অখাদ্যকুখাদ্য
নাও, কী খাবে বল, অর্চিষ্মান জানতে চাইলে বলি, কী আর। করুণাদির মোমো, কাবলিদার ঝালমুড়ি, দাদুর চপ, অন্নপূর্ণার উল্টোদিকের ছেলেটার আলুকাবলি আর ফুচকা (শওয়ার্মার উল্টোদিকের ভদ্রলোকের ওপর আমার রাগ নেই, কিন্তু ভদ্রলোকের ফুচকার জলে পুদিনার গন্ধ ম’ ম’ যেটা ডিস্টিংক্টলি নন-বাঙালি ফুচকার বৈশিষ্ট্য বলে আমার বিশ্বাস), অন্নপূর্ণার লর্ড চমচম আর সিঙাড়া… ফুচকা দিয়ে শুরু করব তো জানাই, শেষ করে চপের দিকে এগিয়ে দেখি দাদু পাটিসাপটাও বানাচ্ছেন আজকাল। ফাঁকিবাজি না, রীতিমত ষণ্ডা, নারকেলের পুর ফাটোফাটো। খেতে না খেতে আমারও সেই দশা হল। অর্চিষ্মান বলল, এই যে এম এল এ ফান্ডিং-এর বেঞ্চ। বসে পড়। সারকাজমের সুরটা ভালো লাগল না। এম এল এ ফান্ডিং দিয়ে ক্যাডারদের কালীপুজো স্পনসর না করে আমার মতো চোখের খিদের খাউনিদের রেস্ট নেওয়ার জন্য বেঞ্চ বানানো কাজের। খাওয়ার সঙ্গে তো ঠিক খিদের সম্পর্ক নেই। যখন ফুচকা খাচ্ছি তখন কি ফুচকা খাচ্ছি? খাচ্ছে আসলে উনিশ বছরের মেয়েটা কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে, রোজ। ওই মেয়েটা আমাকে চেনে না। আমি কোথাও নেই ওর চেতনায়। সেটা আমাকে কষ্ট দেয়। মনে হয় দেখুক একবার চোখ তুলে। উল্টো সন্দেহও হয়। ওই মেয়েট...