আজকের জন্য

 


Comments

  1. সুন্দর গানটা, বা বলা উচিত, গান দুটো। তার ওপর আবার শ্যামল মিত্রের গানের কথাও মনে করিয়ে দিলো।

    কালার্স গানটা জানা ছিল না - সুমনের গানের শুরুর লাইনগুলো শুনে, এই গানটাকে খুঁজে না শুনে পারলাম না। সুন্দর গানের কথাগুলো। একটা জায়গায় দেখলাম কবীর সুমন গাইছেন - "ফ্রিডম ইস এ ওয়ার্ড ... অফ দি টাইম আই ওয়াস অ্যালোন", আর ইউটিউবে ডোনোভান এর গানগুলোতে উনি গাইছেন - "ফ্রিডম ইস এ ওয়ার্ড ... অফ দি টাইম হোয়েন আই হ্যাভ বিন লাভড"। ফলত, একটু গুগল করা হল। ডিলন এর লেখা কথায় হয়তো "বিন লাভড"টাই আছে, তবে দারুন ব্যাপারটা হচ্ছে, দুটোই সত্যি, দুটোই সুন্দর।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার কমেন্টটা আমার সাম্প্রতিক একটা ভাবনা উস্কে দিল, রাজর্ষি। ভাবনা বলতে পারেন, সন্দেহ বলতে পারেন, উপলব্ধি বলতে পারেন। অ্যালোন আর লাভড, একটু ঘুরিয়ে নিয়ে যদি লোনলি আর লাভ বলি, বা বাংলা করে একাকীত্ব এবং প্রেম... আজকাল সন্দেহ হয় দুটো একই জিনিস কি না। প্রেমিক/প্রেমিকার থেকে প্রেম বেশি মাটি আর কেউ করে কি? ভালো আসলে একাই বাসতে হয়।

      Delete
    2. "প্রেমিক/প্রেমিকার থেকে প্রেম বেশি মাটি আর কেউ করে কি?" - এটা তো পুরো, আপনার কথা ধার করেই - "ফিলজফি এইট হান্ড্রেড ওয়ান"।
      আদর্শ সঙ্গী কেমন হতে পারে ভাবতে গিয়ে একদিন এইটা লিখে ফেলেছিলাম:
      https://mraj83rm.blogspot.com/2019/10/the-perfect-matrimonial-match.html
      এরকম না হলে, কখনো না কখনো একটু (বেস্ট কেস সেনারিও) তো মাটি হবেই। :D

      Delete
    3. এই লেখাটা পড়েছিলাম, রাজর্ষি। আবার পড়লাম। এ সততায় যদি কেউ মুগ্ধ না হন আর কীসে হবেন আমি জানি না।

      Delete
  2. Ei bishesh dine bishesh gaan. Thank you gaan ti upload korar jonyo. Tabe ei bishesh din ti abar Saraswati pujo ebar. Aami etokaal jantam Debi Saraswati gnyan o bidyar debi. Kintu ja dekhchhi sarakhon media/social media te mone hochche uni boddhoi Premer debi---- ke jaane amar puro chhatrobela (PhD ta baad ota buro boyose korechhi chhatrojibon er theke bichyuto hoye) te ei dinti prem dibos hisebe to sebhabe udjapito hote dekhini naki amar dekhai khamti chhilo ---- ke jaane...

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা নরম জায়গায় পাড়িয়ে দিলেন সুস্মিতা, ভসভস করে অনেক কথা বেরোবে। আপনার দেখাতে খামতি থাকলে আমার দেখাতেও খামতি আছে। আমিও জিন্দেগিতে সরস্বতীপুজোকে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে বলে চিহ্নিত করতে শুনিনি। অন্ততঃ যে বয়সের বাচ্চাদের কাছে এই দুটো দিন ইন্টারচেঞ্জেব্‌ল প্রতিভাত হবে আশা করা হয়, সে বয়সে শুনিনি। প্রথম কারণটা অবভিয়াস, আমাদের ছোটবেলায় ভ্যালেন্টাইনস ডে থাকলেও এমন সর্বগ্রাসী হয়ে ছিল না। দু'নম্বর কারণটা ব্যক্তিগত এবং বেদনার। স্কুলে পড়তে পড়তে প্রেম করার কোনও চান্সই ছিল না আমার। সরস্বতী পুজোই হোক, ভ্যালেনটাইনস ডে হোক, অষ্টমী হোক, বড়দিন হোক, আমার সারাবছরই ভালোমেয়ে দিন আর ভালোমেয়েরা প্রেম করে না। প্রেমে পড়তাম কারণ পিউবার্টি এসে গেছে আর পিউবার্টি ও প্রেমের সম্পর্ক কান ও মাথার মতোই নিবিড়, কিন্তু রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে কান্না হয়ে বালিশ ভেজানো ছাড়া সে প্রেমের আর কোনও প্রকাশ ঘটেনি। ঘটলে কানমলা ছাড়া কিছু জুটত না।

      হতে পারে আমি ক্যাবলাকুচ্ছিত বলে সরস্বতী ইজুক্যালটু ভ্যালেনটাইন ভাবার সুযোগ আমার মিস হয়ে গেছিল। কিন্তু আমি কুচ্ছিত হলেও আমার রূপসী বন্ধু ছিল প্রচুর এবং অষ্টমীতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে লোকে রেগুলার আমাকে দিয়ে তাদের প্রেমের প্রস্তাব পাঠাত। আমার সেই সব বন্ধুরাও সরস্বতীকে প্রেমের দেবী ভাবত কি না আমার সন্দেহ আছে।

      এটার প্রমাণ আমি একটু ঘুরিয়ে পেয়েছি। "সরস্বতীপুজো আমাদের ভ্যালেনটাইন" মর্মে যে নস্ট্যালজিয়ার চর্বণগুলো হয় এক্স্যাক্টলি একই জিনিস হয় অষ্টমীর সকাল, নবমীর নিশি ইত্যাদি নিয়ে। ফেসবুকে যখন ঘাপটি মেরে ঘুরতাম, মনে হত বাংলাদেশের সব কিশোর অঞ্জলি দিতে গিয়ে মাদুর্গার বদলে কিশোরীর খোলা পিঠে ফুল ছুঁড়েছে। আমার পিঠের অযোগ্যতা মেনে নিয়েও মনে করতে পারিনি, এত কোটি কোটি বার অঞ্জলি দিয়েছি, কোনওদিন কাউকে কারও পিঠে ফুল ছুঁড়তে দেখেছি কি না। অথচ পাড়ায় তো প্রেমের গপ্পের অভাব ছিল না। শেষে চেনা লোককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। সে আমার মতো মফঃস্বলী বাংলা মিডিয়াম না, সাউথ ক্যালকাটা ইংলিশ মিডিয়াম। আমার "অঞ্জলি দেওয়ার সময় মেয়েদের পিঠে ফুল ছুঁড়তে?" প্রশ্নের উত্তরে ঝাড়া আধ মিনিট ঠাণ্ডা চোখে তাকিয়ে, না কুন্তলা, কারও পিঠে কিছু ছুঁড়িনি ছোঁড়ার কল্পনাও মনে স্থান দিইনি, বলে চোখ সরিয়ে নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, হুম্‌ম্‌ তোমার থেকে যারা বেশি স্মার্ট তারা ছুঁড়ত মনে হয়। রীতিমত রেগে গিয়েছিল। বলল, আমার থেকে ক্যাবলা, আমার থেকে স্মার্ট কাউকে কোনওদিন আমি কারও পিঠে ফুল ছুঁড়তে দেখিনি কুন্তলা। এই সমস্ত ছোঁড়াছুঁড়ি তোমাদের হুগলী জেলায় হত নিশ্চয়। যত্তসব।

      ঘটনাটা অবান্তরের একটা পোস্টে লেখাতে আরও কিছু স্মার্ট্, বুদ্ধিমান লোক এসে জানিয়েছিলেন যে তাঁরাও জীবনে কারও পিঠে ফুল ছোঁড়েননি। তখন আমার কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছিল। যখন বড়বেলাটাকে জঘন্য লাগে আর ক্রমাগত টিভিতে শালিমারের বিজ্ঞাপন চলতে থাকে তখন লোকে ছোটবেলাটাকে বাস্তবের (এবং দরকারের) থেকে বেশি ম্যাজিক্যাল করে তোলার জন্য বিজ্ঞাপনের ছবি টুকে টুকে স্মৃতিতে গুঁজে দেয়। নস্ট্যালজিয়া ব্যাপারটা অনেকটাই, আফটার অল, ম্যানুফ্যাকচারড।

      কমেন্টে একটা গোটা পোস্ট লেখার জন্য সরি, কিন্তু না বলে থাকা গেল না।

      Delete
    2. Ki bhalo laglo aamar comment er uttore prai post er moto ek khana lekha peye. Satti saraswati pujo bolle amar mone sabar aage aase oidin porashunor chhuti karon barite pujo hoto aar sab boikhata thakur er paayer kachhe rakha hoto. Aar tachhara sejeguje shari pore school e khichuri paribeshan kora class 9 theke. Otei anondo chhilo. Prem thakleo seta saraswati pujor dine alada kore udjapon korar kotha bhabini kokhono. Erokom amar charpashe prai sabai tai chhilo. Du charjon school-college theke ferar somoy tader premer hoyoto udjapon korto. Kintu seta motei sarbik noi. Aar saraswati pujo to shudhu teenager der ba todurdho der pujo noi --- under 12 boyos er category r student der o udjapon. Aar aami sarkari school e portam aar jotodur jaani English medium school e pujo hoto na. Tai Valentines Day er barbaronto oto chhilo na.

      Durgapujor phool chhorachhurir lekhata ekhono mone aachhe aar tate aamiyo comment korechhilam je oi osohoniyo pandel er paribeshe dombondho hote hote karo pith taak kore phool chhora thasa bhire prai asombhob byapar chhilo.

      Aapni aaro likhun. Aapnar lekhagulo porle anekangshe aami amar fele aasa dinjaponer chhobi dekhte pai. Boro bhalo laage.

      Delete
    3. সরস্বতীপুজোর দিন সকালে রাইসিনা স্কুল থেকে গান ভেসে আসছিল আর আমি আর অর্চিষ্মান ঠিক এই কথাগুলো আলোচনা করছিলাম, যে বাড়িতে কী কী হত, স্কুলে কী কী হত। সব বইখাতা হারমোনিয়াম, তানপুরা, মা বাবার অফিসের কাগজপত্র এমনকি মায়ের কবিতার লুকোনো ডায়রিও সেদিন খুল্লমখুল্লা সরস্বতীর কাছে জমা পড়ত সারাদিনের মতো।

      Delete

Post a Comment