বার্ষিক জমাখরচ ৩/৪ঃ দু'হাজার ষোলোর বই, দু'হাজার সতেরোর বইয়ের রেজলিউশন



এ পোস্ট লেখার কথা ছিল ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। সে জায়গায় জানুয়ারির প্রথম। ক্ষমা চাইছি। 

*****

গুনতি

প্রতি বছরই শুনি আগের বছর বেশি শীত পড়েছিল। কাজেই চোদ্দ বছর আগে কেমন শীত পড়েছিল বুঝে দেখুন। তার ওপর আমরা হাঁটছিলাম ইস্ট গেটের দিকটায়। চারদিক ফাঁকাফাঁকা, নিস্তব্ধ। ময়ূরগুলো ক্যাঁ ক্যাঁ করছিল মাঝে মাঝে।

যে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরছিলাম তার মানুষ বিচার করার মাপকাঠি ছিল বই। কে কটা বই পড়েছে। মারাঠি হলে কটা মারাঠি বই, পাঞ্জাবি হলে কটা পাঞ্জাবি বই, বাঙালি হলে কটা বাংলা বই। ইস্ট গেট থেকে ফেরার পথে বন্ধু বলল, আজ দুপুরে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা উপন্যাস শেষ করলাম। 

আমি বললাম, ও। কেমন লাগল?

উত্তর না দিয়ে সে বলল, এটা নিয়ে একশো আটাত্তরটা হল। তোর ক’টা হয়েছে?

আমি সত্যি কথাটাই বললাম। কোনও আইডিয়া নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিস্থিতিতে সত্যি উত্তর ঠিক উত্তর নয়। বন্ধুর কোঁচকানো ভুরু দেখে বুঝলাম ওটাও সেরকমই একটা পরিস্থিতি। তাড়াতাড়ি শুধরে নিয়ে বললাম, তবে একশো আটাত্তরের অনেক কম। 

সেদিন বলতে পারিনি, কিন্তু আজ বলতে পারব। গোটা জীবনে না হলেও গত বছর আমি ক’টা বই পড়েছি। বাংলা, ইংরিজি, নভেল, ছোটগল্প, নভেলা সব মিলিয়ে আমি গতবছর পড়েছি বেশিকম ষাটটা বই। 

কথা হচ্ছে, আমার বন্ধুর গুনে বই পড়া নিয়ে যদি হাসি তাহলে নিজের গুনে বই পড়া নিয়েও হাসতে হয়। তাছাড়া সে গুনেছিল বাইশ বছর বয়সে যখন হাসির কাজ না করাই হাস্যকর, আর আমি গুনতে বসেছি ছত্রিশে। কাজেই আমার গোনাটা ছত্রিশগুণ বেশি হাসির। আপনারা যত পারেন হাসুন। কিন্তু আমি হাসছি না। কারণ না গুনলে আমি এত বই পড়তাম না। না পড়লেই বা কী হত? কিছুই না। তবু বই পড়া, বা বই পড়ার অভ্যেসটা ফেরানো আমার এ বছরের রেজলিউশন ছিল এবং সে রেজলিউশন রাখতে আমি সফল হয়েছি এবং এই সাফল্যলাভে গুনতি আমাকে প্রভূত সাহায্য করেছে। 

গুনে পড়ার একটা বিপজ্জনক দিক হচ্ছে যে ব্যাপারটা শেষপর্যন্ত সংখ্যায় পর্যবসিত হতে পারে। মানে কী পড়লাম সেটা আর বিবেচ্য নয়, ক'টা পড়লাম সেটাই মুখ্য। আমি সে বিষয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। তবে সবসময় সফল হয়েছি বলতে পারি না। বিশেষত কোনও কঠিন বইয়ে আটকে গেলে যত দ্রুততায় তাকে ফেলে রেখে অন্য বই হাতে তুলে নিয়েছি, গুনতির তাড়া না থাকলে সেটা করতাম না। 

কিন্তু রে ব্র্যাডবেরির একটা কথা আমি আজকাল খুব মানি। কোয়ানটিটি প্রোডিউসেস কোয়ালিটি। যে কোনও বক্তব্যের মতো এর বিপক্ষেও হাজার হাজার যুক্তি খাড়া করা যায়, আবার পক্ষেও যায়। আমি পক্ষের যুক্তিগুলোকেই আঁকড়ে থাকব ঠিক করেছি। আমি যদি গাদাগাদা অপছন্দের বই না পড়তাম, তাহলে পছন্দের বইও পড়া হত না।  


বুকটিউব 

এ বছর যা পড়েছি তার প্রায় সবই বুকটিউবের রেকমেন্ডেশন। বুকটিউব দেখে বই পড়ে আমার অনেক লাভ হয়েছে, নিজের কমফর্ট জোনের বাইরের বই (অ্যাঞ্জেলা কার্টার, অ্যালি স্মিথ, আইমিয়ার ম্যাকব্রাইড) পড়েছি। অনেক বইয়ের নাম জানতে পেরেছি যেগুলো জানতেই পারতাম না। আবার খারাপও হয়েছে। বুকটিউবের অনেকটাই হচ্ছে “ফলোয়িং দ্য ট্রেন্ড”। ট্রেন্ড যে সবসময় ভালো হবে না তা তো বটেই, ভালো হলেও সে ট্রেন্ড যে আমাকে সুট করবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কিন্তু সুট করল কি করল না তা না চেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া অসম্ভব। বুকটিউব আমাকে সে চাখাচাখির কাজে অসম্ভব সাহায্য করেছে। এবছরের অখাদ্যতম বইখানা আমাকে বুকটিউবই পড়িয়েছে, আবার ‘স্টোনার’ও পড়িয়েছে, যা শুধু এ বছরের নয়, আমার জীবনভরের অন্যতম প্রিয় বই হয়ে গেছে অলরেডি। কাজেই বুকটিউব থাকছে, দু’হাজার সতেরোতেও। 


আমার দু’হাজার সতেরোর বইসংক্রান্ত রেজলিউশন

- গুনতির খেলা থাকছে। তবে নম্বরটা থাকছে আমার মগজে। ততগুলো বই যদি সত্যি পড়তে পারি তবে আপনাদের বলব। না পারলেও বলব। অন গড ফাদার মাদার।

- বাংলা বই পড়ব। গত বছর বাংলা পড়া চোট খেয়েছে। এটা হওয়ার কোনও কারণ ছিল না কারণ আমি ইংরিজির থেকে বাংলা পড়তে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ এবং পড়িও ঢের বেশি তাড়াতাড়ি। (এটা একটা ইনসেনটিভ হতে পারে, গুনতির খেলায়)। তবু কেন বাংলা বই পড়া হয় না? তার একটা কারণ হচ্ছে বাংলা বই নিয়ে আলোচনার অভাব। বা আমার সে সব আলোচনার খোঁজ না রাখার। ইংরিজি বই যেমন লেখাও হয় বেশি, তেমনি তাদের নিয়ে কথাও হয় বেশি। লাখ লাখ ব্লগ, হাজার হাজার বুকটিউব চ্যানেল। বেচারি মাতৃভাষার কপালে সে সব নেই।

সুখের কথা, বছরের শেষে বাড়ি যাওয়ার কল্যাণে আপাতত একগাদা নতুন বাংলা বই বাড়িতে। তাছাড়া দিল্লি বইমেলা থেকে একখানা বই কিনেছি কাল, সেটাও বাংলা। কাজেই বছরের শুরু দেখে মনে হচ্ছে এই রেজলিউশনটা থাকবে। 

বাই দ্য ওয়ে, আপনার সন্ধানে বাংলা বইসংক্রান্ত আলোচনা, রিভিউ ইত্যাদির খোঁজ থাকলে আমাকে জানাবেন দয়া করে।

- ননফিকশন পড়ব। আমি যে ননফিকশন পড়ি না, সেটা স্বীকার করতে আমার লজ্জা করে। কারণ আমার আলোকপ্রাপ্ত বন্ধুরা সকলেই ননফিকশন পড়েন। কিন্তু ক'দিন আগে এমন একটা ঘটনা ঘটল যা আমার লজ্জা অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করল। গত বছর আইডেন্টিটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার হট্টগোলে এলেনা ফেরেন্তের নাম অনেকেরই কানে গেছে, এমনকি আমার ননফিকশন পড়া বন্ধুদেরও। তাঁদের একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি ফেরেন্তের নিওপলিট্যান সিরিজ পড়েছি কিনা। আমি বললাম পড়েছি তো বটেই, ভীষণ ভালোওবেসেছি। আপনিও পড়ুন, প্লিজ। তাতে তিনি ভয়ানক অপ্রস্তুত মুখ করে (ননফিকশনের কথা উঠলে আমার মুখটা ঠিক যেমন হয়) বললেন, হ্যাঁ পড়ব, কিন্তু না পড়ে পড়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে মন বসাতে পারি না। তখন আমি বুঝলাম যে অসুবিধেটা আসলে বুদ্ধির নয়, অসুবিধেটা আসলে অভ্যেসের। আর চেষ্টা করলে সব অভ্যেসই হয়। এ বছর আমি ননফিকশন পড়ার অভ্যেস করব। প্রতি মাসে অন্তত একটা।

-মোটা বই পড়ব। বুককেসে কয়েকটা মোটা বই জড়ো হয়েছে, ভয়ে তাদের দিকে এগোতে পারছি না। চেস্টারটন (এটা অবশ্য খানিকটা পড়া আছে), হিলারি ম্যান্টেলের দু’খানা উপন্যাস, হাউস অফ লিভস ইত্যাদি। গুনতির খেলাতেও জিতব, মোটা বইও পড়ব। কী করে আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। আমি জানি না। 


দু’হাজার ষোলোর আমার পড়া সেরা বই

পাঁচটা বলারই ইচ্ছে ছিল, কিন্তু অনেক ভেবে দেখলাম চারটে বই বাকিদের থেকে এতটাই এগিয়ে যে পাঁচটা জোগাড় করতে গেলে গাজোয়ারি খাটাতে হবে। তাই চারটেই বলছি। তবে তার আগে কয়েকটি বইয়ের কথা না বললেই নয়। ওই চারটি বই না থাকলে এঁরা প্রথম পাঁচ হতেন। কাজেই অনারেবল মেনশন হিসেবে এঁদের কথা রইল। এই সব বইদের নিয়ে বিস্তৃত কথা সেই সেই মাসের পোস্টে বলা আছে, আমি লিংক দিয়ে দিলাম। 

ক্যালেব কার-এর দ্য এলিয়েনিস্ট। আঠেরোশো ছিয়ানব্বইয়ের নিউ ইয়র্ক সিটি। থিওডোর রুজভেল্ট শহরের পুলিশপ্রশাসন ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছেন, পুলিশফোর্সে মেয়েদের জায়গা হচ্ছে, পুলিশ হিসেবে নয়, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অংশ হিসেবে, তবু তাতেই সবার গা জ্বলছে। আর ডাক্তার ক্রাইৎসলার সমাজের অন্ধকার গলি থেকে অপরাধপ্রবণ ছেলেদের জোগাড় করে নিজের সংগঠনে আশ্রয় দিচ্ছেন। এবং ভারি আশ্চর্যের কথা শোনাচ্ছেন যে এরা নাকি জন্মঅপরাধী নয়, পারিপার্শ্বিক নাকি এদের অপরাধের পথে ঠেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে একের পর এক ইমিগ্র্যান্ট এবং যৌনকর্মী বালক খুন হতে শুরু করল। সে সব হত্যার নৃশংসতা দেখলে পোড়খাওয়া পুলিশও বমি করে ফেলে। ক্রাইৎসলারের ওপর দায়িত্ব পড়ল খুনিকে ধরার।

গল্পটা তো ভালোই, কিন্তু তার থেকেও ভালো সেইসময়ের নিউ ইয়র্ক সিটির বর্ণনা। 

এমা ডনহিউ-র রুম। এক বন্দী মা আর পাঁচ বছরের ছেলের গল্প। পাঁচ বছরের সেই ছেলের মুখে বলা। প্লট, ভাষা, চরিত্রচিত্রণ, সবই অসামান্য।

অ্যালান লাইটম্যান-এর আইনস্টাইন’স ড্রিম। আমরা ভাবি সময় সোজা লাইনে চলে। কিন্তু তা তো নাও হতে পারে? সময় এঁকেবেঁকে চলতে পারে, সমান্তরাল চলতে পারে, বৃত্তের চালে চলতে পারে, আবার এমনও হতে পারে যে সময় আদৌ চলেই না, থেমে থাকে। এ সমস্ত সম্ভাবনার কথা ভাবছেন আমাদের আইনস্টাইন বসে বসে। আর তাঁর ভাবনার সময়ের এই সব চলন নিয়ে ছোট ছোট গল্পের মতো লিখেছেন লেখক। আমি এরকম বই আগে পড়িনি।

দ্য ব্লাডি চেম্বার্স-এর মতো বই অবশ্য পড়েছি। কারণ এটা হচ্ছে রিটেলিং-এর যুগ। কিন্তু এ যুগের অনেক আগে চেনা রূপকথার গল্পগুলোকে নতুন করে বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলা কার্টার। নিরীক্ষামূলক ভাষায় আর নারীবাদের দৃষ্টিতে। অনেক আগেই পড়া উচিত ছিল। তবু বেটার লেট দ্যান নেভার। 

মাজদা সাবো-র দ্য ডোর। এক গৃহপরিচারিকা আর তার মালকিনের সম্পর্কের গল্প। এই গল্পটা পড়েই আমি প্রথম রিয়েলাইজ করতে শুরু করি যে ভালো অনেকরকম হয়। কোনও সংলাপ ছাড়া, কোনও প্লট ছাড়া, কোনও টুইস্ট, মোচড়, বাঁক, সাসপেন্স, চরিত্রের বৈচিত্র্য ছাড়াও যে এমন ভালো গল্প বলা যায়, দ্য ডোর পড়ার আগে আমি জানতাম না।  

এবার দু'হাজার ষোলোর সেরা চার।

উৎস গুগল ইমেজেস

ক্যাজুয়াল ভেকেন্সিঃ হ্যারি পটারের প্রতি পক্ষপাত না থাকলে আমি বলতাম জে কে রোলিং-এর লেখা সেরা বই ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি।  স্থানীয় ভোটকে কেন্দ্র করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন লিঙ্গ, ধর্ম এবং সামাজিক অবস্থানের দ্বন্দ্ব এত ভালো ফুটিয়েছেন রোলিং, আরও বেশি লোকের এ বই পছন্দ নয় কেন সেটা একটা রহস্য। 

অলিভ কিটরিজঃ এলিজাবেথ স্ট্রাউট-এর লেখা অলিভ কিটরিজ টুকরো টুকরো ঘটনা দিয়ে গড়া একটি উপন্যাস। আলাদা করে পড়লে ছোটগল্প, এক সুতোয় গাঁথলে উপন্যাস। এ রকম গঠনের উপন্যাস আমি আগে পড়িনি। তাছাড়া স্ট্রাউটের শান্ত ভাষাও মন টেনেছে। 

আ গার্ল ইজ আ হাফ ফর্মড থিং: স্ট্রাউটের ভাষা যদি শান্ত হয়, তবে ম্যাকব্রাইডের ভাষা ঝোড়ো। একটি উদ্দাম মেয়ের স্ট্রিম অফ কনশাসনেস বয়ানে তার জীবনের গল্প। অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য। এ'রকম বইও আমি আগে পড়িনি। পরেও খুব বেশি পড়ব বলে মনে হয় না।

স্টোনারঃ উইলিয়াম স্টোনারের অকিঞ্চিৎকর জীবন নিয়ে জন উইলিয়ামসের লেখা স্টোনার, এ বছর আমার পড়া সেরা বই। শুধু এ বছরের নয়, আমার জীবনে পড়া অন্যতম সেরা বইগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে স্টোনার। এ বইটি সম্পর্কে যা বলার জুলাই মাসের পোস্টেই বলেছি। শুধু নিউ ইয়র্ক টাইমস স্টোনার সম্পর্কে যা বলেছে সেটাই আবার বলি, কারণ সেটা আমারও মত। আ পারফেক্ট নভেল। 



Comments

  1. Amake o oi comfort zone theke berote hobe. Kaalke e J K Rowling er boi ta Crossword e dekhlam kintu amar favourite writer (Archer) er ekta series er final boi ta berieche ... tai otai top kore tule nilam. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, আমি জেফ্রি আর্চার পড়িনি বিশেষ। এ বছর পেলে পড়ব, শর্মিলা।

      Delete
  2. Khub bhalo post. Apnar boi pora niye ei lekhagulo amake samridhho kore ar notun boi porar dike egiye niye jaay. Ei bochhore boi porar kkhetre resolution niyechhi mone mone. dekhi seta mana jaay kina. Gunti boi porar pokkhe besh upokari, onek boi porar dike egiye niye jaay. Abar ja bolechen, kothin boi soriye rekhe onyo boi tule nite ichhe kore.
    Pratyek maase asha kori post deben boi niye, 2016-r motoi. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, সায়ন। আপনার এ বছরের বইয়ের রেজলিউশন পূর্ণ হোক। এ বছরেও বইয়ের পোস্ট থাকবে। কারণ এই পোস্টগুলো, গুনতির মতোই, আমাকে বই পড়তে সাহায্য করে। তাই পাঠক না থাকা সত্ত্বেও (অবান্তরের অন্যান্য পোস্টের তুলনায়) আমি এই পোস্টগুলো লেখা চালিয়ে যাব ঠিক করেছি।

      Delete
    2. Pathok-ker kotha na bhebe likhben. Boi niye ei postgulo khub-i informative. Eto notun boier kotha jantei partam na apnar boiporar kotha na porle.

      Delete
    3. থ্যাংক ইউ, সায়ন।

      Delete
  3. Darun lekha, Kuntala. :)
    apnar ei E masher Boi theke koto je notun boiyer naam jante pari, bolar noy. Ei jonye ekta boro dhonyobad janiye rakhi apnake. Column ta 2017 teo choluk :)
    Boi pora ebong sei niye alochonao cholte thakuk. Ebare Booktube ta ektu cultivate korte hobe. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, অরিজিত। আপনাকে বলেছিলাম বোধহয় আগে একবার, এই বইয়ের পোস্টের পেছনে আপনার অবদান আছে। বুকটিউব ইচ্ছে হলে দেখবেন। অনেক বাছতে হবে, কিন্তু বাছলে ভালো জিনিস বেরোবে।

      Delete
  4. r amar ekhon boi porar , boi er khobor rakhar source holo tomar abantor- lojja na peye confess korlam... tai ei series ta please chalie jao. kotokal je nirbhejal bhabe boi porini eta mone porlei kharap lage. abar bhalo lage je tumi eto ardently ei book review gulo koro bole tao ektu kichhu jante pari...apatoto "silkworm" e achhi, juger cheye anek pichhie :( kono rokome 10 pages pori everyday ibooks e. tabe cuckoos calling ta better legechhilo. Tumi Michael connelly series (law thriller) ta porechho? review korbe? ami mote 2 to porechhilam bhalo legechhilo... anek aage sidney sheldon r jeffrey archer khub bhalo lagto - Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার লজ্জা পাওয়ার কোনও কারণই নেই ব্রততী। লজ্জা আমারই পাওয়ার কথা, কারণ আমার বই পড়া, বৈচিত্র্য, বিষয়, কোনও দিক থেকেই বিশেষ সুবিধের নয়। এটা বিনয় করলাম না, এটা সত্যি। তবু তোমার যে এই পোস্টগুলো ভালো লাগে সেটা জেনে ভালো লাগল।

      এই কুকু'স কলিং আর সিল্কওয়ার্মের ক্ষেত্রে তোমার সঙ্গে মত মিলল না, আমার সেকেন্ডটা বেটার লেগেছিল। যুগের থেকে পিছিয়ে থাকার দুঃখ পেও না। ভিন্টেজ সাহিত্যপাঠের বাজার ভয়ানক চড়া। যত পুরোনো তত দাপট বেশি। আমি কনেলি পড়িনি। আর্চারও না। তবে ইউনিভার্সিটিতে থাকতে একধারসে শেলডন পড়েছিলাম, দারুণ লেগেছিল।

      Delete
  5. "Casual Vacancy" tomar eto bhalo legechhe dekhe jarpornai ahladito bodh korchi. Amar dharona chhilo prithibite shudhu amari bhalo lage ei boi khana. Amar somosto por khawa Harry Potter fan bondhura tulodhona korechhe boi khanar.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে এই বইটার নিন্দে শুনেই তো আমি এতদিন পড়িনি। কী ভুলই করেছিলাম। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, বিম্ববতী।

      Delete
  6. darun laglo ei lekhata pore... aami goodreads use kora arombho kore theke boi gunchi.. ei bochor 135 ta boi porechi... tobe onek chotokhato boi porechi, tai ei sonkhayatai onek jol aache..

    aapnar honourable mention aar top 4, dui list ei duto kore boi porechi... tar moddhe olive kitteridge aar alienist aapnar blog porei porechilam.. thank you... aapnaar top 4 er stoner aar a girl ta thik ekhono sahos pacchi na.. honourable mention er baki gulo pore phelbo siggiri..

    casual vacancy ta aamio onek derite porechi... ek ninde shune.. dui prothombar koyek pata pore khub hotash hoyechilam.. bodh hoy harry potter hangover.. second attempt e shesh korechi aar darun legeche..

    aapni je sob kaj kommo abar lekhalekhi koreo eto boi aar eto shokto shokto boi poren, er jonno onek obhinondon... bhalo thakben

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. একশোওওওও পঁঅঅঅয়ত্রিশ! পায়ের ধুলো দিন, ইন্দ্রাণী। জলটল বললে শুনব না। আমি জল মিশিয়েও একশো ক্রস করতে পারব না।

      স্টোনার আর হাফ ফর্মড থিং-এর প্রসঙ্গে বলি, ভয় পাবেন না। আমি আপনাকে জোর করতে চাই না একটুও, কিন্তু ওয়ার্স্ট আর কী হবে, জঘন্য লাগবে (আর আমার ওপর রাগ হবে, সেটা খারাপ অবশ্য)। মন্তব্য পেয়ে যথারীতি ভালো লাগল। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. I love your book related post. ETA follow kore i Ami ajkal nijer to read list banai.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, থ্যাংক ইউ, প্রিয়াঙ্কা।

      Delete
  8. Onek dhonyobad Kuntala-debi. Ei boigulo akhon amar reading list e dhuke gelo. "Casual Vacancy" ami age i porechi. Amar mote eta Ms. Rowling er lekha srestho boi. Beshir bhag somoi i sahos kore bolte pari na je Harry Potter series er sesh boi gulo amar khub ekta bhalo lage ni. Kintu ei boi ta vishon i bhalo. Ami England e chilum tin bochor. Ami ja dekhechi tar songe ei boita okhore okhore mile jai.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি সত্যিই খুব ভালো, ঘনাদা। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

      Delete

Post a Comment