আপাতত ফ্যামিলিতে
মাবাবার অফিস থাকলে সাধারণত সন্তানদের সে সব অফিসে যাওয়ার গল্পও থাকে। তারা সেখানে গিয়ে নানারকম প্রতিভার পরিচয় দেয়। কবিতা বলে, নাচে, গায়। গোটা অফিস দুদ্দাড় দৌড়ে অ্যাথলেটিক প্রতিভার স্বাক্ষর রাখে। মায়ের অফিসে গিয়ে আমি সেরকম কোনও নমুনাই দেখাতে পারিনি। কারণ দেখানোর মতো প্রতিভা আমার ছিল না। খালি সবাই যখন বিস্ময় প্রকাশ করেছিল, বাবা এইটুকু মেয়ের এত ভারি চশমা? বলেছিলাম, আমাদের ফ্যামিলিতে সকলেরই চশমা।
মায়ের মুখ রাখতেই বোধহয় সবাই ওই ‘ফ্যামিলি’টুকু শুনে হেসেছিল। মাও ওই স্মৃতিটাকেই আদর করে রেখেছেন, মাঝে মাঝে ঝেড়েঝুড়ে দেখেন।
আমি কোনও কৃতিত্ব দেখি না। কারণ শব্দটা বলতে আমার কোনও কল্পনাশক্তি খরচ করতে হয়নি। নিখাদ সত্যবচন। আমাদের ফ্যামিলিতে সত্যিই সকলের চশমা ছিল। সকলেরই পাকাচুল, সকলেরই চশমা। ঠাকুমাদাদুর কাঁচের মাঝখান দিয়ে দাগ টানা কালো ফ্রেমের চশমা। পিসির রিমলেস, কাকুর ফ্যাশনেবল। আমার বাবামা আমারই মতো, গতে বাঁধা বোরিং চশমা।
ফ্যামিলিতে আমার বাবা সম্ভবতঃ সর্বাধিক কম বয়সে চশমান্বিত হওয়ার গৌরবের অধিকারী ছিলেন ( ক্লাস এইটে)। আমি বাবাকে গোহারা হারালাম। স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই নাকের ডগায় চশমা ঝুলল। চশমা-ছাড়া-চলবেই-না রেঞ্জের পাওয়ার দিয়ে খাতা খুললাম। ডাক্তার বলেছিলেন কারও কারও জন্মগত চোখ কমজোরি থাকে, আমার সেই। এতদিন ধরা পড়েনি তাই। জন্মপূর্ববর্তী অধিকাংশ দায়িত্ব যেহেতু তিনিই বহন করেছেন, মায়ের ধারণা কাজেই আমার চোখদুখানা মাটি হওয়ার সিংহদায় তাঁরই। এখনও প্রসঙ্গ উঠলে বলেন, গর্ভাবস্থায় তাঁর ঠাণ্ডা লেগে কাশি হয়েছিল, ডাক্তারের ওষুধ খেয়েও কাশি সারছিল না এবং সেকেন্ড ওপিনিয়ন দিতে গিয়ে নতুন ডাক্তার চোখ কপালে তুলেছিলেন। এ অবস্থায় এ সব কী ওষুধ খাচ্ছেন, শিগগিরি থামান। মায়ের ধারণা, আমার চোখদুটো ওই ওষুধেরই বলি। আমি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে তাতেও মায়ের দোষ তো নেই, সব দোষ ব্যাটা প্রথম ডাক্তারের। মা তবু হাঁফ ছাড়বেন না, মাতৃত্বের পরীক্ষায় গোল্লা পাওয়া মুখ করে বসে থাকবেন।
ফ্যামিলিতে আমার বাবা সম্ভবতঃ সর্বাধিক কম বয়সে চশমান্বিত হওয়ার গৌরবের অধিকারী ছিলেন ( ক্লাস এইটে)। আমি বাবাকে গোহারা হারালাম। স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই নাকের ডগায় চশমা ঝুলল। চশমা-ছাড়া-চলবেই-না রেঞ্জের পাওয়ার দিয়ে খাতা খুললাম। ডাক্তার বলেছিলেন কারও কারও জন্মগত চোখ কমজোরি থাকে, আমার সেই। এতদিন ধরা পড়েনি তাই। জন্মপূর্ববর্তী অধিকাংশ দায়িত্ব যেহেতু তিনিই বহন করেছেন, মায়ের ধারণা কাজেই আমার চোখদুখানা মাটি হওয়ার সিংহদায় তাঁরই। এখনও প্রসঙ্গ উঠলে বলেন, গর্ভাবস্থায় তাঁর ঠাণ্ডা লেগে কাশি হয়েছিল, ডাক্তারের ওষুধ খেয়েও কাশি সারছিল না এবং সেকেন্ড ওপিনিয়ন দিতে গিয়ে নতুন ডাক্তার চোখ কপালে তুলেছিলেন। এ অবস্থায় এ সব কী ওষুধ খাচ্ছেন, শিগগিরি থামান। মায়ের ধারণা, আমার চোখদুটো ওই ওষুধেরই বলি। আমি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে তাতেও মায়ের দোষ তো নেই, সব দোষ ব্যাটা প্রথম ডাক্তারের। মা তবু হাঁফ ছাড়বেন না, মাতৃত্বের পরীক্ষায় গোল্লা পাওয়া মুখ করে বসে থাকবেন।
আমি অবশ্য চশমা পরা নিয়ে ক্ষুণ্ণ নই। বরং সকালবেলা মাঝে মাঝে চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিয়ে আয়নার দিকে চোখ পড়ে গিয়ে বিনা-চশমায় ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াত আবিষ্কার করে আঁতকে উঠি। প্রথম যখন চশমা হল আমার বয়সী অনেক বাচ্চাকেই চশমার ফ্রেমে দড়ি বেঁধে দেওয়া হত। প্রতিবেশীরা ভয় দেখাত, এতটুকু বাচ্চার চশমা, হারিয়ে যাবে, ভেঙে যাবে। ভেঙে কাঁচ চোখে ঢুকে যাবে। শেষের সম্ভাবনাটা কেউ মুখে বলত না, আলগোছে হাওয়ায় ভাসিয়ে রাখত, যাতে আতংকটা বেশি এফেক্টিভ হয়। আমার জন্য সে সব সতর্কতা অবলম্বনের দরকার হয়নি। কমজোরি চোখের সঙ্গে সঙ্গে চশমা সামলানোর প্রতিভাও আমি নিয়ে জন্মেছি। বহুদিন পর্যন্ত আমি কোনওরকম এক্সট্রা চশমা ছাড়া চলাচল করতাম। অর্চিষ্মান জেনে হরিফায়েড হয়েছিল। তুমি কি পাগল? রাস্তাঘাটে চশমার কিছু হলে তো মারা পড়বে। ওরই জোরাজুরিতে এখন আমার ব্যাগে একটা বাড়তি চশমা সবসময় থাকে। আমার ব্যাপারটা যুক্তিযুক্ত মনে হয় না। অস্বস্তি লাগে। এ যেন সাবধানতার নাম করে বাড়ি থেকে স্টেপনি ডানহাত নিয়ে বেরোনো।
চশমা ব্যাপারটাকে আমি আমার স্বাভাবিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যেই জেনে এসেছি। আজকাল ভিসার ফোটো তুলতে গেলে ছবিতুলিয়েরা দাবি করেন চশমা খুলে ছবি তুলতে হবে। কী না, গ্লেয়ার। আমি অনেক গচ্চা দিয়ে গ্লেয়ারফ্রি চশমা বানাই যাতে হরলিকসের শিশি না মনে হয়, তবু নাকি চলবে না। কান দেখা যেতে হবে আর চশমা চলবে না। কী আর করা। চশমা খুলেই ছবি তুলি। কিন্তু জানি ও ভিসার ছবিতে আমাকে আমি প্রমাণ করা যাবে না মোটেই। চশমার সঙ্গে সঙ্গে আমার আত্মার একটি অংশ খুলে পাশের টুলে রাখা আছে।
চশমা ছাড়া যে আমি কম শুনি, টকঝাল কম টের পাই আর বুঝিও কম তার প্রমাণ হাতেনাতে এত পেয়েছি যে অন্যরকম কেউ বোঝাতে এলে বুঝবই না। অনেক মানুষের সামনে আমি স্বাভাবিক হতে পারি না। কোনও কারণ নেই, শুধু পরে জেনেছি মানুষটির দৃষ্টিশক্তি চমৎকার। টোয়েন্টি-টোয়েন্টি দৃষ্টিওয়ালা লোকদের, যারা সাদা কালো, উচিত অনুচিত, ভালোমন্দ সব হাই রেজলিউশনে, স্পষ্ট দেখে তাদের একটু ভয়ভয়ই লাগে আমার। জীবনটাকে ঝাপসা, মোছা মোছা দেখা লোকদেরই আমি ভরসা করি বেশি।
পদস্খলন যে কখনও হয়নি তা নয়। মাঝে মাঝে চশমা ছাড়া হয়েছি। ইউনিভার্সিটিতে একবার মনে হয়েছিল যে বাজারে আমার দামটা মনের মতো উঠছে না বহিরঙ্গেরই কারণে, আর সে ভুল সংশোধন করার প্রথম ধাপ চশমাটাকে বিদায় করে কনট্যাক্ট লেন্সের আশ্রয় নেওয়া। আমার বিশ্বাস জীবনের খতরনাকতম প্রেমটা ওই চশমাহীন অবস্থাতেই ঘটেছিল। অনেক পরে বিয়ের সময়ও চুল কালো এবং চশমা বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু পাত্র যেহেতু বেছে রেখেছিলাম চশমাপরা অবস্থাতেই, নার্ভাস বোধ করিনি।
*****
সম্প্রতি বাবার ছানি অপারেশন হল। মায়ের হয়েছিল বেশ ক’বছর আগেই। বাবারও হবে হবে করছিল অনেকদিন থেকেই, বাবা গরমকালে না শীতকালে, শীতকালে না গরমকালে, পুরী থেকে ফিরে, দীঘা যাওয়ার আগে, এই সব করছিলেন। আমি সাধারণতঃ মা ছাড়া আর কারও ওপর সর্দারি ফলাতে সাহস পাই না (অর্চিষ্মান বলছে, অম্লানবদনে এত অনৃতভাষণ কর কী করে বল দেখি? অনৃতভাষণ শব্দটা ব্যবহার করে খুশি হয়েছে মনে হচ্ছে) তবু কী মনে হল বাবার সঙ্গে সাপ্তাহিক ফোনসেশন শেষ করার আগে বললাম, বাবা, ইয়ে মানে আমার হয়তো বলা উচিত নয়, কিন্তু তুমি ছানিটা...
বাবা বললেন, ডিসিশন নিয়ে ফেলেছি সোনা। এ মাসেই করে ফেলব।
আমি যখন সিগারেট শব্দটার কাছাকাছি কিছু একটা উচ্চারণ করতে শিখেছিলাম, মায়ের শুনে শুনে নাকি বাবাকে বলেছিলাম, বাবা, সিগারেটটা তুমি বরং ছেড়েই দাও। ওই মুহূর্তে বাবা দিনে চার প্যাকেট থেকে শূন্য সিগারেটে নেমে এসেছিলেন, আর ও বস্তুর ধার ঘেঁষেননি। একসময় ভাবতাম জনশ্রুতি। ইদানীং মনে হয় সত্যি হলেও হত পারে।
অপারেশনের দিন সব চুকেবুকে যাওয়ার পর ফোন করলাম, বাবা বললেন টেলিপ্যাথির একেবারে ঠাকুরদাদা হয়েছে। উনি নাকি তক্ষুনি আমাকে মেসেজ করতে যাচ্ছিলেন। আপাতত তাঁর একচোখে জলদস্যু পট্টি। ক’দিন বাদে এই চোখটা কেমন থাকে দেখে পরেরটাও করিয়ে নেবেন। ফেলে রেখে লাভ নেই। অপারেশন আগাপাশতলা সাকসেসফুল। ডাক্তারকে বাবা জিজ্ঞাসা করেছেন রাতে আই পি এল এর খেলা দেখতে পারবেন কি না, ডাক্তার নাকি সোৎসাহে সম্মতি দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, আশ্বাস দিয়েছেন ছানিমুক্ত চোখ দিয়ে বাবা আগের থেকেও ভালো দেখবেন। চশমাটশমা রিডান্ডেন্ট হয়ে যাবে। লাগলেও অল্প লাগবে। এতদিন যেমন না পরলে চলতই না, তেমন হবে না।
বুক বেঁধে মাকে ফোন করলাম। তোমার চশমা লাগে না মা? মা বললেন, কাছের জন্য তো একেবারেই লাগে না। কাপড় মেলা, তোলা, ভাঁজ করা, ফুল তোলা, বেড়াল তাড়ানো, নাড়ু বানানো, গুড়ে পাক দেওয়া সব তিনি বিনা চশমাতে করে থাকেন। কাছের জিনিস পড়তেও লাগে না। খালি দশহাত দূরে বসে টিভিস্ক্রিনে নাপতোলের অপেক্ষাকৃত ছোট অক্ষরে লেখা অক্ষরগুলো পড়ার সময় চশমা হলে ভালো হয়।
অর্থাৎ জন্মের সময় যে অব্যবহিত যে ফ্যামিলিটা নিয়ে জন্মেছিলাম, তার মধ্যে আপাতত একমাত্র আমার চোখেই চশমা রয়ে গেল। ব্যাপারটাতে ঠিক কী রকম অনুভূতি হওয়া উচিত বুঝতে পারছি না। সত্যি বলতে কি সামান্য একলাই বোধ করছি।
Aha, Chosma niyeo je erokom swadu, muchmuche ekta lekha toiri hoy, seta ei lekhata na porle jantei partam na. Khub sundor hoyeche Kuntala :)
ReplyDeleteAmi nije chosma niyechi class 3 te.
চশমাধারণে আপনি আমার থেকে খুব বেশি লেট করেননি দেখে ভালো লাগল, অরিজিত। আপনার পোস্টটা ভালো লেগেছে জেনেও। আমার ধারণা, এই পোস্টের অধিকাংশ মালমশলাই আগের কোনও না কোনও পোস্টে ব্যবহার করেছি, কিন্তু সাড়ে ন'বছরে কনটেন্ট রিপিট না হলেই অদ্ভুত। তাছাড়া আমার কেরামতিরও এই ক'বছরে কিছু পরিবর্তন হয়েছে এই আশায় পুরোন জিনিস নতুন করে চালিয়ে দিলাম।
Deletecontent repeat hotei pare, in fact, odhikansho lekhoker khetre hoyto hoy o. kintu lekha porte porte pathok jate seta dhorte na paren, sekhanei lekhoker munshiana. :)
ReplyDeleteami jemon, duibar lekhata porlam - ekbar go-grashe, arekbar dhire dhire. kintu choritrogulo chhara, bakita ekdom notun laglo. :)
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
Delete"চশমা ব্যাপারটাকে আমি আমার স্বাভাবিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যেই জেনে এসেছি। " এটাও একটা 'আমিও আমিও' বলে লাফিয়ে ওঠার মত লেখা হয়েছে, কুন্তলাদি :)
ReplyDeleteকে যেন ছোটবেলায় আমার মাথায় ঢুকিয়েছিল, যে চশমার ব্রিজ আর নাকের মাঝে ফাঁক থাকে না, সেটাতেই নাকি মানুষের আসল ব্যক্তিত্ব ধরা পড়ে| এরকম চশমা খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, একটাও পাইনি | অনেক পরে বুঝেছি, আমার এই বোঁচা নাক নিয়ে চশমার ব্রিজ ছুঁয়ে ব্যক্তিত্ব আনানো অসম্ভব :)
আরে আরে ময়ূরী, এই চশমা আর নাকের ব্রিজের গ্যাপের থিওরির সরলতর সংস্করণ আমি শুনেছিলাম স্কুলে পড়তেই। চোখা নাকের মানুষেরা বোঁচা নাকের মানুষদের থেকে উন্নততর হয়। অর্থাৎ কি না জার্মানির সব মানুষ চিনের সব মানুষের থেকে উন্নত। যাই হোক আমি নিশ্চিত যে বলেছিল সে অত ভেবে বলেনি, আমিও এ সব ভাবিনি। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে যে বলেছিল তার নাক খাড়া ছিল, আর যাকে বলেছিল (আমাকে) তার নাক মাশরুমের মতো ধারহীন। আমি একটু ব্যোমকেই গিয়েছিলাম সত্যি বলতে কি। মানে উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাতে এইরকম জিনের মার খেলে কেই বা না হবে। এখন বুঝেছি (প্রমাণও পেয়েছি) উন্নত অনুন্নত সব রকম মানুষকেই জীবন সমান নৃশংসতায় আছাড় মারে। কাজেই।
DeleteAmar chhotobelay mota kalo frame ER choshma r sokh chhilo. Oti olpo boyese matha dhorar uposorgo howay prothome chokher Dr er kachhe jaoa Holo. Tini chart Porte bollen ar Ami sodyo sekha a b c d gorgoriye bole dilam , shesh line Khali ektu chokh kuchke. Pashondo Dr bodhhoy konokale chhoto chhilo na, bole dilo kichhu hoyni.
ReplyDeleteTo ek du bochhor por abar ek doctor ek rog. Ebar Buddhi berechhe, ekebare dwitiyo line ei hochot khelam, last du line to dekhtei pelam na, aro kichhu ache naki erokom much. Dr onekkhon bhuru kuchke matha chulke .25 jaityo kichhu ekta like dilen.
Sabar mot er omot a chomotkar ekta bhari mota kalo frame ER choshma bachhlam. Kintu school a eto jwalaton korlo sabai 3/4 din por chhere dite holo.
Chhilo choshma, hoye gelo....
এই গল্পটা দারুণ মজার, শিবেন্দু। চশমার প্রতি আপনার কচি বয়সেই এমন অনুরাগ দেখে আমি মুগ্ধ। ওই প্রফেসর চশমার প্রতি আমারও উৎসাহ আছে। দেখা যাক কবে হয়।
Deleteআমাকেও এবার চশমা নিতে হয়েছে বড় বয়েসে চশমা নিলে নিজেকে কেমন অপরিচিত লাগে। লেখা ভালো লাগলো।
ReplyDeleteধন্যবাদ, নালক। চশমাক্লাবে আপনাকে স্বাগত। বেটার লেট দ্যান নেভার।
Deleteamar o chokh kharap class 2 te, kintu power barar bohor dekhe choymasher modhye chosma batil hoye contact lens chole ashe. ekhono porjonto ar chosmay ferot jete parini.
ReplyDeleteওহ, অত ছোট বয়স থেকে লেন্স? তাহলে তো ওটাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ।
Deleteচশমা হয়েছিল ছোটবেলায়, ফাইভে পড়তে, না নিলেও চলত কিন্তু বেশ একটা ভাবগম্ভীর ব্যপারের জন্যেই জোর করেই নেওয়া (মানে উহহ কি মাথাব্যাথা, ভালো দেখতে পাচ্ছিনা তো) , কিছু দিন পর শখ মিটে গেল চোখও ভালো হয়ে গেল। তারপর দীর্ঘ বিরতির পর এক বছর অফিস করেই চশমা ঝুলল। আর একটা বয়সের পর নাকি পাওয়ার বাড়ে না, আমার তো এখনো বেড়েই চলেছে!
ReplyDeleteহাহা, এটাই প্রমাণ করে তোমার এখনও যথেষ্ট বয়স হয়নি, প্রদীপ্ত।
Deleteআমার চশমা ক্লাস ফোর থেকে| আমি বোর্ডের লেখা দেখতে পেতাম না, কিন্তু সেটা বাড়ির কেউ প্রথমে বিশ্বাস করেনি| সবাই ভেবেছিল পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার জন্যে অজুহাত| শেষে এক চশমাওয়ালা সহপাঠী তার মাকে দিয়ে আমার মাকে বলায় সত্যিই আমার চোখ খারাপ|
ReplyDeleteশুরু হয়েছিল মাইনাস আড়াই দিয়ে তারপর বাড়তে বাড়তে মাইনাস সাড়ে দশ হয়েছিল| কিভাবে জানিনা কমে এখন মাইনাস সাড়ে সাত হয়ে আছে অনেক বছর|
একবার দমদম আর একবার যাদবপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় চশমা ভেঙে যাওয়ার পর এখন সবসময় ডুপ্লিকেট চশমা রাখি|
"চশমা ব্যাপারটাকে আমি আমার স্বাভাবিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যেই জেনে এসেছি" --- অনেক গুলো হাই ফাইভ
হাই ফাইভ, সৌগত। আপনার সহপাঠীভাগ্য ভালো দেখছি।
Deleteআমি কয়েকদিন হল চশমা পড়ছি। আর তারপর থেকে চশমা ব্যবহার নিয়ে যত ভিডিও সব দেখছি। দেখতে দেখতে মনে পড়ল অবান্তরের কথা। ঢুকে 'চশমা' সার্চ করে এই পোস্টে আসা। আগে পড়া। আবার পড়লাম। বরবারের মতোই ভালো!
ReplyDeleteধন্যবাদ, মিজানুর। চশমার সঙ্গে সখ্য নিবিড় হোক। এই কামনা করি।
Delete