ফুচকা ও ফিকশন
ক’দিন আগে একটা সিনেমা দেখে এসেছি, তুম্বাড়। আপনারা না দেখে থাকলেও পোস্টটা পড়তে পারেন, কারণ কোনও স্পয়লার দেওয়া হচ্ছে না। সবাই বলছিল দারুণ নাকি সিনেমা। ইউটিউবের রিভিউয়ারেরা পাঁচে চার সাড়ে চার দিচ্ছিলেন, কেউ বলছিলেন এ রকম কালার কারেকশন আগে ভারতীয় সিনেমায় হয়নি। আমি কালার কারেকশন কাকে বলে জানি না, খালি জানি সিনেমাটা দেখতে চমৎকার হয়েছে। পরিচালক দর্শককে উদ্বেলিত সবুজ পাহাড়, অবিশ্রাম বৃষ্টি, লণ্ঠনের টিমটিম আলোয় আলোকিত রাতের নদী, শহরের বাজারের কোলাহলের একেবারে মাঝখানে নিয়ে গিয়ে ফেলতে পেরেছেন।
তুমবাড় হচ্ছে খুব যত্ন করে, দারুণ কায়দা করে বানানো একটা হিতোপদেশের গল্প। সমস্যাটা হচ্ছে যতই কায়দা করা হোক না কেন, হিতোপদেশের গল্প ফাইন্যালি হিতোপদেশের গল্পই থাকে। দেবতার অভিশাপ। মানুষের লোভ। লোভে পাপ। পাপে মৃত্যু। তাছাড়া দু’হাজার আঠেরোতে বসে ঝুরঝুরে ধ্যানধারণার বিন্দুমাত্র আপডেট ছাড়া একখানা নতুন গল্প ফাঁদার সিদ্ধান্তটাও কৌতূহলোদ্দীপক। কেউ বলতে পারে সিনেমা তো গল্প নয়, কাজেই গল্পটা সময়গ্রাহ্য হল নাকি চরিত্ররা একমাত্রিক হু কেয়ারস, কালার কারেকশনটাই আসল কথা। এর উত্তরে আমি স্পিচলেস। অন্ধের হাতি দর্শনের গল্পটা খাঁটি। আমাকে যত ভালো সিনেমা দেখানোই হোক না কেন আমি খালি গল্পটা দেখে, ডায়লগ শুনে বাড়ি চলে আসব এবং তার চুলচেরা বিচার করতে বসব তা সে যুক্তিযুক্ত হোক না হোক।
যদিও তুম্বাড়ের চুল চেরা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। তুম্বাড়ের কান টানলাম শুধু ওই বক্তব্যটায় পৌঁছনোর জন্য যে একটা গল্প ভালো লাগতে গেলে তার প্লটও জমাটি হতে হয়, ক্যারেকটারও ইন্টারেস্টিং হতে লাগে। আমি ক্যারেকটারগুলো সব স্টিক ফিগারের মতো এঁকেছি কিন্তু ভাষায় কেমন বঙ্কিমি বাঁধুনি কিংবা চরিত্রদের পরত উৎকৃষ্ট রাবড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে কিন্ত শেষে গিয়ে প্রতিটা সাবপ্লট দড়ি ছেঁড়া বাছুরের মতো ছত্রাকার - এ রকম হয় না।
*****
ফুচকার সঙ্গে আমার মতে এই বিষয়ের ফিকশনের মারাত্মক মিল। ফুচকারও ভিন্ন ভিন্ন উপাদান থাকে যাদের কোনও একটার খামতি অন্যটার উৎকর্ষ দিয়ে ঢাকা যায় না। আমার মতে। সবার মতে নয়। অনেকে মনে করেন ফুচকার আসল কেরামতি ফুচকাটায় অর্থাৎ খোলাটায়। সেটা যদি পাতলা, মুচমুচে, এবং মাপমতো সাইজের হয় তাহলে আলুমাখা, তেঁতুলজল, এবং ফুচকাওয়ালার অ্যাটিচিউডের ছোটখাটো খামতি অগ্রাহ্য করা যেতে পারে।
আমি, অফ কোর্স, এরকম মনে করি না। বিশেষ করে ফুচকাওয়ালার অ্যাটিচিউডের ব্যাপারটায়। অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাকি সব পেশার মতোই ভালো ফুচকাওয়ালা হতে গেলেও ব্যক্তিগত কিছু গুণ জরুরি। পরিশ্রমের ইচ্ছে, ভালো ব্যবহার, অন্যের সুবিধেঅসুবিধের প্রতি মনোযোগ ইত্যাদি। অলস, অভব্য, আত্মসর্বস্ব ফুচকাওয়ালা ভালো ফুচকা খাওয়াচ্ছেন, জন্মে দেখিনি। ফুচকা খেয়ে খুশি হওয়ার জন্য ফুচকাওয়ালার সঙ্গে খাইয়ের একটা কানেকশন দরকার। ঠিক যেমন লেখা পড়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য লেখকের সঙ্গে পাঠকের। যে লেখকের রাজনীতিকে অশ্রদ্ধা করি তাঁর শত অরাজনৈতিক লেখাও মন ছুঁয়ে যায় না। ঠিক তেমনি কোনও ফুচকাওয়ালাকে দেখলেই গা জ্বললে তিনি যত ভালো ফুচকাই বানান না কেন,মর্যাদা করা যায় না। সি আর পার্কে আমার মোটামুটি প্রিয় একটি ফুচকার দোকান আছে এবং সেই দোকানে দুজন ফুচকাওয়ালা আছেন। কে কবে দোকানের দায়িত্ব নেবেন সেটা সারপ্রাইজ। প্রতি শুক্রবার, কোনও কোনও সপ্তাহের মাঝখানেও ট্যাক্সি থেকে নেমে আঙুলের ওপর ভর দিয়ে, গলা বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করি দোকানে কোনজন আছেন। একজন থাকলে রাস্তা পেরিয়ে দোকানের দিকে এগোই, অন্যজন থাকলে দীর্ঘনিঃশ্বাস চেপে ঝালমুড়ি নিয়ে বাড়ি চলে যাই। যতবার অন্যথা করেছি, যতবার ফুচকার লোভে ফুচকাওয়ালার খামতি অগ্রাহ্য করতে গেছি, ততবার শিক্ষা হয়েছে। ঝাল দিতে বললে পুরো ফুচকাটা তৈরি করে ওপর থেকে লাল লংকার গুঁড়ো ছড়িয়ে থপ করে শালপাতায় ছুঁড়ে ফেলেছে। দেখেশুনে আমি সিদ্ধান্তে এসেছি ফুচকাওয়ালার সঙ্গে খাইয়ের সম্পর্ক পূর্বনির্ধারিত। হয় ক্লিক করে, নয় করে না। কমপ্রোমাইজ করতে হয়। আর ফুচকা নিয়ে আমি কমপ্রোমাইজ করি না।
আমি, অফ কোর্স, এরকম মনে করি না। বিশেষ করে ফুচকাওয়ালার অ্যাটিচিউডের ব্যাপারটায়। অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাকি সব পেশার মতোই ভালো ফুচকাওয়ালা হতে গেলেও ব্যক্তিগত কিছু গুণ জরুরি। পরিশ্রমের ইচ্ছে, ভালো ব্যবহার, অন্যের সুবিধেঅসুবিধের প্রতি মনোযোগ ইত্যাদি। অলস, অভব্য, আত্মসর্বস্ব ফুচকাওয়ালা ভালো ফুচকা খাওয়াচ্ছেন, জন্মে দেখিনি। ফুচকা খেয়ে খুশি হওয়ার জন্য ফুচকাওয়ালার সঙ্গে খাইয়ের একটা কানেকশন দরকার। ঠিক যেমন লেখা পড়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য লেখকের সঙ্গে পাঠকের। যে লেখকের রাজনীতিকে অশ্রদ্ধা করি তাঁর শত অরাজনৈতিক লেখাও মন ছুঁয়ে যায় না। ঠিক তেমনি কোনও ফুচকাওয়ালাকে দেখলেই গা জ্বললে তিনি যত ভালো ফুচকাই বানান না কেন,মর্যাদা করা যায় না। সি আর পার্কে আমার মোটামুটি প্রিয় একটি ফুচকার দোকান আছে এবং সেই দোকানে দুজন ফুচকাওয়ালা আছেন। কে কবে দোকানের দায়িত্ব নেবেন সেটা সারপ্রাইজ। প্রতি শুক্রবার, কোনও কোনও সপ্তাহের মাঝখানেও ট্যাক্সি থেকে নেমে আঙুলের ওপর ভর দিয়ে, গলা বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করি দোকানে কোনজন আছেন। একজন থাকলে রাস্তা পেরিয়ে দোকানের দিকে এগোই, অন্যজন থাকলে দীর্ঘনিঃশ্বাস চেপে ঝালমুড়ি নিয়ে বাড়ি চলে যাই। যতবার অন্যথা করেছি, যতবার ফুচকার লোভে ফুচকাওয়ালার খামতি অগ্রাহ্য করতে গেছি, ততবার শিক্ষা হয়েছে। ঝাল দিতে বললে পুরো ফুচকাটা তৈরি করে ওপর থেকে লাল লংকার গুঁড়ো ছড়িয়ে থপ করে শালপাতায় ছুঁড়ে ফেলেছে। দেখেশুনে আমি সিদ্ধান্তে এসেছি ফুচকাওয়ালার সঙ্গে খাইয়ের সম্পর্ক পূর্বনির্ধারিত। হয় ক্লিক করে, নয় করে না। কমপ্রোমাইজ করতে হয়। আর ফুচকা নিয়ে আমি কমপ্রোমাইজ করি না।
তবে এটা মানি, ফুচকার কোনও একটা এলিমেন্টের যদি নৈর্ব্যক্তিক বিচার সম্ভব হয়, সেটা হচ্ছে ফুচকার খোলা। কেউই বলবেন না যে ন্যাতানো ফুচকার খোলা আমার দারুণ পছন্দ। সে দিক থেকে ফিকশনের প্লটের সঙ্গে ফুচকার খোলার তুলনা করা যায়। কেউই বলবেন না, সত্যি বলছি আমার না প্লট একটু নড়বড়ে হলেই ভালো লাগে। বরং আলুমাখা, তেঁতুলজল এ সবে আপেক্ষিকতার জায়গা আছে। যে জন্য তারা চরিত্র, ভাষা, পয়েন্ট অফ ভিউ ইত্যাদির সঙ্গে তুলনীয়। কারও ঝাল পছন্দ, কারও মিষ্টি, কারও লাইকেবল চরিত্র ভালো লাগে, কারও বদের বাসা ছাড়া মন ওঠে না। নিজস্ব নীতিবোধও অনেকসময় আনন্দগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমার চেনা একজন পাঠক নাটকনভেলের কাল্পনিক পরকীয়াও সইতে পারেন না। আরেকজনকে চিনতাম, আশাপূর্ণা দেবীর অনুরাগী ছিলেন, তাঁর বাকি সব গল্প গোগ্রাসে গিলেছিলেন, খালি মেয়েদের চোপা সইতে পারতেন না বলে ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ অনেক বার চেষ্টা করেও শেষ করতে পারেননি।
*****
যবে থেকে ঠাকুর দেখতে বেরোতে শুরু করেছি, বুঝেছি ঠাকুর দেখার সমান ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে রাস্তায়, প্যান্ডেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। কোন দিন কার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোব (ষষ্ঠীর দিন ব-দিদি, সপ্তমীতে স, অষ্টমী নবমী দশমী অবস্থা বুঝে বাবা মা আর পিসির মধ্যে বণ্টন) সেটা যেমন বাঁধা থাকত, কার সঙ্গে কী খাব সেটাও বাঁধা থাকত। এর সঙ্গে ফুচকা আর রোল, ওর সঙ্গে ফুচকা আর আইসক্রিম। কত খাব সেটাই শুধু বাঁধনছাড়া, খেতে খেতে শরীর খারাপ লাগলে থামস আপ খেয়ে ঢেঁকুর তুলে আবার খাওয়া।
সে সব দিন গেছে। সবারই গেছে সে রকম দাবি করছি না। এ বছরেই দেখেছি প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে গার্জেন বলছেন, ‘ওই দেখ দুগ্গাঠাকুর ওইদিকে’ আর যাকে বলা হচ্ছে সে আক্ষরিকই আমার হাঁটুর দৈর্ঘ্যের, ‘কিন্তু আইসক্রিম ওইদিকে,’ বলে গার্জেনের হাত ধরে একটা কোয়ালিটির ঠেলাগাড়ির দিকে তার ওই মারাত্মক অপ্রতুল শরীরে সমস্ত জোর প্রয়োগ করে টানছে।
কাজেই দিন গেছে শুধু আমার। খাওয়া নির্লজ্জরকম খিদে-নির্ভর হয়ে পড়েছে। ষষ্ঠীর সন্ধেবেলা রিষড়ায় টোটোপরিক্রমা সেটা আবারও প্রমাণ হল। প্রতি প্যান্ডেলের সামনেই ফুচকা, রোল, ম্যাগি, সুপ ম্যাগি, কচুরি, আলুকাবলি ইত্যাদি ছিল কিন্তু আমরা কিছুই খাচ্ছিলাম না। আমি খাচ্ছিলাম না কারণ দুপুরে ওই রকম খাওয়ার পর আমার সত্যিই পেটে জায়গা ছিল না। অর্চিষ্মানও না না করছিল, কিন্তু সেটা পেট ভরা ছিল বলে নাকি ভদ্রতা করে, জানি না।
মাবাবার অস্বস্তি হচ্ছিল নিশ্চয়। প্রতি প্যান্ডেলের সামনে নেমে ওঁরা ক্রমাগত 'এটা খাবি?’ ‘সেটা খাবে?’ জিজ্ঞাসা করছিলেন। শেষটা যখন বললেন ‘তাহলে এককাপ চা-ই খাও নাকি প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ে?’ তখন মনে হল এত বাড়াবাড়ি না করলেও চলবে। পঞ্চাননতলার পঁচাত্তর বছরের পুজো প্যান্ডেলের মেলায় পৌঁছে বাবা আরেকবার যেই না বললেন, ‘ফুচকা খাবি সোনা?’ রাজি হয়ে গেলাম। বাবা বললেন, ‘ওটা ফাঁকা আছে ওদিকে চল।’
আর আবারও প্রমাণ হল আমি কত বদলে গেছি। এক মুহূর্তের জন্য কী মনে হল জানেন? মনে হল, যেখানে ভিড় সেখানটাই কি ভালো হবে না? যাই হোক, মনের কথা মনে রাখার বুদ্ধিটুকু হয়েছিল ভাগ্যিস। বাবার পেছন পেছন ফাঁকা ফুচকার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ভদ্রলোক একবার শুধু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ঝাল হবে?’ তারপর আলু মাখতে শুরু করলেন। হাতে হাতে প্লেট দিলেন, তারপর কাঁচের বাক্স থেকে ফুচকা নিয়ে ভেঙে, আলুমাখা পুরে তেঁতুলজলে ডুবিয়ে প্লেটে প্লেটে দিতে শুরু করলেন।
এই ছবিটা ওঁর ফুচকার দোকানের নয়। ছবিটা আপনারা কেউ কেউ চিনতে পারেন। এটা একটা বিখ্যাত ফুচকার দোকানের ছবি। ভিড়ভাট্টার সঙ্গে গুণগত মানের সমানুপাতিক সম্পর্কে আপনার বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি চোখ বুজে এই দোকানের ফুচকায় আস্থা রাখতে পারেন। কারণ এই ফুচকার দোকান কখনওই ফাঁকা থাকে না। ইউটিউবের ফুচকা-ওয়াকে এই দোকান কভার করা হয়।
এটা দক্ষিণাপনের সামনের ফুচকার দোকান। অর্চিষ্মানের মুখে এই দোকানের ফুচকার কথা আর আলুরদমের কথা অনেক শুনেছি। চতুর্থীর রাতে এক জরুরি কাজ সেরে অন্য জরুরি কাজে যাওয়ার ফাঁকে আমার জীবনে প্রথমবার এই লিজেন্ডারি দোকানের ফুচকা এবং আলুরদম চাখার কাজটাও গোঁজা হয়েছিল।
দোকানের সামনে তিন সারি খদ্দের অলরেডি দাঁড়িয়ে ছিলেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফুচকার মেনুসম্বলিত বোর্ড পড়তে লাগলাম। দইফুচকার মহামারী লেগেছে কলকাতায়, এ দোকানে যে পাওয়া যাবে আশ্চর্য কী। তাছাড়াও আরও কত ভ্যারাইটির যে ফুচকা রাখেন ওঁরা, দু’পাঁচটা মুখস্থ করেছিলাম, ভুলে গেছি। আমাদের তাড়া ছিল, কিন্তু তাড়াহুড়ো করে কোনও মহৎ অভিজ্ঞতা হয় না জানা ছিল। তাছাড়া যাঁরা আগে এসেছেন আগে ফুচকা খাবেন, সেই দুয়ে দুয়ে চার নিয়েও সংশয় জাগেনি।
কিন্তু সকলেই আমার মতো অংকে কাঁচা নন। বা বাজিয়ে দেখার সাহস রাখেন। পঁয়ত্রিশটাকা বিল উঠলে দু’হাজারের নোট এগিয়ে চুপ করে তাকিয়ে থাকেন। সে রকম একজন খদ্দের হইহই করে এসে বললেন, ‘এই আমার গাড়ি এক্ষুনি এল বলে, আমাকে ঝপ করে এক প্লেট ফূচকা দিয়ে দাও দেখি।’ ইমপ্রেসড হলাম। ‘আমার পঁয়তাল্লিশ এসে যাবে, ঝপ করে ফুচকাটা দিয়ে দিন দেখি,’ বললে কী প্রতিক্রিয়া হবে ভেবে সূচের মতো একটু বিঁধলও।
বিক্রেতারা জানালেন, হবে না। যা-ই আসুক না কেন, গাড়ি কিংবা হেলিকপ্টার, লাইন ভেঙে ফুচকা খাওয়া তাঁরা অ্যালাউ করবেন না। এবং তাঁদের ‘না’-এর উচ্চারণ শুনে বোঝা গেল সেটা দরাদরিতে ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘হতেও পারে’, ‘কী যে করেন’, ‘পিকটাইমে এ সব করা যায় নাকি’, ‘দাঁড়ান দেখছি, যত্তসব’- ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হওয়ার চান্স নেই। এবার আগের থেকেও বেশি ইমপ্রেসড হলাম। ফুচকাওয়ালার চারিত্রিক গুণাবলীর যে পয়েন্টটা ছিল তাতে বড় একখানা রাইট বসল। অবশেষে আমাদের পালা এল। আমার পাশেই দাঁড়ালেন সেই স্মার্ট খদ্দের, তাঁর গাড়ি তখনও আসেনি। ফুচকা দেওয়া শুরু হল। মিথ্যে বলব না, স্বস্তি করে খাওয়ার পক্ষে একটু বেশিই জাম্বো। কিন্তু মুখে পড়া মাত্র ফুচকার অতি সূক্ষ্ম খোলা যেই না কুড়মুড়িয়ে চূর্ণ হল, যেই না ভাবছি, লিজেন্ড হওয়ার কারণটা অবশেষে বোঝা গেল…কিন্তু শেষপর্যন্ত বোঝা গেলও না।
কারণ আলুমাখা আর তেঁতুলজল। দু’প্যারা আগেই আমি এগুলোর পছন্দেঅপছন্দে আপেক্ষিকতার থিওরি দিয়েছি, কাজেই আমি আমার মতই জানাতে পারি। দক্ষিণাপনের সামনের ফুচকায়, আমার মতে, ঝাল, নুন, টক, মশলাপাতি সবই মাঝারিমানের। বেশিরভাগ লোকের কী ভালো লাগবে, বা কতটুকুতে অসুবিধে হবে না সেইটা গেস করে দেওয়া। হয়তো বেশিরভাগ লোকের ভালো লাগে। কিন্তু বেশিরভাগ লোকের কথা মাথায় রেখে বানানো যে কোনও সৃষ্টিরই যা রিস্ক, হাতে গোনা কয়েকজনকে গভীরভাবে ছুঁতে না পারা,সেটা থেকেই যায়।
দক্ষিণাপনের ফুচকা সম্পর্কে আমার কোনও নালিশ নেই, কিন্তু ‘ভালোই তো,’ ছাড়া আর কোনও প্রশংসাও নেই। ও ফুচকা সবদিক থেকে এতই মোলায়েম এবং বিনীত যে কেউ অফেন্ডেড হবেন না। ও ফুচকা কাউকে নাকের জলে চোখের জলে করতে পারবে না। যেটা ষষ্ঠীর সন্ধেবেলায় পঞ্চাননতলার ফুচকা পেরেছিল। মুখে পোরামাত্র,রামঝাল আলু আর রামটক তেঁতুলজল পঞ্চেন্দ্রিয়র ঝুঁটি ধরে মারল টান, কুলকুণ্ডলিনীর জট দিল খুলে। শরীরে এবং মগজে দুপুরের অতিভোজনজনিত শ্লথতা এক লাথি খেয়ে পিঠটান দিল। ক’প্লেট খেয়েছিলাম নেই খালি মনে আছে মুখভর্তি ফুচকা নিয়ে, চোখের কোলে টলটলে জল নিয়ে ইশারায় বলেছিলাম, চালিয়ে যান। ‘আমি কুন্তলার প্লেট থেকেই একটা নিয়ে খাব’খন’ দিয়ে শুরু করা অর্চিষ্মান দ্বিতীয় না তৃতীয় কে জানে কোন খেপ থেকে আমার আর বাবার মাঝখানে ঢুকে পড়ে নিজস্ব প্লেটের জন্য হাত বাড়িয়েছিল। খালি মা নার্ভাস মুখে কানের কাছে মুখ এনে বলছিলেন, ‘রাতে মোচার বড়া না খেলে কিন্তু…’
ফুচকা খাওয়ার পর দক্ষিণাপনের গেটের সামনের দোকান থেকে আলুরদমও এক প্লেট নেওয়া হয়েছিল। আজকাল একটা ধারণা জনমানসে বদ্ধমূল হয়েছে যে স্ট্রিট ফুডের গুড থেকে গ্রেট হয়ে ওঠার পথে একটাই সিঁড়ি। একটি চ্যাটচেটে, থকথকে মিষ্টি চাটনি। ফুচকাতে এর প্রকোপ অনেকদিন শুরু হয়েছে। সি আর পার্কে একজনকে ঝালমুড়িতেও সেই চাটনি মেখে খেতে দেখেছি। পুরো মুড়িটা বানানো হয়ে যাওয়ার পর ওপর থেকে মিষ্টি চাটনি ঢেলে দেওয়ার পর মোটা বেঁটে তর্জনী ঠোঙার ভেতর ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে পুরো মুড়িতে সে চাটনি মাখানোর সংগ্রাম, আমার আজীবনের দুঃস্বপ্নের স্টকে এনট্রি নিয়েছে। আমি চমৎকৃত এই দেখে যে লোকে আজকাল আলুরদমও ওই চাটনি ছড়িয়ে খাচ্ছেন। আমাদের আলুরদমের প্লেটেও যত্ন কর চাটনি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি চাটনির ছোঁয়া যতখানি সম্ভব বাঁচিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। চাটনির নিচে লাল লাল মশলা মাখানো গোল গোল আলুগুলোকে দেখতে লাগছিল চমৎকার, তারা অতি চমৎকার সেদ্ধ হয়েছিল,কিন্তু ফুচকার যা রিভিউ এখানেরও তাই, সেটা হচ্ছে নুনঝাল সবই সবার কেমন ভালো লাগবে সেই আন্দাজ করে দেওয়া হয়েছে, এবং সেফ খেলতে গিয়ে খেলাটা মাঠে মারা গেছে।)
*****
এইবার আপনারা বলতে পারেন, ও সব সেফটেফ কিছু নয়, সোজা কথা হচ্ছে তুমি মফঃস্বলের তাই হিংসে করে শহুরে ফুচকা আলুরদমকে কম নম্বর দিচ্ছ। পাড়াগেঁয়ে পক্ষপাত ছাড়া এ আর কিচ্ছু না। তাছাড়া নস্ট্যালজিয়া বলেও তো একটা ব্যাপার আছে নাকি? পঞ্চাননতলা তোমার অবচেতন ছেয়ে রয়েছে, যতই ভালো ফুচকা দেওয়া হোক না কেন ও জিনিস ছাড়া মন উঠবে না। ওর সঙ্গে ফুচকার ভালোমন্দের কোনও সম্পর্ক নেই, আছে শুধু সাইকোলজির।
হতেও পারে। সাইকোলজি অতি প্যাঁচালো ব্যাপার। আমার পক্ষে কিছুতেই বুকে হাত দিয়ে বলা সম্ভব নয়, পক্ষপাতিত্ব বা স্মৃতিমেদুরতা আমার জাজমেন্ট ঘোলাটে করেনি।
কিন্তু আবার নাও করতে পারে। কেন বলছি, কারণ ওই ফুচকা আর আলুর দম খাওয়ার পর অর্চিষ্মান ওর ছোটবেলার আরও একটা জিনিস আমাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা হচ্ছে মশলা সোডা। এটা দক্ষিণাপনের ভেতরে ঢুকে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে। দোতলায় পৌঁছে আমরা উঠে এদিকওদিক তাকাচ্ছি কারণ অর্চিষ্মানের স্মৃতিতে যেখানে সোডার স্টলটা থাকার কথা ছিল সেখানে নেই। তখনই পাশের ‘টেস্টি’ নামের দোকান থেকে এক ভদ্রলোক হাঁক পাড়লেন, কী খুঁজছি জানতে চেয়ে। মশলা সোডা শুনেই বললেন, খাবেন তো? ভেতরে আসুন। দোকানটা অর্চিষ্মানের স্মৃতির থেকে সামান্য অন্যদিকে চলে গেছে। দু’গ্লাস সোডা নিলাম।
মশলা সোডা আমি অনেক খেয়েছি। অধুনা সোডাবটলওয়াটারের মসালা থামস আপ থেকে শুরু করে যৌবনের হোস্টেলের বান্টা। জানুয়ারি মাসের রাত তিনটের সময় গঙ্গা ধাবায় গিটার-দাদার পাশে দাঁড়িয়ে চুমুক দেওয়া সেই বান্টাকে, নস্ট্যালজিয়ার দৌড়ে পৃথিবীর কোনও বান্টা, এমনকি পঞ্চাননতলারও,হারাতে পারবে না। কিন্তু স্বাদের দৌড়ে দক্ষিণাপনের টেস্টি -র মশলা সোডা সে বান্টার থেকে কোনও অংশে কম যায় না, এ আমি একশোবার জোর গলায় স্বীকার করছি।
তোমার দক্ষিণাপণের ফুচকা আর আলুরদমের রিভিউ পড়ে যারপরনাই খুশি হলাম। বহুজনের থেকে বহু প্রশংসা শুনে ওই ফুচকা খেতে গিয়ে চূড়ান্ত হতাশ। মধ্যমান কথাটা একেবারে যথার্থ প্রয়োগ। আর ওই চাটনিতে আমারও তুমুল অ্যাল্যার্জি। কখনো সময় পেলে গড়িয়াহাটের ফুটব্রিজের তলার ফুচকা বা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনের ফুচকা খেয়ে দেখো। ও চত্বরের মধ্যে আমার মনে হয় এরা বেশ ভালো। আর চূড়মুড়ের জন্য বালিগঞ্জ পেট্রল পাম্পের বিকল্প আমি এখনো খুঁজে পাইনি। টেস্টির মশলা সোডা নিয়েও আমি তোমার সাথে সমমত।
ReplyDeleteপরের বার গিয়ে তোমার বলা জায়গাগুলো ট্রাই করব, চুপকথা। থ্যাংক ইউ।
Deletedakkhinapon ami khai ni,kintu tumi ekdom correct besi famous jayga gulo average hoye geche,chenashona fuchkai best,custom made.amar pachando ghano kalo tetul jol alada kore chotke chotke banano,setay dubiye dubiye debe
ReplyDeleteprosenjit
আমারও।
Deletebaah eto amar priyo bishoy niye alochona....Dakshinapon er Tasty r Masala Soda jake aamra college jibone Jaljeera boltam seta bhari bhalo banai. Aar Dakshinaponer phuchka jotodin super celebrity status paini totodin apnar bhashai machatkar chhilo...aamiyo maas duek aage hothat Kolkata giye kheye dekhlam sei taste aar nei...
ReplyDeleteAmar oboshyo favourite chhilo Bethune college er ultodike ekjon er phuchka....besh naami chhilo. Phuchka Bikretar byabohar o khub bhalo chhilo.
AAr amar paarar ek phuchka bikreta aachhen jar kaachhe chhotobela theke aami kheye manush hoyechhi, aamar husband o kheye boro hoyechhe aar ekhon aamar chhele Kolkata gele khai....kichhutei se miss korbe na. Ekhon sei bikreta briddho hoyechhen onar chhele banai aar aamra gele uni chheler pashe ese chheleke guide koren....
আপনি একই ভদ্রলোকের কথা বলছেন কি না জানি না সুস্মিতা তবে বেথুন কলেজের গেটের বাইরের ফুচকাবিক্রেতার কাছে আমি তিন বছর টানা ফুচকা খেয়েছি। কলেজ গেছি কিন্তু টিফিনে ফুচকা খাইনি এমন হয়নি। রোল, মোগলাই পরোটা, চা, সন্দেশ সব রকম খাবারের জন্য ওই অঞ্চলটা বিখ্যাত ছিল কিন্তু আমি যথারীতি ফুচকার প্রতি একনিষ্ঠ ছিলাম।
Deleteপরের প্রজন্মের হাতে ফুচকাপ্রীতির ব্যাটন তুলে দেওয়ার জন্য হাই ফাইভ আর 'ফুচকা খেয়ে মানুষ হয়েছি' এই বাক্যটা লেখার জন্য ভালোবাসা রইল।
Bethune College er gate er baire na ultopaare Hedua r dhare----ekhon ektu golmele lagchhe. Bhodrolok majhboyesi chhilen aar khub sundar kotha bolten...phuchka khaoanor somoye kobita bolten boddhoi. darun banaten.
Deleteওরে বাবা, না না, আমি যাঁর কথা বলছি তিনি কবিতা বলতেন না। তবে তাঁর ফুচকাও দারুণ ছিল।
DeleteTomar post ta pore icche korche ekkhuni giye phuchka kheye ashi :-)
ReplyDeleteEkhane o oi mishit chaatni r upodrob khub ... muri r opore diye bhel bole bikri kore, Ki bicchiri sheyi chimshano muri ki bolbo
হাহা, চিমসানো শব্দটা ভালো লাগল, শর্মিলা। অনেকে ভেল আর ঝালমুড়ি ইন্টারচেঞ্জবলি ব্যবহার করেন, দুটো খাবারের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক থাকা সত্ত্বেও।
DeleteAmi ebar Powai er Kalipujo dekhte gechhilam, pujor porer din jodio. Du tinte stall er modhye jothariti fuchkha r stall tai nojor e elo shobar agey r jotharirti ami jigyesh kore fellam, 'churmur milega?' Dokani jholano menu r dikey ishara korlo r amar mon anonde digbaji kheye uthlo ... aha kotodin por churmur khawar sujog hobe .. jini makhchhilen tini khub jotno kore makhlen, taste koriye jigyesh o korlen noon jhal tok shob thik thak hoyechhe kina .. amio opinion diye dilam ... shurutei ki ekta bora typer er jinish mekehchhilen r sathe onekdulo chhola o diyechilen, tarpor eke eke alu moshla fuchka .. ami koutohol r disappointment niye dekhte thaklam j 80 takay churmur naam diye ki bostu banachhen ini ... khelam, khete kharap na kintu Kolkata r churmur noy (primarily oi chholagulo r jonye) .. nostalgia feel korbo bhebechhilam, shudhu ektu hawa diyei chole gaelo .. tobey, nei mamar cheye kana mama bhalo ei bhebei anondo pawar chesta korlam ....Ami ebar Powai er Kalipujo dekhte gechhilam, pujor porer din jodio. Du tinte stall er modhye jothariti fuchkha r stall tai nojor e elo shobar agey r jotharirti ami jigyesh kore fellam, 'churmur milega?' Dokani jholano menu r dikey ishara korlo r amar mon anonde digbaji kheye uthlo ... aha kotodin por churmur khawar sujog hobe .. jini makhchhilen tini khub jotno kore makhlen, taste koriye jigyesh o korlen noon jhal tok shob thik thak hoyechhe kina .. amio opinion diye dilam ... shurutei ki ekta bora typer er jinish mekehchhilo r sathe onekdulo chhola o diyechilo, tarpor alu moshla fuchka diyechilo .. ami koutohol niye dekhte thaklam j 80 takay churmur naam diye ki bostu banachhen ini ... khelam, khete kharap na kintu Kolkata r churmur noy (primarily oi chholagulo r jonye) .. nostalgia feel korbo bhebechhilam, shudhu ektu hawa diyei chole gaelo .. tobey, nei mamar cheye kana mama bhalo ei bhebei anondo pawar chesta korlamAmi ebar Powai er Kalipujo dekhte gechhilam, pujor porer din jodio. Du tinte stall er modhye jothariti fuchkha r stall tai nojor e elo shobar agey r jotharirti ami jigyesh kore fellam, 'churmur milega?' Dokani jholano menu r dikey ishara korlo r amar mon anonde digbaji kheye uthlo ... aha kotodin por churmur khawar sujog hobe .. jini makhchhilen tini khub jotno kore makhlen, taste koriye jigyesh o korlen noon jhal tok shob thik thak hoyechhe kina .. amio opinion diye dilam ... shurutei ki ekta bora typer er jinish mekehchhilo r sathe onekdulo chhola o diyechilo, tarpor alu moshla fuchka diyechilo .. ami koutohol niye dekhte thaklam j 80 takay churmur naam diye ki bostu banachhen ini ... khelam, khete kharap na kintu Kolkata r churmur noy (primarily oi chholagulo r jonye) .. nostalgia feel korbo bhebechhilam, shudhu ektu hawa diyei chole gaelo .. tobey, nei mamar cheye kana mama bhalo ei bhebei anondo pawar chesta korlam
ReplyDeleteDukkhito, konobhabe comment ta prochur bar paste hoye gaechhe ... khoma chailam
ReplyDeleteআরে ক্ষমা চাইবেন না, অনুরাধা। খুবই অভিনব ঘটনাটা ঘটেছে কিন্তু। যাই হোক, চুরমুর নিয়ে আপনার স্পোর্টিং স্পিরিটটা ভালো লাগল। সত্যিই, নাই মামার থেকে কানা মামা যে ভালো সেটা অনেকসময়েই আমরা বিস্মৃত হই।
DeleteO baba ki favourite topic.. fuchka wala pochondo hobar baparta kintu ekdom thik..Dumdum e ekjon er kache fuchka khetam tar kache 5 jon 5 rokom jhal tok chaile serokom e dito porpor sobaike ..accha onekdin beranor ba kakimar golpo shona hoyna.. kimba rannar recipe.. dabi noy.. mone porchilo tai bollam...
ReplyDeleteবেড়াতে যাওয়ার গল্পের কথা মনে করিয়ে আর দুঃখ দিস না, ঊর্মি। বেড়াতে যাইনি বোধহয় ছ'মাস হয়ে গেল। রান্নার রেসিপি লেখার অসুবিধে হচ্ছে আমরা বাড়িতে যা যা খাই তার রেসিপি দিলে সবাই হাসবে। আলুর দশাবতার আর এখন সঙ্গে কপি জুটেছে। মায়ের গল্প অবশ্য লেখা যায় কারণ মায়ের গল্পের অন্ত নেই, দাঁড়া লিখব একটা বেছেটেছে।
DeleteAha, lekhata otyonto swadu hoyechhe Kuntala. :)
ReplyDeleteMuchmuche fuchkar pore khanik alu-kabli r sobseshe ek thonga jhalmuri khabar pore jerokom ekta sworgiyo onubhuti hoy, lekhata pore amar onekta serokomi holo.
Kurnish!!
আপনার মেনুটা পড়ছিলাম পুলে বসে সন্ধেবেলায়, বিকেলে তালগোলে চা-ও খাওয়া হয়নি, খিদেটা যে পরিমাণ গনগনিয়ে উঠল কী আর বলব। কাল "একেবারে রুটি তরকারি খেয়ে নেওয়ার" সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে হয়েছিল কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে ফুচকা,আলুকাবলি আর ঝালমুড়ি একসঙ্গে খাব। খাবই।
Delete