তোত্তো-চান





বই আমি পড়ি বেশি বটে, কিন্তু বই বাছে ভালো অর্চিষ্মান। দোকানে, মেলায় অচেনা বইয়ের ঢিপি ঘাঁটতে ঘাঁটতে টপ করে একখানা ইন্টারেস্টিং বই তুলে আনে। আমি অন দ্য স্পট বাছাবাছিতে নেই। ধৈর্য নেই। ভরসাও না। যদি খারাপ বেরোয়? আমি একশোখানা রিভিউ পড়ে, দেখে, শুনে বই কেনা টাইপ। অর্চিষ্মান ঘুরেফিরে নেড়েচেড়ে কিনে ফেলা টাইপ। ওই রকম আলগোছেও কী করে অত ভালো বই খুঁজে পায়, যে বইগুলোর সামনে দিয়ে আমি দু’মিনিট আগে হেঁটে এসেছি, সেটা একটা রহস্য। 

আমার থেকে চশমার পাওয়ার অতখানি কম বলে বোধহয়। অবশ্য খানিকটা চরিত্রেরও ব্যাপার আছে। যে কোনও দোকানে, বইয়ের তো বটেই, ঢুকলেই আমার প্যালপিটেশন হয়। কিছু না কিনে বেরোব কীভাবে ভেবে ঘাম ছোটে। যত দ্রুত চোখ বুলিয়ে বেরোনো যায়। কোনও কোনও কর্তৃপক্ষ তাকান না। তাতেও ভয় লাগে এই ভেবে যে তাঁরা নির্ঘাত ভাবছেন, জানতাম, কিনবে না। কোনও কোনও প্রো-অ্যাকটিভ বিক্রেতা হাতে বই তুলে দেন। দেখুন না, এটা দারুণ হয়েছে। সেটা আরও অস্বস্তিকর। অর্চিষ্মান বলে, অত ঘাবড়ানোর কী আছে, বলবে নেব না। জোর করলে আবার বলবে। না দাদা, আজ নেব না। হয়ে গেল। ও নিজে তাই করে। বিনয়ে বিন্দুমাত্র টান পড়ে না, হেসে হেসে বলে, না দাদা, সত্যিই লাগবে না। এ রকম হয়েছে যে দুজনে বইমেলার কুখ্যাত গলি পেরোচ্ছি, আমি হেড ডাউন করে জোরে জোরে পা ফেলে, অর্চিষ্মান দুলকি চালে। অমনি ডাই করা বইয়ের পেছন থেকে একখানা হাত বেরিয়ে অর্চিষ্মানের শার্ট টেনে ধরেছে। এ রকম কিছু ঘটতে পারে জানতাম, স্পিড বাড়িয়ে দৌড়ে গলি পেরিয়ে গেছি। অনেকক্ষণ পরে সাহস জোগাড় করে উঁকি মেরে দেখি অর্চিষ্মান যথারীতি দুলকি চালে আসছে। হাতে একটা বই। তবে কি অসাধ্যসাধন হল? আরেকটু কাছে আসতে দেখি বইটা বেশ মোটা, আরও এগোতে মলাট-ভর্তি কালীঠাকুর। অনেকক্ষণ দড়ি টানাটানির পর নাকি ভদ্রলোক হাল ছেড়ে বলেছেন, কিছুই নেবেন না যখন এইটা নিন। ফ্রি সুভেনির।

মোদ্দা কথা অর্চিষ্মান দোকানে গিয়ে আমার মতো তটস্থ হয়ে থাকে না, কাজেই ধীরেসুস্থে দেখেশুনে ভালো বই বার করতে পারে। আমিও পারি, ক্বচিৎকদাচিৎ। এই যেমন পুজোর আগ দিয়ে এক নম্বর মার্কেটের কাছে চিত্তরঞ্জন ভবনে বইমেলা বসেছিল। গিয়েছিলাম। ভয়ে ভয়ে দুয়েকটা বই নেড়েচেড়ে দেখছিলাম। একটা বইয়ের নাম ‘সাংঘাতিক সাসপেন্স’। ট্যাগলাইন নয়, বইয়ের নামই ‘সাংঘাতিক সাসপেন্স’। নিচে অদ্রীশ বর্ধনের নাম। ওঁরই লেখা গল্প নাকি ওঁর সম্পাদনা করা মনে পড়ছে না। অর্চিষ্মানকে ডেকে দেখালাম। ও স্বীকার করল যে নাম দিতে হলে বইয়ের এইরকম নামই দেওয়া উচিত। কিন্তু গল্পগুলো বইয়ের নামের মতো ভালো হবে কি না সেটা সম্পর্কে শিওর হতে পারছিলাম না। তাছাড়া বইটা খুব মোটা ছিল আর দামও আমরা যত টাকার বই কিনব স্থির করে মেলায় গিয়েছিলাম তার থেকে বেশি ছিল। তাই আর কেনা হল না। আমি দোকানি ভদ্রলোকের দিকে পেছন ফিরে অল্প অল্প হাত বোলাচ্ছি বইটার মলাটে এমন সময় অর্চিষ্মান একটা পাতলা বই তাকের কোণা থেকে নামিয়ে এনে বলল, এটা নিলে কেমন হয়?

বইটার নাম হল তোত্তো-চান। আমি বইটার নাম আগে কখনও শুনিনি। একটা জাপানি বইয়ের বাংলা অনুবাদ। অনুবাদক মৌসুমী ভৌমিক। আমি ভেবেছিলাম ইনি নিশ্চয় অন্য কোনও মৌসুমী ভৌমিক হবেন কিন্তু না, ইনিই তিনি।

আমি চিনতাম না, কিন্তু তোত্তো-চান বিশ্বসাহিত্যের চেনা বই। আসল বইয়ের নাম আরেকটু বড়, গোটা নামটার অনুবাদ হচ্ছে ‘তোত্তো চানঃ জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট মেয়েটা’। লিখেছিলেন তেৎসুকো কুরোয়ানাগি, জাপানের জনপ্রিয় দূরদর্শন ব্যক্তিত্ব এবং সমাজসেবী। উনিশশো ঊনআশি থেকে আশি পর্যন্ত তোত্তো-চান জাপানের একটি সাময়িকীতে ধারাবাহিক হিসেবে বেরোত। একাশি সালে বই ছেপে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে লাখ লাখ কপি বিক্রি হতে থাকে। উনিশশো চুরাশি সালে আমেরিকায় প্রকাশিত হয় ডরোথি ব্রিটনের তোত্তো-চান-এর ইংরিজি অনুবাদ। তারপর পৃথিবীর অসংখ্য ভাষায়, ভারতবর্ষেও একাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে তোত্তো-চান। অনেক দেশে তোত্তো-চান স্কুলের পাঠ্যপুস্তক। 

জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকার সঙ্গে শাস্তি পাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। তোত্তো-চান একটি ছোট্ট মেয়ে। দুষ্টু মেয়ে। স্কুলে সে খালি ঝামেলা করে, ক্লাসে মন দেয় না, বিঘ্ন ঘটায়। তাকে কেবলই জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে পাঠান শিক্ষকরা। অবশেষে এমন এক দিন আসে যখন স্কুল থেকে তোত্তো-চানকে বিদায় দেওয়া হয়। তখন তোত্তো-চানের মা তাকে নিয়ে যান একটা নতুন স্কুলে, স্কুলের নাম তোমোই গাকুয়েন। প্রথম যে জিনিসটা তোত্তো-চানকে চমকে দেয় সেটা হচ্ছে স্কুলবাড়িটা। ক্লাসগুলো বসে পুরোনো রেলগাড়ির কামরার মধ্যে। হেডমাস্টারমশাইয়ের ঘরে ঢুকে আরও বিস্ময়। মাস্টারমশাই ওকে বলেন ওর যা বলার আছে বলতে। যা ইচ্ছে বলতে। অবাক হয়ে যায় তোত্তো-চান। আগের স্কুলে ওকে কেবলই মুখ বন্ধ করতে বলা হত, আর এখানে কি না কথা বলতে বলা হচ্ছে? যত খুশি? সে স্কুলের আরও অনেক অবাক-করা নিয়ম ছিল। স্কুলে কখন কোন বিষয় পড়া হবে সে সব ঠিক করত ছাত্ররাই। টিফিন খাবার সময়ও ভীষণ মজা। হেডমাস্টারমশাই আর তাঁর স্ত্রী তদারকি করতেন। সকালবেলা পড়া হয়ে গেলে দুপুরবেলা নদীর তীর ধরে হাঁটতে যাওয়া হত। চাষবাস শেখা হত। তোমোই গাকুয়েনে তোত্তো-চানের এমন অনেক সহপাঠী ছিল যারা অন্য স্কুলে হয়তো ওর সহপাঠী হতেই পারত না। একজন বন্ধুর পায়ে ছিল পোলিও। তাকে তোত্তো-চান কেমন করে ঠেলে গাছে তুলেছিল সে বর্ণনা পড়লে আপনার শ্বাস রুদ্ধ হবে, চোখে জল আসবে। আরেকজন সহপাঠী ছিল তোত্তো-চানের থেকে বয়সে অনেক বড় কিন্তু হাইটে সমান সমান। সবথেকে বড় কথা তোত্তো-চানের তো তখনও আরও অনেক লম্বা হওয়া বাকি ছিল, কিন্তু ওর বন্ধু আর কখনও লম্বা হত না। 

তোত্তো-চান বইয়ের অসাধারণ ছবিগুলোর শিল্পী চিহিরো ইবাসাকি। ইবাসাকি কিন্তু বইটার জন্য ছবিগুলো আঁকেননি। তোত্তো-চান ছেপে বেরিয়েছে উনিশশো একাশিতে আর ইবাসাকি দেহ রেখেছেন উনিশশো চুয়াত্তরে। তেৎসুকো কুরোয়ানাগি চিহিরো ইবাসাকির গুণমুগ্ধ ছিলেন। পেনসিলের দু’চারটি টানে ছোট ছেলেমেয়েদের ভাবভঙ্গি, দৌড়নো, বসে থাকা, মনখারাপ কেমন ফুটিয়ে তুলতে ইবাসাকি তা দেখে অবাক হতেন। তাই তিনি চিহিরো ইবাসাকির ছবির মিউজিয়ামে গেলেন এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের সম্মতি নিয়ে কয়েকটা ছবি বেছে নিয়ে এলেন তোত্তো-চান বইয়ের জন্য। একলা মেয়ে, গাছের তলায় দৌড়ে আসা ছেলেমেয়ের দল এমন সব ছবি ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে অলৌকিক ভাবে খাপ খেয়ে গেল। 

রেলগাড়ির কামরার ভেতর সেই তোমোই গাকুয়েন স্কুলে কাটানো তোত্তো-চানের কয়েকটা বছরের গল্প নিয়ে এই বই। আসলে কিন্তু এটা একেবারেই গল্প নয়। তেৎসুকো কুরোয়ানাগির কথায়, “এই বইয়ের একটি ঘটনাও আমি আমার খেয়ালখুশি মতন বানিয়ে লিখিনি।" তোমোই গাকুয়েন বলে সত্যি একটা স্কুল ছিল। সত্যিই সেই স্কুলটা বসত রেলগাড়ির পুরোনো কামরার ভেতর। পুরোনো স্কুল থেকে দুষ্টুমি করার জন্য সত্যি সত্যি বার করে দেওয়ার পর তেৎসুকো কুরোয়ানাগির মা সত্যি সত্যি সে স্কুলে তাঁকে ভরতি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন, আর তোমোই গাকুয়েনের মতো স্কুল যার মাথা থেকে বেরিয়েছিল, হেডমাস্টারমশাই, তিনিও ছিলেন পৃথিবীর মাটিতে হেঁটেচলে বেড়ানো রক্তমাংসের একজন সত্যি মানুষ। সোসেকু কোবায়াশী। কোবায়াশী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ। দেশবিদেশ ঘুরে তিনি যত ভালো ভালো আইডিয়া জোগাড় করেছিলেন সেগুলো সব তাঁর নিজের স্কুলে প্রবর্তন করেছিলেন।

বইয়ের বেশিরভাগটাই জুড়ে তোমো গাকুয়েন স্কুলের কথা থাকলেও তোত্তো-চানের বাড়ির গল্প আছে, মাবাবার সঙ্গে মেলায় গিয়ে মুরগির ছানা কেনার গল্প আছে, বাড়িতে খেলার সঙ্গী কুকুর রকির গল্প আছে। আর আছে ঘনিয়ে আসা যুদ্ধের কথা। বড়দের কাছে সে যুদ্ধের খবর আসে রেডিও, কাগজ বেয়ে, আর ছোট্ট তোত্তো-চান দেখে স্কুলে যাতায়াতের পথের ভেন্ডিং মেশিনটা, যেটায় টাকা গুঁজে দিলেই চকোলেট পড়ত টপ করে, সেটা একসময় খালি হতে হতে পুরো ফাঁকা হয়ে গেল। চকোলেট ভরতে আর এল না কেউ।

বোমা পড়ে তোমোই গাকুয়েন ধ্বংস হয়ে যায় উনিশশো পঁয়তাল্লিশে। কোবায়াশী তোমোই গাকুয়েন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উনিশশো সাঁইত্রিশে। জিন্দেগি বড়ি হোনি চাহিয়ে, লম্বি নেহি। ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে কোবায়াশী নাকি বলেছিলেন, পরের স্কুলটা কেমন হবে? তিনি মারা গিয়েছিলেন উনিশশো তেষট্টিতে। কিন্তু আরেকটা তোমোই গাকুয়েন কোনওদিন তৈরি হয়নি। 

ছোটবেলার স্কুল একটা অন্যরকম ব্যাপার। সে যতই সাধারণ হোক। আমাদের জীবনের একটি অসাধারণ অংশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বলেই বোধহয়। কিন্তু সে স্কুল যদি তোমোই গাকুয়েনের মতো অসাধারণ হয়, আর তেৎসুকো কুরোয়ানাগির মতো কেউ অসাধারণ ভাষায় সেই স্কুলের গল্প লেখেন?

আমি জাপানি ভাষা জানি না। মৌসুমী ভৌমিকও নাকি জানেন না। তিনিও তোত্তো-চান অনুবাদ করেছেন ডরোথি ব্রিটনের ইংরিজি অনুবাদ থেকেই। না করে থাকতে পারেননি। মৌসুমী ভৌমিক আরও যদি অনুবাদ করেন, পড়তে রাজি আছি। স্পোর্টসের দিনের আনন্দ, স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন খাওয়ার সুখ, স্কুলের মেঝেতেই কাল্পনিক ক্যাম্পে তাঁবু খাটিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার উত্তেজনা - যদি ভুলে গিয়ে থাকেন, তোত্তো-চান একবার পড়ে নিন। সব মনে পড়ে যাবে। 


Comments

  1. Bhishon ichhe korchhe ... mon bhalo kora golpo hobey seta shosthendriyo bolchhe ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার তো খুব ভালো লেগেছে, অনুরাধা।

      Delete
  2. e boita boner ek bonke boimela theke upohar diyechhilo. amader du boner e boro priyo boi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বইটা সত্যিই খুব ভালো।

      Delete
  3. Ei boita porechhi. Khub priyo ekti boi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোত্তো-চান আমারও ভালোলাগা বইয়ের তালিকায় জায়গা নিয়েছে, সায়ন।

      Delete
  4. Totto Chan amar chhotobelar onyotomo priyo boi! Ki bheeshon bhalo.

    Prothombar porar por gota bochhor dhore Japan jawar jonyo ki baynatai na korechhilam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, জাপান মনে হয় যাওয়ার মতোই জায়গা হবে, বিম্ববতী।

      Delete
  5. Sanghatik Suspense kintu khub bhalo boi :) Adrish Bardhan er arekta series achhe Asojjho Suspense.. setao bhalo..

    ReplyDelete
    Replies
    1. জানতাম। মিস হয়ে গেল। ওই অসহ্য সাসপেন্সটা ছিল না বোধহয় দোকানে। ও নাম দেখলে মনে থাকত।

      Delete
  6. বৈজয়ন্তীNovember 1, 2018 at 3:22 PM

    বইটা পড়েছিলাম, কিন্তু নামটা ভুলে মেরে দিয়েছিলাম। অবান্তরের কল্যাণে মনে পড়ে গেলো।
    জাপান বেশ জায়গা মনে হয়। "মাই নেবার টোটোরো" দেখেছেন? এরম একটা স্কুল আর ওরম একটা বাগান এবং স্পিরিট সমেত বাড়ি চাইই চাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. না বৈজয়ন্তী, ওই সিনেমাটা দেখিনি। দেখব সুযোগ পেলে।

      Delete
  7. বইমেলার কুখ্যাত গলি :) :) oi goli ta/gulo amio eriye choli idaning.
    adrish bardhan er boi er nam ta bodhoy "osojhyo suspense "..molat e ekjoner gola tipe dhore ache ekta haat. ar beriyechilo ptra bharati theke..amra tokhon class 8 e pori, 2003 saal er boimela te, mone ache

    ReplyDelete
    Replies
    1. অসহ্য সাসপেন্স আরেকটা বই বোধহয়, ঋতম। সাংঘাতিক সাসপেন্স আমি নিজে চোখে দেখলাম তো, ভালো করেই দেখেছি, কারণ ওইরকম নাম প্রথমটা চট করে বিশ্বাস হয়নি।

      Delete
  8. ei boita aamio porechi.. aami oboshyo ingrijite aar koyek bochor aage.. daaaruuun boi

    jaak aapni bidesh giye ektu lekhar somoy pacchen dekhchi.. :)

    bhalo thakben

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনিও ভালো থাকবেন, ইন্দ্রাণী।

      Delete
  9. Khub bhalo laglo boitar byapare pore. English version ta ekhane pele chheleke kine debo.

    ReplyDelete
  10. Replies
    1. এটা পড়ার মতোই বই, তিন্নি।

      Delete
  11. Baah khub bhalo boi to.... kinbo bhabchhi

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোত্তো-চানের ইংরিজি অনুবাদ পাওয়া শক্ত হবে বলে মনে হয় না, সুস্মিতা। যদি পান, পড়ে জানাবেন প্লিজ কেমন লাগল।

      Delete
  12. totto chan ta portei hochche..japani choder animation cinema dekhechi,ebong boitar molat tar sathe aschorjo mil..boita jomati hobe..porboi..

    মাই নেবার টোটোরো" ebong same director er e howels moving castle,princess mononoke,oshadharn..jiboner dekha sera cinema gulo hoe thakbe tomar,gurantee.

    prosenjit

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিনেমাটা দেখব সুযোগ হলে, রেকমেন্ড করার জন্য থ্যাংক ইউ।

      Delete
  13. পড়িনি ,পড়তেই হচ্ছে, কোন পাবলিশার্স? -প্রদীপ্ত

    ReplyDelete
    Replies
    1. ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট।

      Delete
  14. একজন শিক্ষিকা হিসেবে আমার বহু দিনের ইচ্ছে যে এই বইটির কিছু অংশ আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তক গুলিতে সংযোজন করা হোক। অসংখ্য ধন্যবাদ এই অসাধারণ বইটিকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরার জন্য। মৌসুমি ভৌমিক এর বেশ কিছু শিশু পাঠ্য অনুবাদ আছে যেগুলো পড়তে খারাপ লাগবে ণা আশা করি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. না না, খারাপ লাগার প্রশ্নই নেই। খুবই ভালো অনুবাদ। খোঁজে থাকব, পেলে নিশ্চয় পড়ব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  15. TOTTO CHAN গল্পটা বাংলায় ২টো অনুবাদ হয়েছে। India তে মৌসুমী ভৌমিক আর বাংলাদেশে অন্য একজন লেখক করেছেন। আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না যে মৌসুমী ভৌমিকের লেখা বইটা আমি তিনবার রিপিট করেছি পরপর। প্রত্যেকবারই মনে হলো কিছু মিস করে যাচ্ছি না তো? গল্পটা কি সত্যি শেষ হয়ে গেল? তেতসুগো কুরায়াগি জাপানি ভাষায় যে গল্প লিখেছিলেন তার অনুভব আমি জানিনা, মৌসুমী ভৌমিকের অনুবাদ এক কথায় অসাধারণ। এটি আমার পড়া সবথেকে সুন্দর গল্প। আর দ্বিতীয় ভালো বই হল 'জামিলা'। এটি একটি রাশিয়ান গল্প, চিঙ্গিজ আইৎমাতভ এর লেখা।।

    ReplyDelete
    Replies
    1. জামিলা বইটির নাম জানতাম না আমি, প্রবাল। হাতের কাছে পেলে নিশ্চয় পড়ে দেখব। ধন্যবাদ। মৌসুমী ভৌমিকের অনুবাদ সত্যিই অসাধারণ।

      Delete
  16. বাংলায় অনূদিত বইটি কোন প্রকাশনার যদি একটু বলেন খুব উপকৃত হই ।ধন্যবাদ ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. নিশ্চয়, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইন্ডিয়া।

      Delete

Post a Comment