নক্কি লেক + সানসেট পয়েন্ট
পায়ের নখ দিয়ে খোঁড়া হয়েছিল বলে লেকের নাম নক্কি সে নিয়ে কোনও মতভেদ নেই, কিন্তু নখ দিয়ে একটা গোটা লেক কেন খোঁড়া হয়েছিল সে নিয়ে আছে। কেউ বলে, দানবের হাত থেকে পালানোর জন্য দেবতারা নখ দিয়ে লেক খুঁড়ে তার নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কেউ বলে রসিয়া বালম নামে একজন লোক রাজার মেয়ে বিয়ে করার জন্য খেপে উঠতে রাজা শর্ত দিয়েছিলেন যে নখ দিয়ে এক রাতের মধ্যে লেক বানিয়ে দিলে তবেই রাজকন্যা মিলবে না হলে নয়, আবার একজায়গায় লিখেছে দেখলাম নখ দিয়ে সত্যি সত্যি লেক খুঁড়ে ফেলছে দেখে জাল মুরগির আওয়াজ শুনিয়ে তাড়াতাড়ি সময়ের আগেই ভোর করিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, নখ দিয়ে নক্কি লেক খোঁড়া হয়েছিল আর দিলওয়ারা মন্দির দেখে আমরা সে লেক দেখতে যাব। জিপে বসেই সিদ্ধান্ত ফাইন্যাল হল আর ভাইসাব আমাদের বাংলা কথা পরিষ্কার ধরে ফেলে বললেন উনি আমাদের নিয়ে যেতে পারেন। এঁদের বাংলা বুঝে ফেলা মোটেই অস্বাভাবিক নয়, কারণ হোটেলের ভাইসাব জানিয়েছেন পুজোর পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যত টুরিস্ট মাউন্ট আবুতে আসে তার নাইনটি পারসেন্ট বাঙালি।
নক্কি লেকের চারদিকে চা, বুড়ির চুল, আইসক্রিম, হস্তশিল্পের জমজমাট বাজার। লেকের মধ্যেও বিনোদনের বিবিধ ব্যবস্থা। একদিকে জলের ওপর দুটো প্রকাণ্ড ড্রাম ভাসছে, আইডিয়াটা হচ্ছে ওই ড্রামের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলে আপনি হ্যামস্টার মতো দৌড়বেন আর ড্রাম জলের ওপর ঘুরবে। কিন্তু আপনি হ্যামস্টার নন, কাজেই দৌড়তে গিয়ে বার বার পড়ে যাবেন, ড্রাম ঘুরবে না, বাইরে থেকে লম্বা লগি দিয়ে ঠেলা মারতে হবে। উল্লসিত হাসির শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল ভেতরে মারাত্মক আমোদ হচ্ছে, বাইরে থেকে দেখে বিশেষ সুবিধের লাগল না। অন্যদিকে গেলাম।
অন্যদিকে বোটিং-এর ব্যবস্থা। এক রকম বোট দেখতে সত্যিকারের নৌকোর মতো, যে নৌকোয় দাঁড় বাইবার লোক কর্তৃপক্ষ প্রোভাইড করেন, দ্বিতীয়রকম হচ্ছে প্যাডেল বোট। ‘পাটুলির ঝিলে মাবাবাদিদির সঙ্গে কত প্যাডেল বোটিং করেছি,’ অর্চিষ্মানের চোখ নস্ট্যালজিয়ায় চকচক করে উঠল। আমার দিকে ঘাড় ঘুরতে দেখেই আমি বলে উঠলাম, ‘না, রিষড়ার গঙ্গায় প্যাডেল বোটিং-এর কোনও ব্যবস্থা ছিল না, অন্তত আমার ছোটবেলায় ছিল না, এখনের কথা জানি না। তবে বেথুন থেকে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে নলবনে প্যাডেল বোটিং করেছি। কাজেই আমাকে একেবারে নভিস ঠাউরানোর কোনও কারণ নেই।’
বোটিং-এর ব্যাপার আমরা আত্মনেপদী হওয়াই স্থির করলাম। লাল টুকটুকে একটা প্যাডেল বোট আমাদের ভাগ্যে উঠল। বোটের হালের সঙ্গে সংসারের হালের তুলনা করে নিজেদের বোকা রসিকতায় নিজেরাই চমৎকৃত হয়ে নক্কির বুকে ভেসে পড়লাম।
বেশিরভাগ সময় যখন জলের ধারে দাঁড়িয়ে অন্যদের বোটিং করতে দেখি, মনে হয় এতে এত মজা পাওয়ার কী আছে? কারা এরা? বয়স কত? সেই আমিই যখন বোটে চড়লাম, পাহাড়জঙ্গল ঘেরা বিস্তীর্ণ শান্ত জলরাশি, সূর্যের আলোপড়া ঝিকমিকে কুচিকুচি ঢেউ, হাত বাড়িয়ে জল ছুঁলে আঙুলের ডগা শিরশির করে, তুলে পাশের জনের গায়ে ছেটানো যায়, এমন উত্তেজনা হল যে প্রস্তাব দিলাম রাজস্থানের সব লেকে, শুধু রাজস্থানের কেন, ভারতবর্ষের সব লেকে বোটিং করার রেকর্ড বানালে কেমন হয়?
অর্চিষ্মান বলল, 'ওরে বাবা কুন্তলা, কাল উদয়পুরে লেক পিচোলায় বোটিং করব এইটা শুধু ঠিক করা থাক, গোটা ভারতবর্ষ নিয়ে পরে ভাবা যাবে।
বোটিং সেরে লাক্কি চা-এর দোকান থেকে দু’কাপ চা নিয়ে লেকের ধারের পাঁচিলের পাশে বসলাম। উল্টোদিকের বেঞ্চে দুজন বসে ছিলেন। একজন স্বাভাবিকের থেকে লম্বা, একজন স্বাভাবিক। (লম্বাজনকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো বলবেন, ‘স্বাভাবিক কোথায় বেঁটে তো,’ কিন্তু সে মতামতে কান দেওয়ার দরকার নেই।) শান্তশিষ্ট মুখ। হাতে চায়ের কাপ। কথা বলছেন না, কিন্তু সেটা ঝগড়া হয়েছে বলে মনে হয় না। বরং মনে হয় পাশাপাশি চুপ করে বসে থাকার মতো কমফর্ট লেভেলে সম্পর্কটাকে নিয়ে যেতে পেরেছেন বলে। একজনের চা শেষ হয়ে গেল। আরেকজন ফুঁ দিয়ে দিয়ে খেতে লাগলেন। ক্রমে তাঁরটাও শেষ হয়ে গেল। যিনি চা শেষ করে বসে ছিলেন, তিনি অন্যের খালি কাপটা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে এদিকওদিক তাকাতে লাগলেন। ওই তো, ডাস্টবিন। খালি কাপদুটো গিয়ে কাপদুটো ডাস্টবিনে ফেলে জনেই উঠে হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন।
বছরকয়েক পরে আমি আর অর্চিষ্মান এই দুজন হয়ে গেলে আমার আপত্তি নেই।
*****
একটু পরে আমরাও কাপ ডাস্টবিনে ফেলে উঠে পড়লাম। ছ’টা বাজবে প্রায়। পশ্চিমের আকাশ গেরুয়া। নক্কি লেক থেকে দু’কিলোমিটার দূরে সানসেট পয়েন্ট। আমাদের যাওয়ার প্ল্যান নেই, বাহনও নেই।
হোটেলে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে? তাও নেই।
ক্লান্তি এক অদ্ভুত জিনিস। অফিসের সিটে বসে সারাদিন কান খুঁচিয়ে বাড়ি ফিরলেও মনে হয় ‘মাগো তুলে নাও আর তো পারি না,’ কখন নাকেমুখে গুঁজে বিছানায় সেঁধোবো তর সয় না। আর সেদিন ভোর চারটেয় টুথব্রাশ ব্যাগে পুরে বেরিয়েছি, একঘণ্টা প্লেন, চার ঘণ্টা বাস (তাও নন-এসি) ঠেঙিয়ে, দুটি ডালরুটি নাকে গুঁজে ঘুরে ঘুরে মন্দির দেখে আধঘণ্টা প্যাডল ঘুরিয়ে অনভ্যস্ত ঊরু টনটন, অথচ ক্লান্তির ক নেই শরীরের এক বিন্দুতেও। মনমগজ চনমন করছে।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এত এনার্জি কীভাবে খরচ করা যায় ভাবছি, এমন সময় কানে এল, ‘সানসেট পয়েন্ট, সানসেট পয়েন্ট।’ এক ভদ্রলোক একখানা লজঝড়ে জিপের পাশে দাঁড়িয়ে চেঁচাচ্ছেন। অর্চিষ্মান বলল, ‘সেকি, এখনও সানসেট হয়নি নাকি?’ আমি বললাম,’না, ছ’টা চব্বিশে হবে।’ স্মার্টফোন এসে এই একটা সুবিধে হয়েছে। সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের সময়, নিম্নচাপের মাত্রা, আর্দ্রতার পরিমাপ, ইত্যাদি অবান্তর ইনফরমেশন হাতের মুঠোয় রাখা যায়।
শেয়ারে গেলে মাথাপ্রতি দশ টাকা, ফুল বুকিং একশো। আমরা আদৌ যেতে চাই কি না সেটাই শিওর নই, শেয়ারেই যাব স্থির করলাম।
জিপের ভেতরে বসে দেখছি বাইরের ছায়া ঘন হয়ে আসছে, ঘড়িতে ছ’টা পাঁচ, ভদ্রলোকের সানসেট পয়েন্ট সানসেট পয়েন্ট চিৎকার শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কেউ আসছে না। যাদের দেখার তারা অলরেডি পয়েন্টে চলে গেছে নির্ঘাত। হঠাৎ জিপ দুলে উঠল। প্যাসেঞ্জার নয়, ড্রাইভার। ‘পঞ্চাশ টাকা দিয়ে দেবেন, আমি জিপ ছাড়ছি। নহি তো কুছ নহি দেখনে কো মিলেগা।'
নক্কি লেক থেকে দু’কিলোমিটার মতো দূরে সানসেট পয়েন্ট, তার এক কিলোমিটার গাড়ি করে যাওয়া যায়, পরের এক কিলোমিটার হয় ঘোড়া, নয় ঠেলা-ওয়াগন নয় পদব্রজ। জিপ থেকে নামামাত্র চারদিক থেকে ওয়াগন, ঘোড়ার মালিকরা ছুটে এলেন। ঘোড়াটোড়ায় আমাদের দুজনেরই ভয়। আর ওয়াগনে বসব, হাতপাখার হ্যান্ডেলের সাইজের বারো বছরের ছেলে ঠেলবে, ওয়েল, ততখানি লুব্জুগুব্জু হতে এখনও দেরি আছে। আমরা মাথা নাড়তে নাড়তে চললাম, ঘোড়াওয়ালারা পেছন পেছন আসতে থাকলেন, সে ঘোড়ার ক্ষুরের খটখট আওয়াজে উপকার হল, আমরা ভয়ে দ্রুত পা চালালাম আর সানসেট পয়েন্টে পৌঁছে গেলাম ছ’টা সাড়ে তেইশেই।
সূর্য আসলে কত দ্রুত চলে (বা পৃথিবী আসলে কত জোরে ঘোরে) টের পাওয়া যায় সূর্য ওঠা আর ডোবার সময়টায়। গেল গেল করতে করতেই গন।
ওঠার সময় দৌড়তে দৌড়তে চোখের কোণ দিয়ে দেখেছিলাম দুপাশে ভুট্টা (একেকটা ভুট্টা দিল্লির আড়াইখানা ভুট্টার সময়), আনারদানা, মশলানুন মাখানো শশার ঝুড়ির ভিড়। কিন্তু মনে রেখেছিলাম মোড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে, সামনের কাঁচের বাক্সে সোনালি ফুলকো গোলগোল, আর আড়ালে হলেও সেদ্ধ আলু, সেদ্ধ মটর, তেঁতুলজল আর চটপটা মশলা আশেপাশে আছেই আছে।
রাংতার প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে গেলাম। অর্চিষ্মানও ফুচকা/গোলগাপ্পা/পানিপুরি পছন্দ করে, কিন্তু 'খাবে?' জিজ্ঞাসা করলেই দশের মধ্যে ন’বার প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় দুদিকে মাথা নাড়ে। তারপর হয়তো আমার প্লেট থেকে তুলে একটা দুটো খায়। পরে একদিন যৌবনের খাওয়াদাওয়া নিয়ে রোমন্থনের সময় বলেছিল, বড় হওয়ার সময় প্রতিটি ফুচকাওয়ালাকে ঘিরে এত মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকত যে তাদের মধ্যে গিয়ে ফুচকা খাওয়ার কথা কল্পনা করলেও প্যালপিটেশন। ওই করে করে খাওয়ার অভ্যেসটা গড়ে ওঠেনি।
গোলগাপ্পা পয়েন্ট থেকে হোটেল শিখর এক দশমিক নয় কিলোমিটার। হাঁটবে তো? হাঁটব হাঁটব। একটা হাত পকেটে পুরে আরেকটা হাত অন্যের হাতে গলিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। রাস্তা বেশিরভাগটাই নেমে গেছে নিচের দিকে। একসময় হাঁটার পথ গাড়ির পথের থেকে আলাদা হয়ে গেল, তখন কেবল দূর থেকে একটাদুটো হর্ন, আর মাথার ওপর গাছের পাতা গলে চাঁদের আলো। বাসস্ট্যান্ড এসে গেল। কাল সকালে উদয়পুর যাওয়ার বাসের খোঁজ নিয়ে, মোড়ের কিরানা দোকান থেকে থামস আপ আর ফটাফট কিনে হোটেলের পথে হাঁটা দিলাম। পেট্রোল পাম্পের পাশের রাস্তা বেয়ে উঠছি যখন, কোন বাড়িতে যেন রেডিওতে রাজস্থানি গান বাজছিল।
(চলবে)
মাউন্ট আবু - উদয়পুর ভ্রমণঃ প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব, চতুর্থ পর্ব, পঞ্চম ও শেষ পর্ব
(চলবে)
মাউন্ট আবু - উদয়পুর ভ্রমণঃ প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব, চতুর্থ পর্ব, পঞ্চম ও শেষ পর্ব
"একটা হাত পকেটে পুরে আরেকটা হাত অন্যের হাতে গলিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম".
ReplyDeleteBeranor best part etai bodhoy
একদম, অর্পণ। হাই ফাইভ।
DeleteTomar protyekta bhromon golper last paragraph ta amar best lage. Etateo betikrom hoyni.:)
ReplyDelete(Amio college porakaleen mount abu giye fuchka kheyechi. Porei nostalgic hoye porlam.)
হাহা, তোমার কমেন্ট পড়ে মনে হল বিম্ববতী, এতরকম রেকর্ড করার কথা ভাবি, যেখানেই যাব সেখানকার ফুচকা খেয়ে দেখার রেকর্ড করলেই তো হয়।
DeleteKhub valo lagche ei beranor galpo.Boating ar surjasto,dutor bobaran e man valo kare dilo.Archismanbabur phuchka khabar avyas gare na othbar karan ta pare bes maja laglo.R phuchkar nam sune khide peye gelo.Parer parber apekhay roilam.-Sunanda.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সুনন্দা।
Deleteগড়গড়িয়ে পরে যাচ্ছি, পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
Deleteসেকি?! সান সেট পয়েন্টের বাঁদর গুলো কি এতোই সভ্য হয়ে গেল যে আপনার মনে দাগ পর্যন্ত কাটেনি?
ReplyDeleteএকই লেখায় আত্মনেপদী আর লুব্জুগুব্জু সার্থক প্রয়োগ করে আপনি আজ অন্য মাত্রায় উঠে গেছেন।
হাহা, ঠিকই বলেছেন চন্দ্রচূড়, মাউন্ট আবুর বাঁদরগুলোকে দেখে বোঝা যায় 'বাঁদরামো'শব্দটা কোথা থেকে এসেছে।
Deletehya re , oi ultodiker bencher lokera katogulo 7 bacher paar koreche? :) tor ki seta mathay esechilo ?:p
ReplyDeletekhubi bhalo lekha - Tinni
মিনিমাম পাঁচটা সাত বছর, তিন্নি।
DeleteTumi okhane fuchka khele ?? Tomar bhorsay ami UP r fuchka kheye dekhi tahole !!! Sunset khub sundar .
ReplyDeleteআরে নানা, আমার ভরসায় খেয়ো না, প্রিয়াঙ্কা। আমার বাঙালি ফুচকা ছাড়া কোনও গোলগাপ্পা/ পানিপুরি কিছুই মুখে রোচে না, মাউন্ট আবুর ফুচকাও তথৈবচ, কিন্তু আমি ফুচকার মতো দেখতে খাবার সামনে দেখলে নিজেকে সামলাতে পারি না, তাই বাধ্য হয়ে খাই। তবে তুমি যদি খাও, কেমন লাগল জানিয়ো।
Delete"পাশাপাশি চুপ করে বসে থাকার মতো কমফর্ট লেভেলে সম্পর্কটাকে নিয়ে যেতে পেরেছেন বলে।" - সুমন তো বলেই দিয়েছেন, 'বয়েস হলেই বরং বাড়ে আড্ডা এবং নীরবতা' .....
ReplyDeleteআপনারা আরও অনেক অনেক বছর হাতে হাত রেখে হেঁটে যান| শুভেচ্ছা রইল| :)
রাইট, রাইট, সুমনের গানটা তো ঠিক এই কথাটাই বলে দিয়েছে। থ্যাংক ইউ, অন্বেষা।
Delete