কাজের গাছ অকাজের গাছ




গাছের শখ ব্যাপারটা আমার কাছে বহুদিন পর্যন্ত অবোধ্য ছিল। একুশ বছর বয়স পর্যন্ত আমি এমন একটা বাড়িতে থাকতাম যেখানে অগুনতি গাছ ছিল এবং কোনওটাই শখের ছিল না। প্রত্যেকটাই অপরিসীম কাজের। শুধু আমাদের বাড়ির নয়, আশেপাশের সব বাড়ির গাছেরাই দরকারি ছিল। বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার ঠাকুরের ঘটে দেওয়ার কলা, বেলপাতা, আম্রপল্লবের জন্য আম কলা বেলগাছের জোগাড় সব বাড়িতেই থাকত, তাছাড়া কাঁঠাল পেয়ারা নারকেল সুপুরি জাতীয় গাছও সবাই নিজের বাড়িতেই পুঁতে রাখত। নিমটিমও রাখা হত, যাতে বাজার থেকে বেগুন কিনে নিমপাতা কিনতে ভুলে গেলেও মেনু থেকে নিমবেগুন বাদ না পড়ে, ছাদের পাঁচিলে চড়ে পেড়ে নিলেই মিটে যায়। 

ফুলের ব্যাপারেও তাই। এখনকার মতো তখন ঘরে ঘরে নাস্তিক আর অজ্ঞেয়বাদীর চাষ হত না; সকলেই ভগবানকে ভয় পেত। পাড়ার যে সব দাদারা দাড়ি রাখতেন, চশমা পরতেন, ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি নাম মেলাতে আসতেন এবং কেটে ফেললেও অঞ্জলি দিতেন না, তাঁরাও অষ্টমীর রাতে কুইজ পরিচালনা করতেন। সকলের বাড়িতেই পুজোআর্চার আর পুজোআর্চার জন্য ফুলের ব্যবস্থা ছিল। টগর, কলকে, কামিনী, কাঞ্চন এ সব কায়েমি গাছের সঙ্গে সঙ্গে সিজনাল শিউলি আর গাঁদাও বাড়িতে বাড়িতে থাকত। যাঁদের থাকত না তাঁদের ভোর চারটের সময় লগা নিয়ে অন্যের বাড়ির ফুল সংগ্রহে বেরোতে হত। তার নানারকম অসুবিধে ছিল যেমন কম ঘুম, শীতকালে ঠাণ্ডা লাগা, কুকুরের তাড়া খাওয়া ইত্যাদি। উদ্যমী ফুলচোরেরা কেউ কেউ এগুলো অতিক্রম করতে সক্ষম হলেও আরেকরকম অসুবিধে থেকে তাঁদের নিস্তার ছিল না। আমার ঠাকুমার মতো কেউ না কেউ সব পাড়াতেই থাকতেন যাঁরা রাত তিনটে থেকে জানালার শিকে নাক ঠেকিয়ে বসে থাকতেন। সাত দিন, বারো মাস। নিজের বাড়ির গাছের ফুলের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে আকাশবাতাস বিদীর্ণ করে তো ফেলতেনই, প্রতিবেশীর গাছের দিকে লগা এগোতে দেখলেও চিৎকার করে সতর্ক করতেন, ও বলাই, টুকাই, রত্না, ফুল নিয়া গেল। শেষে সবাই পিটিশন জমা দিয়েছিল, মাসিমা/ঠাকুমা, চেঁচাবেন/চেঁচিয়ো না, নিয়ে গেলে নিয়ে যাক।

বাড়ি ছাড়ার পরেও বেশ কয়েক বছর গাছের মধ্যে ছিলাম। চোখ এবং মনের আরামের জন্য যতখানি হলে চলে যায়, চারপাশে সবুজ তার থেকে বেশিই ছিল। সবথেকে ভালো ব্যাপার ছিল সে সবুজের অগোছালোপনা। ইউনিভার্সিটির বাগান নয়, জঙ্গলের মধ্যে ইউনিভার্সিটি। সে সব গাছ গাছের মতোই দেখতে, কেউ তাদের ছেঁটেকেটে জিরাফ, ওরাংওটাং, হিপোপটেমাসের চেহারা দিয়ে রাখেনি। 

তারপর কত কিছু দেখলাম, কত ধানে কত চাল গুনলাম। জানলাম গাছ জীবনধারণের জন্য অতটাও অপরিহার্য নয়। বিশেষ করে বড় শহরে গাড়ি ছাড়া সারভাইভাল অসম্ভব, গাছ না হলে দিব্যি চলে যায়। 

এখানে আমার একটা বাতিকের কথা স্বীকার করে রাখা ভালো। গাছ বলতে আমি রেলিং-এ ঝোলান লাল নীল সবুজ টবের গাছ এমনকি বারান্দার টবে আস্ত পামগাছকেও ধরছি না। আমি বলছি রিয়েল মাটি ফুঁড়ে বেরনো রিয়েল গাছের কথা। যারা না থাকলে আমার জীবন চলত না, সেই সব কাজের গাছের কথা। সে রকম গাছের অভাব শখের গাছে মেটাব না এই গোঁ ধরে বহুদিন পর্যন্ত আমি গাছবিহীন অস্তিত্ব কাটিয়েছি।

কিন্তু গোঁয়ারতুমি বা প্রিন্সিপল, যাই বলুন না কেন, আমার স্বভাবে নেই। যখন বোধোদয় ঘটল যে রিয়েল মাটিতে জন্মানো রিয়েল গাছ ঘেরা রিয়েল বাড়ি আমার এ জীবনে বানিয়ে উঠতে পারার আশা নেই, টবে গাছ লাগানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখলাম। পুরোটা মচকাইনি অবশ্য। ফুলটুল না লাগিয়ে একখানা কারিগাছের টব কিনে এনেছিলাম। যাতে চিঁড়ের পোলাও কিংবা উপমা বানানো হলে অন্তত কাজে লাগানো যায়। সে গাছের গল্প আগে অবান্তরে বলেছি। 

মাসছয়েক আগে একদিন অর্চিষ্মান বাড়ি ফিরে বলল, এই দেখ প্র দিয়েছে। প্র ওর কাজতুতো এবং মাঝেসাঝে উবারপুলতুতো বন্ধু। প্লাস্টিকের থলির ভেতর সবুজ পাতাটাতাশুদ্ধু টুকটুকে লাল টমেটো। প্র-এর নিজের হাতে, নিজের বারান্দায় বানানো। আমি তো ইমপ্রেসড। অর্চিষ্মান ইমপ্রেসডের থেকেও বেশি। মাঝেমাঝেই খেয়াল করি হাউ টু গ্রো ভেজিটেবলস ইন ইয়োর হোম ভিডিও দেখছে।

সিরিয়াসলি নিইনি। ডেডলাইন থাকলে আমি কাজ ফেলে ডিমের সাদা আলাদা করার যন্ত্রের ডেমোও দেখি। রান্নাঘরের শুকনো লংকার শিশি পেড়ে খান কুড়ি বিচি যখন ভেজানো হল, তখনও সিরিয়াসলি নিইনি। পরের শনি না রবি খান মার্কেটে খেয়ে ফেরার পথে মসজিদ নার্সারিতে থেমে একটা ছোট মতো টব আর কিছু মাটি কিনে আনা হল, সেও খেলা খেলাই। সে টবে কুড়িটা বিচিই পুঁতে দিলাম যখন (সব ইউটিউব ভিডিওতেই বেশি করে বীজ পোঁতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল কারণ সম্ভবতঃ বেশিরভাগই বাঁচবে না। শখের চাষীদের হাতে সম্ভাবনা আরওই কম।) তখনও ভাবছি আলটপকা শখ। একটাও গাছ বেরোবে না আর মন উঠে যাবে। 

চারা বেরোল, কুড়িটাই। সবুজ রোগা রোগা ডাঁটি মাটি থেকে মাথা তুলল এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লম্বা হতে লাগল। 

সিরিয়াসলি নেওয়া ছাড়া উপায় থাকল না। দৌড়ে মসজিদ নার্সারিতে গেলাম। আরও টব কেনা হল। আগেরবার খেয়ে ফেরার পথে নার্সারি যাওয়া হয়েছিল, এবার নার্সারি যেতে হবে বলে খেয়ে এলাম। চারাগুলো একটা টব থেকে তুলে চারটে টবে ছড়িয়ে রাখা হল। তারা হই হই করে বাড়তে লাগল এবং ইউটিউব বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী মেনে মরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখাল না। আমরা আবার নার্সারিতে দৌড়লাম এবং বড় দেখে গোটা দশেক টব এবং মাটি নিয়ে এলাম। এবার খেতে যাওয়ার কথা মনেই রইল না। শনিরবি বারান্দায় থেবড়ে বসে রান্নাঘরের বাড়তি একখানা কাঠের হাতা সম্বল করে মাটি ঘেঁটেঘুঁটে গাছ আবার নতুন টবে ট্রান্সফার করা হল। একটা শিকড়ও যাতে না ছেঁড়ে। কুড়িটাকেই বড় করা যাবে না যে সেটা জানতাম কিন্তু জাস্ট তুলে তুলে ফেলে দেওয়া তো যায় না। সেটা তো মার্ডার। তাছাড়া কোনটাকে রাখব, কোনটাকে ফেলব? সবক’টাই তো ড্যাব ড্যাব করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কোনটাকে বলব, তুমি একটু বেশি রোগা তাই তোমাকে তুলে ফেলে দিচ্ছি? অর্চিষ্মান বলল, রাতে গিয়ে মেলা গ্রাউন্ডে পুঁতে দিয়ে আসি? শিউরে উঠলাম। অত বড় মাঠের এক কোণে এই রকম বিঘৎ খানেক চারা, ভয়েই মরে যাবে বেচারারা। আরেকবার ভাবলাম লুকিয়েচুরিয়ে টবে করে এর ওর বাড়িতে রেখে আসি। শেষপর্যন্ত কিছু করা হল না। কুড়িখানা লংকাগাছ বারান্দা জুড়ে হইহই করে বাড়তে লাগল। অফিস বেরনোর আগে ‘গ্যাস বন্ধ করেছ তো?’র থেকে ‘গাছে জল দিয়েছ তো?’ বেশি জরুরি প্রশ্নের জায়গা নিল। প্রথম যেদিন আবিষ্কার করলাম একটা গাছ কাত হয়ে পড়েছে মনে হয়েছিল আমার একটা পাঁজর কাত হয়ে গেল বুঝি। 

অবশেষে প্রায় দু’হাত লম্বা হওয়ার পর একে একে গাছেরা ক্রমশঃ ঝিমিয়ে পড়তে লাগল। নার্সারি থেকে ওষুধ নিয়ে এসে স্প্রে করলাম, জল দিলাম, চা পাতা আর ডিমের খোলার গুঁড়ো দিলাম, কিছুতেই কিছু হল না। শেষে বাড়িওয়ালির গাছ-তত্ত্বাবধায়ক বিট্টু এসে বিধান দিল, গাছেরা রোদ কম পাচ্ছে। বুকে পাথর রেখে টবগুলোকে ছাদে কাকিমার অন্য কোটি কোটি গাছের সঙ্গে রেখে এলাম।  

অকাজের গাছসংক্রান্ত প্রিন্সিপলটাও ভেঙে গেছে। সহকর্মীদের ফেলে যাওয়া পাতাবাহার আর সুখী বাঁশেরা আমার অফিসের ডেস্কের প্রায় সবটুকু ফাঁকা জায়গা দখল করে ফেলেছে। ওরা কোনও কাজে লাগে না। আবার লাগেও। যখন আর কারও মুখ দর্শন করতে ইচ্ছে করে না, আমি ওদের দিকে তাকিয়ে থাকি। পেছনের দেওয়ালের জানালা থেকে সারা সকালদুপুর রোদ এসে পড়ে ডেস্কটপের স্ক্রিনের ওপর, কিচ্ছু দেখা যায় না। ঘাড় ঘুরিয়ে ভিউ দেখা হয় না বলে এতদিন ও ব্লাইন্ড টানাই থাকত। ইদানীং আমার ধারণা হয়েছে যে গায়ে রোদ লাগাটা গাছেদের স্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি কাজেই আমি ব্লাইন্ড খুলে রাখি এবং ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোকেশন বদলাতে থাকা রোদের পিছু ধাওয়া করে গাছেদের জায়গা বদলাই। ব্লাইন্ড বন্ধ করার কুচিন্তাও মাথায় আসে না। কম্পিউটারের স্ক্রিনের প্রতিফলন আগের মতোই চোখ ধাঁধিয়ে দেয় কিন্তু আমি মনিটর বেঁকিয়েচুরিয়ে যথাসম্ভব রোদের নাগালের বাইরে রাখার চেষ্টা করি, ব্যর্থ হলে গা করি না। কাজ করে তো উদ্ধার করে দিচ্ছি, তার থেকে ওদের গায়ে রোদ লাগাটা অনেক বেশি জরুরি। গাছগুলোকে রোদে রেখে সিটে ফিরে এসে দেখি, একটা ছোট মতো পাতা বড় পাতাদের ছায়ার আড়ালে পড়ে গেছে। উঠে গিয়ে আবার এক মিলিমিটার ক্লকওয়াইজ ঘুরিয়ে পাতাটাকে রোদের আওতায় দিয়ে আসি। পাতাটা খুশিতে চকচক করে ওঠে।

জ্যান্ত জিনিসের যত্ন করার এই একটা সুবিধে। সাড়া দেয়। যত্ন করলে বাড়ে, চকচক করে। অযত্নে ম্লান হয়। সে গ্লানির কথা আর কী বলব। পুরনো বাড়ির বারান্দায় ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর আসত সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত; এক বছর মে জুন জুলাইতে চোখের সামনে কারিগাছ জ্বলে গেল। তার মধ্যে বেড়াতে গিয়েছিলাম দিন দশেকের জন্য। এসে দেখি একটি পাতাও নেই, খালি কয়েকটা কাঠি হাত তুলে হাহাকার করছে। নিজেকে খুনী মনে হতে লাগল। ও দৃশ্য যাতে দেখতে না হয়,বারান্দায় যাওয়া বন্ধ করে দিলাম প্রায়। অর্চিষ্মানের সাহস, ধৈর্য দুইই আমার থেকে বেশি, ওই কাঠির গায়ে দুবেলা জল ঢালত, উইদাউট ফেল। তারপর সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ একদিন বারান্দা থেকে জলের মগ হাতে নিয়ে এসে বলল, একবার দেখবে এস। গিয়ে দেখলাম কাঠির শরীরে সবুজ! পাতা তাকে তখনও বলা চলে না, জাস্ট একটা বিন্দু, কিন্তু সবুজ বিন্দু। আমার ধারণা হল অর্চিষ্মানের হাতযশেই এ মির‍্যাকল ঘটেছে এবং আমি এখন নাক গলালেই সবুজ বিন্দু হাওয়া হয়ে যাবে। কাজেই আমি নিজে জল না দিয়ে, পাঁচশো বার জল দেওয়ার কথা মনে করিয়ে অর্চিষ্মানের জীবন অতিষ্ঠ করে তুললাম। কারি গাছ পাতায় পাতায় ভরে উঠল।

এই শীতে কারিগাছের আবার একটু কাবু অবস্থা চলছে; যে ক’টা পাতা আছে বেশিরভাগই হলদে, ভঙ্গুর। কিন্তু বেশ কয়েকটা শীতগ্রীষ্ম কাটিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা আর সাহস খানিকটা বেড়েছে। আশা /বিশ্বাস রেখেছি যে শীত কমলে কারিগাছ আবার স্বমহিমায় ফিরবে। রোজ বারান্দায় গিয়ে বলছি, ফাইট কারিদা, ফাইট, আর দু’মাস, বসন্ত এল বলে।

অর্চিষ্মান প্র-কে জিজ্ঞাসা করেছিল, নিজের গাছের টমেটো দিয়ে তরকারি রাঁধলে খেতে এক্সট্রা ভালো লাগে নিশ্চয়? প্র বলেছিল, খাই না তো, দেখতেই ভালো লাগে। কাঁচালংকা গাছ লাগানর ইচ্ছে অর্চিষ্মানের কেন হয়েছিল জিজ্ঞাসা করা হয়নি, আমার নিজেরই বা গোড়াতে কী প্ল্যান ছিল ভুলে গেছি, কিন্তু যে মুহূর্তে মাটি থেকে ওই সবুজ মাথাগুলো উঠল সে মুহূর্ত থেকে ওরা বড় হয়ে লংকা ফলাবে আর সে সব লংকা গরম ভাতে ঘি আলুসেদ্ধর সঙ্গে কামড়ে কামড়ে খাব এ সব চিন্তা অন্তর্হিত হয়েছিল। জরুরি ছিল ওরাই। ওদের বাঁচাটা এবং সুস্থ থাকাটা। কাত হয়ে না পড়াটা। মা ফলেষু কদাচন-র এর থেকে ভালো হাতেকলমে প্রয়োগ জীবনে কমই করেছি। গোটাটাই যদি বিফলে যেত কিছু যেত-আসত না, কিন্তু ফল যখন ধরেছেই তখন সে ফলের ছবি আপনাদের দেখাই।






Comments

  1. kajututo bondhu ki? tomar longkar chhobi dekhe ebar gach korte ichhey korchhey

    ReplyDelete
    Replies
    1. কর কর, চুপকথা, দারুণ ভালো লাগবে। নেশার মতো একেবারে। কাজতুতো মানে কোলিগ বোঝাতে চেয়েছি আরকি।

      Delete
  2. Replies
    1. হ্যাঁ, কেমন ঘাপটি মেরে শুয়ে আছে। যেন ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না।

      Delete
  3. Heartiest congratulations কুন্তলা ! ভীষণ ভালো লাগলো তোমার গাছকে জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা গল্প | তোমার আর অর্চিষ্মান দুজনেরই খুব গ্রীন থাম্ব আছে| কুড়িটা বীজ থেকে কুড়িটা গাছ হওয়া আর শেষ অব্দি লঙ্কাও হওয়া ভীষণ এক সাফল্যের কাহিনী | আনন্দ করে লঙ্কা খাও এখন |

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, গ্রিন ট্রিন জানি না, অমিতা। সম্ভবতঃ কপাল।

      Delete
  4. আরিব্বাস 20 টা বীজ থেকে 20 টা গাছ পাকা চাষীর হাতেও সবসময় হয়না। �� আমার তো ফুলের থেকে ফল সবজির গাছ লাগাতে বেশী ভাল লাগে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার ঠাকুমা বেঁচে থাকলে তোকে হাই ফাইভ দিতেন, ঊর্মি।

      Delete
  5. Bah, khub sundor lekha. :)
    notun bochhor jhal-e ebong jhol-e (mane curry te) bhore uthhuk. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, অরিজিত।

      Delete
  6. Happy new year Kuntala!
    Ki shundor lonka hoyeche! Tomar gaachera benche thakuk ... sustho thakuk.
    Amar Curry pata r gaach ta te koyekta holud pata ar teen te daal baki ache .... tomar post pore bhorsha pelam ...bosonto r opekkhaye roilam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. চিন্তা কোরো না, শর্মিলা, আমাদের কারিদা যদি নমুনা হন, তাহলে কারিগাছেদের প্রাণশক্তি সাংঘাতিক। তোমাদের উনিও হইহই করে ফিরে আসবেন। আমি মনে মনে চেয়েও রাখলাম।

      Delete
    2. Sharmila, amar curry gaach er nojor lege gelo eibar :-( Kichu ekta poka dhoreche, onek google kore bujhechi. Pray 6 years er purono gaach, khub mon kharap lagche

      Delete
    3. সেরেছে, এবার আমারও ভয় লাগছে যে।

      Delete
    4. Arre dhurr, tomar kiser bhoy, oita to amar gaacher kotha likhlam

      Delete
    5. না মানে আমি ভাবছি আমার কারিগাছ শীতে কাবু, পোকা ধরেছে কি না জানি না তো। তবে মনে হয় না, মানে, যেন না হয়।

      Delete
  7. এ এক আশ্চর্য লেখা।কারণ স্থান,কাল পাত্র বদলে দিলে এ সব আমার ই ঘটনা, যাকে বলে been there done that and still doing this. আমার আগের quarter এ ভালো ই বাগান করার মতো জায়গা ছিল, বর্তমানে টব ই ভরসা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার বাগানের শখ জেনে ভালো লাগল, নালক। আপনার গাছেদের দীর্ঘায়ু কামনা করি।

      Delete
  8. Ha ha ha!! "Ma pholeshu kodachono" ta fantastic!

    Shubho Noboborsho

    iti
    Shuteertho

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাপি নিউ ইয়ার, সুতীর্থ। খুব ভালো কাটুক ২০১৯।

      Delete
  9. Happy New year Kuntala. Onekdin baade tomar blog e elam, 2018 e bodhoy amar alzheimer hoyechilo. Gaach paala, bari, Archishman ke niye 2019 khub bhalo katuk

    ReplyDelete
    Replies
    1. নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা আপনাদের সবাইকেও, বং মম।

      Delete
  10. শুভ নববর্ষ কুন্তলা। বেশ নধর লঙ্কা! টমেটো লাগিয়েছো তো? ও তো লাগালেই রাশি রাশি হবে, টেনশন ছাড়াই!

    দুই ফেভারিট ব্লগার জায়গায় দেখে যা আনন্দ হলো!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরেকটু সাহস বাড়লে অন্য তরিতরকারির চেষ্টা করা যেতে পারে, কাকলি। টমেটোই ট্রাই করব না হয়।

      Delete
  11. ভারী আনন্দ হল এই পোস্টটা পড়ে । আমার হাতে গাছ হয় না ভালো , হয়ত তেমন যত্ন নেই বলেই । তোমাদের আরো অনেক গাছ হোক , সবুজ হোক বারান্দা ^_^

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত।

      Delete

Post a Comment