আমার সাঁতার তোমার সাঁতার
উচিত নয় জেনেও সোম বুধ শুক্র বেল বাজলে দরজা খুলে বলি, আজ কোন হাতটা নাড়তে শিখলে?
ওই তিন দিন অর্চিষ্মান অফিসের পর সাঁতার শিখে ফেরে। যে পরিমাণ ক্লান্ত থাকে আমার রসিকতায় চোখ ঘোরানো ছাড়া আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেখানো ওর পক্ষে অসম্ভব, কাজেই আমি সুযোগের এবং বদস্বভাবের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করি এবং হাক্লান্ত বরকে জল চা কিচ্ছু না সেধে ভুরু নাচিয়ে মুচকি হেসে একই প্রশ্ন ঘুরিয়েফিরিয়ে করে যাই। ডান হাত কমপ্লিট? সামনের সপ্তাহে কি বাঁ হাত? ডান পা কি নেক্সট মাসে?
আমি সাঁতার শিখেছি আমার পাড়ার পুকুরে, চেনাজানা সবাই ওই পুকুরেই শিখেছে। বা অন্য কোনও পুকুরে। তা বলে কাউকে স্কুলে গিয়ে সাঁতার শিখতে দেখিনি যে তেমন নয়। সাঁতার যে ইস্কুলে গিয়ে শেখার জিনিস, তার যে রীতিমত ব্যাকরণ আছে তাও জানি। বুলা চৌধুরী, আমাদের পাড়ার মেয়েই বলা যায়। অর্থাৎ চুঁচুড়ার। চুঁচুড়া পাড়া হল কী করে যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে বলব, কলকাতার লোকেরা আমাদের তাঁদের শহরের ভাগ দিতে রাজি নয় বলে গোটা মেন লাইনটা আমরা নিজেদের পাড়া বলে ধরে নিয়েছি। এদিকে লিলুয়া থেকে ওদিকে ব্যান্ডেল। মাঝখানে ডিটুর করে সিঙ্গুর, হরিপাল - ও-ও আমাদের দিকই হল। শিশির ঘোষ আমাদের পাড়ার ফুটবলার, উত্তরপাড়ার অমর আমাদের পাড়ার মিষ্টির দোকান, কোন্নগরের হাতকাটা শ্যামলও আমাদের আপনার জন। বুলা চৌধুরী তো বটেই।
তিনি যে আমার মতো পুকুরে দাপিয়ে পৃথিবীর সাতটি সাগরে সাঁতার কাটা প্রথম মহিলা হননি সেটুকু ঘিলু আমার আছে। তাছাড়া রিষড়ার ওপারে একটা অনেকদিনের নামজাদা সাঁতার শেখার স্কুল ছিল। বাবার সাইকেলে চেপে যেতে যেতে দেখতাম বিকেলবেলা ছাত্রছাত্রীরা লালনীল টুপি পরে প্রজাপতির মতো নীল জলে ভেসে বেড়াচ্ছে।
এত কিছু জানা সত্ত্বেও অর্চিষ্মানের সঙ্গে বোকা রসিকতাটা আমি দিনের পর দিন কেন করে যাই? সম্ভবত, সম্ভবতর আড়াল রেখে লাভ নেই, নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে, হিংসে থেকে। রিষড়া সুইমিং ক্লাবের ছাত্রদের দেখেও হাসি যে কারণে পেত। ওদের কেমন লাল নীল টুপি আর রংবেরঙের আলাদা পোষাক, আমার খালি হাঁস আঁকা টেপফ্রক। বারান্দায় বসে গল্পের বই পড়ার জন্যও, ব দিদির সঙ্গে খেলার জন্যও, সাঁতার কাটতে যাওয়ার জন্যও।
অর্চিষ্মান কেন সুইমসুট পরতে পাচ্ছে আমি কেন পাচ্ছি না, এ হিংসের হ-ও নেই আমার। বরং ওই পোশাক পরার আতংকেই আমি খানিকটা সাঁতার কাটতে যেতে পারছি না। আমার যেটা আছে তা হল এতদিনকার সিংহাসনের ভাগীদার জোটার জ্বলুনি। এতদিন সংসারে এই বেসিক স্কিলটা একা আমারই আয়ত্ত্বে ছিল। একা আমিই সাঁতার জানি ও জানে না, এখন আর সে দাবি করা যাবে না। বলতে হবে দুজনেই জানি। এক শূন্য গোলে জিতছিলাম, এখন এক এক হয়ে যাবে। আমি সাইকেল জানি, অর্চিষ্মানও জানে। ফ্রিজ ঢনঢন হলে আমি সেদ্ধভাত বানাতে জানি, অর্চিষ্মানও জানে। বসের ধাতানিকে জীবনের ছোটখাটো ওঠাপড়া বলে হজম করতেও ও আমার মতোই (আমার থেকে ভালো) জানে। একা আমি জানি অর্চিষ্মান জানে না, জীবনধারণের এ রকম বেসিক স্কিলের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। সেই থেকেই আমার যত ব্যঙ্গবিদ্রূপ।
তবে অর্চিষ্মানের সাঁতার শিখতে যাওয়ায় একটা সুবিধে হয়েছে। অর্চিষ্মানের একটা নতুন অভিজ্ঞতার জায়গা হয়েছে। চেনা লোকের বাইরে নতুন মুখ। আপনারা ভাববেন তাতে আমার সুবিধেটা কী? আমি তো বলব আমার বেশি সুবিধে। লোকের কাছাকাছি না গিয়েই, স্মলটক না করেই, তাদের সম্পর্কে সব গল্প, সব স্কুপ জানা হয়ে যাচ্ছে। অর্চিষ্মান চা খেতে খেতে ওর সহশিক্ষার্থীদের গল্প বলে। কে নিজে শেখার থেকে অন্যকে জ্ঞান দিতে ব্যস্ত, কে ছ’মাস ধরে হাত ঘুরিয়ে চলেছে, সব আমার জানা হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে খবরও নিই তাঁদের। জ্ঞান দেওয়া দাদার কী খবর? ভীতু দিদির?
এই দিদি নাকি আগের বছর থেকে পুলের এক খোপেই হাত পা নাড়ছেন। গভীরতা অনুযায়ী সুইমিং পুলে খোপ কাটা। শিক্ষার্থীরা প্রথম মাসে এই খোপে হাতপা নাড়বেন। পরের মাসে ওই খোপে। ধাপে ধাপে গভীরতা বাড়বে। ওই মহিলার সমস্যা হচ্ছে যতক্ষণ তিনি জানেন যে চাইলেই পা ফেলে দাঁড়িয়ে পড়তে পারবেন, ততক্ষণ তিনি সাঁতার কাটতে পারেন। বাটারফ্লাই, ব্রেস্ট স্ট্রোক, ডগ প্যাডলিং, ফ্রন্ট ক্রল, ব্যাক ক্রল, সব ওই সুইমিং পুলের একটি খোপে দাঁড়িয়ে। অন্য খোপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই 'বাঁচাও, কোই হ্যায়!'
অর্চিষ্মান মেঘের মতো মুখ করে বলল, আমারও গভীর জলে যেতে হেবি ভয় করে জান, দিদির পরিণতিই না হয়। বছরের পর বছর একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সাঁতারের খেলা দেখিয়ে যাব।
চায়ের সঙ্গে সঙ্গে হাসি গিলে নিয়ে বললাম, আহা, তা কেন হবে। তারপর পেটে গুড়গুড় করা কথাটা বলে ফেললাম, ওঁকে কোনওদিন কেউ জোর করে অন্য খোপে নিয়ে যেতে চায়নি?
বলেই মনে পড়ল, অনার্সের প্রথম ক্লাসে একটা ধারণার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। বলা হয়েছিল ক্লাসিক্যাল, নিওক্ল্যাসিক্যাল, বিহেভিওরাল, থিওরেটিক্যাল, এমপিরিক্যাল এর পর যা যা পড়বে, যা যা ঠিক বলে মানবে, যা যা আকাট মুর্খামি বলে উড়িয়ে দেবে জানবে তাদের সবার গোড়ার অ্যাজ্যাম্পশন হচ্ছে র্যাশনালিটি। ব্যক্তি, সমাজ, উৎপাদক, উপভোক্তা সকলে, সক্কলেই নিজের ভালো নিজে বোঝে। ভদ্রমহিলাও র্যাশনাল কারণ তিনি জানেন তিনি গভীর জলে গেলে বিপদে পড়তে পারেন, কাজেই তিনি সেদিকে এগোন না, কিন্তু তাঁর এই আপাত ইরর্যাশনাল ভয়কে ভাসিয়ে রাখাটা সাঁতার কর্তৃপক্ষের পক্ষেও চরম র্যাশনাল। কারণ সাঁতারের ফি টা দিন প্রতি। প্রতি বছর গরমকালে যদি কেউ একটা খোপে সাঁতার প্র্যাকটিস করতে চায়, তাকে সেটা করতে দেওয়াই দস্তুর। জোরজারি করার অর্থ নিজের পকেটে নিজে কাঁচি চালানো।
তবুও ইরর্যাশনাল হয়েই বলে বসলাম যে বছরের পর বছর ধরে ওঁকে কেউ জোরাজুরি করেনি? মানে আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে পাশের খোপটায়… অর্চিষ্মান, ওর সঙ্গেও পাছে এ জিনিস ঘটতে পারার আশংকায় আঁতকে উঠল।
পাগল নাকি? ট্রমা হয়ে যাবে তো।
আর আমি সেই মুহূর্তে বুঝে গেলাম আমার আর অর্চিষ্মানের সাঁতার শেখার মধ্যে আসল ফারাকটা কী। টুপিতে না, সুইমসুটে না, গগলসে না, হাত পা নাড়ানোর পারম্পর্যে না। আমাদের দুজনের সাঁতার শেখার একমাত্র ফারাকটা হচ্ছে ট্রমা থাকা আর না থাকায়। সাইকেল যেমন আছাড় না খেয়ে শেখা যায় না, জীবন যেমন ঘা না খেয়ে বাঁচা যায় না, তেমনি আমার ধারণা ছিল না ট্রমা ছাড়া সাঁতার শেখা যায়।
এই যে সব শেষ হয়ে গেল, আর আশা নেই, বাবা তো আমার দিকে দেখছেও না, ঘাটের অর্ধেক কোমর জলে দাঁড়িয়ে শ্যামলকাকুর সঙ্গে হেসে হেসে কী সব বলছে, এদিকে ঠাণ্ডা, ভারি জল আমাকে ঘিরে ধরছে চারদিক থেকে, মুখ হাঁ করে যত হাওয়া চাইছি, জল ঢুকে যাচ্ছে আমার শরীরের ভেতর, আরও জোরে হাত নাড়ছি, পা নাড়ছি, মাথা চাগিয়ে রাখার চেষ্টা করছি প্রাণপণ, মায়ের মুখ মনে পড়ছে… এই ফিলিংটা, অর্চিষ্মান যত সপ্তাহ ধরেই সাঁতার শিখুক না কেন, একবারও হবে না। যেটা আমার ওই ষোলো দিনে অন্তত ষোলোবার তো হয়েইছিল।
এবার বাড়ি গিয়ে একটা অত্যাশ্চর্য তথ্য জানলাম। বাবাও নাকি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সাঁতার জানতেন না। যতদিন না অবসর নিয়ে রিষড়ায় এসে দাদু বাড়ি বানালেন, পাড়ার ছেলেদের নামধাম জানা হল, আর একখানা পুকুরও আবিষ্কার হল। আমি ভাবতাম বাবা জন্ম থেকেই গাছে চড়তে, সাইকেল চালাতে, পটকা ফাটাতে, টেবিলটেনিস খেলতে, বাড়ির গা থেকে বেরিয়ে থাকা ইটের ইঞ্চিখানেক সারি সারি দাঁত বেয়ে তরতরিয়ে ছাদে উঠে যেতে পারেন। তিনি যে অত ধেড়ে (আমি সাঁতার শিখেছিলাম চারে, কাজেই উনিশটা আমার পক্ষে ধেড়েই) বয়স পর্যন্ত সাঁতার কাটতে জানতেন না, জেনে স্তম্ভিত হয়ে রইলাম। তারপর মনে পড়ল, আমার মতো আমার বাবা জন্ম-মফঃস্বলি নন, আমার বাবার শৈশব, কৈশোর, প্রাক যৌবন কেটেছিল কলকাতা শহরের বুকের ওপর। কাজেই এইসব শহুরে অপারগতায় বাবার অধিকার আছে।
মা কলকাতা শহরের ছিলেন না, তবে শিবপুরের ছিলেন আর সেটা রিষড়ার তুলনায় কলকাতার অনেক কাছে। সে জন্যই হয়তো মায়েরও শেখা হয়নি। না সাইকেল, না সাঁতার। একবার জেঠুর বাড়ি থেকে ফিরতি পথে মাঝগঙ্গায় ঝড় উঠেছিল। যে রকম ঝড় উঠলে মাঝি গম্ভীর হয়ে যান সেই রকম। মা বার বার বলছিলেন, আমার হাঁটু জড়াস না সোনা, আমার থেকে দূরে গিয়ে বস, যাতে আমি ডুবে গেলে আমার সঙ্গে সঙ্গে না ডুবে যাস। যদি কিছু হয় বাবা যে রকম দেখিয়ে দিয়েছে, সে রকম জোরে জোরে হাত পা চালাস, দেখবি কিচ্ছু হবে না।
একটুও সান্ত্বনা পাইনি। জলে ডুবে না মরাটা একরকম, কিন্তু মা মরে যাওয়ার পর আমার বেঁচে থাকাটা সান্ত্বনাযোগ্য হবে কি না সন্দেহ হয়েছিল।
আমার একটা ভয়ানক সন্দেহ হল। ওই বয়সে বাবা শিখলেন কী করে সাঁতার? আমাকে যে ট্রমাটিক মেথডে সাঁতার শিখিয়েছিলেন, সে মেথডে তাঁর নিজের শেখা অসম্ভব। পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চির উনিশ বছরের জোয়ান ছেলেকে চ্যাংদোলা করে কেউ জলে ছুঁড়ে দেবে আর সে মুখ বুজে জল খাবে, এ আমার কল্পনায় কুলোল না।
তবে কি, বাবাও ওপারের সুইমিং স্কুলে গিয়ে...? টুপি আর গগলস চড়িয়ে…? আজ ডান হাত, পরশু বাঁ হাত চালিয়ে…? নিজে ক্লোরিনজল, এদিকে আমাকে রায়বাড়ির হোল ফ্যামিলির অন্তর্বাসঘষা সানলাইটগোলা জল গিলিয়ে...?
অলরেডি শোকে পাথর, তার ওপর এই বিট্রেয়ালের সম্ভাবনা।
কী করে শিখেছিলে? জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে গলা কেঁপে গিয়েছিল।
কী করে আবার। লম্বা দেখে একখানা নারকেল দড়ির এক দিক কোমরে দড়ি বেঁধে আরেক দিক, শ্যামল অশোক বাচ্চু যখন যাকে পেতাম, হাতে ধরিয়ে পুকুরে নেমে যেতাম। বলতাম, ডুবে যাচ্ছি দেখলে টানবি।
আজীবন ভেবেছি আমার মেথডটা ট্রমাটিক, কিন্তু বাবার মেথড? এক সপ্তাহ আগে আলাপ হওয়া, কুড়ি না পেরোনো কয়েকটা মানুষের হাতে নিজের জীবনের দড়ি ধরিয়ে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে জলে নেমে যাওয়া?
কীসে আর কীসে।
গত কয়েকদিনে বাবার মেথডের একটা ভালো দিক খুঁজে বার করেছি। পাড়ায় আসা নতুন ছেলের কোমরে দড়ি বেঁধে পুকুরে চরানোর থেকে বন্ধুত্ব করার বেটার উপায় আর কিছু হতে পারে কি?
সে পাড়া এখন আর নেই। বাবারাই হয়তো শেষ জেনারেশন, যারা অত কাছ থেকে একে অপরকে চেনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এখনও শ্যামলকাকু, অশোককাকু যখন 'মেজদা!' বলে হাঁক দেয় আর 'সোনামা কবে এলি?' বলে আমার লেট থার্টিস গাল টেপে, প্রায় পঞ্চাশ বছর পুরনো নারকেল দড়ির টান স্পষ্ট টের পাই।
আমার পাড়ার কথা মনে পড়ে গেল, পাড়ার বন্ধু, বিকেলের লুকোচুরি, পুজোর আড্ডা, জোরাজুরি রবীন্দ্র-নজরুল ইত্যাদির ফাংশন, সব।
ReplyDeleteআর আমার সাঁতার শেখার প্রচেষ্টাও মনে পড়লো। আমি শুধু ভেসে থাকা, আর পা ঝপাঝপ শিখেছি। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের কায়দা শিখতে শিখতেই সাঁতার ক্লাস ক্যান্সেল করতে হলো। আমার ছোটবেলার তিনটে জরুরি কাজের লিস্টের মধ্যে খালি একটাই শিখতে পেরেছি, দেশলাই জ্বালাতে। বাকি না হয়েছে সাইকেল, না সাঁতার। বিচ্ছিরি ব্যাপার
হাহা, দেশলাই জ্বালানো কিন্তু অতি জরুরি স্কিল, বৈজয়ন্তী। একাই একশো।
Deletedeshlai jalanor golpe mone porlo class vii e porar somoi ma er bokuni khete khete eta sikhechhilam , amar meye onekta chhoto boyese sikhe nai ar didu natni te ajo sujog pele amar upor hese nai. :-D
Deleteওহ, আমার আবার সমস্যা ছিল শাঁখ বাজানোয়। ওটা ফাইন্যালি আর শিখে ওঠা হয়নি।
DeleteAami o aapnar motoi santar shikhechhilam. Maane swimming shikhini. Amar jethi aar parar kakuder kaachhe shekha. Bhoi peye jol kheye haat paa chhure santar shekha. Amar chheler ei shoukhin pool santar shekha dekhe amar o aapnar motoi haasi peto. tabe aamra jokhon Philippines e chhilam or trainer swimming pool e ekdin oke sabtheke gobhir jaigai chhere dilo, tarpor aaste aaste or bhoi kete gelo. Aar diving board theke jump dite bolto. Ete or bhoi kete gelo. tarpor stroke gulo aaste aaste shikhlo.
ReplyDeleteUttarparar Amar mistanno bhandar er naam shunei oder oi special danadar er kotha mone pore gelo. eta oboshyo amar borobelar akorshon.
ট্রমাটিক মেথডে সাঁতার শেখায় হায়েস্ট ফাইভ, সুস্মিতা। অমর আমারও বড়বেলার জিনিস। আমার ছোটবেলায় ওই দোকানটা ছিলই না সম্ভবত। তবে তখনও ফেলু মোদক ছিল। আর আমাদের লোকাল খাবার ঘর তো ছিলই। যেখান থেকে মা প্রতিদিন অফিসফেরত দুটো করে দু'টাকা পিস সন্দেশ নিয়ে আসতেন। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ওই দু'টাকার সন্দেশ বলে বলে অমরের মহার্ঘ মিষ্টির কান মুলবে, প্রতিবার।
DeleteAmar er onyanyo mishtir kotha noi... oder oi ros chupchupe ekta danadar aachhe seta boro bhalo khete tabe fresh pelei beshi bhalo laage. Aami jehetu oi chottore boro hoini tai aar bishesh kono dokan jaani na. Amar sasur barir sabai Sreerampur er tai khub jatayat hoi okhan diye.
Deleteআরে না না, আমি অমরের মিষ্টি দারুণ পছন্দ করি, সুস্মিতা। ওদের দইও মচৎকার। আমাদের বাড়ির সব অনুষ্ঠানেই এখন অমর থেকেই মিষ্টি আনানো হয়। আমি বললাম নস্ট্যালজিয়ার কথা। ওই যে সন্ধেবেলা দরজা খুলে, কী এনেছ? বলামাত্র কাঁধের ব্যাগ থেকে চৌখুপি বাক্স বেরিয়ে আসত আর তার ভেতর থেকে সন্দেশ, সেই আনন্দ আর এ জীবনে কোনও মিষ্টি জাগাতে পারবে না, সেটাই বলছি। ওটার সঙ্গে মিষ্টির কোয়ালিটির কোনও সম্পর্ক নেই।
Deleteআপনার শ্বশুরবাড়ি শ্রীরামপুর?! ব্যস, আপনিও আমার পাড়ার লোক।
Seto botei. Chhotobelar oi nirmol anondomoy bishoygulo sabsomoy borobelar maharghyo byapar ke bole bole hariye dai.
DeleteThik ta noi. Maane amar sasur aar sasuri dujonei Sreerampur e boro hoyechhen. okhanei sabai thaken atmiyo swajan. Amar sasurbari kolkatai.
ওহ আচ্ছা।
DeleteAmi nije snatar sikhechhi 'aaj dan hat porsu bna paa' technique e. R Maa sikhechhilen tar theke arai bochorer boro didir kachhe. Didir kaj chhilo unchu par theke bon ke dhakka diye kalindir jole fela r mayer kaj chhilo hachor pachor kore pare fera. Simple.
ReplyDeleteএই মেথডটা বিজ্ঞানসম্মত না হলেও, সিম্পল যে, সে বিষয়ে আমিও একমত।
DeleteLekhata na, fatafati hoyechhe.
ReplyDeleteHalka chal e suru hoye, joto sesher dike egiyechhe, toto dharalo hoyechhe - bhabe, onubhuti te, prokashe.
Sesh koyekta paragraph, jake bole ekdom, otuloniyo. :)
আরে আরে কী যে বলেন, অরিজিত। থ্যাংক ইউ।
Deleteআমার বাড়ি , মামারবাড়ি দু জায়গায় পুকুর থাকতেও কেন যে আমার সাঁতার শেখা হয়নি , বাবা মা পিসি সবাই জানত, তবুও.. বেশি দুঃখ পাওয়ার আগেই অমরের নাম শুনে বাড়ি ফিরে মিষ্টি খাব ভেবে নিলাম ..এখন ভদ্রেশ্বরের মৃত্যুঞ্জয় কিন্তু দারুণ। এখনো না খেলে ওদের রসমাধুরী মিষ্টিটা খেও ..
ReplyDeleteএইটা ভালো খবর দিলি তো, ঊর্মি। একবার ট্রাই করব।
DeleteAmo bahu din dhore satar niye eta bhabchilam.ami usa te thakar sutre soptahe 2 din 4 bochorer cheleke satar sekhta niye jai.last 4 mas oke ebong are 4 jon (over group)sudhu swimming pool namiye gan sonache.water friendly na hole naki trauma hoye jabe..just mene newa Jai na ..aaj ekta adult mohila r motha sune bhaloi Pablo. Abhik
ReplyDeleteওরে বাবা, একেবারে গান! কী জানি, হয়তো সত্যিই কাজে দেয়।
Deleteঅসাধারণ!অনবদ্য!
ReplyDeleteশেষ লাইনে চোখে জল আসবেই।
পড়তে শুরু করলে শেষ না করে থাকতে পারবেন না!
এত সুন্দর করে লেখেন কিভাবে?
আপনার হাতের নারকেল দড়ি যারা ধরে আছেন এভাবেই ধরে থাকুন ও থাকুক তারা.......
আপনি বলে চলুন এভাবেই।
মৌমিতা
ধন্যবাদ, মৌমিতা।
Deleteআমি যে আপনার পাড়ার লোক সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। আমার সাঁতার শেখা ট্রমাটিক, কিন্তু ইস্কুলেও। আমাদের মিউনিসিপ্যালিটির পুকুরটায় রোজ বিকেলে একগাদা কুচোকাঁচা ছেলেমেয়েকে সাঁতার শেখানোর একটা ইস্কুল আছে, সেখানে। ইস্কুল বলে প্রথমে বাঁশ ধরে পা ছোঁড়া, তারপর হাত ছোঁড়া, তারপর একটা কাঠের পিঁড়ে ধরে মাঝপুকুর, তারপর পিঠে হাওয়া ভরা বালিশ বেঁধে এপার ওপার। শেষকালে কালীদা কি লাল্টুদার গলা জড়িয়ে মাঝপুকুরে যাওয়ার পর হুশ করে তাদের উধাও হয়ে যাওয়া। ট্রমাটিক, কারণ পুকুরের গভীরতাটা ২-৩ মানুষ তো হবেই, জলটাও স্বচ্ছ নয়, আর মাঝে মাঝে কাঠের পিঁড়েতে সাপ উঠে পড়ে (যদিও আমি নিশ্চিত যে সেটা জলঢোঁড়া আর তার ট্রমাটা আরও বেশি হয়)। আমি একবার গরমের ছুটিতে শিখেছিলাম কিছুদিন। হাত পা ছুঁড়ে ভেসে থাকতে পারতাম, এগোতে অসুবিধে হতো। এখন আর পারব কিনা সন্দেহ। খুব ইচ্ছে করে আবার ভালোভাবে শিখি, কিন্তু এই বয়েসে আর লোক হাসাতে ইচ্ছে করেনা।
ReplyDeleteআরে লোক আছেই হাসার জন্য, সুগত। আপনি যাই করুন, হাসবে। কাজেই ইচ্ছে হলে পত্রপাঠ সাঁতারের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান। আমি তো বলব, শাল্মলীকে যখন ভর্তি করতে যাবেন, নিজেও ভর্তি হয়ে যান। দুজনে দুজনকে মোটিভেট করতে সুবিধে হবে।
Deleteআপনার লেখাটা আমার আধভুলে যাওয়া অভিজ্ঞতাকে একেবারে হাই রেজলিউশন করে দিল। ওই পিঠে চেপে মাঝপুকুরে নিয়ে গিয়ে অদৃশ্য হওয়ার ক্লাস বাবা একদিন দুদিন নিয়েছিলেন। মনে আছে। আর ঢোঁড়া সাপ। আমার পিঁড়ি ছিল না কিন্তু সাপ আশপাশ দিয়ে হামেশাই যাতায়াত করত। কে জানে হয়তো কম্পিটিশনই করত আমার সঙ্গে।
ওই এগোনোর অসুবিধেটা অর্চিষ্মানেরও হচ্ছে। ওই মাস্টারমশাই কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স দিয়েছেন, দেখা যাক কাজে লাগে কি না।
খুব ভালো লাগলো পড়ে কুন্তলা | এই বিষয়ে আমার কিছু বলার আছে | আমি ছোটবেলায় পুকুরে বাবার কাছে শিখতে গিয়ে হয়নি শেখা কারণ হয়তো বাবা বেশি trumatic করতে চাননি experience. বুড়ো বয়েসে ছেলে মেয়েদের swim class -এ দিয়ে ঘন্টার পার ঘন্টা পার থেকে শুধু দেখে গিয়েছি | তারপর একসময় অ্যাডাল্ট swim class -এ ভর্তি হয়ে ব্যাকরণ মেনে সাঁতার শেখার চেষ্টা করেছি | মোটামুটি কোনোমতে শিখেওছিলাম | কিন্তু সাঁতারের আগে পরে কস্টিউম পরা ছাড়া ক্লোরিন জলের গন্ধ এই সব বিরক্তিকর ব্যাপারের জন্য আর প্র্যাক্টিস করা হয়নি আর ভুলেও গিয়েছি হয়তো | যারা দেশ থেকে পুকুরে শিখে এসেছে তাদের দেখতাম জল থেকে মাথা উঁচু করে সাঁতার কাটে আর যারা ব্যাকরণ মেনে শিখেছে তারা swim goggles পরে মাথা জলে ডুবিয়ে সাঁতার কাটে| আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে মাথা ডুবিয়ে কাটলে অনেক কম পরিশ্রম হয় বিশেষত breathing technique টাও যদি ঠিকমতো follow করা যায় | তোমার কি মনে হয় ? আর অর্চিষ্মানের সাথে তুমিও ভর্তি হয়ে একটু অন্য ভাবে সাঁতার শিখে নাওনা ? আমার বর দেশে শিখে থাকলেও এদেশে এখানকার মতো সাঁতার কাটা প্র্যাক্টিস করেছে |
ReplyDeleteআমি একেবারে একমত, অমিতা। ব্যাকরণ মেনে সাঁতার কাটার অনেক সুবিধে। মাথা উঁচু মাথা নিচু অবজারভেশনটাও পারফেক্ট। তবে আমার মনে হয়, আমাদের এই এলাকায় ব্যাকরণ মেনে শেখার অপেক্ষায় বসে থাকলে নব্বই শতাংশ লোকের সাঁতার শেখাই হত না। অত রিসোর্সই নেই। উল্টোদিকে, পাড়ার কিংবা বাড়ির লোকজনের ব্যাকরণ-অসম্মত সুপারভিশনের রিসোর্সটা, সস্তা এবং টেঁকসই, একেবারেই নষ্ট হত। কাজেই আমার মনে হয় সবরকম শেখারই প্রস অ্যান্ড কনস আছে।
Deleteআমার শেখায় আপত্তি নেই। আঁতে লাগার ব্যাপারটা যদি ছেড়েও দিই, চারমাস ধরে একজায়গায় হাত পা নাড়তে হলে ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে এইটাই যা আশংকার।
আরে না না তোমাকে কেন চার মাস ধরে এক জায়গায় হাত পা ছুড়তে হবে, তুমি তো অলরেডি সাঁতার জানো, ডুবে যাবার ভয় নেই | শুধু technique টা শিখে নিলে দু রকম সাঁতারেই এক্সপার্ট হয়ে যাবে | আমিও একমত পুকুরে সাঁতার শেখার ব্যাপারে, বেশিরভাগ লোক যে শিখেছে ওই ভাবে সেটাই অনেক| আমি যেখানে বড়ো হয়েছি সেখানে ওই রকম কাপড় কাঁচা, সবাই সাঁতার শেখা, কাকু মাসিরা সাঁতার কাটা কোনো পুকুর ছিলোনা | আবার ওই রকম swim pool-ও ছিলোনা বা ওই আর্থিক সামাজিক অবস্থা ছিলোনা fancy pool -এ গিয়ে সাঁতার শেখার | আমার বাবা মা দুজনেই অথচ সাঁতার জানতেন পুকুরে সাঁতার কেটেই |
ReplyDeleteহাহা, আমাকে যদি অলরেডি সাঁতার জানার জন্য খানিকটা ছাড় দেয় তাহলে আমি লাফিয়ে শিখতে যেতে রাজি, অমিতা। দেখব জিজ্ঞাসাবাদ করে।
Delete