দিবানিদ্রার দলে


কাহিতাস (Cajitas) কাকে বলে জানেন? আপনারা জানলেও আমি জানতাম না বছরখানেক আগেও। স্প্যানিশ ভাষার শব্দ কাহিতাস-এর মানে হচ্ছে ছোট্ট বাক্স। আরও একটু খতিয়ে বললে, তেমন ছোট বাক্স যাতে ছোটরা তাদের ছোট ছোট সম্পত্তি জড়ো করে রাখে।

সব ছোটরাই, এবং যে বড়রা একসময় ছোট ছিল, তারাও জানে এ বাক্স আর পাঁচটা বাক্সের মতো দেখতে হলেও, মহিমায় আকাশপাতাল। বাক্স যে বাক্সই হতে হবে তার মানে নেই। 'জীবনস্মৃতি' মনে করে দেখুন।

'কেবল, আমাদের বাড়ির দরজি নেয়ামত খলিফা অবহেলা করিয়া আমাদের জামায় পকেট-যোজনা অনাবশ্যক মনে করিলে দুঃখ বোধ করিতাম– কারণ, এমন বালক কোনো অকিঞ্চনের ঘরেও জন্মগ্রহণ করে নাই, পকেটে রাখিবার মতো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যাহার কিছুমাত্র নাই; বিধাতার কৃপায় শিশুর ঐশ্বর্য সম্বন্ধে ধনী ও নির্ধনের ঘরে বেশি কিছু তারতম্য দেখা যায় না।'

এই পকেটও কাহিতাস। এই পকেটই কাহিতাস।

শিশুর ঐশ্বর্য সম্বন্ধে ধনী-নির্ধনের ভেতর যেমন তারতম্য থাকে না, প্রতিভাবান অপ্রতিভাবানেও থাকে না। রবীন্দ্রনাথেরও ছিল, আমারও ছিল। আমার অবশ্য পকেটের বদলে বাক্স ছিল, বাক্সে ছিল কয়েকটা দীঘা পুরীর ঝিনুক, ট্রেনবাসের পিচবোর্ডের টিকিট আর কয়েকটা ময়ূরকণ্ঠী কাঁচের গুলি। গুলিগুলো সম্ভবতঃ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। গুলিগুলো নিয়ে আমাকে খেলানোর চেষ্টা করেছিলেন মা, তাঁর শৈশবের খেলার অভিজ্ঞতা দিয়ে। আমার টিপের ছিরি দেখে আন্দাজ করতে পেরেছিলেন কিনা কে জানে, না করলেও করা উচিত ছিল যে এ মেয়ের জীবনটাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পসিবিলিটি প্রবল।

মায়েদেরও ছিল কাহিতাস। মায়েরা অনেক ছিলেন, সবার আলাদা আলাদা কাহিতাস ছিল। কাহিতাসের ক্যান্ডিডেট হিসেবে একটি বিশেষ বাক্সের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল। নিম টুথপেস্টের বাক্স। তার মধ্যে যাবতীয়, কবিগুরুর ভাষায়, স্থাবর অস্থাবর ঐশ্বর্য জমানো হত। গুলি, পাখির পালক, টিকিট। ছোটরা বোকা হয় না, নিষ্পাপ ভালোমানুষও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় না। সংগ্রাম শুরু হলে সকলেই জানত যে শত্রুর কোন জায়গাটায় আঘাত করলে সবথেকে লাগবে। যুদ্ধ লাগলেই সবার স্ট্র্যাটেজি ছিল একে অপরের টুথপেস্টের বাক্স টান মেরে ছত্রখান করে দেওয়া।

মোদ্দা কথা, কাহিতাস আপনার আবোলতাবোল, হাবিজাবি, অবান্তর জিনিসপত্র জমানোর গভীর গোপন অন্তরঙ্গ একটি কোটর। কাহিতাসের সম্পত্তির অবান্তরতা কাহিতাসকে একটি বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। অনেকে এই বাজারেও মনে করেন একটা মানুষের সত্যিটুকু সিভিতে থাকে না, রেফারেন্সে থাকে না, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশংসা এবং নিন্দায় থাকে না, থাকে যতসব হাবিজাবি এবং অবান্তরতায়।

একটা লোককে যদি চিনতে চান, তার কেজো অংশটা অগ্রাহ্য করে তাঁর অকেজো দিকটাতে মনোযোগ দিন। খুব আঁটিশুঁটি করে তিনি কী জমালেন গোনার থেকে কী হেলায় ছড়ালেন সেইটা ঘেঁটে দেখুন, লোকটাকে চিনে যাবেন।

একদিক থেকে অবান্তরও একরকমের কাহিতাস। আমাকে আপনারা, যারা অবান্তর পড়েন, যেমন হাড়ে হাড়ে চেনেন, তেমন আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, অনেকেই চেনেন না। যদিও রোজই দোকানে গিয়ে ঠকি, রোজ অফিসের বসের কাছে বকা খাই,  দোকানি কিংবা বস্‌, কেউই আমাকে আপনাদের চেনার তিলমাত্র চেনেন না।

যাই হোক, আমাদের অফিসের একজন হোতা এসে বললেন তিনি কাহিতাস বলে এক প্রোজেক্টের ব্যাপার দেখেশুনে এসেছেন, যেখানে ছোট ছোট বাক্সে সবাই যে যার নিজের একটি দুটি প্রাণের জিনিস জমিয়ে নিয়ে এসেছে। সে জিনিস তার ব্যক্তিগত হতে পারে, বা তার ছোটবেলার‍, বা সে যেখানে বড় হয়েছে সেই জায়গার। এমন কিছু যা তাকে সত্যি সত্যি চেনায়। আর পাঁচটা লোকের থেকে আলাদা করে।  শুধু বললেন না, প্রমাণস্বরূপ তিনি নিজের কাহিতাস (একটা বিরাট অ্যামাজনের বাক্স) খুলে তাঁর পাহাড়ি শহরের চা বার করে সবাইকে উপহার দিলেন।

কিছু লোক থাকে, যার শুধু অন্যের ভালো জিনিস দেখে শান্তি হয় না। ভালো গান শুনলেই বাড়ি এসে হারমোনিয়াম টেনে বসা চাই, কবিতা পড়ে চোখে জল এলে নিজে কবিতা লেখা চাই, বিখ্যাত লোকদের দেখে শুধু হাততালি দিয়ে সন্তুষ্ট না থেকে নিজে বিখ্যাত হওয়ার জন্য হাঁকপাঁক করা চাই। আমাদের হোতা তেমনি একজন লোক। কাহিতাস প্রোজেক্ট দেখেশুনে শুনে বাহ, দারুণ চমৎকার, বলে শখ মেটেনি। তাঁর সাধ আমরাও সবাই মিলে কাহিতাস প্রোজেক্ট করি।

গা জ্বলেছিল। একে তো অফিস করে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলে টাইম পাই না, এর মধ্যে বাক্স খোঁজো, বাক্স খুঁজে তাতে নিজের শেকড় চেনানোর জিনিসপত্র ভরো, এর থেকে আজাইরা কোনও কাজ হতে পারে বলে আমার মনে হয়নি। তাছাড়া সফল কাহিতাসের মানে হচ্ছে আমার গভীরগোপন স্থানে উঁকি মেরে দেখার সুযোগ করে দেওয়া। ইন্টারনেটে ব্লগ খুলে নিজেকে চেনাচ্ছি বলে কি অফিসের লোককেও সে সুযোগ দিতে হবে?

তারপর প্যান্ডেমিক হয়ে গেল। আমি ভাবলাম বাঁচা গেল। হোতা দমলেন না। বললেন ভার্চুয়াল কাহিতাস হবে। মাইক্রোসফট টিমস-এর ফোল্ডারে লোকে নিজেদের ছোটবেলার মেডেলটেডেল, বড়বেলার বিশ্বভ্রমণের ছবিটবি সেঁটেটেটে খেলিয়ে স্ক্র্যাপবুক বানাল। আমি মাথা চুলকে নিজেকে যতটা সম্ভব আড়ালে রেখে, কোথা থেকে এসেছি সেই নিয়ে এক প্যারাগ্রাফ প্যাঁচাল পেড়ে জমা দিলাম। লিখলাম যে ভারতবর্ষের ভৌগোলিক মানচিত্রের যে জায়গাগুলো সবথেকে সবুজ, তেমন এক সুজলাসুফলা শস্যশ্যামলা ভূমিতে আমার জন্ম। সুজলাসুফলা বলেই আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে স্ট্রাগল করতে হয়নি, করতে হয়নি বলেই স্ট্রাগল আমাদের প্রিয় শব্দ হয়ে উঠেছে। আমরা ছ'ছটি ঋতুর আরামদায়ক বৈচিত্র্যে গা সেঁকতে সেঁকতে ধীরেসুস্থে রাজাউজির মারি। মতামত জানাতে আমরা মিনমিন করি, আমরা এখানে বসলে তাড়া খাই, ওখানে দাঁড়ালে হাঁকানি, আমরা ক্যাপিটালকে কাঁচকলা দেখাই, প্রোডাক্টিভিটিকে পূজি না, চৌকসপনা দেখলে চমৎকৃত হওয়ার বদলে আমাদের সন্দেহ জাগে বেশি। লিখতে লিখতে আমার রক্ত গরম হয়ে উঠল, সাঁইসাঁই করে টাইপ করে চললাম। লিখলাম যে আমরা কবিতা লিখি আর শিঙিমাছের ঝোল খাই। ভিড়ের মধ্যে কথা বলতে যে ছেলেটা হোঁচট খায় আর জমায়েতের চোখ এড়িয়ে যে মেয়েটা সটকায় - পড়লে আমরা তাদের প্রেমেই পড়ি। আমরা নিড়বিড়ে কিন্তু সভ্য, পেটরোগা কিন্তু রুচিশীল, গরিব কিন্তু শান্তিপ্রিয়...

অর্চিষ্মান চোখ কপালে তুলল। 'শান্তিপ্রিয়! বাঙালির ইতিহাসে কতগুলো বিখ্যাত দাঙ্গা আছে গুণে দেখেছ? এই একটা জাত ভিটের জন্য দাঙ্গা করেছে, ভাষার জন্য দাঙ্গা করেছে, ফুটবল মাঠে একে অপরকে পায়ে পিষেছে, রাজনীতির মিছিলে মাথা ফাটিয়েছে। তাছাড়া বাংলার খবরের চ্যানেলগুলোর স্ক্রিনের নিচে চলন্ত ব্রেকিং নিউজগুলো দেখো না নাকি? কাস্তে, কোপ, গোলাগুলি, ছুরিকাঘাত, হত্যা, পিটুনি, শ্বাসরোধ, অগ্নিসংযোগ, লাশ। শান্তিটা পাচ্ছ কোথায়?'

নিরীহ, পরিশীলিত, ভালোমানুষ, জাগ্রত, আলোর দিকে মুখ ফেরানো বাঙালির যে কল্পনাটা মগজের ভেতর পুষে দানাপানি খাওয়াচ্ছি সেটা হয়তো স্রেফ কল্পনাই। বাঙালি আদপেই ও রকম নয়, কোনওদিন ছিল না, হওয়ার আশাও নেই।

তবু ছবিটাকে একেবারে ফেলে দিতে পারলাম না। সত্যি হোক মিথ্যে হোক, সে বড় সুন্দর। (বোনাস কুইজঃ কে লিখেছেন?)

ভেবেচিন্তে বললাম, আচ্ছা শান্তিপ্রিয়তার ব্যাপারটা না হয় ছেড়েই দিলাম। আলস্যপ্রিয়তার ইস্যুটা তো অথেনটিক?

অর্চিষ্মানকেও স্বীকার করতে হল যে হ্যাঁ, বাকি সব কল্পনা হলেও কুঁড়েমোটা কল্পনা নয়। যে কারণে আমাদের ব্যবসা হল না। দুপুরবেলা দোকান বন্ধ করে যারা ঘুমোতে যায় তাদের হবে আশা করাই অনুচিত।

*

কয়েকবছর আগে জিজ্ঞাসা করলে কী বলতাম জানি না, এখন বলব যারা দুপুরে ঘুমোতে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে তারা কোনওদিন দুপুরে ঘুমোয়নি। দ্বিতীয় এবং বৃহত্তর সম্ভাবনাটা হচ্ছে যে তারা দুপুরে ক্বচিৎকদাচিৎ ঘুমোতে গেছে এবং যেহেতু রোজ দুপুরে তাঁদের ঘুমোনোর উপায় নেই, সে তুরীয়ানন্দ যারা পাচ্ছে হিংসেয় তাদের কুঁড়ে বলে গাল পাড়ছে।

বুদ্ধিমান লোকেরা এ সত্য অনেক আগেই বুঝেছেন। এক জায়গায় পড়েছিলাম সুকুমার রায় একবার খানিক গায়েগতরে হয়ে পড়ছিলেন বলে তাঁর খাওয়া, ঘুম এবং যাবতীয় আরামে খানিক বজ্রআঁটুনির পরামর্শ দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেই ক'মাস সুকুমার রায় দারুণ বাধ্য ছেলের মতো দুপুরে আধপেটা খেয়ে নিচে অফিসে কাজ করতে চলে যেতেন। তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে চেনা লোকদের সন্দেহ হল, তাঁরা অফিসে গিয়ে দেখলেন চাদর বালিশ পাতা একটি চমৎকার মেকশিফট বিছানা গজিয়েছে অফিসের একপ্রান্তে। যেখানে সুকুমার রায় রোজ দুপুরে দিবানিদ্রা যাচ্ছেন।

বাঙালি আর যদি কিছুই না শিখতে পারে সুকুমার রায়ের কাছ থেকে, দুপুরে ঘুমের প্রতি প্রেমটা শিখতে পারে।

আমি শিখেছি। শনিরবি দুপুরে খেয়ে উঠে কথা না বাড়িয়ে বালিশ নিয়ে বিছানার দিকে রওনা দিই। গরম লাগলে ফ্যান চালাই, ঠাণ্ডা লাগলে চাদর মুড়ি দিই। জানালার পর্দা পাটে পাটে টেনে আলোর রাস্তা বন্ধ করি।

চোখ বন্ধ করি এবং ঘুমের অতলে তলিয়ে যাই।

যদি দুপুরে ঘুমোনোর কথা স্বীকার করতে লজ্জা পেতাম, তাহলে পাওয়ার ন্যাপ বলে চালাতে পারতাম। চালাচ্ছি না, কারণ দুপুরে ঘুমোতে লজ্জাও পাচ্ছি না। তাছাড়া পাওয়ার ন্যাপ নাম দেওয়ার মধ্যে ওই ব্যাপারটা আছে যে জন্য ছোটরা এত বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও দুপুরে ঘুমের মর্ম বোঝেনি। বড়রা তাদের কাছে দুপুরের ঘুম সেল করতে গেছে এই বলে যে এখন ঘুমিয়ে নাও, তাহলে রাত জেগে পড়তে পারবে। এ রকম বললে দুপুরের ঘুমের প্রতি শত প্রেম থাকলেও আমিও ঘুমোতাম না, সর্ষের তেল চোখে ডলে জেগে থাকতাম। পাওয়ার ন্যাপের মধ্যেও ওই আশ্বাসটা কাজ করে। ঝপ করে পাওয়ার ন্যাপ দিয়ে ব্রেন চাঙ্গা করে নাও যাতে উঠে পুঁজিবাদের জোয়াল আরও ভালো করে টানতে পার।

বয়ে গেছে। আমি দুপুরে ঘুমোই ঘুমোব বলেই। দুপুরের ঘুমকে ভালোবেসে। দুপুরের ঘুমও উল্টে আমাকে ভালোবাসে। রাতের ঘুমের মতো অ্যালজোলাম নিয়ে তাকে পায়ে ধরে সাধতে হয় না। ভাতের পাতে শেষ পদ থেকে চোখের পাতায় তার পদক্ষেপ টের পাই। তারপর ঘণ্টাকয়েকের স্বপ্নহীন ঘুম। এমন ঘুম যে ভাঙার পর নিজের নাম মনে করতে তিন সেকেন্ড লাগে। তারপর এক কাপ চা। সকালের চায়ের তৃপ্তিকে একশো দিয়ে গুণ করলে তবে যদি তার ধারেকাছে আসতে পারে।

অবান্তরের পাঠকরা যাঁরা ছুটির দিনে দুপুরে ঘুমোন না, তাঁদের করজোড়ে অনুরোধ, একবারটি ঘুমিয়ে দেখুন। এমন সুখ বিধাতা জগতে বেশি সৃষ্টি করেননি। একটাই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ। ঠিক কোন সীমা আমি চিনি না, কে নির্ধারণ করে তাও জানা নেই, কিন্তু জানালার বাইরে বিকেলের আলোর তীব্রতার একটা সীমা আছে, যা পার করে ঘুম থেকে উঠলে সুখের বদলে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিষাদ। সে বিষাদে ভোগেনি এমন কারও সঙ্গে আমার জানাশোনা নেই।


Comments

  1. দুপুরের ঘুমের মহিমা অগ্রাহ্য করার সাধ্যি নেই। কিন্তু সে ঘুম তো রাতের ঘুমিরর তেরটা পাঁচ বাজিয়া ছাড়ে। তারপর আবার এলজোলাম, সোমবারে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, অফিস নামক হাঁচোর পাচোর ও ইত্যাদি চক্রাকারে চলতে থাকে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত, শাল্মলী। কিন্তু খেয়াল করার যেটা ব্যাপার, এই ভোগান্তির চক্রান্ত সম্পূর্ণ রাতের ঘুমের। কাজেই তার সমস্ত রকম শয়তানি সত্ত্বেও আমার ভোট দিবানিদ্রার প্রতি থাকবে।

      Delete
    2. একশো বার। দুপুরের ঘুমের ব্যাপারটাই আলাদা।

      Delete
  2. Amar abaar best ghumer time hoche shokal 10ta - breakfast snan kore tore fresh hoe ekta boi nie bichanae dhule pora !

    ReplyDelete
  3. Eibaare bari gie onek almari-drawer khali korte gie school bela + college bela r Cajitas er shompotti khunje pelam - kichu etoi hanshokor tokhuni fele dite ek minute o bhabte holo na - kichu jinish abaar snge kore nie elam - bus er ticket ek packet bhorti - sachin tendulkar er chobi r cutting - ek jug aager e jinish - mone hoe onno kono jiboner golpo!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছুটির দিন সকাল দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে যে ঘুমটা আসে সেটার মাহাত্ম্যও অপরিসীম। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাংক ইউ, পরমা। ওটা দুপুরের ঘুমের থেকেও 'অপরাধ' আর সে জন্য আরও বেশি মিষ্টি মনে হয়। পুরোনো কাহিতাস খুলে দেখলে অন্য জীবনই মনে হয় বটে।

      Delete
  4. "Cajitas" ei prothom shunlam kintu chotto box e choto choto jinish jomie rakha amar jibone notun kichu na. Ami chotobelay ekta plastic er chotto bottle e pen er tip jomatam. Abar majhe majhe guntam. protibar gune ekta label banie bottle er upor number ta likhe rakhtam. Majhe majhe abar gune milatam shob ache kina. Ei ta class 8/9 er golpo. Bier por USA asar somoy ki bhebe jeno sathe nie esechilam suitcase e kore, onekta security blanket er moto. Kichu din age amar 6 bochorer meyer chokhe poreche bottle ta. 23 bochor por bottle ta abar praan ferot peyeche. Amar kamon anondo lagchilo seta nischoi apnake bole dite hobe na

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, এই গল্পটা চোখে জল আর মুখে হাসি একসঙ্গে এনে দেওয়ার মতো। আপনি তো কাহিতাসের মর্ম বোঝা লোক দেখছি! বোতলে জমানো, লেবেল সাঁটা, গুনে দেখা! আমার শ্রদ্ধা এবং প্রণাম নেবেন। আর আপনার এত সাধনার ধন যে যোগ্য উত্তরাধিকারের হাতে পড়েছে এটা একটা মস্ত খুশির খবর। অভিনন্দন।

      Delete
    2. Joggo uttoradhikar bote. Amar meye chotto bela theke dekhi haater moddhe beads ba aro choto kichu muthi kore ghumate jae. Tarpor sokale ghum theke uthe chitkar kore bari mathae kore tole, "amar poothi koi gaaloooo" bole. Sharakhhon bhoye thaki ekhon e bolbe "khojo khojo". Ami ar or baba boro ek packet marble kine rekhe diechilaam ekta ekta kore ber kore deoar jonno jate ekta harale ar ekta deoa jae. Ekhon dekhi ekta blue box jogar koreche, kishob raakhe. Birokto laage abar mojao laage dekhte. Amar bachha je taate kono sondeho nei :). Ami khepai ei gaan ta geye "khudro asha nie roechi bachie, sodai bhabona, ja kichu pai, harae jae, na maane shantona".

      Delete
    3. হাহা, মোক্ষম গান। তবে ওই নীল রঙের কাহিতাস সারা জীবন সঙ্গ দেবে, সশরীরে না হলেও স্মরণে, সেটা কেমন অসামান্য ভালো ব্যাপার বলুন?

      Delete
  5. "জানালার বাইরে বিকেলের আলোর তীব্রতার একটা সীমা আছে, যা পার করে ঘুম থেকে উঠলে সুখের বদলে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিষাদ। " ekdom :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম বলে একদম?

      Delete
    2. আরেকটু মাথা খাটালেই এটার কারণটা আপনি বের করতে পারতেন কুন্তলা। ওহ! কতবড় একটা সমস্যা যে সমাধান করে ফেলতেন। বিকেলের আলোর তীব্রতার কোরিলেশনটা নিয়ে আরেকটু ভাবুন না। একটা ইনপুট দি: যদি ঘুমোতে ঘুমোতে আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামে (আর আপনার আধ শুকনো কাপড় পড়িমরি দৌড়ে তোলার না থাকে), তাহলে সন্ধে আটটায় উঠলেও মন খারাপ লাগে না। অন্ততঃ আমার লাগে না। আপনার এরকম হয়!?

      পুনঃ এটা আপনার বিকেলের আলোর থিওরিটাকেই জোরদার করছে। মানে কোনমতে যদি ব্রেন জানতে পারে যে আজ বিকেলই হয়নি, তাহলে বিষাদ বেপাত্তা।

      Delete
    3. এইখানেও মিলল না, চন্দ্রচূড়। "যদি ঘুমোতে ঘুমোতে আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামে (আর আপনার আধ শুকনো কাপড় পড়িমরি দৌড়ে তোলার না থাকে), তাহলে সন্ধে আটটায় উঠলেও মন খারাপ লাগে না।...মানে কোনমতে যদি ব্রেন জানতে পারে যে আজ বিকেলই হয়নি, তাহলে বিষাদ বেপাত্তা।"

      আমার ব্রেন আর কিছু পারুক না পারুক, বিকেল যে প্রায় পার করে ফেলেছি ঘুমোতে ঘুমোতে, এটা কোনও দিন বুঝতে ভুল করেনি। সূর্যগ্রহণ, অ্যাপোক্যালিপ্স, কালবৈশাখী, ছটপুজো, মহরম, বড়দিন, একাদশী - কোনও দিন না। তবে এতদিন পারেনি বলেই যে পরে পারবে না, তেমন কথা নেই। দেখা যাক।

      Delete
    4. অ্যাপোক্যালিপ্স 😂😂

      Delete
  6. গত সামারে আমার দু বছরের মেয়ের জন্য একটা সেকেন্ডহ্যান্ড ট্রাইসাইকেল কিনলাম, তার পিছনে একটা ছোট্ট ট্রাঙ্ক আছে। লাল টুকটুকে সাইকেল দেখে তো তার মহা উৎসাহ, চালাতে যাবে। কার্যক্ষেত্রে কিন্তু দেখা গেল চালানোর থেকে সারা রাস্তা ঘুরে যত পাইনের কোন, ওক গাছের একর্ন, অদ্ভুতদর্শন পাতা আর নুড়িপাথর তুলে তুলে ওই ট্রাঙ্কে ভরার ব্যাপারে তার উৎসাহ বেশি। আবার একদিনের জমানো জিনিসগুলোর পরদিন হিসেবে মেলানো হত!
    আমার আবার দুপুরে সিস্টেমেটিক ঘুমের থেকে অন্য কাজ করতে করতে ঘুমে ঢুলে  পড়াটা বেশি প্রিয়। গল্পের বইটা বুকের ওপর শুয়ে পড়বে, কিংবা মোবাইলটা হাত ফস্কে নাকের ওপর পড়বে, আর আমি চশমাটা খুলে পাশে সরিয়ে রেখে একটু ঘুমিয়ে নেবো, সেটা আমার ওই পর্দা টেনে ঘর অন্ধকার করে ঘুমোনোর থেকে বেশি প্রিয়। ঐভাবে গুছিয়ে ঘুমোলে আমার ওই বিষাদের সময় পার হয়ে যায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস আপনারা সবাই কী ভালো ভালো ঘুমের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন আমাকে সুগত। গল্পের বই, মোবাইল, চশমায় চাপা পড়ে, 'ঘুমোচ্ছি কোথায় এই তো চোখ বুজছি' গোত্রের ঘুমটা, ঠিকই বলেছেন, গুছিয়ে ঘুমোনোর থেকে বেটার।

      অলির তিনচাকা লালটুকটুকে সাইকেল, সাইকেলের পেছনে ট্রাংক, ট্রাংকের ভেতর পাইনের কোন, পাতা, নুড়ি। এর থেকে সুন্দর গল্প (বা বাস্তব) বা ছবি, পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে বলে আমার জানা নেই। এই ছবিটা আমাকে কল্পনাতেই দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একশো গণ্ডা থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. দুপুরে ঘুমিয়েছি বলে এত রাতে কমেন্ট করতে পারছি।দিবানিদ্রা বেঁচে থাক।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, এই মন্তব্যটি মচৎকার। সত্যি, দিবানিদ্রা বেঁচে থাক।

      বাই দ্য ওয়ে, অবান্তর কথা একটা বলি। আমার ভারি শখ দূর/অদূর ভবিষ্যতে কোনও একটা গল্প লিখতে বসে কোনও এক চরিত্রের নাম আপনার নামে চালাই। কিছু মনে করবেন না আশা করি।

      Delete
    2. স্বচ্ছ‌ন্দে।

      Delete
    3. থ্যাংক ইউ।

      Delete
  8. Dupure ghumonor jonno chhutir din laagbe keno?
    Amaar dupure shob shomoy ghum paye. WFH baar dichhi, normal shomoyteo office giye ghum paye. Emon ki ami team meetingeo ( phone e na, ritimoto ghore table er chaar paashe boshey, manager shoho) ghumiyechhi.

    Bonus Quiz tar uttor aar dilam na. Proshno ta shohoj, aar uttoro to jana

    ReplyDelete
    Replies
    1. অর্পণ, বোনাস কুইজের উত্তর দিচ্ছে না কেন কেউ সে নিয়ে মন খুঁতখুঁত করছিল, তুমি যে দিলে এবং যেভাবে দিলে, তাতে উঠে দাঁড়িয়ে টুপি খুলে, স্যালুট করে, বাও করে, জয়ধ্বনি দিলাম। এমনকি অক্ষম অনুসরণ করে বলতে পারি, এমন জবাবের তুলনা আমি খুঁজব না কখনও, কারণ খোঁজ ব্যর্থ হতে বাধ্য।

      এবার তোমার মন্তব্যের বাকি চমৎকারত্বটায় আসি। মিটিং-এ বসে ঘুম? কেয়া বাত। চালিয়ে যাও। ঝাণ্ডা উড়িয়ে তোমার পিছু পিছু আছি।

      Delete

Post a Comment