ঝামেলা
যাঁরা ফুল কিনে বাড়ি সাজান তাঁদের প্রতি জেনুইন মুগ্ধতা লালন করি। বা সুন্দর সুন্দর মূর্তি, ঝালর পর্দা, ঝিনুকের ট্রে, আয়না, ঘোড়া, মুখোশ দিয়ে। আমি পারি না। নান্দনিকতায় না কুলোনো ছাড়াও অন্য কারণ আছে। সাজানোর পর থাকে পরিশ্রমের পালা। নিয়মিত ঝাড়তেমুছতে হয়, তাকিয়ে মুগ্ধ হতে হয়। বাড়িসজ্জায়, জীবনে, যতটুকু না হলে নয় ততটুকু দিয়ে উতরে দেব। ঠিক করে ফেলেছি। দরকারের অতিরিক্ত সবকিছুই আজ নয়তো কাল আবর্জনায় পরিণত হয়। অন্তত আমার ক্ষেত্রে হয়ে এসেছে। ফুলটাও কাজের জন্যই কিনতে গিয়েছিলাম। মাসিমার - যাঁর বাড়িতে আমরা মহা আরামে ভাড়া থাকি - মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। অলরেডি গাঁথা মালাগুলোর মুখোমুখি পড়ে আমাকে মৌন দেখে দাদা প্রস্তাব দিলেন চন্দ্রমল্লিকার নতুন মালা বানিয়ে দেওয়ার। দাদা বিরাট সূচে চন্দ্রমল্লিকাগুলোকে বিঁধতে লাগলেন। বললাম, আপনার মনে নেই, কিন্তু বছর ছ’সাত আগে ট্যাক্সিতে ফোন ফেলে নেমে পড়ে আপনার ফোন থেকে ফোন করে সেই ফোন উদ্ধার করেছিলাম। মনে থাকবে না কেন, দিব্যি মনে আছে। অফিস থেকে ফিরছিলেন তো? ট্যাক্সিটা সাবিত্রী অবধি চলে গিয়েছিল তারপর আবার ফিরে এল। মাসিমার বাড়ির কাজের জন্য? দাদা কথোপোকথনের হাল ধরলেন।...