পেনশন ফান্ড



এই নেট ব্যাংকিং-এর যুগে মাসের এ মাথা ও মাথায় ব্যাংকে যাওয়ার কী দরকার থাকতে পারে আমি বুঝি না। প্রথমে ভেবেছিলাম মা বোধহয় অনলাইন ব্যাংকিং-এ সড়গড় নন। জলের মতো সোজা ব্যাপার, এই দেখো, বলে কম্পিউটার খুলে বোঝাতে গেছি, মা তাঁর তিনখানা অ্যাকাউন্টের ন'খানা ইউজার আইডি, লগ ইন পাসওয়ার্ড, প্রোফাইল পাসওয়ার্ড টপাটপ টাইপ করে অ্যাকাউন্টে ঢুকে আমাকে সব দেখিয়ে দিলেন। বললেন, আমার সাতষট্টি হল, তোর এমনিও সব দেখে রাখা দরকার, সোনা। আমি এদিকে আগের সপ্তাহেই আমার সবেধন একখানা অ্যাকাউন্টের একখানা প্রোফাইল পাসওয়ার্ড, হিন্ট কোয়েশ্চেন সব ভুলে মেরে দিয়ে ব্যাংকে হত্যে দিয়েছিলাম। সাতাশি পর্যন্ত এসব নিয়ে খবরদার মুখ খুলবে না, বলে কোনওমতে মান বাঁচিয়ে পালালাম।

তুমি তাহলে এত ঘনঘন ব্যাংকে যাও কী করতে জিজ্ঞাসা করাতে মা বললেন, আরে কাজ থাকেই, তুই জানিস না। কী কাজ আমি সত্যিই জানি না, তবে এটা জানি বাড়িতে হাতপা গুটিয়ে বসে থাকতে মায়ের ভালো লাগে না। তাই বললাম, আচ্ছা যাবে যখন যাও, কিন্তু সাবধানে যেয়ো, রাস্তায় ফোন এলে ধোরো না, আমার ফোন এলেও না, চলতে চলতে ফোনে কথা বোলো না, রেললাইন পেরোনোর সময় ডান, বাঁ, ডান দেখো আর ফিরে এসে যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে যদি পৌঁছসংবাদ দাও ভালো না দিলেও কিছু না। আমি ফোন করে জেনে নেব।   

মা নিজেই খবর দেন। যাতায়াতের পথে, টোটোর লাইনে, ব্যাংকের ভিড়ে বলার মতো কিছু না কিছু ঘটেই, সে সব গল্প বলেন। কাজ হল কি না জানতে চাইলে বলেন, হবে না কেন, কী ভালো ভালো ছেলেমেয়ে সব আজকের জেনারেশনের। গেলেই বলে জেঠিমা বসুন, এক্ষুনি আপনারটা করে দিচ্ছি। কী আন্তরিক। হাসিমুখে দৌড়োদৌড়ি করে কাজ করে। সব টেবিলের সব কাজ জানে। কী এফিশিয়েন্ট।

বলতে বলতে মায়ের গলায় ছায়া ঘনায়। এত ভালোর পেছনে একটা কালো কোথাও ঘাপটি মেরে আছে। অবশেষে সেটা আত্মপ্রকাশ করে।

সব কন্ট্র্যাক্টে বসিয়ে রেখেছে। 

বলেই বোধহয় মায়ের মনে পড়ে যে তাঁর একটিমাত্র সন্তানও কন্ট্র্যাক্টের চাকরি করে, কাজেই মা কথা বাড়ান না। একসময় বাড়াতেন। হাতেপায়ে ধরতেন এমন একটা চাকরি করতে যেটা পার্মানেন্ট এবং যাতে পেনশন পাওয়া যায়। রিয়েল চাকরি। মা নিজে সারাজীবন যে রকম চাকরি করেছেন। মায়ের দোষ নেই। বেশিরভাগ সাধারণ লোকেই, আমি আমার মা শুদ্ধ, নিজের জীবন আর অভিজ্ঞতার বাইরে অন্য কোনও রকম জীবন বা অভিজ্ঞতার কথা কল্পনা করতে পারি না। চাকরি করলে স্বেচ্ছায় বেকার থাকার সিদ্ধান্ত কল্পনা করতে পারি না, দশটা পাঁচটা অফিস ঠ্যাঙালে ফ্রি ল্যান্সার শুনলে আঁতকে উঠি, ফ্রি ল্যান্সিং করলে দশটা পাঁচটাদের ক্রীতদাস মনোবৃত্তি নিয়ে মুখ ভেঙাই। 

অসাধারণরা কেউ কেউ এই সব অপারগতা মনে না রেখে প্রকাশ্যে আনেন এবং অন্যদের জীবিকা আর জীবনযাপনের ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে ব্যস্ত হন। এ রকম একজনের সঙ্গে আমার একবার ওলায় দেখা হয়েছিল। তিনি আজীবন রিয়েল চাকরি করেছেন। অনেক প্রশ্নোত্তরের পর তিনি অবশেষে আমার চাকরিখানার আগামাথা বুঝতে সমর্থ হলেন এবং বললেন, ওহ, প্রোজেক্ট বেসড চাকরি। তা প্রোজেক্ট শেষ হয়ে গেলে? হোপফুলি নতুন প্রোজেক্ট, বললাম আমি। উনি বাঁকা হাসলেন। আর নতুন প্রোজেক্ট না এলে? আমি খেলাটা বুঝতে পেরে হাসি হাসি মুখে চুপ করে গেলাম। এতক্ষণ ধরে যেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছিলেন, সেটা অবশেষে আমি দেখতে পেয়েছি রিয়েলাইজ করে উনি খুশি হলেন। 

আমি বেসিক্যালি গ্লোরিফায়েড বেকার।

আমার মা আশা করি অচেনা লোকের চাকরির ভুল ধরে বেড়ান না। খালি আমার পেনশনহীন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন। আগে আরও বেশি করতেন, এখন কমে গেছে বা প্রকাশ কম করেন। মাঝে মাঝে আমাকে পেনশন স্কিমের খোঁজ পাঠান। ব্যাংকের ভালো ছেলেমেয়েগুলোও মাকে নানারকম স্কিমের খোঁজখবর দেয়। সেগুলো আমার গোচরে আনেন।

মায়ের ভয় যে আমাকে একেবারে ভয় পাওয়ায় না, তেমন নয়। যে রেটে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করি, প্রোজেক্ট ফুরিয়ে গেল আর টপ করে মরে গেলাম, এরকম হওয়ার চান্স কম। যতদিন বাঁচব ততদিন মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচার আশায় সঞ্চয় করি। আমি প্রকৃতিগতভাবে সঞ্চয়ী কাজেই খুব পরিশ্রম করতে হয় না কিন্তু টাকা বাঁচানো সোজা নয়। 

কারণ এটাও খানিকটা জীবিকার চয়েসের মতো ব্যাপার। আমাকে আপনার বাজে খরচ ধরিয়ে দিতে বলুন, পাঁচ মিনিটে পঞ্চান্নটা বার করে দেব, কিন্তু নিজের বাজে খরচটা দেখতেই পাব না। 

বাজে খরচ আইডেন্টিফাই হয়ে গেলেই যে সেটা কমাতে পারা যাবে তেমনও নয়। আমার বর্তমান বাড়ি থেকে সি আর পার্কের বাজার তিন মিনিট হাঁটা পথ আর গোবিন্দপুরীর মার্কেট সাত মিনিট। কিন্তু দুটো বাজারের দামের তফাৎ এত নগণ্য নয়। শাকসবজি, ফলমূল, মাছ মশলা সবই নাকি সি আর পার্কের তুলনায় গোবিন্দপুরীতে জলের দর। গোটাটাই গুজব হতে পারে কারণ আমরা নিজেরা কখনও গোবিন্দপুরীর মার্কেটে রোজকার বাজার করতে যাইনি। যাইনি আমাদের টাকা বাঁচানোর দরকার নেই বলে নয়, আমাদের কুঁড়েমো করার তাগিদ টাকা বাঁচানোর তাগিদকে মাত দিয়েছে। চার মিনিট এক্সট্রা হাঁটবে না এক্সট্রা ইউটিউব দেখবে? এ প্রশ্নে আমাদের দুজনের উত্তর দুজনেই জানি। মুখ ফুটে জিজ্ঞাসা করতে হয়নি কখনও।

একই জিনিস একই বাজার থেকে সবাই এক দামে কেনে না অবশ্য। খরচ কমানোর একটা উপায় হচ্ছে দরাদরি। আমার আর অর্চিষ্মানের অনেক অসুবিধেজনক মিলের মধ্যে একটা হচ্ছে দরাদরিতে আমাদের সম্পূর্ণ অপারগতা এবং অনীহা। পোষালে কেনা, না পোষালে ল্যাজ গুটিয়ে পিঠটান দেওয়া, এর মাঝামাঝি কোনও রাস্তা আমাদের জানা নেই।

একমাত্র একটা জায়গায় আমাদের খরচ কমানো কাজে দিয়েছে। বাইরে খাওয়া ড্র্যাস্টিক্যালি কমিয়েছি, খেলেও দোকানের চরিত্র বদলেছি। মাঝে মাঝে অতীতের সোনালি দিনগুলোর কথা মনে পড়লে মনখারাপ করে, বার্গার কিং আর সুইগির এস এম এস-গুলো না পড়ে ডিলিট করতে মাঝে মাঝে কান্না পায়। তখন একে অপরকে সান্ত্বনা দিই, সাময়িক সুখের বদলে পেনশন ফান্ড আয়তনে বাড়ছে। 

যে জায়গাটায় ততটাও কাজ দেয়নি সেটা দৈনিক যাতায়াত। এখন ভাবলে স্বপ্নের মতো লাগে, জয়েন করার পর প্রথম ক'মাস আমি অ্যাকচুয়ালি বাসে চেপে অফিস যেতাম। তারপর বাস থেকে মেট্রো ধরলাম, মেট্রো থেকে অটো, ক্রমে এত নির্লজ্জ হয়েছি যে এই গরমে এসিহীন অটোতে চড়ার কথা ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়। পাড়ার  দু'কিলোমিটারের মধ্যে টকটকে লাল রঙের ঝকঝকে মেট্রো স্টেশন তৈরি হচ্ছে, পাশ দিয়ে যেতে যেতে দুজনে দুজনকে মনে করাই, এটা চালু হয়ে গেলে কিন্তু আর কোনও অজুহাত নয়, মেট্রোতেই যাতায়াত করব। আমাদের সদিচ্ছায় কোনও ফাঁকি নেই এই মুহূর্তে, কিন্তু ভবিষ্যতে কী ঘটবে ভবিষ্যৎই জানে।

ওলা উবার যখন চাই তখন পাওয়ার সুবিধে তো আছেই, তার থেকেও বেশি সুবিধে হল মানুষের সঙ্গে কথা বলার আর কোনও দরকারই নেই। মেট্রোটেট্রোতে যদি বা সরে দাঁড়ান দাদা বলার দরকার পড়ত, ওলাউবারে চাইলে সেটাও অ্যাভয়েড করা যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও গল্প করতে করতে যাব বলে সকালবেলা অফিস যাওয়ার পথে দুজনে নিজস্ব ওলা নিতাম, টাকা বাঁচানোর তাগিদে সে বিলাসিতা বর্জন করেছি, এখন দুজনেই দুবেলা যে যার পুল। আমাদের টাকা বাঁচানোর মিশনের সিরিয়াসনেস বুঝতে পারছেন আশা করি। 

অবশেষে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে অপচয় উৎখাত করেছি নিশ্চিন্ত হয়ে হাঁফ ছাড়ছি যখন তখন একদিন ওলা বুক করতে গিয়ে আঙুলের বেখেয়ালে পিক আপ পয়েন্টের সবুজ পিনটা বাড়ির দরজা থেকে সরে রাস্তার উল্টোদিকে ফ্ল্যাটবাড়িগুলোর দরজায় গিয়ে পড়ল। আর আমি রিয়েলাইজ করলাম রাস্তার ওপার থেকে আমার অফিসের ভাড়া রাস্তার এপার থেকে অফিসের ভাড়ার থেকে ষোলো টাকা কম।

মুহূর্তটা এখনও মনে আছে। উত্তেজনা, উল্লাস, এতদিন এটা আবিষ্কার না করতে পারার আফসোস। গাড়িতে উঠেই অর্চিষ্মানকে ফোন করেছিলাম। তারপর ও-ও ট্রিকটা কাজে লাগিয়ে দেখেছে, রাস্তার এপারওপারে ডেফিনিটলি ভাড়ার তফাৎ হয়।

মাঝে মাঝে হয় না। কিন্তু আমি দমি না। আমার বাড়ির সামনের রাস্তার এপার ওপার আছে, আর আমার অফিসের আছে তিনখানা গেট। পিক আপের দুই বিন্দু আর ড্রপ অফের তিনটি বিন্দু নিয়ে আমি ততক্ষণ পারমুটেশন কম্বিনেশন চালিয়ে যাই যতক্ষণ না পুলের ভাড়া ন্যূনতম হয়। বাড়ির সামনে থেকে এক, দুই বা তিন নম্বর গেট, এক নম্বর গেট থেকে বাড়ি বা উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের গেট। উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের গেট থেকে দু'নম্বর, দু'নম্বর থেকে বাড়ি, বাড়ি থেকে তিন নম্বর, তিন নম্বর থেকে ফ্ল্যাট।

লেট হয়ে যায়, হোকগে, এ যুদ্ধে আমি জিতেই ছাড়ি। 

এও একরকমের দরাদরি, এবং যে রকম দরাদরি থেকে আমি দৌড়ে পালাই তার থেকে সম্ভবত অনেক বেশি ছ্যাঁচড়া এবং নির্মম। কিন্তু বাকি দরাদরির সঙ্গে এর তফাৎ আছে। উল্টোদিকে কোনও মানুষ নেই। আমি কল্পনা করে নিয়েছি, উল্টোদিকে রয়েছে অদৃশ্য পুঁজিবাদী কর্পোরেশন যে আমার শ্রমের ফল চুরি করে মুনাফায় বদলাতে চায়। 

কাজেই আমার বিবেক ঝকঝক করে। নবোদ্যমে আমি সিস্টেমকে হারানোর যুদ্ধে নামি।

অনেক রকম পারমুটেশন কম্বিনেশন করে দেখেছি একদিকের ট্রিপে ষোলো টাকার বেশি বাঁচানো যায় না। ষোলোই সই। অফিসে মেডিক্যাল বিলের পয়সার অংশটা পর্যন্ত রাউন্ড ডাউন করে রিইমবার্স করে, ষোলো টাকা তো অনেক।

আজকাল সকালবিকেল ষোলো ষোলো বত্রিশ টাকা পেনশন ফান্ডে জমা করছি। আগের থেকে ভয়টা অনেক কম লাগছে।


Comments

  1. রোজ বত্রিশ টাকা? গাড়িভাড়া বাঁচিয়েই লাখপতি হতে পারবেন আপনি, হিসেব করে দেখলাম।
    কিন্তু এটা শুধু উবারে করবেন, কেমন? নইলে আমার মামাতো ভাই ওলায় চাকরি করে, তার পেনশন ফান্ডে টান পড়বে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, খেয়াল রাখব।

      Delete
  2. Darun idea dile to cab er taka save korar.. dekhte hobe.. 32 taka kore jomiye mas er seshe recurring account kore jomao.. onek hobe.. kakimar o chinta kome jabe.. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ বিন্দু বিন্দুতেই তো সিন্ধু, বল ঊর্মি?

      Delete
  3. Interesting lekha. Loke nijeder chakrir shujog shubidhe diye onyer chakri maape ebong upodesh dyay. Eita ekta fantastic insight. Kokhono kheyal kori ni, kintu ekhon mone hochhe hyan, eirokom tai to hoy.

    iti
    Shuteertho

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই উপদেশদানটা বিয়ে, বাচ্চা, বাড়ি কেনা, সব ক্ষেত্রেই ফেস করেছি সুতীর্থ, তবে আমার সামহাউ চাকরি নিয়ে জাজমেন্টটা বেশি গায়ে লাগে।

      Delete
  4. sobi nodir epaar opaar. tumi bhabo pension nei. ami bhabi amake to apish theke bidesh pathaye na. tar sathe pending DA, pay commission o hocche na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই, কোনটা যে ভালো বোঝা শক্ত, কুহেলি।

      Delete
  5. Ore baba. Eta amar jeeboner sobcheye boro chinta. Ami prokritigoto bhaabe behisebi ebong kurer badsha. Maney, sobcheye kharap combination. (Sonchoyi + kure hole etota somosya hoto na. Behisebi + chotpote holeo na.)

    Ma-baba dujonei sorkari chakri korten/koren. Amar besorkari chakri dekhe shiure uthe thik tomar maa er moto roj roj bibhinno pension scheme er khoj pathan. Uber chhere auto chapte bolen. AC kom chalate bolen. Baire kom khete bolen.
    Kintu robbar dupure AC ghore boshe Swiggy diye anano biriyani khawar anondo ta ekhono pension fund er mahatwo ke chhaw goal e harachche. Amar buro boyeshe somuho dukkho achhe, ei chokher samne dekhte pachchi. :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, আরে চিন্তা নেই কোনও, বিম্ববতী। রবিবার দুপুরে সুইগি মাস্ট। সব টাকা জমিয়ে রাখাও কোনও কাজের কথা না। ভোগের সময় ভোগ করাটাও জানতে হয়, না হলে তো সব ভূতে লুটেপুটে খাবে।

      Delete
  6. Amaro kharach ebong jomano, dutor e ekta prodhan channel baire khaoa. Kharach ta bojhai jay, bachano ta hoy kichhu ekta khabo bhabi, tarpor na khaoa hole

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, টাকা জমানোর এই পদ্ধতিটা ভালো, শিবেন্দু।

      Delete
  7. জাজমেন্টাল হওয়াটা মনে হয় ভারতবর্ষীয়দের মজ্জাগত অধিকার। হয় তোমার যাপন আমার চেয়ে খারাপ নয় তুমি কত কম পরিশ্রম করে ফূর্তি করছ । আমার অফিসে এক সিনিয়র প্রায়ই বলে ,' তোর টাকার কি দরকার বলতো , একা মানুষ , বাবার হোটেলে থাকিস' । কীইই বা বলা যায় এর উত্তরে আমি জানিনা!
    ষোলোটাকা মোটেও কম না , সেদিনি আমি পকেট থেকে পাঁচ টাকা পেয়েছি ভাবতে পারো? ^_^

    ReplyDelete
    Replies
    1. জাজমেন্টাল হওয়ায় আমার আপত্তি করা শোভা পায় না, আমিও মারাত্মক জাজমেন্টাল। আমার যেটায় আপত্তি, সেটা নিজের জাজমেন্ট সেধে লোককে শোনাতে যাওয়ায়। নিজের মতামত নিজের কাছে রাখাটা যে কী মারাত্মক বিরল হয়ে উঠছে দিনদিন।

      পাঁচটাকা দিয়ে একটা মাঞ্চ খেয়ে পড়ে পাওয়া টাকার আনন্দ উদযাপন করো প্রদীপ্ত।

      Delete

Post a Comment