সুবিধে অসুবিধে
সাধারণত সকাল ছ’টা নাগাদ জানালার পর্দার ছায়া আমার চেয়ারের পেছনে লম্বা হয়ে পড়ে। কাল পড়ল না। সাধারণত ছ’টা নাগাদ আমাদের দক্ষিণের জানালাওয়ালা বাথরুম আলোয় ভেসে যায়, কাল গেল না। আমি বারান্দায় বেরোলাম তদন্ত করতে। দেখি রোদ তো নেইই, তার বদলে শনশনে হাওয়া। সারা পাড়া জুড়ে গত ক’দিন ধরেই একটাদুটো সাদা সাদা রোঁয়ার বল উড়ে বেড়াচ্ছিল, আজ তারা দলে দলে চলেছে গলি দিয়ে বাঁদিক থেকে ডানদিক, ডানদিক থেকে বাঁদিক। গলির মুখটায় একজন সিকিউরিটি দাদা সারা রাত বসে থাকেন, ছ’টায় তাঁর ছুটি। অন্যদিন পাঁচটা পঞ্চান্নতে তিনি টিফিনবাক্স ব্যাগে পুরে, সাইকেলে চড়ে, এক পা প্যাডেলে রেখে রেডি থাকেন, আজ চেয়ারের পিঠে হেলান দিয়ে, পা জোড়া সামনের একটা ভাঙাচোরা মোড়ায় তুলে মুখ হাঁ করে ঘুমোচ্ছেন। এদিকে অর্চিষ্মানের ঘুম ভেঙে গেছে। চা নিয়ে বসে আমরা সাদা বলের মিছিল দেখলাম। হাওয়ার বেগ ক্রমে ঊর্ধ্বগামী, বাড়িওয়ালার সজনে গাছের নরম কাণ্ড, জমির এক হাত ওপর থেকে দুলতে শুরু করেছে। কচি সজনেগুলো সরু ডাল ধরে ঝুলে আছে, প্রাণভয়ে না মহানন্দে, এক্সপ্রেশন দেখে বোঝার উপায় নেই। মাঝে মাঝে গাছটার অস্তিত্ব ভুলে গেলে পর্দার ওপাশে দুলন্ত ডালপালা...