যথানাম্নীদের প্রতি
বাড়ি গিয়ে দুটো জরুরি কাজের মধ্যে একটা ছিল মায়ের বাৎসরিকী। মায়ের মৃত্যুর দু’বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু বাৎসরিকীর সঠিক সময়ে করোনা একেবারে গনগন করে মাথার ওপর জ্বলছিল তাই ব্যাপারটা স্থগিত রাখা হয়েছিল। পুরোহিতমশাই আমাদের সিদ্ধান্ত সোৎসাহে সাপোর্ট করেছিলেন।
পুরোহিতমশাইয়ের নাম জীবন ব্যানার্জি। টাকমাথা, গুঁফো, ভুঁড়ির ওপর দিয়ে পৈতে। আমাকে মামণি ছাড়া অন্য কোনও নামে ডাকতে অপারগ। তবু যে ওঁকে পছন্দ করি তার কারণ নিয়মের প্রতি ভদ্রলোকের অপার অশ্রদ্ধা। অনেক বাড়িতে দেখেছি পুরোহিতমশাইদের তাণ্ডব। তাঁরা মন্ত্র ছাঁটবেন না, উপোসে এক ঢোঁক জল খেতে অ্যালাউ করবেন না, ভুজ্যির চাল গোবিন্দভোগ না কালোজিরে সেই নিয়ে কুরুক্ষেত্র বাধাবেন।
জীবন বাঁড়ুজ্যে সব চালিয়ে দেবেন, কাঞ্চনমূল্য ধরে দিলে। এই যেমন বাৎসরিক পুজোয় বসার আগে একটা গুনগুন উঠেছিল যে সোনা শাড়ি পরবে নাকি। সোজা গিয়ে বললাম, ঠাকুরমশাই, এই সবে কাল এসে নামলাম, কিছু গোছানোটোছানো নেই, এর মধ্যে শাড়িফাড়ি. . . ঠাকুরমশাই বললেন, আরে না না, সালওয়ারকামিজে কিছু নিষেধ নেই শাস্ত্রে। বসে পড়, মামণি।
নিয়মরক্ষা অনুষ্ঠান। ঠাকুরমশাই, আমি, বাবা, সেজকাকু, এক দিদি, আর বাড়িতে বিভিন্ন দায়িত্বপালনে যারা দৈনিক আসাযাওয়া করেন, অর্থাৎ বিজলীদি, মীরামাসি, সন্ধ্যাদি, শ্যামলী। পুজো হল দুই খেপে। ব্যাপারটা প্রচণ্ড রিপিটিটিভ, প্রথম দু’বারের পরেই আপনি বুঝে যাবেন ডান হাতে কোন কুষি তুলতে হবে, বাঁ হাত কোন দানের বস্তুতে রাখতে হবে, কখন জল মুখে দিতে হবে, কখন ছেটাতে। মন্ত্রগুলোও ঘুরে ঘুরে আসে। ফুল, তিল, যব, কোন মন্ত্রের পর এই বাটি তাক করে ছুঁড়তে হবে, কখন ওই থালা, কখন অনামিকা দিয়ে মেঝেতে কাটা জলের চৌকো খোপে রাখতে হবে, কখন মায়ের ছবির পায়ে - ক্লিয়ার হতে লাগবে হার্ডলি পনেরো মিনিট।
এদিকে ব্যাপারটা চলবে চারঘণ্টা। মাঝে একটা ব্রেক দিয়ে। তার ওপর জীবনপুরোহিতের ব্যারিটোন ভয়েসে মন্ত্রোচ্চারণ, হাইয়ের পর হাই চাপতে চাপতে প্রাণান্ত। দুটো ব্যাপার জেগে থাকতে হেল্প করছিল। এক, মায়ের নামের আগে প্রেত, পরে প্রেত, ডাইনে বাঁয়ে ওপর নিচে প্রেত প্রেত প্রেত প্রেত। রীতিমত অস্বস্তিজনক। দুই, মন্ত্রগুলো। বেশ একটা গল্পের জন্ম দেয়। দানবস্তুর মধ্যে শাড়িটারি থাকবে না হয় আশা করেছিলাম, সে ছাড়াও দেখলাম ছাতা, বিছানা, মায় একজোড়া চটিও আছে। মন্ত্র শুনে সেসবের তাৎপর্য বোঝা গেল। এ সব দেওয়া যাতে যাত্রীর শেষ যাত্রা যথাসম্ভব আরামদায়ক হতে পারে। রোদ উঠলে তিনি ছাতা খুলবেন, ক্লান্ত লাগলে বিছানা পেতে শয়ন করবেন, তপ্ত বালু পার হওয়ার সময় চটি পরবেন এই সব। কাব্যিক ব্যাপার। সেটা অবশ্য আমার ধারণা সব ধর্মেরই বৈশিষ্ট্য। আমি কোনও ধর্মের কিছুই পড়িনি কারণ জ্ঞানপিপাসা ব্যাপারটা আমার মধ্যে জিরো, খালি বাড়িতে গীতা দেখেছি জন্মে ইস্তক কয়েক পিস, দাঁতভাঙার বিভিন্ন লেভেলের, বিভিন্ন সাইজের। সবথেকে চটি ও সরলগুলো নিয়ে নেড়েছিচেড়েছি। বুঝেছি, আত্মন ব্রহ্মনের ফান্ডার ফাঁদে ধরা দিতে রাজি থাকি বা না থাকি, সাহিত্যকীর্তি হিসেবে ব্যাপারটা ফাসক্লাস। কী কল্পনা, কী বর্ণনা।
বিরতি ঘোষণা হল। বিরতিতে চা খাওয়া চলবে কি না বলাতে প্রত্যাশিতভাবেই জীবনবাবু বললেন, দৌড়বে। চা খেলাম। দূর্বার আংটি পরা হাত নেড়ে নেড়ে রাজাউজির মারলাম। আবার ডাক পড়ল ঘণ্টাখানেক পর। গিয়ে দেখি বারান্দার সেট আপ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। নতুন ফুল বেলপাতা চন্দনে একেবারে রেডি। সাইডে কাঁসার থালায় ছোটনাগপুরের ছোটখাটো ঢিবির সাইজের ভাতের পাহাড়। বোঝা গেল এবার পিণ্ডদানের ব্যাপার হবে।
এইবার জীবনপুরোহিত একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন করলেন। বাড়ির মহিলাদের, মানে যাঁরা গোত্রে এসে মিশেছেন, গোত্র ছেড়ে গেছেন যাঁরা তাঁরা নয়, কতদূর পর্যন্ত নাম জানা আছে? আমার মা অর্চনা, তাঁর শাশুড়ি অনিমা, তাঁর শাশুড়ি চপলা। ব্যস। আর তো জানা নেই। মাথা চুলকে বলা হল। জীবনবাবু বললেন, কুছ পরোয়া নেই, বাকিদের যথানাম্নী দেবী বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে'খন।
আর আমি বুঝে গেলাম, আমি মেয়ে বলেই নির্ঘাত, এ পিণ্ডদান এক্সক্লুসিভলি পূর্বনারীদের উদ্দেশ্যে।
স্বীকার করছি, ওই পরিস্থিতিতে স্পিরিট যতখানি হাই হওয়া সম্ভব, হয়েছিল। জীবনবাবু তিলটিল দিয়ে মাখা প্রকাণ্ড ভাতের গোল্লা আমার হাতে দিলেন, সেগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ আর তর্জনীর ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে কুশের বিছানায় ফেলতে বললেন। জিভটিভ বার করে সে কঠিন কাজ যথাসাধ্য নিখুঁত ভাবে করার চেষ্টা করলাম। ঘুমটুম তাড়িয়ে, মন দিয়ে মন্ত্র পড়লাম। প্রক্রিয়াটার প্রতি আমার অনাস্থা থাকতে পারে, কিন্তু বলা যায় না যথানাম্নী দেবীদের কারও হয়তো ছিল। আছে। হয়তো তিনি চাইবেন আমি মন দিয়ে তাঁকে স্মরণ করি। আমার হেঁটেচলে বেড়ানোয় যাঁদের সক্রিয় অবদান আছে, তাঁদের ছবি সংরক্ষণ তো দূরে থাক, নামটুকু পর্যন্ত মনে রাখার দায়িত্ব নিইনি, এইটুকু চাহিদা পূরণ না করা নিতান্ত অভদ্রতা। তাঁদের কল্পনা করার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। কোথায় যেন পড়েছিলাম আমরা মানুষের এমন মুখ কল্পনা করতে পারি না যা আগে দেখিনি। খালি চপলার খুরখুরে চেহারাটা ভেসে উঠল। হলদে ফোটোগ্রাফে দেখেছি। গল্পও শুনেছি। শুনেছি কেমন সারাজীবন অনিমার হাড় জ্বালিয়েছিলেন আর অর্চনাকে বিয়ের পর মাথায় তুলে রেখেছিলেন। বেশিদিন না, বছরখানেক। তার পরই একদিন, নাকি ঘুম থেকে উঠে পেছনের দালানে উবু হয়ে বসে মুখ ধুতে ধুতে আঁ আঁ করে শেষ।
অবশেষে সব সাঙ্গ হল। ঠাকুরমশাই মালপত্র গুছোতে লাগলেন, বাড়ির সবাই তাড়া দিল, আগে খেয়ে নিন পরে গুছোবেন। খেতে খেতে ঠাকুরমশাই গল্প বললেন, কত কত জায়গায় ঘুরেছেন তিনি তাঁর পেশার কারণে। একবার বোকারো গিয়েছিলে, বাঙালি অবাঙালির বিয়ে দিতে। বাঙালি বলছে আমাদের বিয়েতে নাচের নিয়ম নেই (এটা বছর পঁচিশ আগের কথা, এখন বাঙালিদের বিয়েতে রেজিস্ট্রেশনের পরেই বাধ্যতামূলক নাচ), অবাঙালি বলছে আমাদের নিয়ম আছে। আমাদের বাড়িতে এসেছ যখন নাচতে হবে, কথা দিচ্ছি রিষড়া গিয়ে নাচব না। ঠাকুরমশাই বললেন, সে এক কাণ্ড, যেন মাথায় বন্দুক ধরেছে আর বোকারোর রাস্তা দিয়ে আমরা সবাই নাচতে নাচতে চলেছি।
শুনে, স্বীকার করতে লজ্জা নেই, জোরে জোরে, দুলে দুলে হেসেছিলাম। মায়ের বাৎসরিকীতে পাগল ছাড়া অত কেউ হাসে না। তবু হাসলাম, কারণ মা থাকলে মাও হাসতেন। সম্ভবত আমার থেকেও বেশি জোরে, বেশি দুলে। একটা গল্প আগেও বলেছি, আবারও বলছি। আমার মাকে আমার আত্মীয়দের একাংশ খুব উঁচু চোখে দেখতেন। মণির গুণপনা সম্পর্কে তাঁদের মুগ্ধতার সীমা ছিল না। তাঁরা অনেকেই সন্দেহ পোষণ করতেন, এখনও করেন, যে মণির মর্যাদা মণির আশেপাশের লোক করতে পারেনি, ইনক্লুডিং মণির মেয়ে, যার জন্য মণি দুবেলা হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করতে পারে। একবার চান্স পেয়ে এই দলের একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি কি তোমার মায়ের মূল্য বোঝ?
উত্তরে, সম্ভবত বুঝি, বলা ছাড়া আর কিছু বলার থাকে না।
এ উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট হলেন না, এবং পরীক্ষা চালিয়ে গেলেন। আচ্ছা বল দেখি, তোমার মায়ের সবথেকে বড় গুণ কী?
অনেককিছুই বলা যেত। নিষ্ঠা, সততা, পরিশ্রমের ক্ষমতা। তিনি সম্ভবত এইগুলোর একটাই শুনতে চাইছিলেন, বললে ওইখানেই খেল খতম করা যেত কিন্তু আমার গোটা ব্যাপারটায় এমন বিরক্ত লাগছিল যে আমি আমার মনের সত্যি কথাটা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বলেছিলাম, হাসির কথায় হাসতে পারা।
পরীক্ষকের হতভম্ব মুখ মর্মে আঁকা হয়ে আছে। এত হতাশ এবং প্রতারিত তিনি এ জন্মে বোধ করেননি।
(এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার, এ ধরণের কথোপকথন অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক ঠেকতে পারে, কিন্তু আমার একটি বিশেষ দিকের আত্মীয়দের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন যারা অসম্ভব এক্সপ্রেসিভ এবং মনের সব কথা, কোনওরকম ফিল্টার ছাড়া, মুখে বলতে পারতেন। আমিও সেই ধারা কিছু কিছু পেয়েছি। আমি যে নিয়মিত ইন্টারভ্যালে মাকে ফোনে জানতে চাইতাম, কখনও মুখোমুখিও, মা আমাকে আগের মতো ভালোবাসেন কি না, যা শুনে আমার অনেক চেনা লোক চোখ কপালে তুলেছে, আমার ধারণা সেটা ওইদিক থেকেই এসেছে।)
কাজেই ঠাকুরমশাইয়ের নাচের গল্প শুনে শোকের বাড়ির ডেকোরাম অগ্রাহ্য করে আমি হো হো করে হাসলাম। কল্পনা করলাম, মাও নির্ঘাত হাসছেন বারান্দায় ফোটোর ভেতরে বসে।
আর এঁটো হাতে, ভাতের পাতে বসে দুলে দুলে হাসতে হাসতে টের পেলাম, ওই মুহূর্তে আমার সব অবিশ্বাস দূর হয়ে যাচ্ছে। আমি সব, সঅঅঅব বিশ্বাস করছি। বিশ্বাস করছি, মা কোথাও আছেন, মায়ের শ্রবণশক্তি আছে, কাজেই মায়ের উদ্দেশ্যে আমি কিছু বললে মা শুনতে পাবেন।
গত দু'বছরে হৃদয়ের অন্তঃস্থল পর্যন্ত খুঁড়ে দেখেছি, সব কথার শেষে শুধু একটা কথাই আছে আমার মাকে বলার। নালিশ নেই, দাবিদাওয়াও ফুরিয়েছে। (বিপদে পড়লে 'মা সব ঠিক করে দাও' বলে কেঁদে পড়া ছাড়া, ওটা যায়নি, থাকবে আমরণ।)
যেখানেই থাকো মা, হেসো। প্রাণ খুলে হেসো। তপ্ত বালুর ওপর দিয়ে আর হেঁটো না।
✅
ReplyDelete-Parama
ধন্যবাদ, পরমা।
Deleteউনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন । আজ বাইশে শ্রাবণ , কলকাতায় কিন্তু ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে ।
ReplyDeleteওহ, খেয়াল ছিল না তারিখটা। বৃষ্টি সবসময়ই ভালো, এই রকম বিশেষ দিনে আরও ভালো।
DeleteMa ra thaken .... shob shomoy..kotha bola ta chaliye jeo....khushi hoben...
ReplyDeleteবলছ, রণিতা?
DeleteEkdom
Deleteমা'কে নিয়ে আপনার সমস্ত লেখাই একইসঙ্গে মন খারাপ করা আবার ভালো করা।
ReplyDeleteমা নিশ্চয়ই আছেন, মা'রা সবসময় থাকেন।
লেখাটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
থ্যাংক ইউ, আধিরা। মায়েরা থাকে, থেকে যায়, ঠিকই বলেছ। আর এই যে লেখা পড়ে ভালো লাগা জানানোর পরিশ্রমটুকু পোহাও, এর জন্য যে কৃতজ্ঞতাটা থাকে, সেটা নিয়ো।
DeleteHi, Kuntala, following your blog for the last 3/4 years. But never leave any comment. This time couldn't refrain myself. I have been in your situation years ago and can try to understand what you are going through. Lots of prayers for your mother. Your mother will always be with you. best wishes for you and your blog.
ReplyDeleteধন্যবাদ, অনুপমা। ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। মা হারানোর দুঃখ ভাগ করে নিলাম।
DeleteIt's my father , Kuntala. Ma ekhono kachei achen. But experience same.
Deleteআমি এক্সট্রিমলি, এক্সট্রিমলি সরি, অনুপমা। আমার ফস করে ধরে নেওয়া উচিত হয়নি। অবশ্যই, অভিজ্ঞতা এক। ওই সম্পর্কগুলোর সাবস্টিটিউট হয় না।
DeleteNischoi hashchhe, bolo?
ReplyDeleteহো হো করে, অর্পণ। একেবারে নাকের জলে চোখের জলে হয়ে হাসছে।
DeleteLekha ta pore majhe majhei haschhilam, sesh hole kemon golar kachhe ekta kichhu atke gelo. Maa baba ra jeno ebhaei bhalo thake, haste thaken. :Papiya
ReplyDeleteহ্যাঁ, আর কিছু চাওয়ার নেই, পাপিয়া। দিতেও পারব না।
Deleteএ কষ্ট তো চিরদিনের, অনিন্দ্য।
ReplyDeleteআছেন তো, অন্য কোনো ডাইমেনশনে আছেন। এই ডাইমেনশনে তুমি যেমন চাইছো কাকিমা আনন্দে থাকুন অন্য ডাইমেনশন থেকে উনিও চাইছেন, কিংবা কে বলতে পারে টেরও পাচ্ছেন তোমার চাওয়াটা।
ReplyDeleteকে জানে। পেলে তো ভালই, প্রদীপ্ত।
Deleteখুব সুন্দর লেখা (যথারীতি)।
ReplyDeleteবহুদিন ধরে 'মানুষ কিকরে চেনা যায়' বেপারটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে চুল পাকিয়ে ফেলেছি। (এখন স্মার্ট হয়ে গিয়ে হয়ে নতুন প্রশ্ন বানিয়ে নিয়েছি - 'চিনতে কেন হবে, অত চেনার কি দরকার'। এই এপ্রোচ টা বেশি সুবিধেজনক।)
যাই হোক, তখন একটা থিওরি বানিয়েছিলাম: "কিভাবে, কেমন করে, হাসে বা হাসতে পারে সেটা দেখো"। আপনার লেখাটা সেটা মনে করিয়ে দিলো।
আর মানুষের চলে যাওয়াটাতে আমাদের কোনো হাত নেই। কিন্তু আমার মনের মধ্যে তার অস্তিত্ব টা আমাদের আমাদের একদম নিযস্য। ওটা কেউ নিতে পারবে না। আপনার বিভিন্ন লেখার মাদ্ধমে যখন আপনার চেনা মানুষদের অস্পষ্ট একটা ছবি একটু একটু করে ফুটে ওঠে, সেইসব মানুষদের একটা নতুন অস্তিত্বর সৃষ্টি হয় সম্পূর্ণ অজানা মানুষদের মনেও। এক সুন্দর আশ্চর্য কি নয় এটা !
খুবই সুবিধেজনক, এবং একমাত্র সুবিধেজনক অ্যাপ্রোচ বলে আমার ধারণা, রাজর্ষি। চিনতেটিনতে গিয়ে নাহক জটিল করা জীবনকে। কোনও দরকার নেই।
Deleteচেনা মানুষদের চেনাতে যদি পারি, তার থেকে আনন্দের খুব কম ব্যাপার আছে আমার জীবনে। আমার চেনার (যদিও একটু আগেই একমত হলাম যে চেনাচিনি সম্পূর্ণ বাহুল্য) আমার মতে অনেক সোজা উপায় হচ্ছে এই মানুষগুলোকে চেনা, কারণ আমি আফটার অল, এদেরই প্রোডাক্ট।