশ হিরোই আসলে তেরো বছরের হরমোনতাড়িত বালক।
এত কথা এই জন্য পাড়লাম সেটা হচ্ছে জটিল যাদবের চরিত্রের এই দুর্বলতাটাকে দুর্বলতা হিসেবে উপস্থাপন করলেই আমার বেশি ভালো লাগত। হিরোর মধ্যে সততা, নিয়মানুবর্তিতা, নির্ভীকতা ইত্যাদি দেবতাসুলভ পরিমাণে ঠেসে দিয়ে, যৌন আবেদনের শামুকে পা কাটানোর সিদ্ধান্তটা আমার চিরকালের রহস্য লাগে। ঘুষের মুখে পড়লে ঘুঁষিয়ে ঘুষদাতার দাঁত ভেঙে যাকে নিজের সততার প্রমাণ দিতে হয়, মুখের আদল আর ত্বকের মেলানিন মনের মতো হলে তিনি কাণ্ডজ্ঞান হারানোর লাইসেন্স পান কেন?
২। রা-অ-হ্যা যেমন ট্রোপ সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করে, তেমনি তা ক্লিশেতে পরিপূর্ণ। চরিত্রের ক্লিশে তো আছেই। পুলিসের মা বিয়ে দিতে চান। পুলিস বিয়ে করতে চান না। হিরোইন নারীশক্তির প্রতিভূ। দৃশ্যের ক্লিশেও ভূরি ভূরি। শেষ দৃশ্যে পাবলিক পরিবহনের টার্মিনাসে নায়কনায়িকার মিলন। জোয়া আখতারের সিনেমা হলে লুক্সেমবার্গের এয়ারপোর্টে হত, এখানে ছাপরা এক্সপ্রেসের ভিড় কামরায় হয়েছে। ওই মারাত্মক ভিড় কামরাতেও হিরোইন জানালার সিট পেয়েছেন ইত্যাদি।
ওয়েল, আমার ক্ষমতায় যা কুলিয়েছে, রাত অকেলি হ্যায়-এর ততখানি বিচার এখানে রইল। সিনেমা তৈরিতে আর যা যা লাগে -- আলো, শব্দ, সম্পাদনা, কালার কারেকশন, বুম হোল্ডিং-এর ইন-ডেপথ পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞরা তো রইলেনই। আমার বিচারের সঙ্গে আপনাদের বিচার মিলল কি না জানাবেন। না মিললেও।
1. "সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ " <3 <3 <3
ReplyDelete2. " আমাদের অধিকাংশ হিরোই আসলে তেরো বছরের হরমোনতাড়িত বালক।" completely true !
হাই ফাইভ, অন্বেষা।
DeleteAnekdin por comment korlam. ei series ta dekha hoini tabe shunechchi. Pochhonder abhineta hisebe Nawazuddin Siddiqi te high five. Aar oi Inspector Abhijit er jonyo high five.
ReplyDeleteAami kintu shilpi ba jekono manusher byaktijibon aar tar kormojibon ke alada kore dekhtei bhalobasi. Asadharon srishti sabsomoy ekjon asadharon paribarik ba samajik bodhsomponno byaktir kaach theke na paoa jetei paare.
সুস্মিতা, কেমন আছেন? রাত অকেলি হ্যায় বোধহয় একটাই সিনেমা। সিরিজ নয়। কাজেই দেখার সুবিধে। আমার আবার সিরিজ দেখার ধৈর্য থাকে না। আপনিও সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিতের অনুরাগী? আপনাকে আগের থেকে আরেকটু বেশি পছন্দ করলাম।
Deleteআপনার দ্বিতীয় প্যারার বিষয়টা নিয়ে আমার একটু মাথা চুলকোনো ভাব আছে। আমি দু'দিকের যুক্তিগুলোই ভেবে দেখেছি (দেখার চেষ্টা করেছি বলা উচিত) কিন্তু মনের মধ্যে পাল্লাটা একটা দিকে একটু হলেও বেশি ঝুঁকেছে। স্বীকার করছি, আমি খুব একটা আলাদা করে দেখতে পারি না। আমি একজন বাজারবিক্রেতার সঙ্গে যেভাবে কথা বলি, সেটা যদি আমার স্বভাবের থেকে আলাদা না হোয়, আমি মনের মাধুরী মিশিয়ে যা সৃষ্টি করব, সেটা কতটা আলাদা হওয়া সম্ভব -- সে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তবে আমি ভুল হতে পারি।
Aachhi ek prokar. Beijing theke goto January te bamaal somet Mumbai shift korechhi. Borshai Pashchimghat aparupa hoye uthechhe kintu aami tar aaswad nite parchhi na. Manosik peerar karon hoye uthechhe...
DeleteEkta somoy chhilo biyebari miss kore CID dekhtam. Tabe sesab ekhon ateet. kintu Inspector Abhijit e jibone onyo abhinoye oscar peleo tini amar chokhe Abhijit I thakben...satti bolchhi kaal apnar ekhane onar asol naam janlam...
এই করোনাকালে নতুন করে থিতু হওয়া তো মহা শক্ত কাজ, সুস্মিতা। সমবেদনা রইল। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন কিছু কিছু বিয়েবাড়ির থেকে সি আই ডি অন্তত একশোগুণ মজার আর কাজেরও।
DeleteDekhechi.. bhalo lageni.. Nawazuddin ke jotoi acting bhalo laguk variation kom lagche ajkal.. cinema ta sudhu suspense ta last obdhi dhore rekheche.. sobar e motive ache eta kaje lagiyeche.. tomar songe ninde ar proshongsa baki point gulo milche..
ReplyDeleteওহ, আমার বেশ লেগেছে, ঊর্মি।
Deleteদিদি, পাতাল লোক দেখেছেন?কেমন লেগেছে?
ReplyDeleteসোশ্যাল কমেন্ট্রারী আছে,নয় দশ এপিসোডের সিরিজ। তাও বলবো, দেখুন।আমাজন প্রাইমে আছে
কাল দেখলাম, ঋতম। কয়েকজন অভিনেতার ফ্যান হয়ে গেলাম। সাজেস্ট করার জন্য থ্যাংক ইউ।
DeleteRaat Akeli Hai amaro besh legechhe. Tobe tomar ekta positive point amar negative point er list-e thakbe. Tigmangshu Dhulia ar Inspector Abhijit (bhodroloker asol naam kichhutei mone thakena, tai ajkal chestao korina) dujonei amar bhison pochhonder abhineta. Kintu ei cinema dekhe mone hoyechhe just list e bhalo bhalo naam dekhanor jonno onader include kora hoyechhe. Ei level er actor der oituku involvement dekhe thik poshalona. By the way, amio Gulaal dekhe bhodroloker fan hoye gechhilam ��.
ReplyDeleteAr Jatil Yadhav er je weakness ta bolle, seta at least ami jokhon dekhechhilam amar mone hoyechhilo seta weakness hisebei present kora hoyechhe. Ek, meyeder kemon haoa uchit sei niye gadaguccher dialogue diye erokom ekjoner preme habudubu khaoa ta amar besh poetic justice mone hoyechhe, “onek to boro boro katha bolchhile, ekhon thela samlao” type. Dui, Jatil Yadhav preme pore desperate hoye geleo back of the mind e sarakkhon ei bhoy ta kaj korechhe je or weakness konobhabe meyeti exploit korchhe kina, jeta amar interesting legechhe. Obossoi dutor konotai Jatil Yadhav ke glorify korena as a police officer, kintu ei conflict gulo interesting legechhe.
Badbaki sob point e ekmot. Cliché gulo sottie boddo chokhe lage. Ar sex appeal niye “ও জিনিস যার থাকে তার থাকে, যার থাকে না তার শত চেষ্টাতেও গজানোর আশা থাকে না।” – high five!!
Amar jei jayga ta sobcheye dukkhojonok legechhe seta holo suicide korar ager muhurteo bhodromohila-r sesh asha chhele ke dekhar jonno, kintu chheler bodole meye esechhe shune hotash haoa.
-Aparajita
অপরাজিতা, খুব ভালো লাগল মন্তব্য পেয়ে। এই ব্যাপারটা তুমি বলার পর আমারও মনে হচ্ছে। তিগমাংশু আর অভিজিৎ দুজনেই আরেকটু জরুরি রোল ডিজার্ভ করেন। আর কনফ্লিক্টের ব্যাপারটা, পোস্টে যেমন লিখেছি, আমার যথেষ্ট বোধ হয়নি। সেটা আমার বোঝার ভুল হতে পারে।
Deleteরাত অকেলি হ্যায় দেখেছি আর ভেবেছি তুমি এটার রিভিউ লিখলে বেশ হয়| মনের আশা পূর্ণ হলো| সত্যি কথা বলতে প্রথমবার দেখে আমি ভালো বুঝতে পারিনি, পরিবারের কে কোনজন গুলিয়ে যাচ্ছিলো তাছাড়া আমার পুষিরা distract করছিলো, আমার পরিবারের লোকেরা এ কি বললো, সে কি বললো করে যাচ্ছিলো| তাই আবার দেখলাম| যথেষ্ট ভালো লেগেছে | তাছাড়া সিদ্দিকীমশায়ের আমিও ভীষণ ফ্যান| উনি থাকলে আমার ভালো লাগবেনা হতেই পারেনা তোমরা অনেকেই সি আই ডি এর কথা বোলো আমি কোনোদিন দেখিনি আর রাধিকা আপ্তে ছাড়া অন্যদের কাউকে চিনিনা| মোটের ওপর ভালো লেগেছে আর এটা ভালো সেটা ভালোনা এই সব ডিটেলে যাচ্ছিনা|
ReplyDeleteআমার মেয়েও হিন্দি সিনেমা দেখে আর বছর দুই আগে ওকে বলছিলাম এই হলো নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, চিনে রাখ, খুব ভালো actor, দেখতে যদিও বেশি ভালোনা| তারপর ও দেখতে শুরু করলো স্যাক্রেড গেমস, আর আমাকে বললো না দেখতে ভালো না কে বললো, দেখতেও ভালো :) Sacred Games হিন্দিতে দেখা শেষ করে আমাকে বললো যে এখন ও সব হিন্দি গালাগালি শিখে গেছে |
পাতাল লোকেরও রেকমেন্ডেশন পেয়েছি বেশ কিছু, তোমার ভালো লেগেছে? তাহলে দেখতে হবেতো! তাছাড়া Knives Out দেখেছি কিছুদিন হলো, খুব ভালো লেগেছে| তোমার রিভিউ বের করে মিলিয়ে নিয়েছি দেখার পরে|
ReplyDeleteঅমিতা, আপনার মেয়ের রুচিপছন্দের তারিফ করতেই হবে। আর সি আই ডি-র ব্যাপারটা--- ওটা দেখতে বসলে হাই চান্স আছে আপনার আমার রুচিপছন্দ সম্পর্কে সমস্ত ভরসা উবে যাওয়ার, কাজেই আমি বেশি জোরজার করছি না। আসলে আমার ধারণা ওটা অনেকেই (আমি শুদ্ধু) তখন দেখেছে বা তখন থেকে দেখছে যখন ভালোলাগা ব্যাপারটা যথেষ্ট যুক্তি মেপে চলে না আর দীর্ঘ সঙ্গের একটা আলাদা মাধুর্য তো থাকেই। যে কারণের জন্য স্কুলের বন্ধুত্বগুলো টেঁকে। মোদ্দা কথা সি আই ডি হেবি বাজে কিন্তু আবার একইসঙ্গে তুলনাহীন।
Deleteঋতম ওপরে বলার পর আমি পাতাল লোক দেখলাম দুটো এপিসোড মতো, তবে কৌতূহল দমন না করতে পেরে গোটা গল্পটা অর্চিষ্মানের থেকে শুনে আর উইকিপিডিয়া থেকে পড়ে নিয়েছি। পাতাল লোকের আমার একটা অসুবিধের ব্যাপার লেগেছে, বড় বেশি ভায়োলেন্স। জেলের ভেতরের মারের দৃশ্যগুলোয় প্রথমটা উঠে চা বানাতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এক ঘণ্টায় তিনবারের বেশি চা বানাতে ওঠা আমার পক্ষেও সম্ভব না। ইয়ার্কি অ্যাপার্ট, যত্ন করে বানানো আর অভিনয় যাকে বলে মারকাটারি। জয়দীপ আহলাওয়াট ভদ্রলোকের আমি একেবারে তস্য ফ্যান হয়ে গেছি। আমাদের স্বস্তিকাও মচৎকার। অল্প অল্প গর্বই হচ্ছিল আমার।
আপনি দেখতে পারেন। অর্চিষ্মানের খুব পছন্দ হয়েছে, আর বলেছে স্যাক্রেড গেমসের থেকে ভালো। আমি অবশ্য স্যাক্রেড গেমস দেখিনি কাজেই এগ্রি/ডিসেগ্রি করতে পারব না। কিন্তু আপনার মেয়ের পাতাল লোক দেখা না-দেখার সিদ্ধান্ত নিতে যদি সুবিধে হয়, তাই তথ্যটা জুড়ে দিলাম :)...
স্যাক্রেড গেমস থেকেও বেশি ভায়োলেন্স কি? তাহলে আমার দেখার ইচ্ছে নেই| সত্যি কথা বলতে murder mystery, গোয়েন্দা গল্প এই সব আমার খুব ফেভরিট জানরার মধ্যে পরেনা | তোমার রিভিউ পড়ে পড়ে উৎসাহিত হয়ে আমি আমি অনেক কিছু দেখেছি আর পড়েছি আর appreciate করেছি| এই ভায়োলেন্স এর জন্য স্যাক্রেড গেমস একবার শুরু করেও দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম| কিন্তু আবার দেখতে শুরু করে আমার প্রথম সিজন খুব ভালো লেগেছে| দেখি পাতাল লোকের ভায়োলেন্স ফাস্ট ফরওয়ার্ড করে দেখে ভালো লাগলে তবেই মেয়েকে রেকমেন্ড করবো|
Deleteস্যাক্রেড গেমস দেখিনি তো অমিতা। তবে কমেন্টটা লেখার পর থেকে একটা কথা ভাবছিলাম, আমি পাতাল লোকের থেকেও বেশি হিংস্র (শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হিংস্র) সিনেমা সিরিয়াল দেখেছি এবং তাদের কয়েকটা আমার অল টাইম ফেভারিট। গুলাল, মকবুল, আগলি। আমার ধারণা পাতাল লোক ভালো লাগবে। আমার এখন নাক পর্যন্ত ব্যস্ততা, কাজেই পুরোটা এক্ষুনি দেখছি না, ক'দিন বাদে দেখব ভেবেছি।
DeleteAmar cinema ta temon ahamori mone hoyni, motumuti one time timepass, ektu du ek jaygay fwd kore. Keno lageni, seta jehetu 'Kuntala'r moto jhorjhore sabolil bhashay moner bhab prokash korar moto khomota nei, tai chesta na korai bhalo.
ReplyDeleteEi jukti ta kemon?
হাহা, একটুও ধোপে টেঁকার মতো নয়, শিবেন্দু। রাত অকেলি হ্যায় দু'বার দেখা সময় নষ্ট, সে ব্যাপারে আপনাকে হাই ফাইভ। তবে হাজার হলেও মার্ডার মিস্ট্রি কি না, তায় আবার নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিওয়ালা, কাজেই প্রথমবার আমি যথেষ্ট আগ্রহ নিয়েই দেখেছি আরকি।
Deletereview ta chomotkar legeche. amar cinema tao bhalo legeche . lekhata porte porte oswsti hochhe sob kota dot connect korte parini bole , mane je je golpo cinemar nam diyecho segulo janar ichhe roilo.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত।
Deleteএখুনি দেখে উঠলাম। মোটামুটি আপনার সঙ্গে একমত। জটিল যাদবের রাধাকে একেবারে নির্দোষ বলে ধরে নেওয়াটা আমারও বোকা বোকা লেগেছে। তাছাড়া অপরাধীকে এবং তাকে ধরার জন্য যেসব তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে হয়েছে সেগুলোকে ধাপে ধাপে যথেষ্ট দেখানো হয়নি বলেই আমার মনে হয়েছে। সেটা অবশ্য খুব উঁচুদরের গোয়েন্দাগল্প ছাড়া দেখানোও হয়না। তবে জটিলের রাধার প্রেমে পড়াটা আরেকটু ইয়ে... মানে জটিল। ওর মনে একটা গিল্ট ছিল পাঁচ বছর আগে রাধার সুইসাইড আটকে ওর বাবার হাতে তুলে দিয়েছিল বলে।তাই আরেকবার তাকে ঠিক করে "উদ্ধার করার" একটা ইচ্ছে জেগে উঠেছিল মনে। সেটার প্রয়োজন ছিল কিনা, বা করাটা উচিত কিনা, সেটা অবশ্যই তর্কসাপেক্ষ। যাই হোক, ওভারঅল ঠিক এই ঘরানার হিন্দি ছবি শেষ কবে দেখেছি মনে পড়লনা, তাই মোটের ওপর ভালোই লাগল।
ReplyDeleteহ্যাঁ, মোটের ওপর ভালোই। তবে উদ্ধার করতে নেমে তাকে পুকুরপাড়ে একলা পেয়ে চুমু খেতে যাওয়াটা আরও বেশি ঘৃণ্য। জটিল যাদবকে তাহলে পুরো ভিলেন হিসেবে প্রেজেন্ট করা উচিত ছিল। সে জায়গায় কেমন হিরো বানিয়েছে বলুন দেখি।
Delete