দুটো বাংলা সিনেমা



একটা দেখলাম ইন্টারনেটে, আরেকটা হলে। একটা ভালো লাগল। আরেকটা খারাপ। দুটোর কথাই বলি আপনাদের, আপনারা যদি কোনওটা দেখে থাকেন তাহলে বলবেন কেমন লেগেছে। মত মিললেও বলবেন, না মিললেও।

দুটো সিনেমাই শিক্ষামূলক। প্রথম সিনেমার শিক্ষাটা হল, বাংলা সিনেমা যা আসবে ভালো হোক মন্দ হোক দৌড়ে গিয়ে দেখার প্রবাসী আদেখলাপনাটা এবার শেষ হওয়া দরকার।

বর্ণপরিচয় নামের সার্থকতা আমি বুঝতে পারিনি। সম্ভবত সিনেমার নাম মহাপঞ্চভূত রাখা যায় না বলেই বর্ণপরিচয়। প্রথম সিনেই দেখিয়ে দেওয়া হয় খুনিকে, অর্ক (আবীর)। ইনি মহাপঞ্চভূত (জল, বায়ু, আগুন, মাটি, আকাশ) থিম ফলো করে করে খুন করেন। পাঁচ বছরে পাঁচটা খুন করার পর দু’বছর চুপচাপ থাকার পর আবার খুন করতে নেমেছেন। এর উল্টোদিকে রয়েছেন একজন পুলিস অফিসার, যিশু, চরিত্রের নাম ভুলে গেছি। তিনি পাঁচবছর ধরে এই খুনিকে ধরতে না পেরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং চাকরি ছেড়ে নেশায় ডুবে যান। বর্ণপরিচয় হচ্ছে এই দুই মহারথীর মহাযুদ্ধ।

সিনেমাটা ট্রোপে ভর্তি। পুলিস অফিসার সিরিয়াল কিলারের হাতে নাকাল হয়ে ডিপ্রেশনে চলে গিয়ে চাকরি ছেড়েছেন। তাঁকে ছেড়েছেন তাঁর বউ। পুলিস অফিসার ধরেছেন মদ। এদিকে তাঁকে ছাড়া পুলিস ডিপার্টমেন্ট অচল। যে খুনির পাঁচটা খুন তিনি সল্ভ করতে পারেননি, সে যখন আবার একটা খুন করে, সবাই দৌড়ে গিয়ে তাঁকেই ধরে। তুমি ছাড়া আর কেউ বাঁচানোর নেই। ওদিকে তাঁর কুপিত স্ত্রী (প্রিয়াঙ্কা) তাঁকে এখনও গঞ্জনা দিয়ে চলেছেন। গঞ্জনার কারণ ছেলের জন্মদিনে পৌঁছতে না পারার, পেরেন্ট টিচার মিটিং-এ অনুপস্থিত থাকার ট্রোপ। 

একমাত্র গতভাঙা চরিত্র সিরিয়াল কিলার অর্ক। ওই রকম বাচাল সিরিয়াল কিলার আমি দেখিনি। প্রথম সিন থেকে ওঁর লম্বা লম্বা ভাষণের চোটে দর্শক ওষ্ঠাগত। সে ভাষণ আরেকটু পদস্থ হলে তবু একটা কথা ছিল। সাবটেক্সট বলে যে কোনও বস্তু হয় সেটা সংলাপ লিখিয়েরা জানেন না। কাঠপুতুল বললেই যে যথেষ্ট, তার সুতো নাচানোর ব্যাপারটা না বললেও যে কারও না-বোঝা থাকবে না, এ কনফিডেন্স তাঁরা দেখাতে পারেননি। 

বসের অনুরোধ এড়াতে না পেরে যিশু তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত বলতে যদি আপনি বোঝেন ভিকটিমদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্দেহজনক কাউকে দেখা গেছে কি না খবর নেওয়া, তাহলে ভুল বুঝেছেন। গত সাত বছর ধরে এ সবের কিছুই করা হয়নি। এ তদন্ত পুরোটাই ইনডোর। যিশু বসে বসে মহাপঞ্চভূত নিয়ে মাথা ঘামান। ঘটনাস্থলে পাওয়া ক্লু নিয়ে ভাবেন। ভাবনার ওইরকম লাফ বাংলা সিনেমার হিরো গোয়েন্দাই দিতে পারে। ধরুন লাশের পাশে একখানা বাঁশ পড়ে আছে। দেখেই গোয়েন্দার মনে এসে গেল বাঁদর। ব্যস, ধরে আন পাড়ায় যত কেশব নাগ আছে, ওই ব্যাটাই খুনি। 

তদন্তটদন্ত বলার জন্য বলা, পরিচালকের উদ্দেশ্য ছিল পারিবারিক ড্রামা এবং দুই মহারথীর ঘমাসান দ্বৈরথ ইত্যাদি গ্র্যান্ড থিম নিয়ে সিনেমা বানানোর। তাতে তিনি সফল। দুই হিরো দুদিকে হেঁটে চলে যাচ্ছে আর সাসপেন্সফুল বাদ্যি বাজছে ব্যাকগ্রাউন্ডে ওইটাই হচ্ছে আসল কথা, বাকি সব এলেবেলে। 

এ ছাড়াও নানারকম রোমহর্ষক ব্যাপার তো আছেই, আজকাল বাংলা সিনেমায় যা থাকে। আবীর আর যিশু পাশাপাশি দাঁড়াবেন। একজন বলবেন, আমরা তো দুজনেই “সত্যান্বেষী”। কেন বলবেন? কিছু দর্শককে রোমাঞ্চিত করার আশায়? যে তাঁরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ‘বুঝলি তো?’ বলে চোখ মটকাবেন? কিন্তু এই যে বর্তমান সিনেমাটা মৈনাক ভৌমিক বানাচ্ছেন, যে গল্পটা এই মুহূর্তে বলছেন, “সত্যান্বেষী”র এই অবান্তর রেফারেন্সে তার কোন উপকারটা হবে? আপনাদের কথা জানি না, এই সব ক্রমাগত রেফারেন্স, পান, চতুর সংলাপ আমার কাছে কেবল স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি কমিটমেন্ট/ সিরিয়াসনেসের অভাবই প্রকট করে।

খুব কম সিনেমা দেখেই আমাদের আফসোস হয়। কারণ সিনেমা দেখা তো শুধু সিনেমা দেখা নয়, পপকর্ন খাওয়া, লোক দেখা, বাড়ি থেকে বেরোনো, একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো। সেই আরামটাই একলাফে তিনডবল হয়ে যায় বাংলা সিনেমা হলে। অনেক সিনেমাই আমরা, আমাদের পছন্দ হবে না কিংবা বোধের বাইরে দিয়ে যাবে জেনেও দেখতে যাই, শুধু ওই আরামটুকুর জন্যই। বর্ণপরিচয়-এর মতো সিনেমা ওই সব আরামের ভূত ভাগিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। সবথেকে আফসোস যে মাসখানেক বাদে তো টিভি বা হইচই-এ ওয়ার্ল্ড টিভি/ডিজিটাল প্রিমিয়ার হয়েই যেত, তখন দেখে নিতাম। পয়সা আর যাতায়াতের পরিশ্রমটুকু বেঁচে যেত।



প্রোডাকশন হাউসের নাম দেখে সিনেমা বিচার করতে যাওয়া যে উচিত নয় সেটা মুখার্জিদার বউ শেখাল। আমার ভালো লেগেছে সিনেমাটা। গত যে কয়েকটা বাংলা সিনেমা দেখেছি সবক’টার থেকে বেশি ভালো। 

ট্রেলার দেখেই গল্প বুঝে গিয়েছিলাম। শাশুড়ি বউয়ের ঝামেলা। সিনিয়র মুখার্জিদা মারা যাওয়ার পর মায়ের (শোভারানি মুখার্জির ভূমিকায় অনসূয়া) আচরণ অদ্ভুত হয়ে পড়ে। শাশুড়ি বউয়ের ঝামেলায় মাঝখানে জুনিয়র মুখার্জিদা (বিশ্বনাথ) নাজেহাল। পুত্রবধূ অদিতি (কনীনিকা)র ওপরেই চোট বেশি পড়ে। পুত্রবধূ নিজের মতো করে সে সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয়।

মূখার্জিদার বউ সিনেমার সবথেকে ভালো লেগেছে আমার অভিনয়। নামভূমিকায় দুজন অনবদ্য। সংলাপও ভালো। যাঁরা সংলাপ লেখার চেষ্টা করেছেন তাঁরাই জানেন একেবারে রিয়েলিস্টিক সংলাপ লেখা যায় না, কাম্যও নয়। কিন্তু এমন লেখা অবশ্যই দরকার যেটা শুনলে/ পড়লে অ্যাট লিস্ট ধরে নেওয়া যায় যে লোকে এইভাবেই কথা বলে। অকারণ কাব্য নয়। কমা সেমিকোলন সহ একদমে শেষ করা যায় না এমন পঞ্চান্ন শব্দওয়ালা বাক্য নয়। এই সিনেমার সংলাপগুলো ওপরের একটাও নয়। স্বাভাবিক। অন্তত একটা সময় পর্যন্ত ছিল।

তাছাড়া আগের সিনেমার প্রসঙ্গে যে কথাগুলো বলাম, অবান্তর রেফারেন্স, ডায়লগবাজির ফেন্সিং, চতুর পান, এই সমস্ত অবগুণ থেকে সিনেমাটি মুক্ত। 

কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। চেনা পাপীদের ছায়া শেষ পর্যন্ত লম্বা হয়ে পড়ে। এই হাউস তো ঠিক সিনেমা বানান না, এঁরা একেকটা ইস্যু বাছেন। তারপর তার ভালোমন্দ, উচিতঅনুচিত, সাদাকালোর মাঝখান দিয়ে শক্ত হাতে একটা দাগ টেনে দেন। এবং নিজেরা ভালো এবং উচিত এবং সাদার দিকে দাঁড়িয়ে জ্ঞানের আলো ছড়ান। জ্ঞানটাই আসল, সুদ হচ্ছে সিনেমা।  

অনেকেই সিনেমাটা খারাপ লাগার কারণ হিসেবে বলেছেন দেখলাম যে এত সাংসারিক প্যাঁচাল বড় তুচ্ছ ব্যাপার। মাছের পিসের সাইজ আবার একটা ঝগড়া করার মতো ব্যাপার হল? সেটা নিয়ে আবার সিনেমাও দেখতে হবে? আমি বলা বাহুল্য, এ কথা মনে করি না। যাঁরা সবসময়েই বড় পিস পান, তাঁদের ক্ষেত্রে হয়তো মাছের পিস নিয়ে মারামারি তুচ্ছ মনে হয়, কিন্তু যারা পায় না তাদের কাছে ওটাই অনেক বড় ব্যাপার। তাছাড়া কার বুকে কোন ব্যথা বাজবে তা ঠিক করে দেওয়া আমরা কে?

আমার নিজের সিনেমাটার অসুবিধে যেটা মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে সূক্ষ্মতার অভাব। বিশেষ করে থেরাপির অংশটা (থেরাপিস্ট ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) পুরো গজাল মেরে গোঁজানো। এই প্রসঙ্গে একটা দৃশ্যের কথা না বলে পারছি না। স্পয়লার দেওয়ার জন্য মাপ করবেন। একজন অত্যাচারিতা গৃহবধূ ঘর ছাড়ছেন। তাঁর শাশুড়ি তাঁকে থাকতে অনেক চোপা করেছেন, বউমা বেরিয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে ভয়ে আর্তনাদ করে উঠে জানতে চাইছেন, আমার কী হবে?

হুবহু পারমিতার একদিন-এর দৃশ্য, সংলাপ। অথচ দুটো দৃশ্যের অভিঘাত কী সম্পূর্ণ ভীষণ রকম আলাদা হতে পারে, এই দুটো দৃশ্য তার প্রমাণ। তফাৎ শুধু সূক্ষ্মতায়।

আসলে আমার মনে হয়, এই সিনেমাগুলো যে কথা বলে বা বলা উচিত যে বাণী ছড়ায় সেগুলো তো ঠিক কঠিন বা অজানা কিছু নয়। সকলেই (অন্তত এই সিনেমাটা যারা দেখতে যাবে সেই সব দর্শকদের অধিকাংশই) জানে যে মানসিক ব্যাধির চিকিৎসা হওয়া দরকার। মেয়েদের পড়ে পড়ে মার খাওয়া উচিত নয়। স্বামীর পরিচয়ের আড়ালে নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলা উচিত নয়। দর্শকরা ব্যক্তিগত জীবনে যাই করুন না কেন, সকলেই জানেন কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। এইবার সেই কথাগুলো একেবারে সোজাসাপটা ভাবে বলে গেলে উপদেশ উপদেশ ঠেকে। সিনেমাহল নীতিশিক্ষার ক্লাসে পরিণত হয়। তবে এই নীতিশিক্ষা,অ্যাট লিস্ট, ছোটবেলা বাঁচানোর জন্য সিসিটিভি তুলে দেওয়ার গোত্রের আপত্তিজনক নয়। সেটাই অনেক। পরিচালক (পৃথা চক্রবর্তী) এবং সংলাপলেখক (সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়)-এর পরের উদ্যোগ দেখার উৎসাহ রইল।


Comments

  1. Thik thik.. Borno Porichoy joghonno legechhe.. erokom baje akta pastiche cinema bananor manei hoyna. Eta amar dekha sobtheke unoriginal movie...

    Oi last scene pore jabar somoy Abir er 'Biday bondhu' bole haath nara... je dekhbe se depression e chole jabe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ডিপ্রেশন?! আমি আরেকটু হলেই জোরে হেসে ফেলছিলাম, রণদীপ। তাও আবার আমার এই মানসিক অবস্থায়, ভাবো। ওই সিনটা একঘর।

      Delete
  2. Hasir e byapar..ekhane (MGF Gurgaon) teo sobai ha ha kore haschhilo..
    Moinak Bhowmik er 'Bengali medium boy loves English medium under confident nyaka girl gets job in ad agency in 5 min interview buys expensive flat in south Calcuttta' marka codopyrin cinema i banano uchhit :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি, কমফর্ট জোন ছেড়ে বেরোনো যে ওভাররেটেড, আবারও প্রমাণ হল।

      Delete
  3. কুন্তলা , এই দুটোর কোনোটাই দেখিনি কিন্তু কদিন আগে Netflix -এ দেখলাম স্ত্রী এসেছে | তোমার রিভিউ পড়েছিলাম বলেই দেখলাম আর খুব ভালো লাগলো | বাড়িতে বসে দুজনে মিলে দেখা তাই কোনো ভয় করেনি কিন্তু খুব হেসেছি | রাজকুমার রাও আর অন্যরাও কি দারুন আর স্ক্রিপ্ট--ও সেই রকম |

    ReplyDelete
    Replies
    1. স্ত্রী আমাদেরও দারুণ লেগেছিল, অমিতা। ভয়ের সিনেমা আমরাও একসঙ্গে দেখার জন্য তুলে রাখি আর ঘোর দুপুর ছাড়া দেখি না।

      Delete
  4. tomar ei review duto pore khub moja pelam. tobe dutor konotai dekhar utsaho pelam na. amar sei marathon bhoyaboho porikkha ajke sesh holo. Ebar mash derek chhuti tarpor September er seshe abar kaje joining.

    ReplyDelete
    Replies
    1. পরীক্ষা শেষের অনেক অনেক অভিনন্দন, চুপকথা। এখন একেবারে সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকো কয়েকদিন। দেড়মাসের ছুটি খুব ভালো আর আনন্দে কাটুক।

      Delete
  5. বর্ণপরিচয় দেখে মাথা এত গরম হয়েছিল যে লোকেদের ধরে-ধরে সিনেমাটা দেখতে বারণ করেছি। আমার স্ত্রী'র প্রতিক্রিয়া (আবীর এত খারাপ সিনেমায় এত খারাপ রোল করছে?!) ছবি বিশ্বাসের "পারবে? পারবে ফিরিয়ে দিতে..." মনে করিয়ে দিয়েছিল।
    অন্য সিনেমাটা আমি দেখার চেষ্টাই করিনি। নন্দিতা-শিবপ্রসাদ জুটি স্লিক অ্যান্ড রিগ্রেসিভ সিনেমার যে প্যারাডাইমটা ইদানীং তৈরি করে দিয়েছেন, এটাকে সেই ধারার অনুসারী বলে মনে হওয়ায় হলের ধারেকাছে যাইনি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দ্বিতীয় সিনেমাটা অ্যাকচুয়ালি ওরকম নয়, ঋজু। আমি নিজেও অবাক হয়েছি। ইন ফ্যাক্ট, এতগুলো 'ঠিক' বাক্সে টিক দেওয়ার পর আমি দ্বিতীয়বার চেক করতে গিয়েছিলাম এটা উইনডোজ প্রোডাকশন কিনা। পরিচালক অন্য বলে হয়তো বেঁচে গেছে। তবে জ্ঞান দেওয়াটা এড়াতে পারেনি।

      বর্ণপরিচয়, সিরিয়াসলি, বসে দেখা যায় না।

      Delete
  6. Jah!!
    Koto asha kore chhilam je TV te Barnaporichay dekhbo, oi Abir-Jishur prothombar eksonge ovinoy bolei dekhbo bhebechhilam, kintu.....thak, tar cheye Motu-Patlu dekhle samay tar sodbyabohar hobe mone hocche.
    Mukherjee Da'r bou sedin TV te diyechhilo, dekha hoyni, abar dile dekhbo tahole.
    Review duto pore khub moja pelam Kuntala. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. মোটু পাতলু-র বিজ্ঞাপন দেখেছি আমি, আপনি দেখবেন যখন আমিই বা বাদ থাকি কেন, আমিও দেখব। আমি অবশ্য মাঝে মাঝে গোপাল ভাঁড় কার্টুনটা দেখি, ভালো লাগে বেশ। একদিন চ্যানেল বদলাতে বদলাতে 'গুড্ডু যেখানে গুড়িয়া সেখানে' নামের একটা সিরিয়াল বেশ খানিকটা দেখে ফেলেছিলাম। মানে দেখতে বাধ্য হয়েছিলাম, এমন সব কাণ্ডকারখানা হচ্ছিল, মুখ হাঁ আর আঙুল অবশ হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যিস অ্যাড ব্রেক হল, পালিয়ে বাঁচলাম।

      Delete
    2. Orebaba re, orebaba re, orebaba re.....!!!
      Oi Gudiya-Guddu amio ekdin dekhechhilam, dekhar pore mone hochhilo ami ke, keno, kothay....songe abar Jojo-r oi utkot shajposhak.
      Ota serial noy, Serial Killer :D
      Gopal Bhar amio dekhi :)

      Delete
    3. যা বলেছেন, ও জিনিস বেশিদিন দেখলে ব্রেন সেলরা দলে দলে আত্মহত্যা করবে।

      Delete
  7. Jaak.. borno porichoy dekhbo na..

    aami aabaar lyad katiye bombayr bajare bangla cinema giye dekhe uthte pari na.. taar ekta guilt o aache.. :)

    Mukherjee-dar bou dekhbo bhabchi.. aami (most probably) ei dhoroner ekta cinema zee5 e dekhlam - swade ahlade (arindam sil) - bhaloi ekrokom - tobe boddo sada kalo sob choritro.. gyaner bahar..

    aapni ki regional movie dekhen? ratchasan bole ekta tamil movie dkehlam kichudin aage.. serial killer niye.. aamaar bhalo laglo besh... aapni jodi dekhen toh nichoi janaben.

    Bhalo thakben khub.

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. অর্চিষ্মান দেখে, কিন্তু আমার বিশেষ আঞ্চলিক সিনেমা দেখা হয়ে ওঠে না। আপনি যেটার নাম বললেন ইন্দ্রাণী, সেটা দেখার চেষ্টা করব, যদি হাতের কাছে পাই। বর্ণপরিচয় উদ্যোগ নিয়ে দেখতে যাবেন না, টিভিতে যদি কোনওদিন দেখায় তো টাইমপাসের জন্য দেখতে পারেন।

      Delete
  8. 'Barnoporichoi' dekhini r review pore ar dekhbona thik kore phellam. 'Mukherjee-dar bou' oi net ei dekha, tomar songe ekebare ekmot. - Ichhadana

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক। একমত হয়ে ভালো লাগল। বর্ণপরিচয়ের ধার ঘেঁষবেন না, যদি না টিভি নেট ইত্যাদিতে আসে। তখন টাইমপাস দেখে নিন্দে করতে পারেন।

      Delete
  9. "একজন অত্যাচারিতা গৃহবধূ ঘর ছাড়ছেন। তাঁর শাশুড়ি তাঁকে থাকতে অনেক চোপা করেছেন, বউমা বেরিয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে ভয়ে আর্তনাদ করে উঠে জানতে চাইছেন, আমার কী হবে?

    হুবহু পারমিতার একদিন-এর দৃশ্য, সংলাপ। অথচ দুটো দৃশ্যের অভিঘাত কী সম্পূর্ণ ভীষণ রকম আলাদা হতে পারে, এই দুটো দৃশ্য তার প্রমাণ। তফাৎ শুধু সূক্ষ্মতায়।" <3

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমিও সদ্য হটস্টারে দেখা শুরু করলাম । ইস্যুগুলো খুব সত্যি, কিন্তু ট্রিটমেন্ট আরেকটু কম উচ্চকিত হলে পারত। বরং ঋতুপর্না আসার পর ব্যাপারটা একটু যেন ধাতস্থ হল ।
      আসলে পারমিতার একদিন-এ শাশুড়ি আর বৌয়ের একটা বৌদ্ধিক বোঝাপড়ার জায়গা ছিল , যেটা এখানে একদম অনুপস্থিত । সেই মোটা দাগের শাশুড়ি-বৌ সংঘাত । একটা জায়গায় অবশ্য দুটো সিনেমাতেই এক । মাতৃভক্ত নাড়ুগোপাল ছেলে, যে মায়ের কোনো দোষই দেখে না ।

      Delete
    2. ঠিক অন্বেষা। তবে এই সিনেমার ছেলের থেকে ওই সিনেমার ছেলেকে আমার বেশি পছন্দ কারণ বদের বাসা হলেও ক্যারেক্টার হিসেবে জোরালো। এ সবদিক থেকেই ফিকে।

      Delete
  10. প্রাইমে বর্ণপরিচয় এসেছে বলে না না করেও দেখে ফেললাম। ওরে বাবাগো, বাঁচাও।
    মৈনাক ভৌমিককে একবার হিন্দুস্তান পার্কে 'ভালোবাসা'র সামনে দেখেছিলাম, আবার দেখলে সিরিয়াসলি "পুলিশ পুলিশ, মেরে ফেললো" বলে চেঁচাবো।
    আর আবীরের ছবি দেখলেই উল্টোদিকে পালাবো ভাবছি। পুরোপুরি ছেলে ফুলদানি ভদ্রলোক। কিছুদিন আগে শাজাহান রেজেন্সি দেখেই থেমে যাওয়া উচিত ছিল আমার, কিন্তু বিনাশকালে..।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, হ্যাঁ, বর্ণপরিচয় একটি অতি মারাত্মক সিনেমা। আমার অবশ্য আবীরকে দৃষ্টিনন্দন লাগে বেশ, কাজেই অভিনয় নিয়ে অত মাথা ঘামাই না।

      Delete

Post a Comment