গুপ্তধনের সন্ধানে
উৎস গুগল ইমেজেস
গুপ্তধনের সন্ধানে-র চরিত্রদের নামকরণ মহা কনফিউজিং। সিনেমার আবীর হচ্ছেন বাস্তবের অর্জুন চক্রবর্তী আর বাস্তবের আবীর চ্যাটার্জী হচ্ছেন সিনেমার সুবর্ণ সেন, সোনাদা। অক্সফোর্ডে সাত বছর পড়িয়ে কলকাতা ফিরেছেন। ইনি সম্পর্কে সিনেমার আবীরের কাকা, কিন্তু আবীর ওঁকে দাদা বলেই ডাকে। আবীরের মামাবাড়ি মণিকান্তপুরের জমিদার। সাড়ে তিনশো বছরের পুরোনো জমিদারবাড়ির গল্প শুনে হিস্ট্রির প্রফেসর সোনাদা সেখানে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। মস্ত এস ইউ ভি চালিয়ে সোনাদা আর আবীর মণিকান্তপুর রওনা দিল।
অকৃতদার জমিদার, আবীরের মামা হরি (চরিত্রের পুরো নাম ভুলে গেছি, অভিনয় করেছেন গৌতম ঘোষ) ঘরভর্তি বইয়ের মাঝখানে বসে থাকেন। জমিদারবাড়িতে আর থাকেন রামকৃষ্ণ নামের গোপালমন্দিরের পূজারী, মহাদেব, মহাদেবের স্ত্রী (নাম মনে নেই), আর এঁদের ছেলে নীলু।
বাংলা সংস্কৃতিতে চাকরের ভূমিকা নিয়ে রিসার্চ হওয়ার দরকার। যে কোনও নাটক, নভেল, সিনেমা, ওয়েব শর্টস দেখুন, এক তো বটেই, খুব সম্ভব একাধিক চাকরের দেখা পাবেন। এবং এই সব সিনেমার চাকরবাকরের সঙ্গে রক্তমাংসের কাজের লোকদের কোনও মিল পাবেন না। অন্তত আমি পাইনি। বাড়ির কাজের লোকেদের সঙ্গেও আমাদের রীতিমত আন্তরিক সম্পর্কই ছিল দেখেছি, একসঙ্গে বসে চাবিস্কুট খাওয়া হত, আমার ঠাকুমাকে তাঁরা সব খবর দিতেনটিতেন কিন্তু তাঁরা কেউ আমার মা বাবা ঠাকুমাকে দেখলে আপসে হাফকুঁজো হয়ে যেতেন না। নিজেদের কোনওরকম অধিকারে (না বলে কামাই করার) হস্তক্ষেপ হওয়ার উপক্রম হলে পেলে রীতিমত ফোঁস করতেন।
আপনি বলতে পারেন, সিনেমার কাজের লোকদের সঙ্গে রক্তমাংসের কাজের লোকদের মিল খুঁজতে যাওয়া বোকামি। বিশেষ করে সিনেমার জমিদারবাড়ির। এঁদের সম্পর্কটা চাকরমনিবের নয়, বাড়ির লোকের মতো হ্যানাত্যানা। যদিও এঁরা কোনওদিন বাড়ির লোকেদের সঙ্গে টেবিলে বসে খান না। নিজের ছেলে খাচ্ছে কি না তাতে এঁদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, সি জি আই সন্দেহ উদ্রেককারী সাইজের কাতলা মাছের মুড়ো মনিবের ছেলের পাতে তুলে দেওয়ার সময় এঁদের মুখের স্বর্গীয় আভা দেখলে আপনার চোখে জল এসে যাবে। মনিবের বাঁদরের একশেষ নাতির পেছনে চব্বিশঘণ্টা দৌড়নোর সময়ও এঁদের মুখের সেই আভা মেলায় না, আড়ালে পেলে কষে কান মলে দেওয়ার ইচ্ছে খালি আমার মতো দানবিক দর্শকদের মনেই জাগে।
আপনি বলতে পারেন, সিনেমার কাজের লোকদের সঙ্গে রক্তমাংসের কাজের লোকদের মিল খুঁজতে যাওয়া বোকামি। বিশেষ করে সিনেমার জমিদারবাড়ির। এঁদের সম্পর্কটা চাকরমনিবের নয়, বাড়ির লোকের মতো হ্যানাত্যানা। যদিও এঁরা কোনওদিন বাড়ির লোকেদের সঙ্গে টেবিলে বসে খান না। নিজের ছেলে খাচ্ছে কি না তাতে এঁদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, সি জি আই সন্দেহ উদ্রেককারী সাইজের কাতলা মাছের মুড়ো মনিবের ছেলের পাতে তুলে দেওয়ার সময় এঁদের মুখের স্বর্গীয় আভা দেখলে আপনার চোখে জল এসে যাবে। মনিবের বাঁদরের একশেষ নাতির পেছনে চব্বিশঘণ্টা দৌড়নোর সময়ও এঁদের মুখের সেই আভা মেলায় না, আড়ালে পেলে কষে কান মলে দেওয়ার ইচ্ছে খালি আমার মতো দানবিক দর্শকদের মনেই জাগে।
এই আনুগত্য কোথা থেকে আসে, সেটা একটা রহস্য। সিনেমায় কোথাও তো মাইনেকড়ি দেওয়া দেখানো হয় না, সম্ভবত প্রাসঙ্গিক নয় বলে, কিন্তু অন্য কোনওরকম দানদাক্ষিণ্যের নমুনাও তো দেখা যায় না।
এই সিনেমাটার কথাই যেমন ধরা যাক। জমিদারমশাই তাঁর অপদার্থ ভাগ্নেকে গুপ্তধনের সন্ধান দিয়ে যাওয়ার জন্য অস্থির, সে মামার ডাকে সাড়া না দিয়ে ট্রেকিং-এ চলে যাওয়া সত্ত্বেও এবং গুপ্তধন পাওয়ার কোনও যোগ্যতারই প্রমাণ দিতে না পারা সত্ত্বেও। ভূতের ভয়ে রাতে বাইরে যেতে পারে না, মামার লিখে রেখে যাওয়া আধখানা ক্লুয়ের সমাধানও যার দ্বারা হয়নি। খালি পারে গাঁক গাঁক করে খেতে।
অথচ ওই বাড়িতেই একটি অত্যন্ত ব্রাইট ছেলে, মহাদেব এবং মহাদেবের স্ত্রীর একমাত্র সন্তান নীলু বড় হচ্ছে। যার বুদ্ধি আছে, লয়্যালটি আছে, মায়াদয়া আছে, লঘুগুরু জ্ঞান এবং সর্বোপরি বিবেক আছে,সেই ছেলেটির সঙ্গে অত ইন্টারেস্টিং মামাবাবু কোনওরকম যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা তো করেছেন বলে দেখা গেল না।
যাই হোক, গুপ্তধনের সন্ধানে-র আর দুজন ইম্পরট্যান্ট চরিত্র হচ্ছেন জমিদার মামার আবাল্যের বন্ধু অখিলেশ (কমলেশ্বর)। এঁর মেয়ে ঝিনুক (ঈশা সাহা) যাদবপুরে কমপ্যারেটিভ লিটারেচার পড়ে। ছুটিতে বাড়ি গেছে। এর সঙ্গে সিনেমার আবীরের প্রেম হবে।
ক্রমে আবিষ্কার হয় যে মামাবাড়িতে মোগল আমলের গুপ্তধন আছে। সে গুপ্তধনের খোঁজ আবীরকে দিয়ে যাওয়ার জন্য মামাবাবুর রেখে যাওয়া একের পর এক ক্লু খুঁজে বার করে তার সমাধান করেন সোনাদা। ইন্টারভ্যালের আগে প্রোমোটার ভিলেনের আবির্ভাব হন। ইনি দুষ্টু লোক কাজেই এর দশানন দাঁ টাইপের নাম আর ইনি, অফ কোর্স, ইংরিজি বলতে পারেন না। দশানন ওরফে রজতাভ সারা সিনেমা পেশেন্সকে পেশেন্ট বলে দর্শকদের মনোরঞ্জন করলেন যতক্ষণ না অক্সফোর্ড ফেরত সোনাদা ঠিক শব্দটা শিখিয়ে দিলেন। ভাগ্যিস শেখালেন, কারণ তার অব্যবহিত পরেই দশানন গোটা সিনেমার বেস্ট সংলাপটা বললেন। আমার আক্ষরিক মনে নেই, প্যারাফ্রেজ করে বলছি…
আমার পেশেন্স কম বলে লোকাল হাসপাতালে পেশেন্ট এত বেশি।
দশানন আবীরকে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে, বাবাকে বলে দিয়ো, বাড়ি আমি নিয়েই ছাড়ব। আবীর আর আবীরের প্রেমিকাও বাড়ি নিয়ে নানারকম প্ল্যানপ্রোগ্রাম চালাতে থাকে। একটা রহস্যময় ব্যাপার হল যে বাড়ি তো আবীরের বাবারও নয়, আবীরেরও নয়, আবীরের প্রেমিকার তো নয়ই। বাড়ি আবীরের মায়ের। কিন্তু বাড়ি নিয়ে কী করা হবে, বেচা হবে না রাখা হবে সে নিয়ে মহিলার মতামত নেওয়ার কোনও উদ্যোগ কারও মধ্যে দেখা যায় না। দশানন দাঁ টাইপের নামওয়ালা নায়েবের বংশধরের না হয় এই সহজ সত্যিটা মাথায় আসা কঠিন, কিন্তু অক্সফোর্ড ফেরৎ সোনাদাও তথৈবচ। সকলেই বলে, বাবাকে জিজ্ঞাসা কর।
কিছুদিন আগে সংগীত বাংলা চ্যানেলে গুপ্তধনের সন্ধানে-র প্রোমোশনাল অনুষ্ঠানে সিনেমার হিরো আবীর চ্যাটার্জি আর পরিচালক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথন দেখছিলাম। তাতে পরিচালক সিনেমাটির ইতিহাসমনস্কতা ছাড়াও আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। সেক্স, মার্ডারের থেকেও বাঙালি দর্শকের কাছে সিনেমা বা যে কোনও শিল্পকর্ম হিট করানোর যা সিংগলমোস্ট কার্যকরী উপকরণ।
বাঙালিয়ানা।
পরিচালকের দাবি ফাঁপা নয়। খাওয়া নিয়ে অবসেশন, ক্রন্দনোন্মুখ কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত, ইংরিজির অশুদ্ধতা নিয়ে কমিক রিলিফ ইত্যাদি বাঙালিয়ানা গুপ্তধনের সন্ধানে-র ছত্রে ছত্রে ছড়ানো। শিক্ষার প্রতি বাঙালির দুর্বলতা সর্বজনবিদিত। অক্সফোর্ড ফেরৎ সোনাদা তো আছেনই, মণিকান্তপুরের গুণ্ডারা পর্যন্ত ভিকটিমের গলায় ছুরি ধরে দাঁড়িয়ে একে পক্ষ, দুয়ে চন্দ্র থেকে দশ দিক পর্যন্ত কণ্ঠস্থ বলতে পারে।
পুরোনো জমিদার বাড়ির প্রেক্ষাপটে থ্রিলারের থেকে বেশি ভালো জমে ভূতের গল্প। পরিচালক সে লোভ সংবরণ করতে পারেননি। সিনেমা জুড়ে ছায়া ছায়া রাতে কারা যেন ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে, গরগর আওয়াজ তুলে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু গোটা সিনেমাটা আপাদমস্তক ইহলৌকিক, ভূতপ্রেতের বিন্দুমাত্র ছায়াও সেখানে নেই। কাজেই ওই দৃশ্যগুলো মিসলিডিং।
সিনেমাটায় সাসপেন্সেরও অভাব রয়েছে। আমরা প্রায় ফার্স্ট সিন থেকে ভবিষ্যদ্বাণী শুরু করেছিলাম যে এই লোকটাকে এখন ভিজে বেড়াল মনে হচ্ছে, পরে নির্ঘাত ভিলেন বেরোবে। বেরোয়নি। বাইরে থেকে যাদের দেখে যা মনে হচ্ছিল তারা শেষ পর্যন্ত ঠিক তেমনই রয়ে গেছে। অবশ্য আমাদের গেস করা উচিত ছিল, কারণ শুরুতে যাদের ভালোমানুষ মনে হয়েছিল তাদের সব শহুরে নাম, রাবীন্দ্রিক চাল আর শুদ্ধ ইংরিজি। শেষে গিয়ে তাদের খারাপ লোক দেখানো ডিফিকাল্ট।
শেষ করার আগে সিনেমাটার দুটো ভালো দিকের কথা বলি। এক, এই সিনেমার চরিত্ররা কেউ অনীক দত্তের ভাষায় কথা বলেন না, কাজেই সংলাপ বসে শোনা যায়। আর সিনেমার হিরো সোনাদা, অ-বাঙালিচিত লেভেলের সুপুরুষ। আমার মতে এই সিনেমার বেস্ট ব্যাপার।
আর গৌতম ঘোষ কে কেমন লাগল ? আমার খুব প্রিয় অভিনেতা।
ReplyDeleteগৌতম ঘোষ শুরুতে খুব অল্প সময়ের জন্যই ছিলেন, নালক।
DeleteCinema ta net e pele ekbar dekhbo. Bhalo review likhechhen. Amar oboshyo bhuter golper theke thriller tai beshi bhalo laage. Aar aajkal besh anek thriller ba goenda movie hochche. Tabe tarmodhye amar kakababu r adaptation ta bhalo laageni.
ReplyDeleteAnyway, movie ta net e khuje dekhar chesta korbo aapnar review er por.
সত্যি বলতে কি আমার কাকাবাবু পড়তেও বিশেষ ভালো লাগত না, সুস্মিতা, সিনেমা তো ছেড়েই দিলাম।
DeleteAmar o na. Boshoy nirbachon theke golper jaal bona...sabtai kemon laagto...tabe cinema r adaptation ta ekebarei bhalo laageni...aantlami aar streetsmart korte giye ki je baniyechhe...
DeleteSamaresh Majumdar er koekta Arjun er golpo borong bhalo legechhilo aage
এই সিনেমাটার সবচেয়ে খারাপ জিনিস হল কমলেশ্বরের ওই কুৎসিত জ্ঞানদা ভঙ্গিতে হ্যাজানো। তার চেয়ে একটু কম হলেও গান-ফান নিয়ে ঈশা-কে আমার অসহ্য লেগেছে।
ReplyDeleteএই সিনেমার একমাত্র ভালো জিনিস আবীর চ্যাটার্জি। সিনেপলিসে হলের দুই-তৃতীয়াংশ ভর্তি ছিল মহিলায়, এবং স্ক্রিনে সোনাদার আবির্ভাবের সঙ্গে-সঙ্গে তাঁদের (ইনক্লুডিং আমার মেয়ের) মুখে যে হাসি ফুটে উঠল তা, লোকে বলে, উত্তমকুমারের জন্য সংরক্ষিত থাকত।
সিরিয়াসলি, সোনাদার সঙ্গে ডাকনাম শেয়ার করি বলে যা গর্ব হচ্ছিল, ঋজু।
Delete"kakababu porteo bishesh bhaalo laagto na" eta jene khub nishchinto holam. Shahsoh Kore kothata beshi kauke bolte parini.
ReplyDeleteInfact bangala Kishore sahityo maanei taar dada/mama/Kaka/mashi detective eta konodin bujhini.
হাহা, সেকেন্ড পয়েন্টটাও ভেবে দেখার বিষয়, অর্পণ।
DeleteAbir. Abir. Abir.
ReplyDeleteহাহা, তোমার পছন্দের তারিফ করছি, কুহেলি।
DeleteBesh besh. sujog pele dekhe nebo chhobita
ReplyDeleteহ্যাঁ, দেখতে পারেন, অরিজিত।
Deleteei ek e theme (historical treasure ) niye ek e somoye aro ekta bangla cinema dekhe fellam. nam Alinagarer golokdhadha.. bhalo legeche. internet e ele dekhte paren.. Okhaneo "bangaliyana" ache, tobe ei cinema-r moto noy. bibhinno clue te banglar itihas er bibhinno dik tule dhora hoyeche.bodhoy etar theke bhaloi lagbe
ReplyDeleteদিল্লিতে রিলিজ করেনি এখনও, না করলে নেটে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আরকি।
Deleteআমাদের মফস্বল অঞ্চলে না হলেও সিনেমার চাকরবাকরের মিল বাস্তবে আছে গো। আমার মেসোর পরিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক গ্রামের জমিদার ছিলেন। এখনও সে বাড়ি ভালোই দেখাশোনা হয়। সেই লোকজন মেসোমশাই কে এখনও বাবু বলেই সম্বোধন করেন ,মাসিকে মাঠাকরুণ, হ্যাঁ না বলে আজ্ঞে বলেন আর ঐ সামনে ঝুঁকে কথা বলেন। মেসো এই পুকুরে জাল ফেল্ বলার সাথে সাথে জাল এসে হাজির হয়। মাসিকেও ঐ বাড়ি গেলে সিনেমায় দেখার মত দাঁড়িয়ে থেকে মাছ ধোয়ানো কাটানো এবং রান্না করানো মানে এবার আলু দাও .. এবার মশলা দাও ... ইত্যাদি বলতে দেখেছি।
ReplyDeleteএই সিনেমা টা দেখলে একমাত্র আবীর চ্যাটার্জীর জন্য দেখব :)
মিল তো থাকবেই, ঊর্মি। একেবারে আকাশ থেকে তো কল্পনা করা যায় না। আমার ধারণা তুই যে রকম বললি চাকরমনিব সম্পর্কের এই মডেলটা বাঙালি দারুণ পছন্দ করে, আর গ্লোরিফাই করে সিনেমায় দেখায়।
Deleteaami tow cinema ta dekhte giye bhablam je abantor e giye K ke bolte hobe, ei dyakho abir tomar naam niye goyenda r paath korchey :))
ReplyDeleteহাহা, আমারও নামের মিলটা পছন্দ হয়েছে, শম্পা।
Deleteআমি আজ দেখলাম। আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। তবে বাংলা সিনেমার "বার" টা এতই নিচু, যে মন্দ লাগলনা। অবশ্য তার জন্য আবীর অনেকটাই দায়ী।
ReplyDelete'বার'এর ব্যাপারে হাই ফাইভ, সুগত।
Delete