২০২৩ঃ সামোসা ও সংযমের সাল



একজন বললেন, অবান্তরে তোমার নতুন বছরের রেজলিউশন দেখলাম না তো? আগের বছরেও দেখিনি।

উনি অবান্তরের রেজলিউশনের অপেক্ষা করছেন জেনে অবাক হলাম। আতংকও হল। পাছে রেজলিউশন ফাঁস করতে হয়। অবান্তরে লিখিনি বলে তো এমন নয় যে ভোল পালটানোর আকাঙ্ক্ষা গোপনে পোষণ করিনি। সে পালটানো এমন পালটানো যে দু’হাজার তেইশের ডিসেম্বরের কুন্তলাকে চিনতে পারলে হয়। যে সব রেজলিউশনের ঘাড়ে চেপে এ অসম্ভব সম্ভব হবে তাদের তলে তলে রাখারই প্ল্যান ছিল। কে জানে মন্ত্রগুপ্তির মাহাত্ম্য হয়তো মিথ্যে নয়। হয়তো রেটিসেন্স বাস্তবিকই ইজ দ্য পিলার অফ সাকসেস।

তারপর মনে পড়ল, আগের বছরও রেজলিউশনদের গোপন রেখেছিলাম ঠিক এই যুক্তিতেই। লিখিনি কোথাও। লাভের মধ্যে লাভ, রেজলিউশনগুলোই ভুলে গেছি। রক্ষা করে জীবনের গতিপ্রকৃতি বদলানো ছেড়েই দিলাম।

অর্থাৎ ফাঁস করি বা না করি রেজলিউশন রক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা সমান। শূন্য, জিরো, নাল। কাজেই এ বছরের শপথাবলী, পূর্ণ হলে যারা আমার খোলনলচে বদলানোর ক্ষমতা রাখত কিন্তু পূর্ণ হবে না কাজেই খোলনলচে বদলাবে না, মন এবং হাত খুলে লিখে রাখছি।

বাৎসরিক রেজলিউশনের উদ্দেশ্য যদি হয় জীবনের খামতি অ্যাড্রেস করা,তাহলে এ বছর আমার শপথের লিস্টের এক থেকে দশ নম্বর এন্ট্রি হওয়া উচিত কন্ট্রোল। আমার জীবনটা আর আমার হাতে নেই। দিনরাতগুলো অটোপাইলটে ছুটেছে। কে ছোটাচ্ছে, কেন ছোটাচ্ছে, আমিই বা ছুটছি কেন - জানি না। কোনদিকে ছুটছে শুধু সেটা জানি।

কাজেই আমার প্রধান রেজলিউশন কন্ট্রোল নিজের হাতে নেওয়া, বা নেওয়ার অ্যাটেম্পট নেওয়া। রেজলিউশন বিশেষজ্ঞরা, যাদের এই সিজনে ব্যবসা তুঙ্গে, বলবেন এইরকম রেজলিউশন নাও বলেই তো বছর শেষে তুমি তুমিই থেকে যাও, একচুলও এগোও না। কার ওপর কন্ট্রোল? কতদিনের জন্য কন্ট্রোল? বছরশেষে মাপবে কী করে কন্ট্রোল নিজের হাতে নিতে পেরেছ কি না?

অবশ্যই নিজের ওপর কন্ট্রোল। আর কার? আমার সঙ্গে ঘটে চলা ঘটনাদের উত্তরে শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর জায়গায় না থেকে কিছু ক্রিয়ার দায়িত্ব নিজের হাতেও রাখা। আর যে সব ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ছাড়া সত্যিই কিছু দেখানোর নেই, প্রতিক্রিয়াটা ভেবেচিন্তে দেখানো। এক কথায়, স্বতঃস্ফূর্ততার জায়গাটা যথাসম্ভব সংকুচিত করে ফেলা। লিখতে নিজেরই মনখারাপ লাগছে কারণ স্বতঃস্ফূর্ততা একটি বিরল বৈশিষ্ট্য, এবং এই একটি বৈশিষ্ট্য মানুষে মানুষে বলার মত তফাৎ গড়ে দেয়, কিন্তু জীবনের এই পর্যায়ে এটা করা জরুরি বলেই মনে হচ্ছে। আর স্বতঃস্ফূর্ততাকে খুন করার সবথেকে কার্যকরী অস্ত্র হচ্ছে রুটিন। রুটিন দিনরাত, রুটিন ভাবনা, রুটিন আবেগ। ২০২৩ এ রুটিনে বাঁচব। তলিয়ে না ভেবে একটি পা-ও ফেলব না, একটি কথাও বলব না, একটি ভাবনাও ভাবব না।

ভোগ কমাব। ভোগী বলতে যা বোঝায় তা আমি নই সম্ভবত, অশনবসনের পার্সপেকটিভ থেকে দেখলে। কিন্তু যদি অন্য ভোগ দেখি, যেমন অনলাইন কন্টেন্ট ভোগ, তাহলে আমার থেকে ভোগী পৃথিবীতে পাওয়া মুশকিল। এবং সে ভোগের কোনও স্ট্যান্ডার্ড নেই। কে কোথায় কী রিল বানাচ্ছে, হাঁ করে গিলছি। ফেসবুকের পাবলিক পোস্টে ঝগড়া লেগেছে, নতুন ঘৃতাহুতির আশায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঢুঁ মারছি। যা খুশি পড়ছি, যা খুশি দেখছি, যা খুশি শুনছি। এই কনসাম্পশনের গণতান্ত্রিকতা একদিক থেকে কাম্য আমি মানি, বেছে পড়া, বেছে দেখা, বেছে শোনার পরিণতি দেখেছি এবং শিউরে উঠেছি, তা বলে আমি যেটা করি, সাপব্যাংবিচ্ছু কিচ্ছু বাছবিচার রাখি না, সেটাও সম্ভবত ঠিক রাস্তা নয়। সবের মতো এখানেও ভারসাম্য দরকার। না হলে প্রধান বিপদ যেটা হবে, সহজ ভোগ সর্বদাই কঠিন ভোগকে হারিয়ে দেবে। কাঁচা বাদাম কেসরবাই-কে বলে বলে হাঁকিয়ে দেবে। কারণ কেসরবাই শুনতে পরিশ্রম লাগে। আর পরিশ্রম এড়ানো আমার ধর্ম। আর এই করে করে রুচিপছন্দের গ্রাফের সামগ্রিক ডাউনওয়ার্ড যাত্রা শুরু হবে, যেটা কাম্য নয়।

দ্বিতীয় আরেকটা কারণে এই অবিরাম ভোগ কমানো দরকার। এটার সঙ্গে মায়ের একটা গল্প জড়ানো। আমাদের পাড়ার একটি বাড়ি খুবই অন্যরকম ছিল। ছেলেপুলেরা ছাব্বিশে জানুয়ারি স্পোর্টসে দৌড়ত না, জেঠিমা আড্ডা মারতেন না, পুজো কমিটির মিটিং-এ জেঠুকে কখনও দেখা যায়নি, ডিফেন্স পার্টির টহলে তো দূর অস্ত। গরমের ছুটির অ্যানুয়াল ঋতুরঙ্গে কিংবা রসুনজয়ন্তীতে দর্শকের ভূমিকাতেও তাঁদের দেখিনি কখনও। অথচ সুরুচির চাষে তাঁদের বিরাগ ছিল না। সপ্তাহের সাতদিন সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দামি সাউন্ড সিস্টেম থেকে পাড়া কাঁপিয়ে গান বাজত। এক্সক্লুসিভলি রবীন্দ্রসংগীত। সুবিনয় রায়, অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়, গীতা ঘটক। মাঝে মাঝে গান ছাপিয়ে বাড়ির ছেলেদের ছাদফাটানো ঝগড়া, তারপর আবার বিশ্বভারতী-অ্যাপ্রুভড শিল্পীরা তাঁদের স্বমহিমায় শ্রুত হতেন।

চেনা অনেকেই নিশ্চয় ইম্প্রেসড হত, মা হতেন না। একবার চুপিচুপি বলে ফেলেছিলেন, এত না শুনে নিজেরা একটু গাইলে পারে তো।

মায়ের মতামত খুবই গোলমেলে, জানি। অনেক শুনে ফেলেছি এবার বলব, অনেক সিনেমা দেখে ফেলেছি এবার বানাব, অনেক পড়ে ফেলেছি এইবার নিজেই লিখব বলে গুগল ডক্‌স্‌ খুলে টাইপ করতে বসে পড়লে আমার মতো লেখকে ইন্টারনেট ছেয়ে যাবে, আর কিছু কাজের কাজ হবে না। তবু আমি মায়ের বক্তব্যটা, হয়তো মায়ের মেয়ে বলেই, একেবারে উড়িয়ে দিতে পারি না। যাদের লেখার ক্ষমতা আছে, তাদের একটা সময় পড়ায় বিরতি (ডকে তুলে বলছি না) নিয়ে লিখতে বসা উচিত। গলায় সুর থাকলে শোনার মাঝে ফাঁক বার করে গলা ছাড়া উচিত। ক্রমাগত দেখা, শোনা, পড়া চালিয়ে গেলে নিজের কিছু করার সময় আর হয়ে উঠবে না।

একটা উদাহরণ পেলাম এই নভেম্বরের শেষেই। দুটো প্লেনের মাঝে সাত ঘণ্টা ছিল। সাধারণত সাত ঘণ্টাই কানে জগঝম্প গুঁজে রাখি, পাছে নিজের চিন্তাভাবনার মুখোমুখি হতে হয়; সেদিন কী মনে হল ভাবলাম কিচ্ছু শুনব না। এমনি বসে থাকব। মানে শুনতে তো হবেই, প্লেন ছাড়ার ঘোষণা, এয়ারপোর্টের টুং টাং বাজনা, বাচ্চাদের বুটের ধুপধাপ - কিন্তু সে সব পরিপার্শ্বের স্বাভাবিক শব্দ। ওগুলোকে চাপা দিয়ে কানের ভেতর হায়েস্ট ভলিউমে "বিখরনে কা মুঝকো শওক হ্যায় বড়া" চালিয়ে মাথার ভেতর একটা সম্পূর্ণ অন্য রিয়ালিটি রচনা করে বুঁদ হয়ে থাকব না।

চারঘণ্টার মাথায় গানটা মাথায় এল। "আসে রজনী সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বেলে।" ক্লাস ফাইভ, মেরেকেটে সিক্স নাগাদ শিখেছিলাম। স্থায়ী এল। অন্তরার হাফ। একটা প্লেনের ল্যাজের দিকে তাকিয়ে গানের ডায়রির পাতাটা কল্পনা করতে লাগলাম। ক্লাস সিক্সের সিরিয়াস কুন্তলার চাইনিজ কালিপেনের সিনসিয়ার অক্ষর। সাত মিনিটের মধ্যে অন্তরার বাকি অর্ধেক, সঞ্চারী, আভোগী হাজির। দু'হাজার তেইশে শোনা কমাব, গাইব বেশি। শুনব, তবে গাইব বলে। অন্যের কথা, অন্যের সুর দিয়ে ভাবের ঘোর লাগিয়ে আমার বাস্তব থেকে পালাব বলে না।

মনের কথা মনে রাখব। আমার আনন্দের খবরে আনন্দ কারও হয় না, দুঃখের খবরে দুঃখও না, মাঝখান থেকে জীবনটা উদোম হয়ে পড়ে আর অনুভূতিগুলোতে ধুলোময়লা লেগে যায়। নিজের সুখদুঃখের দায়িত্ব নিজে নিলাম, আমার সমস্যা আমার সমাধানও আমারই রইল, আমার ভয় আমার শোক - আমারই। এই রেজলিউশনের একটি চমৎকার কম কথায় প্রকাশ পেলাম বছরশেষের একটি টুইটে। একজন বিউটিফুল স্ট্রেঞ্জার নিজের বর্ণনায় লিখেছেন, “সামোসা হুঁ। ফিলিং অন্দর রাখতা হুঁ।" ২০২৩-এ সামোসা বনুংগি। ফিলিং(স) অন্দর রাখ্‌খুংগি।

আপনাদের সবাইকে হ্যাপি ২০২৩। নতুন বছরে সবার সব স্বপ্ন পূর্ণ হোক।

Comments

  1. একি ! রুটিনবদ্ধ হয়ে গেলে হাওয়ায় ভাসতে থাকা লেখাগুলি কিভাবে পাব? উঠল বাই তো কটক যাই হবে না যে । তোমার আর রেসলিউশনে কাজ নেই ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, রেজলিউশনে যে আমার কাজ নেই সে কথাটা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।

      Delete
  2. Resolution er jonno Onek shubhechya.
    Tobe ki jaano, mone praane chaibo jeno ektao na rakho....

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার এই চাওয়ায় মনে মনে যে খুশিই হয়েছি বুঝেছ নিশ্চয়।

      Delete
  3. Happy new year Kuntala! Tomar protyek ti resolution amar pochondo hoyeche ...bishesh kore dwitiyo ti. Chotobelar shekha gaan abar purota mone pora je ki anondo deye ami jani ... especially jokhon gaaner khata hariye giye thake.
    Khub bhalo theko.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাপি নিউ ইয়ার, শর্মিলা। নতুন বছর খুব ভালো কাটুক।তুমি বলেছিলে কমে যাবে, হাতের ব্যথা সত্যিই অনেক কম আগের তুলনায়, এ বছর পুরো সেরে যাবে আশায় আছি।

      ছোটবেলার শেখা গান, সত্যি। আমার তো স্কুলে, মানে পড়ার স্কুলে শেখা গানও যখনতখন মাথায় এসে গিয়ে চমকে দেয়। নতুন বছরে তোমার আর তোমার প্রিয়জনদের সব ভালো হোক।

      Delete
    2. Kuntala ... tomar haater byatha ekhono puro puri bhabe sareni jene kosto holo.
      Amio ar khobor rakhini, janar o chesta korini tomar byathar kotha. Shotti khub kharap lagche.
      Asha kori e bochor ekkebare jeno shere jaye jaate tumi bhulei jao otar kotha.
      Halka exercise bondo koro na jeno. Parle thandar dingulite ektu vitamin e kheo ... muscles er jonne bhalo.
      Tomar email id amar jana neyi ... tai ekhane e likhlam.

      Delete
    3. আরে খারাপ লাগিয়ো না একেবারেই, শর্মিলা। আমিই তো কথাটা তুললাম। আগের থেকে অনেক কম ব্যথা, এ বছরে একেবারে সেরে যাবে, যেমন তুমি বললে। তোমার কথা ফলে।

      ব্যায়াম চালাচ্ছি। ভিটামিন দিয়েছিল, খাইনি। খাব এবার।

      Delete
  4. অপূর্ব লেখা। কিন্তু সমোসা হয়ে গেলে তোমার সব ভাবনা চিন্তা তো ভেতরেই থেকে যাবে! আমরা লেখা গুলো পাবনা যে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে কাকলি, রেজলিউশন পূর্ণ হবে না তো। কাজেই যত কাঁদুনি অবান্তরে গাইবই। আর তোমাদের শুনতেও হবে।

      হ্যাপি নিউ ইয়ার। খুব ভালো কাটুক নতুন বছর।

      Delete
  5. আপনার এই পোস্টটা পড়ে কবে থেকে ভাবছি লিখবো, কিন্তু কি লিখবো। ওই প্রথম আর তৃতীয় রেজোলিউশন এর বাড়াবাড়ি আর কি।
    আমায় এই দুটোর উল্টো রেজোলিউশন নিতে হয়েছে, ঠেকে শিখে। ঐযে স্বতস্ফূর্ততা ইস্যু।

    'কলা'র গানগুলো আমাকেও অন্য রিয়ালিটি দেখাচ্ছে, হাই ফাইভ।
    হ্যাপি নিউ ইয়ার..!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. বোঝো। কারও স্বতঃস্ফূর্ততায় রাশ পরাতে হয়, কারও সাপ্লাই বাড়াতে হয়। কলা-র সবক'টা গান শুনিনি। শওক-এই আটকে গেছি । হাই ফাইভ।

      হ্যাপিয়েস্ট ২০২৩! বাড়ির সবার জন্য।

      Delete
  6. মুশকিলে পড়লাম। আপনার রেজলিউশনের জন্যে মাথার পেছনে হ্যালো এফেক্ট নিয়ে 'সব সফল হোক' বলব, নাকি সিং গজিয়ে বলব লেখায় ছাড়া আর সব জায়গায় সফল হোক - এটা ভারী কঠিন প্রশ্ন!

    আর ভোগ কমানোটাও তো আমার আজকাল ভোগই মনে হয় - সাধারণত এখানে আলাদা কিছু ভোগের (এক্সপেরিয়েন্সের) জন্যে অন্য কিছু ভোগ কমানো হয়।

    আজ আপনার ব্লগ বেশ একটা ছোট্ট উপকারে লাগলো। আমাজন প্রাইমে "ফোন ভূত" দেখার পর (কিছুদিন ধরে প্রাইম খুললেই চোখের সামনে এটা আসছিল, এতদিন বিরক্ত হয়ে এড়িয়ে অন্য সিনেমা খুঁজতাম, আজকে আলসেমিতে ভাবলাম দেখেই ফেলি), বিরক্ত হয়ে মনের স্বাদ ঠিক করার জন্যে অন্য কিছু এক্সপেরিয়েন্স করার খুব দরকার পড়লো। আবার সিনেমা খুঁজে দেখা, বা কোনো উপন্যাস নিয়ে বসার সময় নেই - ইনস্ট্যান্ট গ্রাটিফিকেশন চাই। ভাবলাম দেখি অবান্তরে নতুন কিছু এসেছে নাকি। পেয়ে গেলাম, বেশ কাজে লেগে গেলো। অতএব ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে, আমাকে ধন্যবাদ দেবেন না, রাজর্ষি। 'ফোন ভুত' আমিও দেখছি যখনই টিভি খুলছি। কিন্তু সন্দেহ হচ্ছিল যে জঘন্য হবে, আপনি কনফার্ম করলেন।

      দোস্তজী দেখলেন? আমি জানি না আপনার কাছাকাছি অ্যাভেলেবল কি না, যদি হয় দেখে নিন। জোরই করছি।

      ভোগ কমানো নিয়ে আপনার বক্তব্যটা বুঝতে পারছি, স্টিল, ভোগের রকমের একটা র‍্যাংকিং আমার মাথার ভেতর আছে। কিছু ভোগ ভালো, কিছু খারাপ, কিছু খুব খারাপ। বাড়াবাড়ি হলে সব রকম ভোগই খারাপ। সরি এতগুলো সুইপিং স্টেটমেন্ট করলাম, কিন্তু ওই আরকি।

      আপনার আর পরিবারের নতুন বছর খুব ভালো কাটুক।

      Delete
    2. (আগের রিপ্লাইতে বানান ভুল খেয়াল করে ওটা আবার ডিলিট করে আবার পোস্ট করছি। এই শেষ, আর না, যতই ভুল থাক। প্রথম রিপ্লাইতেও বানান ভুল রয়েছে, কিন্তু ওটা ঠিক করার উপায় নেই আর।)

      দোস্তজী দেখেছি - কোলকাতায় কয়েকটা হলে চলছিল। খুব ভালো, ভারী সুন্দর সিনেমা। আর পুরো সিনেমাতে অনাবশ্যক ফ্রেম প্রায় নেই, শুধুমাত্র ওই পাগলের ক্যারেক্টারটা নিয়ে ছোট্ট প্রিটেনসিয়াসনেসটার কোনো দরকার ছিল না।

      সিনেমার কথাই যখন উঠলো, আরেকটা উল্লেখ করার মতো ভালো সিনেমা দেখলাম - আসগর ফারহাদির "দা সেলসম্যান"। ওনার আরো দুটো সিনেমাও দেখেছি, ভালো লেগেছিল।

      ভোগের বেপারে, ভোগের পণ্য গ্রেড করলে এটা বলতে পারেন।

      নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো, আনন্দে কাটুক।

      Delete
    3. 😀 আপনার পারফেকশন পারসু করার অধ্যবসায় দেখে ইমপ্রেসড হলাম। দোস্তজী দেখেছেন এবং ভালো লেগেছে জেনে খুশি। আপনি যে সিনেমাটার কথা বললেন সেটা দেখার চেষ্টা করব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. যে কটা পয়েন্ট বললে সবই দরকার বটে আমাদের সবারই। চাইলেই যা খুশী করাটা কন্ট্রোলটা কনে হয় খানিক ভালো।
    তবে সামোসা হয়ে গেলে অবান্তরে আমাদের কী হবে?
    নতুন বছর খুব ভালো কাটুক।
    -প্রদীপ্ত

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার 2023-ও সার্থক হোক।

      Delete

Post a Comment