'বিদায় ব্যোমকেশ' হলে গিয়ে দেখার সাতটি কারণ
উৎস গুগল ইমেজেস
***স্পয়লার আছে ***
১। গল্প নয়। গল্পের জন্য দেখতে পারেন। যদি বুঝতে পারেন। আমি বুঝিনি বলে আপনাকে রেকমেন্ড করতে পারছি না। ব্যোমকেশ (আবীর) ভয়ানক বুড়ো হয়েছেন। সত্যবতী (সোহিনী) আর অজিত (রাহুল) মরে ভূত হয়েছেন। ব্যোমকেশের ছেলে অভিমন্যু বক্সী (জয়), যাকে আমরা খোকা বলে চিনি, ডি সি কলকাতা পুলিশ, দু'বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যান। একেবারে উধাও। পুত্রবধূ অনসূয়া (বিদীপ্তা) অফিস যান-আসেন, নাতি সাত্যকি (আবীর) ফিজিক্সে আলো নিয়ে গবেষণা করে। সাত্যকির বান্ধবী অবন্তিকা (সোহিনী) বড়লোক প্রোমোটার বাবার (অরিন্দম শীল) মেয়ে।
এর মধ্যে একদিন অভিমন্যু বক্সী টপটপ রক্ত ঝরা ছুরি হাতে এসে নোনাপুকুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। বলেন উনি একটা খুন করেছেন। লাশ কোথায় পাওয়া যাবে সে হদিসও দেন। বাধ্য হয়েই তাঁকে লক আপে ঢোকাতে হয়। তাঁকে সাহায্য করতে চান তাঁর কর্মজীবনের সহকর্মী ও বন্ধু ডি সি কৃষ্ণেন্দু মালো (রূপঙ্কর বাগচী), কিন্তু অভিমন্যু কিছুতেই বলবেন না উনি কেন উধাও হয়েছিলেন, কেন খুন করেছেন, কেন ফিরে এলেন। ক্রমে আরও একটা লাশ আবিষ্কার হয় এবং রকমসকম দেখে মনে হয় এই খুনটাও অভিমন্যু করেছেন। ব্যোমকেশ ঘরে বসে বসে, সাত্যকি গার্লফ্রেন্ডের বাবার এস ইউ ভি চালিয়ে তদন্ত চালায়। দু'চারজনের ওপর সন্দেহ জড়ো হয়। কেউ কেউ রাতে চুপিচুপি গাড়ি নিয়ে বেরোয়।
গল্পটা আমি বুঝতে পারিনি কারণ সিনেমায় রহস্য সমাধানের থেকে বেশি জরুরি ব্যাপার হচ্ছে বাবা-ছেলে, দাদু-নাতি, স্বামী-স্ত্রী, শ্বশুর-পুত্রবধূ, মা-ছেলের সম্পর্কের প্যাঁচাল। সে প্যাঁচাল বিল্ড আপ করতে গিয়ে ফার্স্ট হাফে অভিমন্যু বক্সীর আত্মসমর্পণ ছাড়া আর বিশেষ কিছুই দেখানোর সুযোগ হয়নি। সেকেন্ড হাফে একটু নড়াচড়া শুরু হল, কিন্তু কে যে কাকে কেন খুন করল, হঠাৎ উধাও হলই বা কেন (কারণ বলা আছে, কিন্তু আমি কনভিন্সড নই ওই কারণে কেউ গা ঢাকা দিতে পারে,) আর বেছে বেছে ঠিক ওই সময়েই ফিরেই বা এল কেন, আমি সত্যি বলছি বুঝতে পারিনি। এত গোলমাল কেন হচ্ছে, সেটা বোঝানোর প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় সেকেন্ড হাফেরও বেশ কিছুটা কেটে যাওয়ার পর। একটা ফাইল। তার পেছনে সবাই মিলে পড়েছে। সে নাকি মারাত্মক ফাইল। এখন বার বার মারাত্মক ফাইল মারাত্মক ফাইল বললে বিশ্বাস করে নিতে হয় মারাত্মক, কিন্তু মারাত্মকতার মাত্রা সম্পর্কে সংশয় থেকে যায়। কী এমন হয়েছিল যার জন্য এত খুনোখুনি? গোলমালে সন্দেহভাজনদের ভূমিকাও এর ওর মুখে দুয়েকলাইন বলা, চোখে দেখিয়ে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা নেই।
সম্ভবতঃ গোটা ব্যাপারটা আমার বোঝার পক্ষে বেশি সূক্ষ্মতার সঙ্গে দেখানো হয়েছে। মুশকিলটা হচ্ছে সিনেমাটার বাকি অনেক জায়গা আবার বেশ বানান করে, আন্ডারলাইন টেনে দেওয়া আছে। ব্যোমকেশের অসহায়তা বোঝানোর জন্য সত্যবতী আর অজিতের ভুতকে এনে, "আমি হেরে গেলাম," "আমি বুড়ো হয়ে গেলাম," উচ্চারণ করিয়ে বোঝানো হয়েছে। নিষ্ঠুরতা বোঝানোর জন্য লাল গোলাপে আগুন ধরিয়ে দেওয়াটেওয়াতেও কোনওরকম ধোঁয়াশা নেই। খালি রহস্যের ক্লু ইত্যাদির ব্যাপারে দর্শকের বুদ্ধির ওপর প্রত্যাশা রাখা আমার মতে অন্যায়।
২। আবীরের দুই অবতার দেখতে যেতে পারেন। প্রথম অবতার বুড়ো ব্যোমকেশ, দ্বিতীয় অবতার সুয়াভ সাত্যকি। বুড়ো ব্যোমকেশ নখদন্তহীন বাঘ হয়েছেন, সেলিব্রিটি স্টেটাস রয়ে গেছে, কিন্তু গায়ে জোর নেই। একলা ঘরে বসে সত্যবতীর জন্য ঝুমকোলতার চারার গায়ে হাত বোলান আর মাটি কুঁদে পাখি, সত্যবতী আর অজিতের মূর্তি বানান। ছাদে গিয়ে গোলাপের বাগান করেন।
সুয়াভ সাত্যকি আলো নিয়ে রিসার্চ করেন। দাদু, বাবা, মা - সকলের ওপর অভিমান। অবন্তিকারূপী সোহিনীর সঙ্গে প্রেম। আবীরের প্রতি সম্পূর্ণ পক্ষপাত নিয়েই বলছি, তাঁর চরিত্রটি খুব অদ্ভুত সময়ে অদ্ভুত আচরণ করে। বাবা দু'বছর পর ফিরে এসে জেলে। দাদু বাবাকে ছাড়ানোর বদলে এমন সব ক্লু খুঁজে বার করছে যে বাবা ছাড়া পাওয়ার বদলে আরও প্যাঁচে পড়ছেন। সেই সময় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাদুর মতো শাল জড়িয়ে, চশমা পরে, গালে কাটা দাগ এঁকে দাদু দাদু সাজাটা ব্যাখ্যার অতীত।
৩। সোহিনী আর সোহিনীর দুই অবতারকেও দেখতে যেতে পারেন। যদি ক্ল্যাসিক বেঙ্গলি বিউটি পছন্দ করেন, হোমস্টাইল শাড়ি পরা, সদ্য স্নান থেকে ওঠা কুঞ্চিত কেশদাম, নিচু স্বরে কথা কয়, মুখে সর্বদা 'এই জায়গাটা একটু বুঝিয়ে দাও না' ভাব নিয়ে ঘোরে, পাকাচুল ছেলেকে 'আমার খোকা' বলে ডাকে, তাহলে 'সত্যবতী' অবতার আপনার জন্য পারফেক্ট। একবার শুধু 'আমার খোকা'র সঙ্গে সঙ্গে 'আমার ব্যোমকেশ'ও বললেন শুনলাম। তাঁর বানানো চরিত্র নিয়ে সিনেমাওয়ালাদের টানাটানি এবং ইন্টারপ্রিটেশনের রকমারিত্ব দেখলে দেখলে শরদিন্দু কী করতেন সে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে শুনেছি কাউকে কাউকে, সত্যবতী ব্যোমকেশের নাম মুখে আনছে শুনলে শরদিন্দু কী করতেন সেটা নিয়ে অ্যাকচুয়ালি আমার বেশি চিন্তা হচ্ছিল।
আপনি যদি অতটা প্রাচীনপন্থী না হয়ে থাকেন, একটু অন্যরকম নায়িকা যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে, পাড়াপ্রতিবেশী কী বলবে তোয়াক্কা না করে মাঝরাতে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে সিনেমার ডায়লগ বলে দেখানোর মত অন্যরকম, বড়লোকের মেয়ে কিন্তু টাকাপয়সার কেয়ার করে না টাইপ অন্যরকম, সেজে থাকে কিন্তু আবার সাজের দুয়েকটা এলিমেন্ট দেখে (ওভারসাইজড চশমা) বোঝা যায় যে বহিরঙ্গের সুপারফিশিয়ালিটিতে মন নেই, তাহলে সাত্যকির গার্লফ্রেন্ড অবন্তিকা, যাকে সবাই তুন্না না কী একটা নামে ডাকে, সেই অবতার আপনার জন্য পারফেক্ট হবে।
খ, ছ, ভ, হ, ঝ - এইসব কঠিং বর্ণের উচ্চারণ সোহিনীর দুই অবতারের একজনের পক্ষেও অসম্ভব।*** তবে তিনি তো আর আবৃত্তি করতে আসেননি, অভিনয় করতে এসেছেন। হু কেয়ারস।
৪। অজিত আর সত্যবতীর ভুত দেখতেও যেতে পারেন। দুজনেই ভরা যৌবনে ভুত হয়েছেন। ব্যোমকেশের আশেপাশে সর্বদা ঘোরেন। ক্লু-ট্লুর আভাস দেন। সিনেমার শেষে ব্যোমকেশের সত্যবতীর ভুতকেই চায়ের জল বসানোর অনুরোধ জানানোটা আমার বেশ রিয়েলিস্টিক লেগেছে।
৫। বাঙালির সংস্কৃতিমনস্কতা নিয়ে গর্ব করতে হলেও এই সিনেমাটা দেখতে যাওয়া জরুরি। এটা অবশ্য এই সিনেমার একচেটিয়া নয়। অজিতের ভুত, ব্যোমকেশ, সাত্যকি সকলেই যখনতখন কবিতার লাইন মুখস্থ বলে। লক আপে নাটকের সংলাপ, চেজ সিকোয়েন্সে সুকুমার রায় পর্যন্ত ঠিক ছিল কিন্তু ক্লাইম্যাক্সে সবাই সবার মাথায় বন্দুক ধরে থাকা অবস্থায় গলা কাঁপিয়ে নাটকের সংলাপ বাঙালি ছাড়া আর কেউ বলতে পারে কি না আমি শিওর নই।
৬। ক্লাইম্যাক্সের জন্যও বিদায় ব্যোমকেশ দেখা উচিত। অ্যাকচুয়ালি ক্লাইম্যাক্স না দেখলে বাকিটা দেখার কোনও মানে হয় না, কারণ পুরো গল্পটা ক্লাইম্যাক্সেই বলা হয়েছে। হতে পারে আপনি এতক্ষণে ধৈর্য হারিয়েছেন, গল্পের খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ আর বোধ করছেন না, তবু দেখুন। কারণ শ্রী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। ওঁকে কাজল, লিপস্টিক পরিয়ে হাতে বন্দুক ধরিয়ে খুনখারাপি করতে পাঠানোর পেছনে চরিত্রের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনকে মেনস্ট্রিমে জায়গা দেওয়ার সদিচ্ছার থেকে ওঁর ওই চেহারা দেখিয়ে দর্শককে এক্সট্রা কণ্টকিত করার বদিচ্ছেটাই বেশি বলে আমার সন্দেহ। ক্লাইম্যাক্সে সুজয় খালি নাচতে বাকি রাখেন, 'কুমীর জলকে নেমেছি' সুর করে গাইতে থাকেন, খনখন করে হাসেন। সে হাসি সংক্রামক।
৭। এ কারণগুলোর একটাও যদি যথেষ্ট মনে না হয়, তবু আপনার সিনেমাটা দেখতে যাওয়া উচিত। বাংলা সিনেমার কিছু হচ্ছে না বলে চেঁচাবেন, আর এদিকে হলে গিয়ে দেখে টাকা খরচ করে বাংলা সিনেমার পৃষ্ঠপোষকতা করবেন না, এ মহাপাপ করবেন না।
***আমাকে একজন জানিয়েছেন যে সোহিনী সম্ভবতঃ উচ্চারণগুলো ভালোই পারেন, বড়লোকের আদুরে মেয়ের ভূমিকায় আধো আধো গলায় কথা বলার নির্দেশ ছিল বলে ওইভাবে বলেছেন।
Ektai comment. Thank you. 2 to ticket er daame starbuckse half cup coffee hour jaabe
ReplyDeleteহ্যাঁ, কফির সঙ্গে আর একটু জুড়ে লেমন কেক বলে পাওয়া যায়, সেই এক স্লাইস নেওয়া যেতে পারে। গরম করে দেয়, আমার তো খুব ভালো লাগে খেতে।
Deleteও বাবা,এ সিনেমা বুঝতে গেলে তো ব্যোমকেশকেই লাগবে।
ReplyDeleteহাহা, সে রকমই প্রায় অবস্থা, নালক।
Deleteখ, ছ, ভ, হ, ঝ - এইসব কঠিং বর্ণের উচ্চারণ সোহিনীর দুই অবতারের একজনের পক্ষেও অসম্ভব
ReplyDeletehok kotha..
ওঁকে কাজল, লিপস্টিক পরিয়ে হাতে বন্দুক ধরিয়ে খুনখারাপি করতে পাঠানোর
খনখন করে হাসেন। সে হাসি সংক্রামক
zata
prosenjit
সিরিয়াসলি, প্রসেনজিৎ।
Deleteআমি দেখলাম মায়ের জন্য।এককথায় জঘন্য লেগেছে।আবিরের অভিনয় জঘন্য। সোহিনীর অভিনয় ফড়িং, ওপেন টি বায়োস্কোপ ইত্যাদি ছবিতে ভাল লেগেছিল, এটায় ভাল লাগলো না।বাকিদের নিয়ে কম কথা বলাই ভাল।স্ক্রিপ্ট একদমই পোষালো না।
ReplyDeleteএই সময়েই সিনেমাহলে চলছে পিউপা বলে আরেকটি বাংলা সিনেমা।জানি না দিল্লিতে বসে আপনি দেখতে পারবেন কিনা। তবে চললে বল্বো অতি অবশ্যই দেখতে।দেখতে দেখতে আপনার একটি পুরনো পোস্টের কথা মনে পড়েছিল আমার।পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য।এনার আগের ছবি বিলু রাক্ষস-ও চমৎকার
পিউপা বোধহয় এসেছে এখানে বা আসবে, ঋতম। দেখব। থ্যাংক ইউ।
Deleteja likhlen tarpor satti bolte ki cinemati dekhar akorshon aar bishesh roilo na. emnitei China te google, netflix chole na bole besh kathkhor puriye dekhte hoi. Tabe eto jotil ba eto sukkhota bodhhoi amar buddhi bishleshon korte parbe na.....
ReplyDeleteAmar eisab classic golpo niye eto interpretation bhalo laage na....kichhu kichhu jinis bodhoi untouched rakhlei bhalo laage.
বিদায় ব্যোমকেশ একদিক থেকে অভিনব, সুস্মিতা, কারণ গল্পটা মৌলিক। চরিত্রগুলো শুধু ধার নেওয়া। গল্পটাও বেশ অন্যরকম করে ভাবা হয়েছিল, কিন্তু বলাটা ভীষণ গোলমাল হয়েছে।
DeleteOre baba. Bhaggish bolle. Multiplex er duto ticket er paisa bachiye at least chaar plate momo hoye jabe. Plus du plate churmur.
ReplyDeleteরোলও হয়ে যাবে মোস্ট প্রব্যাবলি। আমার বলতে খুবই খারাপ লাগছে, বিম্ববতী, কিন্তু এটার রিস্ক না নেওয়াই ভালো।
DeleteHa ha....hi hi....ho ho....khyak khyak
ReplyDeleteTukhor hoyechhe. Tobu ami cinema ta dekhbo - hall e noy, TV te jokhon debe - sudhu arekbar hasar jonyo.
Khik khik
Ami ebar ekta filim banabo - Bechara Sharadindu nam diye :(
এতদিন সবাই মূল্যায়ন হয়নি মূল্যায়ন হয়নি বলে হাহাকার করছিল, এবার দেখাচ্ছে মূল্যায়ন কাকে বলে।
DeleteEkdom thhik bolechen Kuntala. E Mulyayan to noy, Muule Utpaton jaake bole :(
ReplyDeleteHya... Ek bikhyato byaktir boktobyo onushaare...cinemaar morey morey mulyayan!
ReplyDeleteএমনিতে আবীর "ইয়ে কিনলে আরাম ফ্রি" বিজ্ঞাপন দিলেও তা দেখার জন্য আমরা সপরিবারে যাই। কিন্তু এবার, ব্যোমকেশ মারা যেতে পারে এই আশঙ্কায় কেউই সাহস পাইনি। এখন এই আলোচনার পর তো ত্রিসীমানায় নাই।
ReplyDeleteব্যোমকেশকে মেরে ফেলার সাহস এই মুহূর্তে কোনও পরিচালকের হওয়া শক্ত, ঋজু, সে তিনি যতই অভিনব ইন্টারপ্রিটেশনের সাহস দেখান না কেন।
Deleteএগ্রিড|
DeleteHaa haa .. tor movie review gulo darun laage porte ... ami sudhu matro 4 number point tar janne ei cinama ta online -e asar apekkhyay thaakbo "ব্যোমকেশের সত্যবতীর ভুতকেই চায়ের জল বসানোর অনুরোধ জানানোটা" .. eta just jaa taa .... :D :D .. aar hya .. Abir k o dekhte hobe :P
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, বৈশালী। আমারও আবীরকে পছন্দ।
Delete"খ, ছ, ভ, হ, ঝ - এইসব কঠিং বর্ণের উচ্চারণ সোহিনীর দুই অবতারের একজনের পক্ষেও অসম্ভব।"
ReplyDeletebhoyanok bhabe sohinir kora uchharon ta sunte ichhe korche :) durdanto review hoyeche!
কাকলি, আমাকে একজন বলেছেন যে সোহিনী আসলে ওই উচ্চারণগুলো করতে পারেন, ওই আদুরে মেয়ের রোলে আধোগলায় কথা বলার ইন্সট্রাকশন ছিল বলে সম্ভবতঃ ওইরকম উচ্চারণ করেছেন। হতেও পারে। আমি এই ডিস্ক্লেমারটা যোগ করে দিচ্ছি লেখাতে।
Deletejah, disclaimer dile moja gone :)
Deleteতবু দেওয়া ভালো, কাকলি। না হলে লোকে আমাকে মজা দেখাতে পারে।
DeleteOsadharon somalochona. Apni ki ei cinema ta dekhechen : https://en.wikipedia.org/wiki/Mr._Holmes ?
ReplyDeleteএটা তো দেখিনি, ঘনাদা। দেখি খুঁজে পাওয়া যায় কি না, তাহলে আজ রাতেই দেখা যাবে। থ্যাংক ইউ।
Deleteজীবনে কিছু জিনিস না দেখলে যে ক্ষতি নেই সেটা আবার প্রমাণিত।
ReplyDeleteমুশকিল হচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা, বেশিরভাগ জিনিস দেখার আগে বোঝা শক্ত কোনটায় লাভ কোনটায় ক্ষতি। আবার লাভক্ষতির সংজ্ঞাও আলাদা হতে পারে।
Deleteঠিক কথা। তবে তোমার লেখা মাঝে মাঝে আমাকে বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেয়।
Deleteহাহা, হ্যাপি টু হেল্প।
Deleteযাক আমার একজন সমব্যথী পেলাম । আমি এটা হলে গিয়ে দেখেছিলাম কোন দুঃসাহসে কে জানে! সুজয়প্রসাদ এটা এক্সপ্ট কেন করলেন আমার সেটা নিয়েও জিজ্ঞাসা আছে , উনি বোঝননি এটা আসলে খিল্লি করা হচ্ছে ওনাকে নিয়ে? কে জানে!
ReplyDeleteআর বুড়ো ব্যোমকেশের উচ্চারন ! বাপ্স ।
মিথ্যে বলব না, আমি খুব বেশি আশা করে যাইনি এটা দেখতে। বাংলা সিনেমা তাও গোয়েন্দা, যাই একটু পয়সা নষ্ট করে আসারই আশা ছিল। আশা ছাড়িয়ে গেছে।
Deleteআদুরে মেয়ের ভূমিকায় আধো আধো গলায় কথা
ReplyDeletesohini sotyi e khub e adure ar baby...sobsomay e thont fuliye thake,kotha bola ba kotha na bola soob drishyei,jani na jodio unar lip anatomy oirakam e by default kina
prosenjit
Thakuma ar girlfriend ke ek e rokom dekhte korar karon ta ami ekhono bujhini
ReplyDeleteAr ei cinema tar byomkesh er nam byabohar sudhui publicity r jonno bole mone hoeche.golpo ta byomkesh na hoe je kono choritrer hote parto
সে রকম অবশ্য চেনা চরিত্রদের নিয়ে নতুন গল্প হতে আমি দেখেছি বা পড়েছি। পড়তে ভালোও লেগেছে। তবে সে সব গল্পে চরিত্রদের সঙ্গে পারিপার্শ্বিকও পুরোনোই ছিল। তাতে গল্পের অচেনাত্ব খানিকটা লাঘব হত। এই ব্যোমকেশের সে সুবিধেটা নেই।
Delete