আমার মা মারা গেছেন গত ১৪ই জুলাই। অবান্তরে কী লিখব, কেন লিখব কিছুই আমার কাছে আর স্পষ্ট নয়। সময় এ ধোঁয়াশা কাটিয়ে দেবে আশায় আছি। তখন আবার ফিরে আসব। ততদিনের জন্য আমার অনুপস্থিতি মার্জনা করবেন।
কুন্তলা, কবে থেকে তোমার লেখা পড়ছি, কত দুঃখের দিনে তোমার লেখা আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অবান্তর এর ষাট শতাংশ লেখায় তোমার মাকে নিয়ে, উনি আমাদের ও মনের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। এই আকস্মিক ভাবে অসময়ে মা চলে যাওয়া আমার জীবনেও ঘটেছে, তোমার কাছাকাছি বয়েসেই। এক ধাক্কায় সেই দিনে পৌঁছে গেলাম। এই মর্মান্তিক দুঃখ কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন, বহু বহু মাস লাগবে একটু ছন্দে ফিরতে। ততদিন আমি তোমার পাশে থাকলে, মনে মনে। তুমি অনেক ভালোবাসা নিও।
মায়ের সাথে দেখা হয়নি কোনদিন, তবে আপনার লেখার মাধ্যমে তাঁকে অনেকটাই চিনেছিলাম। প্রার্থনা করি, মা যেখানে আছেন ভালো আছেন। আপনি আর বাবা ভালো থাকার চেষ্টা করবেন।
মনে হচ্ছে যেন খুব পরিচিত কেউ চলে গেছেন, আপনার লেখায় এমনভাবেই ওনাকে চিনেছি। আপনার মনের অবস্থা আন্দাজ করতে পারি, কিন্তু অনুভব করার ক্ষমতা আমার নেই। কি বলব আর, ভালো থাকবেন।
ওমা সে কী কুন্তলা! আমিই বিশ্বাস করতে পারছি না এত বড়ো দুঃসংবাদ, আর তুমি তো... নাহ্, কিচ্ছু বলার নেই আমার। এ সময়ে সব কথাই বাহুল্য মনে হয়। যার যায় সে-ই বোঝে কী যে গেল।
কুন্তলা দিদি যদিও তোমাকে কাকিমা কে আর অর্চিষ্মান দা কে কাউকেই ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা তবে তোমার লেখার মাধ্যমে সবাইকেই কাছ থেকে দেখেছি।তোমার এই পোস্ট পড়ে তাই বুকে কোথাও একটা ধাক্কা লাগলো। জানি এই সময়টা সান্ত্বনাহীন আর ভাষাহীন। কিছুই বা কেউই এই অনুভূতিটার ধারে কাছে যেতে পারে না, যাওয়া উচিত ও নয়। তবে একটা কথাই বলার, প্রার্থনা করবো যেন তোমার ধোঁয়াশা কাটে, যেন তুমি হারিয়ে না যাও কারণ অবান্তর না থাকা আমার কাছে অন্তত অপূরণীয় ক্ষতি। প্লিজ মনে মনে তোমার গলার আওয়াজ কল্পনা করে নিয়ে তোমার গল্পগুলো সারা জীবন শুনতে চাই.
যখনই আগের পোস্টের অনেকের কমেন্টের কোনো উত্তর আসছিল না তখনই মনে হচ্ছিল হয় অফিসের কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত আপনি বা হয়তো বর্ষাকালীন কোন জ্বর জারি হয়েছে, এই খবর চিন্তা করিনি। প্রার্থনা করি এই অসহনীয় শোকের আঘাত আপনি যেন দ্রুত সামলে ওঠেন।
ধন্যবাদ, শমীক। এই রকম আনকন্ডিশনাল সান্ত্বনা ও আশ্বাস এই অবান্তরে যেমন পেয়েছি, পাচ্ছি, তেমন রক্তমাংসেও অনেক সময় কম পড়ছে। আপনাদের এই পাশে থাকা চিরদিন মনে রাখব।
কুন্তলা, অত্যন্ত মর্মান্তিক এই খবর! তোমার পৃথিবী থেকে কিছুদিন আগে ঠাকুমা চলে গেলেন আর এখন অসময়ে হঠাৎ করে মা, পৃথিবীটা যেন থেমে গেল| আমরা সবাই বুঝতে পারছি তোমার অবস্থা আর তোমার সঙ্গে আছি| তুমি সামলে ওঠার শক্তি পাও এই কেমন করি|
Bhujte parchi na ki bolbo kuntala di. Kakima r songe Tomar lekha r madhyame alap...sei tan nosto hobar noe. Khub kosto holo khabar ta jene . Asa Kori somoy sob Kichu thik kore debe. Bhalo theko.
এ সময় কোন সান্ত্বনা দেওয়া অর্থহীন। তবুও বলব, সময় হয়ত ধীরে ধীরে সব ঠিক করে যাবে; হয়ত ঠিক সবটুকু ঠিক করতে পারবে না, তবে প্রায় অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে। আপনার মাকে চিনেছিলাম আপনার লেখার হাত ধরে, ঠিক যেমন করে আপনাকে চিনি; তাঁর বেড়াতে যাওয়ার ছবি, আসামে বিয়েবাড়ি খাওয়ার ছবি, দিল্লীর বাড়িতে হাতে বানানো কেক আনার ছবি, কোচবিহারে আপনাকে ঘুরতে গিয়ে চাউমিন খাওয়ার ছবি, রান্নাঘর থেকে দৌড়ে দৌড়ে ঘর থেকে গুঁড়ো মশলা দিয়ে রান্না করার ছবি, 'সোনা বৌটুপি মাথায় দিয়েছিন কিনা, বলা টেলিফোনিক ছবি ইত্যাদি সব এত প্রাণবন্ত যে তিনি আপনার জীবনে আর নেই, এটা ভাবতে পারছি না। অবান্তরের সাধারণ পাঠকের যদি এই অবস্থা হয়, আপনার কি অবস্থা তা কল্পনা করার ক্ষমতা নেই আমার। আপনার জন্যে খারাপ লাগছে, তবুও আপনার জীবনে অর্চিস্মান আছেন, একসাথে তুলো, চর্ম, কাঠ পেরিয়ে হয়ত তিনি রূপা, সোনা অথবা হীরকদ্যুতি কাল সাথে থাকবেন আপনার পাশে। আপনার জীবনে নাকতলার মা আছেন, হয়ত শোকে দুঃখে আনন্দে আরও কিছু মানুষ পেয়ে যাবেন আপনি, কিন্তু জানি না রিষড়ার বাড়িতে আপনার বাবা কিভাবে কাটাবেন দিনগুলি। এত অল্পদিনের মধ্যে বাড়ি ফাঁকা হয়ে যাওয়ার অবস্থান কিভাবে মানিয়ে নেবেন তিনি। তাঁর হয়ত আপনারা দুজন ছাড়া কেউ নেই, জানি না আপনারা কিভাবে সব কিছু সামলাচ্ছেন। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী, ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন, আপনাদের শক্তি দিন ভালো থাকার। ক্ষমা করবেন, বড্ড ব্যাক্তিগত ব্যাপারে মাথা ঘামালাম বলে। আসলে ঘটনাটা হথাত করে দেখে, একটু আবেগের বশেই লিখে ফেললাম। ভালো থাকুন আপনারা সবাই।
একদমই মাথা ঘামাননি, অস্মিতা, অত্যন্ত সত্যি কথাগুলো বলেছেন। আমার থেকে বাবার কষ্ট বেশি হবে কারণ আমার এক তো স্থানপরিবর্তন হবে তারপর অন্য একটা ব্যস্ত জীবন আছে। বাবা ঘুরতে যাবেন, আমার কাছে আসবেন, আমি যাব, লোকজন রাখা হয়েছে, এই করে চলবে আরকি। তাছাড়া আমাদের আত্মীয়রা আছেন কাছাকাছি, তাঁরাও অসম্ভব, অসম্ভব সাহায্য করছেন।
সময় কতটুকু কী খেল দেখাতে পারে, এখন শুধু সেই দেখার অপেক্ষায় বসে আছি। আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই শান্তি পেলাম।
তোমার মায়ের সাথে কখনো আলাপ হয়নি, তবু তোমার লেখার মধ্যে দিয়ে খুব পরিচিত মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সকালবেলা খবরটটা পড়ে বুকের মধ্যে ধাক্কা লাগল। মনে হল নিজের খুব পরিচিত প্রিয় একটি মানুষ চলে গেলেন।
আপনি ভালো থাকুন।এ সময় আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আপনার লেখাতে ওনার কথা বহুভাবে ফিরে ফিরে এসেছে।উনি বেঁচে থাকবেন আপনার লেখার মাঝেই..... Baptu
ধন্যবাদ, অনুরাধা। মা আমাদের সবাইকে দেখেশুনে রাখত, এখন আমি আর বাবা একে অপরকে দেখেশুনে রাখার চেষ্টা করছি। নতুন নতুন ঠেকছে, তবে একটাই যা ভরসার, অসামান্য একটা উদাহরণ আছে স্মৃতিতে, তাকে যথাসাধ্য টুকে সারার চেষ্টায় আছি।
Kuntala, khobor ta peye khub dukkho holo. je din theke abantor porchi, tomar maa ke niye lekha goppo gulo sob theke beshi enjoy korechi. bhalo theo, sabdhane theko.
Kuntala Jani na ki bolbo. Prothom din theke Abantor porchi ar tomar sathe sathe Kakima keo tomar lekhay chinechi. Kakima r job, sei assam er dike posting, packet er guro moshla diye ranna, shob kichu Kakima ke khub apon kore niyechilam. Khub koshto hochche. Tumi bhalo theko Sandeepa
Kuntala di, ei bibhishika muhurto ta konodin na ashuk setai sobsomoy bhabi, kintu jibon seta mane na. onekdin por abantor ey eshe shock laglo ritimoto. ey somoye kono santwona hoy na. mone ektu jor rekho ar mon khule knedo, ektu holeo halka lagbe. ar kakima toh achhen i, abantor er golpe. amra achhi, tumi chinta koro na.
কুন্তলা, কবে থেকে তোমার লেখা পড়ছি, কত দুঃখের দিনে তোমার লেখা আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অবান্তর এর ষাট শতাংশ লেখায় তোমার মাকে নিয়ে, উনি আমাদের ও মনের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন।
ReplyDeleteএই আকস্মিক ভাবে অসময়ে মা চলে যাওয়া আমার জীবনেও ঘটেছে, তোমার কাছাকাছি বয়েসেই। এক ধাক্কায় সেই দিনে পৌঁছে গেলাম।
এই মর্মান্তিক দুঃখ কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন, বহু বহু মাস লাগবে একটু ছন্দে ফিরতে। ততদিন আমি তোমার পাশে থাকলে, মনে মনে।
তুমি অনেক ভালোবাসা নিও।
কাকলি, কথাগুলো ছুঁয়ে গেল। ধন্যবাদ দেব না, তবে আমাকে অনেকটা শান্তি দিল এটাই বলছি।
Deleteআপনি এবং আপনার শোকস্তব্ধ পরিবারটির জন্যে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আপনার মায়ের সঙ্গে পরিচয় আপনার লেখার মাধ্যমে হলেও মানুষটিকে চিনতাম। খবরটা পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেল খুব।
ReplyDeleteসোমনাথ, আপনাদের পাশে পেয়ে সত্যিই ভালো লাগছে।
Deleteএই অবস্থায় সমবেদনা জানানোর ভাষাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার অন্তিম নমস্কার রইল আপনার মা'র উদ্দেশে। শক্ত থাকুন। আপনার ওপরেই তো অনেকের মনের ভার।
ReplyDeleteমনের কথা আর কী বলব ঋজু। অতি জটিল ব্যাপারস্যাপার। আপনার সাড়া পেয়ে ভালো লাগল।
Deleteমায়ের সাথে দেখা হয়নি কোনদিন, তবে আপনার লেখার মাধ্যমে তাঁকে অনেকটাই চিনেছিলাম। প্রার্থনা করি, মা যেখানে আছেন ভালো আছেন। আপনি আর বাবা ভালো থাকার চেষ্টা করবেন।
ReplyDeleteধন্যবাদ, দেবাশিস। ভালো লাগল।
Deleteki bolchhis re?hotath kore ki holo?
ReplyDeleteদেখা হলে বলব, শাশ্বত।
Deleteআন্তরিক সমবেদনা কুন্তলা।
ReplyDeleteধন্যবাদ, শীর্ষ।
Deleteমনে হচ্ছে যেন খুব পরিচিত কেউ চলে গেছেন, আপনার লেখায় এমনভাবেই ওনাকে চিনেছি। আপনার মনের অবস্থা আন্দাজ করতে পারি, কিন্তু অনুভব করার ক্ষমতা আমার নেই।
Deleteকি বলব আর, ভালো থাকবেন।
সেই রকমই চেষ্টাচরিত্র চালাচ্ছি, বৈজয়ন্তী। বেশিদিন আসলে খারাপ থাকা যায় না, এই আমার উপলব্ধি হল।
DeleteJaani na aapnake ki bolbo. Bhashai prokash kora sombhob noi. Shudhu etukui bolbo je aapni shokto thakun. Sabdhane thakun.
ReplyDeleteতাই থাকার চেষ্টা করছি, সুস্মিতা। আপনাদের কথাগুলো সাহায্য করছে।
Deleteesob kiii ! kemon kore holo !
ReplyDeleteআর হয়ে গেল, অন্বেষা।
Deleteকুন্তলা দি, অনেকদিন অবান্তরের দিকটায় আসা হয় না। হঠাৎ এসে একদম স্তব্ধ হয়ে গেলাম। এই অবস্থায় সব কথাই মেকি লাগে। আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি, এটুকুই যা।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, বিম্ববতী। এইটুকুই অনেক।
Deleteজানিনা কেন চোখে জল চলে এলো। ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteশুভব্রত
তোমরাও ভালো থেকো, শুভব্রত।
Deleteধন্যবাদ, অনিন্দ্য। ভালো লাগল আপনার সান্ত্বনা পেয়ে।
ReplyDeleteওমা সে কী কুন্তলা! আমিই বিশ্বাস করতে পারছি না এত বড়ো দুঃসংবাদ, আর তুমি তো... নাহ্, কিচ্ছু বলার নেই আমার। এ সময়ে সব কথাই বাহুল্য মনে হয়। যার যায় সে-ই বোঝে কী যে গেল।
ReplyDeleteঅদিতি, আমিও যে খুব একটা বুঝছি তেমন নয়। ক্রমশঃ প্রকাশ্য হরর থ্রিলারের মতো ঘটনাটা পক্ষ বিস্তার করছে।
Deleteকুন্তলা দিদি যদিও তোমাকে কাকিমা কে আর অর্চিষ্মান দা কে কাউকেই ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা তবে তোমার লেখার মাধ্যমে সবাইকেই কাছ থেকে দেখেছি।তোমার এই পোস্ট পড়ে তাই বুকে কোথাও একটা ধাক্কা লাগলো। জানি এই সময়টা সান্ত্বনাহীন আর ভাষাহীন। কিছুই বা কেউই এই অনুভূতিটার ধারে কাছে যেতে পারে না, যাওয়া উচিত ও নয়। তবে একটা কথাই বলার, প্রার্থনা করবো যেন তোমার ধোঁয়াশা কাটে, যেন তুমি হারিয়ে না যাও কারণ অবান্তর না থাকা আমার কাছে অন্তত অপূরণীয় ক্ষতি। প্লিজ মনে মনে তোমার গলার আওয়াজ কল্পনা করে নিয়ে তোমার গল্পগুলো সারা জীবন শুনতে চাই.
ReplyDeleteনা সূচনা, কোথায় আর যাব। যাওয়ার জায়গা তো আরও একখানা কমে গেল। খানিক ধাতস্থ হয়ে দেখা করব এখানেই।
Deleteযখনই আগের পোস্টের অনেকের কমেন্টের কোনো উত্তর আসছিল না তখনই মনে হচ্ছিল হয় অফিসের কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত আপনি বা হয়তো বর্ষাকালীন কোন জ্বর জারি হয়েছে, এই খবর চিন্তা করিনি। প্রার্থনা করি এই অসহনীয় শোকের আঘাত আপনি যেন দ্রুত সামলে ওঠেন।
ReplyDeleteনালক, ভালো লাগল আপনার সাড়া।
Deleteখুব মনখারাপ হয়ে গেল হঠাৎ এমন খবরে। না দেখেও খুব ভাল লেগে গেছিল কাকিমাকে। সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই।
ReplyDeleteঊর্মি, পাশে পেয়ে ভালো লাগল।
Deleteঅবান্তর মণিকে, তোমার মাকে এমনভাবেই চিনিয়েছিল আমার মনে হচ্ছে আমার খুব কাছের একজন মানুষ চলে গিয়েছেন। কী ই বা তোমায় বলি বলতো কুন্তলাদি!
ReplyDeleteকিছু বলতে হবে না, ময়ূরী। তোমরা যে আছ আমি জানি।
Deleteখবরটা শুনে অসম্ভব খারাপ লাগলো। এ ভয়ানক শোকের কাছে যাই বলি সবই বড় ফাঁকা। এ কষ্ট সামলে ওঠার শক্তি তুমি পাও এই কামনা করি। পাশে আছি বলাটা অর্থহীন হবে হয়ত তাও বলি কুন্তলাদি, তুমি জেনো অবান্তরের আমরা সবাই আছি।
ReplyDeleteসেটা জানি বলেই শক্ত আছি, প্রদীপ্ত। তোমার কথাগুলো ভালো লাগল।
DeleteKuntala, apnar lekar madhyome-i apnar mayer sathe porichoy, ar purono lekha gulo abar kore pore dekhar ekta anyatomo akorshon chilen kakima! Ma holen amader prothom ebong sobcheye boro ashroy, jokhon mone hoy sara prithibi amar biruddhe, tokhono jani ekjon achen jini nihshorte amader bhalobasben ar ashroy deben. Ma chole gele kemon lage seta puropuri na holeo kichuta bujhechilam shashuri-r hothath mrityu-r pore amar stree ke dekhe. Tai swantona deoar britha cheshta korbo na, sudhu jini amader jiboner sob kichui anekdin age bole diye gechen, tnar du koli likhe jai:
ReplyDelete"Aachhe dukkho, aachhe mrityu, birahodahano laage
Tobuo shaanti, tabu aananda, tabu ananta jaage"
ধন্যবাদ, শমীক। এই রকম আনকন্ডিশনাল সান্ত্বনা ও আশ্বাস এই অবান্তরে যেমন পেয়েছি, পাচ্ছি, তেমন রক্তমাংসেও অনেক সময় কম পড়ছে। আপনাদের এই পাশে থাকা চিরদিন মনে রাখব।
Deleteকুন্তলা, অত্যন্ত মর্মান্তিক এই খবর! তোমার পৃথিবী থেকে কিছুদিন আগে ঠাকুমা চলে গেলেন আর এখন অসময়ে হঠাৎ করে মা, পৃথিবীটা যেন থেমে গেল| আমরা সবাই বুঝতে পারছি তোমার অবস্থা আর তোমার সঙ্গে আছি| তুমি সামলে ওঠার শক্তি পাও এই কেমন করি|
ReplyDeleteবাড়ি একেবারে ফাঁকা হয়ে গেল, অমিতা।
DeleteDhyorjyo rakho.....
ReplyDeleteহুম...
DeleteKhorborta jene kemon jeno ekta dhakka laglo. Kakima apnar kotota manosik vorsar jaiga chilen seta apnar lekha porlei bojha jay. Khub kharap lagche. Bhogoban er prarthona kori tini apnake ei somoy sokti deben.
ReplyDeleteহ্যাঁ, মাকে ছাড়া বাঁচতে হবে জানতাম সুহানি, কিন্তু আবার কেমন করে তা জানতামও না। এখন লার্নিং বাই ডুয়িং হবে আরকি।
DeleteBhujte parchi na ki bolbo kuntala di. Kakima r songe Tomar lekha r madhyame alap...sei tan nosto hobar noe. Khub kosto holo khabar ta jene . Asa Kori somoy sob Kichu thik kore debe. Bhalo theko.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রিয়াঙ্কা। তোমাদের কথাগুলো সাহায্য করছে।
Delete:(
ReplyDeleteMoner jor rekho Kuntaladi.
-SML
সে চেষ্টাই করছি।
Deleteএ সময় কোন সান্ত্বনা দেওয়া অর্থহীন। তবুও বলব, সময় হয়ত ধীরে ধীরে সব ঠিক করে যাবে; হয়ত ঠিক সবটুকু ঠিক করতে পারবে না, তবে প্রায় অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে।
ReplyDeleteআপনার মাকে চিনেছিলাম আপনার লেখার হাত ধরে, ঠিক যেমন করে আপনাকে চিনি; তাঁর বেড়াতে যাওয়ার ছবি, আসামে বিয়েবাড়ি খাওয়ার ছবি, দিল্লীর বাড়িতে হাতে বানানো কেক আনার ছবি, কোচবিহারে আপনাকে ঘুরতে গিয়ে চাউমিন খাওয়ার ছবি, রান্নাঘর থেকে দৌড়ে দৌড়ে ঘর থেকে গুঁড়ো মশলা দিয়ে রান্না করার ছবি, 'সোনা বৌটুপি মাথায় দিয়েছিন কিনা, বলা টেলিফোনিক ছবি ইত্যাদি সব এত প্রাণবন্ত যে তিনি আপনার জীবনে আর নেই, এটা ভাবতে পারছি না। অবান্তরের সাধারণ পাঠকের যদি এই অবস্থা হয়, আপনার কি অবস্থা তা কল্পনা করার ক্ষমতা নেই আমার।
আপনার জন্যে খারাপ লাগছে, তবুও আপনার জীবনে অর্চিস্মান আছেন, একসাথে তুলো, চর্ম, কাঠ পেরিয়ে হয়ত তিনি রূপা, সোনা অথবা হীরকদ্যুতি কাল সাথে থাকবেন আপনার পাশে। আপনার জীবনে নাকতলার মা আছেন, হয়ত শোকে দুঃখে আনন্দে আরও কিছু মানুষ পেয়ে যাবেন আপনি, কিন্তু জানি না রিষড়ার বাড়িতে আপনার বাবা কিভাবে কাটাবেন দিনগুলি। এত অল্পদিনের মধ্যে বাড়ি ফাঁকা হয়ে যাওয়ার অবস্থান কিভাবে মানিয়ে নেবেন তিনি। তাঁর হয়ত আপনারা দুজন ছাড়া কেউ নেই, জানি না আপনারা কিভাবে সব কিছু সামলাচ্ছেন। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী, ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন, আপনাদের শক্তি দিন ভালো থাকার।
ক্ষমা করবেন, বড্ড ব্যাক্তিগত ব্যাপারে মাথা ঘামালাম বলে। আসলে ঘটনাটা হথাত করে দেখে, একটু আবেগের বশেই লিখে ফেললাম। ভালো থাকুন আপনারা সবাই।
একদমই মাথা ঘামাননি, অস্মিতা, অত্যন্ত সত্যি কথাগুলো বলেছেন। আমার থেকে বাবার কষ্ট বেশি হবে কারণ আমার এক তো স্থানপরিবর্তন হবে তারপর অন্য একটা ব্যস্ত জীবন আছে। বাবা ঘুরতে যাবেন, আমার কাছে আসবেন, আমি যাব, লোকজন রাখা হয়েছে, এই করে চলবে আরকি। তাছাড়া আমাদের আত্মীয়রা আছেন কাছাকাছি, তাঁরাও অসম্ভব, অসম্ভব সাহায্য করছেন।
Deleteসময় কতটুকু কী খেল দেখাতে পারে, এখন শুধু সেই দেখার অপেক্ষায় বসে আছি। আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই শান্তি পেলাম।
Sokalbela ei post ta dekhe thhomke gelam.
ReplyDeleteKichhu bolar bhasha khuje pachhina Kuntala, Bhalo thakben, eitukui sudhu boli.
Kakima k namashkar janalam....
আর কী বলব, অরিজিত। সময়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছি, কখন সারিয়ে দেবে এই আশায়।
Deleteতোমার মায়ের সাথে কখনো আলাপ হয়নি, তবু তোমার লেখার মধ্যে দিয়ে খুব পরিচিত মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সকালবেলা খবরটটা পড়ে বুকের মধ্যে ধাক্কা লাগল। মনে হল নিজের খুব পরিচিত প্রিয় একটি মানুষ চলে গেলেন।
ReplyDeleteহ্যাঁ, অবান্তরের গল্পের অর্ধেকের উৎস হচ্ছেন গিয়ে মা, চুপকথা। মা নিজে গল্প যেমন ভালো বলতে পারতেন, তেমনি ভালো গল্পের উৎসও হয়ে উঠতে পারতেন।
Deleteআপনি ভালো থাকুন।এ সময় আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আপনার লেখাতে ওনার কথা বহুভাবে ফিরে ফিরে এসেছে।উনি বেঁচে থাকবেন আপনার লেখার মাঝেই.....
ReplyDeleteBaptu
থ্যাংক ইউ, বাপটু।
DeleteKal janlam, kal kichhu bolte parini
ReplyDeleteFelt dumbfounded, Stobdho
Shabdhane thakben
Apnar Baba k shabdhane rakhben
ধন্যবাদ, অনুরাধা। মা আমাদের সবাইকে দেখেশুনে রাখত, এখন আমি আর বাবা একে অপরকে দেখেশুনে রাখার চেষ্টা করছি। নতুন নতুন ঠেকছে, তবে একটাই যা ভরসার, অসামান্য একটা উদাহরণ আছে স্মৃতিতে, তাকে যথাসাধ্য টুকে সারার চেষ্টায় আছি।
DeleteKuntala, khobor ta peye khub dukkho holo. je din theke abantor porchi, tomar maa ke niye lekha goppo gulo sob theke beshi enjoy korechi.
ReplyDeletebhalo theo, sabdhane theko.
মায়ের গল্পগুলোই তো সবথেকে ভালো শম্পা, কারণ মা সবথেকে ভালো, ভালোর থেকেও বেশি ইন্টারেস্টিং ছিলেন। তোমাদের পাশে থাকা অনেক অনেক হেল্প করল।
DeleteKuntala
ReplyDeleteJani na ki bolbo. Prothom din theke Abantor porchi ar tomar sathe sathe Kakima keo tomar lekhay chinechi. Kakima r job, sei assam er dike posting, packet er guro moshla diye ranna, shob kichu Kakima ke khub apon kore niyechilam. Khub koshto hochche. Tumi bhalo theko
Sandeepa
থ্যাংক ইউ, বং মম। আপনার কথাগুলো ভালো লাগল।
DeleteKuntala di, ei bibhishika muhurto ta konodin na ashuk setai sobsomoy bhabi, kintu jibon seta mane na. onekdin por abantor ey eshe shock laglo ritimoto. ey somoye kono santwona hoy na. mone ektu jor rekho ar mon khule knedo, ektu holeo halka lagbe. ar kakima toh achhen i, abantor er golpe. amra achhi, tumi chinta koro na.
ReplyDeleteপ্রিয়াঙ্কা, আমিও ভাবিনি, অসম্ভব জেনেও ভাবিনি এই দিনটা আমার জীবনে আসবে। এখনও মেনে নেওয়ার পালা চলছে। তোমাদের পাশে পাওয়াটা আমার বিরাট একটা পাওয়া।
Delete