খেতেও ভালো, দেখতেও
কী খেতে ভালোবাস সোনা? কী তোমার ওখানে খাওয়া হয় না? কী খাবে?
সত্যিবচন করতে হলে বলতে হয় যে কিছু একটা হলেই হবে (মুলো ছাড়া)। কিন্তু এই উত্তরটা দেওয়া মানে সবাইকে বিপদে ফেলা। বৌদি থাকলে কত কিছু করে দিত, আমরা তো সে রকম পারব না, তবু তুমি যদি মনের ইচ্ছেটা বল।
বাবা অলরেডি বলে রেখেছেন বড়ার তরকারির কথা, ডাল অলরেডি ভিজছে। আলুপোস্তও রেডি। বললাম, শনিবার বেগুনপোড়া হোক। বেগুনপোড়া আমি মাঝেমাঝেই খাই, কিন্তু আরও অনেক খেতে পারি। দিলেই খেতে পারি।
আমি বাড়ির মেয়ে, আবার অতিথিও। এই রেওয়াজটা মা করে দিয়ে গেছেন। আমি আসার হলে ব্রাশ পেস্ট তোয়ালে চটি নিয়ে মা একেবারে এমন রাজকীয় অভ্যর্থনা করতেন। বেস্ট থালাটায় খেতে দিতেন। ছোটবেলায় (বড়বেলাতেও) ছুটির দিনে ভালো জলখাবার বাইরের লোকের জন্য তুলে রাখা প্লেটে সাজিয়ে বেড়ে দিতেন। আমিও বাইরের লোকদের মতো ভদ্রতা করে বলতাম, এত খাটনি কেন করলে মা, আমি তো বাড়ির লোক। মা বলতেন, ধুর বোকা, বাড়ির লোককেই তো বেশি যত্ন করতে হয়।
সে যত্ন আমার অটুট আছে।
মীরামাসি বিপন্ন মুখ করলেন। আর কী তরিতরকারি হয়? আমি হেল্পফুল হয়ে বললাম, আলু পটল বেগুন কুমড়ো ফুলকপি বাঁধাকপি…
সেখান থেকে কথা ঘুরল এই দিকে যে আগে সিজন্যাল তরিতরকারি বলে যে ব্যাপার ছিল এখন ঘুচেছে। শীতকাল রচনায় উপকারিতা সেকশনে এখন আর কোনও বাচ্চা লিখবে না যে এই দু’মাস বাজারে রকমারি সবজি যথা ফুলকপি বাঁধাকপি গাজর মটরশুঁটি ইত্যাদি পাওয়া যায়। সবই এখন সারা বছর পাওয়া যায়। সন্ধ্যামাসি বললেন ওইরকম সারাবছর পাওয়া কপিতে কিছুতেই সে স্বাদ থাকতে পারে না যা পৌষমাঘের কপিতে থাকে।
আমারও সে রকমই ধারণা। কোয়ালিটি আর কোয়ানটিটির সহাবস্থান অসম্ভব, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মতোই।
মীরামাসির দেখলাম কথাটা মনঃপূত হয়নি। বুঝলাম কেন। মীরামাসির ছেলের সবজির দোকান। সে দোকানে সারাবছরই ফুলকপি বিক্রি হয়। মাসি বললেন, কেন আমার ছেলে তো দোকান থেকে চারটে কপি বাড়িতে এনেছিল, দিব্যি ভালো খেতে। বাছতে জানতে হয়।
সন্ধ্যামাসি জোরে জোরে মাথা নাড়লেন। অনেক বাইছা দ্যাখসি, ভাল্না।
বিবদমান দু'পক্ষের মাঝখানে পড়লে আমার প্যালপিটেশন হয়। সে বিবাদ কপির স্বাদ নিয়ে হলেও। সবাই সবার সঙ্গে সর্বক্ষণ একমত হয়ে চলবে, সেই আমার চরম অগণতান্ত্রিক ইউটোপিয়া। দ্বিমত যদি নেহাত থেকেই থাকে যে যার পেটে পেটে রাখবে, ওপর ওপর সৌহার্দ্যের চরম।
একটু আগেই খুব লাফিয়ে পড়ে নন-সিজন্যাল ফুলকপির নিন্দে করছিলাম, এখন বলে উঠলাম, হতেও পারে। বেটাইমের ফুলকপির সুস্বাদ।
এটা আমার স্ট্র্যাটেজি। হ্যাঁ না-র মাঝখানে পড়লেই আমি বলি, হতেও পারে। যে কোনও তর্কের মাঝখানে যদি কেউ বলত, হতেও পারে, তা হলেই আর কোনও তর্ক বাধত না। কিন্তু তা হয় না।
নেহাত ত্যাঁদড় না হলে কেউ একার দায়িত্বে তর্ক জিইয়ে রাখতে চায় না, আর মীরামাসি আর যাই হোন ত্যাঁদড় নন। মীরামাসি অন্য একটা সম্ভাবনার কথা তুললেন। স্বাদের ভালোমন্দে রান্নারও তো ব্যাপার আছে। আমাদের সময় তো সব কাঠের জ্বালে হত। সে স্বাদ গ্যাসে কোত্থেকে আসবে?
এই বিষয়ে মীরামাসি আর সন্ধ্যামাসি আগাপাশতলা একমত। ইস্ট অর ওয়েস্ট, কাঠের জ্বাল ইজ দ্য বেস্ট।
আমি জীবনে কাঠেমাঠে রান্না করা তো দূরস্থান, কাঠের জ্বালের রান্না খাই পর্যন্ত নি। বছর দুয়েক আগে বায়োমাস এনার্জি সোর্সের এমিশন নিয়ে কী একটা ভুজুংভাজুংও দিয়েছিলাম একটা পেপারে। সন্ধ্যামাসি বললেন তিনি বাকি সব রান্না গ্যাসে করলেও ভাতটা সর্বদা কাঠের জ্বালে করেন, মোলাম আর ঝুরঝুরে হয়। গ্যাসের "পিটির পিটির” আঁচের বদলে কাঠের জ্বালের গনগন আঁচে তরকারি সাঁতলানো, আহা। মীরামাসিরও চোখ চকচক করে উঠল। যদি কোনওদিন আলাদা রান্নাঘর পাততে হয় উনি নাকি কাঠের উনুন বসাবেন। ছেলের সংসার নিজের সংসার আলাদা হওয়ার মতো মর্মান্তিক ব্যাপারে ওই একটাই রুপোলি রেখা।
তারপর উঠল রান্নার আধুনিকীকরণের কথা। সন্ধ্যামাসি দাবি করলেন, রান্নার যত সুবিধে হয়েছে তত স্বাদ খারাপ হয়েছে। এই বিষয়েও মীরামাসি একমত, কাজেই আমার দ্বিমত হওয়ার প্রশ্নই নেই। দিল্লিতে সর্বদা সানরাইজ পাউচের পোস্তবাটা দিয়েই পোস্ত হয়, কিন্তু বাড়িতে শিলবাটা ছাড়া অন্য কিছু কল্পনা করা হয় না।
এই কথাটা আমাকেও স্বীকার করতেই হবে যে শিলনোড়ার পোস্ত, স্বাদের যুদ্ধে অবিসংবাদিত বিজয়ী। আমার তা বলে পাউচের পোস্ত খেয়ে যেতে কোনও আপত্তি নেই, কারণ রান্নার স্বাদের থেকে রাঁধুনির সুবিধেকে আমি চিরদিন বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছি, এই বয়সে এসে সে নীতি পালটানোর কোনও মানে হয় না। কিন্তু স্বাদের তফাৎ হয়, সেটা সত্যি।
সন্ধ্যামাসি নালিশ করলেন, আইজকাল তো সবই কারেন্টে। উনি মিক্সি, মাইক্রোওয়েভ অতশত মেশিনের নাম মনে রাখতে পারেন না, সবাইকেই কারেন্টে চলা যন্ত্রের আওতায় ফেলে দেন। স্বীকার করলাম, আমার ভাতও কারেন্টে। মাড়টার গালার পাট নেই, মাড়শুদ্ধু ভাতই খাচ্ছি সুবিধের মুখ চেয়ে।
সন্ধ্যামাসির প্রতিবেশী নতুন ঘরণী। সে তার নতুন সংসার প্রাণ ঢেলে সাজিয়েছে, রান্নাঘরে হেন কারেন্টের মেশিন নেই যে রাখেনি। সে একদিন মাসিকে বলেছে, কাকিমা, তুমি রান্নাঘরে ঢুকলেই বুঝতে পারি। সন্ধ্যামাসি বুঝেছেন এটা হল ওঁর শিলনোড়ার ঘটর ঘটর আওয়াজের প্রতি কটাক্ষ। মাসি বললেন, না শিলে মশলা বাটুম না, তোমার মতো জুতা পায়ে দিয়া ঘুরুম।
হাসির কথা নয় কিন্তু আমি হেসে গড়ালাম। ‘জুতা পায়ে দিয়া ঘোরন’ টা ঠাকুমার বইতেও চরম বিলাসিতার নমুনা বলে বিবেচিত হত। এখানে জুতা পরা বলতে আক্ষরিক জুতো পরা ধরলে হবে না কিন্তু। সে রকম জুতো ঠাকুমা নিজেও পরতেন, যেমন সন্ধ্যামাসিও পরেন। ওঁদের জুতা পায়ে দিয়া ঘোরনের বর্ণনাটা মসমসিয়ে নাক আকাশে ঠেকিয়ে চলার সঙ্গে তুলনীয়।
অবশেষে বিজলিদি একটা সত্যি সত্যি স্পেশাল খাবারের সন্ধান দিল।
সোনা খারকোল বাটা খাও?
খাই খাই, খুব খাই। অন্তত পনেরো বছর খাইনি, কিন্তু জিনিসটা যে ভালো খেতে যে মনে আছে। কিন্তু খারকোল পাবে কোথায়? এই বৃষ্টিতে বাজারে যাবে নাকি?
বিজলিদি হেসে ওড়ায়। বাজারে কোন দুঃখে? বাগান ভরে গেছে দেখো গে।
প্রাণ নেচে উঠল। খাব বলে যত না, তার থেকে বেশি স্বচক্ষে দেখব বলে। আগে যখন খেয়েছি তখন তাকে কেমন দেখতেশুনতে সে বিষয়ে মোটে আগ্রহ প্রকাশ করিনি, অন্য লোকে বেটে থালায় দিয়েছে, খেয়ে উদ্ধার করেছি।
সে পনেরো বছর আগের কথা।
দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। লম্বাটে ডাঁটার ওপর তারার মতো ফুটে আছে সবুজ পাতা।
সন্ধ্যামাসি বলল, ও মীরাদি, কাস্তেডা দাও দেহি।
হৃদপিণ্ডখানা যেন কেউ মুচড়ে দিল। এমন সুন্দর পাতা কাস্তে দিয়ে কেটে খাব?
মুখ বন্ধ রাখলাম । খাওয়ার জিনিস খাব না তাকিয়ে তাকিয়ে দেখব, এই রকম নিড়বিড়েপনার নমুনা দেখলে এঁরা শিহরিত হতেন। আমাদের আমগাছের নিচে কী যেন একটা চমৎকার দেখতে গাছ উঠেছে। সোজা কাণ্ডের সমদূরত্বে ফোয়ারার মতো পাতা। নাকি একটা আনকমন ফুলের গাছ। ফুল হয়নি কোনওদিন তাই কী ফুলগাছ চেনা যাচ্ছে না।
ফুল হওয়ার চান্সও নেই। আমগাছটার একটা মস্ত বড় ঝুপসি ডাল মাথার ওপর রক্তচক্ষু মেলে দাঁড়িয়ে আছে। বেচারা ফুলগাছটা ভালো করে মাথা তুলে দাঁড়াতেও পারছে না। আমডালটাকে কেটে দিলেই ও আরেকটু টানটান হয়ে দাঁড়াতে পারে। বলা যায় না হয়তো ফুলও ধরল আর রহস্যভেদও হল গাছটা আসলে কী। কিন্তু সে সব কিছুই হবে না। কারণ আম খাওয়া যায়, ফুল খাওয়া যায় না। কাজেই আম থাকবে। ফুলগাছও থাকবে। হয়েছে যখন থাকবে। ফুল হবে না এই যা।
কাস্তে উঠল, নামল, আবার উঠল আবার নামল। বাড়িয়ে বললাম। খারকোলপাতার অতি নরম ডাল কাটতে অত নাটকীয়তা সৃষ্টির সুযোগ নেই। মাসি অতি সন্তর্পণে আস্তে করে গোড়ার দিক থেকে ডাঁটাশুদ্ধ পাতা কেটে নিয়ে এলেন। এর পর আবার একটা মৃদু মতবিরোধ সৃষ্টি হল, একজন পাতা ডাঁটাশুদ্ধু বাটেন, আরেকজন ওনলি পাতা। একজন শুধু কালোজিরে ফোড়ন দেন, অন্যজন কালোজিরে প্লাস সর্ষে। আমার শান্তি হল এই দেখে গাছগুলোর মূলটা রয়ে গেল মাটির নিচে, আবার নিশ্চয় সেখান থেকে বেরোবে। আমি একবার আস্তে করে আশাটা প্রকাশ করেও ফেললাম। মাসি বলল, এই বেরোলো বলে দেখ না। বর্ষার বাজার। কেটে খেয়ে শেষ করা যাবে না।
মনে মনে ওঁর মুখে খারকোলপাতা বাটা পড়ার প্রার্থনা করলাম। এখন ঘটর ঘটর করে খারকোল বাটা হচ্ছে শিলনোড়ায়। কারেন্টকে দশহাতের মধ্যে অ্যালাউ করা হয়নি। কালোজিরে সর্ষের দ্বৈরথে কালোজিরে জিতেছে। বাটার পর সর্ষের তেলে ফোড়ন দিয়ে নাড়াচাড়া হবে কড়াইয়ে। ছোটবেলার চেনা একটা গন্ধ ম’ম’ করবে। একথালা ভাত ওই দিয়েই খাওয়া হয়ে যাবে মনে হয়।
মনে মনে ওঁর মুখে খারকোলপাতা বাটা পড়ার প্রার্থনা করলাম। এখন ঘটর ঘটর করে খারকোল বাটা হচ্ছে শিলনোড়ায়। কারেন্টকে দশহাতের মধ্যে অ্যালাউ করা হয়নি। কালোজিরে সর্ষের দ্বৈরথে কালোজিরে জিতেছে। বাটার পর সর্ষের তেলে ফোড়ন দিয়ে নাড়াচাড়া হবে কড়াইয়ে। ছোটবেলার চেনা একটা গন্ধ ম’ম’ করবে। একথালা ভাত ওই দিয়েই খাওয়া হয়ে যাবে মনে হয়।
বাড়িভর্তি লোকের সামন ছবি তুলতে লজ্জা করছিল, তাই কাটাকুটি হওয়ার পর যে কটা বেঁচেছে সে ক’টা খারকোল পাতার ছবি তুলে আপনাদের দেখালাম।
Aapni bhalo thakun .......
ReplyDeleteআপনিও, অনুরাধা।
Deleteলেখাটা খুব ভালো লাগল। আমি তাহলে লজ্জা করে করে একটা কথা বলেই ফেলি... আমি খারকোল পাতা কোনওদিন খাওয়া তো দূরে থাকে, কি জিনিস তাও জানিনা। আপনার ব্লগেই প্রথম পড়েছিলাম, আপনার অষ্টমঙ্গলার দিন বোধহয় কেউ খারকোল বাটা দিয়ে গেছিল। তখন থেকেই কৌতূহল, কিন্তু খাওয়ার সুযোগ হয়নি।
ReplyDeleteস্বাদ আর সুবিধের যুদ্ধে আমিও সুবিধের পক্ষে, যদিও স্বাদের তফাৎটা চোখে, থুড়ি জিভে পড়ে ঠিকই।
হাহা, হ্যাঁ সেটাই যা সমস্যা। খারকোল পাতা ব্যাপারটা খুব একটা কমন নয় বোধহয়। আমাদেরব বাড়িতে চিরকাল খাওয়া হয়েছে বলেই আমার জানা আছে। আবার আমি অনেক জিনিস খাইনি, যেমন মনে আছে বোধহয়, আমি এই বুড়ো বয়সে ছোলাশাক দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম।
Deleteলিখেছিলাম বুঝি বিয়ের পর খারকোল বাটা খাওয়ার কথা? নিজেই ভুলে গেছি।
Amar jotodur mone Porche Tumi shilong jawar rastay ei kharkol Bata kheyechile.. barite bohudin khawa hoyni sekhaneo likhechile bodhoy.. Ami nije konodin khaini.. dekhioni .. ei Tomar photo te dekhlam.. khub bhalo lekha..
ReplyDeleteদেখেছিস, তুইও যখন বলছিস ঊর্মি, তখন বিয়ের পর পর নিশ্চয় খেয়েছিলাম, ভুলে গেছি। আমিও এই প্রথম দেখলাম খারকোল, কাজেই তুই বেশি পিছিয়ে নেই।
Deleteভালো থেকো কুন্তলা। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম তোমাকে কিছু লিখি কিন্তু লিখে ওঠা হয় নি।
ReplyDeleteখারকোল পাতা আমার ও বারো প্রিয়...বহুকাল খাই নি যদিও :(
*বড়
ReplyDeleteযাক খারকোলপাতা ভালোবাসা আরেকজনকে পাওয়া গেল। আমি তো ভাবছি চারা নিয়ে এসে দিল্লিতে লাগাব, দেবশ্রী। অবশ্য তাহলে একটা শিলনোড়ারও জোগাড় দেখতে হবে। ও জিনিসকে কারেন্টের হাতে ছেড়ে দিলে পাপ হবে।
DeleteKharkol er naam shunini to kokhono...tobe ebar keu dilei kheye felbo..
ReplyDeleteহাহা, চান্স কম, রণদীপ। তবে দিলে খেয়ে দেখো, ভালো লাগতে পারে।
DeleteKharkol is my favourite. Ek thaka bhat aami karkhol bata diye kheye nite pari. Khub bhalo laglo aajker post ta.
ReplyDeletekhub bhalo theko, K.
আরে তোমারও খারকোল প্রিয়, শম্পা? হায়েস্ট ফাইভ। আমি তো খারকোলটারকোল খেয়ে ভালোই আছি, খারাপ থেকে আর কী হবে বল।
Deleteখারকোল পাতা বাটা যে কি অপূর্ব খেতে সেটা যে খেয়েছে সেই জানে। আমার দিয়া মানে দিদা রসুন দিয়ে করেন, একবার সেটাও টেস্ট করো, আর শীতকালে অবশ্যই টেস্ট করো কপি পাতা বাটা , বাজারে যখন সদ্য সদ্য শীতকালের কপি উঠবে তখন. .
ReplyDeleteআহা, রসুন দিয়েও দারুণ হবে বুঝতেই পারছি, সূচনা। পরের বার বাড়ি গিয়ে মীরামাসিকে বলব। থ্যাংক ইউ। কপিপাতা বাটা ব্যাপারটা শুনেছি, কিন্তু খাওয়া হয়নি। ওটাও ট্রাই করব। একটা শিলনোড়া জোগাড় করতেই হবে দেখছি।
DeleteKharkhol patabatar moyo upadeyo lekha. Amader barite o hoi rosun diye. Bhalo theko ba thakar chesta koro
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, পাপিয়া। আরেকজন খারকোলপ্রেমীর সন্ধান পেয়ে ভালো লাগল।
Delete'Kharkhol pata bata' kebol naam shunchhi ... kheteii hobe.. :-) - Ichhadana
ReplyDeleteহ্যাঁ, হাতের কাছে পেলে অবশ্যই খাবেন, ইচ্ছাডানা। ভালো লাগবে দেখবেন।
Deleteখারকোল পাতাবাটা খেয়েছি বলে মনে পড়ছেনা | খেয়ে দেখতে হবে যদি কখনো পাওয়া যায় | তবে কচুবাটাও অসাধারণ আর একথালা ভাত তা দিয়েও খাওয়া যায় | লেখা পড়েই মনে পড়লো যে আগেও তুমি খারকোল বাটার কথা লিখেছিলে| লেখা ভালো লাগলো যথারীতি, মায়েরা ওই রকম সাজিয়েই খেতে দেন, আমার মাও তাই | তোমার আগের পোস্টে যে অগোছালো বাগানের কথা লিখেছিলে ঠিক ওই রকম বাগান দেখলেই মন ভরে যায়| মাপজোক করা বাগান না, ভালোবাসার বাগান|
ReplyDeleteহ্যাঁ, অমিতা। আগে বাড়িতে দরজা জানালার মতো বাগান থাকত। কচুবাটা খাইনি, খাব। একটা শিলনোড়া কিনেই ফেলি ভাবছি। অনেক কিছু খাওয়া যাবে।
DeleteKhub bhalo laglo tomar otithi chorcha r golpo pore. Ye mane bolchi kharkol bata tumi tomar honeymoon e giyei peyechile mone hoy. :)
ReplyDeleteতাই? অনেকেই বলছে যখন তাই নিশ্চয় হবে, রাখী।
DeleteDekhecho to tomar pathok bondhura koto kheyal kore pore post gulo...:) Bhalo theko.
Deleteসেটাই তো ভরসা, রাখী।
Deleteখারকোল পাতা জিনিসটা কি তাই জানিনা। মানে কোন গাছকে খারকোল বলে? লেখাটা চমৎকার হয়েছে।
ReplyDeleteওই যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রদীপ্ত, এক গোড়ালি জলের ওপর জেগে থাকা ডাণ্ডার ওপর একটা করে তারা, ওই গোটা জিনিসটা হচ্ছে খারকোল। গাছ বলাটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আর পাতা হচ্ছে ওই তারাটা। অনেকে গোটাটাই বাটেন, কেউ কেউ, যেমন আমাদের বাড়িতে শুধু পাতাটা বাটা হয়, তারপর কালোজিরে ইত্যাদি দিয়ে নেড়েচেড়ে পরিবেশন করা হয়। লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Delete