প্লাস্টিক



বই পড়া কী করে আরও সুবিধের করা যায়, সে খোঁজ আমার সর্বক্ষণের। কাগজের বই পড়তেও অসুবিধে হচ্ছিল না কিন্তু কিন্ডল এসে আরও সুবিধে করে দিল। তাতেও আমার মন ভরেনি। ভেবে দেখলাম, এই যে বই পড়তে দর্শনেন্দ্রিয়কে অকুপায়েড রাখা, এটা অসুবিধেজনক। চোখকে ছুটি দিয়ে যদি কানকে কাজে লাগানো যায় তাহলে মনে হয় আরেকটু সুবিধে হবে। মানে আমি ক্যান্ডি ক্রাশ খেলব, কেউ আমাকে বই পড়ে শুনিয়ে দেবে। অ্যামাজন প্রাইমে অডিবল তিনমাসের জন্য ফ্রি দিচ্ছিল, অ্যালেক্স নর্থের ডেবিউ রহস্য উপন্যাস হুইসপার ম্যান-এর ধন্য ধন্য চলছিল চারদিকে, ভাবলাম ঝাঁপ দিয়েই ফেলি। সাইন আপ করলাম, কার্ড ডিটেলস দিয়ে। এক মাস তেরো দিনের মাথায় এস এম এস এল আমার অডিবল থেকে কেউ তেরো ডলারের বই কিনেছে।

আমি বই কেনার বিরুদ্ধে নই। আলমারি ভর্তি না-পরা জামা আর বুকশেলফ ভর্তি না-পড়া বইয়ের মধ্যে আমি দ্বিতীয়টারই পক্ষে। কিন্ত আমাকে না জানিয়ে আমার কার্ড ব্যবহার করে বই কেনা বাড়াবাড়ি। নীতিবিরুদ্ধ।

তাছাড়া ঝামেলাটা শুধু নীতিরও নয়। অসুবিধেজনকও বটে। 

কার্ডখানা ব্লক করতে হল। 

কার্ডও নেওয়া সুবিধের জন্যই। আজকাল আর কে ক্যাশ নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। চরম অসুবিধেজনক। সুবিধেজনক হল কার্ড। সোয়াইপ কর, টাকা তোল, টাকা দাও। যা দেওয়ানেওয়া, সবের খুঁটিনাটি খবর রেজিস্টার্ড ফোনে চলে আসবে। দারুণ সুবিধেজনক। 

গতবছরের আঠেরোই মে যেমন খবর এল, পূর্ব দিল্লির এক বাজারের এ টি এম থেকে কার্ড ব্যবহার করে আমি আট হাজার টাকা তুলেছি। থ্যাংক ইউ ফর ইয়োর ট্র্যানজ্যাকশন। উই আর গ্ল্যাড টু মেক ইয়োর লাইফ ইজিয়ার!

আমি তো অবাক। কারণ আমি তখন মধ্য দিল্লির অফিসের পাঁচতলায় বসে কাজের ভঙ্গি করছি। মানিব্যাগ খুলে দেখলাম, কার্ড যথাস্থানে আছে।

টাকাটাই যা গেল। তারপর কোনও অসুবিধেই হল না। ফ্রডুলেন্ট ট্র্যানজ্যাকশনের এত্তেলা দেওয়া মাত্র মাত্র মহা তৎপর হয়ে কর্তৃপক্ষ কার্ড ব্লক করে দিলেন। আমার সহকর্মী বলল, ওহ তোমার মোটে আট? আগের মাসে সে আর তার কার্ড যখন হিমালয়ের পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরছিল তখন দিল্লিতে কে নাকি তার এটিএম থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। 

পঞ্চাশ হাজার?! 

পঞ্চাশ হাজার।

পঞ্চাশ হাজারের অসুবিধের তুলনায় আট হাজার রীতিমত সুবিধেজনক, মানতেই হল আমাকে।

কিন্তু সুবিধেজনক বলেই আট হাজার ছেড়ে দেওয়া যায় না। সত্যি কথা বলতে অ্যাকাউন্টে সে টাকা ফেরত আনানোর থেকেও উদ্যোগ দেখাতে হল কার্ডখানা উদ্ধার করতে। আফটার অল, সুবিধের জিনিস। কে যাবে এখন ফর্ম লিখে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে। টাকা ফেরত আসুক না আসুক, কার্ড ফেরত চাই। যাতে আমি এবং অন্য কেউ যখন তখন (কার্ড ব্যবহার করে কিংবা না করেই), ইচ্ছে হলেই (আমার কিংবা তার) টাকা তুলে নিতে পারি।

কার্ড ফেরতের আবেদন করলাম। এই কার্ডের ব্লক তোলা হবে না, নতুন কার্ড ইস্যু হবে। সিকিউরিটির হদ্দমুদ্দ। বললাম, কী করে কী হবে বলে দিন। কর্তৃপক্ষ মাথা হেলিয়ে হেসে উঠলেন। আরে আপনাকে কিছু করতেই হবে না। এইখানে একখানা সই মেরে দিন। যথাসময়ে কার্ড হেঁটে হেঁটে আপনার বাড়ি পৌঁছে যাবে। আই ডি দেখিয়ে কার্ড কালেক্ট করে নেবেন। মারাত্মক সুবিধে।

বললাম, একটা অসুবিধে আছে। আমি বাড়িতে থাকব না। 

যে থাকবে তাকেই আপনার আই ডি দিয়ে রাখবেন।

কেউ থাকবে না।

মুখ হাঁ হল। 

গ্যাসের দোকান, ব্যাংক, অফিস, যাদেরই বাড়িতে গুরুতর কিছু পাঠানোর থাকে, সবারই মুখ হাঁ হয়। এই দু'হাজার উনিশেও একটা পরিবারে যে সারাদিন কেউ পাহারা দেওয়ার জন্য বসে না থাকতে পারে সেটা এঁরা বিশ্বাসই করতে পারেন না। 

পেরেন্টস? নাহ, নিজেদের সুখের জন্য তাঁদের দূরে ফেলে রেখেছি। কামওয়ালি? নোপ। বচ্চে কে দেখভাল কে লিয়ে...?

ব্যাংকের সহৃদয় ভদ্রলোক খড়কুটো আঁকড়ানোর ভঙ্গিতে বললেন, বাড়িওয়ালা? সহভাড়াটে? চেহারা দেখেই বুঝে ফেলেছেন ভাড়া কেস, নিজস্ব বাড়ির চান্স নেই।

দুজনেই আছেন। কিন্তু দুজনেই তালকানা। দুজনের সঙ্গেই আসাযাওয়ার পথে হাই হ্যালো/ কেমন আছ/ এস একদিন ছাড়া আর যে কথাবার্তা শুনতে পাই তা হল, অ্যাই আমার মানিব্যাগখানা কোথায় রাখলি? তেজপাতাটা আবার কই গেল? এইখানে যে গ্যাসের বিলটা রেখেছিলাম কে হাত দিয়েছে? এই বাজারে আমি আমার ভোটার আই ডি-খানা ওঁদের ভরসায় ছেড়ে আসছি না মোটেই। তারপর দেশের প্রান্তে প্রান্তে যে সব ইন্ডিয়ান অশউইটজ বানানো হচ্ছে তাতে চালান হই আর কি। অত সুবিধের আমার দরকার নেই। 

ভদ্রলোক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, তাহলে আপনাকেই থাকতে হবে, ছুটি নিয়ে। কার্ডের সুবিধের জন্য এইটুকু অসুবিধে করতে হবে। তবে আজকাল ব্যাংক আপনাদের সুবিধে করার জন্য মুখিয়ে আছে। কার্ড ডেলিভারি দেওয়ার আগে এস এম এস ভেজে দেবে। 

এই ‘আগে’ শব্দটা খেয়াল করার মতো। বছর পনেরো আগে আমার একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল আটটা থেকে ন’টার মধ্যে। আমি পাঁজি দেখে খেয়েদেয়ে হেলেদুলে আটটা তিপ্পান্নয় যথাস্থানে পৌঁছে দেখি সে ফায়ার হয়ে আছে। বলে, এই আসার সময় হল? আমি তো সেই আটটা পাঁচ থেকে দাঁড়িয়ে আছি। যত বলি আমি অত্যন্ত দুঃখিত কিন্তু যেহেতু কথা হয়েছিল আটটা থেকে ন’টার মধ্যে, সে তত তড়পায়। আটটা থেকে ন’টার মধ্যে মানে কি আটটা তিপ্পান্ন?

এর উত্তরে কী বলা যায় আমার জানা ছিল না। সে আশেপাশের লোকজনদের থেকে মতামত নিতে গেল, আটটা থেকে ন'টার মধ্যে বলতে আটটা তিপ্পান্ন বোঝায় নাকি বোঝায় না, তারাও নানারকম মতামত দিল। তখন এই সব নিয়ে গজল্লা করার এনার্জি ছিল, এখন ভাবতেই হাই ওঠে।

অফিসে বসে এগারোটা সাতাশে দেখলাম এস এম এস এসেছে, আপনার কার্ড ডিসপ্যাচ হয়েছে। বাড়ি এসে শুনি কার্ড এসে ফিরে গেছে। নিচের কাকিমাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কখন এসেছিল কার্ড? কাকিমা সাড়ে তিন সেকেন্ড আকাশের দিকে চোখ তুলে করে বললেন, এই তো আমি জাস্ট চান সেরে বেরোব বেরোব করছি আর ব্যাটাচ্ছেলে এসে কলিংবেল টিপে ধরে রেখেছে। সাড়ে এগারোটাটোটা হবে।

অ্যাটটা তিপ্পান্ন যে ন'টার আগে সেই নিয়ে এঁড়ে তর্ক করেছিলাম মনে পড়ে গেল, কাজেই এগারোটা সাতাশ যে সাড়ে এগারোটার আগে সে নিয়ে আমার কোনওরকম ট্যাঁ ফো থাকার কথা নয়।

কাকিমা বললেন, এবার থেকে আমাকে তোমার আই ডি দিয়ে যেয়ো, ব্যস আর কোনও অসুবিধে হবে না। আমি বললাম, ঠিক ঠিক। 

ওই আট হাজারের পেছনে আমি যত এফর্ট দিয়েছি, অর্চিষ্মানের সঙ্গে পরিচয়ের প্রথম ছ’মাসেও তা দিইনি। এক সময় শুয়ে শুয়ে কল্পনা করতাম টাকাটা পেলে একটা মেমোরেবল কিছু উপায়ে খরচ করতে হবে। সাট্টা খেলব, বাড়িতে কীর্তন বসাব, ইউনিসেক্স স্পা-এ গিয়ে দুজনে পাশাপাশি বেডে তোয়ালে পরে শুয়ে থাকব, কপালের ওপর ফুটো হাঁড়ি থেকে টপটপ গব্যঘৃত ঝরবে। 

এ রকম আরও একবার হয়েছিল। আমার আর অর্চিষ্মানের সংসারের অ্যাকাউন্টের কার্ড নিয়ে। সেই একই গল্প। কোনও একটা গোলমালে, নাকি এমনিই মনে নেই, নতুন কার্ড আনা হয়েছিল। আসে না আসে না। অবশ্য ইন্ডিয়ান পোস্টাল সার্ভিসের সাইটে কার্ডের স্টেটাস চেক করার সুবিধে ছিল। একদিন সকালে ট্র্যাক করতে গিয়ে দেখি লেখা আছে ডেলিভারড! দৌড়ে উল্টোদিকের দরজায় নক করলাম। কাকিমা, কার্ড এসেছে? না তো, আমি তো বাড়িতেই ছিলাম। তাছাড়া তোমাদের আই ডি-ও তো দাওনি...  

ততক্ষণে আমরা হুড়মুড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করেছি। নিচের কাকিমার দরজার বেল টিপে ধরে রইলাম। তিনিও পাননি। আমরা পোস্টঅফিসের দিকে দৌড়ে যেতে যেতে শুনলাম, তোমাদের আই ডি-টা সময় করে…

কালকাজী মেন পোস্টঅফিস, ঢাকের মতো বড় এবং চরম অব্যবস্থা। কোটি কোটি চিঠির বস্তা, ধুলো, আঠার গন্ধ। একদিক থেকে ভালো, এই যদি এসি বসিয়ে কোণায় কোণায় পাম গাছ লাগানো হত তাহলেই ভাইসাবের বদলে স্যার আর ম্যাডামের বদলে ম্যাম বলতে হত আর কনফিডেন্সে টান পড়ে যেত।

যাকেই সামনে পেলাম, সমস্যার কথা জানালাম। সকলেই মহা ভদ্রলোক, বললেন এদিক দিয়ে চলে যান। দীনেশ বলল মোহনের কাছে যান, মোহন বলল গিরিধারী কো বুলাও, গিরিধারী ডেলিভারির লাল গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেছে, ফোন আনরিচেবল। তারপর একটা ঘরে একটা লজঝড়ে ডেস্কটপে একজন বসে কাজ করছিলেন, আমাদের নম্বর ট্র্যাক করে, আমাদের পানে বিজয়ীর দৃষ্টি হেনে জানালেন,  কার্ড ডেলিভারড। 
গত পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে বলে আসছি, ওটাই আমাদের সমস্যা। ডেলিভার্ড দেখালেও কার্ড আসলে ডেলিভারি হয়নি।

অবশেষে লোহার আলমারি থেকে বেরোল জাবদা খাতা।

আমি বুঝে গেলাম এবার কাজ হবে। স্থান কাল পাত্রের আমি মস্ত বড় বিশ্বাসী। ওই উঁচু সিলিংওয়ালা বাড়িতে, চতুর্দিকে ছত্রাকার চটের বস্তা আর কাগজের ঢিপির মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি অসহায়। ওখানে চাই সবুজ মলাট বাঁধাই জাবদা খাতা। খাতার ওপর ঝুঁকে পড়ে দেখেটেখে ভাইসাব জানালেন, এই তো ডেলিভারি হয়েছে। ঠিকানা আমাদের আগের ভাড়াবাড়ির।

আপডেট নহি কিয়া থা কেয়া?

আমাদের মুখ দেখেই তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, শায়দ হুয়া নহি হোগা।

আমরা সে কার্ড উদ্ধার করতে পারিনি। ফেরত গিয়েছিল ব্যাংগালোর, ফর সিকিউরিটি রিজনস। আবার এসেছিল নব্বই না কত দিন পর। ওই সময়টা এর ওর অ্যাকাউন্ট থেকে সংসারখরচ চালাতে হল, মাসের শেষে অনর্থক একগাদা হিসেবনিকেশ। একেই আমাদের ভিডিও গেম খেলার সময় টানাটানি, এর মধ্যে এই সব উটকো ঝামেলা কার ভালো লাগে। 

তখন মনে মনে, অর্চিষ্মানকেও না বলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে টাকায় ফিরে আসার। একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না তা জানতাম কিন্তু বিনা দরকারে যেখানে সেখানে ফস করে ব্যবহার করব না। এ আমার প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জেহাদ।

যথারীতি সুবিধের মুখ চেয়ে সে শপথ বিস্মৃত হয়েছি। তারপর এই অডিবলের অসুবিধেটা ঘটল। গত ক’দিন সব বাজারদোকান কাগজের টাকায় করেছি। কিন্তু জানি প্লাস্টিকে আবার ফিরে যাব, সুবিধে বলে কথা।


Comments

  1. এহে বাজে হয়েছে ভারী! টাকা পেয়েছ? যে ব্যাংকের সাথে এমন হয়েছে বা যে ওয়েবসাইটে তাদের কড়া করে মেল করো এটার বিহিত না হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাবে। তাছাড়া আরবিয়াই এর কি একটা রুল আছে টাকা ব্যংককেই ফেরত দিতে হয় বলে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটিএম এর টাকাটা পেয়ে গেছি, অডিবলের টাকাটা এখনও পাইনি, প্রদীপ্ত। নব্বই দিন নাকি লাগবে ট্র্যানজ্যাকশনটা সত্যিই ফ্রড কি না সেটা তদন্ত করে দেখতে।

      Delete
  2. isssh... ki bicchiri byapar.. asha kori taka pherot peye jaben.. farudulent transaction report kore pawa jawa uchit toh.. peyeche bole shunechi.. fingers crossed

    lekha ta darun hoyeche.. plastic chara toh ochol aamio.. aar aamaar moto businessbabuder toh dhar er e karbar,, ei muhurte cash use korar kichui upay nei.. tobe sentimentally aami apnar sathe ek mot..

    bhalo thakben..

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. আগের টাকাটা, যেটা এটিএম থেকে গিয়েছিল সেটা পেয়ে গেছি, ইন্দ্রাণী। অডিবলের দুর্ঘটনাটা সবেই ঘটেছে, দেখা যাক ফেরত পাই কি না। পুরো ক্যাশে আমিও শিফট করতে পারব না, কপোলকল্পনা আরকি।

      Delete
  3. আরে প্লাস্টিকের এই এক ঝামেলা। আমাদের ৪৫ দিনের ইউরোপ ট্যুরের ১৫ দিনের মাথায় আমার বিদেশে ব্যবহার করার প্রধান ক্রেডিট কার্ডটায় ফ্রড হল, আর ব্যাংক সেটা বাতিল করে দিল। রোমিং অবস্থায় ব্যাঙ্কে ফোন করে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক করেও লাভ হলনা, ওরা বাতিল করবেই, আর নতুন কার্ড ইউরোপে পাঠাতে পারবেনা বলল। কি ভাগ্যি ওই একই একাউন্টে আরেকটা কার্ড আছে পৌলমীর নামে, সেটা সঙ্গে ছিল। সেইটা বাকি সময়টা ব্যবহার করলাম, আর ভয়ে ভয়ে থাকলাম, যে যদি এটাও ফ্রড হয় তাহলে গোছা গোছা ক্যাশ নিয়ে ঘুরতে হবে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, সুখের মুখ চেয়ে এ যে কী অসুখ, সুগত।

      Delete
  4. amar ei jonya alert on thake ar duto credit card. ekta gele jate back up thake. :P Cash thaklei keno jani amar sob khoroch kore felte ichhey kore. tai credit carde bhalo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার আবার উল্টো, চুপকথা। নিজে হাতে ধরে টাকা খরচ করলে কত খরচ করলাম সে মালুমটা বেশি পাওয়া যায় বলে আমার বিশ্বাস। সোয়াইপ করে কত নিয়ে নিল, সেটা যেন টের পেয়েও পাওয়া হয় না। তাই আমি সর্বদা হাতে টাকা ধরে খরচ করার পক্ষে।

      Delete

Post a Comment