মন্দাকিনী অন্তর্ধান রহস্য
Edward John Moreton Drax Plunkett, 18th Baron of Dunsany জন্মেছিলেন আঠেরোশো আটাত্তর সালে। ছ'ফুট চার ইঞ্চি লম্বা ছিলেন, দাবা খেলতে পারতেন, শিকার করতে পারতেন, ক্রিকেটে উৎসাহ রাখতেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে জখম হয়ে ফেরার পর তিনি মন দিয়ে লিখতে শুরু করেন। রূপকথা, রহস্য, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ। বেঁচে থাকতে নব্বইটা বই ছেপে বেরিয়েছিল তাঁর। মৃত্যুর পরও তাঁর লেখা ছাপা হয়েছে। দু’হাজার সতেরো পর্যন্ত লর্ড ডানসেনির প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা একশো কুড়ি।
নিল গেমন বলেছেন, "It’s a crime that there’s not a Complete Short Stories of Lord Dunsany somewhere.”
লর্ড ডানসেনির কথা আমি প্রথম জানতে পারি সুকুমার সেনের ‘ক্রাইম কাহিনীর কালক্রান্তি’ বইতে। ডানসেনির ‘টু বটলস অফ রেলিশ’ ছোটগল্পটির কথাও ওই বইতে আছে। সুকুমার সেন অবশ্য গল্পটির শাঁসটুকু লিখে গিয়েছিলেন। তারপর আমি ডানসেনির কলমে লেখা আসল গল্পটি পড়ি এবং পত্রপাঠ অন্য লেখা খুঁজে পড়তে শুরু করি। এবং আবিষ্কার করি সুকুমার সেন ভুল করেননি, টু বটলস্ অফ রেলিশ সত্যি সত্যিই লর্ড ডানসেনির লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প।
এ বারের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর মেল ট্রেনের গল্পের কামরায় লর্ড ডানসেনির ‘টু বটলস অফ রেলিশ’ গল্পটির ছায়া অবলম্বনে লেখা আমার গল্প ‘মন্দাকিনী অন্তর্ধান রহস্য’ বেরিয়েছে।
এ বারের গল্পে আমি আমার আরও একটি সাধ পূরণ করেছি। বহুদিন ইচ্ছে ছিল একটি পাস্টিশ লেখার। পাস্টিশের সংজ্ঞা হল “an artistic work in a style that imitates that of another work, artist, or period.” ‘মন্দাকিনী অন্তর্ধান রহস্য’ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা সাহিত্য এবং সিনেমার মেগাস্টার সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর গল্পের ছাঁদে লেখা।
Baap re.
ReplyDeleteKintu niramishashi rai to achar beshi khay, na? Ar goyna gulo?
গয়নাগুলো সম্ভবত চোরাবাজারে বিক্রি করেছিল, শিবেন্দু। আর আমিষাশীদেরও তো আচার খেতে দেখেছি। বেশ বেশি করেই খেতে দেখেছি। এখানে অবশ্য আমিষাশীদের আচার খাওয়াটা প্লটের প্রয়োজনে।
DeleteNa, tai bolchhilam, je hathat achar er shishi chhilo sune ei rokom onumaan ektu abrupt. ta chhara ekta joljyanto manush just kheye nischinho kora osambhav.
DeleteKintu jomati lekha hoyechhe. Byomkesh feeling ta in tact. amar sab theke bhalo laglo - kebol e haat nishpish koritechhe ...
থ্যাংক ইউ, শিবেন্দু।
Deleteঅ্যাঁ!! কিন্তু আচারে মেশাবে কি করে? মানে রমেন হালদার তো ডিস্ট্রিবিউটার বা মালিক না?
ReplyDeleteতবে যাই বলো , ব্যোমকেশ এর কোনো গল্পই পড়ছি মনে হয়েছে । থ্যাংকিউ ^_^
আচারে মেশায়নি, প্রদীপ্ত। রমেন হালদার মন্দাকিনীকে মেরে, কেটে, তারপর মাংস রেঁধে খেয়েছে। হজম করার জন্য সিংহ ছাপ আচার কিনে এনেছিল। বাগান কুপিয়েছিল যাতে পুরো শরীরটা খাওয়ার খিদে হয়।
Deleteআরিব্বাপ রে ...।ইয়ে আমি একটু বোকা আছি জানতাম কিন্তু এরম নিরেট গর্ধভ এখন জানা গেলো :(
Deleteহাহা, জানাটা পুরোটাই ভুল হয়েছে, প্রদীপ্ত। এই সব গল্পের টুইস্ট ধরার বুদ্ধি দিয়ে যদি বুদ্ধির থাকা না থাকা প্রমাণ হয় তাহলেই হয়েছে।
DeleteDarun hoyeche galpo ta.Ses ta pare stamvito hoe gechi blle o kam bala hoy.Kintu ekta prasno chilo.Satyabatir dada sukumar to patna a thakto r 'aadim ripu'galpe satyabati khoka k nie patna gecgilo.Bhagalpur a satyabatir pitrigriho byaparta bujhlum na.Tabe galpo r badhuni,vasa r prakashvangi asadharan hoyeche.-Sunanda.
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুনন্দা।
Deleteইইইইইক্!!!
ReplyDeleteইকই বটে, অদিতি।
DeleteAwe-sadharon hoyeche. Pore mone holo Sharadindu r lekhai porchhi.
ReplyDelete-Manidipa
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, মণিদীপা।
Deleteআমি বলার বা লেখার মতো কিছু পাচ্ছি না। তবদা মেরে গেছি, আক্ষরিক অর্থে।
ReplyDeleteহাহা, তবদা শব্দটা শুনিনি কোথাও, ঋজু। আমার ব্যক্তিগত অভিধানে যোগ করে নিলাম। থ্যাংক ইউ।
DeleteKhub valo hoeche. Bomkes er golpo e porchi mone hocchilo
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুহানি।
Deleteমাইরি বলছি। সদ্য শুরু করেছিলাম। ওই সত্যবতী আর খোকা অব্দি পড়েই মনটা একপাক নেচে নিল। Thank you. Thank you. পড়ে বলবো কেমন লাগলো। কিন্তু এই ফুর্তিটা না বলে পারলাম না। সে আপনি আমায় যতই attention seeking ভাবুন না কেন। :D
ReplyDeleteএকটুও ভাবছি না, চন্দ্রচূড়।
Deleteপড়লাম। শরদিন্দুর স্টাইলটা আপনি দারুন তুলেছেন। কয়েকটা জায়গা তো মানে একেবারে আলাদা করা যায় না। শুরুতে যাকে বলে গৌরচন্দ্রিকা, দারুন হয়েছে। চরিত্ররা চেনা, তবুও তারা এখন কোথায়, কি করছে জানতে দারুন লেগেছে।
Deleteএইবার একটু সমালোচনা করতেই হচ্ছে। সব মিলিয়ে কিন্তু ব্যাপারটা জমেনি। বেশ কিছু খটকা রয়ে গেল। আমি আপনার লেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো, মূল গল্পে যাবো না।
1. আপনি যে স্টেজে mystery solved বলে শেষ করে দিয়েছেন, সেটা hypothesis stage। ব্যোমকেশের কোনো গল্প এভাবে শেষ হয়না। কারণ শুধু আচারের বোতল থেকে hypothesis বানানো সম্ভব, ওতে কিছু প্রমাণ হয়না। ব্যোমকেশের নিজের কাছে হয়না, আমি থানা, কোর্টের কথা বলছি না।
2. বাগানের বেশিরভাগ গাছ রমেন কেটে ফেলেছে। যেখানে আপনি এটা reveal করলেন সেটা সোজাসুজি পাঠক কে বলে দিলেন। তাও আবার অজিত কে দিয়ে। এখানে একটা conversation হলে ভালো লাগতো। গুঁড়ি পড়ে আছে, গাছ কাটা হয়েছে, কেন কাটা হলো, কে কাটলো, কোনো মানুষ একা বসতবাড়ি লাগোয়া গাছ কি করে কাটবে, এসব প্রশ্ন ব্যোমকেশের করা উচিত ছিল।
3. অন্যান্য চরিত্র এবং তাদের link দুর্বল। ভাইয়ের স্ত্রী, তার গয়না বেঁচে গেছে এটা প্রথমেই বলে দিয়ে তারপর আবার তাকে ঘটা করে introduce করার যুক্তি দেখিনা।
4. মাংস খাওয়া সম্ভব। কিন্তু মানুষের হাড়গোড়, কঙ্কাল খাওয়া সম্ভব না। কোথায় গেল? এটা weakest point। সব মানুষটাকে একবারে খাওয়া সম্ভব না। অথচ ফ্রিজ নেই। পচিয়ে খেল?
শেষে একটা প্রশ্ন: আপনি কি word limit এ আটকে গেলেন? শুরুটা এত খেলিয়ে, এত সুন্দর অথচ শেষটা এত abrupt?
এত লিখলাম। পড়ে কিন্তু আনন্দ পেয়েছি। আবার পরেরটার অপেক্ষায় থাকবো। লিখে যান। চরৈবেতি।
ধন্যবাদ।
Deleteআমারও এই প্রশ্নগুলো ছিল| এ ছাড়াও, হঠাত কন কাজ শুরু করাটা, সে গাছ কাটাই হোক বা আর কিছু, সন্দেহ জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট, বিশেষতঃ যদি সেটা কোনো মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি সময়ে হয় (শার্লক হোমস-এর গল্প মনে আছে? সেই যে একজন তার স্ত্রী আর স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করে তারপর গ্যাসের গন্ধ ঢাকতে বাড়ি রং করতে লেগেছিল?)
Deleteএছাড়া ব্যোমকেশের গল্পে একধরনের ড্রাই হিউমার আছে যেটা এই লেখায় আরেকটু দেখে গেলে ভালো লাগত বলে আমার বিশ্বাস|
আরও, সত্যবতী বিরিয়ানি রাঁধছেন - গল্পটা কোন সময়ের ? খুন করার পর কুড়ুল ছুরি কেউ কি ঘরে রেখে দেয় ?
Deleteঠিক ঠিক।
DeleteAro chai byomkesh... sesher ta pore shocked hoye gelam
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ।
Deleteবাঃ, দারুন।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, নালক।
DeletePorte porte bhulei gechilam eta Saradindu Bandyopadhyay er lekha noy.. khub sundor style .. seshta abar twist hoye horror hoye gelo.. ki bhoyonkor.. prothome bujhte parini.. koyekbar porlam .. bapre baap.. aro lekho byomkesh.. ba onno karur..
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঊর্মি। তোর ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
DeleteKhub bhalo hoyechhe. Tomar anusoron o sarthak! Lekhata Saradindu Bandopadhyay er motoei hoyecche. Tobe murder er dhoron ta boddo gross! Taka/goyna ai ki ekmatro motive?
ReplyDeleteতাই তো মনে হয়, রুণা। আসল গল্পে ও বিষয়ে কিছু আলোকপাত ছিল না। অনুসরণ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, থ্যাংক ইউ।
Deleteগল্পটা আমার খাসা লেগেছে। শেষটা মারাত্মক, এবং 'অ্যাব্রাপ্ট এন্ডিং' মনে হলেও, গল্পের চলনের সঙ্গে খাপ খেয়ে গেছে।
ReplyDeleteশেষে বলি স্টাইলের কথা - সেটা একদম যথাযথ হয়েছে। প্যাস্টিশ সাহিত্যের বিচারে একদম ফুল মার্কস, শরদিন্দু এটা পড়ে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন।
চালিয়ে যান কুন্তলা। কুর্ণিশ!! :)
অসংখ্য ধন্যবাদ, অরিজিত। মূল গল্পটা সত্যিই অ্যাবরাপ্ট এন্ডিং ছিল, কিন্তু আবার এটাও সত্যি, আমি যেহেতু "ছায়া অবলম্বনে" লিখছি, আমার সুযোগ ছিল সে বিষয়ে নজর দেওয়ার। কিন্তু ডেডলাইনের পাঁচ মিনিট আগে গল্প জমা করলে অত নজর দেওয়া হয়ে ওঠে না, বোঝেনই তো।
Deleteআপনার উৎসাহের জন্য প্রতিবারের মতোই, অসংখ্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
Aha, abar kritoggota keno? Bondhuder modhye osob chole na. :) :)
DeleteEkta khobor chai. Ei lekhok er golpo-uponyas kothay pawa jabe? Amazon e search dilam, se bechara kauke khujei pelo na ei naam e. :(
Sesh ta pore amar o Satyaboti-r moto obostha. Style er bichare apni Saradindu ke obortho nokol korechen. Singhu achar er ullekh ta sara golpo jure i ache. Tobe ta je amish hojome sahajyo kore seta onek seshe bolechen. Eta hoito age o bolte parten. Jokhon prothom Ajit tar bigyapon likhbar chesta korche. Amar mone hoi pathok seta kheyal korto na, ar sesher chomok ta ek i thakto. Eituku upodesh dewar dhristota khoma korben.
ReplyDeleteMoter opor darun hoyeche. Likhun, onek likhun.
আরে না না, ধৃষ্টতার প্রশ্নই নেই, ঘনাদা। ঠিকই বলেছেন, ওটা সাহস করে করা যেতে পারত। থ্যাংক ইউ।
Deleteশরদিন্দু ফ্যান ফিকশন অসাধারণ হয়েছে। গল্পটিও বেশ। চন্দ্রচূড় বাবুর মত কিছু প্রশ্ন আমারও আছে, কিন্তু সেগুলো বোধহয় মূল লেখককে করলেই ভালো
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ।
DeleteOnekdin kono quiz dicchho na Kuntala. Ekta quiz hoye jak.
ReplyDeleteওহ, দেখছি রুণা।
Delete