Posts

Showing posts from August, 2018

বিয়ে বনাম পাসওয়ার্ড

প্রতিটি মেল লেখা, প্রতিবার মুখ খোলা, চব্বিশঘণ্টার প্রতি মুহূর্তের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে এত ভাবতে হয় যে ঠিক করেছিলাম জীবনে অন্ততঃ দুটো বিষয় নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করব না।   এক, অবান্তর লিখে আমার আখেরে কিছু লাভ হচ্ছে কি না। দুই, আমার কোন মেল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কী।   পাসওয়ার্ডের ব্যাপারটা আগেও অবান্তরে লিখেছিলাম। না লিখে উপায় ছিল না কারণ একসময় ক্যান্ডি ক্রাশ খেলার পর আমার সারাদিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম সময় খরচ হত খান কুড়ি জিমেল অ্যাকাউন্ট, অ্যামাজন অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জোম্যাটো অ্যাকাউন্ট, ফ্লিপকার্ট অ্যাকাউন্ট, আই আর সি টি সি এবং আরও কোটিকোটি এই মুহূর্তে নাম না মনে পড়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলতে, রিসেট করতে এবং আবার ভুলতে। একদিন জল মাথার ওপর গেল। যেগুলো বন্ধ করা যায় করে; বাকি সব অ্যাকাউন্টে একটাই পাসওয়ার্ড বসালাম। যে সব অ্যাকাউন্টে আলফা-নিউমেরিক পাসওয়ার্ড চাওয়ার ছ্যাঁচড়ামি করে তাদের জন্য ওই পাসওয়ার্ডের বাঁধা লোকেশনে একটি সিম্বল এবং একটি সংখ্যা, দুটিই বাঁধা, গুঁজে রেখেছি - চালিয়ে দিই। ওটা ভুলে গেলে একটা অ্যাকাউন্টেও ঢুকতে পারব না কিন্তু ভুলব না কারণ এক...

ওষুধের বাক্স

বাড়ি বদলানোর অনেক খারাপের মধ্যে একটাই ভালো যে এই সুযোগে জিনিসপত্র ফেলে দেওয়া যায়। কী কী ফেলব জানাই ছিল। দরকারের থেকে বিস্তর বেশি জামাকাপড় আছে, ফেলব। বিজনেস কার্ড প্রতিটিই অদরকারি, সব ফেলব। মাস্টার্সের খাতাপত্রও আর রাখব না। বইও প্রচুর বাড়তি। পড়ে-ফেলেছি-আর-পড়ব-না বই, কোনওদিনই-পড়ব-না বই। তা সত্ত্বেও বই ফেলব না জানা ছিল কারণ বাড়ি সাজানোর জন্য এক বুককেস বই যা করতে পারে কোনও বাঁকুড়ার ঘোড়া পারে না।   মোদ্দা কথা, আমি প্রস্তুত ছিলাম, কোনও কিছু ফেলতে গিয়েই বিস্মিত হইনি। কেবল একটি ক্যাটেগরির জিনিস ছাড়া। ওষুধের বাক্স। শিশি, পাতা, বাক্স। ট্যাবলেট, সিরাপ, স্প্রে। গেলার, মালিশের, কুলকুচি করার। পেটের, নাকের, মাথার। এক্সপায়ার্ড। এক্সপায়ার করে করে। এক্সপায়ারি ডেট দেখাই যায় না।  এত অসুখ হয়েছিল আমাদের?   ওষুধ জমার কারণ আছে অনেক। রোগ সেরে যায়, ওষুধ ফুরোয় না। তোবড়ানো রুপোলী পাতায় তিনটে গুলি শুয়ে থাকে। কখন আবার নাটক শুরু হবে, ত্রাতার রোলে নামবে। এই করে করে রয়ে গেছে কেটেরল ডি টি আর জেভিট আর মাহাফ্লক্স। কিছু কিছু ওষুধ রাখতে হয়। না রাখলে সংসার সংসার ফিলিং আসে না। ক্যালপল সিক্স...

On Self-respect

It is the phenomenon sometimes called “alienation from self.” In its advanced stages, we no longer answer the telephone, because someone might want something; that we could say no without drowning in self-reproach is an idea alien to this game. Every encounter demands too much, tears the nerves, drains the will, and the spectre of something as small as an unanswered letter arouses such disproportionate guilt that answering it becomes out of the question. To assign unanswered letters their proper weight, to free us from the expectation of others, to give us back to ourselves - there lies the great, the singular power of self-respect. Without it, one eventually discovers the final turn of the screw: one runs away to find oneself, and finds on one home.                                                                   ...

গত সাত দিনে যে সাত বার আমি সত্যিকারের আনন্দ কাকে বলে টের পেয়েছি

Image
১। যখন শনিবার বিকেলে আকাশের চেহারা এই রকম হল। ২। যখন সারা সপ্তাহ ধরে উইকএন্ডের প্ল্যান চলল। শুক্রবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত ঠাসা প্ল্যান। প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে ইউটিউবে সাতান্নটা ভিডিও দেখলাম, সতেরোটা লিংক চালাচালি হল। এতদিন বাদে বেড়াতে যাওয়ার উত্তেজনায় রাতে ঘুম এল না।   ৩। যখন সে প্ল্যান ক্যান্সেল হয়ে গেল এবং নিশ্চিত হলাম যে আমাদের কোথাও যাওয়া হচ্ছে না,  টানা দু'দিন সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকা যাবে। ৪। যখন ঈদের চাঁদ কখন দেখা যাবে কনফিউশনে বুধবারের ছুটি ক্যান্সেল হয়ে বৃহস্পতিবার হল, আবার বৃহস্পতিবার ক্যান্সেল হয়ে বুধবার হল। ছুটি বাড়ল না কিন্তু ছুটি নিয়ে এত কথাবার্তা হওয়াতে আনন্দ বাড়ল। ৫। যখন ঊনত্রিশটা রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটি এবং নগর পঞ্চায়েত স্তরের রাজস্ব-ব্যয়ের হিসেব এসে ঘাড়ের ওপর পড়ল এবং এক আঙুলে গোনা যায় (গোনার পর আঙুলের খানিকটা বাকি থেকে যায় অ্যাকচুয়ালি) এমন রাজ্যের মধ্যে একটা নাম পশ্চিমবঙ্গ বেরোলো, যার এক্সেল শীট নির্ভুল।   ৬। যখন ওই উনত্রিশটা রাজ্যের ত্রিস্তরীয় ডেটা নিয়ে সারাদিন যুদ্ধের পর, কম্পিউটারও গোটানো হয়ে...

দ্য হাউস অফ সিল্ক

Image
উৎস গুগল ইমেজেস আমার এ বছরের গল্পের বই পড়াকে গ্রাফে ফেলল দেখা যাবে দীর্ঘ কোমাটোজ, মাঝে মাঝে প্রাণের সাড়া। কপাকপ তিন চারটে বই গিলে আবার ঝিমুনি। জাগরণের সময়টুকুতে ইন্টারেস্টিং বই যে পড়া হয় না তেমন নয়। রুথ রেন্ডেলের গল্প অবলম্বনে গল্প লিখতে গিয়ে ওঁর দু'খানা ছোটগল্প সংকলন পড়া হয়েছে। রুথ ওয়্যার বলে আমার কাছে নতুন এক লেখকের 'ইন আ ডার্ক, ডার্ক উড' নামের একটা উপন্যাস পড়লাম। অ্যান ক্লিভস-এর ভেরা স্ট্যানহোপ সিরিজ টিভিতে দেখা ছিল, শুরুর দুটো বই পড়লাম। আমার দেখা 'বইয়ের থেকে বেটার' টিভি রূপান্তরের হাতে গোনা লিস্টে আর একটা নাম যোগ হল সম্ভবতঃ। তবে আরও দু'চারটে বই না পড়ে মন্তব্য করা উচিত নয়।   বইগুলো পড়ার পর অনেক কথা মাথায় এসেছিল, তক্ষুনি লিখে রাখা হয়নি, এখন ভুলে গেছি। কোটেশন-মোটেশনও কিছু জমিয়ে রাখা হয়নি কোথাও। এখন পোস্ট লিখতে গেলে খাটনির মধ্যে পড়তে হবে। সত্যি বলতে কি অবান্তরে পোস্ট লেখা নিয়ে আমার অত উদ্বেগ নেই, যত আছে বই পড়া নিয়ে। বছরের শুরুতে পঞ্চাশটা বই পড়ার ঢ্যাঁড়া পিটিয়েছিলাম, দিল্লি বইমেলার সৌজন্যে খানিকটা পিক-আপও নেওয়া গিয়েছিল, কিন্তু তারপরই কোমা ধরেছে। এখন ...

দাদার দোকান

এক নম্বর মার্কেটের কোণাকুণি একটা বড় গাছের তলায় - কী গাছ খেয়াল করে দেখিনি কোনওদিন, বট অশ্বত্থ পরিবারের সম্ভবতঃ - ছিল দাদার চায়ের দোকান। গাছের গায়ে চক দিয়ে কেউ লিখে দিয়েছিল, 'দ্য সিংগিং ট্রি।' চায়ের দোকানের নাম থাকাটা আনকমন। দাদার চায়ের দোকানও কমন ছিল না।   সে দোকানে সকালে গ্রিন টি পাওয়া যেত, সন্ধেয় হট চকোলেট। সে দোকানের পেছনের পাঁচিলের গায়ের শেলফে মকাইবাড়ি চায়ের প্যাকেট সাজানো থাকত। শেলফের নিচে খবরের কাগজে ছাপা ছবি সাঁটা থাকত, বলিউডের বিখ্যাত চিত্রপরিচালক দাদার দোকানে বসে চা খাচ্ছেন। একটা ইন্ডাকশনের ওপর বড় ডেকচিতে ক্রমাগত চা ফুটত, দুধ চা, যে রকম চা রাস্তার অন্যান্য চায়ের দোকানে আপনি আশা করবেন। অন্য ইন্ডাকশনে কফির জল কিংবা দুধ বসানো থাকত। সারি দিয়ে রাখা থাকত কমার্শিয়াল বৃহদায়তন চকচকে স্টিলের ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক। মসালা লেমন টি চাইলে, সারি সারি সস এবং মশলার বোতল থেকে জিরের নির্যাস, মশলা মাখানো আমলকির টুকরো, কুচোনো আদা দিয়ে দাদা মশলা লেমন টি বানিয়ে দিতেন। গরমকালে লাল টুকটুকে ফ্রিজ থেকে বরফ বার করে মিক্সিতে গুঁড়িয়ে মিশিয়ে দিলেই হয়ে যেত মসালা লেমন আইস টি। শেষদিকে অবশ্য দাদার হাত...

তালাচাবি

এজেন্ট বলেছিলেন, 'বাড়ির সিকিউরিটি হেবি। একেবারে পিসফুল থাকতে পারবেন।' আগের বাড়িতে একতলার সিঁড়ির দরজা রাতের ছ'ঘণ্টা ছাড়া সারাদিন খোলা থাকত, লোকে দোতলায় উঠে একেবারে আমাদের ঘরের দরজায় বেল বাজাত, আমরা প্রথম সাত দিন আই হোল দিয়ে দেখে তারপর না দেখেই খুলে দিতাম। এ বাড়িতে ও সব গা এলানি চলে না, মেন গেটে কলিং বেল, মেন গেট দিয়ে ঢুকে গলি বেয়ে এসে সিঁড়ির দরজায় তালা, সে তালা পেরিয়ে দোতলায় উঠলে তবে আমাদের নাগাল পাওয়া যাবে।   তাতে আমার পিস কিছু বাড়েনি। বেল বাজলে প্রতিবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে দেখতে যেতে হয় কে এসেছে। কেউ কেউ আবার গলি বেয়ে সিঁড়ির দরজা পর্যন্ত আসেন না, মেন দরজায় বেল বাজিয়ে ওইখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। তখন কাকের বাসা চুল নিয়ে, রং চটা জামা-পরা অবস্থাতেই যাও মেন গেট পর্যন্ত তদন্ত করতে। পায়ে হাওয়াই চটিও থাকে না সবসময়।   সেদিন অবশ্য মেন গেট পর্যন্ত যেতে হল না। নিচের দরজা খুলেই সারপ্রাইজ, অর্চিষ্মান সতেরো মিনিট আগে এসে গেছে। আঙুল গলানো পলিথিনের প্যাকেটের ভেতর ঠোঙা, ঠোঙা থেকে চমৎকার অস্বাস্থ্যকর সুবাস বেরোচ্ছে। নিজের জন্য আলুর চপ, আমার জন্য বেগুনি। চায়ের সঙ্গে খেতে দারুণ মজা হবে। খাও...

মায়ের স্বপ্ন

সারাজীবনে কতগুলো স্বপ্ন দেখা হল আর সে সব স্বপ্নের কতগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা সম্ভব হল সেটা আমার মতে জীবনের সফলতা-বিফলতা মাপার অন্যতম মাপকাঠি হতে পারে। স্বপ্ন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার মতো চেনা হতে পারে বা চাঁদে যাওয়ার মতো অচেনা। নেশাকে পেশা করে বাঁচার মতো সাহসী কিংবা কোনও বিশেষ মানুষকে বিয়ে করার মতো আনইন্টারেস্টিং। যা খুশি, যেমন খুশি স্বপ্ন হতে পারে। স্বপ্নের ভালোমন্দ এখানে বিচার্য নয়। বিচার্য হচ্ছে স্বপ্নের স্ট্রাইক রেট।   সে রেট দিয়ে বিচার করলে আমার মায়ের জীবন আগাগোড়া ফেলিওর।   ব্যর্থতার প্রথম কারণ মায়ের স্বপ্নের চরিত্র। মা এমন সব স্বপ্নই দেখেন যেগুলো সত্যি হওয়া অসম্ভব। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাবলীল ইংরিজি কথোপকথন। লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে ডুয়েট। দেশবিদেশের স্টেজে রবিশঙ্করের সঙ্গে সেতার। মায়ের স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ, বেশিরভাগ লোকের বেশিরভাগ স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ার কারণের থেকে আলাদা নয়। যথেষ্ট সিরিয়াসলি স্বপ্নটার পেছনে না পড়ে থাকা। এই গোত্রে পড়বে মায়ের নিজে গাড়ি চালিয়ে দূরে দূরে বেড়াতে যাওয়ার স্বপ্নটা। একেবারেই নাগালের ভেতরের স্বপ্ন। আরেকটু দম লাগালেই, দম...

'বিদায় ব্যোমকেশ' হলে গিয়ে দেখার সাতটি কারণ

Image
উৎস গুগল ইমেজেস ***স্পয়লার আছে  *** ১। গল্প নয়। গল্পের জন্য দেখতে পারেন। যদি বুঝতে পারেন। আমি বুঝিনি বলে আপনাকে রেকমেন্ড করতে পারছি না। ব্যোমকেশ (আবীর) ভয়ানক বুড়ো হয়েছেন। সত্যবতী (সোহিনী) আর অজিত (রাহুল) মরে ভূত হয়েছেন। ব্যোমকেশের ছেলে অভিমন্যু বক্সী (জয়), যাকে আমরা খোকা বলে চিনি, ডি সি কলকাতা পুলিশ, দু'বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যান। একেবারে উধাও। পুত্রবধূ অনসূয়া (বিদীপ্তা) অফিস যান-আসেন, নাতি সাত্যকি (আবীর) ফিজিক্সে আলো নিয়ে গবেষণা করে। সাত্যকির বান্ধবী অবন্তিকা (সোহিনী) বড়লোক প্রোমোটার বাবার (অরিন্দম শীল) মেয়ে।   এর মধ্যে একদিন অভিমন্যু বক্সী টপটপ রক্ত ঝরা ছুরি হাতে এসে নোনাপুকুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। বলেন উনি একটা খুন করেছেন। লাশ কোথায় পাওয়া যাবে সে হদিসও দেন। বাধ্য হয়েই তাঁকে লক আপে ঢোকাতে হয়। তাঁকে সাহায্য করতে চান তাঁর কর্মজীবনের সহকর্মী ও বন্ধু ডি সি কৃষ্ণেন্দু মালো (রূপঙ্কর বাগচী), কিন্তু অভিমন্যু কিছুতেই বলবেন না উনি কেন উধাও হয়েছিলেন, কেন খুন করেছেন, কেন ফিরে এলেন। ক্রমে আরও একটা লাশ আবিষ্কার হয় এবং রকমসকম দেখে মনে হয় এই খুনটাও অভিমন্যু করেছেন। ব্যোমকেশ ঘ...

প্রমীলার প্রতিশোধ

Image
গোয়েন্দা উপন্যাস পড়লে যত আরাম হয়, গোয়েন্দা ছোটগল্প পড়লে তত আরাম হয় না কেন এ নিয়ে আমি ভেবেছি। অ-গোয়েন্দা সাহিত্যে আমার আরামের প্যাটার্ন ঠিক উল্টো বলে আরও বেশি করে ভেবেছি। একটা কারণ হতে পারে ছোট গোয়েন্দাগল্পে প্লট খেলানোর জায়গা কম বলে। তিন পাতা অন্তর নতুন ক্লু, সাড়ে সাত পাতা পার হয়ে রেড হেরিং, মাঝপথ পার হয়ে খানিক দূর এগিয়ে দু'নম্বর খুন (আপনি যাকে খুনী ভেবে পাঁচটাকার মাঞ্চ বাজি ধরেছেন সে) ইত্যাদির অবসর ছোটগল্পে নেই। কাজেই এ সবের মজাও নেই। বড়র তুলনায় ছোট গোয়েন্দাগল্পের দ্বিতীয় ডিসঅ্যাডভান্টেজ - চরিত্রের ভিড়, পারিপার্শ্বিকের বর্ণনা, সাবপ্লট ইত্যাদি দিয়ে মূল প্লটের খুঁত ঢাকার সুযোগহীনতা। এ সব ঠ্যাকনা সরিয়ে নিলে বেশিরভাগ গোয়েন্দাগল্পই বিপদে পড়বে। ক্রিস্টি যে ক্রিস্টি, তাঁর লেখা ছোটগল্প পড়েও মনে হবে, এ ভারি গোঁজামিল হল। প্লটিং-এ পারঙ্গম লেখকেরা উপন্যাসে মাত করেন (ক্রিস্টি) আর চরিত্রচিত্রণ, পারিপার্শ্বিক সৃষ্টিতে দক্ষরা ছোটগল্পে ভেলকি দেখান বেশি (কোনান ডয়েল) - এ আমার অবজার্ভেশন। রুথ রেন্ডেল আমার মতে দ্বিতীয় গোত্রের লেখক। স্ট্যান্ড অ্যালোন এবং সিরিজ মিলিয়ে, স্বনামে ...