৬ জুন, ২০১৮, সন্ধে



এই জন্য আমি যত্রতত্র কান থেকে গান খোলার বিরোধী। ট্যাক্সির রেডিওতে আর আমার ফোনের রেডিওতে এক চ্যানেলে একই গান বাজলেও আমি হেডফোনে সে গান শোনা পছন্দ করি। ছয়ই জুন অফিস থেকে ফেরার পথেও সে রকমই শুনছিলাম। কিন্তু যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি মাঝেমাঝেই বিড়বিড় করছিলেন আর আমার আশঙ্কা হচ্ছিল আমাকে কিছু বলছেন বুঝি। ওঁর ওইদিকের কানে যে ব্লু টুথ গোঁজা আছে সে তো আমি দেখিনি। শেষটা কান থেকে হেডফোন খুলে 'হাঁ জি?' বললাম, ড্রাইভারজি মাথা নেড়ে বোঝালেন যে আমাকে কিছু বলেননি আর সেই ফাঁকে রেডিও থেকে এক মহিলার মিষ্টি গলা বেজে উঠে বলল, 'এই যে ছয়ই জুনের সন্ধে, এটা আর আপনার জীবনে কোনওদিনও আসবে না, ভেবে দেখেছেন?'

দেখিনি। আজকের সন্ধেটা যে আর কোনওদিন আসবে না, এই যে গ্রেটার কৈলাসের মেট্রো স্টেশনের সামনে রিকশা, অটো, পদাতিক, টেম্পো এবং বি এম ডবলুর জ্যাম ঠেলে পোঁ পোঁ হর্ন বাজিয়ে চলে যাচ্ছি, এক্স্যাক্ট এই জ্যাম ঠেলে আর কোনওদিন যাব না, আমার হাতে পায়ে শরীরের এই মুহূর্তের যে জোরটুকু, বুকের ভেতর টিমটিম করা আশাটুকু থাকবে না, গত সাড়ে সাঁইত্রিশ বছরের কত বিকেল এইভাবে আমার অচেতন মগজের পাহারা এড়িয়ে পালিয়ে গেছে, আরও কত পালিয়ে যাবে এবং আমার সিকিখানা উপন্যাসও লিখে ওঠা হবে না, এই সব নিয়ে আমি ওই মুহূর্তে সত্যিই ভেবে দেখছিলাম না। কিন্তু এই যে আপনি দেখালেন, আর চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছি না। থ্যাংক ইউ। এবং এই ভাবনাটা আমার মাথায় নেক্সট অন্তত পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জন্য ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্যও। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। 

মগজের বক্রোক্তি বৃথা গেল, কারণ ভদ্রমহিলা ততক্ষণে হাওয়া হয়েছেন, কিশোর কুমার গাইছেন, 'জিন্দেগি কি ইয়েহি রীত হ্যায়/ হার কে বাদ হি জিত হ্যায়।' 

***** 

যত্রতত্র হেডফোন না খোলার মতো কিছু কিছু বিষয় নিয়ে না ভাবা আমার নীতি। যেমন,

১। আমার কেন কিছু হল না
২। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের তুলনায় আমি কতটুকু 
৩। আমার ভালোলাগা মন্দলাগা পছন্দ অপছন্দ নীতিবোধ মূল্যবোধ জাজমেন্টের গুরুত্ব কতখানি
৪। আমার এখনও সিকিখানা উপন্যাসও লেখা হয়নি
৫। আমার জীবনটা কী দ্রুততায় আমার মুঠো গলে পালাচ্ছে এবং আমি কেমন নিশ্চেষ্ট বসে বসে তাকে পালাতে দিচ্ছি

কারণ এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে বসলে মন খারাপ হওয়া গ্যারান্টি।

হলও। বুধবার অফিস সেরে সাপ্তাহিক টানেলের গভীরতম অংশ পেরিয়ে উইকেন্ডের আভাস পাওয়ার ফুর্তি নিয়ে ট্যাক্সিতে উঠেছিল এক কুন্তলা, মার্কেট টু-এর সামনে ট্যাক্সি থেকে নামল সব কিছু ফুরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় ভুরু কোঁচকানো, ভয়ে দোমড়ানো আরেক কুন্তলা। 

ওই মুহূর্তে আশ্রয় দেওয়ার মতো খুব বেশি কেউ পৃথিবীতে নেই। যারা আছে, তাদের একজন, কপাল ভালো, হাতের কাছেই আছে। যেখানে ট্যাক্সি থেকে নামলাম, তার থেকে দেড় মিনিট হাঁটাপথ দূরত্বে। 

*****

আদিগন্ত হার্টব্রেকিং নিউজের মধ্যে একটাই ভালো খবর, দু'নম্বর মার্কেটের ফুচকা পরিস্থিতির উন্নতি। পদস্থ ফুচকা খেতে হলে আগে যেতে হত এক নম্বরে। সেখানে এত ভিড় যে পাঁচ মিনিট না দাঁড়ালে ফুচকা পরিবেশকের মাথা দেখা যায় না। একদিন আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে ফুচকা খেয়ে অপেক্ষারত জনতার কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে ছিটকে বেরিয়ে এসে আবার ঠেলাঠেলি করে দাম চুকিয়ে ফাঁকায় এসে দম ছাড়ছি, চেনা ঝালমুড়িওয়ালা কানে কানে বললেন, 'বলছিলাম কি দিদি, খেতে হলে ওই সাইডের দোকানে ফুচকা খাবেন, এখানে খাবেন না।' আমি বললাম, 'কেন কেন?' তিনি হাতজোড় করে বললেন, 'যা বলেছি তার বেশি বলতে পারব না দিদি, ক্ষমা করবেন, নেহাত আপনাকে চিনি, দোহাই আপনার, জোর করবেন না...'

তাঁকে শান্ত করে চলে এলাম, কিন্তু বুকের ভেতর খচখচ করতে লাগল। ফুচকা খাওয়া অস্বাস্থ্যকর জেনে নয়। অনেককেই অনেকরকম কনফিউশন নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দেন - ঈশ্বর আছেন না নেই, আংটি পরে নিয়তি বদলানো যায় কি না, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে না পৃথিবী সূর্যের, কিন্তু ফুচকা স্বাস্থ্যকর না অস্বাস্থ্যকর এই নিয়ে কোনও কনফিউশন কারও মনে নেই। আমারও না। ফুচকার চরম অস্বাস্থ্যকরতা নিয়ে আমি নিঃসংশয় এবং নিঃশঙ্কচিত্ত। ছোটবেলা থেকে অনেকবার মা ফুচকা তৈরির প্রণালীট্রনালি নিয়ে অনেকরকম প্রাণঘাতী সত্যি উদ্ঘাটন করেছেন, এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বার করেছি। কিন্তু এক, তখন আমার যৌবনের জোর ছিল, দুই, মায়ের কথা উড়িয়ে দেওয়া সোজা, তিন, আমি যদি ঝালমুড়ি ভদ্রলোকের মুখটা আপনাদের দেখাতে পারতাম তাহলে বুঝতেন ওঁকে উড়িয়ে দেওয়া অত সোজা নয়।

দু'নম্বর মার্কেটে বেশ ক'বছর ধরে ফুচকার স্টল বসছিল আর উঠছিল, জমছিল না। অবশেষে দাদুর চপের দোকানের সামনে একটা বসেছে। সে দোকানের ফুচকা, আলু, তেঁতুলজল সবই পারফেক্ট। আমি নিয়মিত খেয়েই বলছি, ফ্লুক নয়। অথেনটিক অস্বাস্থ্যকর ফুচকা। এমনকি যেদিন যেদিন ত্র্যহস্পর্শ ঘটে সেদিন আমার যৌবনের হেদুয়ার উল্টোদিকের ফুচকার কথা মনে পড়াতে পারে। এর মধ্যে একদিন মিউনিসিপ্যালিটির হল্লাগাড়ি এসে ফুচকার টেবিল তুলে দিয়েছিল। আমি এমনিতে খুবই আইনকানুন মানা মানুষ, ওলাউবারে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে কেউ বেল্ট না লাগালে আকাশের দিকে তাকিয়ে 'মাইন্ড ওভার ম্যাটার' বিড়বিড় করি, পাছে মুখ ফসকে 'দাদা/দিদি, বেল্ট লাগান প্লিজ' বেরিয়ে যায়। বাজারের যেখানেসেখানে ফুচকা, চুসকি, শোয়ারমা, মোমো, ঝালমুড়ি এসবের স্টল বসানো যে অন্যায় ও অনুচিত, সেও আমি জানি। কিন্তু সেদিন যখন ট্যাক্সি থেকে নেমে দূর থেকে ফুচকার স্টলের জায়গাটা খালি দেখলাম, বুক কেঁপেছিল। গা জ্বলেছিল। কোটি কোটি টাকা মেরে লোকজন বিদেশ পালাচ্ছে তাদের বেলা কিছু না, যত কোপ আমার ফুচকার ওপর? পরদিন যখন অকুতোভয় ছেলেগুলো ওই একই জায়গায় বসল এবং থপাস থপাস করে আলুসেদ্ধ চটকাতে চটকাতে শিস দিয়ে গান গাইল, গর্বে বুক ভরে উঠেছিল।

ছয়ই জুনের সন্ধেতে মিউনিসিপ্যালিটির হল্লাগাড়ি ছিল না, বাজারে কেনাকাটি ছিল, কিন্তু আগে মেজাজ সারানো দরকার। সোজা ফুচকার দিকে হাঁটলাম। এক প্লেট খেলাম। সেদিন ত্র্যহস্পর্শ ঘটেনি, ফুচকাগুলো একটু বেশি ভাজা হয়ে গিয়েছিল, ভাঙার পর মুখের এদিকওদিক খোঁচা মারছিল। অসুবিধে নেই। নেই ফুচকার থেকে ধারালো ফুচকা ভালো। ছ'পিস হয়ে যাওয়ার পর বাটিতে জমা তেঁতুলজলে চুমুক দিয়ে বললাম, আরেক প্লেট দাও। আমার যে রকম মনখারাপ এক প্লেটে কাটবে না। (দ্বিতীয় বাক্যটা বলিনি।) নুন আর কাঁচা লংকাটাও আরেকটু ঠেসে দিতে অনুরোধ করলাম। নাক দিয়ে জল গড়াক, চোখের জলে মগজের বিষ বেরিয়ে যাক। শক শোককে লাথি মেরে তাড়াক। 

বাজারে অনেকগুলো কাজ ছিল, তার মধ্যে ঝাড়ু কেনা অন্যতম। ঝাড়ু কিনতে গেলেই আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। ছোটবেলায় লজ্জা পেতাম এমন অনেক বিষয় নিয়ে - শরীর, ইংরিজি বলা - আমার লজ্জা সম্পূর্ণ কেটে গেছে। ঝাড়ু কেনা বা বলা উচিত কেনা ঝাড়ু বওয়া নিয়েও। মায়ের সঙ্গে বাজার থেকে ফেরার সময় বাকি সব বয়ে দিতে আমি রাজি থাকতাম, খালি ঝাড়ু ছাড়া। আমার ধারণা ছিল ঝাড়ু হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটলে লোকে আমার দিকে তাকাবে, আর লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার থেকে পাতালপ্রবেশ করাও ভালো।

হলধরের মতো কাঁধে ঝাড়ু চাপিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ির দিকে চললাম। ছোটবেলার ঝাড়ু বওয়া সংক্রান্ত অস্বস্তির কথা, আমি কেমন বড় হয়ে গেছি, লোকের তাকানোতে মোটেই ঘাবড়াই না, সবথেকে বড় কথা সবারই নিজের কাজ আছে, কেউ আমার দিকে তাকিয়ে বসে নেই, ভাবতে ভাবতে রাস্তা পেরোলাম। এমন সময় ঘেউ ঘেউ কানে এল। পাড়ার কুকুরগুলো আমাকে চেনে তবু চেঁচাচ্ছে কেন আমাকে দেখে? নাকি আমার ঝাড়ু দেখে? তারপর ঝপাং ঝপাং শব্দ আর মানুষের গলায় 'হেই হেই হ্যাট হ্যাট' শুনে ঘাড় তুলে দেখি সি আর পার্কের গলির ওপর ঝুঁকে পড়া দুদিকের আমগাছের ডালে ডালে প্রবল আন্দোলন। পাতার ফাঁকে লম্বা বাদামি লেজ বিদ্যুৎরেখার মতো ঝলসাচ্ছে।

গোটাবিশেক হনুমান। গাছ থেকে গাছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পাতা ছিঁড়ছে, আম ছিঁড়ছে, আঁটি ছুঁড়ছে। গাছের মালিকরা ঘরের ভেতর ঘাপটি মেরে থেকে বুক চাপড়াচ্ছেন, তম্বি করছেন। বিন্দুমাত্র কাজ দিচ্ছে না।  

বাঁদর নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ভালো নয়, ক'মাস আগে চিতোরদুর্গে আক্রান্ত হওয়ার স্মৃতি এখনও টাটকা, কাজেই আমি ভগবানকে ডাকতে ডাকতে হাফ হাঁটা হাফ ছোটা লাগালাম। ভাগ্যিস বাড়ি কাছে এসে গিয়েছিল। বাড়ির গেট দিয়ে ঢুকে, সিঁড়ি বেয়ে উঠে, ঝাড়ু সামলে, বাজারের থলি সামলে, অফিসের ব্যাগ হাঁটকে চাবি বার করে দরজার গর্তে ঢোকাতে যাব…

এটা এই দরজার চাবি নয়। আমি আমার পুরোনো ভাড়াবাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। 

*****

ছয়ই জুন, দু'হাজার আঠেরোর বিকেলটা চিরদিনের মতো চলে গেল বলে যা যা হল অবান্তরে লিখে রাখলাম। যাতে ভুলে না যাই। 



Comments

  1. Replies
    1. সিরিয়াসলি, সুহানি। ভাগ্যিস বাড়িওয়ালা ছিলেন না, না হলে ভাবতেন গত পাঁচবছর ধরে কাদের পুষেছিলেন। বাড়ি মনে রাখতে পারে না।

      Delete
  2. হাহা হাহা.... কি অবস্থা... একে পুরনো বাড়ী.. তারপরে হাতে ঝাড়ু... আমি বাড়িওলা হলে নির্ঘাত ভাবতাম... বাড়িঘর অপরিষ্কার নির্ঘাত গেছিলো..😂😂😂

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাড়িঘর অপরিষ্কার রেখে চলে গেছিলো***

      Delete
    2. এইটা মোক্ষম বলেছিস, বৈশালী। ঝাড়ু হাতে দেখলে এ ছাড়া আর কিছু মাথায় আসা সম্ভব না।

      Delete
  3. স্মৃতি আর মায়া, এই দুটো জিনিস যে কখন কীসের থেকে ট্রিগারড হয়, আজও বুঝলাম না। "গোধূলি লগন মেঘে" গানটা শুনলে খিচুড়ি খাওয়ার কথা মনে পড়ে। "আকাশ প্রদীপ জ্বলে" শুনলে ছোটোবেলার এক ভয়ঙ্কর পুজোর রাতের কথা মনে পড়ে। রেশন তুলে সাইকেলটা চাপার পর হ্যান্ডেলটা অজান্তেই নিজেদের বাড়ির বদলে চোদ্দো বছর বসবাসের স্মৃতিলাঞ্ছিত ভাড়াবাড়ির দিকে ঘুরে যায়। হঠাত-হঠাৎ মন খারাপ হয়; কিন্তু কেন হয়, তা কিছুতেই বুঝে পাই না, খুঁজে পাই না।
    বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাদের শরীর জলেই ভর্তি, তবু আমরা জলে ডুবে যাই। মায়া আর স্মৃতিও কখন কোথায় আমাদের টেনে নিয়ে যায়... কে জানে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সুন্দর বললেন, ঋজু। স্মৃতির গোড়ায় যে কীসে কোথায় ধোঁয়া দেবে, বলা শক্ত।

      Delete
  4. Hahahahaha. Uff, bheeshon identify korchhi. Ami majhe majhei erom korei thaki.

    Ekbar Noida City Centre er bodole Noida Golf Course er metro station e neme, card swipe kore baire beriye, siri diye neeche neme Uber bhaisaab ke "City Centre ke saamne aiye" bole, onar "par aap toh nahi hai" ke ograjhyo kore onekkhon chechamechi korar por realize korechhi je bhul station e nemechhi. Roj City Centre e neme apish jetam. Emon noy je sedin prothom chhilo. :/

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাই ফাইভ, বিম্ববতী। এরকম ভুল আমার মতে না হলেই অস্বাভাবিক। তুমি এতদিন ওই রাস্তা দিয়ে অফিস যেতে, আমি পাঁচবছর ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতাম, আজ যেই নতুন অফিস, নতুন বাড়ি, অমনি পুরোনো রাস্তা মাথা থেকে হাওয়া হয়ে যাবে? যাঁদের যায় তাঁরা মহাপুরুষ, আমি তুমি পাগল নই।

      Delete
  5. Ami ei kadin age erakam ekta golmal kare barir loker kache hasir patri hoyechi.Fale sahajei relate karte parchi.Btw..ei ghatanar katha sune barir sabai ki bllen??-Sunanda.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সবাই বলতে তো অর্চিষ্মান, সুনন্দা। মাকে বলতে পারতাম, কিন্তু মাকে বললে ব্যাপারটার হাস্যকরতার বদলে আমার এই রেটে অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটাচলার ব্যাপারটাতে ফোকাস করতেন এবং বকতেনঝকতেন দুশ্চিন্তা করতেন। কাজেই মাকে বলিনি। অর্চিষ্মানকে বলেছি, কিন্তু ও আমার এই ধরণের আচরণে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, মাথা নাড়া ছাড়া আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

      Delete
  6. amio tomar motoi protibhabaan. absent minded hoye kondin nijer nam tai bhule jai.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি, কিছুই বলা যায় না, কুহেলি।

      Delete
  7. বাঁদর নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা এর থেকেও খারাপ।বাঁদর বাড়ির গেটের ওপর চড়ে বসে লম্ফজম্ফ করে একেবারে নাকাল করে ছেড়েছে।অনেকদিন ধরেই একটা অনুরোধ করবো করবো ভাবি,আর লেখা হয়না!
    অবান্তর ব্লগ লেখার ভাবনা,কিভাবে পাঠক যুক্ত হলো এসব নিয়ে একটা লেখা লিখুন না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঁদরের বাঁদরামোর কোনও শেষ নেই, সত্যি।

      আপনার সাজেশনটি ভারি পছন্দ হল। অবান্তর আমার ভীষণ প্রিয় সাবজেক্ট, একটা পোষ্ট লিখব'খন শিগগিরি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  8. Amar kintu prothom ei proshno mathay elo - bari ferar shomoy abar bandor bahini k bachiye ferata khub chaaper chhilo, setay kono osubidha hoyni to?

    ReplyDelete
    Replies
    1. খুবই যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন, অনুরাধা। আমি হতভম্ব অবস্থা কাটিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে, গেট থেকে বেরিয়ে আবার গলিতে পৌঁছতে পৌঁছতে বাঁদরবাহিনী লুঠতরাজ শেষ করে পাশের ব্লকে চলে গিয়েছিল। ইন ফ্যাক্ট আমি যখন যাচ্ছিলাম, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল যে তাণ্ডব বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলছে। কাজেই ফেরার সময় কিছু ফেস করতে হয়নি।

      Delete
  9. Hoy, hoy erokom hoy, amio ekbar erokom bhul kore ager bari chole gechhilam. tobe notun office mane? Job change korle naki?

    ReplyDelete
    Replies
    1. নতুন অফিস লিখেছি বুঝি? ভুল হয়েছে। অফিস পুরোনো, ভাড়াবাড়ি নতুন।

      Delete
  10. আমি অফিসে রোজই প্রায় যে বিল্ডিংএ যাবার সেখানে না গিয়ে পাশেরটায় চলে যাই! তাই নাকাল পরস্থিতিটা টের পেলাম দিব্যি । দু প্লেট ফুচকা , না বাঁদর না ভুল বাড়ি রেডিও ভূত তাড়ালো কে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রত্যেকেই অবদান রেখেছে, প্রদীপ্ত। ফুচকা খানিকটা তাড়িয়েছিল, বাঁদরে হাত লাগিয়েছে, ভুল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমি একেবারে ফিট।

      Delete
  11. hanuman khub kachachar hoy,dekhlei palabe..

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাই পালাই, প্রসেনজিৎ। ঊর্দ্ধশ্বাসে।

      Delete
  12. যাক, হাতে ঝাড়ু থাকার একটা উপকারিতাও আছে সেটা আশা করি বুঝলেন? বাঁদর বা কুকুর জাতীয় কিছুর সামনে পড়লে হাতে একটা লাঠিগোছের কিছু থাকলে বুকে বল আসে। আমি গ্রিজলি ভালুক-অধ্যুষিত জঙ্গলে হাইক করার সময়ে লক্ষ্য করেছি, হাতে একটা শুকনো গাছের ডাল নিলেও মনে হয় একেবারে নিরস্ত্র নেই। অবিশ্যি সেটা শুধু আমার মনে হয় তাও হতে পারে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. না না, এটা অনেকেরই মনে হয়, সুগত। আমাদের মেলা গ্রাউন্ডে যাঁরা হাঁটতে আসেন সকালবিকেল, তাঁদের অনেকেরই হাতে খাটো লাঠি দেখেছি। যাঁরা পোষা কুকুর নিয়ে বেড়াতে বেরোন, তাঁদের হাতে তো থাকেই। কারণ কুকুর দেখলে কুকুররা আরও বেশি ঝামেলা করে বোধহয়। আমি নিজে সেটা কখনও প্র্যাকটিস করিনি কারণ, এক, আমার দিকে কুকুর তেড়ে এলে আমি লাঠি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে দৌড়োব, আর দুই, বাঁদরের সামনে লাঠি ঘোরালে আমি নব্বই শতাংশ নিশ্চিত সে আমার হাতের লাঠি কেড়ে নিয়ে আমাকেই ঠ্যাঙাবে।

      Delete

Post a Comment