বাসাবদলের পরে
স্কুলে বাধ্যতামূলক কেমিস্ট্রি পড়তে হওয়া নিয়ে আমার একসময় ক্ষোভ ছিল। কী লাভ হয়েছে? জলের আরেক নাম এইচ টু ও আর নুনের আরেক নাম এন এ সি এল জানা ছাড়া? পরে অবশ্য ক্ষোভ মিটেও গেছে। আমার কাজে লাগেনি, অনেকের নিশ্চয় লেগেছে। সব বিষয় ক্লাস টেন পর্যন্ত আবশ্যিক করে রাখাটাও বাড়াবাড়ি মনে হত একসময়। সেটাও কেটে গেল যখন শুনলাম অনেক দেশে, রীতিমত সভ্য দেশে ক্লাস ফোরটোর নাগাদই অ্যাপটিচিউড চিহ্নিত করে স্ট্রিম আলাদা করে দেয়। ক্লাস ফোর ফাইভে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি না কী একটা ক্লাস হত যেখানে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ শঙ্করাচার্য নিতাইনিমাই জগাইমাধাই এইসব পড়ানো হত। আমি তাতে নিয়মিত পঁচানব্বই পেতাম। সেই দেখে আমার অ্যাপটিচিউড নির্ধারণ যে হয়নি ভালোই হয়েছে। নিজের এবং পরের শিক্ষাদীক্ষা নিয়ে অনেক বিশ্বাস আমার উলটেপালটে গেছে, কেমিস্ট্রি কিংবা ভারতীয় সংস্কৃতি পড়া উচিত না উচিত না, কতদিন পড়া উচিত এসব নিয়ে আমার আর কোনও মাথাব্যথা নেই। ইন ফ্যাক্ট, পড়েছি ভালোই হয়েছে, না পড়ে টিভি দেখলে খারাপ হত। কিন্তু যে ব্যাপারটাতে আমার প্রত্যয় ক্রমশ বাড়ছে সেটা হচ্ছে বাকিগুলোর সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু বিষয় আমাদের পড়ানো উচিত ছিল। ঐ...