টাইম ম্যানেজমেন্ট + টু ডু লিস্ট



আমি টাইম ম্যানেজমেন্ট কী করে করি আর টু ডু লিস্ট কী করে বানাই সে নিয়ে একটা পোস্ট লিখতে বলেছে ঊর্মি। আমি পোস্ট লিখছি বিষয়দুটো নিয়ে আমার লেখার যোগ্যতা আছে বলে নয়, অন্য কারণে। 

এক নম্বর কারণ, ঊর্মি আমার স্কুলের জুনিয়র। এই পৃথিবীতে আমাকে লাল ফিতে সাদা মোজা চেহারায় যে গুটিকয়েক লোক দেখেছে তাদের মধ্যে ঊর্মি একজন। ঊর্মির কথা রাখা আমার কর্তব্য। 

দু’নম্বর কারণ, একটা লোককে কী কী দিয়ে চেনা যায় সে নিয়ে নানা মত আছে। সঙ্গ দিয়ে, খাওয়া দিয়ে, নিজের থেকে বেশি ও কম প্রিভিলেজড লোকের সঙ্গে ব্যবহার দিয়ে, টাকা খরচের ধরণ দিয়ে। কিন্তু আমার মতে, একটা লোক নিজের সময় কীভাবে ওড়ায় সেটা তাকে কোনও অংশে কম চেনায় না। দু’হাজার পনেরোর হু-র রিপোর্ট বলছে ভারতবর্ষের মহিলাদের গড় লাইফ এক্সপেক্টেন্সি ঊনসত্তর দশমিক নয়। সত্তরই ধরে নেওয়া যায়। তাহলে আমার হাতে আছে আর তেত্রিশ বছর। শেষ দশ বছর ব্যথাবেদনা, ফিজিওথেরাপি, কোমা, কেমো ইত্যাদিতে কাটবে যদি ধরে নিই, পড়ে থাকে তেইশ। এই তেইশ বছর আমি কী করে খরচ করি সেটার থেকে আমাকে আর বেশি করে কিছু চেনায় কি?

আমার টাইম ম্যানেজমেন্টের ধরণ দেখে আপনারা আমাকে আরও স্পষ্ট করে চিনবেন এই পোস্ট লেখার সেটা একটা কারণ, রোজ অচেতন অভ্যেসে যে সিদ্ধান্তগুলো নিই তাদের নিয়ে আঠেরোশো শব্দের পোস্ট লিখতে গিয়ে নিজেকে আরেকটু বেটার চিনব, সেটা আরেকটা।

*****


টাইম ম্যানেজমেন্ট আর টু ডু লিস্ট একে অপরের সঙ্গে ডি এন এ-র প্যাঁচের মতো জড়ানো কিন্তু আমার মতে দুটো জিনিস সম্পূর্ণ ভিন্ন অ্যাপ্রোচ দাবি করে। 

টাইম ম্যানেজমেন্টের আলোচ্য বিষয় সময়। আপনাকে একটা সীমিত সময় দেওয়া হয়েছে, আপনি সেটা খাবেন না মাথায় মাখবেন, কাঁটায় কাঁটায় বাঁধবেন না ফ্রি ফ্লোয়িং বইয়ে দেবেন, আপনাকেই তা ঠিক করতে হবে। সবার ক্ষেত্রে সময় আলাদা আলাদা। আমার যেমন তেইশ বছর। মহাকালের বিচারে কিছুই না, আবার খানিকটাও। আমি যেরকম মায়োপিক, তেইশ বছরের গোটাটা একবারে ম্যানেজ করার থেকে আমার পক্ষে ঢের সোজা হবে কালকের দিনটা ম্যানেজ করা। অ্যানি ডিলার্ড বলে গেছেন, হাউ উই স্পেন্ড আওয়ার ডেজ ইজ হাউ উই স্পেন্ড আওয়ার লাইভস। একটা একটা সুষ্ঠু দিন গেঁথে একটা সুষ্ঠু জীবন। অন্তত সে রকমই আশা। অর্থাৎ এখানে অ্যাপ্রোচ হচ্ছে বটম আপ। 

উল্টোদিকে, টু ডু লিস্টের অ্যাপ্রোচ আমার মতে টপ ডাউন হওয়া উচিত। এ লিস্টের কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে কাজ। জীবনে আপনি কী কী কাজ করতে চান। সেই কাজ দিন বাই দিন করা শুধু ঝামেলাই নয়, রীতিমতো অসম্ভবও বটে। এমন কোনও কাজই সারাদিনে আমরা করি না যেটা আগামীকালের কাজের সঙ্গে সম্পর্করহিত। আজকের চব্বিশ ঘণ্টা যেমন আজকেই শেষ, কেঁদে গলা ফাটিয়ে ফেললেও আজকের একটি সেকেন্ড কালে ট্রান্সফার করা যাবে না, কিন্তু আজ আপনি যা যা কাজ করবেন কালকের কাজে তার সুস্পষ্ট এবং নিশ্চিত প্রভাব পড়বে। আজ গলা সাধলে আর কালকেও গলা সাধলে, কালকের গলা সাধা আজকের থেকে বেটার হবে। পরশু আরও ভালো। আজকের প্র্যাকটিস কাল বৃথা যাবে না। 

আপনি চাইলে আজ গলা সাধতে পারেন, কাল পাহাড়ে চড়তে পারেন, পরশু রাজনীতিতে নামতে পারেন, আমি বাধা দেওয়ার কে, কিন্তু সাধারণত লোকে জীবনে একটা কি দুটো কাজে ফোকাস করে, তারপর প্রতিদিন সে কাজে ভালো হওয়ার প্র্যাকটিস করে। আর সমগ্র জীবনের স্বপ্ন আর লক্ষ্যকে ভেঙে ভেঙে প্রতিদিনের করণীয়-তে পরিণত করতে সাহায্য করে টু ডু লিস্ট। 

*****

এ তো গেল থিওরি। এবার আমার প্র্যাকটিক্যালে আসা যাক।

টাইম ম্যানেজমেন্ট দিয়ে লোক চেনা যায়, কিন্তু টাইম মোটামুটি ভদ্রস্থ ম্যানেজ করতে গেলেও একটা লোকের নিজেকে খানিকটা চেনা দরকার। নিজেকে চেনা বলতে আমি আত্মানুসন্ধানটন্ধান বলছি না। খালি এটুকু মনে রাখাই যথেষ্ট, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের আগেও মামামাসিরা সাড়ে ন’টার সময় ফোন করে যখন জিজ্ঞাসা করতেন, ‘সোনা পড়ছে নিশ্চয়, ডিস্টার্ব হচ্ছে না তো?’ মা বলতেন, ‘আরে না না, সোনা ঘুমোচ্ছে।’ 

আমার টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রথম জরুরি তথ্য হল, উচ্চমাধ্যমিক হোক, সি আই ডি-র আনকোরা এপিসোড হোক, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, সুনামি, পাশের কলেজে নবীনবরণ যা-ই হোক, কিছুই আমাকে সাড়ে নটায় ঘুমিয়ে পড়া থেকে আটকাতে পারবে না। পারেনি কখনও। (খালি জীবনে প্রথম বাড়ির বাইরে হোস্টেলে থাকা ছাড়া, যেটা সুনামির থেকে কোনও অংশে কম নয়।) 

দুই, আমার শরীরের পক্ষে ছ’ থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম অপটিমাম।

তিন, সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত আমার গোটা দিন অন্যের হাতে।

চার, অফিস থেকে ফেরার পর আর ঘুমোনোর আগে পর্যন্ত বেসিক্যালি আমি ব্রেনডেড। হাত পা নড়ে, নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস চলে, ব্যস। তার বেশি কিছু না। ওটা ক্লান্তি নয়, ওটা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আজও যে না মরে, মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই শিবিরে ফিরেছি, সেই শক হজম করা। ওই পরিস্থিতিতে কোনও কাজের কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। কত লেখকদের জীবনী পড়ি, কাফকা বারো ঘণ্টার শিফটে কাজ করতেন। বাড়ি ফিরে সংসার হ্যানাত্যানা সামলে রাত এগারোটা নাগাদ লিখতে বসতেন, একেকদিন ভোর ছ’টার আগে উঠতেন না। নিল গেম্যান অফিস থেকে ফিরে প্রতিদিন চারশো শব্দ, জাস্ট চারশো, কিন্তু রোজ, আর পটাপট উপন্যাস নেমে যেত। দেখেশুনে আমার আগেকার বিশ্বাসটাই বদ্ধমূল হয়েছে যে পরিশ্রমের ক্ষমতাও নিয়ে জন্মাতে হয়। এবং এ জীবনে আমার পরিশ্রমী হওয়ার চান্স নেই।

এই সব পয়েন্ট মাথায় রেখে আমি আমার দিনটাকে এইভাবে ভাগ করেছি। সকাল চারটে থেকে অফিসে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রথম দু’তিন ঘণ্টা আমার নিজের সময়। ও সময় আমি আমার যা ইচ্ছে তাই করি। সেটা অবান্তর হতে পারে, অনুবাদ হতে পারে, গল্পের বই পড়া হতে পারে, গান শোনা হতে পারে, আবার সিলিংফ্যানের দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকাও হতে পারে। বেসিক্যালি ওটা আমার রিচার্জড হওয়ার সময়। মাসমাইনে সুনিশ্চিত করার জন্য অফিসের সময়টুকু যা যা করা দরকার করি। মাঝখানে লাঞ্চের ঘণ্টাখানেকে আবার আমার পছন্দের কাজেরা অগ্রাধিকার পায়। অবান্তর, গল্পের বই, ইউটিউবে কুকুরছানার সাঁতার শেখা। বাড়ি আসার পরের জোম্বি সময়টুকু, মাথা অফ করে যে সব কাজ করা যায় তাদের জন্য বরাদ্দ। নাপতোল দেখা, অর্চিষ্মানের সঙ্গে মেলা গ্রাউন্ড পাক দেওয়া, খাবার গরম করা, খাওয়া, বাসন মাজা, অল আউট খোঁজা ইত্যাদি।

তারপর বই নিয়ে বিছানায়। বই পড়ার বার্ষিক চ্যালেঞ্জে ফেল না করার একটা চেষ্টা করা। (ইদানীং সে চেষ্টায় বড় বড় ফাঁক পড়ছে, অবিলম্বে বিহিত দরকার।) 

ব্যস, ফুরিয়ে যায় আমার আরেকটা দিন। হাতে পড়ে থাকে তেইশ ইনটু তিনশো পঁয়ষট্টি মাইনাস এক।

*****

টু ডু লিস্টের ব্যাপারে শুরুতে যেটা বললাম সেটাই ফলো করার চেষ্টা করি। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সামনের তেইশ বছরে যা যা করতে চাই সেটাকে বছরের এককে নামিয়ে আনি। আমার এ বছরের ডায়রির রং নীল। নীল ডায়রির প্রথম পাতায় এ বছরের করতে চাওয়া কাজগুলোর লিস্ট আছে। চাই না কিন্তু করতেই হবে, সে রকম কাজও অনেক আছে সে লিস্টে। প্রতি মাসের শুরুতে আমি সে মাসের সম্ভাব্য/করণীয় কাজের লিস্ট লিখি। প্রতি সপ্তাহের শুরুতে সপ্তাহের করণীয় কাজের লিস্ট। আর প্রতি দিনের শুরুতে সেই সব কাজের লিস্ট করি, যেগুলো পর পর সাতদিন জুড়লে আমার সপ্তাহের কাজের লক্ষ্যপূরণ হবে। সপ্তাহ জুড়ে মাস হবে, মাস জুড়ে বছর, বছরের শেষে প্রথম পাতায় লেখা লিস্টের প্রতিটি আইটেম একটি করে স্পষ্ট লাইন টেনে কেটে দেব, এই আমার সাধ।

*****

সাধপূরণের টোটকা গিজগিজ করছে ইন্টারনেটে, ইচ্ছে হলে দেখে নিতে পারেন। আমি এখানে ব্যক্তিগতভাবে ফল পেয়েছি এমন দুটো ছোট টিপস লিখছি। 

এক, বছরের শুরুতে লেখা লিস্টটা নিয়মিত ফিরে ফিরে পড়া দরকার। না হলে পথচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

দুই, টার্গেট ছোট রাখা ভালো। এই টোটকাটা মা বলেছিলেন আমাকে। মাকে বলেছিলেন গাভাসকার। মানে সাক্ষাতে কি আর বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে গাভাসকারের কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। কোনও একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মা সেটা পড়ে মনে করে রেখেছিলেন। গাভাসকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল উনি ওরকম ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠ কামড়ে পড়ে থাকতেন কী করে? ট্রিকটা কী? গাভাসকার বলেছিলেন, ট্রিক কিছুই না। দশ ঘণ্টা আউট না হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমি কোনওদিন মাঠে নামিনি। স্থির করেছি, নেক্সট দু’ঘণ্টা আমি আউট হব না। প্রথমটার থেকে দ্বিতীয় গোলটা প্যাঁচগুণ সোজা। দু’ঘণ্টা টিকে গেলে আবার পরের দু’ঘণ্টার লক্ষ্য স্থির করেছি। তার পর আবার দু’ঘণ্টা। ব্যস, জুড়ে জুড়ে দশ ঘণ্টা হয়ে গেছে। 

আমাকে যদি আজ ভোরবেলা উঠে মনে করতে হত যে আজ আমাকে একটা চোদ্দশো শব্দের পোস্ট লিখে ছাপতেই হবে, কারণ গত চার দিন অবান্তরে পোস্ট পড়েনি, আমি তৎক্ষণাৎ ঘেমে উঠে স্ক্রিভনার মিনিমাইজ করে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে লেগে যেতাম। তাই চোদ্দশোর কথা ভুলেও মনে করতে নেই। বরং মনে করতে হয়, জাস্ট দুশো শব্দ লিখলেই দুনিয়া উদ্ধার হয়ে যাবে। না থেমে, বিনা ডিসট্র্যাকশনে টাইপ করলে কত দ্রুত দুশো শব্দ টাইপ করা যায়, দেখে আমি এখনও প্রতিবার চমকে যাই।

***** 

এইবার প্রশ্ন উঠবে মিনিট সেকেন্ড মেপে টাইম ম্যানেজ করে লাভটা কী, কোটি কোটি টু ডু লিস্টেরই বা কী অবদান। অফিসের কথা তো ছেড়েই দিলাম, শখের মধ্যে লেখা, তাও পাঁচ বছরে মোটে একটি বই, তাও অবান্তরের রিসাইকেল করা পোস্ট কুড়িয়েবাড়িয়ে। যত লিস্ট বানিয়েছি আজ পর্যন্ত, একটাতেও একদান গেমস খেলার কথা লিখিনি কোথাও, তা বলে কি গেমস খেলি না? সকালের ওই মহার্ঘ দু’ঘণ্টার মধ্যেও খেলি। নীল ডায়রিতে স্পষ্ট লিখে রেখেছিলাম টাইম ম্যানেজমেন্ট + টু ডু লিস্ট পোস্ট পরশু ছাপব, মিস করেছি। কালও পারিনি। 

তবু এত কাণ্ড করি কেন? 

করি কারণ লিস্ট না থাকলে আজও আমি মিস করতাম, আজও আমার পোস্ট পাবলিশ করা হত না। নীল ডায়রি থাকাতে কাজের মাঝে মাঝে ফাঁকি দিয়ে গেম খেলি, না থাকলে সারাদিনই গেম খেলতাম।

সেই যে কে বলে গেছেন, শুট ফর দ্য স্টার, ফেল করলেও ইউ উইল এন্ড আপ অ্যামং স্টারস, আমার স্ট্র্যাটেজিটা অনেকটা ওই গোছের। তারাদের মাঝে জায়গা পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি বহুদিন। লক্ষ্য এখন শুধু কোনওমতে স্যাঁতসেঁতে বেসমেন্ট থেকে বেরিয়ে মাটির ওপর দাঁড়ানো, ঘাড় উঁচু করলে যাতে অন্তত চাঁদসূর্যতারাদের দেখতে পাই। সেই কাজে নীল ডায়রি আমার অগতির গতি।



Comments

  1. আমার টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব খারাপ । তোমার অবান্তর পড়ে তোমার ডিসিপ্লিনটা খানিক টের পাই , আজকের পোস্টে সেটার কথা না লিখলেও , সেটাই আসল যা আমার নেই ।
    এ পোস্টের শেষ প্যারাটা সব চেয়ে ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত।

      Delete
  2. Comment korte parchina Kuntala. Ki mushkil. Tomar time management amar to mone hoy productive. Bratati

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ব্রততী।

      Delete
  3. খুউউউব খুশি হলাম । ☺️ এই লিস্ট না থাকলে কি হয় সেটাই আমার হয়ে থাকে .. লিস্ট করলেও কেটে দেওয়া হয় না .. নয়তো সময় নেই করতেই হবে সেরকম অবস্থায় লিস্ট করা.. inspiration নেবার চেষ্টা করছি..

    ReplyDelete
  4. bah, Gavaskar er ei small steps er byaparta khub mone dhorlo. Kintu ranna dekhlam na daily routine e.. nischoi weekend e kore phelo! Ghum er byaparta high five,

    ReplyDelete
  5. আপনাকে, আপনার মাকে এবং গাভাস্কার কে অনেক ধন্যবাদ দিলাম আর উৎসাহিত হলাম কারন উপদেশ তো অনেক শুনি, আপনারা কাজে করে দেখিয়েছেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, তিনজনের মধ্যে কে যে হাসবে আর কে কাঁদবে সেটা ভেবে উঠতে পারছি না, নালক।

      Delete
  6. But still! How do you manage to read sooo many books? and then watch Midsomer murders/Poirot? Listen to H.P.Lovecraft audiobooks!

    Tumi sotti time management e amader oneker theke khub bhalo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আর কোনও কাজ করি না তো।

      Delete
  7. This post made me very emotional for some reason, very introspective and beautifully written, but above all it is inspiring. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ, রাকা।

      Delete
  8. বহু চেষ্টা করেও টাইম ম্যানেজমেন্ট-এর "ট"-টাও শিখতে পারলাম না। যখনি এই রিলেটেড কোনো আর্টিকেল পড়ি, তখন ভাবি, সত্যিই সময়টাকে ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো হতো। কিন্তু যতক্ষণ পড়ি ততক্ষণ ঐ চিন্ত, এরপর সব শেষ।

    আর "অতুল গুয়ান্ডে"র টু-ডু ম্যানিফেস্টো পড়ে তো পুরাই ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম।
    আপনার লেখা পড়ে অতীতের চিন্তা আর কাজ-কর্মগুলো খুব মনে পড়ে গেলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও একই দশা, ইউসুফ। চিন্তাই সার।

      Delete

Post a Comment