রেসলিউশন ২০১৬
উৎস গুগল ইমেজেস
রোজ সকালে দিনের দ্বিতীয় আর অফিসের
প্রথম চা নিতে প্যান্ট্রিতে ঢোকার আগে এক সেট কথোপকথন রেডি করে রাখি। দুপুরে কিংবা
বিকেলে এই সতর্কতাটা অবলম্বন করতে হয় না, কারণ ততক্ষণে রক্তে অনেকখানি পলিফেনল, থিয়াফ্লেভিন,
থিয়ারুবিজিন, আরও যা যা খারাপ জিনিস আছে সে সব
মিশে যায়। কিন্তু সকালের ব্যাপার অন্য। পেটে মোটে এককাপ চা নিয়ে এক্সটেম্পোর
সামাজিকতা চালাতে যাওয়া বিপজ্জনক। তাই রেডিমেড কথোপকথন ভরসা। কথোপকথন বেশি
বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়ার দরকার নেই। নমস্তে, গুডমর্নিং, রাধে রাধে আর বলার মতো ঠাণ্ডা, গরম কিংবা বৃষ্টি হলে
সে প্রসঙ্গ, তাছাড়া ঈদ, দশেরা, বিজয়া নববর্ষের সিজনাল শুভেচ্ছা। ইদানীং সেরকমই একটা সিজনাল কথোপকথন চলছে।
“ক্যান ইউ ইম্যাজিন ইট’স অলরেডি ডিসেম্বর?”
প্রশ্নটা বাঁধাগতের, কিন্তু প্রশ্নের শেষে ওই বিস্ময়চিহ্নটা
একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত। যত বুড়ো হচ্ছি, জানুয়ারির পর ডিসেম্বর
তত তাড়াতাড়ি আসছে, আর আমার হাতপা পেটের ভেতর আরও বেশি করে
সেঁধিয়ে যাচ্ছে।
অথচ সেঁধোবার কোনও কারণ নেই। সারাদিন
ঝলমলে রোদ, রাতে লেপের ওম,
সেই একই টাটা গোল্ডের স্বাদ জুন মাসের ঘামপ্যাচপেচে সকালে যতখানি
ছিল এখন হেসেখেলে তার পাঁচগুণ, “দাম ধড়াম!” ছাপা ব্যানারের নিচে সবুজ ক্রেট আর কমলা রঙের লেবুর অসামান্য কালার
কম্বিনেশন, খারাপ লাগার কিচ্ছু নেই কোথাও। তবু আমার ক্ষণে
ক্ষণে খারাপ লাগছে। টেনশনে গলা শুকোচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ছে আরওএকটা বছর চলে গেল। যা
যা করব বলে ভেবেছিলাম, যা যা রেসলিউশন
নেওয়া ছিল ....
এই জন্যই বুদ্ধিমান লোকেরা রেসলিউশন
নেয় না। যেমন আমাদের বান্টি। তোর এবছরের রেসলিউশন কী জিজ্ঞাসা করলে বলে, “কোনও রেসলিউশন না নেওয়াটাই আমার
রেসলিউশন।” আর বান্টির থেকেও যারা বুদ্ধিমান, যেমন আমার বাবা,
তারা জানে আসলে রেসলিউশন নেওয়ারই কোনও মানে নেই। হওয়ার হলে রেসলিউশন
নিলেও হবে, না নিলেও হবে। তা-ই হবে, ততটুকুই
হবে যতটুকু কপালে আছে। না হওয়ার হলে কিছুতেই হবে না।
“আহা, মানুষের
উইলপাওয়ারের একটা দাম নেই? সংকল্পের জোর নেই?”
“আরে বাবা, উইলপাওয়ার
থাকা না-থাকাটাও তো অদৃষ্ট।”
অদৃষ্টই হবে। তাছাড়া আমার এই বছর বছর
ঘটা করে রেসলিউশন নেওয়া আর বছর বছর সে রেসলিউশন রক্ষায় ফেল মারার আর কোনও ব্যখ্যা
নেই। আমার নববার্ষিক রেসলিউশনের প্রথম
নমুনা রাখা আছে পঁচাশি কিংবা ছিয়াশি সালের একটা ডায়রিতে। সাদা মলাটের ওপর কালো পোলকা ডট। আমার জীবনের প্রথম গোপন ডায়রি। অন্তত আমি
সেটাকে গোপন বলেই ভেবেছিলাম, যতদিন না জানলাম যবে থেকে আমি ও
ডায়রি লিখতে শুরু করেছি তবে থেকে মা ও ডায়রি পড়তে শুরু করেছেন। বাবাকেও পড়ে
শুনিয়েছেন। এখনও মাঝে মাঝেই দুপুরবেলা ডায়রিখানা খুলে বসেন। কত দামি দামি জিনিসের মায়া মা কাটিয়ে
ফেললেন, বিয়েতে পাওয়া বম্বে ডাইং-এর সিল্কের শাড়ি বদলে ভাত
রাঁধার হাঁড়ি কিনলেন, বাবার জন্য প্রথম হাতে বোনা সোয়েটার
বিলিয়ে দিলেন, আমার ক্লাস থ্রি-র ভূগোল খাতা সের দরে
বিক্রি করলেন, কিন্তু ওই পঁচাশি সালের ডায়রি প্রাণে ধরে
ফেলতে পারলেন না। আমার মায়ের আজীবনের রেসলিউশনের একটা হচ্ছে ওই ডায়রিটা কোনওদিন
হাতছাড়া না করা।
যাই হোক, সে ডায়রির পেছনের মলাটের ভেতর ম্যাগি না
কীসের সঙ্গে পাওয়া একটা চিতাবাঘের স্টিকার এখনও গোঁজা আছে। ডোরাকাটা নটরাজ
পেন্সিলের ভোঁতা শিসের আঁকাবাঁকা অক্ষরে লেখা আছে আগের সপ্তাহের ছাদের পিকনিকের
মেনু। "সুসংবাদ! সুসংবাদ!! সুসংবাদ!!!" হেডিং-এর নিচে প্রোমোশনের পরীক্ষায় মায়ের পাশ করার খবর। তার পরের পাতাতেই
মায়ের অফিসে যাওয়ার বাসের নম্বর। থার্টি ফাইভ এ। কোনও
দুপুরবেলা খুব দুঃখ হলে যাতে দুনিয়ার মুখে লাথি মেরে মায়ের কাছে চলে যেতে পারি। আর
আমার জীবনের প্রথম রেসলিউশন।
আমি কাল থেকে ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে
উঠব। আমি আর কোনওদিন দুষ্টুমি করব না।
সেই উনিশশো ছিয়াশিতেও রেসলিউশন
নিয়েছিলাম, এই দু'হাজার ষোলতেও রেসলিউশন নেব। এবং এই ভেবেই নেব
যে সে রেসলিউশন রক্ষা করার ক্ষমতা আমার আছে।
কিন্তু রেসলিউশন নেওয়ার আগেও একটা
পর্ব থাকে। আগের বছরের রেসলিউশনগুলোর কী হল, সেটার খবর নেওয়ার। গত কয়েকবছর ধরে এই পর্বটা করে আসছি। একবার ভেবেছিলাম
এবছর করব না। বিশেষ করে যখন আমি নিশ্চিত আমার এ বছরের রেসলিউশনগুলো আমি রক্ষা করতে
পারিনি। সেপ্টেম্বর থেকেই বোঝা গিয়েছিল যে দু'হাজার পনেরোর
আর কিছু হওয়ার নেই। দু'হাজার পনেরোর মতো এমন অঘটনাময় বছর
আমার জীবনে আর কখনও এসেছে কি না আমি জানি না। হ্যাঁ, কোনও
দুর্ঘটনাও ঘটেনি, সেটা একটা ভালো ব্যাপার। কিন্তু ভালো কিছুও
ঘটেনি। ইন ফ্যাক্ট, ঘটনাই খুব কম ঘটেছে।
কিন্তু এই ডিসেম্বরের শুরুতে এসে
কিছু অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করছি। দেখছি, আমি যতখানি নিষ্ফলা
ভেবেছিলাম, দু'হাজার পনেরো আসলে
ততখানিও নয়। কিছু কিছু কাজ এবছর হয়েছে, যেগুলো হওয়ানোর জন্য
আমি হন্যে হয়ে ছিলাম না, কিন্তু হওয়ার পর বুঝতে পারছি হয়ে
ভালোই হয়েছে। সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যে আমি মনেই করতে পারলাম না এই
কাজগুলো আমি করলাম কখন। তারপর মনে পড়ল, কেন কিছু
ইন্টারেস্টিং ঘটছে না সেই দুঃখে অস্থির হয়ে আমি যে ব্যাজার মুখে রোজ সকালবিকেল
কি-বোর্ড পিষছিলাম, তখন হয়েছে কাজগুলো। অযত্নে, অবহেলায়, আগাছার মতো বেড়েছে।
আর এই কথাটা যখনই মনে পড়ল, তখনই অনেক ছোটবেলায় দেখা একটা মন্দিরের
কথাও মনে পড়ে গেল। কোথাকার মন্দির, কোন দেবতার মন্দির সে সব
কিছুই আর মনে নেই। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে মন্দিরটা বোধহয় পুরীর, কিন্তু সেটা কল্পনা হতে পারে। ইন ফ্যাক্ট, আমি যে এই
মুহূর্তে স্পষ্ট টের পাচ্ছি মন্দিরের আলোআঁধারি অভ্যন্তর, পুরনো
ফুল আর বাসি চরণামৃতের গন্ধ, ঠাণ্ডা স্যাঁতসেঁতে শক্ত মেঝের
ওপর খালি পায়ের পাতার অনুভূতি, সেই মেঝে থেকে ছাদ
পর্যন্ত উঠে যাওয়া একটা পুরুষ্টু থামের কালো মসৃণ গায়ে
উঁচু ঘুলঘুলি থেকে এসে পড়া সূর্যের রশ্মি - গোটাটাই কল্পনা হতে পারে। কিন্তু যেটা কল্পনা নয় সেটা হচ্ছে সেই ঠাণ্ডা, কালো পাথরের গায়ে তিনটি অবতল বৃত্তের স্মৃতি। আঙুলের ডগার সাইজের। দুটো পাশাপাশি,
তিননম্বরটা দুটোর মাঝখানে, সামান্য ওপরে। সব
মিলিয়ে অংকখাতার ‘সুতরাং’ চিহ্নের মতো।
যিনি আমাদের মন্দির দেখাচ্ছিলেন, তিনি বললেন একজন মহাপুরুষ প্রতিদিন
সকালবেলা এসে এই থামের গায়ে ডানহাতের তিনটে আঙুল ঠেকিয়ে দেবতাকে প্রণাম করতেন। দিনের পর দিন ডানহাতের তর্জনী, মধ্যমা আর অনামিকার স্পর্শে পাথরের গায়ে ওই তিনটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছ।
যারা বুদ্ধিমান, যেমন আমাদের বান্টি, তারা সম্ভবঅসম্ভব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। বলবে, “রোজ কেন,
আমি তুমি প্রতি ঘণ্টায় একবার করে প্রণাম করলেও পাথর টোল খাবে না,
ও জন্য ফ্লিপকার্ট থেকে মহাপুরুষ ব্র্যান্ডের আঙুল অর্ডার দিতে হবে।”
হতে পারে। হতে পারে গোটা ব্যাপারটাই
আষাঢ়ে গল্প। হতে পারে ওই তিনটে আঙুলের দাগ কোনও মহাপুরুষের আঙুল থেকে নয়, ছেনি বাটালি থেকে এসেছে। কিন্তু এসব
হচ্ছে প্লটের খুঁটিনাটি। তাতে অনেক খুঁত থাকতে পারে।
যেমন শশধর বোস স্রেফ দাড়ি লাগিয়ে আর ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলে নিজেকে ডাক্তার
বৈদ্য বলে চালিয়ে দিল, আর ফেলুদার মতো বুদ্ধিমান গোয়েন্দা
সেটা ধরতে পারল না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু প্লট
পেরিয়ে থাকে গল্পের থিম। বুদ্ধির খেলায় দুষ্টু লোকেরা হারবে, ফেলুদা জিতবে। যেটাকে অবিশ্বাস করার কিছু নেই। ঠিক তেমনি মহাপুরুষের
আঙুলের ছাপ হচ্ছে গল্পের প্লট। আর থিম হচ্ছে, যে কোনও কাজ, তা সে যত ছোটই হোক না কেন, যে পরিমাণেই হোক না কেন, নিয়মিত করে গেলে
আশ্চর্যরকম ফল দেয়।
বলতে বাধা নেই, এই থিমে আমার মনেপ্রাণে বিশ্বাস আছে।
যদিও বাস্তবে এর প্রয়োগ করে উঠতে পারিনি এযাবৎ। এ বছর জুনজুলাই মাস নাগাদ রোজ
সকালে তেড়েফুঁড়ে রেওয়াজে বসছিলাম। ঝাড়া একঘণ্টা। তিনসপ্তাহ যেতে না যেতেই উৎসাহ উবে গেল। গত তিনচার মাস ‘সা’ পর্যন্ত বলিনি।
গলা আবার জং ধরে যেই কে সেই। এর থেকে একঘণ্টার বদলে রোজ পনেরো মিনিট করে সারেগামা বললে বেশি কাজ দিত। শরীরচর্চা নিয়েও একই অভিজ্ঞতা। সাতদিন
মেলাগ্রাউন্ডের মাঠে কুড়ি পাক চক্কর কাটলাম, পরের দু’মাস দিনে পাঁচশো পা-ও হাঁটলাম না। অবান্তরের বাইরের লেখা নিয়েও একই অভিজ্ঞতা। অফিসের বাইরের কাজ
নিয়েও সেম টু সেম।
রোজ সকালবিকেল পড়তে + লিখতে বসা, রোজ আধঘণ্টা
করে সারেগামা সাধা, রোজ মেলাগ্রাউন্ডের
মাঠে সাত পাক হাঁটা - জীবনের যে কোনও কাজে, প্রতিটি কাজে, 'রেগুলার' হওয়াই আমার দু'হাজার সালের রেসলিউশন।
*****
খুব সোজা মনে হচ্ছে? ওকে, তাহলে আরেকটা
শক্ত রেসলিউশনও নেওয়া যাক। আমি সম্প্রতি বুকটিউব (ইউটিউবের বই সংক্রান্ত ভিডিও
কমিউনিটি) এবং তার ল্যাজ ধরে বুক ব্লগ আবিষ্কার করেছি। এবং লোকে কী পরিমাণ বেশি পড়ে
আর আমি কী পরিমাণ কম পড়ি, সেটা উপলব্ধি করে ঘাবড়ে গেছি। গোগ্রাসে পড়ার সুঅভ্যেস আমার একসময় ছিল। গল্পের বই, খবরের
কাগজ, ঠোঙা, দেওয়াল লিখন। এবং আমি
মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমার টেক্সটবইয়ের থেকে ওসব পড়া আমার আখেরে অনেক বেশি কাজে দিয়েছে। কিন্তু জীবনের বেশিরভাগ ভালো অভ্যেসের মতোই এই অভ্যেসটাও আমি হারিয়ে
ফেলেছি। সেটা আবার পুনরুদ্ধার করার সময় এসেছে।
আমার দু’হজার ষোলর দ্বিতীয় রেসলিউশন হচ্ছে বেশি
বেশি বই পড়া। রেগুলার বই পড়া। বুকব্লগার/ভ্লগারদের থেকে বই পড়ার রেসলিউশন হুবহু
টুকতে গেলে অবশ্য মুশকিল। তাঁরা বছরে একশোকুড়িটা, অর্থাৎ মাসে দশটা, অর্থাৎ তিনদিনে একটা করে বই পড়ার শপথ
নিচ্ছেন এবং বছরবছর অনায়াসে সে শপথ রক্ষাও করছেন। সে রকম কোনও ফাঁদে আমি ফেলতে চাই
না নিজেকে। খালি এই সুযোগে নিজেকে দিয়ে আরও বেশি বই পড়িয়ে নিতে চাই। এ বাবদে অবান্তর-কেও কাজে লাগানোর ইচ্ছে আছে। দেখা যাক।
আপনার দু'হাজার ষোলর রেসলিউশন কী?
Baba re. 3dine akta boi! ato somoy paye ki kore tara. Shashadhar Bose er case ta niye high five. Mr. Batra ar Apsara theatre er mamla teo erom case e hoyechilo. ami dari jhuri pore kothao gele loke to amake ak second er modhye dhore felbe.
ReplyDeleteআর বান্টির থেকেও যারা বুদ্ধিমান, যেমন আমার বাবা, তারা জানে আসলে রেসলিউশন নেওয়ারই কোনও মানে নেই। হওয়ার হলে রেসলিউশন নিলেও হবে, না নিলেও হবে। তা-ই হবে, ততটুকুই হবে যতটুকু কপালে আছে। না হওয়ার হলে কিছুতেই হবে না। - uncle er ei motto ta amar baba o manen. amio jotoi boyes barche aste aste ei motto tei bishash korte shuru korchi. sobi denial mode er khela.
amar november er sesh thekei panic attack hocche bochor sesher kotha vebe.
amar aktai resolution. loser-giri ta ektu kom kora.
আহা, লুজার কেন হতে যাবে তুমি, কুহেলি, বালাই ষাট। প্যানিক অ্যাটাকে হাই ফাইভ।
DeleteAmi bhalo kaj korte chai, sudhu ghas kata noy! Bhalo kothao trek korte chai, atmobiswasi hote chai
ReplyDeleteভালো কাজের ব্যাপারটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু হঠাৎ ট্রেকের ভূত ঘাড়ে কেন চাপল তোর তিন্নি? অত কষ্ট করতে যাবি কেন খামোখা? ইচ্ছে হলে সমতলেই ঘুরে আয় না দুদশ পা। একেই বলে সুখে থাকতে ভূতের কিল।
DeleteValley of flowers baroi bhalo legechilo!
Deleteare kuntala di,trek er bhut khub danger bhut puro lullu bhut,ghar e uthle nambe na.ar safety ta dekho.gari khad e pore.trek e no chance of accident.ghure eso.normal berano mane gari kore ghora point based tour..aar kakhano jabe na.tomar ekta lekha poreo chilam mone hochche,sei little Tibet e gechile na...?
Deleteprosenjit
1. Iceland যাব 2016 এ, প্রচুর ভিডিও দেখছি!
ReplyDelete2. এই চাকরিতে ১৫ বছর হলো, চাকরিটা পাল্টাবো।
কিন্তু আগের বছরের রিসোলিউশন পোস্ট এর লিংক দিলেনা তো? প্রতিবার যেমন দাও?
দারুন লাগলো, মন্দিরের অংশ টা অপূর্ব !
ইস, আমার অনেকদিনের একটা স্বপ্নের জায়গায় যাচ্ছ, কাকলি। কেমন ঘুরলে জানিও কিন্তু।
DeleteSatti mondirer angshota apurbo
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
Deleteami konodin new year's resolution niini, in fact anek bhebeo jokhon ki resolution newa jay bar korte parini tokohon besh inferiority complex hoto---kintu r na..banti r kaku amake abantar er pata theke bhorsha jogalen aj :) chhoto khato lifelong kichhu resolution to thakei kintu new yr resolution na nite parata besh mone dukkho dito..golper plot r theme ami 100% ekmot tomar sathe.- Bratati.
ReplyDeleteসেকী ব্রততী! আমি যে শিশুর মতো বছর বছর রেসলিউশন নিই, এটাই তো আমাকে বেশ লজ্জায় রাখত এতদিন। আর তুমি বলছ কি না রেসলিউশন নাও না বলে দুঃখ? একেই বলে নদীর এপারওপার।
Delete1. Cycle chalano shikhbo.
ReplyDelete2. E bochhorer moto porer bochhor-o GoodReads er book challenge complete korbo.
3. Kom kotha bolbo.
(Ei laster ta sobcheye kothin.)
Tomar prothom resolution ta khub mone dhorechhe amar. Eta cheshta kore dekhbo bhabchhi.
সাইকেলটা শিখে নাও, বিম্ববতী, তারপর আমরা সবাই মিলে এই ট্রিপগুলো করব। http://www.delhibycycle.com/
Deleteতোমার গুডরিডস-এর রিডিং চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করাতে অনেক অনেক অভিনন্দন। আশীর্বাদ কর যেন আমিও তোমার মতো হতে পারি।
আমি যদিও নিশ্চিত তুমি মোটেই বেশি কথা বল না, তবুও তোমার সংকল্পে আমার শুভেচ্ছা রইল। তবে এই সুযোগে বড় দিদি হিসেবে একটু উপদেশ দিয়ে নিই। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি কথা কম বলার থেকেও জরুরি হচ্ছে জায়গা বুঝে কথা বলাটা। মানে তুমি পুঁটিবেড়ালের সঙ্গে কিংবা তোমার রুমমেটের সঙ্গে কথা বলে বলে মুখ ব্যথা করে ফেল, কোনও ক্ষতি নেই, উল্টে আমার মতে লাভই আছে, কিন্তু বসের ঘরে বসে একটির জায়গায় দেড়টি কথা বলে ফেলেছ কি আর রক্ষা নেই।
যাই হোক, অল দ্য বেস্ট।
যবে থেকে বুঝতে শিখেছি আমার ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা বেশি,তবে থেকে একটাই রেজোলিউশন লুপে চলে প্রতিবছর, এবারো সেটা চলবে - ওজন কমাতে হবে,তার সঙ্গে আরো খুচরো কিছু,যেমন - সকাল সকাল উঠবো, ঠিকমত পড়বো, বাবার কথা বিনা তর্কে শুনবো, প্রোজ্জ্বলের সঙ্গে অকারনে ঝামেলা করবোনা আর মিষ্টি খাওয়া কমাবো। দেখা যাক কতগুলো করে উঠতে পারি।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteআরও ব্লগ লিখতে চাই, আরও ছবি আঁকতে চাই, আরও বই পড়তে চাই আর ওজন কমাতে চাই। এছাড়া অন্তত একটা ন্যাশনাল পার্কে রাত কাটাতে চাই। ২০১৫ তে বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে ২৫ টা ব্লগ পোস্ট লিখেছি। এ সংখ্যাটা ২০১৪-এর থেকে কমেছে ঠিকই, কিন্তু বাংলার ভাগটা অনেকটা বেড়েছে। এবার ইংরেজিটাকেও বাড়াতে হবে। ২০১৫ তে ৪টে ন্যাশনাল পার্কে রাত কাটিয়েছি, আর সেটা এত ভালো লেগেছে যে ওই ইচ্ছেটা লিস্টে জুড়ে দিলাম।
ReplyDeleteকোনো রেজলিউশন রাখব না, এটাই আমারও রেজলিউশন। একটা কিছু মাথায় ঢুকিয়ে রাখলে সেটা চব্বিশ ঘন্টা হুড়ো দিতে থাকে। অত ভাবলে ল্যাদ খাব কখন?
ReplyDelete