প্রমীলার প্রতিশোধ
গোয়েন্দা উপন্যাস পড়লে যত আরাম হয়, গোয়েন্দা ছোটগল্প পড়লে তত আরাম হয় না কেন এ নিয়ে আমি ভেবেছি। অ-গোয়েন্দা সাহিত্যে আমার আরামের প্যাটার্ন ঠিক উল্টো বলে আরও বেশি করে ভেবেছি।
একটা কারণ হতে পারে ছোট গোয়েন্দাগল্পে প্লট খেলানোর জায়গা কম বলে। তিন পাতা অন্তর নতুন ক্লু, সাড়ে সাত পাতা পার হয়ে রেড হেরিং, মাঝপথ পার হয়ে খানিক দূর এগিয়ে দু'নম্বর খুন (আপনি যাকে খুনী ভেবে পাঁচটাকার মাঞ্চ বাজি ধরেছেন সে) ইত্যাদির অবসর ছোটগল্পে নেই। কাজেই এ সবের মজাও নেই। বড়র তুলনায় ছোট গোয়েন্দাগল্পের দ্বিতীয় ডিসঅ্যাডভান্টেজ - চরিত্রের ভিড়, পারিপার্শ্বিকের বর্ণনা, সাবপ্লট ইত্যাদি দিয়ে মূল প্লটের খুঁত ঢাকার সুযোগহীনতা। এ সব ঠ্যাকনা সরিয়ে নিলে বেশিরভাগ গোয়েন্দাগল্পই বিপদে পড়বে। ক্রিস্টি যে ক্রিস্টি, তাঁর লেখা ছোটগল্প পড়েও মনে হবে, এ ভারি গোঁজামিল হল।
প্লটিং-এ পারঙ্গম লেখকেরা উপন্যাসে মাত করেন (ক্রিস্টি) আর চরিত্রচিত্রণ, পারিপার্শ্বিক সৃষ্টিতে দক্ষরা ছোটগল্পে ভেলকি দেখান বেশি (কোনান ডয়েল) - এ আমার অবজার্ভেশন।
রুথ রেন্ডেল আমার মতে দ্বিতীয় গোত্রের লেখক। স্ট্যান্ড অ্যালোন এবং সিরিজ মিলিয়ে, স্বনামে (ইন্সপেক্টর ওয়েক্সফোর্ড সিরিজ) ও বেনামে (বারবারা ভাইন ছিল তাঁর ছদ্মনাম) রেন্ডেল প্রায় পঁয়ষট্টিখানা গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছিলেন। পঁয়ষট্টিটা পড়িনি, সম্ভবতঃ পড়বও না, কারণ রুথ রেন্ডেলের উপন্যাস আমার অত ভালোও লাগে না। তাঁর লেখা 'দ্য সেন্ট জিটা সোসাইটি'- উপন্যাসের অর্ধেক পর্যন্ত পৌঁছেও আমি কোনও ক্রাইমের দেখা পাইনি বা ক্রাইম ঘটে থাকলেও তার সমাধানে কোনও রকম প্রচেষ্টা, তাপউত্তাপ চোখে পড়েনি। কেবলই চরিত্রচিত্রণ চলছে।
যেখানে ধাঁধা লিখতে হচ্ছে না; ক্লূ, রেড হেরিং, মোটিভ, অপরচুনিটির খেলা খেলার দায় যেখানে নেই, রুথ রেন্ডেল ঝলসান সেখানে। অর্থাৎ ছোটগল্পে। অপরাধের প্রতি গভীর কৌতূহলী মন নিয়ে অপরাধের ঘটনাকে ঘিরে থাকা চরিত্রদের দেখেন নিজে গভীরভাবে, আমাদের দেখান। রুথ রেন্ডেলের ছোটগল্প দশের বেশি সংকলনে জড়ো করা আছে। আমার টু রিড লিস্টে দশটাই আছে। কারণ যা পড়েছি প্রায় সবই ভালো লেগেছে। আর সে সব গল্পের মধ্যেও ভালো লেগেছে 'দ্য উইংক'। আঠাশশো শব্দের মধ্যে অতখানি ভয়াবহতা, অতখানি উদাসীনতার (উদাসীন বলেই এফেক্টিভ হয়তো) সঙ্গে এঁকে দেওয়া, অবিশ্বাস্য। 'দ্য উইংক'-এর ছায়া অবলম্বনে লেখা আমার ছোটগল্প 'প্রমীলার প্রতিশোধ' বেরিয়েছে এ বারের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাওয়া মেল ট্রেনের গল্পের কামরায়। লিংক নিচে রইল।
Darun golpo r onobodyo anybad.
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুহানি।
DeleteClap debaar awaaj ta pathate paarle bhaalo hoto. Just darun
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অর্পণ।
DeleteOnekdin pore eshe gograshe tomaar posts porchi Kuntala. Khub bhalo lagche. :-)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, শর্মিলা। আমি তোমার নতুন পোস্টটা পড়েছি, সাড়া দেব দেব করেও দেওয়া হয়নি।
DeleteBheeshon bheeshon bheeshon bhalo laglo. Bahoba. :)
ReplyDeleteআমারও তোমার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ ভীষণ মন ভালো হল, বিম্ববতী। থ্যাংক ইউ।
Deletegolpota ekta chabuker moto ...khub dorkar chilo emon lekhar....
ReplyDeleteহ্যাঁ, রুথ রেন্ডেল বিষয় নির্বাচনে অতি তুখোড়, পারমিতা।
Deleteami ekta jinis bujhini,oi loktar shorir kharap howa ta promila kibhabe execute korlen,naki
ReplyDeleteota kaktaliyo
prosenjit
কাকতালীয় মনে হয়।
Deleteযাঃ! দিলে তো সব গুলিয়ে!
Deleteখুব খুব ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ।
Deletearekbar birakto korchi
ReplyDeletepromila ki khoon korte gechilen tai oto sabdhane charidik dekhe ghore dhukchilen..bole dao na..
galpo ta khub khub khub e bhalo likhecho..
prosenjit
লোকটা এতদিন ওঁকে চোখ মারত, প্রমীলা লোকটাকে চোখ মেরে প্রতিশোধ নিতে গেছিলেন। বয়স্ক লোক তো, প্র্যাকটিসও কম, তাই লোকের সামনে চোখ মারতে চাননি। চারদিক দেখেশুনে ঘরে ঢুকেছিলেন।
Deleteok achcha..tobe tumi eto sundor likhecho,ekta khoon er plot barbar bhabchi..,dharo promila balish chapa die marar chesta korlen,lokta morlo na,tarpor senseless hoe hospital e gelo..hoyto..chotogalpo to tai..sei sesh hoe holo na sesh
Deletejaihok lekhata onobadyo
Chomotkar laglo pore.............'Dhup er dhoan r moto chul' chomotkar upoma........
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteunwanted kichu lekhar janyo duukhito,galpo ta mone khub dag keteche bolei eto koutuhol..
ReplyDeleteprosenjit
থ্যাংক ইউ।
DeleteDarun eta Kuntala!!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
DeleteKhub bhalo laglo kuntala. I read the original, tumi jebhabe bangali poribarer janyyo adopt koreccho anobadyo.
ReplyDeleteধন্যবাদ, উজ্জয়িনী।
Deleteঅনুবাদ নয়। এ আপনারই লেখা গল্প। নইলে এমন করে এই দেশ, এই শহরের অতীত-বর্তমান-রক্ত-অশ্রু মিশে যেত না ন্যারেটিভে।
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউ, ঋজু। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
Deleteআভূমি নত হলাম, কুন্তলা। এ ছায়া অবলম্বন নয়, এ আস্ত একটা খাঁটি মৌলিক গল্প। টেক আ বাও, মিলেডি।
ReplyDeleteহাহা, থ্যাংক ইউ, অদিতি।
Deleteগায়ে কাঁটা দিচ্ছে তো ! এবার এরকম ধাঁচে মৌলিক গল্প হয়ে যাক !
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অন্বেষা। দেখি চেষ্টা করে।
Deletedaroon laglo. etake moteo anubaad bola jayna.....agagora tomar "signature" achey :)
ReplyDeletebtw aami arek goyenda ke abishkar korechhi....ini holen pekkala aar enar karmobhumi tsarist and stalinist russia. besh lagchey golpogulo...prothom diker boi gulo adventure beshi clue byapar ta kom. kintu porer novel gulo besh bhalo detective plot! (author sam eastland)
থ্যাংক ইউ, শম্পা। ইস্টল্যান্ড পড়ে দেখব নিশ্চয়।
DeleteKuntala, ami Ruth Rendell er muul golpota porechhi, aar aaj ei golpotao porlam. Etuku bolte pari je ei golpota motei chhaya obolombone lekha noy, ekti khNati mukto. :)
ReplyDeleteKurnish!
Aaro ekta kotha - Inreji golpota amar bhalo lageni, kintu eta fatafati legechhe. :)
আজ সারাদিন আমার মগজে সেরোটোনিন আর ডোপামিন আরও যা যা সব মিন আছে, ঢেউ খেলবে। থ্যাংক ইউ, অরিজিত। আপনার মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের।
Deleteআমি তমার অনুবাদ লেখা পড়ে টেরই পাইনা এটা আসলে অনুবাদ । দারুণ বললে কিছুই বলা হবে না।
ReplyDeleteধন্যবাদ, প্রদীপ্ত।
Delete