বাসে যেতে যেতে
পোস্ট ছাপা হয়ে যাওয়ার বারো ঘণ্টা বাদে জিকে টু-র থার্ড ওয়েভ-এর দোতলায় বসে, ডাবল এসপ্রেসোতে চুমুক দিয়ে অর্চিষ্মান বলল, বাঙালত্ব নিয়ে এত দেমাক আর লিখেছ আমি রংপুর থেকে বাসে করে যশোর যাচ্ছি? রংপুর কোথায় আর যশোর কোথায় আইডিয়া আছে?
আছে বৈকি। একটা উত্তরে একটা দক্ষিণে, কিন্তু এ তো আর কাশ্মীর কন্যাকুমারী না। আমি ভেবেছি প্রোজেক্টের টাকা বাঁচাতে ওকে বাসে চড়িয়েই উত্তর থেকে দক্ষিণে পাঠানো হয়েছে বুঝি। ভুল বুঝেছি। অর্চিষ্মান রংপুর থেকে বাসে করে যাচ্ছিল সৈয়দপুর। এয়ারপোর্টেরই বাস। দূর থেকে যাত্রীদের তুলে নিয়ে আসে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে। সেখান থেকে প্লেনে করে ঢাকা, ঢাকা থেকে প্লেনে যশোর। গোটা ঘটনাটা ঘটছিল ওই এয়ারপোর্টেরই বাসে।
রংপুর থেকে বাসে করে সৈয়দপুর যাচ্ছিল অর্চিষ্মান। সিট হয় জানালা নয় আইল। মাঝের সিটে সহকর্মী। সহকর্মীর পাশে একজোড়া মা ও মেয়ে। মেয়ে ম্যাক্সিমাম পাঁচ। বাটিছাঁট। সে সিটে সেটল করে গান ধরল, 'তুমি ডুবে ডুবে আমাকে ভালোবেসো, আমিও তোমাকে ডুবে ডুবে ভালোবাসব'। বাকিটুকু অর্চিষ্মান প্যারাফ্রেজ করেছে হয়তো, ডুবে ডুবে-টুকু ভার্বেটিম।
গাইয়ের মা বললেন, এই গানটা থাক, তুমি বরং অন্য কিছু গাও। যেমন ধর, 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি'। মেয়ের ক্রিয়েটিভিটির গতি রুদ্ধ না করে, শুধুমাত্র গতিমুখ ঘোরানোর চেষ্টার জন্য মায়ের ক্রেডিট প্রাপ্য। কিন্তু তাঁর উচিত ছিল কাছাকাছি ভাবের কোনও গান সাজেস্ট করা। এ যেন হাত থেকে ফুচকার শালপাতা কেড়ে সিন্নির বাটি ধরানো। আলুকাবলি হলে তবু ভেবে দেখা যেত।
কাজেই টেনেটুনে পাঁচ, বাটিছাঁট বালিকা গান ছেড়ে অন্য টাইমপাস খুঁজল। অর্চিষ্মানের সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করল, তোমার ও পাশে কে বসেছে? প্রশ্নকর্তার গান নির্বাচন, চুলের ছাঁট, বয়স ইত্যাদি দেখে অর্চিষ্মান অলরেডি আলাপ করার জন্য উন্মুখ ছিল, নিজেই বলে উঠল, আরেকটা কাকু।
বালিকা বলল, তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি?
অর্চিষ্মানকে অওকাত বুঝিয়ে দিয়ে বালিকা নতুন বিনোদনের খোঁজে নামল। গলাপর্যন্ত ভর্তি বাসে বেশিক্ষণ খুঁজতে হল না। মায়ের কোলে বসেই, সামনের সিটের ওপর জেগে থাকা পুরুষমাথায় হাত বাড়িয়ে টোকা দিতে মাথার মালিক মাথা এবং মনোযোগ ফেরালেন। প্রশ্ন করা হল, আচ্ছা, তোমাকে কি অনেকে 'আই লাভ ইউ' বলে?
বেখাপ্পা সময়ে অর্চিষ্মানের ফোন পেয়ে অবাক হয়েছিলাম। শুনেটুনে মেনে নিলাম। এ জিনিসের একা একা সাক্ষী থাকা অসম্ভব। একা একা কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথায় কিংবা পুরীর সমুদ্রের ওপারে সূর্যোদয়ের সাক্ষী থাকার কাছাকাছি। অর্চিষ্মানের ফিসফিস শুনে বললাম, দুর্বৃত্ত কি আশেপাশে? অর্চিষ্মান ফিসফিস করে বলল, আরে, এখনও বাসে তো। খাওয়াদাওয়া বাথরুম যাওয়ার ব্রেক চলছে।
ফোনে তো ছাদ ফাটিয়ে হেসেছিলামই, ফোন রেখেও ক্ষণে ক্ষণে দমকে দমকে হাসি বেরোচ্ছিল। সপ্তাহখানেক কেটে গেছে, এখনও মনে পড়লেই মুচকি হাসছি। এবং হাসির আড়ালে একটা কৌতূহল ধাক্কা মারছে। ভদ্রলোককে কি সত্যিই অনেকে 'আই লাভ ইউ' বলে? সম্ভবতঃ না। বাসে চড়ে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে চলেছেন যখন উনি সেলেব্রিটি নন, আর সেলেব্রিটি না হলে অনেকে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেমপ্রকাশের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আচ্ছা, অনেকে না হোক, কেউ কেউ কি বলে? বা বলেছে? স্মরণযোগ্য অতীতে? স্মরণাতীত অতীতেও?
এটা আমার অনেকদিনের খটকা। বিদেশে, যেখানে প্রেম প্রভূত ও অবাধ, সেখানে 'আই লাভ ইউ' বলাটা একটা মারাত্মক সিরিয়াস ব্যাপার। লোকে মাসের পর মাস ডেট করে ফেলছে, মুভ ইন করে ফেলছে, লিভ ইন করে ফেলছে, অথচ দাঁতের ফাঁক দিয়ে 'আই লাভ ইউ' বার করছে না। ওইটি বলে ফেলা মানে এমন একটা লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে ফেলা যেখান থেকে আর ফিরে আসার জো নেই। এতদিন যা ছিল খেলা, এবার তা সিরিয়াস। উচ্চপদস্থ, গম্ভীর ও কর্তব্যপরায়ণ। যাবতীয় ফুরফুরানির সমাধি।
আমাদের এখানে আবার উল্টো। আই লাভ ইউ, প্রায় হরির লুটের বাতাসার (বা শ্মশানমিছিলের উড়ো খইয়ের) মতো সুলভ । অন্ততঃ নাটক নভেল সিনেমা সংগীতের স্যাম্পল দেখলে তাই মনে হয় বটে। লোকে 'আই লাভ ইউ' গেয়ে গলা ব্যথা করে শেষে কেটেছেঁটে ইলু ইলু বানিয়ে ফেলেছিল, মনে আছে?
কেউ বলতে পারে ও সব হাঁদামো চলত আপনাদের মান্ধাতার আমলে, এখনকার প্রেমিকপ্রেমিকাদের অত আনকুল পাননি।
এখনকার কিশোরকিশোরী যুবকযুবতীদের (প্রৌঢ়প্রৌঢ়া বৃদ্ধবৃদ্ধাদেরও কেন গণ্য করা হবে না সে অন্য ডিবেট) প্রেমের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে আমার ধারণা শূন্য, কিন্তু আধঘণ্টা আগে ইউটিউবে একজন ফিল্ম পরিচালক জানালেন যে বলিউড লাভস্টোরির বেতাজ বাদশা যশ চোপড়া নাকি বলেছেন, হৃদয় সেকেলে বা একেলে হয় না। আর 'লাভ'-এর কিয়দংশের সঙ্গে যেহেতু হৃদয়ের যোগ নিবিড়, সেহেতু লাভ স্টোরিরও ব্যাকডেটেড বা মডার্ন হওয়া অসম্ভব।
এটা আমিও মানি। প্রেমভালোবাসার যেটুকু বদলেছে তা খোলস। পোশাক, মেক আপ, ভাষা, প্রকাশভঙ্গি। অপেক্ষা, অধিকারবোধ, আকাঙ্ক্ষা, ঈর্ষা - এইসব রক্ত মাংস মজ্জা রয়ে গেছে অবিকল। তাহলে বলতে হবে আমাদের এখানে 'আই লাভ ইউ' এখনও বাতাসা বা খইয়ের মতো সস্তা।
অবশ্য নাটকনভেলসিনেমাসংগীত রিয়েলিটির রিপ্রেজেন্টেটিভ নাও হতে পারে। 'তোমাকে চাই'-এর কুড়ি বছরপূর্তি উদযাপনের একটা অনুষ্ঠান দুই না তিন খেপে ইউটিউবে আছে। কবীর সুমন, শুভেন্দু মাইতি, হিরণ মিত্র, শ্রীকান্ত আচার্য, রূপঙ্কর ও সুজন মুখোপাধ্যায় মিলে গানটান গান, ছবিটবি আঁকেন, স্মৃতিচারণাটারণা করেন, দিব্যি লাগে। সেখানে কবীর সুমন বলছিলেন, শেষ কোন সিনেমায় প্রেমিক প্রেমিকাকে বা ভাইসি ভার্সা, স্পষ্ট উচ্চারণে, রাখঢাক না রেখে, মেটাফর সিমিলির ধার না ধেরে, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলেছে দেখাও দেখি?
সকলেই নিরুত্তর রইলেন। আমিও স্মৃতির ওপর দায়সারা স্ক্যানার চালিয়ে এলাম, এ রকম কিছু শুনেছি বা দেখেছি মনে পড়ল না। অর্থাৎ না নেচে, না গেয়ে, না কেটেছেঁটে, স্পষ্ট করে, আর পাঁচটা ডালভাত কথার মতো 'আমি তোমাকে ভালোবাসি' বলাটা চিরদিনই শক্ত। তখনও, এখনও। তাই যদি হয় ধরে নেওয়া যায় বাসের ভদ্রলোককেও অনেকে, অনেকে তো ছাড়ুন, কেউই, উঠতেবসতে খেতেশুতে 'আই লাভ ইউ' বলছে না।
মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ যত দিন যাচ্ছে তত স্পষ্ট হচ্ছে ওই তিনটি শব্দের গুরুত্ব, বা তিনটি শব্দ দিয়ে যে অনুভূতিটির গ্যারান্টি প্রকাশ পায়, সেটা মানুষের সারভাইভ্যালের জন্য কী অসামান্য পরিমাণে নন-নেগোশিয়েবল। অবান্তরে অনেকবার বলেছি, অনেকদিন আগে একজন লিখেছিল, কে কার সঙ্গে থাকে সে এক রহস্য। কথাটা তখন খুব মনে ধরেছিল, এখন মনে হয় রহস্যটা সেটা নয়। খুব উদ্ভট কিছু না হলে একটা বিরাট রেঞ্জের জনগণ একটা বিরাট রেঞ্জের জনগণের সঙ্গে থেকে যেতে পারে। সোলমেট, টুইন ফ্লেমটেম টোটাল টুপি।
আসল রহস্যটা হচ্ছে কেন থাকে। ভালো সম্পর্কে, মন্দ সম্পর্কে, যেখানে আদৌ কোনও সম্পর্কই নেই সে রকম সম্পর্কে? একলা নিজের সঙ্গে থাকতে পারে না বলে? নিরাপত্তা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা, সামাজিক বৈধতার মুখ চেয়ে? আমি চলে গেলে ওর কষ্ট হবে নিজেকে এইসব ভুজুং দিয়ে? নাকি যত কেরামতি ফ্রয়েডের চ্যালাদের সেই ফেভারিট তিন অক্ষরের কুমিরছানার, যা নাকি আমাদের জীবনমরণ নিদ্রাজাগরণ নিজের কড়ে আঙুলের ডগায় বাঁইবাঁই ঘোরাচ্ছে? বাংলায় ধরলে আড়াই অক্ষর, একটা মুক্ত একটা যুক্ত মিলিয়ে। স-এ কার, ক-য় স-য়।
একমত নই। শুধু সেক্সের ভরসায় থাকলে মোহ ঘুচতে ছ'মাসের বেশি লাগত না। অথচ লোকে বছরের পর বছর থেকে যায়। নারকীয় যন্ত্রণা সয়ে। এর দায় সেক্সের হতে পারে না। নিরাপত্তা, প্রতিষ্ঠাটতিষ্ঠারও না, কারণ দিব্যি নিরাপদ ও প্রতিষ্ঠিত লোকজন নিয়মিত এ কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে। আঙুল ধরে নিজেদের ধ্বংসের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে আসে।
আসল কালপ্রিট সেই চার অক্ষরের আনকুল অনুভূতিটি। লোকে ভালোবাসার জন্যে কী পরিমাণ হন্যে, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। কেন হন্যে তারও একটা থিওরি খাড়া করেছি মাথার ভেতর, কিন্তু সে নিয়ে এখন ফ্যানাতে ইচ্ছে করছে না। পরে কোনওদিন দেখা যাবে।
বাস্তব যা-ই হোক, মনে মনে চাইছিলামও যে ভদ্রলোক বিশ্বপাকা বাটিছাঁটকে বুক ফুলিয়ে বলে উঠতে পারুন, হ্যাঁ বলে তো। অনেকে যদি নাও হয়, দু’চারজন, এমনকি একজন হলেও চলবে, যারা ওঁকে মাঝেসাঝেই 'আই লাভ ইউ' বলে। এক বা একাধিক মানুষ ওঁর জীবনেও আছে যাঁদের উনি রেগুলার ইন্টারভ্যালে, শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার স্বাভাবিকতায় জানাতে পারেন যে উনি তাঁদের ভালোবাসেন। যদি জানানোতে কোনও পক্ষের মিস হয়ে যায়, যেন উল্টোপক্ষের সে কনফিডেন্স থাকে, আজ রাতে কী রান্না হবে-র সাবলীলতায় নিজেরাই প্রশ্ন করে উত্তরটা ঝালিয়ে নিতে পারেন।
লিখতে গিয়ে মনে হল, পৃথিবীতে সম্ভবতঃ এই একটি প্রশ্নই আছে, উত্তর সম্পর্কে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে যেটা করা যায় না। সে জন্যই বোধহয় অতবার মাকে জিজ্ঞাসা করতাম, তুমি আমাকে ভালোবাসো? আগের মতো ভালোবাসো? উত্তরে কখনওই সারপ্রাইজ থাকত না, তাতে আশ্বাস একচিলতে কমেনি।
অর্চিষ্মান বলল, গল্পটার শেষটা তোমাকে বলা হয়নি। শেষটা হচ্ছে, ঢাকা এয়ারপোর্টে নামার পর এক মহিলাকে দেখে বাচ্চাটি নাকি 'নানিইইইইইই' বলে দৌড়ে গিয়ে মারাত্মক আষ্টেপৃষ্টে জাপ্টে ধরেছিল। বেসিক্যালি, ঈদের ছুটিতে মামাবাড়ি যাওয়া হচ্ছিল। সেই দৃশ্য দেখে অর্চিষ্মান নস্ট্যালজিক হয়ে মামাবাড়ি যাওয়ার ওনলি প্রস এবং নো কন্স নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করতে করতে যশোরের প্লেনের দিকে হেঁটেছিল।
Lojja Ghrina Raag-er pore etao bujhi thaake?
ReplyDeleteমনে তো হচ্ছে সেটাই থাকে। শুধু থাকে না, ঘেঁটি ধরে চালায়। সে জন্য কেয়ারফুলি হ্যান্ডল করা দরকার। বাস্তবে উল্টোটাই করে সবাই। যত্রতত্র, যথেচ্ছা। কাজেই ডিজ্যাস্টার।
Deleteআ্যদ্দিন দেখিনি। কেন যেন আগে নতুন পোস্ট এলেই মেল পেতাম, এখন সে মেল পোস্টম্যান কাকুদের মতোই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ReplyDeleteমোক্ষম উপমা, হীরক। আমাদের বাড়িতে যিনি আসতেন, সুজিত নাম ছিল বোধহয়। নতুন ব্লগপোস্টের মেল নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিয়েছে গুগল বহুদিন। এখন উদ্যোগ করে আসতে হবে। আসবেন মাঝে মাঝে, আমার ভালো লাগবে।
Deleteঅবশ্যই। দিল্লিতে শুনলাম আকাশ ভেঙে বৃষ্টি এসেছে। এখানে কাকমারা গরম। ভালো থাকবেন। একটা tweeter হ্যান্ডেল খুলুন না, মাঝে মধ্যে কড়া নাড়বেন।
Deleteওরে বাবা, অত ভিড়ে আমি যাচ্ছি না। শুধু তো ভিড় না, টুইটার ভিড়ে আবার ইংরিজিতে কথা বলতে হয়। মাপ করুন।
Deleteদিল্লিতে আবহাওয়া মনোরম বটে। সে জন্য আমরা মনের সুখে মিশন ইম্পসিবল্ দেখে বেড়াচ্ছি।
বাসের মেয়েটার বেপারটা পুরো সত্যি?
ReplyDeleteবিশ্বাস হচ্ছে না!
দুর্দান্ত, অসাধারণ!
এটা শেয়ার না করলে মনে মনে প্রচুর দোষ-দোষান্ত করতাম।
"কে কার সঙ্গে থাকে" এই বেপারে প্রচুর বিশ্লেষণ তৈরী করা যায়। আমিও নিজের মতামত জানানোর সুযোগ হাতছাড়া করি কেন, এই ভেবে শুরু করেছিলাম লিখতে। কিছুটা লেখার পর মনে হলো এর চেয়ে ফাঁকি দেওয়া এক লাইন লিখে কাজ সেরে ফেলা অনেক সহজ - "যারা থাকে তারাই জানে, আর যারা থাকেনা তারাই জানে"।
"কেন হন্যে তারও একটা থিওরি খাড়া করেছি মাথার ভেতর ... পরে কোনওদিন দেখা যাবে" - শুনবো পরে, যদি বলেন। আগেই বলে রাখছি, একদম একমত হবো না, দ্বিমত হওয়া বেশি রোমাঞ্চকর (হ্যাঁ, এখনো), কিন্তু শুনতে ভালো লাগে।
মুরাকামির একটা পার্সপেক্টিভ মনে এলো, যেটা আমার দারুন লেগেছিলো কম বয়েসের প্রেম-ভালোবাসা জন্যে: "Any one who falls in love is searching for the missing pieces of themselves"।
অন গড ফাদার মাদার সত্যি, রাজর্ষি। আপনার রিঅ্যাকশন স্বাভাবিক। তিন্নি পড়ে ফোন করে জানতে চেয়েছে ঘটনাটা সত্যি নাকি আমি রং চড়িয়েছি । একটুও চড়াইনি। এবং অর্চিষ্মান দাবি করছে বাসে উঠে সে মেয়ের 'ডুবে ডুবে' গান ধরার যা ইম্প্যাক্ট, তার এক শতাংশও ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি বিশ্বাস করেছি।
Deleteচমৎকার লাইন বললেন। থাকাথাকি নিয়ে ভেবে না-ভেবে লাভ নেই। ব্যাখ্যা মিলবে না। ব্যাপারটা বাস্তবিক দিল্লি কা লাড্ডু।
মুরাকামির সঙ্গে আমি একশো শতাংশ একমত। আমি শুধু "কম বয়সের" অংশটা তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। সব বয়সের প্রেমেরই ওই এক কারণ। নিজের ভেতরের গর্ত ভরানোর দুরাশা।
সত্যিই কে যে কার সাথে কেন থাকে এ প্রশ্নের উত্তর বোধহয় হয় না। উপরের বক্তব্যটিই মনে হয় সঠিক।
ReplyDelete-প্রদীপ্ত
তাই তো মনে হয়, প্রদীপ্ত।
Deletedube dube gaan ta peyechi, khub i popular dekhlam, ek search ei 6-7 ta link chole elo: https://www.youtube.com/watch?v=oJcfdIJ36xE
ReplyDeleteby the way hulo ar ei konyar modhye khub mil pacchi.. ki confience
ডুবে ডুবে গানটা অর্চিষ্মানও খুঁজে বার করেছে। সাড়ে চারশো মিলিয়ন না কত ভিউস। আমি পুরোটা শুনতে পারিনি। অর্চিষ্মান লুপে শুনছে।
Deleteহুলোর সঙ্গে বাটিছাঁট বালিকার মিলটা আমার মাথায় আসেনি। মিলটা রিয়েল বটে।
https://youtu.be/oJcfdIJ36xE
ReplyDeleteSumana
🙂
Delete১। আমি আপনার লেখার গুণমুগ্ধ ভক্ত।
ReplyDelete২। রংপুর থেকে বাসে সরাসরি যশোর যাওয়া যায়। ৬/৭ঘন্টা সময় লাগে।
৩। অর্চিষ্মান'দার বাংলাদেশে আসার সংবাদে আমি আনন্দিত। আশাকরি কখনো আপনিও উনার সংগী হবেন। বাংলাদেশে আসলে অবশ্য-ই জানাবেন। আপনাদের সাথে দেখা করতে পারলে খুব খুশী হবো।
৪। ভালো থাকবেন, লেখা চলতে থাকুক। ছোট ছোট, টুকরো টুকরো গল্প গুলো, খুব ভালো হয় আপনার। বিশেষ করে, আপনার ভ্রমণ কাহিনী আমাকে খুব টানে...
আরমান, উত্তর দিতে দেরি হল। আপনার কমেন্ট মন ভালো করে দিল। বাংলাদেশ আমার খুবই দেখার ইচ্ছে, বিশেষ করে ঢাকা আর বরিশাল, বাড়িতে এত গল্প শুনেছি। অর্চিষ্মান খুব ভালোবাসে বাংলাদেশ যেতে। আরও বেশি করে, খেতে।
Deleteআবারও অনেক ধন্যবাদ, অবান্তর পড়ার জন্য, ভালোলাগা জানানোর জন্য। থ্যাংক ইউ।