বেড়ানোর আগে
কে কত ভালো বেড়াবে তা নির্ভর করে কে কত ভালো লিস্ট বানাবে তার ওপর।
এটা আমার বাবার মত। আমার বাবা খুব ভালো লিস্ট বানান। লোকে
বলবে তা তো বানাবেনই, তোমার বাবা যখন। কিন্তু বাবার লিস্টের
সঙ্গে আমার লিস্টের কোনও মিল নেই। প্রথমত, বাবার লিস্টের
কোনও খাতা নেই। দ্বিতীয়ত এবং ইমপরট্যান্ট অমিলটা হচ্ছে রোজ সকালে উঠে সে লিস্টে
আগামী ষোলঘণ্টায় ষোলহাজার কাজ গোঁজার অ্যাম্বিশন নেই বাবার, কাজেই
রোজ রাতে সে লিস্টের দিকে তাকিয়ে হাত পা পেটের ভেতর সেঁধোনো প্যানিকও নেই। কী
করবেন আর কী করবেন না, সারাজীবনের নিরিখেই বাবার সে ধারণা
খুব স্পষ্ট, প্রতিদিনের নিরিখে তো বটেই। সেই কাজগুলো একটা
নির্দিষ্ট ছন্দে, নিয়মিত করে যাওয়াই বাবার লিস্ট।
যেমন সকালে উঠে মশারির ভেতর বসে বসেই কর গুনে
গায়ত্রীমন্ত্র বিড়বিড় করবেন বাবা। (বাবা মোটেই ধার্মিক নন, বহুদিন হল পৈতেও ত্যাগ দিয়েছেন, কিন্তু পৈতের দিনে
শেখানো সকালে উঠে বিড়বিড়িয়ে গায়ত্রী মন্ত্র বলার অভ্যেসটা ছাড়তে পারেননি।) তারপর এককোয়া রসুন সহযোগে এক বড় গ্লাস জল খাবেন। দাদু মারা যাওয়ার পর মা ঠাকুমা
দাদুর বিটকেল ভারি কাঁসার গেলাস তুলে রাখার ষড়যন্ত্র করেছিলেন, বাবা তাতে জল ঢেলে এখনও সেটা ব্যবহার করে চলেছেন। শীতকাল হলে রসুনের পর
একচামচ চ্যবনপ্রাশ বা মধু। তারপর মেরি বিস্কুট দিয়ে চা। বাবা জানেন বিস্কুটটার নাম
আসলে মারি, মেরি নয়। কিন্তু বাবা কোনওদিন মারি বলবেন না।
যেমন বাবা কোনওদিনও মামলেটকে অমলেট বলবেন না। চা খেতে খেতে বাবা কাগজ পড়বেন। তেল মেখে
স্নান করবেন। নিজের গায়ে মাখার আগে ক্যারামের গুটি চালানোর ভঙ্গিতে মাটিতে তেলের
ছিটে দেবেন। (এটাও অভ্যেস। অমর অশ্বত্থামা নাকি মাটির তলায় শুয়ে তেলের অভাবে
শুকিয়ে কাঠ হচ্ছেন, অমরত্বের অভিশাপে মরে জ্বালা জুড়োনোর
উপায় নেই। তাই স্বার্থপরের মতো একলা না মেখে সে বেচারাকেও একটু তেলের ভাগ দেওয়া)।
অফিস (এখন বাজার/ব্যাংক/আড্ডায়) যাওয়ার আগে সিঁড়ির তলা থেকে সাইকেল
নিয়ে সিটখানা একবার ঝেড়ে নিয়ে নিজের মনে "টাকা পয়সা রুমাল
চিরুনি পেন চাবি মান্থলি আইডেনটিটি কার্ড" (এখন শেষ
চারটে আইটেম বাদ) আবৃত্তি করবেন। এই সময় বাবার ভুরুটা সামান্য কুঁচকে থাকবে। বাবার অলরেডি গম্ভীর মুখটা আরও
গম্ভীর দেখাবে। মনে হবে বাবা রেগে গেছেন। কিন্তু বাবা রাগেননি। বাবা আসলে
কনসেনট্রেট করছেন। প্রতিটি শব্দ উচ্চারণের সঙ্গে বাবার মগজ থাবড়ে থাবড়ে দেখে
নিচ্ছে যে সবাই ঠিক ঠিক জায়গায় আছে কি না। প্যান্টের পকেটে চাবি, রুমাল, বুকপকেটে মানিব্যাগ, মানিব্যাগে
আই কার্ড, টাকা। আমি সারাজীবনে বাবাকে অন্ততপক্ষে লক্ষবার বাড়ি
থেকে বেরোতে দেখেছি, কিন্তু মাঝরাস্তা থেকে “এই
যাঃ ওই জিনিসটা নিতে ভুলে গেছি” বলে দৌড়ে বাড়ি ফিরতে একদিনও দেখিনি।
যাই হোক মোদ্দা কথা হচ্ছে, খাতায়কলমে প্রমাণ না
থাকলেও বাবার সারাটা দিন একটা সুনির্দিষ্ট লিস্ট ধরে চলে। মাঝে মাঝে,
স্পেশাল কেসে বাবা হাতেকলমে লিস্ট বানান। যেমন বেড়াতে যাওয়ার সময়। অথচ আমার ধারণা বেড়াতে যাওয়ার জন্যই
বাবার সবথেকে কম প্ল্যানিং দরকার। বেড়াতে যাওয়াটা বাবার রক্তেমজ্জায়
এমনভাবে ঢুকে গেছে যে ভারতবর্ষের ভেতরের কোনও জায়গার যাওয়ার জন্য দশমিনিটের নোটিসই বাবার পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু বাবা কক্ষনও ওভাবে বেড়াতে যান না।
প্রচুর আঁটঘাট বাঁধেন, জায়গাটা সম্পর্কে অন্তত মাসতিনেকের
রিসার্চ চালান। তারপর দিনসাতেক বাকি থাকতে লিস্ট বানাতে বসেন। কী কী নিয়ে বেড়াতে
যাওয়া হবে। সে লিস্ট বানানোর নিয়ম আছে। যেমন তেমন করে লিখে গেলে চলবে না। তাতে
আইটেম মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। সকাল থেকে কী কী লাগতে পারে সেই ভেবে শুরু করা
হবে। টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, তোয়ালে,
চিরুনি, ওষুধ, গামছা,
হাওয়াই চটি। একেকটা জিনিস ব্যাগে ঢুকবে আর সেই জিনিসের নামের ওপর
পরিচ্ছন্ন একটা টিক পড়বে। কাটা দাগ নয়, টিকচিহ্ন। কাটাচিহ্ন
পড়বে ফেরার পথে। যখন সেই লিস্ট দেখে দেখে আবার জিনিস ব্যাগে ঢোকানো হবে। তখন একটি
পরিষ্কার দাগ দিয়ে জিনিসটার নাম কেটে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কি না এবারের বেড়ানোয় তাদের অবদান শেষ।
প্যাকিং করার লিস্ট হয়তো অনেকেই করে। কিন্তু আমার বাবা
আরও নানারকম লিস্ট করেন। টাইমটেবিল বার করে যে সব স্টেশন দিয়ে ট্রেনটা যাবে তাদের
সবগুলোর নাম লেখেন। ছোটবড় নির্বিশেষে। বড় স্টেশনগুলোর পাশের কলামে টাইম লেখা হয়।
ট্রেন কখন ঢুকবে, কখন বেরোবে। সে সব স্টেশনে পৌঁছে সবাই
যখন জানালা দিয়ে ঘাড় বার করে চা-ওলা খুঁজবে ট্রেন কত লেট জানার জন্য তখন আমার বাবা
পকেট থেকে একতাড়া কাগজ বার করবেন। মোগলসরাইয়ে গাড়ি ঢোকার কথা ছিল পাঁচটায়, এখন বাজে সাতটা। এর পরেও যারা আশা করে এ দেশের কিছু হবে তারাই পাগল। আমার
বাবা নন।
কিন্তু লোকে নিশ্চয় বাবাকেই পাগল ভাবে। আমি অন্তত ভাবতাম।
বাবার এই গুনেগেঁথে বেড়াতে যাওয়ার অভ্যেসকে ভয়ানক হেলার চোখে দেখতাম। আমার মনে হত
বেড়াতে যদি যেতেই হয় তাহলে বোহেমিয়ানদের মতো করে বেড়ানো উচিত। এই মনে হবে বেড়াতে
যাব, এই পায়ে চটি গলিয়ে বেরিয়ে পড়ব। আমার খুব শখ ছিল বড় হয়ে বোহেমিয়ান হওয়ার। খুব
আফসোস হত, বাবা যে কেন বোহেমিয়ান হতে পারেন না।
এখন আর হয় না। এখন আমিও বেড়াতে যাওয়ার আগে বাবার মতো যত্ন
করে লিস্ট বানাই। বোহেমিয়ান হওয়ার শখ ঘুচে গেছে বলে নয়। মধ্যবিত্তের মতো খুচরো
গুনে বাঁচা অভ্যেস হয়ে গেছে বলেও নয়। অন্য একটা কারণের জন্য। আমি নিশ্চিত বাবাও যে
কারণটার জন্য প্রত্যেকবার অত ঘটা করে লিস্ট বানান।
কারণ ওই লিস্ট বানানোর ছল করে বাবা আরেকবার জায়গাগুলোয়
বেড়িয়ে আসতে পারেন। লিস্টে মোগলসরাইয়ের নাম আর ট্রেনের সময় লিখতে লিখতে বাবা আসলে
মোগলসরাই পৌঁছে যান। ট্রেন একেবারে টাইমে ঢুকেছে। খবরের কাগজ আর চাওয়ালারা ভয়ানক
চেঁচামেচি লাগিয়েছে। বাবা ট্রেন থেকে নেমে চা খেতে গেছেন। চায়ের দোকানের কাঁচের
বাক্সের ভেতর সামোসা। নির্ঘাত কাল সন্ধ্যের বাসি। কিন্তু বাবার ইছে করছে খেতে।
বাবা সকাল ছ’টায় মোগলসরাই স্টেশনে দাঁড়িয়ে অম্লানবদনে বাসি
সিঙাড়া খাচ্ছেন। লিস্টে টুথব্রাশ টুথপেস্ট লেখা হচ্ছে। হোটেলের ঘরে সবাই ঘুম থেকে
উঠেছি। মা দাঁত মাজতে যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছেন। এদিকে বাথরুমে গিজারের সুইচ খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা রিসেপশনে ফোন করছেন। মা জিজ্ঞাসা করছেন "ছাতা নিতে হবে নাকি? যদি বৃষ্টি হয়?" বাবা বলছেন, "নিয়ে নাও, জাগা
তো আছে অনেক" (সব বাঙালই জায়গাকে 'জাগা' বলে কি?) আর আমরা পুরীর
সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। মায়ের নীল রঙের সিল্কের শাড়ির আঁচল পতপত করে পতাকার
মতো উড়ছে। সমুদ্রের ওপরে দৈত্যের মতো কালো মেঘ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, বড় বড় জলের ফোঁটা বাণের মতো বিঁধে যাচ্ছে বালির বুকে। আমার হাতে ধরা ছাতা
এই উল্টোলো বলে। সারাটা জীবনকে সায়েন্টিফিক্যালি ব্যাখ্যা করা আমার মা আমাকে
দেখিয়ে দিচ্ছেন, হাওয়া কোন দিক থেকে আসছে, ছাতা কোনদিকে মুখ করে ধরতে হবে।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় প্লেন। সোমবার অফিস থেকে ফিরে
ইচ্ছে করবে না তাই রবিবার সন্ধ্যে হতে না হতেই আমরা লিস্ট বানাতে শুরু করলাম। সকাল
থেকে কী কী লাগবে? থ্রি জি ব্যালেন্স, ফোন, চার্জার, চপ্পল, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট। মাথা খাটিয়ে লিখছি আর গরম চায়ে
চুমুক দিচ্ছি। সি আর পার্কের দোতলার ভাড়াবাড়ি মুছে গিয়ে ফুটে উঠছে দিগন্তবিস্তৃত
কাজিরাঙার জঙ্গল, চাবাগানের মাথায় সাদা মিহি মশারির মতো
কুয়াশা নামছে। আমরা ঘরের কম্বলের তলায় পা গুঁজে বসে ফোন কানে তুলে বলছি,
"ভাইসাব, দো চায় ভেজ দিজিয়ে। চিনি অলগসে
দেনা প্লিজ।”
সোমবার সারাদিন অফিসের ফাঁকে ফাঁকে প্রস্তুতি চলল। মাস
দেড়েক আগে কেটে রাখা টিকিট ইনবক্স হাতড়ে খুঁজে বার করা হল। গেস্ট হাউসের পাঠানো
অগ্রিম ভাড়ার রসিদ। তারপর দেখি অর্চিষ্মান নামের একজন একটা মেল
পাঠিয়েছে। মেরুক্যাব বুক হয়ে গেছে। রাত তিনটেয় আমাদের বাড়ি থেকে পিক আপ করবে। তখন
সত্যি মনে হচ্ছিল তিনটে পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে পারব না। এই মুহূর্তে পাঁচতলার
জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে উড়তে উড়তে একেবারে গণ্ডারের পিঠে গিয়ে চড়ি।
প্লেনের টাইমিংটা উৎকট, কিন্তু একদিক থেকে
ভালোই। দিল্লির আকাশে নোংরা কুয়াশা দৃশ্যমান হওয়ার আগেই প্রাণ নিয়ে পালানো যাবে।
সমস্যা হচ্ছে জেগে থাকা। আমি নিজেকে জানি, তেড়েফুঁড়ে রাত
জাগব বলে ফ্লাস্কভর্তি চা নিয়ে বসলেও এগারোটা বাজতে না বাজতে ঢুলতে শুরু করব। এই
সব কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্যই নির্ঘাত আমার আর অর্চিষ্মানের দেখা হয়েছিল।
অর্চিষ্মান স্বাভাবিক রাতেই দুটো অবধি জেগে থাকে। স্পেশাল কেসে তিনটে পর্যন্ত টেনে
দেওয়া ওর পক্ষে কোনও ব্যাপার না। আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চলে গেলাম। অর্চিষ্মান
পাহারায় রইল।
সোয়া দুটো। অর্চিষ্মান ডেকে দিয়েছে। আমাদের দাঁত মাজা
সারা। টুথপেস্ট টুথব্রাশ ব্যাগে ঢুকিয়ে লিস্টে টিক দিয়ে দিয়েছি। এস এম এস এসে
গেছে। বিজয়কুমারজী গাড়ি নিয়ে সি আর পার্কে ঢুকে গেছেন। কিন্তু রাতের বেলা বেশিরভাগ
গেট বন্ধ তাই বাড়ির সামনে পৌঁছতে পারছেন না। অর্চিষ্মান মাথায় টুপি চাপিয়ে তাঁকে
পথ দেখাতে গেল। আমি লিস্ট দেখে দেখে না হাওয়াই চটি ফোন ফোনের চার্জার ব্যাগে
ঢোকালাম। সকেট থেকে প্লাগ টেনে টেনে খুললাম। জানালা দরজার ছিটকিনি, গ্যাসের নবে হাত বুলিয়ে দেখলাম সবাই বন্ধ আছে কি না। অর্চিষ্মান ফিরল।
“আমি আরেকবার দেখে আসি, হ্যাঁ?” বলে ছিটকিনি আর গ্যাসের নবে হাত বুলোতে গেল। আমি মাফলার পেঁচাতে পেঁচাতে
শেষবারের মতো চারপাশ জরিপ করলাম। খাট ওয়ার্ডরোব টেবিল টিভি বুককেস। যে যেখানে
থাকার সেইখানে আছে। পাঁচরাত আর ছ'দিন বাদেও যেন থাকে ঠাকুর।
অর্চিষ্মান বেরিয়ে এল। শেষবারের মতো টিকিট আর আই ডি কার্ড। সব নেওয়া হয়েছে। সত্যিই
আর কিছু বাকি নেই।
রেডি? রেডি। খোলা লিস্টের
ওপর রাখা পেনটা তুলে নিলাম। দুটো আইটেম বাকি আছে। সে দুটো কেটে দিলাম। খাতা আর
পেন। তারা আমার কাঁধের ব্যাগে ঢুকে গেল।
বেড়ানো শুরু হয়ে গেল।
(চলবে)
bah. series ta jombe mone hoechhe...
ReplyDeletesml
porichoy ta prai prokash hoe gechilo. geche kina jani na. asha kori stalk korbe na...
হাহাহা, এক্কেবারে না, এস এম এল। পৃথিবীর সবথেকে কম কৌতূহলওয়ালা লোকেদের লিস্টের প্রথম দশে আমার নাম থাকবে, একথা আমি নিজে মুখে বলছি। আপনি আমার কাছে এস এম এল-ই ছিলেন, এস এম এল-ই থাকবেন। নো চিন্তা।
Deletecomment korar somoy logged in chilam. publish kore dekhi amar nam dekhachhe. :P torighori gie profile setup change korlam. anonymous thakar ekta moja ache, seta mathe mara gechilo prai. tobe prothom post ta tumi delete korle na ami profile setup change korte chole gelo seta bhujlam na. delete korle thanku...
Deletesml
তাহলে থ্যাংক ইউ-টা আমি নিলাম।
DeleteEi blog r sathe related mailbox ta ki check koro?
DeleteSml
অ্যাবসলিউটলি করি, এস এম এল। কিন্তু চেক করেও ঘাপটি মেরে থাকি অনেকসময়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। তবে এখন আশা করি উত্তর পেয়ে গেছ।
Deleteবেড়ানোর আগে বাবার তালিকা মেলানোর ব্যাপারটা দারুন লাগল :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, সোমনাথ।
DeleteAaj e shokale Abantor e eshe ghure giyechi. Eto taratari tomar notun post pabo asha korini kintu. Tumi shomoye noshto na kore amader ke beranor golpo shuru diyecho bole ekta boddo kore thank you roilo. Darun laglo pore.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ শর্মিলা। আরে এইসব অকাজের কাজে (মানে যে কাজগুলো করে টাকা পাওয়া যায় না) সেগুলো করার জন্য আমার তৎপরতা হিংসে করার মতো। অবস্য অবান্তরকে শুধু টাকা দিয়ে মাপলে খুব খারাপ হবে, কারণ টাকা না পাওয়া গেলেও ওর থেকে আমি আনন্দ পাই বিস্তর। তোমাদের গল্প শোনানোর জন্য আমার তর সইছিল না। তোমার সে গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব খুব খুশি হলাম। আশা করি পরের অংশগুলোও ভালো লাগবে।
DeleteTomar baba'r beranor listi bananor byapar ta daroon. kintu tar cheyeo beshi proshongshonio onar honton mere nuton shohor, jayga ba surroundings ta ghure dekha'r byapar ta. ei ta tomar ekta post e porar por amar eto bhalo legechilo je aami aajkal anusoron korchhi.
ReplyDeleteহ্যাঁ, বাবার বেড়ানোর ধরণে বেশ নতুনন্ত্ব আছে, শম্পা। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমি যখন বাবার সঙ্গে বেড়াতে যেতাম তখন ওই ধরণটাকে একটুও অ্যাপ্রিশিয়েট করতাম না। খালি মনে হত এত হাঁটার কী দরকার, এর থেকে সাইটসিয়িং-এর গাড়িতে চড়ে বসলে কত কম সময়ে কত বেশি জিনিস দেখা হয়ে যেত। বাবার মতো করে দেখলেই যে বেশি দেখা হয় সেটা অনেক পরে বুঝেছি। যেটা আরও পরে বুঝেছি সেটা হচ্ছে বাবা আমাদের মুখ চেয়েই কতবার হাসিমুখে সাইটসিয়িং-এর গাড়িতে চেপেছেন। বাবা খুব খুশি হবেন যে তুমিও বাবার মতো হাঁটছ আজকাল। থ্যাংক ইউ।
DeleteFantastic!!:)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, তিন্নি।
Deletebesh bhalo laglo pore. ami ekhon San Francisco berate berate tuk kore tomar lekhata pore fellam :)
ReplyDeleteআরে বা, চুপকথা। সানফ্রান্সিসকো তো দারুণ শহর শুনেছি। আশা করি খুব ভালো লাগছে।
DeleteDarun legechhilo. Tobe San Francisco r pala sesh kore ekhon ami Puerto Rico chole esechhi. :)
Deleteওরে বাবা। আমার কাছে এ প্রায় চাঁদে যাওয়ার সমান ব্যাপার। খুব ভালো করে ঘোরো, চুপকথা। আর যদি ইচ্ছে করে ফিরে এসে অভিজ্ঞতার কথা লিখো। যাতে আমরা পড়তে পারি।
Deletebon voyage. ek i songe vromon kotha o suspense osadharon hoche. Ko din age kolkata thake katwa gelum, apnar rishra-r upor diye.
ReplyDeleteআরে তাই নাকি, ঘনাদা? দেশে ফিরে তো দারুণ ঘুরছেন তার মানে। ভেরি গুড।
Deletetalika milie neoa amaro obhyes kintu jabar ager chinho ar porer kata dag er byaparta darun laglo. eita mone rakhbo tahole r jinispatro hotel er room e pore thakbena. Train er journey hole sobsomoi ami time table download kori r oi dekhe dekhe somoi melanotao purono obhyes :-) . eita ekkebare thik je eibhabe mone monei onek ghora ghuri hoe jai....
ReplyDeleteবাঃ, আপনারও বেড়ানোসংক্রান্ত অনেক অভ্যেস আমার বাবার মতো দেখতে পাচ্ছি, ইচ্ছাডানা। সশরীরে যাওয়ার থেকে অনেক সময় আমার মনে মনে বেড়ানোটাই বেশি ভালো লাগে।
Deletesakale ghum theke uthe theke kiki lagbe bhebe amio list banate suru kori, tabe tarpor r kono mil nei kaku r list melanor sathe. mane ami kono aproyojoniyo jinis duto nie feli r kono proyojoniyo kichhu bhule jai- etar thekeo sanghatik hochhe je matro duto bag holeo bhule jai kon bag e ki rekhechhi, fale bujhtei parchho je hotel room e list tai khunje pawa jayna, tate abar return tick kora to dur-asto byapar...
ReplyDeleteas usual tomar lekha khub bhalo laglo r abantor e amar sobtheke bhalo lage tomar ei ma-baba nie lekha gulo :) Bratati.
আরে ব্যাগ গোছানো বেড়াতে যাওয়ার সবথেকে বিরক্তিকর অংশ, ব্রততী। কাজেই একটুআধটু ভুল হওয়াই স্বাভাবিক। আমার মাবাবাও খুব খুশি হবেন তাঁদের কথা তোমার পড়তে ভালো লাগে জেনে। থ্যাংক ইউ।
Deleteআরে আপনার বাবাও এরকম লিস্ট বানান? আমি জানতাম শুধু আমার বাবাই এ ব্যাপারে একমাত্র ;)
ReplyDeleteহাহা, বাবাদের লিস্টম্যানিয়ায় হাই ফাইভ, অন্বেষা।
Deleteআমার বাবার লিস্টে থাকে :
Deleteবোরোলীন, কাপড় টাঙানোর দড়ি, ক্লিপ, কাঁচি (ছোট ও বড়), সেফটিপিন ইত্যাদি| মানে যেগুলোকে দেখে মনে হয় না তেমন জরুরী কিন্তু বেড়াতে গিয়ে যেগুলো মারাত্মক কাজে দেয়| :)
চমৎকার লেখা হয়েছে। ঐরকম লিস্ট করে সকালে বেরোনোর চেষ্টা আমিও করে দেখেছি, কিন্তু আমায় মাঝেমধ্যেই “এই যাঃ ওই জিনিসটা নিতে ভুলে গেছি” বলে দৌড়ে বাড়ি ফিরতে হয়। :(
ReplyDeleteআমারও তাই অবস্থা, সুগত।
Deleteচমৎকার , আমি কদিন ঘুরতে যাওয়ায় এইগুলো বাদ পড়ে গেছিল , জমিয়ে রাখলাম বাকি ঘোরার পোস্ট গুলো । আমার ঘোরা অনেকটা বোহেমিয়ান, তাও চেকলিস্ট এর ব্যাপারটা আমিও করি, বেজায় সুবিধে ওতে।
ReplyDeleteঠিক বলেছ, প্রদীপ্তা।
Delete