আদা লজেন্স
মাবাবা গিয়েছিলেন বাদামি বিজাপুর সেকেন্দ্রাবাদ। রুটে কোনও মতেই দিল্লি পড়ে না, তবু ফেরার পথে দিল্লি হয়ে গেলেন। শনিবার ভোরে বেংগালুরু রাজধানী নিজামুদ্দিনে ঢুকল, বাড়ি এসে দুপুরবেলা যাওয়া হল বিহার ভবন। আর বাকি সময় আড্ডা, বিশ্রাম, উপহার…প্রদানের বদলে কেবল আদান। নতুন জামাকাপড়, অফিস যাওয়ার ব্যাগ। সেকেন্দ্রাবাদ ষ্টেশনে আঙুর কেনা হয়েছিল। মিষ্টি বেরোতে নিজেরা না খেয়ে বাকিটুকু প্যাক করে এনেছেন, দিল্লিতে মিষ্টি আঙুর পাওয়ায় যায় না যায়। মায়ের ব্যাগে আর একটা প্যাকেটের ভেতর সাদা সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো কী সব। ময়দা। আরেকটা ছোট পলিথিন মোড়া বেকিং পাউডারের বাক্স আর ভ্যানিলার শিশি। আর একটা প্রেশার কুকারের সেপারেটর। একমাত্র মাখন, ডিম, চিনি আর প্রেশার কুকারটা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন মা। ওহ, আর উলের কাঁটা। চল্লিশ মিনিট পর বিঁধিয়ে দেখা হবে কেক হয়েছে কি না। খুব ইচ্ছে ছিল কেকের ছবি তুলে রাখি অবান্তরের জন্য। তারপর মনে হল ওর থেকে সুদর্শন কেক আপনারা সবাই দেখেছেন। রেস্টোর্যান্টে দোকানে ফুড ব্লগে ওর থেকে ঢের বেশি দ্রষ্টব্য কেকের নমুনা অহরহ দেখা যায়। যদি কিছু রাখতেই হত তবে সে হল কেকের স্বাদ আর বাবা মা অর্চিষ্মানের সঙ্গে বসে সে কেক খাওয়ার ফিলিংটা। কিন্তু সে সব ফিলিং তুলে রাখার জন্য কোনও যন্ত্র বেরোয়নি।
রবিবারের রাজধানী ধরে মাবাবা চলে গেলেন রিষড়া, আমরা চলে এলাম বাড়ি। সোমবার নতুন জামা পরে অফিস বেরোতে গিয়ে খেয়াল করলাম টেবিলের ওপর একটা হলুদ রঙের হজমোলার শিশি। হজমোলার শিশি মানেই যে তাতে হজমোলা থাকতে হবে তার কোনও মানে নেই। তাছাড়া বছর সাতাশ আগে হজমোলার অধিক কনসাম্পশনজনিত (এক ঘণ্টায় এক শিশি) দুর্ঘটনার পর থেকে আমাকে হজমোলাসংক্রান্ত কোনও উৎসাহ দেননি তাঁরা। নিজে হাতে কিনে দিয়ে যাবেন এ সম্ভাবনা নেই। বরং চিরতার কাঠি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তুলে কানের কাছে নিয়ে ঝাঁকালাম। কী রকম ঝরঝর শব্দ হল। ডেফিনিটলি চিরতা নয়। প্যাঁচ খুলেই চোখে পড়ল। আমার চেনা, প্রিয় জিনিস। নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকলাম। চেনা, প্রিয় গন্ধ। মুখে দিলাম। কুড়কুড় করে দাঁতের চাপে ভাজা জোয়ান গুঁড়িয়ে গেল। জিভের ওপর ছড়িয়ে গেল, ঝাঁজালো, নোনতা স্বাদ। চেনা, প্রিয় স্বাদ।
আমি অর্চিষ্মানকে বললাম, এটা মা ট্রেন থেকে কিনেছে। অর্চিষ্মান যদি বলত, আহা, দোকান থেকেও তো কিনতে পারেন, তাহলে আমি বলতাম, উঁহু। ট্রেনের জোয়ানের একটা অন্য স্বাদ আছে। যেটা দোকানবাজারের সাধারণ জোয়ানে পাওয়া যায় না।
হতে পারে পুরোটাই মানসিক। যুক্তি দিয়ে এ তফাৎ ব্যাখ্যা করা মুশকিল। কিন্তু তা বলে মিথ্যে নয়। এই যে সপ্তাহে অন্তত চারদিন দু’নম্বর মার্কেট থেকে ঝালমুড়ি কিনে খাই, মাঝে মাঝে বোর হয়ে গেলে ছুটির দিনে কালীবাড়ির দিকে একজন মুড়িওয়ালা বসেন, হেঁটে হেঁটে তাঁর কাছেও যাই। তাঁর মুড়ি শুধু সুস্বাদুই নয়, পনেরো টাকায় যে ওই পরিমাণ মুড়ি কেউ দিতে পারেন সেটা আমি চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। এক এক লপ্তে প্রায় পাঁচ ছয় কাস্টমারের মুড়ি একবারে মাখা হয়। প্রায় ছ’ফুট লম্বা, স্বাস্থ্যবান চেহারার বিক্রেতার সমস্ত মনোযোগ দিতে হয় ওই পরিমাণ মুড়ি হাতা দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাখার জন্য। সে এক দেখার মতো ব্যাপার। একটু সন্ধ্যের দিকে ওই এক ঠোঙা খেয়ে একটু এগিয়ে এসে রাজুদার এক বড় গ্লাস লেমন মসালা টি খেয়ে নিলে সে রাতের মতো রাঁধাবাড়া থেকে মুক্তি।
এ সব কোনও মুড়িই লোকাল ট্রেনের মুড়ির সমকক্ষ নয়। মোটা কাপড়ের দড়ি দিয়ে গলা থেকে ঝোলানো যন্ত্র, মাঝখানে মুড়ির টিনের চারপাশে ফুলের মতো ফুটে থাকা আলুসেদ্ধ, পেঁয়াজ, কাবলি ছোলা ইত্যাদির বাটি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো বিক্রেতাদের মুড়ির ম্যাচ আমি আর কোথাও পাইনি। এই যে বাড়িতে মাঝে মাঝে অংকুরিত ছোলা, লেবুলংকা বিটনুন দিয়ে মাখি, সে কি ট্রেনের ছোলামাখার মতো খেতে হয়? লেডিজ কামরার ওই প্রান্তে ছোলাওয়ালা উঠলে এ প্রান্তে টের পাওয়া যেত, কাঁচা পেঁয়াজের এমনই বদগন্ধ। গোড়ায় নাকে রুমাল চেপে বসে থাকতাম, তারপর একদিন আশেপাশের সবাইকে খেতে দেখে আর থাকা গেল না। ডু নট নক ইট টিল ইউ ট্রাই ইট। এ কথার সত্যতা আমি এই ছোলামাখার ক্ষেত্রে যতটা বুঝেছি তত আর কিছুতে নয়। কেটে রাখা কাঁচা পেঁয়াজের ওই বিকট গন্ধ, ছোলা এবং আরও নানা উপাদানে একেবারে চাপা পড়ে যায়, সব মিলিয়ে এমন একটা জিভে জল আনা, বিকেলের খিদের পক্ষে পারফেক্ট ব্যাপার হয় যে ভাবা যায় না।
বাড়িতেও তো মা কত হাঙ্গামা করে শনিবার দুপুরে না ঘুমিয়ে পরিষ্কার হাতে কচি শশার খোসা ছাড়িয়ে দু’প্রান্ত কেটে, ঘষে ঘষে সাদা ফেনা ছাড়িয়ে, চার ফালি করে কেটে পরিষ্কার প্লেটে টাটা সল্ট সহকারে ঘরে ঘরে পরিবেশন করতেন, সেগুলো দেড়খানা খেয়ে মুখ ফেরাতাম, ওদিকে ট্রেনের শশা, কবেকার খোসা ছাড়িয়ে রাখা, কপালের ঘাম ঝেড়ে সেই হাতেই সেকেন্ডে একটা করে কেটে মাঝখান থেকে দুই ফালি করে মশলা (মশলার কৌটোর মুখে শশার রস আর মশলা পুরু হয়ে জমে উঠেছে) ছড়িয়ে কাগজে মুড়ে দিতেন বিক্রেতা। নিউজপ্রিন্টের কালি নাকি ভয়ানক শক্তিশালী, জানালার কাচের পুরোনো দাগও নিমেষে তুলে ফেলতে পারে। আরও একটা উপকারের কথা জানে না লোকে, ভেজা শশার গায়ে জড়ালে স্বাদ বাড়ে বহুগুণ।
শীত পড়লেই বাজারে আলুপটলের পাশে আমলকীর ঝুড়ি বসত, আর সে ঝুড়ি থেকে আমলকীরা বাজারের ব্যাগ বাহিত হয়ে চলে আসত আমাদের বাড়িতে। আমলকী নাকি দেবতাদের ভোগ্য, খেলে চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সর্বত্র উপকার। মা আমলকী নিয়ে আমার পেছন পেছন দৌড়তেন। ওই কষ কষ স্বাদ আমার জঘন্য লাগত। আমলকী আমার একমাত্র একরকম ভাবেই মুখে রুচত, সেটা হচ্ছে গাদাগাদা ঝালনুনে চুবিয়ে খটখটে শুকিয়ে সমস্ত খাদ্যগুণ তাড়িয়ে তাকে মুখশুদ্ধির শিশিবন্দী অবস্থায়। মা লোভ দেখানোর জন্য বললেন, কাঁচা আমলকী খেয়ে জল খেলে নাকি একটা ম্যাজিক হয়। আমি বোকার মতো বিশ্বাস করে জলের গ্লাসে চুমুক দিলাম। ম্যা গো! সাধ করে এরকম মিষ্টি জল কেন কেউ খেতে চাইবে?! ক’বছর পর ট্রেনে আমলকী উঠল। কাঁচা, ঝিরিঝিরি করে কাটা, ছোট ছোট জিপলক প্যাকেটে পোরা। মায়ের মুখ মনে পড়ল। কিনে খেলাম। বাড়ির আমলকীর থেকে একশো গুণ বেটার খেতে।
তবে আমি ট্রেনে এসব স্বাস্থ্যকর খাবার খেতাম না। আমি খেতাম ঝালমুড়ি আর বাদাম চাক। আর সল্টেড বাদাম। আমার মা ভালোবাসতেন চিনি মাখানো মিষ্টি বাদাম। কোনওদিন মায়ের কথা না শুনে বাড়ি থেকে বেরোলে, সল্টেডের বদলে মিষ্টি বাদাম খেতাম। একরকমের প্রায়শ্চিত্তের চেষ্টা আরকি। লজেন্সটজেন্সও খেতাম, তবে কম। খেলেও মিঠুনের মায়ের থেকে কিনে কখনও নয়। মিঠুনের মা ছিলেন রোগাপাতলা, টকটকে সিঁদুর পরা সিঁথির দু’পাশ দিয়ে তেলচকচকে ঢেউ খেলানো চুল কানের পেছন দিয়ে নেমে গেছে। মিঠুনের মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল মিঠুন, যাকে মিঠুনের মা হোস্টেলে দিয়ে এসেছেন। এসব কথা মিঠুনের মা-ই ডেকে ডেকে বলতেন। মিঠুনের মায়ের লজেন্স বিক্রি করার ধরণ ছিল একেবারে ইউনিক। কামরার মাঝখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে উনি সকলের সঙ্গে আলাপ করতেন। কাউকে বৌদি, কাউকে দিদিমণি, কাউকে ঠাকুমা বলে ডাকতেন। অবিবাহিত মেয়েদের বলতেন, “আমার লজেন নিলে তোমার শাহরুখ খানের মতো বর হবে, না নিলে…” ওয়েল, কার মতো হবে সেটা আমি আর এখানে বলছি না। মোদ্দা কথা হচ্ছে মিঠুনের মা কামরায় এলে হাসি, মশকরা, ঠাট্টার একটা ঢেউ উঠত। বেশিরভাগ লোকই সেই ঢেউয়ে মহানন্দে ভাসত আর আমার মতো কিছু বেরসিক, চট-মশকরাতে যারা অভ্যস্ত নয়, উল্টে আতংকিত, গম্ভীর হয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বসে থাকত। তাতে অবশ্য বিপদ বাড়ত বই কমত না। মিঠুনের মা তাঁদের ধরে ধরে “এই গম্ভীর দিদিকে দেখে আমার কী ভয় লাগছে, বাবারে” বলে ইয়ার্কি চালিয়ে যেত, এবং কামরাশুদ্ধু সবাই ফিকফিক করে হাসত। বলাই বাহুল্য, মিঠুনের মায়ের প্রতি আমি প্রসন্ন ছিলাম না। একদিন সে অপ্রসন্নতা মায়ের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়াতে মা সান্ত্বনা দিলেন। “তুই ওর চেষ্টার কথাটা ভেবে দেখ সোনা, লজেন্স বিক্রি করার জন্য কত বেশি পরিশ্রম করছে বাকিদের থেকে। “
নিজের দৃষ্টিটাকে একটু ঠিক করে নিয়ে দেখলাম, সত্যি। সকলেই তো বয়াম কিংবা ঝোলা ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে লজেন্স বিক্রি করে। মিঠুনের মা গলা ফাটিয়ে চেঁচায়, প্রতিটি সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত কথোপকথন করে। অন্যদের থেকে মিঠুনের মায়ের জনপ্রিয়তা বেশি, কিন্তু বিক্রি ততটাও কি বেশি, পরিশ্রম যতটা? ট্রেন থেকে “ধুর কেউ কিনছে না, তোমাদের সবার রান্নায় বেশি নুন পড়বে আজ” মুখ ঝামটা দিয়ে একদিন বেলুড়ে নেমে গেল মিঠুনের মা। জানালা দিয়ে দেখলাম, স্টেশনের গাছের নিচের বেদীতে বসল গিয়ে। ক্লান্তিতে ভাঙা মুখ, চিন্তাক্লিষ্ট দৃষ্টি। কোথায় সেই নাটুকে, ব্যক্তিগত সীমার তোয়াক্কা না করা মিঠুনের মা। ওই মুহূর্তে মিঠুনের মাকে দেখতে লাগছিল আর পাঁচজন হকারের মতোই, যার লজেন্স বিক্রি হচ্ছে না আশামতো।
তারপর একদিন মিঠুনের মায়ের থেকে লজেন্স কিনলাম এক প্যাকেট। “প্রথমবার নিচ্ছ, পাঁচ প্যাকেট নাও না গো দিদি”-র উত্তরে কাষ্ঠ হেসে একটাই নিলাম। টাকা নিয়ে মিঠুনের মা তিনজনকে ডিঙিয়ে আমার ঘাড়ের কাছে এসে ভয়ানক সিরিয়াস মুখে বলল, “আমি বলছি দিদি, দেখো, তোমার বর তোমার ঠিক মনের মতন হবে।"
আমাদের সৌরভ স্টোরসের সামনের কাউন্টারের গোটাটাই ট্রেনের খাবারে ভর্তি। আদা লজেন্স, কমলা লজেন্স, বাদাম চাক, শুকনো আমলকী, লালনীল মৌরি। অর্চিষ্মান টপাটপ কিনে খায়। আমাকে বলে, “খাও খাও।” আমি বেশিরভাগ সময়েই খাই না, আদা লজেন্সের প্যাকেট কেনা হলে একটা হয়তো মুখে দিই। ভালোই, তবে আদা লজেন্সের মতো খেতে নয়। অর্চিষ্মান বলে, “আদা লজেন্স এরকমই খেতে হয়। তোমার যত…”
হয়তো আমারই যত। হয়তো আদা লজেন্স এরকমই খেতে হয়। শুধু সৌরভ স্টোরসেরই তো নয়, এক নম্বর মার্কেটের সঞ্জীব স্টোরস, অফিসের কাছের মুদি দোকানের আদা লজেন্স সবই তো ট্রাই করে দেখেছি। সবকটাই অবিকল এক রকম খেতে। কিন্তু কোনওটাই পাঁচটা চল্লিশের তারকেশ্বরের, মিঠুনের মায়ের ঝোলাব্যাগের আদা লজেনের মতো খেতে নয়, সেটা আমি ওকে কী করে বোঝাব।
আমাদের সৌরভ স্টোরসের সামনের কাউন্টারের গোটাটাই ট্রেনের খাবারে ভর্তি। আদা লজেন্স, কমলা লজেন্স, বাদাম চাক, শুকনো আমলকী, লালনীল মৌরি। অর্চিষ্মান টপাটপ কিনে খায়। আমাকে বলে, “খাও খাও।” আমি বেশিরভাগ সময়েই খাই না, আদা লজেন্সের প্যাকেট কেনা হলে একটা হয়তো মুখে দিই। ভালোই, তবে আদা লজেন্সের মতো খেতে নয়। অর্চিষ্মান বলে, “আদা লজেন্স এরকমই খেতে হয়। তোমার যত…”
হয়তো আমারই যত। হয়তো আদা লজেন্স এরকমই খেতে হয়। শুধু সৌরভ স্টোরসেরই তো নয়, এক নম্বর মার্কেটের সঞ্জীব স্টোরস, অফিসের কাছের মুদি দোকানের আদা লজেন্স সবই তো ট্রাই করে দেখেছি। সবকটাই অবিকল এক রকম খেতে। কিন্তু কোনওটাই পাঁচটা চল্লিশের তারকেশ্বরের, মিঠুনের মায়ের ঝোলাব্যাগের আদা লজেনের মতো খেতে নয়, সেটা আমি ওকে কী করে বোঝাব।
mon bhorey gaelo ... abar mon bhaar o hoye gaelo ...
ReplyDeleteMithun er ma er moto r o kotojon amader shobar jibon e thake ... tara shudhu doinondin jibon theke hariye jaay, moner monikothay tara chirokal theke jaay .... thank you tader kotha money koriye dewar jonye ...
ধন্যবাদ, অনুরাধা। ঠিকই বলেছেন আপনি, মিঠুনের মাকে দেখিনি কত বছর হয়ে গেছে তাও ভুলে গেছি, অথচ যখন মনে পড়ল, চেহারা, চেরা গলা, হাত পা নাড়া থেকে শুরু করে চোখের পলক গলার শিরা সব মনে পড়ে গেল।
Deleteউফ কি প্রিয় জিনিস গুলো নিয়ে লিখেছ কুন্তলাদি... কাকিমার সঙ্গে মিল পেয়েছি :) মিষ্টি বাদাম। ট্রেনের সব খাবার কিন্তু বেস্ট আমাদের হাওড়া মেন লাইনেই। অনেক দিন পর মিঠুনের মা কে মনে করালে।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঊর্মি। মিঠুনের মা চমৎকার ছিলেন কিনা বল?
Deleteমিঠুনের মাকে আমিও একটু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতাম। হাসতাম অল্প করে.. যাতে বেশি চোখে না পড়ি আবার গম্ভীর ও না দেখায় , কিনেছি দু তিন বার .. কিন্তু মানতাম ওই পরিশ্রম অনেকে পারবে না..
Deleteতোর এই কমেন্টটা স্প্যামে গিয়ে বসে ছিল, ঊর্মি, আজ উদ্ধার করে আনলাম।
Delete:) , kichu lekha sref prosonnota toiri kore dey . tomar onek lekhay sei karonei comment kora hoy na , kintu tar mane ei noy lekhata porini ba valo lage ni . e lekhatao temonoi ekta :) - PB
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত।
DeleteDekhlen Mithuner-ma ja bolechilen tai holo ki na. Bhagish tokhon lojens kinechilen, na hole je ki holo ..
ReplyDeleteতা তো বটেই, ঘনাদা।
Deleteবড় ভালো, বড় মন কেমন করা লেখা। তোমার ব্যথা মিঠুনের মায়ের আদা লজেন আর আমার পাড়ার মোড়ের দাদুর ঘুগনি। আমেরিকা আসার সময় দাদু নিজের হাতে মশলা বানিয়ে সাথে দিয়ে দিয়েছিলো. ওদেশে যদি ঘুগনি না পাওয়া যায়, আমার সেই সম্ভাব্য দুরবস্থার কথা ভেবে। সেটা দিয়েই দাদু নিজের রেসিপিতে ঘুগনি বানাই, কিন্তু সে টেস্ট আজো হাতে আসে না.
ReplyDeleteএকটা হতে পারে, চুপকথা, স্বাদটা আসে, কিন্তু তোমার স্মৃতি বলে যে এটা সে স্বাদ নয়, অন্যরকম। নস্ট্যালজিয়া এসব গোলমালে ভয়ানক দড়। তবে দাদু খুবই উদার বলতে হবে, তোমাকেও খুবই ভালোবাসতেন, নাহলে নিজের ট্রেড সিক্রেট সঙ্গে দিয়ে দেন?
DeleteSetai. asole class 2 theke oi dokanei jetam ghugni khete. prothome make lukiye didir hat dhore tarpor ektu boro hoye dana gojale eka ekai.. bidesh jachhi shune dadur prothom prosno chhilo, tahole ghugni khabi ki kore?
Deleteতোমার দাদুর মতো লোকেরাই পারেন জরুরি প্রশ্নগুলো করতে, চুপকথা, যেগুলো আমরা নিজেরা নিজেকে করতে ভুলে যাই।
Delete"আদা লজেন্স, কমলা লজেন্স, বাদাম চাক, শুকনো আমলকী, লালনীল মৌরি। অর্চিষ্মান টপাটপ কিনে খায়।" পেটে কি ধুন্ধুমার কান্ড হয়েছিল অর্চিষ্মানবাবু ভুলে গেছেন বুঝি ? ;)
ReplyDeleteকিন্তু সে তো সেরে গেছে।
Deleteমিঠুনের মায়ের জয় হোক। কিন্তু এই কৌতূহল যে কিছুতেই যাচ্ছে না। লজেন না নিলে কার মত বর হতো তোমার? :=)
ReplyDeleteহাহা, ওটা মিঠুনের মা বলেনি, আমি লিখেছি, আবির।
DeleteKhubi bhalolaglo lekhata. Purono smriti firiye ananr moton.
ReplyDeleteধন্যবাদ, সায়ন।
DeleteTomar ei lekhagulo amar sobtheke priyo. Joto anondo daey totoi mon kemon kora jeno..hoyto eto nostalgic bolei. R Mithun er ma boro mon kha rap kore dilen. Kakima ke badam chak e high five. Kotodin khaini, bodhoy 13-14 years habe ��Maase ekbar bari jatayat e badam chak r jhal badam mixture badhadhora chilo. Amar bor (mane tokhon classmate jodio!) kibkore ami within 10 mins interval eki main ingredient opposite taste er jinis eto bhalobese korte pari o bojhena. Bratati
ReplyDeleteদশ মিনিটের এপারে ওপারে বাদাম চাক আর ঝাল বাদাম একটা কৃতিত্বের ব্যাপার বটে, ব্রততী। তাঁর মতো বাদামপ্রেমী আরও কেউ আছে জানলে মা খুব খুশি হবেন। লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
DeleteMithun er ma'r prophecy mile gache mile gache.
ReplyDeleteতা মিলেছে, কুহেলি।
DeleteKi darun lekhata...joto porchhi toto bhalo lagchhe...
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, সুস্মিতা।
Deleteযদিও লেখাটা ট্রেন এর হকার দের নিয়ে কিন্তু আমার তেমন ডেইলি প্যাসেঞ্জেরি করা হয়নি। তাই নিজের অভিজ্ঞতা কম। আমাকে যেটা খুব ইমোশনাল করেছে সেটা ওই কেক এর গল্পটা। আমার মায়ের চৌকোনা কেক ওভেনে বান্যানো কেক এর বিষয়ও একই কথা বলা যায়। কিন্তু কখনো মনে হয়নি এইভাবে এক্সপ্রেস করার কথা। আর হাজমোলার শিশিতে যে জোয়ান ছিল সেটা কিন্রু আমি শেষ লাইন অব্দি পড়ার আগেই বুঝেছি । হোমিওপ্যাথির শিশিতেও আমার
ReplyDeleteজোয়ান এসেছে, সে জোয়ান বাড়িতে বানানো অবশ্য।
খুব খুব ভালো হয়েছে লেখাটা।
মায়ের হাতের কেকের কোনও জবাব নেই, অমিতা। ভাত ডাল তরকারি তো ওঁরা পৃথিবীর সবার থেকে ভালো রাঁধেনই, কেকও কী করে বাকিদের কান কেটে নেওয়ার মতো বানান সেটা একটা রহস্য। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Delete"ভাত ডাল তরকারি তো ওঁরা পৃথিবীর সবার থেকে ভালো রাঁধেনই" - সত্যি সত্যি সত্যি !!!!
Deleteহাই ফাইভ, অন্বেষা।
DeleteTor lekhata pore amar anek guli jinish ekssathe khete ichha korechhe .. howrah station -r peyara .. dasa dasa ... kalyani station -r kancha mithe aam ... aar jhaal muri .. school -e porar samay haath kharoch jomatam .. jhaal muri khabo bole .. barite jante parle prachur bokto .. pet kharaap -r bhoy dekhato .. kintu tao lobh samlano asambhob chilo .... aar sab theke beshi Maa -r haath -r cake .. anek din khai ni ...
ReplyDeleteহাওড়া স্টেশনের মতো পেয়ারা আমি সত্যিই আর কোথাও খাইনি, বৈশালী।
Deleteএকদম !! 👍🏾👍🏾
DeleteKhub valo laglo. Mithun er ma k dekhe amio voi petam, vabtam ei ki Na ki bole debe. Kintu khub Maya lagto bole kintam. Last ekbar dekhlam bochor duek age, kichu sorir kharap hoechilo, ekta hat obos r "logen" er tholi ta nei. Kichu taka dilam, nomoskar kore neme gelo.
ReplyDeleteএ বাবা, এটা বাজে খবর।
Delete