Posts

Showing posts from August, 2021

একটি ঘোষণা ও পান্তা

ঘোষণাটাই আগে করি। এর আগে যদিও অবান্তরের লেখক ফ্রেঞ্চ লিভ অনেক নিয়েছেন, কিন্তু এবারের লিভটি লং লিভড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মাসখানেক, মাসদুয়েকও টানতে পারে। তার মধ্যে একদুবার ঘাই মারব না এমন আশ্বাস দিচ্ছি না তবে টোটাল ঘাপটি মেরে থাকার গ্যারান্টিই বেশি। জল মাথার ওপর দিয়ে বইছে। ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন। অবান্তর আপনাদের কথা নিশিদিন ভাববে, আপনারা অবসর মতো ওর কথা দুয়েক সেকেন্ড ভাবলে বর্তে যাবে। এর মাঝে অবান্তরের জন্মদিন আসবে। এগারো, উঁহু বারোর। টিন এজে পা দেওয়ার আগের শেষ জন্মদিন। সে উদযাপনও বিলম্বিতই হবে, সম্ভবত। ও, পান্তা নিয়ে আমার একটা পুঁচকে লেখা বেরিয়েছে গুরুচণ্ডালিতে। মাস্টারশেফে কিশ্বর (কিশোয়ার?) চৌধুরীর স্মোকড রাইস ওয়াটারের বিশ্বজয়ের প্রতিক্রিয়ায় একটা মিনি সিরিজ বার করছেন ওঁরা, তার অংশ হিসেবে। এই রইল লিংক। পান্তাপ্রসঙ্গে এই একটা বিষয় যেটা নিয়ে আমি অবান্তরে লিখিনি কখনও। নিজেই অবাক হয়ে গেছি, অবান্তরে না লেখা কথা এখনও আছে কিছু মগজের ভেতর? অবশ্য কী করেই বা লিখব, পান্তার প্রতি প্রেম কখনও বোধ করিনি, দু’বার খেয়ে নমস্কার দিয়ে ফুটপাথ বদলেছি। আপনারা পান্তা ভালোবাসেন? ঘৃণা করেন? নাক...

হাঙ্গামা হ্যায় কিউঁ

একেকটা গান দড়াম করে মাথায় এসে যায়। এই গানটা অবশ্য দড়াম করে আসেনি। একটা প্রম্পট ছিল। এলই যখন, নস্ট্যালজিয়ার খাতিরে গানটা খুঁজতে গেলাম ইউটিউবে। গিয়ে দেখি হইহই ভিউজ। যা ভেবেছি তাই, প্রথম অন্তত একশোটা কমেন্ট বলছে তারা সেম প্রম্পট শুনে এই ভিডিওয় এসে হাজির হয়েছে। কেউ কেউ আবার মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করছে যে গানটার অস্তিত্ব তারা আগে জানত না, ওই প্রম্পটটি জানার আগে। তাদের জাজ করে গানটা শুনলাম। প্রম্পট নিয়ে রহস্য করার দরকার নেই। নেটফ্লিক্সের অধুনা সম্প্রচারিত বহুচর্চিত চার গল্পের সিরিজ ‘রে’। ওরই একটা গল্পের নাম এই গানটির নামে। রে সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছিলেন সুগত। বেশি কিছু নেই। বোধহয় দুটো অ্যাডাপ্টেশন দেখেছি,  একটাও না দেখার ইচ্ছে ছিল। এমনকি ট্রেলর দেখতেও আমি উৎসাহিত বোধ করিনি বিশেষ। তারপর আড়মোড়া ভেঙে দেখলাম ফরগেট মি নট, যেটা ওই বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম নিয়ে আর  হাঙ্গামা হ্যায় কিউঁ, যেটার সূত্র বারীন ভৌমিকের ব্যারাম।  দেখব না ভেবেছিলাম কারণ জানতাম হতাশ হব। আমার আবার অন্ধ হয়ে প্রলয় বন্ধ রাখার দুরাশাপোষণের ব্যামো আছে। না দেখেই কী করে জানলাম হতাশ হব জিজ্ঞাসা করলে, জবাব দেব যেমন...

তিনটি প্রেমের গল্প

Image
সব গল্পই লেখা হওয়ার আগে পারফেক্ট। লেখকের কাজ মাথার ভেতরের সেই নিখুঁত, নিটোল, পারফেক্ট গল্পটিকে শব্দে বন্দী করতে বসে মাটিং চকার করা। কতটা কম মাটি হল, সেটাই সাফল্যের মাপ। লেখকের নিজের কাছে, অবশ্যই। কারণ তিনি ছাড়া কেউ তাঁর মাথার ভেতরের পারফেক্ট গল্পটিকে দেখেনি। আর দেখেনি বলেই, তারা পাঠপরবর্তী যে প্রতিক্রিয়াই দিক না কেন, প্রশংসা, নিন্দে, উদাসীনতা, লেখক সর্বদাই জানবেন তিনি ওই গল্পটার কতটা কাছে যেতে পারলেন, বা পারলেন না। কতখানি সফল হলেন, বা ব্যর্থ। ও বাবদে মনকে চোখ ঠারানোর সুযোগ শূন্য। জিরো। জিলচ। নাদা। এই যেমন এ বারের চার নম্বরের গল্পটা। গল্পটি বেশ কয়েকটি দিক থেকে ব্যতিক্রমী। গল্প হিসেবে নয়, গল্পটির সঙ্গে গল্পটির টাইপিস্ট হিসেবে আমার সম্পর্কের হিসেবে। মানে দায়িত্ব নিয়ে মাটি করা অন্যান্য গল্পের সঙ্গে আমার লেখক হিসেবে যা সম্পর্ক তার নিরিখে এই গল্পটি বেশ কয়েকটি মাপকাঠিতে ব্যতিক্রমী। প্রথম ব্যতিক্রম, গল্পটা প্রেমের। সবাই জানে, এ পৃথিবীতে আমার সবথেকে ভালো লাগে গোয়েন্দাগল্প পড়তে। লিখতেও খারাপ লাগবে না মনে হয়। মরার আগে একটা গোয়েন্দা উপন্যাস লিখে মরব, এই রকমটা ভেবে রেখেছি। যেটা অনেকে...

যথানাম্নীদের প্রতি

বাড়ি গিয়ে দুটো জরুরি কাজের মধ্যে একটা ছিল মায়ের বাৎসরিকী। মায়ের মৃত্যুর দু’বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু বাৎসরিকীর সঠিক সময়ে করোনা একেবারে গনগন করে মাথার ওপর জ্বলছিল তাই ব্যাপারটা স্থগিত রাখা হয়েছিল। পুরোহিতমশাই আমাদের সিদ্ধান্ত সোৎসাহে সাপোর্ট করেছিলেন। পুরোহিতমশাইয়ের নাম জীবন ব্যানার্জি। টাকমাথা, গুঁফো, ভুঁড়ির ওপর দিয়ে পৈতে। আমাকে মামণি ছাড়া অন্য কোনও নামে ডাকতে অপারগ। তবু যে ওঁকে পছন্দ করি তার কারণ নিয়মের প্রতি ভদ্রলোকের অপার অশ্রদ্ধা। অনেক বাড়িতে দেখেছি পুরোহিতমশাইদের তাণ্ডব। তাঁরা মন্ত্র ছাঁটবেন না, উপোসে এক ঢোঁক জল খেতে অ্যালাউ করবেন না, ভুজ্যির চাল গোবিন্দভোগ না কালোজিরে সেই নিয়ে কুরুক্ষেত্র বাধাবেন। জীবন বাঁড়ুজ্যে সব চালিয়ে দেবেন, কাঞ্চনমূল্য ধরে দিলে। এই যেমন বাৎসরিক পুজোয় বসার আগে একটা গুনগুন উঠেছিল যে সোনা শাড়ি পরবে নাকি। সোজা গিয়ে বললাম, ঠাকুরমশাই, এই সবে কাল এসে নামলাম, কিছু গোছানোটোছানো নেই, এর মধ্যে শাড়িফাড়ি. . . ঠাকুরমশাই বললেন, আরে না না, সালওয়ারকামিজে কিছু নিষেধ নেই শাস্ত্রে। বসে পড়, মামণি। নিয়মরক্ষা অনুষ্ঠান। ঠাকুরমশাই, আমি, বাবা, সেজকাকু, এক দিদি, আর বাড়িতে বিভিন...

মার্ডার ইন দ্য হিলস

Image
উৎসঃ ইন্টারনেট শবরীর প্রতীক্ষা যাকে বলে, সেটাই করছিলাম আমি, অঞ্জন দত্তর মার্ডার ইন দ্য হিলস-এর জন্য। অঞ্জন দত্ত মচৎকার নাম দিতে পারেন। শুনলেই রোমাঞ্চ হচ্ছিল। তর সইছিল না। প্রতীক্ষা সহনীয় করার জন্য ট্রেলর দেখে বেড়াচ্ছিলাম, যেখানে যা ইন্টারভিউ পাওয়া যাচ্ছে শুনছিলাম। অবশেষে তেইশে জুলাই আগত হল। হইচইয়ে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। শুরুতে দেখা গেল যে অঞ্জন দত্ত অর্থাৎ টোনি রায়, মারাত্মক ফ্ল্যামবয়েন্ট পার্সোন্যালিটি, প্রাত্যহিক প্রাত্যুষিক রুটে হাঁটতে বেড়িয়েছেন। বোঝা গেল টোনি রায় দার্জিলিং শহরের কেউকেটা লোক, লোকে ডাকখোঁজ করে, ছবিটবি তোলে পাশে দাঁড়িয়ে। ক্রমে বোঝা যাবে যে টোনি একজন ফিল্মস্টার, হেঁজিপেঁজি না, সত্যজিৎ রায় থেকে পোল্যানস্কির ছবিতে পর্যন্ত কাজ করেছেন। সেদিন রাতে তাঁর বাড়িতে তাঁর ছেষট্টিতম জন্মদিনের পার্টি, সে বাবদে টোনি বিভিন্ন লোকজনকে নেমন্তন্ন করছেন। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে আছেন  ডাক্তার নিমা প্রধান, নেপালি ভাষাশিক্ষক শীলা, সফল চিত্রপরিচালক বিজয় মুখার্জি যিনি টোনিকে নিজের সিনেমায় কাজ করানোর জন্য চক্কর কাটছেন। রজত গাঙ্গুলি যিনি বিখ্যাত গোয়েন্দাগল্প লেখক এবং টোনি রায়ের বন্ধু, প্রা...

আমরা দুজন

Image