আদারওয়াইজ



মহর্ষি বশিষ্ঠের ফেভারিট গরু নন্দিনী একবার খাদে পড়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টাতেও নন্দিনীকে উদ্ধার করতে না পেরে বশিষ্ঠ শিবের সাহায্য চাইলেন। শিব পাঠালেন সরস্বতীকে। মা সরস্বতী স্রোতস্বিনী হয়ে খাদ ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন, নন্দিনী সাঁতরে পারে উঠল। কাজ সেরে পল্লু ঝেড়ে মা সরস্বতী বাড়ি চলে গেলেন, খাদ আবার হাঁহাঁ করতে লাগল। নন্দিনী ভারি লক্ষ্মী মেয়ে ছিল, তার কালো চোখ আর লম্বা লেজ ছিল, কিন্তু বুদ্ধি কতখানি ছিল সে নিয়ে বশিষ্ঠ সন্দিগ্ধ ছিলেন। তিনি বললেন, রিস্ক নিয়ে লাভ নেই, এ খাদ চিরকালের মতো ভরিয়ে দেওয়া হোক। অর্বুদ নামে এক ভয়ানক শক্তিশালী সাপ তখন সে জঙ্গলে বাস করতেন। বিষ্ণুর আদেশে তিনি পাক খেয়ে খেয়ে খাদ ভরিয়ে দিলেন। খাদ তো ভরলই, উপচে পড়ে অর্বুদপর্বতের সৃষ্টি করল। সেদিনের সেই অর্বুদ পর্বতই আজকের মাউন্ট আবু।

মাউন্ট আবুতে হিন্দু পুরাণের তেত্রিশ কোটি দেবদেবী হয় বাস করেছেন, নয় কখনও না কখনও ভিজিট করেছেন। তেত্রিশ না হলেও কয়েক কোটি হোটেল যে মাউন্ট আবুতে আছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সিজনে এ জায়গার চেহারা ভাবতেও গায়ে কাঁটা দেয়। আমরা থাকব আর টি ডি সি-র হোটেল শিখর-এ। রাস্তা চেনা খুব সোজা। বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার ঠিক তিন মিনিট আগে ডানহাতে পেট্রোল পাম্প, তার গা বেয়ে একখানা রাস্তা ‘আমি চললাম ভাই, তোমাদের সঙ্গে আর আমার পোষাচ্ছে না’ ভঙ্গিতে ঊর্ধ্বপানে হাঁটা দিয়েছে, সেটা ধরে উঠে গেলেই হোটেল শিখর। জিভ বার করে হাঁপাতে হাঁপাতে হোটেলে পৌঁছে দেখি, মহার্ঘ কটেজ, যেগুলো আমরা বুক করতে গিয়েও করিনি মোটে তো এক রাত থাকব ভেবে, সেগুলো আরও টঙে। ভাগ্যিস।  

একে ঘোর সিজন নয়, তায় শুক্রবার। ভাইসাব বললেন, ‘একতলাতেও খালি আছে ঘর, দোতলাতেও আছে। দোতলাতেই যান বরং, ভিউ বেটার মিলেগা।’ 


এই হচ্ছে হোটেলের ঘরের বারান্দা থেকে সকাল সন্ধ্যের ভিউ। ভালো না? 

দুটো বাজতে যাচ্ছিল, সকালের দু’চামচ পোহা কবে হজম হয়ে গেছে। টিভি চালিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাঞ্জাবী পপের বিটের তালে তাল মিলিয়ে দ্রুত মুখচোখে জল দিয়ে জামা বদলে গেলাম ডাইনিং হলে। আর তখনই আমাদের অন্যান্য বেড়ানোর সঙ্গে এবারের বেড়ানোর দুটো প্রধান তফাতের প্রথমটা প্রকট হল। 

যত জায়গাতেই বেড়াতে গেছি, বেশিরভাগ জায়গাতেই এমন সময় পৌঁছেছি যখন চায়ের সঙ্গে টা খাওয়া আদর্শ সময়। সরকারি হোটেলের স্ন্যাক্স মেনুতে স্যান্ডউইচ হ্যানাত্যানার সঙ্গে ভেজিটেবল পকোড়া থাকেই। আমরা মেনু খুলে দেখার প্রয়োজনও বোধ করি না, ভেজিটেবল পকোড়া অর্ডার দিয়ে দিই। এক সময় এমনটা হয়েছিল যে আমি ভেবেছিলাম গিনেস বুকে তো সবথেকে বেশি বার্গার খাওয়ার, সবথেকে লম্বা স্যান্ডউইচ খাওয়ার, কতরকম রেকর্ড থাকে, ভারতবর্ষের সব সরকারি অ্যাকোমোডেশনের ভেজিটেবল পকোড়া খাওয়ার রেকর্ডের আইডিয়াটা কেমন?

সঙ্গের পকোড়া-খাইয়ে এক সেকেন্ডও না ভেবে বলেছিলেন, ‘অতি ছেঁদো।’ অগত্যা।  

ওঁরা যত্ন করে লাঞ্চ মেনু দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা বললাম, ‘যা হয় দিন, আমরা মোটে এক রাত থাকছি কি না, এক্ষুনি শহর দেখতে বেরোতে হবে।’ তাতে ভাইসাব জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ডাল রোটি সবজি?’ আমরা বললাম, ‘বঢিয়া।’ 

ডাল এল, সঙ্গে হাতরুটি আর মিক্সড ভেজ।  

তখন না হয় খিদের মুখ ইত্যাদি অজুহাত দেওয়া যেত, কিন্তু তারপরেও তো আরও তিনচারবেলা খেয়েছি, কাজেই কথা দিতে পারি পুরো মাহাত্ম্য খিদের নয়। রাজস্থানের লোকেরা কিছু ভালো ডাল রাঁধতে পারে, আর পারে রুটি বানাতে। ডালরুটি তো আগেও খেয়েছি, পরেও খাব অনেক জায়গায়, কিন্তু ওই পাঁচবেলায় খাওয়া ডালরুটির অতীতের সব ডালরুটির স্মৃতি ফিকে করে দিয়েছে। পেঁয়াজ রসুন টমেটো ফোড়নের সহজসরল ডাল, অতি কায়দার ডালেরও কান মুলে দেবে। তাজা তরিতরিকারি দিয়ে গরম গরম রাঁধা সবজিও খারাপ হওয়ার কোনও কারণই নেই। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে ও রকম ডাল আর ওই কোয়ালিটির রুটি পেলে সবজির থাকা না থাকা ম্যাটার করে না। আর রুটি। আহা। নিখুঁত গোল আর পাতলা আর ফুলকো তো বটেই, বেস্ট হচ্ছে রুটির গায়ে ছোট ছোট বাদামি ফোসকার ফাঁদে আটকে থাকা ধোঁয়ার ফিকে গন্ধটা। ডালে চুবিয়ে মুখে পুরলেই প্রাণের ভেতর রাবণহাতার বুক-মোচড়ানো সুর বাজতে শুরু করে। 

*****

অন্যান্য বেড়ানোর সঙ্গে এবারের বেড়ানোর দ্বিতীয় তফাৎটা হচ্ছে জায়গা নির্বাচনে। আমরা সাধারণত ফাঁকা ফাঁকা জায়গায় যেতে পছন্দ করি, যেখানে চাইলেও করার কিছু থাকে না। খালি খাও আর ঘুমোও আর ইচ্ছে করলে হাঁটো। সে তুলনায় মাউন্ট আবু (এবং উদয়পুরও) টুরিস্টদের স্বর্গরাজ্য। কাজেই পয়েন্টের অভাব নেই। সেভেন পয়েন্টস, নাইন পয়েন্টস, হানিমুন পয়েন্ট, সুইসাইড পয়েন্ট, সানরাইজ পয়েন্ট, সানসেট পয়েন্ট। প্রথমত, এই সব পয়েন্টগুলোর অর্ধেক জাস্ট ভাঁওতা হয়। দ্বিতীয়ত, অনেকটা সময় বাঁধা পড়ে যায়। আমাদের আবার আগাপাশতলা টুরিস্ট হওয়া সত্ত্বেও নন-টুরিস্ট হাবভাব আছে ষোলোআনা। পাইনের ছায়ায় পাহাড়ি পথ ধরে যদি নিজেদের ইচ্ছেমতো হাঁটতেই না পারলাম তাহলে আর পাহাড়ে গিয়ে লাভ কী? 

তাই আমরা ঠিক করলাম, নিজেরা আলাদা আলাদা করে যা দেখার দেখব, যা ইচ্ছে না হবে দেখব না। মাউন্ট আবুর দিলওয়ারা টেম্পল শৈল্পিক ঔৎকর্ষে জগৎখ্যাত। আর কিচ্ছু না দেখলেও দিলওয়ারা দেখতেই হবে। পেট্রোল পাম্পের কাছে একটা জিপ দাঁড়িয়ে ছিল। বললাম, আমাদের একটু দিলওয়ারা ছেড়ে দেবেন? ভাইসাব রাজি হয়ে গেলেন। 

একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে বানানো পাঁচটি জৈন মন্দিরের সমাহার এই দিলওয়ারা টেম্পলস। ১০৩১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ প্রথম মন্দির বানিয়েছিলেন সোলাংকি বংশের রাজা প্রথম ভীমদেবের মন্ত্রী বিমল শাহ। প্রথম যখন তিনি মন্দির বানানোর প্রস্তাব নিয়ে গেলেন, স্থানীয় ব্রাহ্মণ মোড়লরা বলল, ‘এখানে অম্বামাতার পুজো হয়, তোমার বিধর্মী মন্দির হবে কী রকম?’ বিমল শাহ রাজনীতি করে খেতেন, পুরোহিতদের থেকে তাঁর বুদ্ধি বেশি বই কম ছিল না। তাই মাতা অম্বা তাঁকে স্বপ্ন দিলেন। বললেন, অমুক গাছের তলা খুঁড়ে যদি তমুক মূর্তি পাস তাহলে তুই এখানে মন্দির স্থাপনা করতে পারিস, এই আমি পারমিশন দিলাম। গাছের তলা খুঁড়ে মূর্তি বেরোলো, শুরু হল দিলওয়ারা টেম্পলের। ওই অঞ্চলে মার্বেল পাওয়া যেত না, দূরদূরান্ত থেকে মার্বেল এনে মন্দির বানানো হল। কেউ বলে মার্বেল আনা হত মকরানা খনি থেকে, যে খনি থেকে তাজমহলের মার্বেল তোলা হয়েছিল। হাতিদের পিঠে চড়িয়ে মার্বেল আনা হত বলে মন্দির গড়ার পেছনে হাতিদের অবদানের কথা মাথায় রেখে এক মন্দিরের চাতালে সারি সারি হাতির মূর্তিও আছে। বিমল শাহের বানানো এই প্রথম মন্দির উৎসর্গ করা হল জৈন তীর্থঙ্কর আদিনাথকে। এছাড়াও নেমিনাথ, পার্শ্বনাথ এবং মহাবীরের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত মন্দিরও আছে। পাঁচটি মন্দিরের কোনটা কখন কে কর্তৃক কার উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছিল সে সব লিখতে গেলে মহা বোরিং হবে (সবথেকে বড় কথা সাইটে সাইটে ঘুরে সে সব তথ্য আমার নিজেরই সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে), কাজেই সে রাস্তায় যাচ্ছি না। তার থেকে বরং কয়েকটা গল্প আপনাদের শোনাই। 

বিমল শাহের মন্দির প্রতিষ্ঠার দুশো বছর পর, ১২৩০ সাল নাগাদ ওই জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ভাই, বস্তুপাল আর তেজপাল। সঙ্গে ছিল দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী অনুপমা আর ললিতা আর প্রচুর ধনরত্ন। ডাকাতের ভয়ে তাঁরা সে সব জঙ্গলে গাছের তলায় লুকিয়ে রাখলেন আর আদিনাথের ভজনপূজন করে মন্দিরের চাতালেই নিদ্রা গেলেন। তাঁদের ভক্তিতে দেবতা খুশি হলেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দুই ভাই ভাইয়ের বউ নিজেদের সম্পত্তি মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, যা রেখে গিয়েছিলেন তা তো আছেই, বাড়তি আরও ঘড়া ঘড়া মোহরও আছে। বস্তুপাল আর তেজপাল স্থির করলেন দেবতার দেওয়া দান দেবতার কাজেই লাগাবেন। আবার মার্বেল এনে মন্দির তৈরি হল। ন’টি সমান ভাগে ভাগ করে নবচৌকি ছাঁদের সিলিং হল, মাঝের খোপ থেকে ঝুলল মার্বেলের বানানো কারুকার্যময় ঝাড়লন্ঠন, সে লন্ঠন ঘিরে বসলেন তিনশো ষাটজন জৈন সাধু, সবশেষে গূঢ় মন্দিরে স্থাপিত হলেন বাইশতম তীর্থঙ্কর নেমিনাথ। 

ললিতা আর অনুপমা চুপ করে বসে কাণ্ড দেখছিলেন আর ভাবছিলেন, এই মন্দিরে তো বস্তুপাল তেজপালের নামই অমর হয়ে থাকবে, আমাদের তো কেউ মনে রাখবে না। তাঁরা স্থির করলেন, তাঁরাও মন্দির বানাবেন। অত বড় না হোক, অন্তত নেমিনাথের মন্দিরের দ্বারের দুপাশে দুটি মিনি-মন্দিরও যদি বানানো যায় তাই যথেষ্ট। কিন্তু মন্দির বানাতে টাকা চাই। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাঁদের ছিল না, বাপের বাড়ি যেতে হল টাকা চাইতে। বানানো শুরু হল জেঠানি-দেবরানির মন্দির।

তারপর কী হল বলে আপনার ধারণা? বাংলা হিন্দি যে কোনও সিরিয়ালের যে কোনও এপিসোডের দেড় মিনিট যদি দেখে থাকেন, উত্তর দিতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। দুই জায়ে চুলোচুলি শুরু হল। 'ওর মন্দিরটা আমারটার থেকে বেশি ভালো হয়ে যাচ্ছে' নাকে কেঁদে তাঁরা একে অপরের মন্দির বারবার ভেঙে দিতে লাগলেন। যদিও তাঁদের টাকা নয়, অপচয় দেখে দুই স্বামী বিরক্ত হলেন, কারিগরদের আদেশ দিলেন দুই গিন্নির মন্দির অবিকল একরকম করে বানাতে। কারিগররা ভাবল, সত্যি মন্দির তো বানানো হয়েই গেছে, এই খেলাখেলা মন্দিরে আমরাই বা আমাদের ইনপুট দিতে ছাড়ি কেন, ভেবে দেবরানি যেহেতু বয়সে এবং সম্পর্কে ছোট, তাঁর মন্দিরে একটা হাতি কম বানিয়ে দিল।

দিলওয়ারা মন্দিরের কারুকার্য সত্যি চমৎকার। বৈদেহীদের নিখুঁত প্রত্যঙ্গবিভঙ্গ থেকে শুরু করে, হাতের নখ, ফোটা পদ্মের পাপড়ি, সূর্যমুখীর পাপড়ির ভাঁজের কারুকার্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মন্দির বানাতে অসামান্য পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করা হয়েছিল। সারাদিন মার্বেল কাটার পর যে গুঁড়ো জড়ো হত তার সমপরিমাণ সোনারুপো নাকি কারিগরদের পারিশ্রমিক দেওয়া হত। 


ক্যামেরা, ফোন কিছু নিয়েই মন্দিরে ঢোকা যায় না বলে ছবি তুলতে পারিনি। ইন্টারনেটে অনেক ছবি আছে, ইচ্ছে হলে দেখে নিতে পারেন। ইন ফ্যাক্ট, আপনি যদি মহিলা হন আর দিলওয়ারা টেম্পল দেখতে যাওয়ার সময় আপনার যদি ঋতু চলে তাহলে আপনাকে যা দেখার সব নেটেই দেখতে হবে। কারণ মন্দিরে ঢোকার মুখে যেখানে ক্যামেরা জুতো ইত্যাদি নিয়ে ঢোকার নিষেধাজ্ঞা টাঙানো আছে, সেখানেই রক্তাক্ষরে ইংরিজি এবং হিন্দিতে বড় বড় করে লেখা আছে, ঋতু চলাকালীন মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ স্ট্রিকটলি নিষেধ। 

“আদারওয়াইজ মে সাফার।”

                                                                                                                       (চলবে)

মাউন্ট আবু - উদয়পুর ভ্রমণঃ প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব, চতুর্থ পর্ব, পঞ্চম ও শেষ পর্ব

Comments

  1. Khub valo lagche.Baranda theke sandher view ta amar besi valo laglo.Mandirer sange sanjukto kahini ta apni eman sundar vangite ballen j parte maja laglo.R seser niom ta pare rag holo,but niomer opor rag kare miss karle chorer opor rag kare matite vat khoar samil habe.-Sunanda

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, সুনন্দা। সব বিষয়েই একমত।

      Delete
  2. রাজস্থানের লোকেরা কিছু ভালো ডাল রাঁধতে পারে, আর পারে রুটি বানাতে

    একদম হোল হার্টেডলি এগ্রি। রাজস্থানের রান্না খুব ভালো। বাকিটুকুর আশায় আছি।

    ReplyDelete
  3. সেই আসামের মতো উদয়পুর এ সাইকেল নিয়ে ঘুরবেন, এই আশায় আছি। পরের পর্বে দেখা যাক। আবুর অনেক স্মৃতি চাড়িয়ে দিলেন।

    দিলওয়ারার দরজার সামনে একজন ফটাসজল ওয়ালা ছিলেন। প্রত্যেক কাস্টমার কে সোডা পরিবেশন করার আগে, কায়দা করে ছিপিটা আকাশে উড়িয়ে দিতেন। দেখতে পেলেন নাকি?

    আর একটা আইফেল tower ও ছিল। 5 মিনিট টানা হেসেছিলাম সেটা দেখে। তার সামনেই একটা কাজ চালানো গোছের বার এ ডাল রুটি আর মাছভাজা খেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এসব কিছুই দেখিনি, চন্দ্রচূড়। বেশ খালি খালিই ছিল দিলওয়ারা। আর এবার সাইকেল নেই তবে লেকের ওপর বোটিং আছে। পরের পর্বে আসছে। ওঁদের ডালরুটির সত্যি জবাব নেই।

      Delete
    2. ওহ, ইস এটা বাজে মিস হয়ে গেছে।

      Delete
  4. Rajasthan er daal-ruti-sabji niye kono kotha hobena. Amar moton hardcore carnivore pranio Rajasthan trip e swechhay niramish kheyechhi, jar suruta hoyechhilo Udaypur thekei :)

    Chaliye jaan, porer porber opekkhay acchi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. রাজস্থানি ডালরুটি জিন্দাবাদ, অরিজিত।

      Delete
  5. Ei headline ta besh bhalo hoyeche.. Net theke photo dekheo nilam ekhoni.. Osadharon kaj temple er..

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, দিলওয়ারা বেশ চমকদার, ঊর্মি।

      Delete
  6. এই “আদারওয়াইজ মে সাফার।” দেখে আমারও জ্বলে গিয়েছিল, মনে হয়েছিল এত কান্ড করে এ মন্দিরে ঢোকার কীই বা দরকার !

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত, অন্বেষা। কিন্তু এসবকে বয়কট করা না বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানো, কোনটা বেটার প্রতিক্রিয়া এখনও মনের মধ্যে ঠিক করতে পারিনি। এতদূরে গেছি যখন দেখেই নিই ভেবে এখনও ঢুকে পড়ি, কিন্তু এসব চুকিয়েবুকিয়ে দিতে পারলেই ভালো মনে হয় একেক সময়।

      Delete
  7. Rajasthan-er daal boro bhaalo khete, emon ki amaar Moto ghor mangshashi-o okhaane gele shakahari hoye thakte kharap laagey na.

    Mandirer dorjaye oi shob probesh nishedh thaakey bole amio mondire probesh Kori na. Taate karor kichhu eshe Jaye na nishchoi...tobe oitukui amaar protibaad

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রথমত, রাজস্থানি ডাল সত্যি অসাধারণ। দ্বিতীয়ত, তোমার প্রতিবাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইল অর্পণ।

      Delete

Post a Comment